বাংলাদেশে গুজব ছড়াতে ও সাইবার হামলা চালাতে একটি রাষ্ট্র অর্থ বিনিয়োগ করছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রোববার সকালে তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিকম সাংবাদিকদের সংগঠন টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সেমিনারে এ কথা জানান তিনি।
‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক অনলাইন কনটেন্ট বনাম তথ্যবিভ্রাট ও গুজব বিড়ম্বনা’ শিরোনামে ওই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কনটেন্ট গবেষক অমি রহমান পিয়াল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘দেশে গুজব ছড়াতে ও সাইবার হামলায় একটি রাষ্ট্র প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অর্থ বিনিয়োগ করছে। এ বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য-উপাত্ত ও প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে।’
আলোচনায় অংশ নেন দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
গুজব প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- র্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
তিনি জানান, কক্সবাজারের রামুসহ বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জের শাল্লায় সাম্প্রদায়িক হামলায় পেছনে কারা রয়েছেন তা খতিয়ে দেখছে র্যাব।
এর আগে এই ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে টিএমজিবির ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তথ্য সংরক্ষণ এবং তা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে একটি ডিজিটাল আর্কাইভ গড়ে তোলা হবে।’
এই কাজে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে টিএমজিবিকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
পাশাপাশি গুজব প্রতিরোধে সব মহলকেই সচেতন হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সেমিনার সঞ্চালনা করেন টিএমজিবির আহ্বায়ক মুহম্মদ খান। অন্যদের মধ্যে সেমিনারে অংশ নেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, বিসিএস সভাপতি শহিদ উল মুনির, বাক্কোর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।
আরও পড়ুন:মোবাইল ফোনের ওপর আগামী অর্থবছরের বাজেটে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার যে প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা এফআইসিসিআই।
বাংলাদেশের ব্যবসা ও বিদেশি বিনিয়োগের ওপর বাজেটের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মলনের আয়োজন করে সংগঠনটি। সেখানেই এমন উদ্বেগের কথা জানান এফআইসিসিআই প্রেসিডেন্ট।
গত ৯ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন।
বাজেট নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ফরেন এফআইসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এফআইসিসিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক টি আই এম নূরুল কবীর।
এফআইসিসিআই প্রেসিডেন্ট নাসের এজাজ বিজয় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা এই সময় যখন ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তখন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, বিশেষ করে মোবাইল ফোনের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়ানো ঠিক হচ্ছে না।’
এর ফলে দেশে এই শিল্পের প্রসার বাধাগ্রস্ত হবে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে এমন একটি বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে একটি কোম্পানিকে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) অবদানের ওপর কর দিতে হবে। এটি কোম্পানিটির আয়করের বোঝা ও কার্যকর করের হার বাড়িয়ে তুলবে।
বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবসায় প্রতিটি ব্র্যান্ডের জন্য ভোক্তা পর্যন্ত তিন-চারটি স্তরে ব্যবসা পরিচালনা করা হয়। এ ক্ষেত্রে যদি মোবাইল ফোন ব্যবসার প্রতিটি স্তরে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়, তবে প্রতিটি মোবাইল ফোনের খুচরা মূল্য প্রায় ১৫-২০ শতাংশ বেড়ে যাবে।
