× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
Rhythm in the capital market of the rise of the old disease of the bank
google_news print-icon

ব্যাংকের ‘পুরোনো রোগ’, উত্থানের পুঁজিবাজারে ছন্দপতন

ব্যাংকের-পুরোনো-রোগ-উত্থানের-পুঁজিবাজারে-ছন্দপতন
মাঝেমধ্যে ব্যাংকগুলোর শেয়ার দর দল বেঁধে বাড়ে, কিন্তু তা ধরে রাখা যায় না। গত ২৭ মার্চ সব ব্যাংকের ব্যাপক দর বৃদ্ধির পরদিনই পতন হয়েছিল। মঙ্গলবার উত্থানের পরদিনও দেখা গেল সেই একই চিত্র। ব্যাংকের দল বেঁধে উত্থানের পরদিনই দল বেঁধে পতনের এই চিত্র এই খাতটি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি আর অনিশ্চয়তার বিষয়টিই সামনে নিয়ে এসেছে।

ব্যাংকের শেয়ারের দাম দল বেঁধে বাড়লেও তা ধরে রাখতে না পেরে পরের দিনই পতনের যে বিষয়টি এর আগে একাধিকবার ঘটেছে, তা আবারও দেখা গেল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। সব কটি ব্যাংকের শেয়ার দর বৃদ্ধির পরদিন দু-একটি বাদে কমে গেল সিংহভাগের দাম।

ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যাপক দরপতন ঘটল আর্থিক খাতেও। দিনের প্রায় পুরোটা সময় উত্থান হলেও শেষ বেলায় বস্ত্র খাতেও দেখা গেল দরপতন। প্রকৌশল খাতেও দিনটি ভালো যায়নি।

সব মিলিয়ে উত্থানে থাকা পুঁজিবাজারে ছন্দপতন হলো। সকাল ১০টা থেকে লেনদেন শুরু হয়ে বেলা পৌনে একটা পর্যন্ত উত্থানে থাকলেও শেষ পৌনে দুই ঘণ্টায় বিক্রয়ের চাপে সূচকের পতন হলো।

দিন শেষে ১৫ পয়েন্টের পতনে সূচকের অবস্থান ৬ হাজার ৭৭১ পয়েন্ট। অবশ্য এক পর্যায়ে সূচক এখান থেকে ৫০ পয়েন্ট বেশি ছিল। লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টার মধ্যে সূচক এক পর্যায়ে উঠে যায় ৬ হাজার ৮২১ পয়েন্টে। তখন আশা করা হচ্ছিল আরও একটি ঝলমলে দিন বুঝি এলো পুঁজিবাজারে।

তবে শেষ পর্যন্ত যত কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে তার প্রায় দেড় গুণ। দর সংশোধনের দিন লেনদেনও কমে গেছে।

দিন শেষে ১৩৮টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২১৬টির। অপরিবর্তিত ছিল বাকি ২০টির দর। লেনদেন নেমেছে আড়াই হাজার কোটি টাকার নিচে। হাতবদল হয়েছে ২ হাজার ৪৬৫ কোটি ৫৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল২ হাজার ৬৭৩ কোটি ৪৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।

ব্যাংকের ‘পুরোনো রোগ’, উত্থানের পুঁজিবাজারে ছন্দপতন
চার কর্মদিবস পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের পতন হলো বাংক খাতের শেয়ারগুলো দর হারানোর কারণে

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পুঁজিবাজারে চাঙাভাবে মূল্য সূচক প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেলেও তার পুরোপুরি ছাপ নেই ব্যাংক খাতে।

সবচেয়ে বড় বাজার মূলধনের খাতটিতে শেয়ারের দাম একেবারে বাড়েনি এমন নয়। তবে কোম্পানিগুলো যে লভ্যাংশ দিয়েছে এবং চলতি বছর যে হারে তারা আয় করেছে, শেয়ারপ্রতি যে সম্পদমূল্য আছে, এসবের বিবেচনায় শেয়ার দর অবমূল্যায়িত বলেই মত দিয়ে থাকেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা।

এর ভিড়ে মাঝেমধ্যে ব্যাংকগুলোর শেয়ার দর দল বেঁধে বাড়ে, কিন্তু তা ধরে রাখা যায় না। গত ২৭ মে এক দিনে সব ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়ে যে অবস্থানে পৌঁছে, সেখান থেকে কমে লেনদেন হচ্ছে ২০টির মতো ব্যাংক। আর বেড়েছে ১০ থেকে ১২টির দর।

