× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
Rhythm in the capital market of the rise of the old disease of the bank
google_news print-icon

ব্যাংকের ‘পুরোনো রোগ’, উত্থানের পুঁজিবাজারে ছন্দপতন

ব্যাংকের-পুরোনো-রোগ-উত্থানের-পুঁজিবাজারে-ছন্দপতন
মাঝেমধ্যে ব্যাংকগুলোর শেয়ার দর দল বেঁধে বাড়ে, কিন্তু তা ধরে রাখা যায় না। গত ২৭ মার্চ সব ব্যাংকের ব্যাপক দর বৃদ্ধির পরদিনই পতন হয়েছিল। মঙ্গলবার উত্থানের পরদিনও দেখা গেল সেই একই চিত্র। ব্যাংকের দল বেঁধে উত্থানের পরদিনই দল বেঁধে পতনের এই চিত্র এই খাতটি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি আর অনিশ্চয়তার বিষয়টিই সামনে নিয়ে এসেছে।

ব্যাংকের শেয়ারের দাম দল বেঁধে বাড়লেও তা ধরে রাখতে না পেরে পরের দিনই পতনের যে বিষয়টি এর আগে একাধিকবার ঘটেছে, তা আবারও দেখা গেল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। সব কটি ব্যাংকের শেয়ার দর বৃদ্ধির পরদিন দু-একটি বাদে কমে গেল সিংহভাগের দাম।

ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যাপক দরপতন ঘটল আর্থিক খাতেও। দিনের প্রায় পুরোটা সময় উত্থান হলেও শেষ বেলায় বস্ত্র খাতেও দেখা গেল দরপতন। প্রকৌশল খাতেও দিনটি ভালো যায়নি।

সব মিলিয়ে উত্থানে থাকা পুঁজিবাজারে ছন্দপতন হলো। সকাল ১০টা থেকে লেনদেন শুরু হয়ে বেলা পৌনে একটা পর্যন্ত উত্থানে থাকলেও শেষ পৌনে দুই ঘণ্টায় বিক্রয়ের চাপে সূচকের পতন হলো।

দিন শেষে ১৫ পয়েন্টের পতনে সূচকের অবস্থান ৬ হাজার ৭৭১ পয়েন্ট। অবশ্য এক পর্যায়ে সূচক এখান থেকে ৫০ পয়েন্ট বেশি ছিল। লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টার মধ্যে সূচক এক পর্যায়ে উঠে যায় ৬ হাজার ৮২১ পয়েন্টে। তখন আশা করা হচ্ছিল আরও একটি ঝলমলে দিন বুঝি এলো পুঁজিবাজারে।

তবে শেষ পর্যন্ত যত কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে তার প্রায় দেড় গুণ। দর সংশোধনের দিন লেনদেনও কমে গেছে।

দিন শেষে ১৩৮টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২১৬টির। অপরিবর্তিত ছিল বাকি ২০টির দর। লেনদেন নেমেছে আড়াই হাজার কোটি টাকার নিচে। হাতবদল হয়েছে ২ হাজার ৪৬৫ কোটি ৫৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল২ হাজার ৬৭৩ কোটি ৪৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।

ব্যাংকের ‘পুরোনো রোগ’, উত্থানের পুঁজিবাজারে ছন্দপতন
চার কর্মদিবস পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের পতন হলো বাংক খাতের শেয়ারগুলো দর হারানোর কারণে

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পুঁজিবাজারে চাঙাভাবে মূল্য সূচক প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেলেও তার পুরোপুরি ছাপ নেই ব্যাংক খাতে।

সবচেয়ে বড় বাজার মূলধনের খাতটিতে শেয়ারের দাম একেবারে বাড়েনি এমন নয়। তবে কোম্পানিগুলো যে লভ্যাংশ দিয়েছে এবং চলতি বছর যে হারে তারা আয় করেছে, শেয়ারপ্রতি যে সম্পদমূল্য আছে, এসবের বিবেচনায় শেয়ার দর অবমূল্যায়িত বলেই মত দিয়ে থাকেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা।

এর ভিড়ে মাঝেমধ্যে ব্যাংকগুলোর শেয়ার দর দল বেঁধে বাড়ে, কিন্তু তা ধরে রাখা যায় না। গত ২৭ মে এক দিনে সব ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়ে যে অবস্থানে পৌঁছে, সেখান থেকে কমে লেনদেন হচ্ছে ২০টির মতো ব্যাংক। আর বেড়েছে ১০ থেকে ১২টির দর।

