× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
On the great day of banking and textiles the journey of the index towards 6000 points
google_news print-icon

ব্যাংক-বস্ত্রের দারুণ দিন, ৭ হাজার পয়েন্টের দিকে সূচকের যাত্রা

ব্যাংক-বস্ত্রের-দারুণ-দিন-৭-হাজার-পয়েন্টের-দিকে-সূচকের-যাত্রা
দিন শেষে সূচকের যে অবস্থান, সেটি ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। সেদিন সে সময়ের ডিএসই সূচক ছিল ৭ হাজার ১২৫ পয়েন্ট। রোববার সূচক দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৪২ পয়েন্টে। আগের দুই দিন ২৬ পয়েন্ট হারানোর পর একদিনেই বেড়েছে ৮১ পয়েন্ট। এই উত্থানের মধ্য দিয়ে সূচকের অবস্থান ২০১১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারির ৬ হাজার ৮২২ পয়েন্টের অবস্থানকে অতিক্রম করে গেল।

দুই দিনের সংশোধন শেষে পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান হলো। একদিন ব্যাপকভাবে বাড়ার পর দুদিন ব্যাংক খাতের শেয়ারগুলো দর হারানোর পর তৃতীয় কর্মদিবসে আবার ঘুরে দাঁড়াল।

বিমা ছাড়া প্রধান প্রায় সব খাতের শেয়ারধারীদের হাসিই চওড়া হয়েছে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার। এর মধ্যে ব্যাংক ছাড়া দ্বিতীয় যে খাতটিতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে, সেটি হলো বস্ত্র। এই খাতেও ব্যাংকের মতো হাতেগনা এক দুইটি ছাড়া বেড়েছে বাকিগুলোর দাম।

গত মঙ্গলবার ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেনের পর দুই দিনের সংশোধনে বিনিয়োগকারীরা কেনাবেচা কমিয়ে দিলেও রোববার তারা ছোটখাট সংশোধন কাটিয়ে আবার শেয়ার কিনছেন। দুই কর্মদিবস পর লেনদেন আবার আড়াই হাজার পয়েন্ট ছাড়াল।

দিন শেষে সূচকের যে অবস্থান, সেটি ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। সেদিন সে সময়ের ডিএসই সূচক ছিল ৭ হাজার ১২৫ পয়েন্ট।

রোববার সূচক দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৪২ পয়েন্টে। আগের দুই দিন ২৬ পয়েন্ট হারানোর পর একদিনেই বেড়েছে ৮১ পয়েন্ট।

এই উত্থানের মধ্য দিয়ে সূচকের অবস্থান ২০১১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারির ৬ হাজার ৮২২ পয়েন্টের অবস্থানকে অতিক্রম করে গেল।

গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত এক দফা, এরপর ৫ এপ্রিলের লকডাউনের শুরু থেকে মের শুরু পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় আর জুলাই থেকে তৃতীয় দফায় পুঁজিবাজারে উত্থান দেখা দিয়েছে। তৃতীয় দফায় উত্থানের পর পুঁজিবাজারের সূচক ১০ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করে আর সামনে এগিয়ে চলেছে।

তবে এই ধাপে এসে কয়েকজন অর্থনীতিবিদ পুঁজিবাজার নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে বসেন। বাজার ‘অতিমূল্যায়িত’ এমন ধারণা করে সেটি আর ‘বাড়তে দেয়া উচিত হবে না’ মন্তব্য করে কার্যত হস্তক্ষেপের পরামর্শ দেন তারা। তবে বিএসইসি জানিয়ে দিয়েছে, তারা কোনো রকম হস্তক্ষেপের পক্ষ না।

এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সাম্প্রতিক এক পদক্ষেপ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করে। তবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এবার নজিরবিহীনভাবে এসব প্রতিক্রিয়ার বিরুদ্ধে কড়া বক্তব্য রেখেছে। পাশাপাশি বাজারে অর্থপ্রবাহ ঠিক রাখতে প্রতি ১০০ টাকার বিপরীতে ৮০ টাকা মার্জিন ঋণ নেয়ার সুযোগ ৮ হাজার পয়েন্ট পর্যন্ত বাড়ায়। এর আগে সিদ্ধান্ত ছিল ৭ হাজার পয়েন্টের বেশি হলে মার্জিন ঋণ ১০০ টাকার বিপরীতে পাওয়া যাবে ৫০ টাকা।

