× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১১ কোটি ছাড়াল

ইন্টারনেট-ব্যবহারকারী-১১-কোটি-ছাড়াল
সাত মাসের ব্যবধানে দেশে আরও এক কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছেন। গত মার্চে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছিল।   

এক মাসে নতুন করে ২৯ লাখ সক্রিয় ব্যবহারকারী যুক্ত হওয়ায় দেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটির মাইলফলক ছাড়িয়েছে।

সেপ্টেম্বরের শেষে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ১১ লাখ ৩৪ হাজারে দাঁড়িয়েছে। গত আগস্টে এই সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৮১ লাখ ৮৮ হাজার।

সোমবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সর্বশেষ সেপ্টেম্বর মাসের যে হিসাব প্রকাশ করেছে সেখানে উঠে এসেছে এই তথ্য।

হিসাব থেকে দেখা যাচ্ছে, সাত মাসের ব্যবধানে দেশে আরও এক কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছেন। গত মার্চে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছিল।

বিটিআরসির নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটির হিসাবে সেপ্টেম্বর শেষে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর যে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১০ কোটি ২৪ লাখ ৭৮ হাজার।

অন্যি দিকে এই সময়ে ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আইএসপি ও পিএসটিএন গ্রাহক।

এক মাসে আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে খুব অল্পই। তবে সর্বসাকুল্যে এই সময়ে এক লাখের মতো বেড়েছে আইএসপি গ্রাহক।

সেপ্টেম্বর শেষে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে বেশি। আগস্টে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ৯ কোটি ৯৬ লাখ ১৮ হাজার। সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ২৪ লাখ ৭৮ হাজারে।

অন্যদিকে সেপ্টেম্বর শেষে দেশে মোবাইল সংযোগের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৭১ লাখ ৯ হাজারে। আগস্টে এই সংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার।

৭ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার সংযোগ নিয়ে শীর্ষ অপারেটর গ্রামীণফোন, ৫ কোটি ১ লাখ ২৬ হাজার সংযোগে রবি দ্বিতীয় শীর্ষ অপারেটর, ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৭৮ হাজার সংযোগ নিয়ে তৃতীয় বাংলালিংক ও রাষ্ট্রায়াত্ত টেলিটকের সংযোগ ৪৬ লাখ ১২ হাজার।

সর্বশেষ ৯০ দিনের মধ্যে যেকোনো সক্রিয় সংযোগকে মোবাইল সংযোগ ও ওই একই সময়ের মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগকে সক্রিয় ব্যবহারকারী হিসাবে ধরে থাকে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

প্রযুক্তি
Walton is launching an all rounder refrigerator with one door

অলরাউন্ডার ফ্রিজ আনছে ওয়ালটন

অলরাউন্ডার ফ্রিজ আনছে ওয়ালটন ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ডিজাইনের সিঙ্গেল ডোরের অলরাউন্ডার মডেলের ফ্রিজ।
ছোট পরিবার থেকে শুরু করে ব্যাচেলর, ফার্মেসি, হাসপাতাল, হোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, দোকনে ব্যবহার উপযোগী হবে ওয়ালটনের এ মডেলের রেফ্রিজারেটরটি।

দেশের বাজারে এক দরজা-বিশিষ্ট (সিঙ্গেল ডোর) অলরাউন্ডার মডেলের রেফ্রিজারেটর (ফ্রিজ) আনতে যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।

ছোট পরিবার থেকে শুরু করে ব্যাচেলর, ফার্মেসি, হাসপাতাল, হোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, দোকনে ব্যবহার উপযোগী হবে ওয়ালটনের এ মডেলের রেফ্রিজারেটরটি বলে জানিয়েছেন ওয়ালটনের কর্মকর্তারা।

ওয়ালট কর্তৃপক্ষ জানায়, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে অত্যাধুনিক রেফ্রিজারেটর ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে তৈরি করা হচ্ছে ৫০ লিটার থেকে ২২৫ লিটার পর্যন্ত বিভিন্ন ধারণক্ষমতার সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ।

অন্যান্য মডেলের তুলনায় এই ফ্রিজের ব্যবহারযোগ্য জায়গা অনেক বেশি। এই ফ্রিজে নরমাল অংশ রয়েছে ৯০ শতাংশ এবং ডিপ অংশ ১০ শতাংশ। একই সাইজের রেগুলার ফ্রিজের তুলনায় ওয়ালটনের এই ফ্রিজ ৩০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।

ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘মাল্টিপারপাজ ইউজারের কথা বিবেচনা করে এই ফ্রিজের মডেল উদ্ভাবন করেছে ওয়ালটন। ১ থেকে ৪ জনের একটি ছোট পরিবার সাশ্রয়ী খরচে ব্যবহার করতে পারবেন এই মডেলের ফ্রিজ। পাশাপাশি ফার্মেসিতে ব্যবহারের জন্য এই ফ্রিজ খুব উপযুক্ত। ওষুধ সংরক্ষণের জন্য ফার্মেসিতে এই মডেলের ফ্রিজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজের মার্কেট শেয়ার প্রায় ৭৫ শতাংশ। এ অঞ্চলের বাজারে ব্যাপক পরিমান সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ রপ্তানি করেছে ওয়ালটন। এটিকে বলা চলে ওয়ালটনের সর্বোচ্চ রপ্তানিকৃত ফ্রিজের মডেল। আমাদের প্রত্যাশা, স্থানীয় বাজারেও ক্রেতাদের কাছে হট কেকে পরিণত হবে ওয়ালটন সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ।’

ওয়ালটন ফ্রিজের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগের প্রধান আজমল ফেরদৌস বাপ্পী বলেন, ‘সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে সিলভার ক্লিন++ প্রযুক্তি। যা ফ্রিজের খাবারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া অনুপ্রবেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ করে। এই ফ্রিজের কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হচ্ছে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব জ৬০০ধ রেফ্রিজারেন্ট ও অপটিমাইজড কুলিং সার্কিট। ফলে এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় ব্যাপক।

‘এই মডেলটি বিশেষ ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে। ফ্রিজের বডি স্ট্যান্ডে রয়েছে অনিয়ন ট্রে। এতে পেঁয়াজ, আলু সহজেই সংরক্ষণ করা যাবে। ওয়ালটন সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজের আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে এটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ইউএল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। ইউএল সার্টিফিকেট দ্বারা ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সেফটি স্ট্যান্ডার্ড নিশ্চিত করা হয়।’

তিনি আরও জানান, বাজারে বর্তমানে ওয়ালটনের রয়েছে ৪টিরও বেশি বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের ১০টির অধিক মডেলের সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ। এসব ফ্রিজের দাম পড়বে ১৪ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টিসহ এই ফ্রিজের কম্প্রেসারে ১২ বছরের গ্যারান্টি সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতারা। আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্টর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজের গ্রাহকরা দেশব্যাপী ৮৩টি সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন:
সেই জুনায়েদের আকাশে ওড়ার স্বপ্ন পূরণ
ভারতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের নতুন দুয়ার খুলল ওয়ালটন

মন্তব্য

প্রযুক্তি
AI experiments to stop the horror of fire are going on in Dhaka

আগুনের ভয়াবহতা রুখবে এআই, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে

আগুনের ভয়াবহতা রুখবে এআই, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ছবি: নিউজবাংলা
কোথাও আগুন লাগলে ধোঁয়া ও তাপের মাধ্যমে এর অবস্থান ও ধরন শনাক্ত করবে একটি বিশেষ ধরনের ডিটেক্টর। এরপর সেটি সিস্টেমে সংকেত পাঠাবে। আর সেখান থেকে অগ্নি নির্বাপনকারী সংস্থাসহ বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগার খবর পৌঁছে যাবে।

অগ্নিদুর্ঘটনার ভয়াবহতা রুখবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। নব উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তি নিয়ে ইতোমধ্যে দেশে কাজ শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজধানীর কল্যাণপুর বস্তিতে প্রযুক্তিটির ব্যবহার নিয়ে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. খলিলুর রহমান এমন তথ্য জানিয়েছেন।

এআই প্রযুক্তি নিয়ে এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘কোথাও আগুন লাগলে ধোঁয়া ও তাপের মাধ্যমে এর অবস্থান ও ধরন শনাক্ত করবে একটি বিশেষ ধরনের ডিটেক্টর। এরপর সেটি সিস্টেমে সংকেত পাঠাবে। আর সেখান থেকে অগ্নি নির্বাপনকারী সংস্থাসহ বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগার খবর পৌঁছে যাবে। এতে আগুন ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়া এড়ানো সম্ভব হবে। প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে মালামাল।

অধ্যাপক ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘একটা ম্যাপের মধ্যে সব মার্ক করা থাকবে, কোথায় হোটেল, আবাসিক ভবন, মার্কেট আছে। কোথায় কেমন রাস্তা, আগুন লাগলে কোন দিক দিয়ে দ্রুত মুভ করা যায়- সেগুলো ম্যাপ সংকেত দেবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’