অথচ চলতি বছর যে লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন, তা অনেকটাই অপ্রত্যাশিত বলা যায়। করোনার বছরে ব্যাংকের আয় কমে আসবে- এমন আশঙ্কায় শেয়ার দর কমছিল, কিন্তু বছর শেষে দেখা যায়, আয় আসলে বেড়েছে। আর লভ্যাংশও বাড়িয়েছে বেশির ভাগ ব্যাংক।

চলতি বছর অর্ধবার্ষিক মুনাফার যে হিসাব প্রকাশ হয়েছে, তাতেও আয়ে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে বেশির ভাগ ব্যাংকের। কোনো কোনো ব্যাংকের আয় দ্বিগুণ হয়েছে, কোনোটির দেড় গুণ, কোনোটির আড়াই গুণ, কোনোটির তিন গুণ, কোনোটির প্রায় চার গুণ হয়েছে। এমন ব্যাংকও আছে, যেটি গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আয় করেছে এই সময়ে।

এর মধ্যেও ব্যাংকের শেয়ার দর যখন ঝিমোচ্ছে, তখন মঙ্গলবার ৩২টি ব্যাংকের মধ্যে লেনদেন হওয়া ৩১টিরই শেয়ার দর বেড়েছে। এর মধ্যে চারটির দাম বাড়ে দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। অর্থাৎ ১০ শতাংশ অথবা আশপাশে। ৫ থেকে ৯ শতাংশের আশপাশে দাম বাড়ে আরও বেশ কয়েকটির।

সেদিন লেনদেন স্থগিত থাকা ন্যাশনাল ব্যাংক, টানা লোকসানে থাকা আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, নতুন তালিকাভুক্ত সাউথবাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের দর আজও বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। কিন্তু এর বাইরে কেবল ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ১০ পয়সা। কমেছে বাকি ২৮টির দর।

ব্যাংকের দল বেঁধে উত্থানের পর দিনই দল বেঁধে পতনের এই চিত্র এ খাতটি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি আর অনিশ্চয়তার বিষয়টিই সামনে নিয়ে এসেছে।

ব্যাংকের ‘পুরোনো রোগ’, উত্থানের পুঁজিবাজারে ছন্দপতন

লোকসানি ব্যাংক টানা উত্থানে

ব্যাংক খাতের লাভজনক কোম্পানির আয় যখন আরও বাড়ছে, সে সময় দাম বাড়লে লোকসানি আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের। ওরিয়েন্টাল ব্যাংক থাকাকাল ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবে যাওয়া ব্যাংকটি ২০০৬ সালে পুনর্গঠন করেও লাভের মুখ দেখতে না পারা ব্যাংকটি চলতি বছরেও লোকসানেই আছে।

করোনাকালে ব্যাংক খাতের মুনাফা ব্যাপক বাড়লেও আইসিবি ইসলামী নামে পরিচালিত ব্যাংকটি লোকসান কমাতে পারেনি এক পয়সাও। কিন্তু গত এক বছরে গোটা খাতের মধ্যে এই কোম্পানিটির শেয়ারদরই বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।

এই সময়ে শেয়ারটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩ টাকা ২০ পয়সা। আজ দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৩০ পয়সা।

আগের দুই দিনের ধারাবাহিকতায় আজও ব্যাংকটি শেয়ারদর দিনের সর্বোচ্চ সীমায় গিয়ে লেনেদেন শেষ করেছে।

নিয়মিত আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দিয়ে আসছে এমন পুরনো কোম্পানি ঢাকা ব্যাংক, প্রিমিয়ার, এক্মিম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, এনসিসি, ওয়ান ব্যাংকের দাম ছাড়িয়ে গেল নতুন তালিকাভুক্ত সাউথ বাংলার শেয়ারদর। মার্কেন্টাইল ব্যাংক ছুঁই ছুঁই দাম এখন এটির।

গত সপ্তাহে লেনদেন শুরুর পর থেকে টানা ৫ কর্মদিবস সর্বোচ্চ পরিমাণে বেড়ে দাম হয়ে গেছে ১৬ টাকা।