এ ক্ষেত্রে ভোক্তাপর্যায়ে অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হবে এবং মোবাইল ফোন দেশের সিংহভাগ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।
আরও পড়ুন:‘দারাজ ইলেকট্রনিকস উইক’ উপলক্ষে রিয়েলমি গ্রাহকদের নির্দিষ্ট স্মার্টফোনের উপর ৫ থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড় অফার দেয়া হয়েছে। এই অফার চলবে ২১ জুন পর্যন্ত।
এ সময়ে রিয়েলমি সি২৫ওয়াই (৪+৬৪ জিবি) কেনা যাবে ১২ হাজার ৯৮১ টাকায়। যার বাজারমূল্য ১৩ হাজার ৬৯০ টাকা।
রিয়েলমি সি১১ (২+৩২ জিবি) পাওয়া যাবে ৯ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে ৯ হাজার ৪৭১ টাকায়।
এ ছাড়া রিয়েলমি নারজো ৫০ কেনা যাবে ১৭ হাজার ২২ টাকায়, যাতে ছাড় পাওয়া যাবে ৯৭৭ টাকা। রিয়েলমি সি৩৫ কেনা যাবে ১৬ হাজার ৯১ টাকায়, যার বাজারমূল্য ১৬ হাজার ৯৯০ টাকা। এসব ডিভাইসে গ্রাহকরা পাচ্ছেন ৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।
রিয়েলমি ৮ ফাইভজি (৮+১২৮ জিবি) এখন পাওয়া যাচ্ছে ছাড়ের পর ২১ হাজার ৫০১ টাকায়, যা আগে ছিল ২২ হাজার ৯৯০ টাকা।
৬০০০ এমএএইচ ব্যাটারিসহ রিয়েলমি সি২৫এস (৪+১২৮ জিবি) কেনা যাবে ১৫ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে ১৫ হাজার ৮১ টাকায়।
অন্যদিকে রিয়েলমি সি২১ওয়াই (৩+৩২ জিবি) বিক্রি করা হচ্ছে ১০ হাজার ৭৮১ টাকায়, হ্যান্ডসেটটির আগে দাম ছিল ১১ হাজার ৪৯০ টাকা।
রিয়েলমি সি১১ (৪+৬৪ জিবি) ১১ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে ১১ হাজার ৩১১ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
রিয়েলমি ৮ (৮+১২৮ জিবি) এখন কেনা যাবে ২৩ হাজার ৩৪১ টাকায়, যা আগে ছিল ২৪ হাজার ৯৯০ টাকা। রিয়েলমি ৯আই (৬+১২৮ জিবি) ২১ হাজার ৪৯০ টাকার পরিবর্তে ২০ হাজার ৪১ টাকায় কেনা যাবে।
রিয়েলমি ৯আই (৪+৬৪ জিবি) ১৬ হাজার ৩৪১ টাকায়, সি২১ওয়াই (৪+৬৪ জিবি) ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, সি৩১ কেনা যাবে ১৩ হাজার ২৪ টাকায়।
এ ছাড়া রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন (৮+১২৮ জিবি) ৩৩ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে ৩১ হাজার ৪৯১ টাকায় কিনতে পারবেন গ্রাহকরা। এসব ডিভাইসে গ্রাহকরা পাচ্ছেন ৭ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।
এরবাইরে কিছু স্মার্টফোনে ১১ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাচ্ছেন ক্রেতারা। রিয়েলমি জিটি নিও ২ (৮+১২৮ জিবি) ৩৬ হাজার ৮৪১ টাকা, রিয়েলমি ৯ ছাড়ের পর ২৪ হাজার ৬৯১ টাকায়, নারজো ৫০আই (৪+৬৪ জিবি) ১০ হাজার ৭০১ টাকায় কেনা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাঁচ জেলায় ফিরে আসতে শুরু করেছে মোবাইল নেটওয়ার্ক। এরই মধ্যে সে অঞ্চলের ১ হাজার ১৪৬টি সাইট সচল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসি।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানায়, ওই এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকা আরও ৯৭৬ সাইট চালু করতে অপারেটররা কাজ করে যাচ্ছে। মঙ্গল ও বুধবারের মধ্যে প্রায় শতভাগ সাইট চালু করা সম্ভব হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
ভারি বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার কয়েক লাখ বাসিন্দা।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, বিভিন্ন সাইটে পানি উঠে যাওয়ায় সেখানে চার মোবাইল অপারেটরের ৩ হাজার ৬১৭টি সাইটের মধ্যে প্রায় দুই হাজার সাইট বিকল হয়ে পড়ে। এতে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন সে অঞ্চলের মোবাইল ব্যবহারকারীরা।
নেটওয়ার্ক পুনরায় চালু করতে সে এলাকায় বিটিআরসির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে অপারেটররা কাজ শুরু করে। তবে সাইটে জেনারেটর, জেনারেটরের তেলসহ অন্য সরঞ্জাম পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মীদের।
তারপরও জোর চেষ্টায় সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১ হাজার ১৪৬ সাইট চালু করা সম্ভব হয়েছে বলে জানায় বিটিআরসি।
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো- আইএসপি