ব্যাংক-বস্ত্রের দারুণ দিন, ৭ হাজার পয়েন্টের দিকে সূচকের যাত্রা
ডিএসইতে সবশেষ লেনদেনের চিত্র

পাশাপাশি বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলিষ্ঠ বক্তব্য রেখে বলেন, বাজার মোটেও অতিমূল্যায়িত নয়, বরং প্রতিবেশী ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে তা আরও বাড়ার সুযোগ আছে।

পুঁজিবাজারে গত ছয় মাসে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারমূল্য বেড়ে ২ থেকে ৪ গুণ হয়ে গেলেও সেগুলোর বেশির ভাগ মূলত তার অভিহিত মূল্যের চেয়ে নেমে গিয়েছিল। বন্ধ বা লোকসানি বহু কোম্পানিকে আবার চালু করতে বিএসইসি বোর্ড পুনর্গঠনের মতো নজিবরিহীন উদ্যোগ নিয়েছে।

এরই মধ্যে দুটি কোম্পানি উৎপাদনে চলে এসেছে। আরও একটি কোম্পানি উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। এই অবস্থায় অভিহিত মূল্যের অনেক নিচে নেমে যাওয়া কোম্পানিগুলো অভিহিত মূল্যের দিকে ছুটছে। এগুলো উৎপাদন শুরু করতে পারলে মুনাফা পাওয়া যাবে, এমন আশাতেই মূলত শেয়ার কিনছেন বিনিয়োগকারীরা।

এর মধ্যেও আয়, লভ্যাংশের ইতিহাস, সম্পদমূল্য বিবেচনায় নিলে সবচেয়ে বড় বাজার মূলধনের ব্যাংক খাত যে অবমূল্যায়িত, সে বিষয়ে এমনকি পুঁজিবাজার নিয়ে রক্ষণশীলদের মধ্যেও কোনো সংশয় নেই। আর দীর্ঘদিন পর এই খাতটির শেয়ারদর অল্প করে বাড়তে শুরু করেছে।

এই পর্যায়ে এসে কিছু ঘটনায় বাজার নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। এর মধ্যে আর ৯টি কোম্পানির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিএসইসির কমিটি গঠন নতুন উদ্বেগ তৈরি করে। তবে শেষ পর্যন্ত উত্থানের পথে যাত্রা করা পুঁজিবাজার এই চাপও কাটিয়ে নতুন উচ্চতার পথে যাত্রা শুরু করেছে।

ব্যাংকে দাম-লেনদেন দুটোই বাড়ল

মঙ্গলবার দল বেঁধে বাড়ার পর দুই কর্মদিবস আবার দর বেঁধে পতন হয়েছিল সবচেয়ে বড় বাজার মূলধনের এই খাতটিতে। তবে বৃহস্পতিবার শেষ আধা ঘণ্টায় ব্যাংকগুলো সেদিনের হারিয়ে ফেরা দরের অনেকটাই ফিরে পাওয়ার মধ্য দিয়ে রোববার ভালো করার আশা তৈরি করে রেখেছিল।

হয়েছে সেটিই। আর গত ছয় কর্মদিবসের ধারাবাহিকতায় আবার দিনে দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ অবস্থান ছুঁয়েছে নতুন তালিকাভুক্ত সাউথ বাংলা ব্যাংক। ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত এই ব্যাংকটির শেয়ারদর এরই মধ্যে বহু বছর ধরে বাজারে নিয়মিত লভ্যাংশ দিয়ে আসা ১৫টির মতো ব্যাংকের দরকে ছাড়িয়ে গেল।

নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলেই বিনিয়োগকারীদের এভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এই ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয়, সম্পদমূল্য ও অন্যান্য সূচক নিশ্চিতভাবেই আগে থেকে বাজারে তালিকাভুক্ত অনেক ব্যাংকের তুলনায় দুর্বল। তবু ২০২০ সালে ১৫ এমনকি ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে এমন কয়েকটি ব্যাংকের শেয়ারদরকে ছাড়িয়ে গেল সাউথবাংলার দর।

আগের দিনের তুলনায় ১ টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে এখন দর দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৩০ পয়সা।