তৃতীয় যে ব্যাংকটির দাম দিনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে সেটি হলো এনবিএল। আগের দিন রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন স্থগিত ছিল ব্যাংকটির। চলতি বছরের ঘোষিত লভ্যাংশ ৫ শতাংশ সমন্বয় হওয়ার পর শেয়ারের দাম হয় ৭ টাকা ৬০ পয়সা। সেখান থেকে এক দিনে বাড়ার সুযোগ ছিল ৭০ পয়সা। গোটা খাতে মন্দার দিন এই পরিমাণই বাড়ল দাম।

আর আগের দিন দল বেঁধে দাম বৃদ্ধির পরদিন দাম কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা কী হারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা বোঝা যায় কিছু ব্যাংকের লেনেদেনে।

আগের দিন ৪০ পয়সা দাম বেড়েছিল এবি ব্যাংকের, আজ কমেছে ৬০ পয়সা। একই পরিমাণ দাম বেড়েছিল আল আরাফাহর। আজ কমেছে ১ টাকা ৩০ পয়সা।

ওয়ান ব্যাংকের দাম বেড়েছিল ৮০ পয়সা, আজ কমেছে ৬০ পয়সা। এনসিসির দাম বেড়িছিল ৭০ পয়সা, আজ কমেছে ৫০ পয়সা। ঢাকা ব্যাংকের দাম বেড়েছিল ৮০ পয়সা, আজ কমেছে ৪০ পয়সা। ইসলামী ব্যাংকে দাম বেড়েছিল ৯০ পয়সা, আজ কমেছে ৭০ পয়সা।

৪টি কোম্পানির দাম বৃদ্ধির ভিড়ে ২৮টির পতনের দিন লেনদেনও কমে গেছে। আগের দিন যেখানে হাতবদল হয়েছিল ৪৫২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, আজ হয়েছে ৩৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

ব্যাংকের মতোই চিত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। এই খাত টানা দুই কর্মদিবস বাড়ার পর পতনও হলো দুই দিন।

খাতটির ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে তিনটির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৮টির। লেনদেন নেমে এসেছে ২২৫ কোটি ২৬ লাখ টাকায়। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৩৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

দরপতন হয়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতেও। চলতি বছর রেকর্ড লভ্যাংশও এই খাতটিকে আকর্ষণীয় করতে পারেনি। ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে কেবল ৫টির। পড়ে গেছে ২৫টির। আর অপরিবর্তিত ছিল বাকি ৬টির দর। লেনদেনও কমে গেছে। হাতবদল হয়েছে ৫২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার ইউনিট। আগের দিন লেনদেন ছিল ৭৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার।

ব্যাংকের ‘পুরোনো রোগ’, উত্থানের পুঁজিবাজারে ছন্দপতন

উজ্জ্বল দুই খাত

দরপতনের দিনটিতে পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে গত জুন থেকে সংশোধনে থাকা বিমা খাত। টানা দুই দিন দাম বাড়ল এই খাতের শেয়ারগুলোর।

সবচেয়ে বেশি ১২ টাকা ১০ পয়সা বা ৮.৯৯ শতাংশ বেড়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের দর। তবে দর বৃদ্ধি পাওয়া বাকি ৩৬টির হার খুব একটা বেশি নয়। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর বেড়েছে ২.৯৪ আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা রূপালী লাইফের ২.৮৮ শতাংশ।

তবে শেয়ারদর বাড়লেও লেনদেন কমেছে। সব মিলিয়ে বিমা খাতে হাতবদল হয়েছে ১৬৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা যা আগের দিন ছিল ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

টানা এক বছর ঝিমুতে থাকা বিমা খাত সম্প্রতি যে গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে, তার আরেকটি নমুনা দেখা গেল আজ।

এদিন সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায় দুই নম্বরে উঠে আসে শাহজিবাজার পাওয়ার। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৯.৭৯ শতাংশ। এক দিনে এর চেয়ে বেশি বাড়ার সুযোগ ছিল না।

তবে টানা দুই দিন বৃদ্ধি পাওয়ার পর কমেছে কেপিসিএলের দর। সব মিলিয়ে ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৮টির। কমেছে ৫টির।

এই খাতে ব্যাপকভাবে বেড়েছে লেনদেন। আজ হাতবদল হয়েছে ২৫৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার। যা আগের দিন ছিল ১৫৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

