কয়েক মাসের আলোচনা শেষে গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে সংবাদ দেখানোর জন্য ফ্রান্সের প্রকাশকদের অর্থ দেয়ার বিষয়ে দুই পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদ ব্যবহারের জন্য ফ্রান্সের প্রকাশকদের অর্থ দিতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল।
ফ্রান্সের প্রকাশকদের সংগঠন এপিআইজি ও গুগল স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে বিষয়টি জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েক মাসের আলোচনা শেষে গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে সংবাদ দেখানোর জন্য ফ্রান্সের প্রকাশকদের অর্থ দেয়ার বিষয়ে দুই পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে অর্থ প্রদানের বিষয়টি নির্ধারণ করা হবে। এসব মানদণ্ডের মধ্যে রাজনৈতিক ও সাধারণ তথ্যে প্রকাশকের ভূমিকা, প্রকাশনার দৈনিক সংখ্যা ও মাসিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী উল্লেখযোগ্য।
আগামীতে নতুন কপিরাইট আইনের অধীনে ইউরোপের অন্য দেশের সংবাদ প্রকাশকদেরও গুগল অর্থ দিতে পারে বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কপিরাইট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গুগলের সঙ্গে প্রকাশকদের তর্ক-বিতর্ক চলছে। প্রকাশকদের দাবি, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সংবাদ ব্যবহারের জন্য সার্চ জায়ান্টটির উচিত অর্থ দেয়া।
গত বছর সার্চ ইঞ্জিনে সংবাদের উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যবহারের বিনিময়ে ফ্রান্সের প্রকাশকদের অর্থ দেয়ার নতুন আইন কার্যকর হয়। ওই সময় গুগল জানিয়েছিল, সার্চ ইঞ্জিনে থাকবে শুধু সংবাদের শিরোনাম।
এপ্রিলে ফ্রান্সের কম্পিটিশন অথরিটি জানায়, গুগল তার বাজার আধিপত্যের অপব্যবহার করেছে। ফরাসি প্রকাশকদের সঙ্গে গুগলকে ওই সময় আলোচনায় বসারও নির্দেশ দেয়া হয়।
এখন প্রকাশকদের সঙ্গে আলাদাভাবে লাইসেন্সবিষয়ক চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করবে গুগল। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে শীর্ষ সংবাদ প্রতিষ্ঠান লা মদঁ, লা ফিগারোসহ অন্য দৈনিক সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
সাইবার হামলায় জড়িত চীনভিত্তিক ক্যাম্পেইনটি সম্প্রতি মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্জ সফটওয়্যারে শনাক্ত হয়েছে। অত্যন্ত সুকৌশলে তারা ইমেইল চুরি করে নেয়ার পাশাপাশি কোনো উপায়ে কম্পিউটার সার্ভারে ঢুকে যায় এবং দূর থেকে সার্ভারটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
স্থানীয় সরকার, ব্যবসায়ীদের সার্ভারসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালিয়েছে চীনের একটি সাইবার হামলাকারী গ্রুপ।
একটি কম্পিউটার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের বরাতে শনিবার এ সংবাদ প্রকাশ করেছে আল জাজিরা।
সাইবার হামলায় জড়িত চীনভিত্তিক ক্যাম্পেইনটি সম্প্রতি মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্জ সফটওয়্যারে শনাক্ত হয়েছে। অত্যন্ত সুকৌশলে তারা ইমেইল চুরি করে নেয়ার পাশাপাশি কোনো উপায়ে কম্পিউটার সার্ভারে ঢুকে যায় এবং দূর থেকে সার্ভারটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার বিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিক ব্রায়ান ক্রেবস তার সাইবার সিকিউরিটি নিউজ ওয়েবসাইটে এক পোস্টে এসব তথ্য জানান।