দাম বৃদ্ধির দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে লোকসানি আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, যেটি ২০০৬ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে কখনও লভ্যাংশ দিতে পারেনি। আগের কর্মদিবসে দাম ছিল ৬ টাকা ৩০ পয়সা। সর্বোচ্চ বাড়ার সুযোগ ছিল ৬০ পয়সা, বেড়েছে ৫০ পয়সা।

দীর্ঘদিন একটি স্থানে ঘুরপাক খাওয়া এনবিএল ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশের রেকর্ড ডেটের পর থেকে টানা বাড়ছে। আজ এক পর্যায়ে দিনে দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে গিয়েছিল। তবে পরে ২০ পয়সা কমে লেনদেন শেষ করেছে ৮ টাকা ৮০ পয়সায়।

লেনদেনে ৩২টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে মাত্র দুটির। পাল্টায়নি দুটির। বেড়েছে বাকি ২৮ টির। এই খাতে লেনদেন হয়েছে ৪০৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ২৬৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

এ ছাড়া ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর ৬.৬১ শতাংশ, স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকের দর ৫.৫১ শতাংশ, এবি ব্যাংকের ৩.১৬ শতাংশ, এক্সিম ব্যাংকের দর ৩.১২ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংকের ২.৮৫ শতাংশ বেড়েছে।

ব্যাংক-বস্ত্রের দারুণ দিন, ৭ হাজার পয়েন্টের দিকে সূচকের যাত্রা

সবচেয়ে বেশি লেনদেন বস্ত্র খাতে

১০ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবৃদ্ধিতে ভিয়েতনাম এমনকি চীনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এই খাতের বন্ধ হয়ে যাওয়া দুটি কোম্পানি চালু হয়েছে বিএসইসির উদ্যোগে। আরও কয়েকটি কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন হয়েছে। কয়েকটি কোম্পানির মালিকানা পরিবর্তনের গুঞ্জন আছে।

সব মিলিয়ে বস্ত্র খাতের শেয়ারে ব্যাপক আগ্রহ এখন বিনিয়োগকারীদের। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লেনদেনে বেশিরভাগ দিনই এই খাতের অবদানই থাকছে বেশি।

সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে এই খাতেরই আছে ৫টি। এতেই বোঝা যায় বিনিয়োগকারীরা এই খাতটি নিয়ে কতটা আগ্রহী।

এর মধ্যে যে দুটি কোম্পানি বিএসইসির উদ্যোগে নতুন করে চালু হয়েছে, সেই রিংসাইন টেক্সটাইল ও আলহাজ্ব টেক্সটাইল রয়েছে। অন্য তিনটি কোম্পানি হলো সোনারগাঁও টেক্সটাইল, মেট্রো স্পিনিং ও মিথুন নিটিং।

এই পাঁচটির দরই বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই।

এই খাতের ৫৮টি কোম্পানির মোট লেনদেন হয়েছে ৪৪৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে নয়টির। পাল্টায়নি দুটির দর। বাকি ৪৭টির শেয়ার দরই বেড়েছে বেড়েছে।

আগের দিন এই খাতে লেনদেন হয়েছিল ২৯৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

ছন্দপতনে বিমায়

টানা তিন কর্মদিবস বাড়ার মধ্য দিয়ে গত জুন থেকে শুরু হওয়া সংশোধন শেষের ইঙ্গিত দেয়া বিমা খাতে আবার দর পতন হলো। কমেছে লেনদেনও।

এদিন বিমা খাতের ৫১টি কোম্পানির মোট লেনদেন হয়েছে ২৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৩১টির। দর পাল্টায়নি তিনটির। বাকি ১৭টির দর বেড়েছে।

আগের দিন এই খাতে হাতবদল হয়েছিল ৩৫৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

দর পতন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির তালিকায় ছিল বিমা খাতের আধিক্য। এদিন সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৩.০১ শতাংশ। শেয়ার দর ১৪৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৪১ টাকা ৪০ পয়সা।

তারপরই আছে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার দর কমেছে ২.৯৭ শতাংশ। প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ২.২০ শতাংশ। গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ২.০৯ শতাংশ।

তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে যথাক্রমে ১.৯০ ও ১.৮০ শতাংশ করে। এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ১.৭৬ শতাংশ। এছাড়া সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৮৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১.৬৩ শতাংশ কমে হয়েছে ৮৪ টাকা।

ব্যাংক-বস্ত্রের দারুণ দিন, ৭ হাজার পয়েন্টের দিকে সূচকের যাত্রা

অন্যান্য খাতের লেনদেন

ব্যাংকের মতোই সংশোধন কাটিয়ে উত্থানে ফিরেছে আর্থিক খাতও। এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত দীর্ঘদিন ধরে। বাকিগুলোর মধ্যে একটির দাম কমেছে, বেড়েছে বাকি ২১টির সবগুলোর।

দাম বৃদ্ধির দিন বেড়েছে লেনদেনও। হাতবদল হয়েছে ২০৯ কোটি ১ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১৭০ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

ব্যাপক চাঙাভাব লক্ষ্য করা গেছে প্রকৌশল খাতেও। দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনও। এই খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে তিনটির, পাল্টায়নি চারটির, বাকি ৩৫টির দরই বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৫১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবার এই খাতে লেনদেন ছিল ১৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা।

ভালো দিন গেল ওষুধ ও রসায়ন খাতেও। এই খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে বেড়েছে ২১টির দর, কমেছে ৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল তিনটির দর।

খাতটিতে লেনদেন হয়েছে মোট ২১৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা যা আগের কর্মদিবসে ছিল ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

লেনদেন বেড়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও। এই খাতে লেনদেন হয়েছে ২৫৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১৬৬ কোটি ১৬ লাখ াকা।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৫টির, কমেছে সাতটির। পাল্টায়নি একটির দর।

সাধারণত ব্যাংকের শেয়ারের দার বাড়লে বাড়ে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দরও। তবে চলতি বছর আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণার পরেও এই খাত চাঙা হওয়ার বদলে উল্টো দৌড়ে। আজ ব্যাংক খাতে উত্থানের দিনও এই খাতে লেনদেনে ছিল মন্দাভাব। বেশিরভাগ ফান্ডের ইউনিটের দাম বাড়া বা কমার মধ্যে ব্যবধান ছিল ১০ থেকে ২০ পয়সা। কেবল গ্রামীণ টুর দাম বেড়েছে ৬০ পয়সা।

সব মিলিয়ে ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২টির, কমেছে ৯টির, অপরিবর্তিত ছিল বাকি ১৫টির।

ঈদের আগে একদিনে লেনদেন ২০৪ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়া এই খাতটিতে আজ হাতবদল হয়েছে ৪৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে অবশ্য তার চেয়ে কম ছিল; ৪২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

লেনদেন খুব একটা না বাড়লে তথ্য প্রযুক্তি খাত নিয়ে না বললেই নয়। এই খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০টির, কমেছে একটির। লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ৪৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১২টির দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৮টির। লেনদেন কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৬২ কোটি ৮২ লাখ টাকা যা আগের কর্মদিবসে ছিল ৫৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে সাতটির। দর কমেছে পাঁচটির। বাকি দুটির দর পাল্টায়নি। এদিন এ খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ২০৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ২০৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।

গত প্রায় এক বছর ধরেই নিয়মিতভাবেই এই খাতের বেক্সিমকো লিমিটেড দিন লেনদেনের প্রথম তালিকায় থাকে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই একটি কোম্পানিতেই লেনদেন হয়েছে ১৫৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

সূচক ও লেনদেন

ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮৪ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৪৪ পয়েন্টে। শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৮ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৭৯ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২৮ দশমিক ০৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫১ পয়েন্টে।

ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭০৬ কোটি ৩১ লাখ ৮১ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২১৮ কোটি ৮৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ একদিনেই লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।

চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ২০৮ দশমিক ২২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৯২১ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে মোট ১০০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
সম্পদ ব্যবস্থাপকের লাইসেন্স পেল সন্ধানী অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট
ব্যাংক-বিমার ঝলমলে দিন
কোম্পানি তবে বন্ধ-লোকসানি হলেই শেয়ারধারীর মুনাফা?

