টানা দুই দিনের পতনের ভিড়ে লেনদেনের শেষ বেলায় ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিল ব্যাংক খাত। লেনদেনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দর যতটা পড়েছিল, তার বেশ খানিকটা ফিরে পাওয়ার মধ্য দিয়ে এই বিষয়টি বোঝা গেল।
বস্ত্রখাতেও সেই একই চিত্র। শেষ বেলায় বেশিরভাগ কোম্পানির দর বৃদ্ধি হলো এই খাতেও। আর বিমা খাতের শেয়ারগুলোর দাম টানা তৃতীয় দিন বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হওয়া সংশোধন শেষের ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হলো।
মঙ্গলবার ব্যাংকের দল বেঁধে দাম বৃদ্ধির পর বুধবার চারটি ছাড়া কমেছিল বাকি সবগুলোর। আজও ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এক পর্যায়ে এই খাতে দ্বিতীয় দিনের পতন ছিল আরও বেশি। শেষ সময়ে দর ফিরে পেতে থাকে ব্যাংকগুলো। দিনের সর্বনিম্ন দরের চেয়ে বেশি দরে লেনদেন শেষ করেছে প্রায় সব কটি কোম্পানি।
ব্যাংকের তুলনায় বস্ত্রের নিজেকে ফিরে পাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে আরও বেশি। সর্বনিম্ন দরের চেয়ে কেবল বেশিতে লেনদেন শেষ করেনি, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর।
বিমা খাতের শেয়ারধারীরা টানা দুই মাস ধরে যে উদ্বেগের মধ্যে ছিল, সেখান থেকে বের হয়ে কিছুটা স্বস্তিতে ফিরেছেন। পরপর তিন দিন দর বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের লোকসান কিছুটা কমেছে, সেই সঙ্গে বেড়েছে আত্মবিশ্বাস।
বুধবার ১৫ পয়েন্টের পর বৃহস্পতিবার সূচক কমল ১১ পয়েন্ট যদিও এক পর্যায়ে কমে গিয়েছিল ৪৭ পয়েন্ট।
পর পর দুই দিন কমল লেনদেন। আগের দিনের চেয়ে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার শেয়ার কম কেনাবেচা হয়েছে আজ।
টানা বাড়তে থাকা পুঁজিবাজারে পর পর দুই দিন সূচক কমলেও বিনিয়োগকারীরা তাতে নাখোশ-এটা বলার সুযোগ নেই। কারণ, উত্থানের পর ছোটখাটো সংশোধন যে হতে পারে, সেটা আলোচনাতেই ছিল। আর সংশোধনে সূচকের ছোটখাটো পতন বরং স্বস্তিতেই রেখেছে তাদের।
বিমার লেনদেন বেড়েছে ১১৫ শতাংশ
মঙ্গলবার থেকেই বিমার শেয়ারের দাম বাড়ছে। জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে সংশোধনে যাওয়া এই খাতের শেয়ারদর মাঝেমধ্যে এক দুই দিন বাড়লেও পরে তা আবার হয় পতনমুখি। তবে এবার তৃতীয় দিনে এসেও দর বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেন বাড়তে থাকায় স্পষ্ট হয়েছে যে, বিনিয়োগকারীরা আবার এই খাতে ফিরেছেন।
মঙ্গলবার এই খাতে লেনদেন ছিল ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় দিনে শেয়ারদর বাড়লেও লেনদেন কমে দাঁড়ায় ১৬৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। তবে আজ এক লাফে বেড়ে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৩৫৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
বুধবারের তুলনায় এই খাতে লেনদেন বেড়েছে ১১৫.২৬ শতাংশ।
এই খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৫টির দর কমেছে। বাকি ৪৬টি কোম্পানির দর বেড়েছে।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির মধ্যেও এই খাতের প্রাধান্য দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির ৪টি আর ২০টি কোম্পানির ৬টি ছিল বিমা খাতের।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের, ৯.৯২ শতাংশ। আগের দিন কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর ছিল ৪০ টাকা ৩০ পয়সা। দিন শেষে শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৩০ পয়সা।
তারপরেই আছে কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার দর ৪০ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৯.৮০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪৪ টাকা ৮০ পয়সা।
সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৪০ শতাংশ। দর ৪৩ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৭ টাকা ৭০ পয়সা।
জনতা ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৯.০৬ শতাংশ। ৪০ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৪ টাকা ৫০ পয়সা।
দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৪৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৭.০৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫১ টাকা ৩০ পয়সা।
রূপালী ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৫.০৬ শতাংশ। ৪১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৩ টাকা ৬০ পয়সা।
ব্যাংকে পতন ঘটলেও দিন শেষে দর ফিরে পাওয়া
এবি ব্যাংকের শেয়ারদর ২০ পয়সা কমেছে আজ। তবে এক পর্যায়ে কমে গিয়েছিল ৫০ পয়সা। এই ৩০ পয়সা ফিরে পাওয়া গেছে লেনদেনের শেষ ভাগে।
আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এক পর্যায়ে দর হারিয়েছিল ৯০ পয়সা। সেখান থেকে ৬০ পয়সা ফিরে পেয়ে লেনদেন শেষ করে আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়সা কমে।
রূপালী ব্যাংকের শেয়ারদর পড়ে গিয়েছিল ১ টাকা ২০ পয়সা, তবে দিন শেষে সেখান থেকে বাড়ে ৫০ পয়সা।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারদর পড়ে গিয়েছিল ১ টাকা। সেখান থেকে ফিরে পাওয়া যায় ৭০ পয়সা।
মার্কেন্টাইলের শেয়ারদর পড়ে গিয়েছিল ৫০ পয়সা, তবে এখান থেকে ৩০ পয়সা ফিরে পেয়ে শেষ করে লেনদেন।
ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারদর পড়ে গিয়েছিল ৩০ পয়সা, তবে দিন শেষে লেনদেন শেষ হয়েছে আগের দিনের সমান দামে।
সিটি ব্যাংকের শেয়ারদর পড়ে গিয়েছিল ৫০ পয়সা, তবে দিন শেষে বেড়েছে ১০ পয়সা।
ঢাকা ব্যাংকের শেয়ারদর পড়ে গিয়েছিল ৩০ পয়সা, তবে দিন শেষে বেড়েছে ২০ পয়সা।
আইএফআইসির শেয়ার দর পড়ে গিয়েছিল ৫০ পয়সা, তবে দিন শেষে বেড়েছে ২০ পয়সা।
দিন শেষে ৩২টি কোম্পানির মধ্যে পাঁচটির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ২৪টির পতন আর তিনটির দাম অপরিবর্তিত থাকার মধ্যেও শেয়ারধারীরা কিছুটা স্বস্তি শেষ বেলায় কিছুটা হলেও দর ফিরে পাওয়ায়।
পরপর দুই দিন শেয়ারদর পতনের মধ্যে লেনদেনও ক্রমেই কমেছে।
মঙ্গলবার লেনদেন ছিল ৪৫২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। বুধবার কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৩৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আজ তা আরও ৭১ কোটি টাকা লেনদেন কমে হয়েছে ২৬৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
সদ্য তালিকাভুক্ত সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক ছাড়া দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধির তালিকায় কোনো ব্যাংক ছিল না। এই ব্যাংকটির দাম পর পর ৬ দিন সর্বোচ্চ পরিমাণে বেড়েছে।
ব্যাংক খাতে এরই মধ্যে ১৫টি ব্যাংকের শেয়ারদরকে ছাড়িয়ে গেল এই কোম্পানিটি। দিন শেষে দাম দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৬০ পয়সা।
সিটি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক ও আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার দর অল্প বাড়ার বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ৩.৯০ শতাংশ কমেছে ব্যাংক এশিয়ার দর।
এ ছাড়া যমুনা ব্যাংকের ৫০ পয়সা, স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের ৩০ পয়সা, পূবালী ব্যাংকের পূবালী ব্যাংকের শেয়ারদর পড়েছে ৫০ পয়সা।
লেনদেন কমলেও উত্থানে বস্ত্র খাত
আগের দিনের তুলনায় বস্ত্র খাতের লেনদেনও কমেছে। এদিন বস্ত্র খাতের লেনদেনে ৩০টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ২২টির। আর দর পাল্টায়নি ৬টির।
বুধবার বস্ত্র খাতের মোট লেনদেন হয়েছিল ৩৩৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ২৯৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ফলে একদিনের ব্যবধানে বস্ত্র খাতের লেনদেন কমেছে ৩৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
লেনদেন দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া বস্ত্র খাতের কোম্পানি ছিল মেট্রো স্পিনিং। কোম্পানির শেয়ার দর ৯.২০ শতাংশ বেড়েছে। ২৫ টাকা থেকে হয়েছে ২৭ টাকা ৩০ পয়সা।
অনালিমা ইয়ার্নের দর বেড়েছে ৬.৬২ শতাং। ৬৯ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৯ টাকা ৯০ পয়সা।
ম্যাকসন স্পিনিংয়ের ৫.৭০ শতাংশ, ঢাকা ডাইংয়ের ৫.৬৫ শতাংশ, দুলামিয়া কটনের দর বেড়েছে ৫.২৬ শতাংশ।
অন্যান্য খাতের লেনদেন
ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেন হয়েছে ১৭০ কোটি ৭১ লাখ টাকা। ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭টির। দর কমেছে ১৪টির। অপরিবর্তিত ছিল আর দুটির।
আগের দিন এ খাতের লেনদেন ছিল ২২৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
মিউচ্যয়াল ফান্ড খাতের লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৫২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
৩৬টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮টির। দর কমেছে ২০টির। পাল্টায়নি ১০টির।
প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ১৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২০১ কোটি ১০ লাখ টাকা।
লেনদেন হওয়া ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৫টির, কমেছে ২৫টির। অপরিবর্তিত ছিল দুটির।
ওষুধ ও রসায়ন খাতেও লেনদেন কমেছে। হাতবদল হয়েছে ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৪১ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
লেনদেনে ১০টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। দর কমেছে ২০টি কোম্পানির। একটির লেনদেন দীর্ঘদিন ধরেই অপরিবর্তিত।
বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দাম বমেছে ৮টির, বেড়েছে ৬টির। লেনদেন হয়েছে ২০৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেক্মিমকো লিমিটেডের একার অংশগ্রহণই ১৫৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ১৭৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১১ দশমিক ২২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৬০ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৪ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৬১ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৩.২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪২৩ পয়েন্টে।
ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২১৮ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই)প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ৩৯ দশমিক ১১ পযেন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৭০৭ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৮৮ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিল খুকশিয়া এলাকায় মাছের ঘেরের ভেড়িতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন চাষিরা। এ আবাদে ভালো ফলন পেয়ে বেশ লাভবান হচ্ছেন তারা। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে গ্রীষ্মকালীন এ তরমুজ। তরমুজ চাষে লাভবান হওয়ায় অনেক কৃষক নতুন করে এ আবাদে ঝুঁকছেন। কৃষি বিভাগসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা তরমুজ আবাদ পরিদর্শন করে চাষিদের এ আবাদে উদ্বুদ্ধ করছেন।
কেশবপুর উপজেলা সদর থেকে ১৮ প্রায় কিলোমিটার দূরে শ্রীহরি নদীর তীরে অবস্থিত বিল খুকশিয়া। এ বিলের ৬ হাজার ৩৭৫ বিঘা ফসলি জমি দীর্ঘ ২০ থেকে ২২ বছর যাবৎ জলাবদ্ধতা থাকায় কৃষকেরা ফসল ফলাতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েন। বিলের জলাবদ্ধতা নিরসন করে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে ২০০৫ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড শ্রীহরি নদীতে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে এবং বিল খুকশিয়ার তলদেশ উঁচু করার জন্য জোয়ার আঁধার (টিআরএম) প্রকল্প গ্রহণ করলেও সফলতা মেলেনি। প্রকল্প শেষে জমির মালিক কৃষকরা বিলটিতে মাছের ঘের তৈরি করেন এবং মাছের ঘেরের ভেড়িতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেন। তরমুজ চাষ করে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন।
