পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের হিস্যা নিয়ে তুলকালাম ঘটে গেছে সম্প্রতি। বিমা খাতের শেয়ারদর যখন ক্রমে বাড়ছিল, তখন জুনে চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ বা সিএসই প্রকাশ করে যে, এক মাসে কোম্পানির বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।
জানানো হয়, জুন শেষে ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ৩৬.৬২ শতাংশ ধারণ করে আছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। মে মাস শেষে মোট শেয়ারের ১৬.৩৫ শতাংশ ছিল তাদের হাতে। ৩০ এপ্রিলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ছিল ২২.১৯ শতাংশ শেয়ার। আর ৩১ মে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১.৯২ শতাংশ।
এই খবরে তেঁতে উঠে কোম্পানিটির শেয়ার দর। কিন্তু পরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে প্রকাশ পায় এই কোম্পানির শেয়ার উল্টো মে মাসে বিক্রি করেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।
এই হিসাব অনুযায়ী এপ্রিলে ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ১৬.৩৬ শতাংশ ছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে। মে মাসে সেই শেয়ারের অর্ধেক বিক্রি করে দেন। মে শেষে তাদের হিস্যা ছিল ৮.০৮ শতাংশ।
এই বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর কোম্পানিটির শেয়ারদরে ধস নামে।
ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার সংখ্যার ভুল হিসাব নিয়ে অনলাইনে যে ব্যাপক প্রচার চলেছিল, প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, এটা বুঝি কারসাজি। কিন্তু পরে প্রকাশ পায় এটি চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ, তথা সিএসইর ভুল।
এটিই একমাত্র ভুল নয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ তথা ডিএসইর সঙ্গে সিএসইর তথ্যে প্রায়ই হেরফের ঘটে।
ডিএসইতে প্রতি মাসের তথ্য নিয়মিত হালনাগাত করা হয় না। প্রায়ই দেখা যায় সিএসইতে হালনাগাত করা হয়, কিন্তু সে তথ্য থাকে ভুল।
রবির শেয়ারের হিসাব দুই মাস পর প্রকাশ পেয়েছে ডিএসইতে। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডিএসই প্রকাশ করেছে জুন ও জুলাই মাসের তথ্য। তাদের তথ্য অনুযায়ী জুলাইয়ের শেষে কোম্পানির শেয়ারের ১.৭৩ শতাংশ ছিল সাধারণ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে। জুন শেষে ছিল ১.৯২ শতাংশ।
তবে কিছুদিন আগে সিএসইর ওয়েসবাইট অনুযায়ী জুলাই শেষে দুই শতাংশের বেশি শেয়ার ছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে। তবে এখন তা সংশোধন করে জুন শেষে হিসাব রাখা হয়েছে। এখন আর জুলাই শেষে হিসাব দেয়া নেই।
রিং সাইন টেক্সটাইলে ডিএসইতে হিসাব আছে গত ডিসেম্বরের। হিসাব অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ারের ১৬.২৩ শতাংশ ছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হিস্যা ০.০৫ শতাংশ আর ৫২.১৮ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
অন্যদিকে সিএসইতে আছে গত ৩০ জুন পর্যন্ত হিসাব। এতে বলা হচ্ছে কোম্পানির শেয়ারের ২০.৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা, ০.১৩ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আর ৪৭.৮৩ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ধারণ করে আছেন।
সিএসই এই হিসাব পেলে ডিএসই কেন পাবে না। আবার সিএসই রবি ও ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের সেই হিসাব কোথায় পেল- এমন অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের মনে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো জবাব কোনো স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ দেয় না। কর্তা ব্যক্তিরা দায়সারা বক্তব্য দিয়ে থাকেন প্রশ্নের মুখে।
সম্প্রতি সময়ে পুঁজিবাজার বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। শেয়ার কারা বিক্রি করছে, আর কারা শেয়ার কিনছে তা নিয়ে প্রতিনিয়তই ঢু মারছে ডিএসই ও সিএসইতে।
প্রতি মাসের কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক, প্রাতিষ্ঠানিক, সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণের তথ্য দেয়ার বিধান থাকলেও তারও কোনো সঠিক তথ্য নেই ডিএসই বা সিএসইর কাছে।
ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওয়েবসাইটে প্রতি মাসেই কোম্পানির তথ্য আপডেট করার বিধান আছে। তবে তা কোম্পানির পক্ষ থেকে পাওয়া সাপেক্ষে।’
সিএসইতে আপডেট থাকলেও ডিএসইতে কেন আপডেট থাকে না প্রশ্নে শফিকুর রহমান বলেন, ‘কোম্পানির যখন তথ্য প্রদান করে তখন ডিএসই ও সিএসই উভয় জায়গায় প্রেরণ করে। যদি ডিএসইতে আপডেট না থাকে তাহলে কোন কোন কোম্পানির ক্ষেত্রে এমনটি হয়েছে তা জানালে সংশ্লিষ্ট বিভাগে আমরা পাঠিয়ে দেব।’
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিনিয়র অফিসার ও মুখপাত্র তানিয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের কাছে কোম্পানি থেকে যে তথ্য আসে সেটি আপডেট করা হয়।’
তাহলে এত ভুল হয় কেন- এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘কোথায় কোথায় ভুল হয়েছে, আমাদের কাছে নিউজ পাঠিয়ে দেন। আমরা ঠিক করে নিচ্ছি।’
এটি গণমাধ্যমের কাজ কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে আমি একা বিষয়টা দেখি না। আমাদের একটি ডিপার্টমেন্ট আছে, যারা বিষয়টি দেখে।’
