ই-কমার্স খাতে ২০২০ সালের শেষ দিকে আকর্ষণীয় অফার নিয়ে যাত্রা করে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ধামাকাশপিং ডটকম। নতুন বছরে ধামাকাশপিংয়ের নানা পরিকল্পনা নিয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সিরাজুল ইসলাম রানা।
সদ্য সমাপ্ত বছরে ই-কমার্স খাতে কী পরিবর্তন এসেছে?
সিরাজুল ইসলাম রানা: দেশের ই-কমার্স খাতের বড় একটা পরিবর্তনের বছর ছিল গত বছরটি। ২০২০ সালের শুরু থেকেই বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়ে। তখন ঘরবন্দি মানুষের কেনাকাটার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠতে শুরু করে ই-কমার্স। তার আগে থেকেই অবশ্য ই-কমার্সের পরিসর বাড়ছিল। কিন্তু করোনার কারণে এর প্রভাব লক্ষনীয় হয়ে ওঠে। দেশে অসংখ্য ই-কমার্স ও সামাজিক মাধ্যম কেন্দ্রীক ব্যবসা বাড়তে থাকে। বাজার বাড়লেও গ্রাহকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা বাড়েনি।
ধামাকাশপিং কী কোনো নতুনত্ব থাকছে ই-কমার্সে?
সিরাজুল ইসলাম রানা: দেশিয় ই-কমার্সে নতুন অধ্যায় চালু করার লক্ষ্য ধামাকার। আমরা ডেলিভারির ধারণাটিকে আরও দ্রুত এবং সহজ করতে কাজ করছি। যতোটা গ্রাহকবান্ধব ও দ্রুত করা যায় সেই ধারণা থেকে ধামাকা প্রাইমশপ এনেছি। সেখান থেকে ডিসকাউন্টে অর্ডার দিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই দোকান থেকে পণ্য বুঝে নিতে পারছেন গ্রাহকরা।
এ ছাড়া দোকান থেকে পণ্য সংগ্রহ করতে না চাইলে সেইম ডে হোম ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে। গ্রাহকের আশেপাশের প্রাইমশপ থেকে পাচ্ছেন প্রয়োজনীয় গ্রোসারি, এক্সেসরিজ, মোবাইল, ইলেকট্রনিকসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। স্টোর পিক-আপ অথবা হোম ডেলিভারি, যে কোনো উপায়েই পণ্য কেনার সুযোগ থাকছে ধামাকা প্রাইমশপে। হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রে নিজ এলাকায় পণ্য পাচ্ছেন একই দিনে। নিজ এলাকা বাদে অন্য এলাকায় অর্ডার করলে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা এবং এক জেলা থেকে অন্য জেলায় থাকছে ৩-৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি সুবিধা। সহজ কথায়, ধামাকা শপিংয়ে একই সঙ্গে অনলাইনে এবং অফলাইনে ডিসকাউন্টে পণ্য কেনার সুযোগ আছে।
বর্তমানে ধামাকায় কী কী ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে?
সিরাজুল ইসলাম রানা: গ্রাহকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে কাজ করছি আমরা। সে জন্য প্রাইমশপে যুক্ত করছি নতুন নতুন ব্র্যান্ড ও স্টোর। মোবাইল, ল্যাপটপ, গ্যাজেট, গ্রোসারি, লাইফস্টাইলসহ নানা ক্যাটেগরির বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যাচ্ছে রিটেইল প্রাইমশপে।
বর্তমানে আমাদের সঙ্গে ওয়ালটন, ইলেক্ট্রো, ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, এক্সেল টেলিকম, নিটল নিলয়, রানার অটোমোবাইলস, বাজাজ বাংলাদেশ, হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড, সিঙ্গার বাংলাদেশ, মিনিস্টার, ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশসহ স্যামসাং, অপো, ভিভো, শাওমির মতো স্মার্টফোন ব্র্যান্ড গত বছরেই অনবোর্ড হয়েছে। নতুন বছরে আরও নতুন প্রতিষ্ঠান অনবোর্ড হবে।
আপনাদের রিফান্ড পলিসি কী?