সরেজমিন বিল খুকশিয়ায় গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ ঘেরের বেড়িতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। কৃষক ইকবাল হোসেন দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রতিনিধি হারুনার রশীদ বুলবুল কে বলেন, তিনি ১৩ বিঘা মাছের ঘেরের ভেড়িতে ১ হাজার ৪০০টি তরমুজের মাদা তৈরি করে ফলন পেয়েছেন ২৭৫ মণ। প্রতি মণ তরমুজ ১ হাজার ২০০ টাকা করে বিক্রি করছেন। তিনি সর্বোচ্চ ১৪ কেজি ওজনের তরমুজ পেয়েছেন। একইভাবে আবদুল হালিম খান মাছের ঘেরের ভেড়িতে ১২০টি মাদা তৈরি করে ৩০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। কৃষক আবদুল কুদ্দুস ৭ বিঘা মাছের ঘেরের ভেড়িতে তরমুজ চাষ করেছেন। তার উৎপাদিত তরমুজ আকারেও বেশ বড়। সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম দৈনিক বাংলার প্রতিনিধি কে বলেন , দীর্ঘ ২০ থেকে ২২ বছর বিল খুকশিয়া জলাবদ্ধতা হয়ে থাকায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। ২০০৫ সালে ওই বিলে টিআরএম প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প শেষে বিলটিতে কৃষকরা মাছের ঘের তৈরি করেন। ওইসব ঘেরের ভেড়িতে এ বছর কৃষকরা তরমুজ চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। ধান, মাছ চাষের পাশাপাশি তরমুজ চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফিরেছে। এদিকে কেশবপুর উপজেলায় অনেক শিক্ষিত যুবক গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করায় ব্যাপক সাড়া দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিল খুকশিয়ায় মাছের ঘেরের ভেড়িতে তরমুজ চাষ ওই এলাকার কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করছে। এশিয়ান-১, পাকিজা সুপার, ব্লাক কিং, ব্লাক কুইন জাতের তরমুজ এখানে বেশি আবাদ করা হয়েছে। এ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ব করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন দৈনিক বাংলা কে বলেন, মাছের ঘেরের ভেড়িতে তরমুজ চাষের পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি চাষ করে এলাকার কৃষকরা অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের তরমুজ চাষে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমার পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করবো।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১০ কাঠার প্লট নেওয়ার ঘটনায় দুদকের করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া তাকে গ্রেপ্তার দেখান। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।
এদিন খায়রুল হককে আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর তার উপস্থিতিতে শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এসময় আসামিপক্ষে আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে খায়রুল হকসহ আটজনকে আসামি করা হয়।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, সদস্য (অর্থ ও এস্টেট) আ.ই.ম গোলাম কিবরিয়া, সদস্য মো. আবু বক্কার সিকদার, সদস্য (পরিকল্পনা) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, সদস্য (এস্টেট) আখতার হোসেন ভুইয়া, সাবেক যুগ্ম সচিব ও সদস্য (উন্নয়ন) এম মাহবুবুল আলম এবং সদস্য (প্রশাসন ও ভূমি) নাজমুল হাই।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর ২ নম্বর শিক্ষা সম্প্রসারণ সড়কে (নায়েম রোড) পৌনে ১৮ কাঠা জমির ওপর ৬ তলা পৈতৃক বাড়ি রয়েছে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের। কিন্তু তিনি দেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে দ্য ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (অ্যালটমেন্ট অব ল্যান্ডস) রুলস, ১৯৬৯ এর বিধি ১৩ লঙ্ঘনের মাধ্যমে হলফনামা দাখিল করে রাজউকের ১০ কাঠা প্লট বাগিয়ে নেন। খায়রুল হক প্লট বরাদ্দের শর্ত ভঙ্গ করে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। রাজউকের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় সুদ মওকুফের কোনো বিধান না থাকা সত্ত্বেও প্লট বরাদ্দের জন্য সাময়িক বরাদ্দপত্রে শর্ত ভঙ্গ করেন। তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুদসহ কিস্তির টাকা জমা না দিয়ে অবসরের পর অর্থাৎ বরাদ্দের ৫ বছর পর সুদবিহীনভাবে টাকা জমা দেন।
এ ক্ষেত্রে রাজউকের প্রচলিত নীতিমালা ভঙ্গ করে বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করে সুদবাবদ চার লাখ ৭৪ হাজার ২৪০ টাকা পরিশোধ না করে সরকারের ক্ষতিসাধন ও আত্মসাৎ করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