অথচ চলতি বছর যে লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন, তা অনেকটাই অপ্রত্যাশিত বলা যায়। করোনার বছরে ব্যাংকের আয় কমে আসবে- এমন আশঙ্কায় শেয়ার দর কমছিল, কিন্তু বছর শেষে দেখা যায়, আয় আসলে বেড়েছে। আর লভ্যাংশও বাড়িয়েছে বেশির ভাগ ব্যাংক।

চলতি বছর অর্ধবার্ষিক মুনাফার যে হিসাব প্রকাশ হয়েছে, তাতেও আয়ে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে বেশির ভাগ ব্যাংকের। কোনো কোনো ব্যাংকের আয় দ্বিগুণ হয়েছে, কোনোটির দেড় গুণ, কোনোটির আড়াই গুণ, কোনোটির তিন গুণ, কোনোটির প্রায় চার গুণ হয়েছে। এমন ব্যাংকও আছে, যেটি গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আয় করেছে এই সময়ে।

এর মধ্যেও ব্যাংকের শেয়ার দর যখন ঝিমোচ্ছে, তখন মঙ্গলবার ৩২টি ব্যাংকের মধ্যে লেনদেন হওয়া ৩১টিরই শেয়ার দর বেড়েছে। এর মধ্যে চারটির দাম বাড়ে দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। অর্থাৎ ১০ শতাংশ অথবা আশপাশে। ৫ থেকে ৯ শতাংশের আশপাশে দাম বাড়ে আরও বেশ কয়েকটির।

সেদিন লেনদেন স্থগিত থাকা ন্যাশনাল ব্যাংক, টানা লোকসানে থাকা আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, নতুন তালিকাভুক্ত সাউথবাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের দর আজও বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। কিন্তু এর বাইরে কেবল ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ১০ পয়সা। কমেছে বাকি ২৮টির দর।

ব্যাংকের দল বেঁধে উত্থানের পর দিনই দল বেঁধে পতনের এই চিত্র এ খাতটি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি আর অনিশ্চয়তার বিষয়টিই সামনে নিয়ে এসেছে।

ব্যাংকের ‘পুরোনো রোগ’, উত্থানের পুঁজিবাজারে ছন্দপতন

লোকসানি ব্যাংক টানা উত্থানে

ব্যাংক খাতের লাভজনক কোম্পানির আয় যখন আরও বাড়ছে, সে সময় দাম বাড়লে লোকসানি আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের। ওরিয়েন্টাল ব্যাংক থাকাকাল ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবে যাওয়া ব্যাংকটি ২০০৬ সালে পুনর্গঠন করেও লাভের মুখ দেখতে না পারা ব্যাংকটি চলতি বছরেও লোকসানেই আছে।

করোনাকালে ব্যাংক খাতের মুনাফা ব্যাপক বাড়লেও আইসিবি ইসলামী নামে পরিচালিত ব্যাংকটি লোকসান কমাতে পারেনি এক পয়সাও। কিন্তু গত এক বছরে গোটা খাতের মধ্যে এই কোম্পানিটির শেয়ারদরই বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।

এই সময়ে শেয়ারটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩ টাকা ২০ পয়সা। আজ দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৩০ পয়সা।

আগের দুই দিনের ধারাবাহিকতায় আজও ব্যাংকটি শেয়ারদর দিনের সর্বোচ্চ সীমায় গিয়ে লেনেদেন শেষ করেছে।

নিয়মিত আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দিয়ে আসছে এমন পুরনো কোম্পানি ঢাকা ব্যাংক, প্রিমিয়ার, এক্মিম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, এনসিসি, ওয়ান ব্যাংকের দাম ছাড়িয়ে গেল নতুন তালিকাভুক্ত সাউথ বাংলার শেয়ারদর। মার্কেন্টাইল ব্যাংক ছুঁই ছুঁই দাম এখন এটির।

গত সপ্তাহে লেনদেন শুরুর পর থেকে টানা ৫ কর্মদিবস সর্বোচ্চ পরিমাণে বেড়ে দাম হয়ে গেছে ১৬ টাকা।

তৃতীয় যে ব্যাংকটির দাম দিনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে সেটি হলো এনবিএল। আগের দিন রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন স্থগিত ছিল ব্যাংকটির। চলতি বছরের ঘোষিত লভ্যাংশ ৫ শতাংশ সমন্বয় হওয়ার পর শেয়ারের দাম হয় ৭ টাকা ৬০ পয়সা। সেখান থেকে এক দিনে বাড়ার সুযোগ ছিল ৭০ পয়সা। গোটা খাতে মন্দার দিন এই পরিমাণই বাড়ল দাম।