সিরাজুল ইসলাম রানা: সাধারণত গ্রাহক আমাদের যেই মেথডে পেমেন্ট করে আমরা সেই মেথডেই তাকে রিফান্ড করি। কেউ যদি ব্যাংকিং গেটওয়ে দিয়ে পেমেন্ট করে ও সেটি নিজস্ব ব্যাংকের গেটওয়ে হলে ৩ কর্মদিবসের মধ্যেই রিফান্ড পাবেন। যেমন, সিটি ব্যাংকের গ্রাহকরা এই সুবিধা পাচ্ছেন। তবে সিটি ব্যাংকের গেটওয়েতে অন্য ব্যাংক দিয়ে পেমেন্ট করলে সে ক্ষেত্রে ৭ কর্মদিবসের মত সময় লাগবে। এর ফলে আমাদের কোন প্রোডাক্ট স্টকের অতিরিক্ত অর্ডার পড়লে আমরা দ্রুত গ্রাহককে রিফান্ড করতে পারছি।
গ্রাহক কী সঠিক সময়ে পণ্য পাচ্ছেন?
সিরাজুল ইসলাম রানা: কোভিড-১৯ মহামারি সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের শঙ্কার মধ্যেও ধামাকার লক্ষ্য গ্রাহকের পছন্দের পণ্য সঠিক সময়ে তার হাতে পৌঁছে দেয়া। আমরা স্টক কনফার্ম করেই অর্ডার নিচ্ছি। ফলে গ্রাহকের কাছে ৭ দিনেই ডেলিভারি দেয়া সম্ভব হচ্ছে।
নতুন বছরে ধামাকার পরিকল্পনা কী?
সিরাজুল ইসলাম রানা: নতুন বছরে ধামাকা প্রাইমশপের সার্ভিস দেশব্যাপী প্রসার করার পরিকল্পনা রয়েছে। ডেলিভারি টাইমলাইন ঠিক রাখার জন্য নতুন বছরে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ৭৮০০ স্কয়ার ফিটের ওয়্যার হাউজ চালু করছে। এখানে ৩ শিফটে ২৪ ঘণ্টা লজিস্টিকস টিম কাজ করবে। অচিরেই কল সেন্টারে নতুন জনবল নেয়া হবে। ফলে ২৪ ঘণ্টা কল সেন্টার সার্ভিসে সেবা পাবে গ্রাহক। সব মিলিয়ে ধামাকা ব্যাবসায়িক গ্রোথের সঙ্গে সঙ্গে সার্বিক ইকোসিস্টেম ঠিক রাখতে কাজ করছে। আমরা ঢাকার মধ্যে নেক্সট ডে ডেলিভারি ও ঢাকার বাইরে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ডেলিভারি করতে চাই, সেটা যত রিমোট এরিয়াই হোক।
আরও পড়ুন:সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার ঠেকাতে মেটাকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মেটা’র পরিচালক (মানবাধিকার নীতি) মিরান্ডা সিসন্স প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি এই আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক হারে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চলছে এবং আমরা এর ভুক্তভোগী। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে ক্ষুণ্ন করতে কয়েকটি দেশ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’
মেটা পরিচালক সিসন্স প্রধান উপদেষ্টাকে মেটা’র মানবাধিকার নীতি ব্যাখ্যা করে বলেন, তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেউ যেন বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে সেজন্য তারা সতর্ক থাকেন।
প্রধান উপদেষ্টা মেটাকে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য প্রযুক্তিকে আরও সহজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ফেসবুকের কারণে আপনাদের সম্ভাবনা প্রচুর। তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ফেসবুক ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর স্বার্থে বাংলাদেশ সরকার ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।’
এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সচিব-২ সজীব এম খায়রুল ইসলাম, বাংলাদেশ ও নেপালে মেটার পাবলিক পলিসি প্রধান রুজান সারোয়ার, মেটার অ্যাসোসিয়েট জেনারেল কাউন্সেল নয়নতারা নারায়ণ, মেটার এশিয়া-প্যাসিফিকের মিসইনফর্মেশন প্রধান অ্যালিস বুদিশাত্রিজো এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় রাইডশেয়ারিং অ্যাপ উবার তাদের অষ্টম বার্ষিকী উদযাপন করছে।