তবে এ ধরণের প্রযুক্তির বাস্তবায়ন করতে বড় সার্ভারের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। কারণ বিদ্যুৎ না থাকলে ফায়ার ডিক্টেটর, সিগন্যালিং প্রসেস, সিসিটিভি, ইন্টারনেট- কোনোকিছুই কাজ করবে না।

‘কল্যাণপুর বস্তিতে এটার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। প্রাথমিকভাবে সেখানে চার ঘণ্টার ব্যাকআপ বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

আগুনের ভয়াবহতা রুখবে এআই, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে

তবে সারা দেশে বিশেষ করে ঢাকাসহ দেশের শহরগুলো অগ্নি নির্বাপনের এ প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করতে দেশের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।

বুধবার রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে দুর্যোগে সহনশীলতা বাড়াতে এবং কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস নিয়ে বেসরকারি খাতের সঙ্গে ‘টেকনোলজি ইন ডিআরএম টুওয়ার্ডস স্মার্ট বাংলাদেশ: অপর্চুনিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অব এআইবিএস সল্যুশন ইন হ্যাজার্ড অ্যানটিসিপেশন’ শীর্ষক একটি ওয়ার্কশপে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন ড. খলিলুর রহমান।

এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার বর্ণনা করতে কর্মশালায় উপস্থিত সুধীজন ও সংবাদকর্মীদের সামনে একটি এআই-ভিত্তিক মডেল প্রদর্শন করা হয়। এআই ব্যাবহার করে কীভাবে অগ্নি নির্বাপন করা যায়, সে বিষয়টি মডেলে দেখানো হয়।

বঙ্গবাজার মার্কেট ও কৃষি মার্কেটে এই প্রযুক্তি থাকলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার শুরুতেই আগুন লাগার খবর পাওয়া যেত। ফলে দ্রুত আগুন নেভানোর পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতিও কমিয়ে আনা যেত বলে মন্তব্য করেন ওয়ার্কশপে উপস্থিত বক্তারা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, ‘এআই সিস্টেমে ডিটেক্টর সিস্টেম অবশ্যই উপকারী ও প্রযুক্তিবান্ধব। ঢাকার প্রত্যেক ভবনে পানির ট্যাংক আছে। সেটার সঙ্গে যদি ফায়ার হাইড্রেন্ট সংযুক্ত করে সড়কে স্থাপন করা যায়, তাহলে অনেক বেশি কার্যকর হবে।’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে আগুন শনাক্ত করতে ব্যবহৃত উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির প্রশংসা করেন তিনি বলেন, ‘এজন্য সিটি করপোরেশনকে এগিয়ে আসতে হবে। কিন্তু বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে আমাদের সমন্বয় নেই। তবে ভালো আইডিয়াকে আমরা স্বাগতম জানাই।’

আগুনের ভয়াবহতা রুখবে এআই, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএসএসএবি) যুগ্ম মহাসচিব জাকির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এআই ডিটেক্ট সিস্টেম তাইওয়ানে চালু হয়েছে। কৃষি মার্কেটে আগুন লাগলেও তা আগে থেকে ডিটেক্ট করা সম্ভব হয়নি। কারণ সেখানে ডিটেক্টর ছিল না। এর কদিন পরই সেনা কল্যাণ ভবনে আগুন লাগল। কিন্তু সেখানে আগুন খুব দ্রুত শনাক্ত ও নির্বাপণ করা সম্ভব হয়েছে। কারণ সেখানে প্রাথমিক পর্যায়েই ডিটেক্ট করা সম্ভব হয়েছিল ডিটেক্টর ব্যবস্থার কারণে।’

এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের সুপার প্রকল্পের কনসোর্টিয়াম ম্যানেজার আ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘ঢাকা শহরের মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে কম সড়ক নেই। ঢাকার জলাশয় কমছে, মাঠ কমছে। চারটা জলাশয় ভরাট করে ভবন করা হয়েছে। পানির সোর্স কমছে।’

তিনি বলেন, ‘এআই প্রযুক্তির বড় সুবিধা হচ্ছে দ্রুত আগুন বা ধোঁয়া শনাক্ত করে জানান দেয়া। কিন্তু বঙ্গবাজারের আগুন ২-৩ ঘণ্টা ধরে মিটমিট করে জ্বলেছে। একইভাবে কৃষি মার্কেটেও আগুন লাগার অনেক পর খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আগুনের শুরুতেই যদি শনাক্ত করা যেত তাহলে এত বড় ক্ষতির মুখোমুখি হতে হতো না। এক্ষেত্রে এআই হবে খুবই কার্যকর।’