অন্যান্য খাতের যে অবস্থা

আগের দিন দরপতন হওয়া বস্ত্র খাত বেলা একটা পর্যন্ত উজ্জ্বলই দেখাচ্ছিল। তবে শেষ দেড় ঘণ্টায় দাম পড়ে যায় শেয়ারের।

শেষ পর্যন্ত ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম কমে যায় ৩৪টির। বাড়ে ১৭টির। আর অপরিবর্তিত থাকে বাকি ৭টির দর। লেনদেন কমেছে এই খাতেও। মোট হাতবদল হয়েছে ৩৭৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৪০৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। এই খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে লেনদেন স্থগিত একটির। বাকিগুলোর মধ্যে ১৩টির দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৬টির দর। আর অপরিবর্তিত ছিল একটির।

এই খাতে লেনদেনও বেড়েছে। সব মিলিয়ে হাতবদল হয়েছে ২৪১ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২১৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। এই খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮টির, কমেছে ৯টির, একটির লেনদেন স্থগিত ছিল। আর দুটির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

লেনদেন হয়েছে মোট ৫৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৮২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

প্রকৌশল খাতে লেনদেন কমে গেছে। হাতবদল হয়েছে ২০১ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ২৫৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

এই খাতের ৪২টি কোম্পনির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫টির। কমেছে ২৭টির।

বিবিধ খাতের বড় মূলধনী কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের দাম বৃদ্ধি পাওয়া সূচকের বড় পতনের হাত থেকে রক্ষার পাশাপাশি এই খাতে লেনদেনও বাড়িয়েছে। আগের দিন শেয়ার দর কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছিল ১০১ টাকা ৭০ পয়সা। আজ সেটা বেড়ে হয়েছে ১০৫ টাকা ৬০ পয়সা। লেনদেনে যথারীতি সেরা এই কোম্পানিটিই। একটি কোম্পানিতেই লেনদেন হয়েছে ১৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

এই খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে বেক্সিমকো ছাড়া বেড়েছে আর তিনটির দর। সব মিলিয়ে লেনদেন ১৭৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৬৭ কোটি ১২ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন:
দাম বাড়লেও ধরে রাখতে পারে না ব্যাংকের শেয়ার
আয় বাড়ল ব্যাংক এশিয়ারও
আয় দ্বিগুণের বেশি বাড়ল ব্র্যাক ব্যাংকেরও
সাউথইস্ট ব্যাংক: এক বছরের আয়ের দেড় গুণ ৬ মাসে
ব্যাংকে সুদিনের হাওয়া লাগেনি এমটিবিতে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
The body of a young man who fell into the pipe of an abandoned tubewell was recovered

পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার

পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার তৎপরতা। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয়রা জানান, বিএমডিএর গভীর নলকূপটির পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, নতুন করে আরেকটি গভীর নলকূপ কিছুদিন আগে বসানো হয়, ফলে আগেরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ছিল। ওই পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপের মধ্যেই পড়ে যান রনি বর্মন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে একটি পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের মধ্যে পড়ে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ১১টার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের পূর্ব নেমাজপুর গ্রামে মাঠের মধ্যে থাকা ওই পাইপ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন।

বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মানসিক প্রতিবন্ধী রনি বর্মনকে (২৩) অবশেষে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, বিএমডিএর গভীর নলকূপটির পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, নতুন করে আরেকটি গভীর নলকূপ কিছুদিন আগে বসানো হয়, ফলে আগেরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ছিল। ওই পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপের মধ্যেই পড়ে যান রনি বর্মন।

নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারেকুর রহমান জানান, প্রায় ৫ ঘণ্টার বেশি সময়ের চেষ্টায় বিকেলে সোয়া ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রনি বর্মনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এখন আইনি প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

স্থানীয়রা জানান, রনি বর্মন গভীর নলকূপের ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতেন। সকালে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের কাছে গেলে,পড়ে যান। এ সময় মাঠের কয়েকজন কৃষক ওই নলকূপের কাছে পানি খাওয়ার জন্য এসেছিলেন, তারা ছেলেটির কান্নার আওয়াজ শুনে সবাইকে জানান, খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Manikganj student died after falling from madrasa roof