ঢাকায় ২০১৬ সালের নভেম্বরে যাত্রা শুরুর পর থেকে উবার দেশের পরিবহন খাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ধীরে ধীরে তাদের সেবার পরিধি বৃদ্ধি করে তারা মানুষের নানাবিধ প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হয়েছে।
উবার বাংলাদেশ গত আট বছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্ল্যাটফর্মটি ৭২ লাখেরও বেশি যাত্রীকে সেবা দিয়েছে এবং সাড়ে ৩ লাখ ড্রাইভার-পার্টনারের জন্য আয়ের সুযোগ তৈরি করেছে।
উবার চালকরা গত আট বছরে ১২২ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন, যা পৃথিবী থেকে চাঁদে প্রায় ৩ হাজার বার যাতায়াত করার সমান।
দেশে ২০১৬ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে উবার ১৬ কোটি ৬ লাখ ট্রিপ সম্পন্ন করেছে। এতে বোঝা যায় দেশজুড়ে উবার ব্যবহারকারীদের একটি বিপুল ও ক্রমবর্ধমান সংখ্যা রয়েছে।
একই সঙ্গে সাড়ে তিন লাখ ড্রাইভার-পার্টনার উবার প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় করেছেন।
উবার বাংলাদেশ তাদের অষ্টম বার্ষিকী উপলক্ষে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অংশ হিসেবে ‘থ্যাংক ইউ’ ক্যাম্পেইন চালু করেছে।
গত ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনের আওতায় উবার শীর্ষ ড্রাইভার-পার্টনার, যাত্রী ও হিরো পার্টনারদের স্বীকৃতি প্রদান ও উদযাপনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে যাত্রাপথে চালক ও যাত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য অন-ট্রিপ থ্যাংক ইউ টোকেন প্রদান।
উবার টপ ড্রাইভার-পার্টনারদের জন্য দিনব্যাপী ফ্রি হেলথ ক্যাম্প আয়োজন করেছে। পাশাপাশি শীর্ষ যাত্রীদের জন্য বিশেষ লাইফস্টাইল ভাউচার প্রদান করা হয়েছে।
এই উদ্যোগগুলো কমিউনিটির প্রতি উবারের অঙ্গীকারের প্রতিফলন। এ বিশেষ স্বীকৃতি উবারের সেবায় সবসময় এগিয়ে থাকা হিরো-পার্টনারদের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস বলেন, ‘গত আট বছরে উবার বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। উবার যাত্রীদের চালকদের সাথে সংযুক্ত করে, যারা আমাদের প্ল্যাটফর্মের মেরুদণ্ড। আমরা আমাদের কমিউনিটির জন্য সেবা উন্নত করতে ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বছরজুড়ে উবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিআরটিএর মতো রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে একযোগে কাজ করেছে।
নিরাপদ সড়ক সপ্তাহের অংশ হিসেবে সড়ক নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উবার একাধিক উদ্যোগ চালু করা করেছে, যা কমিউনিটির প্রতি প্রতিষ্ঠানটির গভীর দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারে স্থাপিত সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের (সি-মি-উই-৪ বা এসএমডব্লিউ৪) চেন্নাই ও সিঙ্গাপুর প্রান্তে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এ কারণে রোববার দিবাগত রাতে প্রায় তিন ঘণ্টা ইন্টারনেট পরিষেবা বিঘ্নিত হতে পারে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১ ডিসেম্বর রোববার রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের চেন্নাই প্রান্তে চেন্নাই ল্যান্ডিং স্টেশনের কাছে এবং সিঙ্গাপুর প্রান্তে টুয়াস ল্যান্ডিং স্টেশনের কাছে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এই সময়ে এসএমডব্লিউ৪-এর মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে চেন্নাই রুটে এবং সিঙ্গাপুর রুটে যুক্ত সার্কিটগুলোর মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হবে।
গ্রাহকদের সাময়িক এ অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে বিএসসিপিএলসি কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বে প্রথমবারের মতো ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে আইন পাস করেছে অস্ট্রেলিয়া। সেনেটে পাস হওয়া এই আইন কার্যকর হলে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুরা টিকটক, ফেসবুকের মতো প্লাটফর্মগুলো ব্যাবহার করতে পারবে না।
অস্ট্রেলিয়ার হাউজে বুধবার ১০২-১৩ ভোটে পাস হওয়ার পর সেনেটে বিলটি ৩৪-১৯ ভোটে পাস হয়।
দেশটির হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভদের ভোটে পাস হওয়া এই বিলে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা মানতে ব্যর্থ হলে টিকটক, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, রেডিট এবং এক্স-এর মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোকে ৩৩ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
বিলটি সমর্থনকারী দলের মধ্যে আছেন দেশটির লিবারেল পার্টির নেতারাও। দলটির সেনেটর মারিয়া কোভাচিচ বলেছেন, ‘বিলটি সরল ও স্পষ্ট। এটি বাস্তবায়নের জন্য সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীদের শনাক্ত ও তাদের অ্যাকাউন্টগুলো নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোম্পানিগুলোর আরও অনেক আগেই এমন পদক্ষেপ নেয়া উচিত ছিল।’
তবে শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিষিদ্ধ করা হলে তা ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার ওপর প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন আইনটির সমালোচকরা। কারণ এই আইন কার্যকর করতে ব্যবহারকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে তাদের বয়স ১৬ বছরের উপরে।
বিলটির বিরোধিতা করা কয়েকজন সেনেটর বলেন, এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার জনগণকে বোকা বানাচ্ছে সরকার। নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্যই সরকারের এমন পদক্ষেপ।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে আইনটি পাস করা হলেও অনেক শিশু কল্যাণ এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শক এর পরিণতি নিয়ে চিন্তিত। কারণ এই নিষেধাজ্ঞা অনেক শিশুকে সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে পারে।
তবে প্ল্যাটফর্মগুলো কীভাবে নিষেধাজ্ঞাটি কার্যকর করবে তার নীতিমালা নিয়ে কাজ করার জন্য এক বছর সময় পাবে। এরপরই কার্যকর করা হবে জরিমানা।
তবে ভিপিএন বা অন্য কোনো মাধ্যমে শিশুরা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করা শিশুদের জন্য কোনো শাস্তির বিধানও রাখা হয়নি আইনে।