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মফিজুর রহমান।

স্ট্রেন্দেনিং আরবান পাবলিক প্রাইভেট প্রোগ্রামিং ফর আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স (সুপার) প্রকল্পটি একটি কনসোর্টিয়াম প্রকল্প। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সিভিল প্রোটেকশন অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান এইডের আর্থিক সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে একশনএইড বাংলাদেশ, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), ইউনাইটেড পারপাস এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ।

মন্তব্য

প্রযুক্তি
Comillas agriculture is changing with the touch of machines

যন্ত্রের ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে কুমিল্লার কৃষি

যন্ত্রের ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে কুমিল্লার কৃষি রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার মেশিন দিয়ে জমিতে ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত এক কৃষক। ছবি: নিউজবাংলা
কিষাণী সালমা বেগম ও মাজেদা খাতুন বলেন, ‘একপাশ দিয়া চোখের নিমেষে ধানকাটা শেষ, অন্য পাশে গরগর শব্দে বস্তায় ধান ঢুকছে। মনে হয় জাদুর মেশিন। চোক্ষের পলকে কাম শেষ অইয়া যায়।’

প্রযুক্তির ব্যবহারে কুমিল্লার কৃষিকাজে ব্যাপক পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। বীজতলা তৈরী, চারা রোপন, ধান কাটা, বস্তাবন্দি করা- সবই হচ্ছে যন্ত্রের মাধ্যমে। এতে একদিকে যেমন সময়ে মধ্যে কাজ শেষ করা যাচ্ছে, অন্যদিকে খরচ কমায় খুশি কৃষক।

সম্প্রতি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজলার প্রত্যান্ত গ্রাম নবীপুরে ঘুরে দেখা যায়, সেখান জমি মাঝারি-উঁচু। বোরো, আউশ ও আমন- তিন মৌসুমেই ধানের আবাদ হয় ওই এলাকায়। ধানের চারা রোপনের সময় কষ্ট কম হলেও মাড়াইয়ের সময় বেশ পরিশ্রম করতে হয় নারীদের। পায়ে চাপা মেশিনে বা হাতে পিটিয়ে ধান সংগ্রহ করতে হয় তাদের। এতে রাত-দিন একাকার হয়ে যায় তাদের। ধানের মরসুমে রান্না, খাওয়া-দাওয়া সঠিক সময়ে করতে পারেন না কিষান-কিষানীরা। তবুও যেন তাদের কাজ শেষ হয় না।

তবে দীর্ঘকালের এই কষ্টের যন্ত্রণা বোধ হয় এবার শেষ হলো। যন্ত্রের ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে কৃষকদের জীবন।

জমিত থাকা ধান মেশিন থেকে বস্তায় ভরে একবারে বাড়ি ফিরছেন কৃষকরা। নেই ধানকাটা, মাড়াইয়ের মতো কোনো ঝামেলা।

ওই গ্রামের কিষাণী সালমা বেগম ও মাজেদা খাতুন বলেন, ‘একপাশ দিয়া চোখের নিমেষে ধানকাটা শেষ, অন্য পাশে গরগর শব্দে বস্তায় ধান ঢুকছে। মনে হয় জাদুর মেশিন। চোক্ষের পলকে কাম শেষ অইয়া যায়।’

দীর্ঘদীন প্রবাসে ছিলেন নবীপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম। দেশে এসে নিজের জমিতে চাষাবাদ শুরু করেন। তার একটি ধান লাগানোর ট্রান্সপ্লান্টার রয়েছে। ট্রেতে চারা রোপন করেন তিনি। ট্রেতে থাকা চারা মেশিন দিয়ে লাগানোতে সময় কম লাগে। পরিশ্রম ও সময় কমে যাওয়ায় এক ফসল উঠে গেলে আরেক ফসলের জন্য জমি প্রস্তুত করার সময়ও কমেছে। এতে তিন ফসলের মাঝে সরিষার মতো অল্প সময়ে চাষ করা যায় এমন আরেকটা ফসলও করতে পারছেন তিনি।

নজরুল বলেন, ‘প্রথম দিকে যখন মেশিনে ধান লাগাতে যেতাম, অনেকে হা করে তাকিয়ে থাকতেন।’

কুমিল্লা সদর উপজলার যশপুর গ্রামের আবদুল খালেক। তার হার্ভেস্টার রয়েছ। তিনি বলেন, ‘এক একর জমির ধান কাটা, মাড়াই করতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগে। খরচ লাগে ৭ হাজার টাকা। অথচ ওই পরিমাণ জমির ধান শ্রমিক দিয়ে কাটালে একদিন সময় লাগে; খরচ লাগে ১৪ হাজার টাকা।’

