বেক্সিমকো লিমিটেডের ছাড়া সুকুক বন্ড কেনায় কোম্পানিটির শেয়ারধারীরা আগ্রহ না দেখালেও এই কোম্পানি তো বটেই গ্রুপের চারটি কোম্পানির শেয়ারেই তুমুল আগ্রহ দেখাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
গ্রুপের চারটি কোম্পানির তিনটির শেয়ার নিজ নিজ খাতের অন্য যে কোম্পানির চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া দুটি কোম্পানি এই গ্রুপের। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে তিনটি এই গ্রুপের।
বেক্সিমকো লিমিটেড দেশে প্রথমবারের মতো ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক বন্ড সুকুক ছেড়ে তিন হাজার কোটি টাকা তুলতে চায়। এতে আকর্ষণীয় যে শর্ত রাখা হয়েছে, তাতে বিনিয়োগকারীদের বেশ লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে।
সুকুকের বন্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে বেক্সিমকো প্রথমে অগ্রাধিকার দিয়েছে শেয়ারধারীদের। তবে তারা আগ্রহ দেখায়নি।
প্রাথমিক গণ আবেদনের সময় শেষ হয়েছে ২৩ আগস্ট। শেয়ারধারীদের কাছ থেকে ৭৫০ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্য ঠিক করা হলেও ৭১ জন বিনিয়োগকারী ৫৫ কোটি ৬১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার আবেদন করেছে।
তবে এই আবেদনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিন বেক্সিমকো গ্রুপের শেয়ারে তুমুল আগ্রহের বিষয়টি আবার দেখা গেছে।
গত কয়েক মাস ধরে নিয়মিত লেনদেনের শীর্ষে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার।
এই কোম্পানিটি বিবিধ খাতে লেনদেন হয়।
এই খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। এই কোম্পানিটির শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৮ কোটি ১৯ লাখ টাকার।
সব কোম্পানির মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার। এই কোম্পানিটির ৯৫ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় এই কোম্পানিটি। এই খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়া ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানা থাকা আরেক কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ১৭ লাখ টাকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
গ্রুপের আরেক কোম্পানি শাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ২৬ লাখ টাকার। অবশ্য সিরামিক খাতের আরেক কোম্পানির শেয়ার এরচেয়ে বেশি হাতবদল হয়েছে। এই গ্রুপে সবচেয়ে বেশি হাতবদল হয়েছে ফুওয়াং সিরামিকের শেয়ার। ১৩ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার কিনেছেন বিনিয়োগকারীরা।
সব মিলিয়ে চারটি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ৩৩৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকার।
সব মিলিয়ে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৬২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অর্থাৎ মোট লেনদেনের ১২.১৪ শতাংশ হয়েছে কেবল এই গ্রুপটিতে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুকুক নিয়ে হতাশার কিছু নেই। বিশেষ করে বাংলাদেশ এটি একেবারেই নতুন একটি প্রোডাক্ট হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা সেটি খুব ভালো ভাবে আয়ত্বে নিতে পারেনি।
‘এছাড়া যখন বলা হয় এটি কোনো কোম্পানির আইপিও বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব, তখন কিন্তু বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কোনো সন্দেহ থাকে না। কিন্ত যখন বলা হচ্ছে এটি একটি বন্ড, তখন কিন্ত কেউ আগ্রহী হচ্ছে না। ফলে এই ধরনের প্রোডাক্ট বাজারে নতুন হওয়ায় এমনটি হয়েছে।’
সুকুককে এ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভালো একটি প্রোডাক্ট উল্লেখ করে দেবব্রত বলেন, ‘এটি পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে। ফলে দাম যখন বাড়বে এবং এটি থেকে যখন বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেতে শুরু করবে তখনই সুকুক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তালিকায় চলে আসবে।’
বেক্সিমকোর গ্রিন সুকুকের মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা উত্তলন করবে। এরমধ্যে ৭৫০ কোটি টাকা আইপিও মাধ্যমে।
বাকি ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকার প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে বিদ্যমান শেয়ারধারীদের কাছ থেকে ৭৫০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের থেকে ১৫০০ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা ছিল বেক্সিমকো লিমিটেডের। তবে বিদ্যমান শেয়ারধারীরা আগ্রহ না দেখানোয় এখন প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা তুলতে হবে তাদের।
লেনদেনের কী হাল
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার লেনদেনে শুরুতেই ছিল সূচকের উঠা নামা। লেনদেন শুরুর ৪৩ মিনিটে আগের দিনের চেয়ে খানিকটা কমে দিনের সর্বনিম্ন ৬ হাজর ৮৫৮ পয়েন্টে নেমে আসে। সেখান থেকে আবার উত্থান ঘটে।