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
Chhatra Shibir won in 5 out of 12 editorial posts

১২ সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে ছাত্রশিবিরের জয়, ৩টিতে স্বতন্ত্র

১২ সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে ছাত্রশিবিরের জয়, ৩টিতে স্বতন্ত্র

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। বাকি তিনটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

ডাকসুতে ভিপি, জিএস, এজিএসসহ পদ আছে ২৮টি। এর মধ্যে সদস্যপদ রয়েছে ১৩টি।

বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষিত চূড়ান্ত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়।

সম্পাদকীয় পদগুলোতে যারা জয়ী হলেন–
সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে— আবু সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে— এস এম ফরহাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে— মুহা মহিউদ্দীন খান, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক— ফাতেমা তাসনিম জুমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক— ইকবাল হায়দার, কমন রুম রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক— উম্মে ছালমা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক— জসীমউদ্দিন খান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক— মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ (স্বতন্ত্র), গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক— সানজিদা আহমেদ তন্বি (স্বতন্ত্র), ক্রীড়া সম্পাদক— আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক— আসিফ আব্দুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক— যুবাইর বিন নেছারী (স্বতন্ত্র), ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক— মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক— এম এম আল মিনহাজ, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. জাকারিয়া জয়ী হয়েছেন।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Half day road blockade is underway in Khagrachari

খাগড়াছড়িতে আধা বেলা সড়ক অবরোধ চলছে

খাগড়াছড়িতে আধা বেলা সড়ক অবরোধ চলছে

খাগড়াছড়ির তিন সড়কে আজ বুধবার আধা বেলা সড়ক অবরোধ চলছে। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খাগড়াছড়ি-ঢাকা, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জানা গেছে, জেলার মানিকছড়ির তবলা পাড়ায় অপ্রীতিকর ঘটনার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও নারী আত্মরক্ষা কমিটি; এই তিনটি পাহাড়ি সংগঠন এই অবরোধের ডাক দিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক স্বপন চাকমার পাঠানো বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

অবরোধের কারণে তিন সড়কে দুরপাল্লার সব যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে, অবরোধকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

খাগড়াছড়ি সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, রাস্তায় দুই একটা আগুন দেওয়া ছাড়া এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরনে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ সর্তক স্থানে রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে মানিকছড়ির তবলা পাড়ায় সন্দেহভাজন কয়েকজন ব্যক্তিকে গ্রামবাসী আটক করে। তাদেরকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে প্রতিরোধের মুখে পড়েন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তখন লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Chhatra Shibir Sadiq VP Farhad GS and Mohiuddin AGS elected

ছাত্রশিবিরের সাদিক ভিপি, ফরহাদ জিএস ও মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচিত

ছাত্রশিবিরের সাদিক ভিপি, ফরহাদ জিএস ও মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ভূমিধ্স জয় হয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের। নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দীন খান বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন থেকে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

ফলাফলে দেখা যায়, ছাত্রশিবিরের সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট।

স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৪ ভোট।

জিএস পদে ছাত্রশিবিরের নেতা এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। এ ছাড়া প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের আবু বাকের মজুমদার ২ হাজার ১৩১ ভোট, আশিকুর ৫২৬ ভোট ও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের আল সাদী ভূঁইয়া ৪৬ ভোট পেয়েছেন।

এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের নেতা মুহা. মহিউদ্দীন খান ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৪ ভোট।

সোমবার বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হলেও সারারাত ধরে ভোটগণনা চলে। রাতেই বিভিন্ন হল থেকে ভোটের ফলাফল আসতে শুরু করে। এর মধ্যেই কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান ও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা।

পুঁজিবাজার
The government is then a safe return of the national football team trapped in Nepal

নেপালে আটকে পড়া জাতীয় ফুটবল দলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে তৎপর সরকার

নেপালে আটকে পড়া জাতীয় ফুটবল দলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে তৎপর সরকার

নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।

নেপালে চলমান বিক্ষোভ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের দেশে প্রত্যাবর্তন সাময়িকভাবে বিলম্বিত হয়েছে। আজ স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দলের দেশে ফেরার কথা থাকলেও পরিস্থিতির অবনতির কারণে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সব ফ্লাইট বাতিল করে। ফলে দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাবৃন্দ বর্তমানে টিম হোটেলে অবস্থান করছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় জানিয়েছে, দলের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্ন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দলের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। এ বিষয়ে নেপালস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, নেপালের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের প্রেক্ষাপটে দলের নির্বিঘ্ন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেপালের সেনাবাহিনীর সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

