বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার রাত ১১টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত আট ঘণ্টা মোবাইল নেটওয়ার্ক বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে ২১০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গের নতুন বিন্যাসের জন্য বুধবার রাতে আট ঘণ্টা মোবাইল নেটওয়ার্ক বিঘ্নিত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
সংস্থাটির মিডিয়া উইংয়ের উপ-পরিচালক জাকির হোসেন খাঁনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার রাত ১১টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত আট ঘণ্টা বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
বিটিআরসি বুধবার দুপুরে এ সতর্কতা জারি করেছে।
প্রথম ধাপের ১৮০০ মেগাহার্টজের তরঙ্গ বিন্যাসের কারণে ১ এপ্রিল রাত ১১টা থেকে ২ এপ্রিল সকাল ৭টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা মোবাইল ফোন সেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে বলেও বিটিআরসি আগেই গ্রাহকদের সতর্ক করেছিল।
তবে প্রথম দফায় তরঙ্গ বিন্যাসে কোনো সমস্যা না হওয়ায় মোবাইলফোন গ্রাহকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন।
মোবাইল অপারেটরগুলোর বরাদ্দ নেয়া নতুন তরঙ্গ বিন্যাস ও পরিবর্তনের জন্য সেবা ব্যাহত হতে পারে বলে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিটিআরসি।
চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। ছবি: এএফপি
‘বিশেষ চুক্তি’র (দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে যে কোনো একটিকে বেছে নেয়া) আওতায় ব্যবসায়ীদের প্রতিদ্বন্দ্বী ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে পণ্য বিক্রি করা থেকে বিরত রাখত আলিবাবা। তদন্তে বাজার নিয়ন্ত্রকরা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এ জরিমানা করা হয়।
ব্যবসায় একচেটিয়া আচরণের অভিযোগে অনলাইন শপিং জায়ান্ট আলিবাবাকে রেকর্ড ২.৮ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে চীন। ধনকুবের ব্যবসায়ী এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে উন্মুক্ত চিঠিও প্রকাশ করেছে।
দেশটির বাজার নিয়ন্ত্রকদের তদন্তের ভিত্তিতে অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার জনপ্রিয় প্লাটফর্মটিকে এ জরিমানা করা হয়।
জ্যাক মা কে যে পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা হিসাবে)।
চীনে এর আগে কখনও কাউকে এত বেশি অর্থ জরিমানা করা হয়নি।
শনিবার চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার বরাত দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিশেষ চুক্তি’র (দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে যে কোনো একটিকে বেছে নেয়া) আওতায় ব্যবসায়ীদের প্রতিদ্বন্দ্বী ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে পণ্য বিক্রি করা থেকে বিরত রাখত আলিবাবা। তদন্তে বাজার নিয়ন্ত্রকরা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এ জরিমানা করা হয়।
এ জরিমানা মেনেও নিয়েছেন আলিবাবা। শনিবার একটি উন্মুক্ত চিঠিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা তদন্তে সহযোগিতা করেছে এবং এই দণ্ডকে ‘আন্তরিকতা’র সঙ্গে গ্রহণ করেছে।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘সুষ্ঠু সরকারি ব্যবস্থাপনা ও সহযোগিতা ছাড়া আলিবাবা আজকের অবস্থান অর্জন করতে পারত না। সমালোচনামূলক তদারকি, সহনশীলতা এবং সমর্থন আমাদের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এ জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’
দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের অংশ হিসাবে আলিবাবা আরও বেশি দায়িত্ববান হবে বলেও চিঠিতে বলা হয়।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, জরিমানাটি ২০১৯ সালে চীনে আলিবাবার মোট পণ্য বিক্রির অর্থের চার শতাংশের সমান। এর আগে সর্বোচ্চ জরিমানার রেকর্ড ছিল ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের চিপমেকার কোয়ালকমকে করা ৯৭৫ মিলিয়ন ডলার।
বিশেষ নিয়ন্ত্রণ অভিযানের অংশ হিসেবে বেইজিং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রযুক্তিখাতের জায়ান্টদের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ অভিযানকে ২০২১ সালে দেশটির অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অনলাইন কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা ত্বরান্বিত করতে গত মাসে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বানও জানান শি।
চীনের শীর্ষস্থানীয় এবং অন্যতম সফল বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আলিবাবার সহপ্রতিষ্ঠাতা কিংবদন্তি উদ্যোক্তা জ্যাক মা। এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে রেকর্ড জরিমানার মাধ্যমে চীনা নিয়ন্ত্রকরা দেশের বৃহত্তম কোম্পানিগুলোকে তাদের রাশ টানার স্পষ্ট বার্তা পাঠাল।
বেইজিং দীর্ঘদিন ধরেই টেক প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক খাতে একচেটিয়া প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। শিল্পকে দুর্বল করে দেয়া প্রভাব থেকে মুক্তির জন্য অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
আলিবাবার পর এখন অন্য টেক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে।
এরইমধ্যে দেশটির টেনসেন্ট হোল্ডিংস লিমিটেড এবং কৃষিভিত্তিক প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম পিন্ডুডুর কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ ছাড়া টিকিটকের মালিক এবং সার্চ ইঞ্জিন বাইডুকে একচেটিয়া আচরণের জন্য জরিমানা করা হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যোগ্যতা বিচারে সম্ভাব্য চাকরির বিজ্ঞাপন ফেসবুক ব্যবহারকারীদের না দেখিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা দেখানো হচ্ছে নারী-পুরুষ বিচারে।’ ফেসবুকের এই অ্যালগরিদম যুক্তরাষ্ট্রের বৈষম্যবিরোধী আইন পরিপন্থি হতে পারে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক চাকরির বিজ্ঞাপনে নারী-পুরুষ বৈষম্য করে। অনেক ব্যবহারকারী যথাযথ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সঠিক বিজ্ঞাপনটি দেখতে পান না। কারণ, ফেসবুকে বিজ্ঞাপন প্রচারের যে প্রক্রিয়ায় তাতে সেটি সঠিক ব্যক্তির কাছে পৌঁছায় না।
ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার এক গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য। শুক্রবার প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনটি। এতে বলা হয়, ফেসবুকে চাকরির বিজ্ঞাপন সমান অনুপাতে নারী ও পুরুষ ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছায় না।
গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপভিত্তিক পণ্য সংগ্রহ ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইনস্টাকার্টের বিজ্ঞাপন বেশি দেখতে পেয়েছেন ফেসবুকের নারী ব্যবহারকারীরা। আবার ডোমিনোজ পিৎজায় আবেদনের জন্য ফেসবুকে প্রকাশিত বিজ্ঞাপন যাদের কাছে পৌঁছেছে, তাদের বেশিরভাগই পুরুষ।
ইনস্টাকার্টে বেশিরভাগই নারী চালক, যারা গ্রাহকের পণ্য সংগ্রহ করেন এবং পৌঁছে দেন। অন্যদিকে ডোমিনোজের বেশিরভাগ কর্মীই পুরুষ।
অথচ মাইক্রোসফটের প্ল্যাটফর্ম লিংকডইনে ইনস্টাকার্ট ও ডোমিনোজের একই চাকরির বিজ্ঞাপন নারী-পুরুষ ভেদে সমান ব্যবহারকারী দেখতে পেয়েছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যোগ্যতা বিচারে সম্ভাব্য চাকরির বিজ্ঞাপন ফেসবুক ব্যবহারকারীদের না দেখিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা দেখানো হচ্ছে নারী-পুরুষ বিচারে।’
ফেসবুকের এই অ্যালগরিদম যুক্তরাষ্ট্রের বৈষম্যবিরোধী আইন পরিপন্থি হতে পারে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে।
ফেসবুকের মুখপাত্র জো অসবোর্নে জানান, ব্যবহারকারীরা কোন বিষয়ে বেশি আগ্রহী, সাংকেতিকভাবে তা যাচাই-বাছাইয়ের ভিত্তিতে সে অনুযায়ী তাদের কাছে ফেসবুক বিজ্ঞাপন পৌঁছায়।
বিজ্ঞাপন প্রচারে নারী-পুরুষ ভেদাভেদের অভিযোগে একাধিক মামলা ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার তদন্তে ফেসবুকের নাম জড়িয়েছে।
প্রযুক্তি খাতে স্বচ্ছতা অবলম্বনের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহযোগিতা নেয়ার কথা জানিয়েছে ফেসবুক, লিংকডইন উভয় প্রতিষ্ঠানই।
মস্তিষ্কে নতুন প্রযুক্তির চিপ প্রতিস্থাপনের পর নিজ থেকেই ভিডিও গেম খেলছে মাকাক প্রজাতির বানর। ছবি: রয়টার্স
নিউরোলিংকের প্রকাশ করা তিন মিনিটের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি পুরুষ মাকাকের (ছোট প্রজাতির বানর) মস্তিষ্কের দুই পাশে চিপ এমবেড করা হয়েছে। এতে সে বসে বসে মাইন্ড পং গেম খেলতে পারছে।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপ স্টার্টআপ নিউরোলিংক শুক্রবার নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে একটি বানরকে সাধারণ ভিডিও গেম খেলতে দেখা গেছে।
সেই বানরের মস্তিষ্কে চিপের মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি প্রতিস্থাপন করায় সে নিজেই গেমটি খেলতে পেরেছে।
নিউরোলিংকের প্রকাশ করা তিন মিনিটের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি পুরুষ মাকাকের (ছোট প্রজাতির বানর) মস্তিষ্কের দুই পাশে চিপ এমবেড করা হয়েছে। এতে করে সে বসে বসে মাইন্ড পং গেম খেলতে পারছে।
বানরটিকে আগেই গেমের জয়স্টিক সরানোর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। সে খুব সহজেই প্যাডেল দিয়ে জয়স্টিক নিয়ন্ত্রণ করেছে। নিজ থেকে চিন্তা করে তার হাত উপরে ও নিচে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক টুইটে ইলন মাস্ক বলেন, ‘এটি প্রথম নিউরোলিংক পণ্য যা কোনো পক্ষাঘাতগ্রস্ত লোককে মনের সঙ্গে মিলিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহারের সুবিধা দেবে। এটা হবে থাম্ব ব্যবহারের চেয়ে দ্রুতগতিতে।’
ভিডিওটিতে দেয়া ভয়েসওভারে বলা হয়, ‘নিউরোলিংক বানরের মোটর কর্টেক্স অঞ্চলে প্রতিস্থাপন করা দুই হাজারের বেশি ইলেক্ট্রোড ব্যবহার করে মস্তিষ্ক থেকে বৈদ্যুতিক সংকেত রেকর্ড ও ডিকোডের কাজ করে, যা তার হাত নাড়াতে সহায়তা করে।’