বেলা ১টার পরপরই সূচক পৌছে ৬ হাজার ৯০৪ পয়েন্টে। যদিও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা টিকেনি। আবার নেমে আছে ৬ হাজার ৮শ পয়েন্টের ঘরে, যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এ ঘরেই থেকেছে সূচক।
শেষ পর্যন্ত আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয়েছে লেনদেন।
এদিন প্রধান খাতগুলোর মধ্যে চমক দেখিয়েছে আগের দিন পতন হওয়া আর্থিক খাত। বস্ত্র, বিমা, প্রকৌশল খাতের শেয়ারেও দেখা গেছে চাঙাভাব। অন্যগুলোর মধ্যে মিশ্র প্রবণতা ছিল খাদ্য, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, ওষুধ ও রসায়ন খাতে।
রোববার ব্যাপক চাঙা থাকা ব্যাংক খাত সোমবারও আগ্রহ ধরে রাখতে পারলেও আজ আর পারেনি। অল্প কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়লেও কমেছে বেশিরভাগের।
খাতভিত্তিক উঠানামার ভিড়েও লেনদেনের চাঙাভাবে এটা স্পষ্ট যে, বিনিয়োগকারীরা বাজার নিয়ে ভীষণ আশাবাদী হয়ে উঠেছে। টানা তৃতীয় কর্মদিবসে লেনদেন ২ হাজার ৭শ কোটির ঘর অতিক্রম করল।
এ নিয়ে টাকা ১৪ কর্মদিবস লেনদেন দুই হাজার কোটির ঘর অতিক্রম করল। এর মধ্যে ৯ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি।
সবচেয়ে বেশি চাঙা আর্থিক খাত, ব্যাংকে আবার হতাশা
সোমবার সবচেয়ে বেশি দরপতন হওয়া ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতেই দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। কমেছে দুটি, অপরিবর্তিত ছিল একটি। বেড়েছে বাকি সবগুলোর।
সবচেয়ে বেশি দাম বাড়ার তালিকায় এই খাতের দুটি কোম্পানি ছিল শীর্ষে। ১০ শতাংশ দাম বেড়েছে ইউনাইটেড ফিনান্সের আর প্রায় সম পরিমাণ বেড়েছে আইপিডিসির দর।
এ ছাড়া ফার্স্ট ফিনান্সের দর ৫.৮১ শতাংশ, প্রাইম ফিনান্সের দর ৫.৫১ শতাংশ আর ফিনিক্স ফিনান্সের ৪.৯১ শতাংশ, বিআইএফসির দর বেড়েছে ৪.৬৫ শতাংশ।
শেয়ারদরে লাফের দিন লেনদেনও বেড়েছে ব্যাপকভাবে। হাতবদল হয়েছে ২৫৯ কোটি ৮ লাখ টাকা, আগের দিন যা ছিল ১৫৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
আর্থিক খাতে উত্থানের দিন সবচেয়ে বড় বাজার মূলধনের ব্যাংক খাত ছিল অনেকটাই মন্দাভাবে। রোববার প্রায় সব কটি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির পর দিনও প্রায় দুই তৃতীয়াংশ কোম্পানির দর বৃদ্ধি এই খাতটি সাম্প্রতিক প্রবণতার বিপরীতে এগিয়ে যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা ছিল।
ব্যাংক খাতে গত কয়েকমাসে দেখা গেছে, কোনো একদিন দল বেঁধে বাড়ে সব কোম্পানির শেয়ারদর। কিন্তু পরের দিনেই কমে যায়। এবার রোব ও সোমবারের চিত্র এই খাদের শেয়ারধারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করলেও মঙ্গলবার আবার হতাশ হতে হয়েছে তাদের।
ব্যাংক খাতের ৩২ কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র আটটির। পাল্টায়নি তিনটির। বাকি ২১টি দরই কমেছে।
যেগুলোর শেয়ারদর বেড়েছে, তার মধ্যে শীর্ষে নতুন তালিকাভুক্ত সাউথ বাংলা ব্যাংকের। টানা ৯ কর্মদিবস দিনের সর্বোচ্চ দামে লেনদেন হলো ব্যাংকটির শেয়ার। এর মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে শেয়ারদরের দিক থেকে ১২ নম্বরে উঠে এল এই ব্যাংকটি।
১০ টাকায় লেনদেন শুরু করা ব্যাংকটির শেয়ারের মূল্য এখন দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৩০ পয়সা। নিয়মিত ১৫ বা ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে, এমন ব্যাংকগুলোর চেয়েও এর দাম এখন বেশি।
এদিন ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের; ২.৮৫ শতাংশ। শেয়ার দর ৭ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৬ টাকা ৮০ পয়সা।
ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২.১৯ শতাংশ। শেয়ার দর ৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৮ টাকা ৯০ পয়সা।
এক্সিম ব্যাংকের দর ১.৪৮ শতাংশ, ওয়ান এবং মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের দর কমেছে ১.৪০ শতাংশ হারে।
লেনদেনে সেবা বস্ত্র, আগ্রহ ধরে রাখল বিমা
বস্ত্র খাতের শেয়ারের দর আগের দিনের মতো অব্যাহত আছে। এই খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার। আগের দিন লেনদেন ছির ৩৬২ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
দর কমেছে ১৩টির, দর পাল্টায়নি তিনটির। বাকি ৪২টির কোম্পানির শেয়ারের দামই দাম বেড়েছে।
দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায় উঠে আছে বস্ত্র খাতের বেশ কিছু কোম্পানি। এর মধ্যে আছে মেট্টো স্পিনিং মিলস, যার শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ।
মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস আর রিজেন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৬৩ শতাংশ।