আর আগের দিন দল বেঁধে দাম বৃদ্ধির পরদিন দাম কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা কী হারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা বোঝা যায় কিছু ব্যাংকের লেনেদেনে।

আগের দিন ৪০ পয়সা দাম বেড়েছিল এবি ব্যাংকের, আজ কমেছে ৬০ পয়সা। একই পরিমাণ দাম বেড়েছিল আল আরাফাহর। আজ কমেছে ১ টাকা ৩০ পয়সা।

ওয়ান ব্যাংকের দাম বেড়েছিল ৮০ পয়সা, আজ কমেছে ৬০ পয়সা। এনসিসির দাম বেড়িছিল ৭০ পয়সা, আজ কমেছে ৫০ পয়সা। ঢাকা ব্যাংকের দাম বেড়েছিল ৮০ পয়সা, আজ কমেছে ৪০ পয়সা। ইসলামী ব্যাংকে দাম বেড়েছিল ৯০ পয়সা, আজ কমেছে ৭০ পয়সা।

৪টি কোম্পানির দাম বৃদ্ধির ভিড়ে ২৮টির পতনের দিন লেনদেনও কমে গেছে। আগের দিন যেখানে হাতবদল হয়েছিল ৪৫২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, আজ হয়েছে ৩৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

ব্যাংকের মতোই চিত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। এই খাত টানা দুই কর্মদিবস বাড়ার পর পতনও হলো দুই দিন।

খাতটির ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে তিনটির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৮টির। লেনদেন নেমে এসেছে ২২৫ কোটি ২৬ লাখ টাকায়। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৩৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

দরপতন হয়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতেও। চলতি বছর রেকর্ড লভ্যাংশও এই খাতটিকে আকর্ষণীয় করতে পারেনি। ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে কেবল ৫টির। পড়ে গেছে ২৫টির। আর অপরিবর্তিত ছিল বাকি ৬টির দর। লেনদেনও কমে গেছে। হাতবদল হয়েছে ৫২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার ইউনিট। আগের দিন লেনদেন ছিল ৭৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার।

ব্যাংকের ‘পুরোনো রোগ’, উত্থানের পুঁজিবাজারে ছন্দপতন

উজ্জ্বল দুই খাত

দরপতনের দিনটিতে পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে গত জুন থেকে সংশোধনে থাকা বিমা খাত। টানা দুই দিন দাম বাড়ল এই খাতের শেয়ারগুলোর।

সবচেয়ে বেশি ১২ টাকা ১০ পয়সা বা ৮.৯৯ শতাংশ বেড়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের দর। তবে দর বৃদ্ধি পাওয়া বাকি ৩৬টির হার খুব একটা বেশি নয়। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর বেড়েছে ২.৯৪ আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা রূপালী লাইফের ২.৮৮ শতাংশ।

তবে শেয়ারদর বাড়লেও লেনদেন কমেছে। সব মিলিয়ে বিমা খাতে হাতবদল হয়েছে ১৬৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা যা আগের দিন ছিল ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

টানা এক বছর ঝিমুতে থাকা বিমা খাত সম্প্রতি যে গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে, তার আরেকটি নমুনা দেখা গেল আজ।

এদিন সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায় দুই নম্বরে উঠে আসে শাহজিবাজার পাওয়ার। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৯.৭৯ শতাংশ। এক দিনে এর চেয়ে বেশি বাড়ার সুযোগ ছিল না।

তবে টানা দুই দিন বৃদ্ধি পাওয়ার পর কমেছে কেপিসিএলের দর। সব মিলিয়ে ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৮টির। কমেছে ৫টির।

এই খাতে ব্যাপকভাবে বেড়েছে লেনদেন। আজ হাতবদল হয়েছে ২৫৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার। যা আগের দিন ছিল ১৫৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

অন্যান্য খাতের যে অবস্থা

আগের দিন দরপতন হওয়া বস্ত্র খাত বেলা একটা পর্যন্ত উজ্জ্বলই দেখাচ্ছিল। তবে শেষ দেড় ঘণ্টায় দাম পড়ে যায় শেয়ারের।

শেষ পর্যন্ত ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম কমে যায় ৩৪টির। বাড়ে ১৭টির। আর অপরিবর্তিত থাকে বাকি ৭টির দর। লেনদেন কমেছে এই খাতেও। মোট হাতবদল হয়েছে ৩৭৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৪০৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। এই খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে লেনদেন স্থগিত একটির। বাকিগুলোর মধ্যে ১৩টির দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৬টির দর। আর অপরিবর্তিত ছিল একটির।