দীর্ঘদিন ধরেই স্মার্টফোনের বাজারে প্রযুক্তিগত দিক থেকে কে সেরা, তা নিয়ে চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা, যার দৌড়ে আছে তরুণদের প্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। এ প্রতিযোগিতায় তারা হাঁটছে একটু ভিন্ন পথে।
সম্প্রতি বাজারে আসা ইনফিনিক্সের হট ৫০ সিরিজ জেনজিদের মন জয় করতে স্টাইল, সৃজনশীলতা ও বিনোদনের ওপর জোর দিচ্ছে।
ইনফিনিক্স হট ৫০ সিরিজ এ প্রজন্মের পছন্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এমন সব স্মার্টফোন ডিজাইন করেছে, যাতে তারা ফ্যাশন ও প্রোডাকটিভিটির সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে পায়।
সিরিজের ফ্ল্যাগশিপ মডেল ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো প্লাস বোল্ড ডিজাইন ও হাই পারফরম্যান্সের একটি দারুণ কম্বিনেশন। এর ফেদারলাইট উইং ডিজাইন এবং বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা থ্রিডি কার্ভড স্ক্রিন এটিকে শুধু একটি ফোনের চেয়েও বেশি একটি উচ্চমানের ফ্যাশন অনুষঙ্গে পরিণত করেছে।
ড্রিমি পার্পল, টাইটানিয়াম গ্রে এবং স্লিক ব্ল্যাকের মতো আকর্ষণীয় রঙে বাজারে আসা ডিভাইসটি ক্যাজুয়াল, স্পোর্টি বা এলিগ্যান্ট, যেকোনো লুককেই পরিপূর্ণ করে তোলে,
তবে নকশার ওপর জোর দিলেও ফোনটি স্থায়িত্বের সঙ্গে আপস করেনি।
টাইটান উইং আর্কিটেকচার ফোনটিকে হালকা ও মজবুত করেছে। কর্নিং গরিলা গ্লাস দিয়ে তৈরি স্ক্রিন স্ক্র্যাচ-প্রতিরোধী ও শক-প্রুফ।
জেনজির অ্যাকটিভ ও কনটেন্ট বেইজড লাইফস্টাইলের চাহিদা পূরণের জন্য ফোনটি ডিজাইন করা হয়েছে।
ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট।
হট ৫০ প্রো প্লাস স্মার্টফোনটিতে ৫০ মেগাপিক্সেল মূল ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো লেন্স এবং ১৩ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা রয়েছে।
এআই নাইট মোড, এআই ফেস ডিটেকশন এবং এআই ভয়েস ক্যাপচারসহ এআইচালিত এসব ফিচার ছবি তোলা সহজ ও সৃজনশীল করেছে।
এআই ভয়েস ক্যাপচার ব্যবহারকারীদের কণ্ঠস্বর দিয়ে টাচ ছাড়াই ছবি তোলার সুবিধা দেয়, যা তাৎক্ষণিক মুহূর্তগুলো সহজে ধরে রাখতে সহায়তা করে।
সিরিজটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তির জন্যও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাইপাস চার্জিং ও ওভারনাইট চার্জিং প্রোটেকশনের মতো ফিচার ব্যবহারকারীদের কাছে ব্র্যান্ডটির নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি করেছে।
দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের জন্য স্মার্টফোনটিকে কার্যকর অপশনে পরিণত করে তুলেছে।
একই সঙ্গে এর টাইটান আর্মার প্রোটেকশন ও বিশ্বের প্রথম ৫ বছরের TÜV SÜD ফ্লুয়েন্সি সার্টিফিকেট নিশ্চিত করে যে এটি জেনজির সক্রিয় ও চলমান জীবনধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম।
হট ৫০ প্রো প্লাসের সাফল্য হট ৫০ সিরিজের বাকি মডেলগুলোর প্রতিও আগ্রহ বাড়িয়েছে।
ফোনগুলোর মধ্যে রয়েছে মধ্যে হট ৫০ আই, হট ৫০ ও হট ৫০ প্রো ।
বিভিন্ন দামে উন্নত ফিচার নিয়ে আসা সিরিজটি স্মার্টফোনকে জনসাধারণের কাছে সহজলভ্য করে তোলার জন্য প্রশংসিত হয়েছে।