এ বিষয়ে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেনিফার পিসাকি বলেন, ‘এটা একটি সক্রিয় হুমকি। সার্ভারগুলো ঠিক করতে এগুলোর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রত্যেককে এখনই কাজ করা দরকার। আমরা উদ্বিগ্ন যে, অনেকেই এই হামলার শিকার হয়েছে।’
দুর্বল প্রকৃতির সার্ভারগুলোর নিরাপত্তায় মাইক্রোসফট কিছু সমাধান দিয়েছে। কিন্তু এতে হ্যাকারদের হাতে তথ্যাদি বেহাত হওয়া থামেনি। বরং আরও বেড়েছে।
এর কোনো সমাধান পাওয়া গেছে কি না এ ব্যাপারে সার্ভারগুলোতে কোনো আপডেট নেই বলে বিষয়টি অবগত একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন ক্রেবস।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্ষুদ্র ব্যবসা বাণিজ্য, টাউন, সিটি ও স্থানীয় সরকারের সার্ভারসহ গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অন্তত ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠান চীনের অস্বাভাবিক আক্রমণাত্মক একটি সাইবার হামলাকারী দল কর্তৃক আক্রান্ত হয়েছে। তারা ওই সব প্রতিষ্ঠান থেকে ইমেইল চুরি করে নিয়ে যায়।’
সাইবার বিষয়ে পারদর্শী ক্রেবস জানান, চীনের এসব হ্যাকার পাসওয়ার্ড প্রটেক্টেড সফটওয়্যার টুল ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার কম্পিউটার সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
গত সপ্তাহে মাইক্রোসফট জানিয়েছিল, তাদের ইমেইল সার্ভিসে চীনের রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট একটি হ্যাকিং গ্রুপের সন্ধান পাওয়া গেছে, যাদের চেষ্টা থাকে ব্যবসায়ীদের ডাটা চুরি করা।
মাইক্রোসফট বলছে, হ্যাকিং গ্রুপটির নাম ‘হাফনিয়াম’, গ্রুপটি হ্যাকিংয়ে খুবই দক্ষ ও খুবই বুদ্ধি সম্পন্ন।
হাফনিয়াম এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান টার্গেট করে হামলা চালিয়েছিল। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল দেশটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ, কিছু ল ফার্ম, প্রতিরক্ষা সরঞ্জামাদি বিষয়ক ঠিকাদার, থিংক-ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান ও এনজিও।
ফোনটি এখন ৩ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি এবং ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি রম সংস্করণে আসছে। ফোনগুলোর দাম যথাক্রমে ৯ হাজার ৯৯০ টাকা এবং ১০ হাজার ৯৯০ টাকা।
মোবাইল ব্র্যান্ড টেকনো বাজারে এনেছে স্পার্ক সিক্স গো ফোনের নতুন সংস্করণ।
‘সুপার ব্যাটারি বিগ ভেল্যু’ স্লোগানে নিয়ে আসা ফোনটিতে রয়েছে ৫০০০ এমএএইচের ব্যাটারি। এতে পাওয়া যাবে ৪০ ঘণ্টার স্ট্যান্ডবাই।
৬ দশমিক ৫২ ইঞ্চির ডটনচ ডিসপ্লে, ডিসপ্লের রেশিও ২০:৯ এবং রেজুলেশন ৭২০*১৬০০ পিক্সেল। পেছনে রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেলের ডুয়েল ক্যামেরা। সঙ্গে থাকছে আপগ্রেডেড এআই এলগরিদম। এতে বোকেহ, এআই বিউটি, এএসডি, এইচডিআরের মতো সব ফিচার পাওয়া যাবে।
ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হক জানান, টেকনো গ্রাহকদের জন্য সব সময় সাধ্যের মধ্যে সেরা মানের ফোন বাজারে নিয়ে আসতে সচেষ্ট আছে। স্পার্ক সিক্স গো গ্রাহকদের আশা পূরণ করতে পারবে। তারা সামনে মিড রেঞ্জের ফোনের পাশাপাশি উন্নতমানের ফ্লাগশিপ ফোন নিয়ে আসতে কাজ করছেন বলেও জানান।
ফোনটি এখন ৩ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি এবং ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি রম সংস্করণে আসছে। ফোনগুলোর দাম যথাক্রমে ৯ হাজার ৯৯০ টাকা এবং ১০ হাজার ৯৯০ টাকা।