বন্ধ থাকা মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেডের শেয়ার দর আরও বেড়েছে ৭.৮৮ শতাংশ। লোকসানি ম্যাকসন স্পিনিং লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৪৭ শতাংশ। এইচ আর টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৩০ শতাংশ।
টানা দুই মাসের দর সয়শোধন শেষে এই খাত যে আবার উত্থান পর্ব শুরু করেছে, তার আরেকটি ইঙ্গিত দেখা গেল আজ। তিন দিন টানা বাড়ার পর একদিন কমার পর আবার পরপর দুই দিন দর বৃদ্ধিতে আশাবাদী হয়ে উঠেছে এই খাতের শেয়ারধারীরা।
এই খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৫টির, কমেছে ১৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল একটির দর।
দাম বৃদ্ধির দিনও লেনদেনে অবশ্য গতি নেই। এটা স্পষ্ট যে, এই খাতের শেয়ারধারীরা দাম আরও বাড়তে পারে ভেবে বিক্রি করতে চাইছেন না। আগের দিন লেনদেন যেখানে ছিল ৪০৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, সেখানে আজ হাতবদল হয়েছে ২৬৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
দর বৃদ্ধির দিক দিয়ে বিমা খাতের এগিয়ে ছিল জনতা ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৯৮ শতাংশ। তারপরই ছিল স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সে, যার দর বেড়েছে ৭.৫৯ শতাংশ। পদ্মা লাইফের দর বেড়েছে ৭.২১ শতাংশ।
অন্যান্য খাতের কী চিত্র
অন্যান্য খাতগুলোর মধ্যে লেনদেনে খুব একটা গতি না থাকলেও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিষয়টি উল্লেখ না করলেই নয়। বেশ ভালো লভ্যাংশ আসার পরও গত কয়েকদিন ধরে এই খাতের ফান্ডগুলো অল্প অল্প করে যে দর হারাচ্ছিল, তার অবসান হয়েছে।
৩৬টি ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ২০টির, কমেছে ২টির আর অপরিবর্তিত ছিল বাকি ১৪টির দর। বুধবার লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা ইবিএলে ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি ৫.৬৮ শতাংশ।
এ ছাড়া লভ্যাংশ ঘোষণা করা আইসিবি সেকেন্ড এনআরবির দর ৪০ পয়সা ও লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে ৩০ পয়সা। বাকি সবগুলোর দর বেড়েছে ১০ থেকে ২০ পয়সা করে।
লেনদেনও খানিকটা বেড়েছে। হাতবদল হয়েছে মোট ৬২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছে ৪৬ কোটি ২০ লাখ টাকা।
প্রধান অন্য খাতগুলোর মধ্যে প্রকৌশল খাত এ দিন ছিল চাঙা। ৪২টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ২৬টির দর, কমেছে ১৪টির। অপরিবর্তিত ছিল দুটির। লেনদেনও খানিকটা বেড়েছে। আজ হাতবদল হয়েছে ২৯১ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ২৬৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে লেনদেন কিছুটা কমলেও আগ্রহ ধরে রেখেছে খাতটি। এই খাতের ১১টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ১২টি দর হারিয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৯৭ কোটি ২১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৩৬৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ১২টি, দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত আর একটির লেনদেন স্থগিত। এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ২৬২ কোটি ৭ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ২১৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার।
লেনদেন বেড়েছে বিবিধ খাতের। এই খাতের ১৪টি কোম্পানির ২৫১ কোটি ১০ লাখ টাকা লেনদেনের মধ্যে অবশ্য বেক্সিমকোর একার অবদান ১৮৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ২০৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
তবে বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে এদিন। ১৪টির মধ্যে ৫টির শেয়ারদর বেড়েছে, ৯টির কমেছে।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ১২টির। কমেছে ৭টির। অপরিবর্তিত ছিল একটির দর। এই খাতে লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৫৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার।
তথ্য প্রযুক্তি খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে চরটির দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ৭টির। লেনদেন হয়েছে ৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৪৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৮৪ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৭.১৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৯৪ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৩ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৬৩ পয়েন্টে।
চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৬৮ দশমিক ২২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৫ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ১১৮ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১০১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য