গত ২৪ জুলাই সকালে ধানমণ্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় ওইদিন রাতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২৯ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় দেওয়া ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় করা মামলায় তাকে ভার্চুয়ালি গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ৩০ জুলাই বিচারক হিসেবে দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি রায় প্রদানসহ জাল রায় তৈরির অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঝিনাইদহের মহেশপুরে মাত্র ৩ টাকায় পাওয়া যায় সুস্বাদু রসগোল্লা। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবে এ মিষ্টির স্বাদ এমন যে, একবার খেলে আবারও কিনতে ইচ্ছে হয়। আকারে ছোট হলেও স্বাদে বড় বড় দোকানের মিষ্টিকেও হার মানিয়েছে এই রসগোল্লা। খাঁটি ছানার তৈরি হওয়ায় মুখে দিলেই গলে যায়। এতে নেই কোনো ভেজাল, কৃত্রিম রং বা অতিরিক্ত ঘ্রাণ; কেবল খাঁটি দুধের স্বাদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহেশপুর উপজেলার শিবানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমাল ঘোষ তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নিজ হাতে তৈরি মিষ্টি বিক্রি করছেন। প্রতিদিন সকালে বাইসাইকেল নিয়ে বের হন তিনি এবং মহেশপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে রসগোল্লা বিক্রি করেন। আগে প্রতিটি রসগোল্লা বিক্রি হতো ২ টাকায়, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩ টাকায়। দাম সামান্য বাড়লেও ক্রেতার চাহিদা কমেনি, বরং বেড়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় এক হাজার পিস রসগোল্লা বিক্রি করেন তিনি। সেই আয়ে চলে তার সংসার।
স্থানীয় ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৩ টাকায় এত সুস্বাদু রসগোল্লা পাওয়া সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমরা প্রতিদিনই তার কাছ থেকে কিনি। দাম কম, স্বাদ অসাধারণ।’
আরেক ক্রেতা স্কুলশিক্ষক মাহবুব হোসেন বলেন, ‘বড় দোকানের রসগোল্লার চেয়ে সুমাল ঘোষের বানানো রসগোল্লা অনেক বেশি খাঁটি ও সুস্বাদু। তাই বাজারে যত মিষ্টির দোকানই থাকুক, মানুষ ওনার কাছেই ভিড় জমায়।’
মহেশপুরের বাসিন্দা রাসেল হোসেন বলেন, ‘সুমাল ঘোষের রসগোল্লা এখন এলাকার একটি জনপ্রিয় নাম। কম দামে মানসম্মত মিষ্টি পাওয়ায় প্রতিদিনই তার ক্রেতা বাড়ছে।’
এ বিষয়ে সুমাল ঘোষ বলেন, ‘কম লাভ, বেশি বিক্রিই আমার ব্যবসার নীতি। দিনে এক হাজার পিস বিক্রি করতে পারলেই সংসার চলে যায়। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় মানুষ আমার মিষ্টির স্বাদ পছন্দ করছে, এটিই আমার বড় প্রাপ্তি।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন আগামীকাল বৃহস্পতিবার। ৩৩ বছর পর হচ্ছে এই নির্বাচন। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫ পদে লড়ছেন ১৭৭ জন। হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪৫ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে লড়ছেন আটজন। শেষ মুহূর্তে জিএস পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া। অন্যদিকে হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর চেম্বার আদালতে এ রায় স্থগিত হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়।
নির্বাচনে ভোটার ১১ হাজার ৯১৯ জন। ভোটারের ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ ছাত্রী। প্রচার শেষ হয়েছে গতকাল রাত ১২টায়। এদিন সকাল থেকে প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বিভিন্ন প্যানেলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন এলাকায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম প্যানেলের প্রার্থীদের প্রচার চালাতে দেখা যায়। ভোটারদের সবার কাছে পৌঁছাতে না পারলেও প্রার্থীরা বলছেন, আদর্শ, যোগ্যতা, নৈতিকতা ও শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ বিবেচনায় শিক্ষার্থীরা প্রার্থী বেছে নিবেন।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন প্যানেলের জিএস প্রার্থী শাকিল আলী বলেন, ‘সব হলের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো কঠিন। গণঅভ্যুত্থানের আগে ও পরে যারা শিক্ষার্থীদের পক্ষে থেকে কাজ করেছেন, তাদের যেন শিক্ষার্থীরা বেছে নেন।’
ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যোগ্য, নৈতিকভাবে সৎ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করবেন– এমন প্রার্থীদের বেছে নিবেন বলে প্রত্যাশা করি।’
বুথ ২২৪টি, নিরাপত্তায় পুলিশ-আনসার
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন হলে ২২৪টি বুথ বসানো হবে। ব্যালট পেপারে টিক চিহ্নের মাধ্যমে ভোট দিতে হবে। প্রতি ২০০ ব্যালট পেপারের জন্য একটি বাক্স থাকবে। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের ব্যালট বাক্স আলাদা করে চিহ্নিত থাকবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ৬৭ জন পোলিং এজেন্ট এবং ৬৭ জন সহকারী অফিসার কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত থাকবেন, যারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি গেটে এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন। ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য আনসার মোতায়েন করা হবে।
দুই হলে হবে না হল সংসদের ভোট
হল সংসদ নির্বাচনে বেগম সুফিয়া কামাল হল ও নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। এই দুই হলে শুধু কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। বেগম সুফিয়া কামাল হলে ১৫ পদের ১০টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, বাকি পাঁচ পদ শূন্য রয়েছে। নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে ১৫ পদের ছয়টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা, বাকি ৯টি পদ শূন্য রয়েছে।
প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক
গতকাল সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করা হয়। কেন্দ্রীয় সংসদের ১৬৩ জন ও হল সংসদের ৪০৩ জন পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন। বাধ্যতামূলক করা হলেও ৫৬ প্রার্থী নমুনা দেননি।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের বাগোয়ান কান্দিরপাড়া গ্রামে মন্ডল গ্রুপ ও সর্দার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সর্দার গ্রুপের দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
নিহতরা হলেন ওই গ্রামের মৃত হামের সর্দারের ছেলে সারফান সর্দার (৫০) এবং তাঁর ভাগনে মৃত বিছার সর্দারের ছেলে বাইজিদ সর্দার (৩৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাগোয়ান কান্দিপাড়া বাজার এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সারফান সর্দার। গুরুতর আহত অবস্থায় বাইজিদ সর্দারকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। আহত আরও চারজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহত সারফান সর্দারের মেয়ে মিম খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পাশের একটি বাগানে আমার বাবাকে পা কেটে ও গলা কেটে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।’
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সর্দার গ্রুপের দুজন নিহত হয়েছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে পাশাপাশি সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। এ ঘটনায় রাতেই তিন থেকে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগমের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।
আজ সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের জানান, রাহাত আরা বেগমের চিকিৎসকের শিডিউল আগে থেকেই নেওয়া ছিল। সেই অনুযায়ী আজ তারা সিঙ্গাপুর গেছেন।
তিনি জানান, সকাল ৮টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা রওনা হন। তবে, চিকিৎসার জন্য তারা কতদিন সিঙ্গাপুরে থাকবেন, তা জানাননি শায়রুল।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি লকার জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
বুধবার সকালে পূবালী ব্যাংক মতিঝিল শাখায় থাকা লকারটি জব্দ করা হয়। সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবীব সমকারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে পূবালী ব্যাংকের সেনা কল্যাণ ভবনে অবস্থিত একটি লকারের সন্ধান পাওয়া গেছে (লকার নং-১২৮)। এই লকারের দুইটি চাবির মধ্যে একটি শেখ হাসিনার কাছে রয়েছে।
আহসান হাবীব আরও জানান, সিআইসির একটি টিম লকারটি জব্দ করেছে। বিস্তারিত পরে জানানো হব।
মন্তব্য