মানিকগঞ্জে মাদ্রাসার ছাদ থেকে পড়ে ছাত্রী নিহত

মানিকগঞ্জে মাদ্রাসার ছাদ থেকে পড়ে ছাত্রী নিহত ফাইল ছবি
মাদ্রাসার শিক্ষিকা শারমিন আক্তার জানান, সকালে ক্লাসের ফাঁকে মাদ্রাসার ছাদে খেলাধুলা করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাদ্রাসার ভবনের চার তলা থেকে নিচে পড়ে যায়।

মানিকগঞ্জে মাদ্রাসার ছাদে খেলার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে পড়ে মাহিয়া আক্তার নামের এক ছাত্রী নিহত হয়েছে।

শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার বাসস্ট্যান্ডের কাছে অবস্থিত আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

১৭ বছর বয়সী মাহিয়া আক্তার মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বড় কালিয়াকৈর এলাকার আল মামুনের মেয়ে। সে আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্রী ছিল।

মাদ্রাসার শিক্ষিকা শারমিন আক্তার জানান, সকালে ক্লাসের ফাঁকে মাদ্রাসার ছাদে খেলাধুলা করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাদ্রাসার ভবনের চার তলা থেকে নিচে পড়ে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছিল, কিন্তু ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. হাবিল হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Two land office officials were injured in an attack by land robbers in Sherpur

শেরপুরে ‘ভূমিদস্যুদের’ হামলায় ভূমি অফিসের দুই কর্মকর্তা আহত

শেরপুরে ‘ভূমিদস্যুদের’ হামলায় ভূমি অফিসের দুই কর্মকর্তা আহত হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত সার্ভেয়ার শহীদুল। ছবি: নিউজবাংলা
আহত সার্ভেয়ার ও নায়েব বলেন, লসমনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকার মো. সেলিম মিয়া ও তার ছেলেসহ আরও কয়েকজন এ হামলা চালান। হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু। তাদের নামে শেরপুর সি আর আমলী আদালতে জাল দলিল তৈরি করে ভূমি জালিয়াতি করায় সরকার পক্ষের একটি মামলা চলছে। এরই জেরে তারা পরিকল্পিত এ হামলা চালিয়েছেন।

শেরপুরে দুর্বৃত্তের হামলায় ভূমি অফিসের দুই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ঘটনার পর হামলাকারীরা ‘ভূমিদস্যু’ বলে অভিযোগ করেছেন আহত কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের নন্দীবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত দুই কর্মকর্তা হলেন- সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. শহীদুল ও কামারেরচর ভূমি অফিসের নায়েব শহীদুল ইসলাম।

শেরপুর সদর থানার ওসি এমদাদুল হক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার কামারেরচর থেকে কাজ শেষে মোটরসাইকেলে শহরে ফেরার পথে শেরপুর-জামালপুর সড়কের নন্দীবাজার এলাকায় কয়েকজন ব্যক্তি ওই দুই কর্মকর্তার গতিরোধ করেন। এ সময় সার্ভেয়ার মোটরসাইকেলটি থামানোর সঙ্গে সঙ্গে অতর্কিত পেছন থেকে তাদের দুজনকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিতে থাকে এবং একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে সার্ভেয়ার শহীদুলের মাথায় আঘাত করে। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

এরপর স্থানীয়রা তাদের শেরপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে আহত সার্ভেয়ার শহীদুল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অপরজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যান।

আহত সার্ভেয়ার ও নায়েব বলেন, লসমনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকার মো. সেলিম মিয়া ও তার ছেলেসহ আরও কয়েকজন এ হামলা চালান। হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু। তাদের নামে শেরপুর সি আর আমলী আদালতে জাল দলিল তৈরি করে ভূমি জালিয়াতি করায় সরকার পক্ষের একটি মামলা চলছে। এরই জেরে তারা পরিকল্পিত এ হামলা চালিয়েছেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তারা।

আরও পড়ুন:
‘নারকেল ভাগাভাগি’ নিয়ে মারামারিতে নারীসহ ৮ জন আহত
১৭০ টাকার জন্য বসতঘরে হামলা, নারীকে পেটানোর অভিযোগ
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় সিডনির হামলা

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Pakistan also appreciates development of Bangladesh BNP does not Kader

পাকিস্তানও বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে, বিএনপি করে না: কাদের