দেশে বিক্রি শুরু হয়েছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এম০২এস।
দেশের বাজারে ১২ হাজার ৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি। সঙ্গে মূল্যছাড় আর ইএমআই সুবিধাও পাবেন গ্রাহকরা।
স্বল্প বাজেটের স্মার্টফোন ক্রেতাদের জন্য নতুন ফোন এনেছে স্যামসাং। গ্যালাক্সি এম০২এস মডেলের ডিভাইসটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজে পাওয়া যাচ্ছে।
গ্যালাক্সি এম০২এস ফোনটিতে আছে ৬.৫ ইঞ্চির এইচডিপ্লাস ইনফিনিটি-ভি ডিসপ্লে। ৫০০০ এমএএইচের ব্যাটারি, ডলবি অ্যাটমস সাউন্ড সিস্টেম।
ডিভাইসটিতে দেয়া হয়েছে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ। এর প্রাইমারি সেন্সর ১৩ মেগাপিক্সেলের আর প্রতিটি ম্যাক্রো ক্যামেরা ২ মেগাপিক্সেলের। সেলফির জন্য সামনে রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।
ডিভাইসটিতে রয়েছে ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এম০২এস ফোনে আছে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৪৫০, অক্টা-কোর ১.৮ গিগাহার্টজ প্রসেসর। রয়েছে অ্যাড্রেনো ৫০৬ গ্রাফিক্স প্রসেসিং।
গ্রাহকরা দারাজ বাংলাদেশ থেকে ৫০০ টাকা ছাড়ে গ্যালাক্সি এম০২এস কিনতে পারবেন। থাকছে ১২ মাস পর্যন্ত ইএমআই সুবিধা।
স্যামসাং বাংলাদেশের হেড অব মোবাইল মূয়ীদুর রহমান বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তির, বিশেষ করে স্মার্টফোনের ব্যবহার আরও বাড়িয়ে তুলেছে। তাই, যারা ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণ করতে আগ্রহী সেসব গ্রাহকের জন্য এই দুর্দান্ত এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ডিভাইসটি আনতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’
দেশের বাজারে ১২ হাজার ৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি। সঙ্গে মূল্যছাড় আর ইএমআই সুবিধাও পাবেন গ্রাহকরা।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি বিভাগ ও মোবাইল অপারেটর রবির মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
বিডিঅ্যাপসের ওয়েবসাইটে বর্তমানে ১২ হাজারের বেশি ডেভেলপারের পাশাপাশি ২৩ হাজারের বেশি অ্যাপ রয়েছে। যার মধ্যে ২০ শতাংশই নারী ডেভেলপার। বিডিঅ্যাপসে একজন ডেভেলপার প্রতি মাসে সর্বাধিক ২ লাখ টাকা উপার্জন করছেন এবং ৩০০-এরও বেশি ডেভেলপার মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করছেন।
দেশের বৃহত্তম মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন প্ল্যাটফর্ম বিডিঅ্যাপসকে জাতীয় অ্যাপ স্টোর ষোষণা দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি বিভাগ ও মোবাইল অপারেটর রবির মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
এখন থেকে শুধু রবি নয়, যেকোনো মোবাইল ফোন অপারেটর অথবা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অ্যাপ ডেভেলপাররাও এই প্ল্যাটফর্মটিতে তাদের অ্যাপ জমা দিতে পারবে। এ ছাড়া ডেভেলপারদের আয়কর মওকুফ ও অ্যাপের ওপর ভ্যাট বিলুপ্ত নিয়ে আইসিটি ডিভিশন কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উদ্ভাবনী মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা করতে সরকারের আইসিটি বিভাগের সাথে কাজ করবে টেলিকম অপারেটর রবি।
বিডিঅ্যাপসে স্থানীয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপাররা তাদের তৈরি অ্যাপ হোস্ট করে তা বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।