এই খাতে লেনদেনও বেড়েছে। সব মিলিয়ে হাতবদল হয়েছে ২৪১ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২১৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। এই খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮টির, কমেছে ৯টির, একটির লেনদেন স্থগিত ছিল। আর দুটির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

লেনদেন হয়েছে মোট ৫৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৮২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

প্রকৌশল খাতে লেনদেন কমে গেছে। হাতবদল হয়েছে ২০১ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ২৫৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

এই খাতের ৪২টি কোম্পনির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫টির। কমেছে ২৭টির।

বিবিধ খাতের বড় মূলধনী কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের দাম বৃদ্ধি পাওয়া সূচকের বড় পতনের হাত থেকে রক্ষার পাশাপাশি এই খাতে লেনদেনও বাড়িয়েছে। আগের দিন শেয়ার দর কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছিল ১০১ টাকা ৭০ পয়সা। আজ সেটা বেড়ে হয়েছে ১০৫ টাকা ৬০ পয়সা। লেনদেনে যথারীতি সেরা এই কোম্পানিটিই। একটি কোম্পানিতেই লেনদেন হয়েছে ১৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

এই খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে বেক্সিমকো ছাড়া বেড়েছে আর তিনটির দর। সব মিলিয়ে লেনদেন ১৭৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৬৭ কোটি ১২ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন:
দাম বাড়লেও ধরে রাখতে পারে না ব্যাংকের শেয়ার
আয় বাড়ল ব্যাংক এশিয়ারও
আয় দ্বিগুণের বেশি বাড়ল ব্র্যাক ব্যাংকেরও
সাউথইস্ট ব্যাংক: এক বছরের আয়ের দেড় গুণ ৬ মাসে
ব্যাংকে সুদিনের হাওয়া লাগেনি এমটিবিতে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
The bodies of Bangladeshi youth were hanging on the border

সীমান্তের ওপারে গাছে ঝুলছিলো বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ

সীমান্তের ওপারে গাছে ঝুলছিলো বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ

সীমান্তের ওপারে ভারতের ভেতরে সিলেটের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উৎমাছড়া সীমান্তের ওপারে জাকারিয়া আহমদ (২৩) নামের ওই যুবকের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে বলে খবর পান পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি বিজিবি ও পুলিশকে জানিয়েছে পরিবার।

নিহত জাকারিয়া (২৩) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার লামারগ্রাম কামালবস্তির আলাউদ্দিন আলাইয়ের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে জাকারিয়া বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১২৫৭ নম্বর মেইন পিলারের ২০ নম্বর ছাফ পিলারের নিকটবর্তী ভারতের অভ্যন্তরে একটি গাছের ডালে দড়িতে ঝুলন্ত একটি মরদেহ দেখা গেছে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর নিহত ব্যক্তির পরিবার মরদেহটি জাকারিয়ার বলে শনাক্ত করে।

তার পরিবারের সদস্যরা জানান, গত সোমবার একই ইউনিয়নের কাকরাইল গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে জাকারিয়ার বিয়ে হয়েছিল।

সিলেট কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ জানান, ‘সীমান্তের পিলারের ওপারে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধারের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)র উৎমাছড়া ক্যাম্পের কমান্ডারের সাথে আলাপ হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হলে পরবর্তীতে বিজিবি ও পুলিশের সদস্যরা গিয়ে লাশ উদ্ধার করতে পারবে। যেহেতু সীমান্তের ওপারে তাই কিছু আইনি জটিলতার জন্য লাশ উদ্ধারে বিলম্ব হচ্ছে।’

এদিকে , বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) উৎমা বিওপি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) সমন্বয়ে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Four grams flooded the Flood Control Dam of the Muhuri River in Fenis Phulgazi

ফেনীর  ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে চার গ্রাম প্লাবিত

ফেনীর  ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে চার গ্রাম প্লাবিত

কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ফেনীর ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর একটি স্থানে বাঁধ ভেঙে লোকালয় পানি ঢুকেছে । এতে চার গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ২০২৪ এর স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার বছর না পেরোতেই আবারও বাঁধ ভাঙনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দায়সারা কাজকে দুষছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জনগণ বলছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারের দায়সারা সংস্কার ও মেরামতের কারণে এখানকার জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাত ১০টার দিকে এ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ১০টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর বরইয়া বণিকপাড়া সহদেব বৈদ্যের বাড়ি-সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধের একটি স্থানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় জনগণ প্রাণপণ চেষ্টা করেও এ ভাঙ্গন ঠেকাতে পারেনি।

