বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপ স্টার্টআপ নিউরোলিংক শুক্রবার নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে একটি বানরকে সাধারণ ভিডিও গেম খেলতে দেখা গেছে।
সেই বানরের মস্তিষ্কে চিপের মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি প্রতিস্থাপন করায় সে নিজেই গেমটি খেলতে পেরেছে।
নিউরোলিংকের প্রকাশ করা তিন মিনিটের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি পুরুষ মাকাকের (ছোট প্রজাতির বানর) মস্তিষ্কের দুই পাশে চিপ এমবেড করা হয়েছে। এতে করে সে বসে বসে মাইন্ড পং গেম খেলতে পারছে।
বানরটিকে আগেই গেমের জয়স্টিক সরানোর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। সে খুব সহজেই প্যাডেল দিয়ে জয়স্টিক নিয়ন্ত্রণ করেছে। নিজ থেকে চিন্তা করে তার হাত উপরে ও নিচে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক টুইটে ইলন মাস্ক বলেন, ‘এটি প্রথম নিউরোলিংক পণ্য যা কোনো পক্ষাঘাতগ্রস্ত লোককে মনের সঙ্গে মিলিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহারের সুবিধা দেবে। এটা হবে থাম্ব ব্যবহারের চেয়ে দ্রুতগতিতে।’
ভিডিওটিতে দেয়া ভয়েসওভারে বলা হয়, ‘নিউরোলিংক বানরের মোটর কর্টেক্স অঞ্চলে প্রতিস্থাপন করা দুই হাজারের বেশি ইলেক্ট্রোড ব্যবহার করে মস্তিষ্ক থেকে বৈদ্যুতিক সংকেত রেকর্ড ও ডিকোডের কাজ করে, যা তার হাত নাড়াতে সহায়তা করে।’
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত নিউরোলিংকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। সানফ্রান্সিসকোভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য আলঝেইমার, স্মৃতিবিভ্রম ও মেরুদণ্ডের জখমে ভোগা রোগীদের সহায়তা করতে ব্রেনে ওয়্যারলেস চিপ প্রতিস্থাপন করা।
এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। প্রযুক্তিটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
২০২০ সালের আগস্টে মাস্ক একটি শূকরছানার মস্তিষ্কে চিপ প্রতিস্থাপনের কথা জানান।
তার আগের বছর নিউরোলিংকের নতুন এক ডিজাইন দেখানো হয়, যেখানে মস্তিষ্কে ক্ষুদ্র ইলেক্ট্রোড ‘থ্রেড’ প্রতিস্থাপন ও কানের পিছনে একটি ডিভাইস স্থাপন করা হয়।
প্রযুক্তিটির উন্নয়নে ইলন মাস্ক উচ্চতর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানীদের কাজে লাগানোর কথা জানিয়েছেন।
নিউরোলিংকের উন্নয়নে টেসলা, স্পেসএক্সের বিশেষজ্ঞদেরও কাজে লাগানোর কথা জানান এ উদ্যোক্তা।
আরও পড়ুন:First @Neuralink product will enable someone with paralysis to use a smartphone with their mind faster than someone using thumbs
— Elon Musk (@elonmusk) April 9, 2021
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়েছে।
মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে গিয়ে শনিবার বেলা ১১টার দিকে শেষ হয় এই শোভাযাত্রা।
এতে অংশ নেন জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম, সিভিল সার্জন নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ বীর মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার-৭১-এর নরসিংদীর সভাপতি মোতালিব পাঠানসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শোভাযাত্রা শেষে স্টেডিয়ামে বড় পর্দায় স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বেলা ৩টায় স্টেডিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে গান পরিবেশন করবেন জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলসের শাফিন আহমেদ।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর উদ্বোধনের চূড়ান্ত ক্ষণে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এরই মধ্যে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় সুধী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুরো বাংলাদেশের পাশাপাশি স্বপ্নের এই সেতু উদ্বোধনে উচ্ছস্বিত ভারতের গণমাধ্যমও। উদ্বোধনের অনুষ্ঠান সরাসরি দেখানো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের পত্রিকা আনন্দবাজারের ফেসবুক পেজে। ভিডিওতে ১ হাজার ৪০০-এর বেশি রিঅ্যাক্ট ও ৩০০-এর বেশি মন্তব্য এরই মধ্যে পড়েছে।
এর আগে রাজধানীর তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার পর মাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টার দিকে তিনি মাওয়া প্রান্তে পৌঁছান।