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত নিউরোলিংকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। সানফ্রান্সিসকোভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য আলঝেইমার, স্মৃতিবিভ্রম ও মেরুদণ্ডের জখমে ভোগা রোগীদের সহায়তা করতে ব্রেনে ওয়্যারলেস চিপ প্রতিস্থাপন করা।
এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। প্রযুক্তিটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
২০২০ সালের আগস্টে মাস্ক একটি শূকরছানার মস্তিষ্কে চিপ প্রতিস্থাপনের কথা জানান।
তার আগের বছর নিউরোলিংকের নতুন এক ডিজাইন দেখানো হয়, যেখানে মস্তিষ্কে ক্ষুদ্র ইলেক্ট্রোড ‘থ্রেড’ প্রতিস্থাপন ও কানের পিছনে একটি ডিভাইস স্থাপন করা হয়।
প্রযুক্তিটির উন্নয়নে ইলন মাস্ক উচ্চতর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানীদের কাজে লাগানোর কথা জানিয়েছেন।
নিউরোলিংকের উন্নয়নে টেসলা, স্পেসএক্সের বিশেষজ্ঞদেরও কাজে লাগানোর কথা জানান এ উদ্যোক্তা।
First @Neuralink product will enable someone with paralysis to use a smartphone with their mind faster than someone using thumbs
— Elon Musk (@elonmusk) April 9, 2021
এক বছরে ই-কমার্সে ৩০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ফাইল ছবি
পলক বলেন, ‘ই-কমার্স খাতে এখন নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। গত ১০ বছরে ই-কমার্স খাতে যেখানে প্রবৃদ্ধি ছিল ২০ শতাংশ, এক বছরেই সে প্রবৃদ্ধি ৩০০ শতাংশ হয়েছে।’
দেশে গত এক বছরে ই-কমার্সে ৩০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ই-কমার্স দিবস উপলক্ষে বুধবার ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইক্যাব) আয়োজিত ‘ই-কমার্স ফর লিভিং’ শীর্ষক ভার্চুয়াল অলোচনায় তিনি এমন কথা জানান।
পলক বলেন, গত বছর দেশে করোনার শুরুতে মানুষ যখন আতঙ্কে ঘরের বাইরে যেতে পারছিল না, তখন আশা নিয়ে আসে ই-কমার্স। এ খাতে তখন নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হয়।
গত ১০ বছরে ই-কমার্স খাতে যেখানে প্রবৃদ্ধি ছিল ২০ শতাংশ, এক বছরেই সে প্রবৃদ্ধি ৩০০ শতাংশ হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু বড় হলে হবে না, এ খাতকে টেকসই করতে চারটি জিনিস প্রয়োজন। এগুলো হচ্ছে সবার জন্য ইন্টারনেট, পর্যাপ্ত লজিস্টিক, ডিজিটাল ট্রানজেকশন এবং ট্রাস্ট।
এগুলো নিশ্চিত করতে সরকার গ্রামীণ এলাকায় ইন্টারনেট নিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে পোস্ট অফিসগুলো সচল করা হচ্ছে। ডাক বিভাগের কর্মীদের এ খাতে কাজে লাগানো হবে। ডিজটাল ট্রানজেকশন নিরাপদ করার জন্য এ খাতের বেশ কটি প্রতিষ্ঠানকে একই প্ল্যাটফর্মে আনা হয়েছে।
এবার ই-কমার্স দিবসের প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে ‘ঘরে থাকাই নিরপদ, ই-কমার্সই ভবিষ্যৎ’।
আলোচনা সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ভবিষ্যতে সাধারণ বাণিজ্য বলে কিছু থাকবে না। সব হবে ডিজিটাল বাণিজ্য। আর ডিজিটাল বাণিজ্যে মানুষের হাতে পণ্য পৌঁছে দিতে ডাক বিভাগকে হাতিয়ার হিসাবে কাজে লাগানো হবে।
ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, ইক্যাবের উপদেষ্টা সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) মহাসচিব মনিরুল ইসলাম, চালডাল ডটকমের সিইও জিয়া আশরাফ, ইক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমালসহ অনেকেই।