এতে উত্তর বরইয়া, দক্ষিণ বরইয়া, বণিকপাড়া, বসন্তপুর এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এ ছাড়া গতকাল সন্ধ্যা থেকে ফুলগাজী তরকারি বাজার-সংলগ্ন স্থানে মুহুরী নদীর পানি প্রবেশ করে বাজারের একটি অংশ প্লাবিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বৃষ্টি না

হাওয়ায় ফুলগাজী বাজার থেকে পানি নেমে গেছে।

প্রতি বছর দায়সারা বাঁধ মেরামত ও নদী সংস্কার না করার কারনে স্থানীয় এলাকাবাসী পানি উন্নয়ন বোর্ডেকে এজন্য দায়ী করছেন। এখানকার জনগণ প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পানিতে প্লাবিত হওয়ার কারণে কোন ত্রাণ নয়, তারা চায় টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত।

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার ফেনীর ফুলগাজী বাজার ও ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শন করেছেন। তিনি স্থানীয় জনগণকে আতঙ্কিত না হয় সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় ফেনীতে নদীর পানি বাড়ছে। তবে মুহুরী নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। বাঁধের ভাঙ্গন স্থল রক্ষায় স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের নিরাপত্তায় আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
BNP delegation is going to visit China under the leadership of Mirza Fakhrul

মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপি প্রতিনিধি দল

মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপি প্রতিনিধি দল

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে আগামী রবিবার (২২ জুন) চীন সফরে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য সৈয়দ সায়রুল কবীর খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই সফরের জন্য বিএনপিকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছে সিপিসি।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও দলীয় পর্যায়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ই এই সফরের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। সায়রুল কবীর আরও জানান, মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির চার সদস্য— মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এ ছাড়া, চেয়ারপারসনের তিন উপদেষ্টা— জহির উদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জাবিউল্লাহ ও অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া এবং দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলও প্রতিনিধিদলে রয়েছেন।

সফর শুরুর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিনিধিদলটি ঢাকায় চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে চীনা দূতাবাসে সাক্ষাৎ করে বলেও জানান তিনি।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিবেচিত চীনের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক গভীর করার প্রত্যাশারই প্রতিফলনই এই সফর। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

এদিকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপিকে একটি ‘প্রতীক্ষমাণ সরকার’ হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেক পর্যবেক্ষক, যার অপেক্ষা চলছে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত।

এই সফরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চীনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেখছেন বিএনপি নেতারা। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর চীন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিএনপি, সদ্য-গঠিত এনসিপি ও কিছু ইসলামপন্থী দল।

এর আগে, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আটটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে গঠিত একটি ২১ সদস্যের ‘অনন্য’ প্রতিনিধিদল ১১ দিনের সফরে চীন যায়।

ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। চীনা কর্তৃপক্ষ জানায়, গত আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে বহুদলীয় সম্পর্ক জোরদারের কৌশলের অংশ হিসেবেই এই সফর আয়োজন করা হয়।

১১ দিনের সফরে প্রতিনিধিদলটি বেইজিং, শানশি এবং ইউনান প্রদেশে সিপিসির কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Pushin to 5 more through the Feni border

ফেনী সীমান্ত দিয়ে আরো ১১ জনকে পুশইন

ফেনী সীমান্ত দিয়ে আরো ১১ জনকে পুশইন

ফেনীর ছাগলনাইয়ার যশপুর সীমান্তের মটুয়া এলাকা দিয়ে ১১ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিজিবি জানায়, গভীর রাতে ফেনী ব্যাটালিয়নের টহলদল ছাগলনাইয়া উপজেলার যশপুরের মটুয়া এলাকায় টহল দেওয়ার সময় শিশুসহ ১১ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করে। তাদের মধ্যে একজন পুরুষ, সাতজন মহিলা ও তিনজন শিশু আছে। বিজিবি আরো জানায়, বিএসএফ রাতের অন্ধকার ও বৈরী আবহাওয়ার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে এবং সুকৌশলে বাংলাদেশে পুশইন করে। আটককৃতরা জানায়, তারা বাসা বাড়ির কাজ ও বিভিন্ন কাজের উদ্দেশে চোরাইপথে বিভিন্ন সময় দালালের মাধ্যমে বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে।