নিউজবাংলার প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট জবাব অবশ্য শেষ পর্যন্ত তার কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক দেবব্রত কুমার সরকার এই বিষয়গুলোকে দুঃখজনক উল্লেখ করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ তথ্যগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কোন মাসে কার কাছে কত শেয়ার আছে তা দেখে অনেক বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। আর বিশেষ করে এ তথ্যগুলো কোম্পানির ফান্ডমেন্টালও প্রদর্শন করে।
‘কোনো মাসে প্রাতিষ্ঠানিকরা যখন শেয়ার বিক্রি করে দেয়, তখন সেটি দেখে ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীরা এক ধরনের সিদ্ধান্ত নেন। আবার যখন প্রাতিষ্ঠানিক বা বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনে, তখন তারা আবার আরেক ধরনের সিদ্ধান্ত নেন। ফলে এটি আপডেট রাখার জন্য ডিএসই ও সিএসইর অবশ্যই আরও আন্তরিক হওয়া উচিত।’
বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাতে বলেন, ‘কোম্পানির পক্ষ থেকে তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে ওয়েবসাইটে আপডেট করার নিয়ম আছে। তবে দুই ওয়েব সাইটে দুরকম তথ্য থাকার কথা নয়।’
কিন্তু এটা তো হচ্ছে- এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগেও কোম্পানিগুলোর মাসভিত্তিক তথ্য আপডেট করে কমিশনকে জানাতে ডিএসই ও সিএসইকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। প্রয়োজনে আবারও রিমাইন্ডার দিয়ে চিঠি দেয়া হবে।’
তথ্যে যত গরমিল
আগস্ট মাসের ১৫ তারিখ শেষ হলেও ডিএসইতে খুলনা পাওয়ার প্লান্ট লিমিটেড-কেপিসিএলের শেয়ারের হিস্যার হিসাব আছে গত জুন মাসের হিসাব। এতে দেখানো হয়েছে, কোম্পানির শেয়ারের ০.৫২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক আর ০.০১ শতাংশ বিদেশি আর ২৯. ৪৮ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
তবে সিএসই হিসাব দিয়েছে জুলাই মাসের। সেখানে বলা হচ্ছে, এখন মোট শেয়ারের ৮.৪৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক, ০.২১ শতাংশ বিদেশি আর ২১.৩৫ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।
এই তথ্য সঠিক হলে জুলাই মাসে ৩ কোটি ১৫ লাখের বেশি শেয়ার কিনেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আর ৮ লাখের বেশি কিনেছে বিদেশি বিনিয়োগকারী।
কিন্তু ডিএসইর হিসাব বলছে, জুলাই মাসে কোম্পানির মোট শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৮০ লাখের কম আর ৫ লাখের বেশি সিএসইতে।
তাহলে শেয়ারের এমন হিস্যা কীভাবে হলো?- এমন প্রশ্নে সিএসই মুখপাত্র তানিয়া বেগম বলেন, ‘কোনো তথ্যে ভুল থাকলে সেটি জানালে সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ করে জানাতে হবে।’
এমারেল্ড অয়েল কোম্পানির ক্ষেত্রেও জটিলতা আরো বড়। ডিএসই ও সিএসইতে জুন -জুলাই পর্যন্ত তথ্য থাকলেও তথ্যের আছে বড় গড়মিল।
ডিএসই বলছে, জুলাই মাসে কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ১২.০৬ শতাংশ শেয়ার আছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৯.৬৮ শতাংশ।
অথচ সিএসই প্রকাশ করেছিল ২২.১৯ শতাংশ শেয়ার আছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৩৯.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ ১০ শতাংশ শেয়ার জুলাইয়ে কিনেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।
কিন্তু ডিএসইতে জুলাইয়ের হিসাব প্রকাশ করার পর সংশোধন করে সিএসই। এখন তারাও বলছে, মোট শেয়ারের ১২.০৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক আর ৪৯.৬৮ শতাংশ ধারণ করে আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের শেয়ারের হিস্যা নিয়ে ডিএসই বা সিএসই- কোথাও হালনাগাদ তথ্য নেই।
২০১৭ সালের জুলাই মাসে কার কাছে কত শেয়ার আছে তার উল্লেখ আছে। অথচ এরপর আরও চারটি বছর কেটে গেছে।
ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের জুন মাস পর্যন্ত তথ্য আছে ডিএসইতে। আর জুলাই মাস পর্যন্ত তথ্য আছে সিএসইতে।
ডিএসই বলছে জুন মাসে কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ১৪.১৬ শতাংশ শেয়ার আছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৪৩.৯১ শতাংশ।
সিএসই বলছে, জুলাইয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে শেয়ারের ১৩.২৬ শতাংশ আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৪৪.৮১ শতাংশ।
দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই ফ্যামিটি টেক্সের হিসাব দেয়া আছে গত ৩১ মের। জুন ও জুলাইয়ের তথ্য এখনও হালনাগাদ করা হয়নি। এই তথ্য অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ারের ১৮.৪১ শতাংশ আছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আর ৭৭.৫৭ শতাংশ আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
তাল্লু স্পিনিংয়ের বিষয়ে ডিএসইতে আছে জুন মাসের তথ্য। তবে জুলাই মাসের তথ্য প্রদর্শন করছে।
ডিএসইতে বলা আছে, জুন শেষে কোম্পানির মোট শেয়ারের ২১.৬৭ শতাংশ শেয়ার ছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে।
সিএসই বলছে, জুলাই শেষে শেয়ারের ২১.৪৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আর ৪৮.৩৯ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে।
মিথুন নিটিংয়ের শেয়ারের হিস্যা ডিএসইতে আছে জুন মাসের আর সিএসইতে জুলাই মাসের।
ডিএসই বলছে, জুন শেষে শেয়ারের ১৫.৩২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক আর ৬৭.৩২ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। আর সিএসই বলছে, জুলাই শেষে কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ১৫.৪৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৬৭.১৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য