এছাড়া যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া এবং টিম ম্যানেজার আমের খানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে দলের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন এবং দেশে দ্রুত প্রত্যাবর্তনে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Comilla University student Sumaiya and his mother were killed after failing to rape

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সুমাইয়া ও তার মাকে হত্যা

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সুমাইয়া ও তার মাকে হত্যা

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। হত্যার মূল আসামি মো. মোবারক হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঢাকায় পালিয়ে যাবার সময় কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মোবারক হোসেন জেলার দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের মৃত. আবদুল জলিলের ছেলে।

পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ঝাড়-ফুক করার সুবাদে মোবারক হোসেন সুমাইয়া আফরিনদের বাসায় যাতায়াত করতেন। গত রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সুমাইয়াদের ভাড়া বাসা নগরীর কালিয়াজুরি এলাকায় নেলি কটেজ নামক বাসায় প্রবেশ করেন মোবারক। এরই মধ্যে মোবারক তাদের বাসায় ঝাড়ফুঁক করে পানি ছিটিয়ে বেরিয়ে যান। আবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন। যা সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়।

পুলিশ সুপার বলেন, মোবারক তাদের বাসায় থাকাকালীন সময়ে এক পর্যায়ে সুমাইয়া আফরিনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় সুমাইয়ার মা বাধা দেন। এতে মোবারক ক্ষুব্ধ হয়ে সুমাইয়াকে এক ঘরে আটকে মা তাহমিনা বেগমকে অন্য একটি রুমে নিয়ে বালিশ চাপায় হত্যা করেন। এরপর সুমাইয়াকে তার রুমে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় সুমাইয়া প্রতিরোধ করলে তাকে গলা টিপে হত্যা করেন। হত্যার পর মোবারক সুমাইয়াদের ঘর থেকে ৪টি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যান। তিনি আরো বলেন, ধর্ষণ হয়েছে কিনা বিষয়টি ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নিহত সুমাইয়া আরফিন (২৩) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি কুমিল্লা নগরীর সুজানগর এলাকার বাসিন্দা ও কুমিল্লা আদালতের সাবেক হিসাবরক্ষক মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে। গত সোমবার সকালে ওই বাসা থেকে সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Missing the traditional trap of fishing is getting lost in Comilla

কুমিল্লায় হারিয়ে যাচ্ছে মাছ ধরার ঐতিহ্যবাহী ফাঁদ চাই

কুমিল্লায় হারিয়ে যাচ্ছে মাছ ধরার ঐতিহ্যবাহী ফাঁদ চাই

বর্ষা মৌসুমে টইটম্বুর পানির সঙ্গে উজান থেকে ভেসে আসা দেশীয় মাছ—বজুরী, টেংরা, ঢেলা, দারখিলা, কটকটি, বাইলা, পুটি, সেলবেলা, চান্দা, বৈইচা, পাবদা, শিং, কৈ, টাকি, চেধূরী, এলকোনা, খৈইলশা, ভাংলা, কাটাইড়া, বাতাইয়া, চিংড়ি, বাইম, গুতুমসহ নানান প্রজাতির মাছ একসময় খাল-বিল-জমিতে ডিম ছাড়ার জন্য ছুটে আসত। সেই সময়ে গ্রামের ছেলেরা মাছ ধরার জন্য নানান ফাঁদ পাতত। এর মধ্যে অন্যতম ছিল আনতা, বেউর ও চাই, আনতা। যা আজ বিলুপ্তির পথে।