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সাড়ে তিন হাজার নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সুধী সমাবেশে। ভোর সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হয় অতিথিদের আগমন। সমাবেশস্থল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক বা এক্সপ্রেসওয়েজুড়ে সতর্ক অবস্থানে দেখা যায় নিরাপত্তাকর্মীদের।
সমাবেশস্থলের কাছাকাছি আসতেই অতিথিদের পথ চেনাতে ব্যতিব্যস্ত দেখা যায় তাদের। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গেই পাঠানো হয় গাড়িতে ব্যবহারের বিশেষ স্টিকার। লালরঙা বা সবুজরঙা স্টিকার দেখে নিরাপত্তাকর্মী অতিথিদের চিনিয়ে দিচ্ছিলেন সুধী সমাবেশস্থলে প্রবেশের মুখ।
এ সময় তৎপরতা দেখা গেছে পর্যটন করপোরেশনের কর্মীদেরও। আমন্ত্রিত অতিথিদের গাড়িতে তারা তুলে দিচ্ছিলেন সকালের খাবার। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনুষ্ঠানস্থলে দেখা যায়। তাদের মধ্যে আছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীসহ অনেকে।
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে আছেন দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ফারুক খান। অন্য দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা গেছে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ কয়েকজন নেতাকে।
জমকালো এই আয়োজনের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির সাত নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা আসবেন না বলেই আগেই জানিয়েছেন।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আছেন বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আরও পড়ুন:স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী দিনে আরও অনেকের সঙ্গে সাক্ষী হতে নিজের নৌকা নিয়ে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী আওয়ামী লীগের জনসভায় এসেছেন শরীয়তপুরের জাজিরার আবু বকর মাতুব্বর।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে কাঁঠালবাড়ীতে দেখা হয় তার সঙ্গে। সমাবেশস্থল থেকে অনেকটা দূরে নৌকার ওপর বসে ছিলেন তিনি।
আবু বকর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ। এখন গায়ে তেমন শক্তি পাই না। তারপরও প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে এসেছি।’
এত দূরে বসে প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে পাবেন কি-না এমন প্রশ্নে বলেন, ‘এখন তো শরীরে শক্তি নাই। এত মানুষ ঠেলে ভেতরে যাইতে পারুম না। এখানে বসে শুনতে পারলেই দেখা হয়ে যাবে।
‘আমারও বয়স হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীরও বয়স হয়েছে। কত দিন আর বাঁচব। প্রধানমন্ত্রী আমাদের এত বড় উপহার দিয়েছেন। আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই।
একই জেলার ওসমান ব্যাপারীও সকাল ছয়টায় রওনা দিয়ে সমাবেশ স্থলে এসেছেন। তিনি নিউজবাংলাকে জানান, সেতু দেখতে আর প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে এসেছি।
আরও পড়ুন:
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ঝালকাঠিতে আনন্দ র্যালি হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শনিবার সকাল ৯টায় কার্যালয়ের সামন থেকে র্যালিটি বের হয়। বিভিন্ন ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হয় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে গিয়ে।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ র্যালিতে লোক অংশ নেন। এসময় নাচে-গানে আনন্দে মেতে উঠেন তারা।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ খুব উচ্ছ্বসিত। ঝালকাঠিতে আনন্দের বন্যা বইছে।’
কিছুক্ষণ পরই মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় উদ্বোধন করা হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। এ সেতুর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থায় কুমিল্লার তেমন সম্পর্ক না থাকলেও উদ্বোধন উপলক্ষে জেলাবাসীর উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টাউনহলে এসে মিলিত হয়। আনন্দ শোভাযাত্রায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে।
শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ, জেলা পরিষদের প্রশাসক রিয়ার এডমিরাল অবসরপ্রাপ্ত আবু তাহের, বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখি, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী সফিকুর রহমান।