পাঁচ বছরের জন্য ওই চুক্তিতে সই করেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ এবং রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমাদের সব উদ্যোগ ও প্রকল্পের মূল ফোকাস- যুবসমাজ, আইসিটি এবং কর্মসংস্থান। এই চুক্তির মাধ্যমে ডেভেলপাররা আইসিটি বিভাগের বর্তমান প্রশিক্ষণসুবিধা পাবেন, বিডিঅ্যাপসের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে আর্থিকভাবেও লাভবান হবেন। সরকার বিডিঅ্যাপসের সঙ্গে এক হয়ে দেশের গতিশীল যুবসমাজকে ডিজিটাল উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করাবে।’
বিডিঅ্যাপসের আসাধারণ অগ্রগতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘অ্যাপ ডেভেলপার হিসাবে ক্যারিয়ার নির্বাচনে সারা দেশের তরুণ ও উদ্যোক্তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হবে বিডিঅ্যাপস।’
এতে উদ্ভাবনী অনেক উদ্যোগ যুক্ত হবে বলেও প্রত্যাশার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই চুক্তির ফলে বিডিঅ্যাপস অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপারদের জন্য আইসিটি বিভাগের হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নে তরুণদের উল্লেখযোগ্য অবদান আরও বিস্তৃত হবে।’
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় জানানো হয়, প্রযুক্তি-বান্ধব তরুণ উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে ওঠার জন্য সরকারের আইসিটি বিভাগের ইনকিউবেশন লোকেশনের সঠিক ব্যবহার এবং ডিজিটাল শিক্ষার বিস্তারেও সহযোগিতা করবে রবি। যাতে করে তরুণরা আইসিটি বিভাগের সহজলভ্য ডিজিটাল অবকাঠামোর ব্যবহার করে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারে।
বিডিঅ্যাপসের ওয়েবসাইটে বর্তমানে ১২ হাজারের বেশি ডেভেলপারের পাশাপাশি ২৩ হাজারের বেশি অ্যাপ রয়েছে। যার মধ্যে ২০ শতাংশই নারী ডেভেলপার। বিডিঅ্যাপসে একজন ডেভেলপার প্রতি মাসে সর্বাধিক ২ লাখ টাকা উপার্জন করছেন এবং ৩০০-এরও বেশি ডেভেলপার মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করছেন।
গত পাঁচ বছরে বিডিঅ্যাপস এই ডিজিটাল যুগে একটি আত্মনির্ভর প্রজন্ম গড়ে তুলতে ডেভেলপারদের মধ্যে ৫৫ কোটি টাকারও বেশি অর্থ বিতরণ করেছে।
যেকোনো চ্যালেঞ্জ বা সাহায্যের জন্য ডেভেলপার্সরা যোগাযোগ করতে পারবেন এই ই-মেইলে: [email protected]।
শাওমির নতুন ফোন রেডমি ৯ পাওয়ার
চারটি কালার ভ্যারিয়েন্টে মি অথোরাইজড স্টোর, পার্টনার স্টোর ও রিটেইল চ্যানেলে ফোনটি পাওয়া যাবে দুটি সংস্করণে। ৪ জিবি ও ৬৪ জিবি স্টোরেজ সংস্করণের দাম ১৫ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম ১৮ হাজার ৯৯৯ টাকা।
দেশে নতুন ফোন ‘রেডমি ৯ পাওয়ার’ এনেছে শাওমি। বুধবার ফোনটি দেশের বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফোনটিতে বেশি সময় ব্যাটারি ব্যাকআপের জন্য রয়েছে ৬০০০ এমএএইচের ব্যাটারি। যা দুই দিন নিশ্চিন্তে ব্যাকআপ দেবে বলে দাবি শাওমির। ব্যাকআপের ফোনটি এনেছে শাওমি।
শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘রেডমি ৯ পাওয়ার এনে আমাদের গ্রাহকদের জানিয়ে দিলাম, তাদের চাহিদার সঙ্গে আর কম্প্রোমাইজ করতে হবে না। ৬০০০ এমএএইচ ব্যাটারি দিয়ে মি ফ্যানদের জন্য দীর্ঘপথ চলার সুবিধা করে দিচ্ছি। ফ্যানরা একবার চার্জ দিয়েই দীর্ঘ সময় কাটাতে পারবেন। ফুল এইচডিপ্লাস ডিসপ্লের ফোনটি হবে মি ফ্যানদের প্রথম পছন্দ।’