বক্তব্যে ইক্যাব সভাপতি শমী কায়সার ই-কমার্সের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দুই মন্ত্রীর সহায়তা চান। একই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের তাদের ব্যবসায় সততার সঙ্গে পরিচালনার আহ্বান জানান।
ইক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ই-কমার্স খাত থেকে প্রচুর কর আহরণ করা সম্ভব। এ জন্য শুরুতে কিছুটা কর ছাড় দিতে হবে।
গত বছর এ খাতে ৫০ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি লক্ষাধিক কর্মসংস্থান হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বর্তমানে ইক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দেড় হাজারের বেশি।
অনেক ক্ষেত্রে এই ব্যবসার সামাজিক স্বীকৃতি নেই দাবি করে বক্তারা ৭ এপ্রিলকে জাতীয়ভাবে ই-কমার্স দিবস করার দাবি জানান। সেই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান তারা।
দেশে দুটি নতুন স্মার্টফোন এনেছে রিয়েলমি। ছবি: সংগৃহীত
রিয়েলমি ৮ প্রো ডিভাইসটিতে রয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ১০৮ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরার সঙ্গে আছে ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড-এঙ্গেল লেন্স।
দেশে নতুন মডেলের দুই স্মার্টফোন এনেছে রিয়েলমি। রিয়েলমি ৮ প্রো ও সি২১ মডেলের স্মার্টফোন দুটি প্রিঅর্ডার নিতে শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
রিয়েলমি ৮ প্রো ফোনটিতে আছে ৬.৪ ইঞ্চি সুপার অ্যামোলেড ফুল স্ক্রিন ডিসপ্লে। রয়েছে গতিসম্পন্ন ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, স্টারি মোড ও টিল্ট শিফট মোডের সঙ্গে ১৬ মেগাপিক্সেল ইন-ডিসপ্লে সেলফি ক্যামেরা।
ডিভাইসটিতে রয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ১০৮ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরার সঙ্গে আছে ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড-এঙ্গেল লেন্স।
এ ছাড়া সুপার নাইটস্কেপ, ৩এক্স ইন-সেন্সর জুম, স্টারি টাইম ল্যাপস ভিডিও এবং টিল্ট-শিফট মোডের মতো বৈশিষ্ট্যগুলো রিয়েলমি ৮ প্রো-র ক্যামেরাকে অতুলনীয় করে তুলেছে।
রিয়েলমি ৮ প্রো প্রথম স্মার্টফোন যাতে ব্যবহার করা হয়েছে রিয়েলমি ইউআই ২.০। অপারেটিং সিস্টেম থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ১১।
ফোনটিতে রয়েছে ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রম ভ্যারিয়েন্টটি ইনফিনিট ব্লু ও ইনফিনিট ব্ল্যাক এই দুই রঙে পাওয়া যাচ্ছে ২৭ হাজার ৯৯০ টাকায়।
রিয়েলমি সি২১ ফোনে রয়েছে ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি এবং এটি রিভার্স চার্জিং ক্ষমতাসম্পন্ন। সুপার সেভিং মোড চালু রাখলে ফোনটি ৪৭ দিন পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই থাকতে পারে। বিশেষ ওটিজি রিভার্স চার্জযুক্ত রিয়েলমি সি২১ হলো ব্যাটারি লাইফ সেভার।
হেলিও জি৩৫ ১২ ন্যানোমিটার অক্টা-কোর ৬৪বিট প্রসেসরযুক্ত রিয়েলমি সি২১ এ রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেলের এআই ট্রিপল ক্যামেরা এবং ইনস্ট্যান্ট ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। সেলফি তুলতে এর রয়েছে ৫ মেগা পিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।