আরও উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবু খান, কুমিল্লা মহিলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জামাল নাছের, র্যাব ১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন, নেত্রী পাপড়ি বসুসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের উধর্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এ দিকে সকাল ১০টার দিকে নগরীর টাউনহলে দেখা যায়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মূল অনুষ্ঠান বড় পর্দায় দেখতে হাজার খানেক মানুষ ভীড় করেছেন।
নিজের রিকশা থামিয়ে টাউনহলের বাইরে থেকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেখতে আসা জমির হোসেন জানান তার বাড়ি পিরোজপুর।
জমির বলেন, ‘আমাদের মনে আনন্দের বন্যারে ভাই। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে আমাদের কেমন মনে হচ্ছে বলে বোঝানো যাবে না। এখন আর ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। সেতুর উপর দিয়া দ্রুত চলে যাবো বাড়ি।’
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধন আমাদের আরেক বিজয়। সবাই হয়তো অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে উদ্বোধন দেখতে পারবেন না, তাই কুমিল্লাবাসীর জন্য জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নগরীর টাউনহলে উদ্বোধন অনুষ্ঠান দেখার ব্যবস্থা করেছি।
‘আয়োজনে সব শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহণে বলা যায় আজ কুমিল্লার জন্যও আনন্দের দিন।’
আরও পড়ুন:‘আমাগো আর গাঙ্গে ডুইববা মরতে অইব না। লঞ্চ ডুইবা আমি পোলারে হারাইছি। এই দিনে পোলাডারে মনে পাড়তাছে। আর কয় বছর আগে সেতুডা হইলে পোলাডা হয়তো জীবিত থাকত। আইজ এই দিনে আমি ঘরে বিয়া থাকতে পারি? বয়স ওইছে তো কী হইছে। আমিও যাইতাছি প্রধানমন্ত্রীরে ধন্যবাদ দিতে।’
কথাগুলো বলছিলেন ৬৫ ঊর্ধ্ব আমজাদ হোসেন। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যেকোনো মূল্যে শামিল হতে চান তিনি। তাই তো পথের ক্লান্তি আর বয়সের ভার তোয়াক্কা না করে তিনি যোগ দিয়েছেন বিজয় মিছিলে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিতে।
শুধু আমজাদ হোসেন নন, বিজয় মিছিলে সমাবেত হয়েছেন শত শত মানুষ। জেলা শহর থেকে মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাক, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে তারা ছুটছেন সমাবেশস্থল কাঁঠালবাড়ীর পানে। আর যারা যানবাহন পাননি তারাও বসে নেই। হেঁটে ৩৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে রওনা করেছেন অনেকে।
তাদেরই একজন রেজা শামিম। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতার বিজয় দেখিনি, কিন্তু পদ্মা বিজয়ের উৎসব দেখছি। আমাদের জন্মান্তরের ভোগান্তি লাঘব হবে। পদ্মা সেতু উপহার দেয়ায় সড়কের ভোগান্তির তোয়াক্কা না করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে যাচ্ছি।’
জাজিরা টিঅ্যান্ডটি মোড় থেকে কাঁঠালবাড়ী পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়কজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। সমাবেশে যোগ দিতে শহর থেকে ৩ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে ছুটছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। উৎসবে যোগ দিতে লঞ্চ ও ট্রলারে করে আসছেন ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া, সখীপুর ও চরাঞ্চলের মানুষ।
শহর থেকে কাঁঠালবাড়ী পর্যন্ত ছেয়ে গেছে পদ্মা সেতু, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবিসংবলিত ব্যানার ফেস্টুনে। শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পদ্মা বিজয়ের উৎসব পালন করছি আমরা। ৩ লাখ মানুষ সড়ক ও নৌপথে শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দিতে জেলা থেকে কাঁঠালবাড়ী এসেছে।’
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বর্ণিল সাজে সেজেছে শরীয়তপুর শহর। শহরের প্রতিটি সড়কে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বাদ পড়েনি সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনাও। জেলাব্যাপী শুরু হয়েছে ৩ দিনের বিজয় উৎসব।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য