পাকিস্তানও বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে, বিএনপি করে না: কাদের ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে এতটা হীন মনোবৃত্তির পরিচয় তারা দিচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে তাদের বাস্তবতা বোঝা উচিত।’

বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেন, অথচ বিএনপি দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে এতটা হীন মনোবৃত্তির পরিচয় তারা দিচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে তাদের বাস্তবতা বোঝা উচিত।’

শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। খবর বাসসের

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে বিএনপি নেতাদের প্রকৃত সত্য শিক্ষা নেয়ার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত। তখন পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই অনেক উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপি যতটা অপপ্রচার করে তাদের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে প্রকৃত সত্য শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।

বৃহস্পতিবার করাচিতে সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দেয়া বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে তাকালে এখন তাদের লজ্জা হয়। সে সময় ‘পূর্ব পাকিস্তানকে’ দেশের বোঝা মনে করা হতো। কিন্তু তারা শিল্পায়নের প্রবৃদ্ধিতে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব যুদ্ধ-সংঘাতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। বিশ্ব জনমতকে উপেক্ষা করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আগ্রাসী অভিযান শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সব প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Saree lungi for eight rupees

আট টাকায় শাড়ি, লুঙ্গি

আট টাকায় শাড়ি, লুঙ্গি কুড়িগ্রামে ভ্রাম্যমাণ শাড়ি লুঙ্গির হাটের আয়োজন করেছে ‘ফাইট আনটিল লাইট (ফুল)’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ছবি: নিউজবাংলা
ফাইট আনটিল লাইটের নির্বাহী পরিচালক আবদুল কাদের বলেন, ‘আমরা ত্রাণে নয়, বিনিময়ে উপহার দিয়ে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে চাই। তাই অসহায় বাবা-মায়ের কাছে মাত্র ৮ টাকার বিনিময়ে শাড়ি লুঙ্গি বিক্রি করার ব্যবস্থা করছি।’

কুড়িগ্রামে শতাধিক দুস্থ অসহায় বাবা মায়ের জন্য ভ্রাম্যমাণ শাড়ি লুঙ্গির হাটের আয়োজন করেছে ফাইট আনটিল লাইট (ফুল) নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

ভ্রাম্যমাণ এ হাটে আট টাকা দরে একটি শাড়ি, একটি লুঙ্গি এবং দুই টাকায় একটি ব্লাউজের পিস বিক্রি করা হয়।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নের কুমোরপুর দাখিল উলুম মাদ্রাসা মাঠে শুক্রবার দুপুরে এসব শাড়ি, লুঙ্গি বিক্রি করা হয়েছে।

আট টাকায় শাড়ি পেয়ে বৃদ্ধ আমেনা বেওয়া বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে একটা শাড়ির দাম নিম্নে ৩০০ টাকা। সেই শাড়ি আট টাকায় পেয়ে খুব উপকার হলো।’

লুঙ্গি পেয়ে হামিদ মিয়া বলেন, ‘৬৫ বছর বয়সে কোন দিন দেহি নাই আট টাহায় এহান (একটা) লুঙ্গি পাওয়া যায়। আইজ সেই আট টাহায় লুঙ্গি কিনলাম। খুব খুশি নাগছে।’

ভোগডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, “‘ফুল’ দীর্ঘদিন ধরে জেলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অসহায় বাবা মাকে নিয়ে কাজ করে আসছে। তাদের আজকের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”

ফাইট আনটিল লাইটের নির্বাহী পরিচালক আবদুল কাদের বলেন, ‘কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সামাজিক সংগঠন ফুল শহর গ্রাম ও প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের মানুষ মাঝে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নে এক যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছে।

‘আমরা ত্রাণে নয়, বিনিময়ে উপহার দিয়ে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে চাই। তাই অসহায় বাবা-মায়ের কাছে মাত্র আট টাকার বিনিময়ে শাড়ি লুঙ্গি বিক্রি করার ব্যবস্থা করছি।’

আরও পড়ুন:
পাঁচ বছর ধরে দুই শতাধিক মুসল্লির ইফতার আয়োজন করছে মসজিদটি
রামপালে ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে হুমকি, অভিযোগ গৃহবধূর স্বামীর
ভুটানের রাজা আসবেন কুড়িগ্রামে
যার হাত ধরে কুড়িগ্রামের টুপি মধ্যপ্রাচ্যে
একুশে পদকের পর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন কুড়িগ্রামের আব্রাহাম লিংকন