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণাসহ সিলেট বিভাগের অন্যান্য এলাকায় চলমান বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় আইএসপি অপারেটরদের নেটওয়ার্ক অপারেশনস সেন্টার, পয়েন্ট অফ প্রেজেন্স (পিওপি) স্থাপনাগুলো প্লাবিত ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
যেসব পিএপিতে প্রবেশ করা যাচ্ছে, সেসবে পোর্টেবল জেনারেটর দিয়ে পরিষেবা দেয়া হচ্ছে। জেলাগুলোতে কিছু পিওপি-এ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুনামগঞ্জসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আইএসপি অপারেটরগুলো তাদের টিম পাঠিয়ে নেটওয়ার্ক সচল রাখার জন্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আইআইজি
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণাসহ সিলেট বিভাগের অন্য এলাকায় ১৫টি আইআইজি অপারেটরের ৪৮টি পয়েন্ট অফ প্রেজেন্স আছে, যার অধিকাংশই সচল রয়েছে। তবে বন্যাপ্লাবিত এলাকায় অবস্থিত অনেক সাইটে বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইন্টারনেট সংযোগে সাময়িক প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়।
সিলেটে কয়েকটি আইআইজি পিওপি-এ ডিজেল জেনারেটরের মাধ্যমে পরিচালনার জন্য একটি অস্থায়ী প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। জেলার কিছুসংখ্যক পিএপিতে বিদ্যুৎব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত ডিজেলচালিত জেনারেটর এবং পোর্টেবল জেনারেটর ভাড়া করা হয়েছে।
বিএসসিএল
গত শনিবার ১২টি ভিস্যাট সুনামগঞ্জে সেনাবাহিনীর কাছে পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে হাই-টেক পার্ক ক্যাম্পে একটি, সুনামগঞ্জ ডিসির কার্যালয়ে একটি এবং সার্কিট হাউসে একটি চালু করা হয়েছে।
সিলেট স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ২৩টি ভিস্যাট রোরবার পৌঁছানো হয়েছে। সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে একটি ভিস্যাট স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুটি ভিস্যাট স্থাপনের কার্যক্রম চালু রয়েছে।
আরও পড়ুন:শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক বাংলাদেশে তাদের #এডুটক বা শিক্ষাভিত্তিক অনলাইন ক্যাম্পেইন চালুর ঘোষণা দিয়েছে। ক্যাম্পেইনটি শুরু হচ্ছে দেশের অনলাইন শিক্ষাভিত্তিক শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুলের সঙ্গে। ট
#একশোতেএকশো (#EkshoTeEksho) শিরোনামে ওই ক্যাম্পেইনটিতে মাসজুড়ে দেশের জনপ্রিয় #এডুটক ক্রিয়েটররা বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে শিক্ষাভিত্তিক কনটেন্ট তৈরি ও পাবলিশ করবেন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে টিকটক জানায়, তারা এই অঞ্চলে শিক্ষার বিষয়টি আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতে এবং সবার জন্য শিক্ষামূলক কনটেন্ট তৈরি ও সহজলভ্য করতে হ্যাশট্যাগ #এডুটক উন্মোচন করছে।
এখন পর্যন্ত শত কোটি ভিউ অর্জনের পর #এডুটক এর ক্রিয়েটরদের কাছ থেকে শেখা এবং নতুন দক্ষতা অর্জনের জন্য একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। এখানে একাডেমিক কনটেন্ট কিংবা কারিগরি দক্ষতা যেমন পাবলিক স্পিকিং, বিতর্ক, লেখার দক্ষতা যেমন পেইন্টিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি এবং এডিটিংয়ের মতো দক্ষতাও শেখানোর মত কনটেন্ট থাকতে পারে।
এর বাইরেও কনটেন্ট ক্যাটেগরি যেমন- অঙ্কন, অরিগামি, রুবিকস কিউব সমাধান, সংগীত এবং আরও অনেক কিছু থাকতে পারে।
অংশগ্রহণকারীদেরকে এই চ্যালেঞ্জের জন্য কনটেন্ট তৈরীর আমন্ত্রন জানানো হবে উপস্থাপিত প্রশ্নের উত্তরের ভিত্তিতে। টিকটক ব্যবহারকারীরা #একশোতেএকশো ফলো করে প্রতিদিন শিক্ষামূলক কনটেন্ট দেখার পাশাপাশি নতুন অনেক দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।
বাংলাদেশে #একশোতেএকশো ক্যাম্পেইন প্রথম এমন কোনো ক্যাম্পেইন, যেখানে দেশের বেশ কিছু জনপ্রিয় শিক্ষামূলক কনটেন্ট নির্মাতা যেমন আয়মান সাদিক, মুনজেরিন শহিদ, এনায়েত চৌধুরী, খালিদ ফারহান এবং অন্যরা অংশ নিচ্ছেন। এই ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য সারা বাংলাদেশের তরুণদের জন্য খুব সহজেই শিক্ষামূলক কনটেন্ট পৌঁছে দেয়া।