যন্ত্রের ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে কুমিল্লার কৃষি

আবদুল খালেক জানান, তার পাশের এলাকা শিমপুর, পান্ডানগর, শিমড়া, বামইল ও শ্রীপুরের দুই-তৃতীয়াংশ জমির ধান মেশিনের মাধ্যম কাটা হয়। এত কৃষকের খরচ অর্ধেক কমে গেছে; কমেছে পরিশ্রম। এর মাধ্যমে অন্তত ১৫ ভাগ ধানের অপচয় রোধ করা সম্ভব হয়েছে।

কষি যান্ত্রীকিকরণ প্রকল্প সূত্র জানায়, উপকূলীয় ও হাওড় এলাকার ৭০ ভাগ ও অন্যান্য এলাকায় ৫০ ভাগ ভর্তুকিতে ১২ ক্যাটাগরির কৃষি যন্ত্র বিতরণ করছে সরকার। ইতোমধ্যে দেশে প্রায় ৩৪ হাজার যন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। কুমিল্লায় ৫৬টি হার্ভেস্টারসহ ৯৬টি কৃষি যন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রীকিকরণ প্রকল্পের পরিচালক তারিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘কুমিল্লায় দীর্ঘদিন কাজ করছি। এখানকার কৃষক এখন আধুনিক। জেলায় দিন দিন কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে।’

তিনি জানান, তিন বছর আগে দেশে মেশিনে ৪ ভাগ ধান কাটা হলেও বর্তমান তা ১৭ ভাগে উন্নীত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ জমি যন্ত্রের মাধ্যমে চাষাবাদের আওতায় আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মন্তব্য

প্রযুক্তি
Russian and American astronauts arrived together at the International Space Station

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রুশ ও আমেরিকার নভোচারী

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রুশ ও আমেরিকার নভোচারী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছেছেন দুই রুশ ও এক আমেরিকান নভোচারী। ছবি: রয়টার্স
রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের তথ্য অনুযায়ী, মহাকাশযানটি তিন ঘণ্টা পর শুক্রবার আইএসএসে পৌঁছায়। সেখানে তারা তিন রাশিয়ান, দুই আমেরিকান, এক জাপানি নভোচারী ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার এক প্রতিনিধির সাঙ্গে যোগ দেন।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছেছেন দুই রুশ ও এক আমেরিকান নভোচারী।

রুশ-আমেরিকা সম্পর্কে টানাপোড়েনের মধ্যেই উভয় দেশের নভোচারীরা যৌথভাবে মহাকাশ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।

রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রোসকসমস মহাকাশচারী ওলেগ কোনোনেনকো ও নিকোলাই চুবসহ নাসার নভোচারী লোরাল ও’হারা কাজাখস্তানের বাইনোকুর কসমোড্রোম থেকে সয়ুজ এমএস-২৪ মহাকাশযানে ওঠেন।

মহাকাশযানটি তিন ঘণ্টা পর আইএসএসে পৌঁছায়। সেখানে তিন রাশিয়ান, দুই আমেরিকান, এক জাপানী নভোচারী ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার এক প্রতিনিধির সাঙ্গে যোগ দেন।

রাশিয়ার প্রায় ৫০ বছর পর চালানো চন্দ্রাভিযান গত মাসে ব্যর্থ হওয়ার পর মহাকাশ স্টেশনে গেল নভোচারীরা।

আইএসএস আমেরিকা ও রাশিয়ার সহযোগিতার একটি ব্যতিক্রমী ভেন্যু। রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়।

নভোচারীরা এমএস-২৩ মহাকাশযানে করে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন বলে জানায় রসকসমস। সূত্র: বাসস

আরও পড়ুন:
৯৩ বছর বয়সে বিয়ে করলেন চাঁদে পা দেয়া দ্বিতীয় মানব
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ছাড়ছে রাশিয়া

মন্তব্য

প্রযুক্তি
Walton released the NexG series of new model smartphones in the market

ওয়ালটন বাজারে ছেড়েছে নেক্সজি সিরিজের নতুন মডেলের স্মার্টফোন

ওয়ালটন বাজারে ছেড়েছে নেক্সজি সিরিজের নতুন মডেলের স্মার্টফোন
দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনের ৫২ ইউএইচডি মেগাপিক্সেলের ডুয়াল এআই রিয়ার ক্যামেরার ফোনটিতে রয়েছে ৯ জিবি র‌্যাপিড মেমোরি, এইচডি প্লাস রেজ্যুলেশনের বিশাল ডিসপ্লে, পর্যাপ্ত স্টোরেজ ও শক্তিশালী ব্যাটারিসহ অসংখ্য অত্যাধুনিক ফিচার।