রেডমি ৯ পাওয়ার ফোনটিতে রয়েছে অঁরা পাওয়ার ডিজাইনের ৬.৫৩ ইঞ্চির ফুল এইচডিপ্লাস ডিসপ্লে। ডিসপ্লেটিতে আছে টিইউভি রাইনল্যান্ড লো ব্লু লাইট সার্টিফিকেশন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট রেজিট্যান্স টেক্সাচরড। সুরক্ষার জন্য কর্নিং গরিলা গ্লাস, নিরাপত্তার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং এআই ফেইস আনলক। ডুয়েল স্ট্যান্ডবাই ফোরজি সিমের সঙ্গে আছে ৩.৫ মিমি মাইক্রোফোন জ্যাক।
ফোনটিতে ৪৮ মেগাপিক্সেলের কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ দিয়েছে শাওমি। ৪৮ মেগাপিক্সেলের স্যামসাং জিএম১ সেন্সর ছাড়াও ৮ মেগাপিক্সেলের আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা এবং ২ মেগাপিক্সেলের ডেফথ সেন্সর রয়েছে ফোনটিতে। এমআইইউআই ১২ ইন্টারফেইস থাকায় ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশনে নতুন অনেক ফিচার পাওয়া যাবে। সঙ্গে ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা সেলফি ও ভিডিও কল করার ক্ষেত্রে স্পষ্ট ছবি দেবে।
৬০০০ এমএএইচ ব্যাটারি যা একবার চার্জ দিলে নিশ্চিন্তে দুই দিন ব্যবহার করা যাবে বলে দাবি করছে শাওমি। এই ব্যাটারি ফোনটিকে ফোরজি নেটওয়ার্কে টানা ৬৯৫ ঘণ্টা স্ট্যান্ডবাই রাখবে। সঙ্গে আছে ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং।
ডিভাইসটিতে আছে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৬৬২ চিপসেট। গেমিংয়ের জন্য রয়েছে অ্যাড্রেনো ৬১০ এবং ভিভিড গ্রাফিক। ৪ জিবি ও ৬ জিবি র্যামের পাশাপাশি ১২৮ জিবি পর্যন্ত ইউএফএস ২.২ স্টোরেজ আছে। ডেডিকেটেড মাইক্রোএসডি স্লটে কার্ডে স্টোরেজ বাড়ানো যাবে ৫১২ জিবি পর্যন্ত।
চারটি কালার ভ্যারিয়েন্টে মি অথোরাইজড স্টোর, পার্টনার স্টোর ও রিটেইল চ্যানেলে ফোনটি পাওয়া যাবে দুটি সংস্করণে। ৪ জিবি ও ৬৪ জিবি স্টোরেজ সংস্করণের দাম ১৫ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম ১৮ হাজার ৯৯৯ টাকা।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির যাত্রা হয়েছে।
ফ্রিল্যান্সারদের অনুপ্রেরণা দেশসেরা প্রয়াত ফাহিম উল করিমের বাবা-মায়ের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। আলোচনা পর্ব শেষে বিএফডিএসের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় একটি প্যানেল ডিসকাসন অনুষ্ঠিত হয়।
সারাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করল বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি-বিএফডিএস। সম্প্রতি যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক অডিটোরিয়ামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেলা কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে সংগঠনটির যাত্রা হলো। ধারাবাহিকভাবে কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
দেশের সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সারের পেশাগত পরিচিতি নিশ্চিতে আইডি কার্ড প্রদানের উদ্যোগ নেয় সরকার। গত বছরের ২৫ নভেম্বর ভার্চ্যুয়াল আইডি কার্ড প্রদানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সারাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের সংগঠিত করতে কাজ করছে বিএফডিএস।
এ বিষয়ে বিএফডিএসের চেয়ারম্যান ড. তানজীবা রহমান বলেন, ‘আমরা দেশব্যাপী কাজ শুরু করছি। বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি দেশের ফ্রিলান্সারদের উন্নয়নে সামনে আরও নতুন উদ্যোগ নেবে।’
যশোরে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরুর সম্মেলনে তানজিবা রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, এনডিসি। প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান। স্বাগত বক্তৃতা করেন বিএফডিএসের সিনিয়র সহসভাপতি জসিম উদ্দিন জয় ও বিএফডিএসের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির ইকবাল।