অ্যান্ড্রয়েড ১০ এর উপর ভিত্তি করে তৈরি স্মুথ এবং ফাস্ট রিয়েলমি ইউআই উন্নতমানের অ্যান্ড্রয়েড অভিজ্ঞতার প্রদান করবে।
আর রিয়েলমি সি২১ ক্রস ব্ল্যাক এবং ক্রস ব্লু এই দুই রঙে ৪+৬৪ জিবি ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া যাচ্ছে ১১ হাজার ৯৯০ টাকায়।
পাশাপাশি, রিয়েলমি ৮ প্রো স্পেশাল প্রাইজে ১০০০ টাকা কমে ২৬ হাজার ৯৯০ টাকায় ৩-৯ এপ্রিল দারাজ, ইভ্যালি, পিকাবু, জিঅ্যান্ডজি (অনলাইন), ধামাকাশপিং থেকে প্রি-অর্ডার করা যাবে।
প্রি-অর্ডারের সঙ্গে পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা মূল্যছাড়, ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাইফস্টাইল গিফট কার্ড এবং ইএমআই সুবিধা।
এ ছাড়া রিয়েলমি সি২১ দারাজে স্পেশাল প্রাইজে ১১ হাজার ৪৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
ছাড়ে ফ্যানদের স্মার্টফো্ন কেনার সুযোগ দিতে ফেস্টিভ্যাল করছে শাওমি।
এই ক্যাম্পেইনের আওতায় মঙ্গলবার থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিশেষ অফারে দারাজ থেকে শাওমি স্মার্টফোন কিনতে পারবেন মি ফ্যানরা।
দেশে তাদের বার্ষিক মি ফ্যান ফেস্টিভ্যাল (এমএফএফ) আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে শাওমি।
২০২১ সালের ফেস্টিভ্যালের মূল উপপাদ্য হচ্ছে ‘এক্সপ্লোর দ্য পসিবিলিটিস’ বা ‘সম্ভাব্যতাকে ছড়িয়ে দেয়া’। শাওমি এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে অনলাইনে বড় ধরনের ক্যাম্পেইন আয়োজন করেছে।
এই ক্যাম্পেইনের আওতায় মঙ্গলবার থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিশেষ অফারে দারাজ থেকে শাওমি স্মার্টফোন কিনতে পারবেন মি ফ্যানরা।
শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যখনই কোনো আয়োজন করি সেখানে শাওমি সব সময় মি ফ্যান ও ব্যবহারকারীদের রাখি। মি ফ্যান কালচারে এমএফএফ আমাদের একটি আইকনিক উপস্থাপনা। এই বছর দশম এমএফএফ হচ্ছে এবং শাওমি প্রতিষ্ঠার এগারোতম বছর।
‘প্রতিবছর আমরা বিশ্বব্যাপী মি ফ্যান, ব্যবহারকারী এবং পার্টনারদের সঙ্গে নিয়ে এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করি। এখান থেকে তাদের সহযোগিতা ও সমর্থনের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানানো হয়। এটা আমাদের নিজেদের বিকাশ এবং উদ্ভাবনের অন্যতম চালিকাশক্তি।’
এমএফএফের ইতিহাস
চীনের মেইনল্যান্ডে প্রথম মি ফ্যান ফেস্টিভ্যাল হয় ২০১২ সালের ৬ এপ্রিল। সে সময় শাওমি তাদের প্রতিষ্ঠার দুই বছর পূর্তি উদ্যাপন করতে প্রথম একটি ইভেন্ট আয়োজন করে।
তখন থেকেই মি ফ্যানরা শাওমির দ্রুত প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। এমনকি শাওমি তাদের ফ্যানদের সঙ্গে ব্র্যান্ডটির জন্মদিন উদ্যাপনে প্রতিবছরই আমন্ত্রণ করে থাকে।
পার্টির জন্য ভেন্যু হয় কোনো ক্লাব এবং সেখানে অতিথি হিসেবে তারা এর উদ্যাপনে ডিজেসহ নানা ধরনের কর্মকাণ্ড করে। সেদিন মাত্র ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে ১ লাখ স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছিল। ঠিক তখন থেকেই ফ্যানদের প্রতি কৃজ্ঞতাস্বরূপ শাওমি প্রতিবছর এমএফএফ আয়োজন করে।
চীনের বাইরে এমএফএফ প্রথম আয়োজন হয় ভারত ও ইন্দোনেশিয়ায়। সেটা ২০১৫ সালে। ২০১৮ সালে ইউরোপের বাজারে প্রবেশের আগে প্রথম শপিং কার্নিভ্যাল হয় স্পেনে। এই বছর এমএফএফের ১০ম বর্ষপূর্তি হবে।
মন্তব্য