তবে এখনো কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রামচন্দ্রপুর আনতা হাট সেই পুরনো স্মৃতি ধরে রেখেছে। রামচন্দ্রপুর, দক্ষিণ বাঙ্গরা ও মালাই বাঙ্গরা বাজার, হাটখোলা, ইলিয়াটগঞ্জ, চান্দিনার নোয়াবপুর, বর্ষা মৌসুমে বাঁশের তৈরি আনতা বিক্রির ধুম পড়ে যেত কিন্তু পূর্বে ন্যায় দেশীয় মাছ না থাকায় আস্তে আস্তে এসব মাছ ধরার ফাঁদ তৈরিতে কৃষক, জেলে আগ্রাহ হাচ্ছে। শুধুই মাছ ধরার ফাঁদ নয়, আনতা হয়ে উঠেছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ, যা এ সময় স্থানীয়দের মধ্যে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দেয়।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ও মানভেদে প্রতিটি আনত ৩০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্ষার শেষ দিকে এ ফাঁদের চাহিদা আরও বেড়ে যেত। ব্যবসায়ীরাও মৌসুমে ভালো লাভের আশা করত। এন তেমন একটা চোখে পড়ে না, রামচন্দ্রপুরের আনতা ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, ‘প্রতি হাটে আমি ৬০ থেকে ৭০টি আনতা বিক্রি করি কিন্তু যখন মাছের ভরা মৌসুম ছিল তখন সারাবছর লোক নিয়োগ করে বিভিন্ন বাড়িতে আনতা তৈরি করতাম। দূর-দূরান্ত থেকেও ক্রেতারা আসত। আর তেমন বিক্রি না থাকায় ব্যাবসা অনেক কমে গেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে মাছ জমির আইল ধরে নামতে শুরু করে, তখন আইলে আনতা পুঁতে রাখলেই সহজে মাছ ধরা পড়ে। বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় আমরা খুশি হতাম, আমাদের দাবি আনতা, বেউর, চাই, উছা, পেলুন।এই ফাঁদ তৈরিতে সরকার ভর্তুকি দিয়ে অল্প আয়ের মানুষ দের বাচিয়ে রাখা উচিত। পাশাপাশি বাঁশ শিল্প বেচে থাকবে।

স্থানীয় মাছ বিক্রেতা মতিন মিয়া জানান, তিনি প্রতি মৌসুমে ৫-৬টি আনতা কেনেন। আনতা দিয়ে প্রতিদিন ২-৩ কেজি মাছ ধরা পড়ে। নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে তিনি ৩০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন।

শুধু মাছ ধরার ফাঁদ নয়, আনতা হয়ে উঠেছে অনেকের জীবিকার উৎস। আনতা তৈরি ও বিক্রি করে বহু পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। আবার এর সাহায্যে ধরা মাছ বিক্রি করে অনেকেই বাড়তি আয় করছে। ছোট-বড় সবাইকে মাছ ধরার আনন্দে মাতিয়ে তোলে এই দেশীয় কৌশল, যা আজও মুরাদনগরের গ্রামীণ জীবনের অনন্য ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Tausif returns to the Bachelor Point series

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকে ফিরছেন তৌসিফ!

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকে ফিরছেন তৌসিফ!

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকের ৫ নম্বর সিজন চলছে। ভক্তদের মুখে মুখে কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত এ সিরিজটি। নাটকটির শুরু থেকেই সিজন ১, ২, ৩ এবং ৪ দিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত হন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি ও তার টিম। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজনগুলোর ব্যাপক সাফল্যের পর এবার ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর ফাইভ সিজন প্রচার হচ্ছে।

এই সিরিজে কাবিলা, শুভ, জাকির, শিমুল, পাশা, আরেফিন, হাবু ভাই নামের চরিত্রগুলোর মতো নেহাল চরিত্রটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ সর্বদা তুঙ্গে। যেই নেহাল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তৌসিফ মাহবুব। এত দিন ব্যক্তিগত কিছু কারণে এ সিরিজ থেকে দূরে ছিলেন। তবে এ সিজনে ফিরছেন তিনি নেহাল হয়েই, যেটা তিনি নিজেই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

বললেন, ‘দর্শক সর্বদা চান নেহাল চরিত্রটি ফিরে আসুক। তাই ফের এ চরিত্রটির মাধ্যমে ব্যাচেলর পয়েন্টে দর্শক আমাকে দেখতে পাবেন।’ এর আগে নির্মাতা অমি বলেছিলেন, বাস্তব জীবনের মতোই হয়তো ভবিষ্যতে কোনো একসময় দেখা যাবে তাদের আবার একসঙ্গে। তাই সেই অপেক্ষার পালা মনে হয় শেষ হলো তৌসিফের ফেরার মাধ্যমে।

মন্তব্য

p
উপরে