দেশে দক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তরুণ সমাজের জন্য নানা উদ্যোগ ও ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরা হয় সম্মেলনে।
এ সময় বক্তারা বলেন, যে হারে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে সেই হারে সরকারি বেসরকারি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। যে কারণে দেশের শিক্ষিত তরুণদের বড় একটি অংশ কর্মহীন থাকার ঝুঁকিতে পড়ছে। আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি আর দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিরাট ভূমিকা পালন করছে তথ্যপ্রযুক্তি খাত; যার অন্যতম ফ্রিল্যান্সিং। ফিল্যান্সার থেকে উদ্যোক্তা হয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে তরুণরা।
অনুষ্ঠান শেষে যশোর জেলা কমিটির নাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ডাক্তার তানজিবা রহমান। নবগঠিত যশোর বিএফডিএস-এর সভাপতি হয়েছেন শাহানুর শরীফ, সহসভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক তবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক বাঁধন আচারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক তাসনিমুল হাসান, কোষাধ্যক্ষ সাব্বির আহমেদ, নির্বাহী সদস্য হাসিব ইমতিয়াজ, বায়েজিদ মাহমুদ, রকিবুল ইসলাম রাকিব, মনসুর হাওলাদার ও শ্রাবণী আক্তার।
ফ্রিল্যান্সারদের অনুপ্রেরণা দেশসেরা প্রয়াত ফাহিম উল করিমের বাবা-মায়ের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। আলোচনা পর্ব শেষে বিএফডিএসের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় একটি প্যানেল ডিসকাসন অনুষ্ঠিত হয়।
সিমের বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন প্ল্যাটফর্ম ডব্লিউএসআইএস পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছে। ছবি: বিটিআরসি
২০১৯ সালেও বাংলাদেশ ডব্লিউএসআইএস পুরস্কারে একটি উইনার এবং আটটি চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে।
ডব্লিউএসআইএস পুরস্কারের জন্য মনোনিত হয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন অ্যান্ড মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম।
ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের উদ্যোগে প্রতিবছর তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি বা ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার দেয়া হয়।
২০২১ সালের সেই পুরস্কারের জন্যই মনোনিত হয়েছে বিটিআরসির উদ্যোগটি।
মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিটিআরসির উপপরিচালক (জনসংযোগ) জাকির হোসেন খান।
ডব্লিউএসআইএসের ওয়েবসাইটেও উদ্যোগটি এখন তালিকাভুক্ত হয়েছে।
গত কয়েক বছর থেকেই বাংলাদেশের বেশ কিছু উদ্যোগ ডব্লিউএসআইএস আয়োজনে পুরস্কার জিতে আসছে।
২০১৯ সালেও বাংলাদেশ ডব্লিউএসআইএস পুরস্কারে একটি উইনার এবং আটটি চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে।
ডব্লিউএসআইএস ফোরাম যৌথভাবে আয়োজন করে থাকে আইটিইউ, ইউনেস্কো, ইউএনডিপি এবং ইউএনসিটিএডি।
আইটিইউভুক্ত দেশগুলো থেকে জীবনকে সহজ করে এমন সব ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে পুরস্কৃত করে সংস্থাটি। মনোনয়নের পর ভোটাভুটির মাধ্যম সেরার পুরস্কার পায় উদ্যোগগুলো।
মন্তব্য