হট ৫০ প্রো প্লাসের দাম ২৩ হাজার ৯৯৯ টাকা। অন্যদিকে হট ৫০ আই, হট ৫০ ও হট ৫০ প্রো বাজারে যথাক্রমে ১৩ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৬ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ১৮ হাজার ৯৯৯ টাকা দামে পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:তরুণদের জনপ্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স ‘হট ৫০ প্রো প্লাস’ স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাসে সবচেয়ে স্লিম স্মার্টফোন এটি।
তরুণদের চাহিদা মেটাতে ডিভাইসে টাইটানউইং আর্কিটেকচার ডিজাইন যুক্ত করা হয়েছে। এটি এমন এক ডিজাইন, যা স্লিম ও টেকসই বিষয়টিকে একত্র করেছে।
মাঝারি বাজেটের ফ্ল্যাগশিপ অভিজ্ঞতা দিতে স্মার্টফোনটি বাজারে এনেছে ইনফিনিক্স।
ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো প্লাস বিশ্বের সবচেয়ে স্লিম থ্রিডি-কার্ভড স্ক্রিন নিয়ে এসেছে যা, ফেদারলাইট উইং ডিজাইনকে আরও উন্নত করেছে।
ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট ও কর্নিং গরিলা গ্লাস, যা ফোনটিকে করে তুলেছে সুরক্ষিত, স্ক্র্যাচ প্রতিরোধী। ফলে ব্যবহারকারীরা পাবেন শক-প্রুফ অভিজ্ঞতা।
টাইটানউইং আর্কিটেকচারের মাধ্যমে ইনফিনিক্স স্লিমনেসের ক্ষেত্রে তৈরি করেছে নতুন মাত্রা। সুপার স্লিম ফোনটি তাই যথেষ্ট ভারসাম্যপূর্ণ। এটি সম্ভব হয়েছে ফোনের কাঠামোটির ফেদারলাইট উইং ডিজাইন এবং টাইটান আর্মার প্রোটেকশনকে সমন্বিত করে তৈরি করার কারণে। ফলে ডিভাইসটি ওজনে হালকা-পাতলা হলেও যথেষ্ট মজবুত।
ভেতরের উপাদানগুলো সূক্ষ্মভাবে সাজানোর ফলে বড় ব্যাটারি ও উচ্চক্ষমতার সব ফিচার যুক্ত করার পর্যাপ্ত স্থান তৈরি হয়েছে।
হট ৫০ প্রো প্লাস ফোনে রয়েছে শক্তিশালী হেলিও জি১০০ প্রসেসর, যা গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য দ্রুত ও কার্যকর পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা দিচ্ছে।
১৬ জিবি পর্যন্ত র্যাম ও ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের সাথে টিইউভি এসইউডি সার্টিফিকেশন থাকায় এটি পাঁচ বছর পর্যন্ত ল্যাগ-মুক্ত পারফরম্যান্স দেবে।
৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার শক্তিশালী ব্যাটারিসহ হট ৫০ প্রো প্লাস ফোনে রয়েছে ৩৩ ওয়াটের অ্যাডভান্সড ফাস্টচার্জ।
ব্যাটারির অবস্থা ভালো রাখার জন্য বাইপাস চার্জিং ও ওভারনাইট চার্জিং প্রোটেকশন সুবিধাও রয়েছে এতে। ব্যাটারিটি প্রায় চার বছর স্থায়ী হওয়ার মতো করে ডিজাইন করা হয়েছে, যা আধুনিক জীবনের চাহিদা পূরণে সক্ষম।
হট ৫০ প্রো প্লাস প্রতিদিনের জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম করে ডিজাইন করা হয়েছে। আইপি৫৪ রেটিং প্রাপ্ত ডিভাইসটি ধুলা এবং পানি থেকে সুরক্ষা দেয় এবং ওয়েট ও গ্রিজি টাচ প্রিসিশন ফিচারটি ভেজা বা তৈলাক্ত অবস্থাতেও নির্ভুল টাচক্রিনের সুবিধা দেবে।
স্মার্টফোনটিতে ৫০ মেগাপিক্সেল মূল ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো লেন্স এবং ১৩ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা রয়েছে। এআই নাইট মোড, এআই ফেস ডিটেকশন এবং এআই ভয়েস ক্যাপচারসহ এআইচালিত এসব ফিচার ছবি তোলা সহজ ও সৃজনশীল করেছে।
এআই ভয়েস ক্যাপচার ব্যবহারকারীদের কণ্ঠস্বর দিয়ে টাচ ছাড়াই ছবি তোলার সুবিধা দেয়, যা তাৎক্ষণিক মুহূর্তগুলো সহজে ধরে রাখতে সহায়তা করে।