আটককৃতদের থেকে প্রাপ্ত জন্ম নিবন্ধন ও এনআইডি সূত্রে জানা যায়, তারা সকলে বাংলাদেশের নাগরিক, তাদের বাড়ি ঝিনাইদহ, যশোর, সাতক্ষীরায়। বিজিবি প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশী নাগরিক নিশ্চিত হয়ে আটককৃতদের ছাগলনাইয়া থানায় হস্তান্তরের করেছে।

আটককৃতরা হলেন: নড়াইল জেলার কালিয়া থানার যাদবপুর গ্রামের মৃত হাসান শেখের পুত্র মো. রাসেল হাসান শেখ (৩৩), একই গ্রামের মৃত আবু বক্কর এর মেয়ে শ্যামলী খাতুন (৩৫), একই জেলার নড়াইল থানার পলি ডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল ফকিরের মেয়ে সোনালী খাতুন (৩২), যশোর থানার পেরুলিয়া গ্রামের রবিউল হকের স্ত্রী হোসনেয়ারা (৪০), একই জেলার নোয়াপাড়া থানার নওলী মোল্লা বাড়ি গ্রামের মৃত রৌশন মোল্লার মেয়ে সালমা (৪৫), এই গ্রামের মৃত রৌশন মোল্লার মেয়ে মিনা (৪২), সাতক্ষীরা কলারোয়া থানার কাতপুর গ্রামের মৃত আকবর আলী মন্ডলের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৬০), একই গ্রামের প্রীত আনোয়ারুল হকের স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪৫), পুত্র জিয়ারুল (১১), পুত্র তৌহিদুল (০৯), পুত্র ইসমাইল (০৭)।

বিজিবি আরো জানায়, এ ঘটনায় ৪ বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার কর্তৃক প্রতিপক্ষ বিএসএফ কোম্পানী কমান্ডারকে মৌখিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক কর্তৃক প্রতিবাদলিপি প্রেরণ করা হয়েছে। পুশইন প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
The water hut is now at the Awami League office in Phulbaria

ফুলবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এখন পানের হাট

ফুলবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এখন পানের হাট

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার পোস্ট অফিস রোডের সরকারি বড়পুকুর পাড় ঘেঁষেই ছিল ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতন হলে ওই দলীয় কার্যালয়ে বসে পানের হাট। বিভিন্ন সময়ে সাংগঠনিক অনুষ্ঠান ছাড়াও একসময় আওয়ামী লীগের এই কার্যালয়টিতে প্রতিনিয়ত দেখা যেতো দলীয় নেতাকর্মীদের পদচারণা। ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময়ে কার্যালয়টি ভাঙচুর করে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

এ অফিসটিতে দলীয় কার্যক্রমে একসময় জৌলসময় থাকলেও দেশের পট পরিবর্তন পরবর্তী এখন আর কোন কিছুই নেই। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বসানো হয়েছে পানের হাট।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পান চাষিরা পানের হাটে পান বিক্রি করতে এসেছেন। পাশাপাশি পান ক্রয় করতে হাজির হয়েছেন স্থানীয় পাইকারও। আড়তদার ও পাইকাররা দর দাম নিয়ে হাঁক-ডাক ও করছেন। উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, সকালে শুরু হওয়া এই হাটে প্রায় দুই ঘণ্টা বিকিকিনি হয়। বিক্রি শেষে আড়তদারকে শতকরা ১০ টাকা হারে টাকা দিতে হয় কৃষকদের।

পাটুলি এলাকার কাদের মিয়া বলেন, আগে এটি আওয়ামী লীগের অফিস ছিল, হাসিনা পালানোর পর থেকে এটি পরিত্যক্ত। তাই এখানে পানের হাট বসানো হয়েছে। সবাই এখানে পান নিয়ে আসে তাই আমরাও পান বিক্রি করতে নিয়ে আসছি। আলমগির ও সুজাৎ বলেন, এই পানের হাটে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শতাধিক পান চাষি ও পাইকাররা উপস্থিত হন। এই হাটে মুটামুটি বেশ ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে। পান নিয়ে আসা কৃষক ও পাইকাররা জানান, এ পানের বাজারে আড়ৎদারির মাধ্যমে পান বিক্রি হয়। আর এ আড়তদারের দায়িত্বে রয়েছেন আবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
The activities of the office are underway in the risky building in Kaliakoir

কালিয়াকৈরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ৮ দপ্তরের কার্যক্রম

প্রায়ই খসে পড়ছে ছোট-বড় পলেস্তারা
কালিয়াকৈরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ৮ দপ্তরের কার্যক্রম