দেশের স্মার্টফোন বাজারে নতুন আরেকটি চমক নিয়ে এলো শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন। আগামী প্রজন্মের জন্য ‘নেক্সজি’ সিরিজের নতুন স্মার্টফোন বাজারে ছাড়লো ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মোবাইল বিভাগ। সাশ্রয়ী মূল্যের ফোনটির মডেল ‘নেক্সজি এন৭১’।

দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনের ৫২ ইউএইচডি মেগাপিক্সেলের ডুয়াল এআই রিয়ার ক্যামেরার ফোনটিতে রয়েছে ৯ জিবি র‌্যাপিড মেমোরি, এইচডি প্লাস রেজ্যুলেশনের বিশাল ডিসপ্লে, পর্যাপ্ত স্টোরেজ ও শক্তিশালী ব্যাটারিসহ অসংখ্য অত্যাধুনিক ফিচার।

ওয়ালটন মোবাইলের ক্রিয়েটিভ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ইনচার্জ হাবিবুর রহমান তুহিন জানান, ক্যামো গ্রিন, স্যাফায়ার ব্লু ও অনিক্স ব্ল্যাক এই তিনটি আকর্ষণীয় রঙে ফোনটি বাজারে এসেছে। ভ্যাট ছাড়া ‘নেক্সজি এন৭১’ মডেলের ফোনটির দাম পড়বে ১১ হাজার ৪৯৯ টাকা। দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা, মোবাইলের ব্র্যান্ড ও রিটেইল আউটলেটের পাশাপাশি ঘরে বসেই ই-কমার্স ওয়েবসাইট ওয়ালটন ই-প্লাজা (https://eplaza.waltonbd.com) এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক (https://waltondigitech.com) থেকে ফোনটি কেনা যাচ্ছে।

ওয়ালটন মোবাইল ব্র্যান্ডিং বিভাগের ইনচার্জ মাহবুব-উল হাসান মিলটন জানান, অ্যান্ড্রয়েড ১৩ অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত এই ফোনে র‌্যাপিড মেমোরি টেকনোলজি ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে ব্যবহারকারী এতে ৯ জিবি পর্যন্ত র‌্যাম পাবেন। গ্রাফিক্স হিসেবে আছে মালি-জি৫৭ এমপি১। যার ফলে এই ফোনের কার্যক্ষমতা ও গতি হবে অনেক বেশি। বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, থ্রিডি গেমিং, দ্রুত ভিডিও লোড ও ল্যাগ-ফ্রি ভিডিও স্ট্রিমিং সুবিধা মিলবে।

ফোনটিতে ১.৬ গিগাহার্টস গতির এআরএম কর্টেক্স-এ৭৫ অক্টাকোর প্রসেসর ব্যবহৃত হয়েছে। এই ফোনটিতে আরো দেয়া হয়েছে থ্রি-ইন-ওয়ান সিম কার্ড স্লট। মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে ২৫৬ গিগাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ পাওয়া যাবে।

নতুন এই স্মার্টফোনে দেয়া হয়েছে ৬.৬ ইঞ্চির এইচডি প্লাস ভি-নচ ডিসপ্লে। যার টাচ স্যাম্পলিং রেট ১৮০ হার্জ এবং রিফ্রেশ রেট ৯০ হার্জ। ফলে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার এবং ভিডিও দেখা, গেম খেলা, বই পড়া বা ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে মোবাইল স্পর্শের অনন্য অভিজ্ঞতা পাবেন গ্রাহক।

ফোনটির পেছনে রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশ, অটোফোকাস এবং পিডিএএফসহ এআই ইউএইচডি ডুয়াল ক্যামেরা। যার প্রধান সেন্সরটি ৫২ মেগাপিক্সেলের। এর পাশাপাশি আকর্ষণীয় সেলফির জন্য সামনে রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। দুর্দান্ত পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য ডিভাইসটিতে রয়েছে ৫০৫০ এমএএইচ হাই-ক্যাপাসিটি লি-পলিমার ব্যাটারি। ফোনটির অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ফেস আনলক, মাল্টি-ফাংশনাল সাইড মাউন্টেড ফিংগারপ্রিন্ট সেন্সর, স্মার্ট কন্ট্রোল, স্ক্রিন রেকর্ড, লং স্ক্রিনশট, ডার্ক মোড, জেসচার নেভিগেশন, গুগুল অ্যাসিস্ট্যান্টসহ ডুয়াল ফোরজি সিম ইত্যাদি।

গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের নিজস্ব কারখানায় তৈরি এই স্মার্টফোনে ৩০ দিনের বিশেষ রিপ্লেসমেন্ট সুবিধাসহ এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক।

আরও পড়ুন:
ওয়ালটন প্লাজা উৎসবে পুরস্কৃত ১৪৪ প্লাজা ও ম্যানেজার
স্নাতক পাশে শো-রুম ম্যানেজার নেবে ওয়ালটন
ক্ষতিগ্রস্ত কিস্তি ক্রেতার পরিবারের পাশে ওয়ালটন প্লাজা

মন্তব্য

প্রযুক্তি
Inauguration of construction work of Sheikh Hasina Institute of Frontier Technology

শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির নির্মাণকাজ উদ্বোধন

শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির নির্মাণকাজ উদ্বোধন মাদারীপুরের শিবচরে শনিবার ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’ তথা শিফটের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়।ছবি: নিউজবাংলা
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘এখানে ৭০ একর জমির ২০ একর জমিতে গড়ে তোলা হবে ভিশন ২০৪১ নামক ৪১ তলা বিশিষ্ট টাওয়ার। বাকিটায় গড়ে উঠবে শিক্ষাক্রম, গবেষণার জন্য ইনস্টিটিউট। থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সিনেপ্লেক্সসহ নান্দনিক অত্যাধুনিক সব সুবিধা।’

মাদারীপুরের শিবচরে ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’ তথা শিফটের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক শনিবার সকালে নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।

তরুণ প্রজন্মের জন্য শিফট নির্মাণ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির শিক্ষাক্রম ও গবেষণায় ভূমিকা রাখবে বলে দাবি করেন অতিথিরা।

ওই সময় তারা দুর্নীতি রোধে শিফট স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিপ্রস্তদের মধ্যে চেক বিতরণ করেন।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রযুক্তির বিকেএসপি হিসেবে পদ্মা সেতুর পাশে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি গড়ে তুলবে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।’

তিনি আরও বলেন, ‘‘‘লার্নিং বাই ডুইং’ বা ‘এক্সপেরিয়েনশিয়াল লার্নিং’ শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে লার্নিং কমিউনিটিভিত্তিক ইনোভেশন কালচার চর্চার পাশাপাশি দেশের প্রথম জিরো ওয়েস্ট ও এনভায়রনমেন্টালি সাস্টেইনেবল ক্যাম্পাস হিসেবে শিফটকে প্রতিষ্ঠা করা হবে।

‘‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় এখান থেকেই বিশ্ববরেণ্য প্রযুক্তিবিদ তৈরি হবে বলে আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের। ৭০ একর জমির ২০ একর জমিতে গড়ে তোলা হবে ভিশন ২০৪১ নামক ৪১ তলা বিশিষ্ট টাওয়ার। বাকিটায় গড়ে উঠবে শিক্ষাক্রম, গবেষণার জন্য ইনস্টিটিউট; থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সিনেপ্লেক্সসহ নান্দনিক অত্যাধুনিক সব সুবিধা।’

২০২৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্পটির কাজ।

শিফটে কী কী বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে জানতে চাইলে পলক বলেন, ‘এখানে যে বিষয়গুলো থাকবে, তার মধ্যে বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি, নিউরোটেকনোলজি, সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অফ রোবোটিক্স থিংস, ব্লক চেইন, ডেটা সায়েন্স, হাইপার অটোমেশন, টেকনোলজিক্যাল এথিক্স, বিহেভিয়ার এন্ড এক্সপেরিয়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনোভেশন ও অন্ট্রাপ্রেনরশিপ অন্যতম।’

শিফটে ছয় তলা গবেষণা ভবন, চার তলা অ্যাকাডেমিক ভবন, তিন তলা প্রশাসনিক ভবন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ডরমিটরি, ছয়টি বিশেষায়িত ল্যাব শিফটের আওতায় থাকবে নির্মাণাধীন প্রধান অবকাঠামো।

শিফটের পরিকল্পনা করা হয়েছে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিভিত্তিক বিশ্বের অ্যাকাডেমিক রোল মডেল হিসেবে।

আরও পড়ুন:
দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র উদ্বোধন
মেট্রোরেল: আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা
‘মেধাবীর সুপারনোভা’ ও ‘কিডস ব্রেইন বিল্ডার’ অ্যাপ উদ্বোধন
প্রধানমন্ত্রী সব সম্প্রদায়ের উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ: খাদ্যমন্ত্রী
‘বুড়িগঙ্গা রিভারভিউ রুফটপ’ রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন

মন্তব্য

প্রযুক্তি
Infinixs Charge Up Bangladesh Concert to Motivate Tigers

টাইগারদের অনুপ্রাণিত করতে ইনফিনিক্সের ‘চার্জ-আপ বাংলাদেশ’ কনসার্ট

টাইগারদের অনুপ্রাণিত করতে ইনফিনিক্সের ‘চার্জ-আপ বাংলাদেশ’ কনসার্ট কনসার্টে পরিবেশনা থাকবে জনপ্রিয় ব্যান্ড ম্যানবটস, দ্য লং রোড, মরুভূমি ও শিরোনামহীনের। ছবি: সংগৃহীত
আগামী শুক্রবার ঢাকার কেআইবি কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে এ কনসার্ট। বিকেল ৩টায় ভেন্যুর প্রবেশদ্বার খুলে দেয়া হবে।

এশিয়া কাপে লড়ছে বাংলাদেশ দল। তাদের অনুপ্রাণিত করতে ভক্তদের নিয়ে ‘চার্জ-আপ বাংলাদেশ’ কনসার্টের আয়োজন করতে যাচ্ছে তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স।

আগামী শুক্রবার ঢাকার কেআইবি কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে এ কনসার্ট। বিকেল ৩টায় ভেন্যুর প্রবেশদ্বার খুলে দেয়া হবে।

কনসার্টে পরিবেশনা থাকবে জনপ্রিয় ব্যান্ড ম্যানবটস, দ্য লং রোড, মরুভূমি ও শিরোনামহীনের। ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজ আয়োজিত এই অনুষ্ঠান উপভোগ করার পাশাপাশি তাসকিন ও বাংলাদেশ দলকে উৎসাহ জোগাবে ফ্যানরা।

নোট ৩০ সিরিজ বাজারে আসা উপলক্ষে ভক্তদের জন্য ইতোমধ্যে বেশ কিছু আয়োজন করেছে ইনফিনিক্স। এই কনসার্টও সেই উদ্যোগের অংশ। আগামী ৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার ছয়টি ইনফিনিক্স আউটলেট এবং অনলাইনে getsetrock.com ওয়েবসাইটে কনসার্টের টিকিট পাওয়া যাবে। নোট ৩০ সিরিজের ক্রেতারা বিনা মূল্যে পাবেন একটি ভিআইপি প্রিমিয়াম পাস। এ ছাড়া ফ্যানদের জন্যও এই বিশেষ পাসটি জেতার সুযোগ থাকছে। সে জন্য তাদের একটি শেয়ারিং কনটেস্টে অংশ নিতে হবে।

#ChargeUpBangladesh হ্যাশট্যাগের সঙ্গে নিজেদের ফেসবুক পেজে ইভেন্টটি শেয়ার করা ভক্তদের মধ্য থেকে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হবে। প্রতিযোগিতার ফল প্রকাশ করা হবে ৭ সেপ্টেম্বর।

অনুষ্ঠানের অন্যান্য স্পন্সরদের মধ্যে আছে এইচজি, ভিশন, টেকল্যান্ড, এনইও, এএএনটি, কেএসএমএল, ব্রুভানা ও পোলার।

অল-রাউন্ড ফাস্ট চার্জিং সুবিধাযুক্ত ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজ বাজারে আসে জুলাইয়ে। এই সিরিজে আছে দুটি মডেল—নোট ৩০ ও নোট ৩০ প্রো। সেই মাসেই ফ্যানদের জন্য বসুন্ধরা সিটির টগি ওয়ার্ল্ডে ‘ফাস্ট চার্জ, ফাস্ট ফান’ ও স্টার সিনেপ্লেক্সে ফ্যান ইভেন্টসহ বেশকিছু আয়োজন করে ইনফিনিক্স। সাশ্রয়ী মূল্যে অসাধারণ সব ফিচার ও নোট ৩০ প্রোর ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির কারণে সিরিজটি তরুণদের কাছে অল্প সময়ে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

বাংলাদেশে নোট ৩০ প্রো স্মার্টফোনের দাম ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকা। এর সঙ্গে ক্রেতারা বিনা মূল্যে পাচ্ছেন ২ হাজার টাকা সমমূল্যের একটি ওয়্যারলেস চার্জার। নোট ৩০-এর ৮ জিবি+১২৮ জিবি এবং ৮ জিবি+ ২৫৬ জিবির দুটি ভার্সন যথাক্রমে ১৮ হাজার ৯৯৯ এবং ২৩ হাজার ৯৯৯ টাকায় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে ইনফিনিক্স স্মার্টফোন
দেশে ইনফিনিক্সের নতুন স্পিড মাস্টার নোট ১২

মন্তব্য

p
উপরে