হট ৫০ প্রো প্লাস স্মার্টফোনটি ইনফিনিক্সের উদ্ভাবনী ক্ষমতার সেরা নিদর্শন, যেখানে পারফরম্যান্স, টেকসই ও স্টাইল সবকিছুই একসাথে পাওয়া যায়।
টাইটানিয়াম গ্রে, ড্রিমি পার্পল এবং স্লিক ব্ল্যাক এই তিন রঙে পাওয়া যাচ্ছে ডিভাইসটি।
দেশের বাজারে অফিশিয়াল রিটেইল স্টোর, ব্র্যান্ড স্টোর ও অনলাইনে ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে ২৩ হাজার ৯৯৯ টাকায়। পাশাপাশি হট ৫০ সিরিজের অন্যান্য মডেল হট ৫০ আই, হট ৫০, এবং হট ৫০ প্রো যথাক্রমে ১৩ হাজার ৯৯৯, ১৬ হাজার ৯৯৯ এবং ১৮ হাজার ৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:তন্বী একজন কর্মজীবী মা, যিনি সীমিত আয়ের ওপর নির্ভরশীল। রাজধানীবাসী এ নারী প্রতিদিন অফিস যাতায়াতের জন্য গণপরিবহন ব্যবহার করেন, কিন্তু যখন তিনি শিশুসন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বের হন, তখন বাসে যাতাতায় করা তার জন্য খুবই অস্বস্তিকর হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে তন্বী যেখানে থাকেন সেখানে সিএনজিচালিত অটোরিকশা পাওয়া দুষ্কর। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর একটা অটোরিকশা পাওয়া গেলেও চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করেন। তাই তিনি তার সন্তানকে নিয়ে বাইরে বের হলে একটি সাশ্রয়ী ও সুবিধাজনক উপায় খুঁজেন।
অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী মহসিন থাকেন রাজধানীর কল্যাণপুরে। তাকে প্রায়ই বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তে যেতে হয়। ভিড় ঠেলে বাসে ওঠার ঝামেলা এড়াতে তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাতায়াত করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, কিন্তু প্রায়ই তিনি তার প্রয়োজনের সময় বাজেটের মধ্যে অটোরিকশা পান না। তাই একরকম বাধ্য হয়েই তিনি কখনও বাসে ওঠেন, আবার কখনও রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরবাইক ব্যবহার করেন।
একজন সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে তিনি নিরাপদ ও কম সময়ে যাতায়াতের উপায় খুঁজছেন।
রাজধানীতে তন্বী ও মহসিনের মতো বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া লোকজনের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে উবার। এ কোম্পানি ও অন্যান্য রাইডশেয়ারিং প্ল্যাটফর্মগুলো বর্তমানে তুলনামূলক কম খরচে সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাইড সেবা প্রদান করছে।
বাড়ি থেকে যেকোনো সময় রাইড বুক করা এই সার্ভিসটির সবচেয়ে সুবিধার দিক। এ ছাড়াও রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের সব ইন-অ্যাপ ফিচার ব্যবহারকারীরা উপভোগ করতে পারবেন।
রাইডশেয়ারিং সেবা সবসময় যাত্রীদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেয়। নিরাপত্তা ফিচারগুলোর ভেতর রয়েছে ২৪/৭ জিপিএস ট্র্যাকিং, লাইভ লোকেশন শেয়ারিং, চালকের নাম, ছবি, রেটিং, নিরাপত্তা টুলকিট, হটলাইন, ও বিমার মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর ফলে উবারের অটোরিকশা সার্ভিস ব্যবহারের সময় যাত্রীরা নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চিন্ত থাকেন। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভাড়ার চিন্তাও করতে হয় না।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য