টেন মিনিট স্কুলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক বলেন, ‘শিক্ষামূলক কনটেন্ট মজাদার এবং সবার জন্য সহজলভ্য করে টিকটক ডিজিটাল লার্নিংয়ের জন্য একটা মান দাঁড় করিয়েছে। #একশোতেএকশো ক্যাম্পেইন দিয়ে আমরা একে অপরের সঙ্গে কাজ করার একটা ভালো সুয়োগ পেয়েছি এবং আমরা বিশ্বাস করি, একসঙ্গে কাজ করে আমরা দুর্দান্ত কিছু অর্জন করতে পারব। টেন মিনিট স্কুল এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে খুব আননন্দিত, আমরা মনে করি এই কাজের জন্য টিকটক একটি অসাধারণ প্ল্যাটফর্ম।’
শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে ডিজিটালাইজড করার এই কাজে টিকটক এবং টেন মিনিট স্কুলের এই অংশীদারিত্বকে স্বাগত জানাই। টেন মিনিট স্কুলের উচ্চ মানের একাডেমিক কনটেন্ট টিকটক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সবার কাঝে সহজে পৌঁছে যাবে, ফলে দেশের লাখ লাখ তরুণ জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে।’
একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সৃজনশীল কাজকর্ম ও আনন্দ সৃষ্টিতে অনুপ্রাণিত করে টিকটক। সে সঙ্গে টিকটক ব্যবহারকারীদের সক্ষমতা অর্জনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সে জন্য তাদের ডিভাইস থেকে নতুন উদ্ভাবনী ক্যাম্পেইন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, সৃজনশীল কনটেন্ট তৈরি করতে সহায়তা করে।
বাংলাদেশে দ্রুতই বেড়ে চলেছে টিকটক ব্যবহারকারী, ফলে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এডুটেক উদ্যোগগুলো প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে তাদের ফ্যানদের সঙ্গে সংযুক্ততা বাড়াচ্ছে।
টিকটক শুধু বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে না, বরং একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়ে শিক্ষা খাতকে নতুনভাবে তুলে ধরছে, যাতে সবাই তাদের মেধা তুলে ধরছে, তাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে কাজ করছে বলেও জানায় বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন:জরুরি প্রয়োজনে এখন সিলেটের গ্রামীণফোন গ্রাহকরা ১০ মিনিট করে ফ্রি কল করতে পারবেন। গ্রামীণফোন গ্রাহকরা যেকোনো লোকাল নাম্বারে এই ফ্রি মিনিট ব্যবহার করতে পারবেন।
সোমবার গ্রামীণফোন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফ্রি মিনিট দেয়ার বিষয়টি জানিয়েছে।
গ্রামীণফোনের এই ফ্রি মিনিট ব্যবহার করা যাবে তিন দিন পর্যন্ত।
গত কয়েক দিন ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণার মানুষজন। তারা মোবাইলে রিচার্জও করতে পারছেন না। এমনকি ওই এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় মোবাইল নেটওয়ার্কও বন্ধ হয়ে যায়।
এরই মধ্যে মোবাইল অপারেটরগুলো তাদের সেবা বেশির ভাগই চালু করতে পেরেছে। বাকিটা চালুর চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এমন অবস্থায় বন্যাদুর্গত এলাকার গ্রাহকদের এই ১০ মিনিট তাদের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে সহায়তা করবে বলে জানায় দেশের বৃহত্তম অপারেটরটি।
গ্রামীণফোনের সিএমও মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, ‘জাতীয় এই দুর্যোগে মানুষের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানো আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব। কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে বন্যাদুর্গত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখতে গ্রামীণফোনের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। গ্রাহকদের জরুরি কানেক্টিভিটির প্রয়োজন মেটাতে গ্রামীণফোন সব সময় পাশে থাকবে।
‘সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসা পর্যন্ত আমরা গ্রাহকদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ সব সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় গ্রামীণফোনের কর্মীরা নিরলসভাবে নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপনের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এ জন্য প্রতিষ্ঠানটি সিলেটের বন্যার্তদের যেকোনো সহায়তায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগে টোল ফ্রি নাম্বারও দিয়েছে। নাম্বারগুলো হলো ০১৭৬৯ ১৭৭২৬৬,০১৭৬৯১৭৭২৬৭,০১৭৬৯ ১৭৭২৬৮।