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সরকারি ভবনের ছাদের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায়ই খসে পড়ছে পলেস্তারা। দেয়ালের পলেস্তারে দেখা দিয়েছে ছোট-বড় অংসখ্য ফাটলের দাগ। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে থাকে। আর যেকোনো সময় মাথার ওপর ছাদ ধ্বসে পড়ার ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন ৮ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। তবে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এলাকাবাসী, সেবা প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার একটি ৩ তলা ভবনে উপজেলা হিসাব রক্ষক, মৎস্য, সমাজসেবা, মহিলা বিষয়ক, যুব উন্নয়ন, সমবায়, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস এই ৮টি দপ্তরের কার্যক্রম চলে আসছে। কিন্তু দীর্ঘ দিনের পুরাতন ভবনটি দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ওই ভবনের ছাদের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় প্রায় ছোট-বড় পলেস্তার খসে পড়ছে। ফলে ছাদের রড ও ইটের সুরকি দেখা যাচ্ছে।

বিকল্প কোনো ভবন না থাকায় নিরুপায় হয়ে ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই সরকারি সেবা দিচ্ছেন বলে জানান অনেকে।

এদিকে, গত বুধবার বিকেলে এ ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপজেলা যুব উন্নয়ন দপ্তরের একটি অফিস কক্ষে হঠাৎ ছাদের বড় পলেস্তার খসে পড়ে সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জাহানারা খাতুনের টেবিল ও যন্ত্রপাতি ওপর। এতে টেবিলসহ কিছু আসবাবপত্রের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওই খসে পড়া পলেস্তারের কিছু অংশ ছিটকে অফিস সহকারী তমিজুর রহমানের হাতে পড়ে। এ সময় তিনি ভবন ধ্বসে পড়ার আতঙ্কে দৌড়ে অফিস থেকে নিচে নেমে আসে। শুধু ওই অফিস সহকারী নয়, ওই ভবনের অন্যান্য দপ্তরের উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও দৌড়ে নিচে নেমে যায়। এর আগেও ঈদুল আজহার ছুটি শেষে ২য় দিনে তৃতীয় তলায় ছাদের পলেস্তার খসে সিড়ির ওপর পড়ে। এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে ওই ৮ দপ্তরের ৪৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সরকারী সেবা দিচ্ছেন ও নিচ্ছেন। এছাড়াও পাশেই উপজেলা পরিষদের পরিত্যক্ত পুরাতন দ্বিতীয় তলা ভবন রয়েছে। ওই পুরাতন ভবনের কিছু অংশ কেটে গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই ভবনের এক তলার ছাদ ও বিম খসে খসে পড়ছে। সে জরাজীর্ণ ভবনটিও যেকোনো সময় ধ্বসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রতিদিন প্রায় শত শত মানুষ উপজেলার ১৭টি দপ্তরে যাতায়াত করে থাকেন। চলাচলরত সেবা গ্রহীতাসহ অন্যান্য লোকজন যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।

ওই উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস সহকারী বিএম তমিজুর রহমান বলেন, ‘ওইদিন হঠাৎ করেই আমাদের অফিসের ছাদের পলেস্তার একটি বড় অংশ খসে পড়ে। এর কিছু অংশ আমার হাতের ওপর পড়ে। অল্পর জন্য প্রাণে বেঁচে গেছি। পরে আমিসহ অন্যান্য দপ্তরের স্যাররাও আতঙ্কে তাড়াহুড়ো করে নিচে নেমে যাই।

সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী মুনসের আলী বলেন, ‘আমাদের অফিসের ভবনটি এখন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। হঠাৎ করেই ওই ভবনের ছাদ ও ভীমের বড় পলেস্তার খসে খসে পড়তে দেখা যায়।

সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জাহানারা খাতুন বলেন, ‘ওইদিন বিকেলে অফিস থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আমার টেবিলের ওপর ছাদের বড় প্লাস্টারের অংশ খসে পড়ে। এখনো আমার মাথার ওপর ছাদ ও দেওয়ালে আরো ফাটল আছে। আতঙ্কে আমার টেবিলে বসতে পারছি না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা কিভাবে অফিস করবো? মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে শিগগিরই জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙ্গে নতুন একটি ভবন নির্মাণ করা উচিত।

এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বাছেদ জানান, আজকেই এখানে যোগদান করেছি। তবে খুব দ্রুতই খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ জানান, ছাদের পলেস্তার খসে পড়ার বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যক্রমের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তবে ওই ভবনে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের পক্ষ থেকে যাতে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করেণ তার জন্য প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
The ladder has to rise on the bridge of Tk 1 crore