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
The maximum temperature of the season in Chuadanga is 42 7 degrees

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি, মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি, মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ প্রচণ্ড গরম মাথায় নিয়ে কাজে নামতে হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার লোকজনকে। ছবি: নিউজবাংলা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র দাবদাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।’

অতি তীব্র দাবদাহের মধ্যে মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।

সীমান্তবর্তী জেলাটিতে শুক্রবার বেলা তিনটায় ৪২ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

জেলায় অতি তীব্র দাবদাহে ওষ্ঠাগত জনজীবন। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়।

তীব্র গরমে চুয়াডাঙ্গার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে গরমজনিত রোগী। এতে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ।

পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম। তা ছাড়া অতি গরমে নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা গ্রামের কৃষক আবু তালেব বলেন, ‘এই তাপে মাঠে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। ভ্যাপসা গরমে কৃষিকাজ করা যাচ্ছে না।

‘ধানের জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। ধানে বেশি সেচ লাগছে, কিন্তু সেচ পাম্পে ঠিকমতো পানিও উঠছে না।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র দাবদাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।’

দেশের কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ বইছে ধরা হয়।

তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র দাবদাহ ধরা হয়। অন্যদিকে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে বলা হয় অতি তীব্র দাবদাহ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানায়, চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
ছয় জেলায় তীব্র দাবদাহ, দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
দাবদাহে পুড়ছে জীবন, পুড়বে আরও
নতুন করে ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
দাবদাহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
গাছহীন সড়কটি যেন ‘উত্তপ্ত কড়াই’

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Thailand visit milestone in bilateral relations PM

থাইল্যান্ড সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী

থাইল্যান্ড সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের গভর্নর হাউসে শুক্রবার বৈঠকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসন ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই সরকারি সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে, যা আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।’

থাইল্যান্ডে রাষ্ট্রীয় সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির গভর্নর হাউসে শুক্রবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি ও আইসিটি খাতে সহযোগিতা জোরদারের সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে অনুভব করি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি, আইসিটি, জনগণ থেকে জনগণে যোগাযোগ ও সংযোগের ক্ষেত্রে এবং বিমসটেকের অধীনে আমাদের সহযোগিতা জোরদার করার সুযোগ রয়েছে।’

এর আগে দুই নেতা গভর্নর হাউসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেয়ার আগে ১৫ মিনিটের জন্য একান্ত বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি—একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি লেটার অফ ইনটেন্ট (এলওআই) সই করা হয়।

মধ্যাহ্নভোজে শেখ হাসিনা বলেন, নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বন্ধুত্ব আমাদের ঐতিহাসিক, ভাষাগত ও অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন, জনগণ থেকে জনগণে যোগাযোগ ও সংযোগসহ সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে আমাদের দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন ও তিনি পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা করতে এবং দুই দেশের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে আরও আলাপ-আলোচনাকে উৎসাহিত করতে সম্মত হয়েছি। একইভাবে দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগের প্রসার ও সুবিধার্থে আমাদের সব রকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘শুক্রবার ঢাকা ও ব্যাংকক যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে, তা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি দৃঢ় কাঠামো প্রদান করবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, সফরটি ‘প্রতিবেশী’ নীতির বৃহত্তর ফোকাসের অংশ, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গতি আরও নবায়নের জন্য দুই দেশকে চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, এই সফর আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করতে সাহায্য করবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, এই সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় গতি সঞ্চার করবে।

তিনি বলেন, ‘এই সরকারি সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে, যা আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।

‘আগামী দিনগুলোয় আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আমাদের সম্পর্কের নতুন গতি বজায় রাখতে হবে।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের হাসপাতাল, অর্থনৈতিক অঞ্চলে থাই বিনিয়োগ চান শেখ হাসিনা
থাইল্যান্ডে থাভিসিন-শেখ হাসিনা বৈঠক
যুদ্ধকে ‘না’ বলুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে, লাল গালিচা সংবর্ধনা
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ

মন্তব্য

p
উপরে