আরও পড়ুন:চীনা স্মার্টফোন কোম্পানি ইনফিনিক্স নোট সিরিজের সবশেষ ও সর্বাধুনিক স্মার্টফোন ‘নোট ১২ জি৯৬’ স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে।
ভার্চুয়ালি ফোনটি শনিবার উন্মোচন করেন ইনফিনিক্সের প্রডাক্ট অ্যাম্বাসেডর তাসকিন আহমেদ, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তানজিন তিশা এবং ইনফিনিক্স বাংলাদেশের সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার ইফতেখার উদ্দিন সানি।
নোট ১২ জি৯৬ ডিভাইসটিকে বলা হচ্ছে স্পিড মাস্টার। ডিভাইসের অত্যাধুনিক ফিচারগুলো স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে বলে বলছে ব্র্যান্ডটি।
ইনফিনিক্স নোট ১২ ফোনে রয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৬ ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর, ৬.৭ ইঞ্চি এফএইচডি+ অ্যামোলেড ডিসপ্লে।
ফোনটি গ্রাহকদের দেবে নেক্সট-লেভেল গেমিং এক্সপেরিয়েন্স এবং চমৎকার গতিশীল পারফরম্যান্স।
ডিভাইসটিতে রয়েছে মেমোরি ফিউশন টেকনোলজি, ফলে ফোনের ৮ জিবি র্যামকে সহজেই সর্বোচ্চ ১৩ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যায়।
এ ছাড়া ফোনে রয়েছে ৩৩ ওয়াট ফ্ল্যাশ চার্জিং ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি। ব্যাটারির রয়েছে সর্বোচ্চ ৮০০ চার্জ সাইকেল কাউন্ট, বারাবার ব্যবহারেও ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফে অবনমন ঘটে না।
স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল ট্রিপল আল্ট্রা-নাইট ক্যামেরা সেট-আপ; এতে মৃদু আলোতেও নিখুঁতভাবে ছবি তোলা যায়। ফোনে আরও থাকছে ১০৮০ পিক্সেল এবং ৩০ এফপিএস এ ব্লারিং ফিচারে ভিডিও ধারণের সুবিধা।
আল্ট্রা-স্লিক ডিজাইনে ফোর্স ব্ল্যাক, স্নোফল হোয়াইট ও জুয়েল ব্লু এই তিন রঙে পাওয়া যাবে ২১ জুন থেকে। এ ছাড়া রোববার থেকেই দারাজে পাওয়া যাচ্ছে ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকায়।
আরও পড়ুন:ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ বা ই-ক্যাবের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে অগ্রগামী প্যানেল। ক্ষমতাসীন প্যানেলের ৯ জনের মধ্যে ৮ জনই ভোটে জয় পেয়েছেন। অন্যদিকে দ্য চেঞ্জ মেকারস প্যানেল থেকে একজন জয় পেয়েছেন।
শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির একটি কমিউনিটি সেন্টারে সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে।
নির্বাচনে তিনটি প্যানেলের ২৭ জনসহ মোট ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সংগঠনটির ৭৯৫ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৬১১ জন।
নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আমিন হেলালী রাত ৮টার দিকে ভোটের ফল ঘোষণা করেন। ফল ঘোষণার সময় নির্বাচনের বোর্ডের অন্য দুই সদস্য এ এইচ এম বজলুর রহমান ও আবদুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৪৫৩ ভোট পেয়েছেন ফুডপান্ডার সিইও সৈয়দা আম্বারীন রেজা।
এ ছাড়া কমজগৎ টেকনোলজিসের মোহাম্মাদ আবদুল ওয়াহেদ পেয়েছেন ৩৮৬ ভোট, ধানসিঁড়ি ডিজিটালের শমী কায়সার ৩৬৫ ভোট, ব্রেকবাইটের আসিফ আহনাফ ৩৩২ ভোট, পেপারফ্লাইয়ের শাহরিয়ার হাসান ৩০৮ ভোট, রেভারি করপোরেশনের নাসিমা আক্তার নিশা ৩০৭ ভোট, ডায়াবেটিস স্টোরের মোহাম্মাদ সাহাব উদ্দিন ২৮৭ ভোট, ডিজিটাল হাব সলিউশনসের মো. সাইদুর রহমান ২৭৩ ভোট এবং সেবা ডট এক্সওয়াইজেডের ইলমুল হক পেয়েছেন ২৭০ ভোট।
রোববার সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিতদের মধ্যে থেকে ই–ক্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটির পদ বণ্টন করা হবে বলে জানিয়েছেন এক বিজয়ী।
নির্বাচনে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন নজরুল ইসলাম খান। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন দেলোয়ার হোসেন খান ও হারুনুর রশিদ।
মন্তব্য