৬ কোটি টাকার সেতুতে ওঠতে হয় মই বেয়ে

ভোগান্তিতে ২০ গ্রামের মানুষ
৬ কোটি টাকার সেতুতে ওঠতে হয় মই বেয়ে

বরগুনার আমতলী উপজেলার আমড়াগাছিয়া নামক স্থানে সোয়া ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে গুলিশাখালী খালের ওপরে নির্মিত সেতুটি কোনো কাজে আসছে না। মই বেয়ে ওঠতে হয় সেতুতে। যা রীতিমতো ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী, কুকুয়া ও চাওড়া এই তিন ইউনিয়নের সংযোগস্থল আমড়াগাছিয়া বাজারের পশ্চিমপাশে গুলিশাখালী খালের ওপর ৬৬ মিটার দৈর্ঘ্য ৬.৭৭ মিটার প্রস্থের এই গার্ডার সেতু ৬ কোটি ২২ লাখ ৫৮ হাজার ৩২৩ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণের চুক্তি করে বরগুনা এলজিইডি। কাজটি পায় বরিশালের মেসার্স কহিনুর এন্টার প্রাইজ অ্যান্ড ত্রিপুরা জেভি নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ সালের ১৯ মে কার্যাদেশ পেয়ে কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালের জুনে নির্ধারিত সময়ের আগেই মূল সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেন। কিন্ত বিপত্তি দেখা দেয় সংযোগ সড়ক নির্মাণ নিয়ে। সেতুর পশ্চিম পাশের সেতুর ঢালের ৫ ফুটের মাথায় রয়েছে পূর্ব খেকুয়ানি গ্রামের চলাচলের জন্য সড়ক। সেতুর ডিজাইন এবং উচ্চতা অনুযায়ী সংযোগ সড়ক নির্মাণ করলে এই সড়কটি বন্ধ হয়ে যাবে এ নিয়ে দেখা দেয় বিপত্তি।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সেতু নির্মাণের ১১ মাস ধরে সংযোগ সড়ক ছাড়া এভাবে পরে আছে। এতে তিন ইউনিয়নের ২০ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পড়েছে ভোগান্তিতে। যাতায়াতের জন্য স্থানীয়রা সেতুর পশ্চিম পারে কাঠ ও বাঁশের মই বানিয়ে কোনো রকমে যাতায়াতের উপযোগী করে চলাচল করছে। এই মই বেয়ে বয়স্ক ও শিশুরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। কোনো ধরনের যানবাহন সেতুতে ওঠতে না পারায় পণ্য পরিবহনে নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। পণ্য পরিবহন করতে দশ কি. মি. ঘুরে মহিষকাটা সেতু পাড় হয়ে যেতে হচ্ছে তাদের। গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। এতে ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেতুটি গুলিশাখালী, চাওড়া ও কুকুয়া এই তিন ইউনিয়নের সংযোগস্থল । এই সেতু পার হয়ে গুলিশাখালী ইউনিয়নের পূর্ব খেকুয়ানী, গুলিশাখালী, ডালাচারা, বাইবুনিয়া, কলাগাছিয়া গ্রামের শত শত মানুষ আমতলী সদর, বরিশাল, ঢাকাসহ সারা দেশে চলাচল করে। চাওড়া ও কুকুয়া ইউনিয়নের মানুষও এই সেতু পার হয়ে গুলিশাখালী ইউনিয়নে যাতায়াত করেন। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় আমাদের চলাচলে অনেক কষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে পণ্য পরিবহন, রোগী আনা-নেওয়ায় অনেক সমস্যা হচ্ছে। মরদেহ আনা-নেওয়ায়ও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। দ্রুতই সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে যাতায়াতের সুব্যবস্থার দাবি করছেন এলাকাবাসী । ঠিকাদার মো. কাওছার মিয়া বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই মূল সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করেছি। সংযোগ সড়কের জন্য আলাদা দরপত্র হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ পাবে তারাই কাজ করবে। এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস মিয়া বলেন, সেতুর উচ্চতা অনুযায়ী সংযোগ সড়ক তৈরি করতে গেলে পাশের একটি সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। সে কারণে বিকল্প হিসেবে সেখানে আন্ডারপাস নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যাতে মূল সড়কটি ঠিক থাকে। এতে ব্যয় কিছুটা বাড়বে। এ লক্ষ্যে নতুন করে নকশা ও বাজেট তৈরি করে প্রকল্প পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন পেলেই দরপত্র আহ্বান করে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।

মন্তব্য

p
উপরে