× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
Investors looking for closed and loss making companies
google_news print-icon

বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানির খোঁজে বিনিয়োগকারীরা

বন্ধ-ও-লোকসানি-কোম্পানির-খোঁজে-বিনিয়োগকারীরা
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বেশ কিছু বন্ধ, লোকসানি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে সেগুলোতে প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে উৎপাদনে চলে আসে আলহাজ টেক্সটাইল ও রিংশাইন টেক্সটাইল। আর এমারেল্ড অয়েল আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। তিনটি কোম্পানি সফল হলেও যেগুলোর সাফল্যের সম্ভাবনা ক্ষীণ, সেগুলোরও শেয়ার দর বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আবার বোর্ড পুনর্গঠন হয়নি, এমন লোকসানি ও বন্ধ কোম্পানির শেয়ারেও হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা।

কোনো সম্পদ নেই, উল্টো শেয়ারপ্রতি দায় ১১৩ টাকা ৬৩ পয়সা। কোম্পানির রিজার্ভে কোনো অর্থ নেই, উল্টো দায় ২ হাজার ৭৪২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি ১২৬ টাকা ৩৬ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটি ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব এখনও প্রকাশ করেনি। তবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ টাকার শেয়ারে লোকসান ছিল ১১ টাকা ৩৮ পয়সা।

এমন একটি কোম্পানিতে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ থাকার কোনো যৌক্তিক কারণ ছিল না। কিন্তু তৈরি হয়েছে এই আগ্রহ। জুলাই থেকে আর্থিক খাতের ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের শেয়ার দর বেড়েছে ৪৯.২০ শতাংশ।

৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দাম ছিল ৬ টাকা ৩০ পয়সা। ১ থেকে ৪ জুন কোনো লেনদেনের রেকর্ড পাওয়া যায়নি। ৬ জুলাই কোম্পানিটির বোর্ড পুনর্গঠন করা হয় আর তার আগের কর্মদিবসে এক লাফে প্রায় ১০ শতাংশ দাম বেড়ে যায়। এরপর টানা বাড়তে বাড়তে দাম এখন ৯ টাকা ৪০ পয়সা।

অথচ গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেয়া ন্যাশনাল ব্যাংক বা এনবিএলের দাম এই ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ কম। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকটি চাপে থাকলেও ২০২০ সালে ৩৬১ কোটি টাকারও বেশি মুনাফা করেছে।

আলোচিত ব্যাংকার পি কে হালদার কেলেঙ্কারিতে ডুবেছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। একই ব্যাংকারের কারণে ডুবে যাওয়া ফাস ফিনান্সের দামও বেড়েছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের মতোই।

এই কোম্পানিটির বোর্ড পুনর্গঠন করা হয় গত ৩১ মার্চ। এই কোম্পানিটি ২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি লোকসান দিয়েছে ১০ টাকা ১২ পয়সা। তখন শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য মাত্র ১ টাকা ৯৩ পয়সা। তবে এখন নিশ্চিতভাবেই তা ঋণাত্মকে চলে গেছে। কারণ, গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি লোকসান দিয়েছে ৮ টাকা ৫৪ পয়সা। কোম্পানির রিজার্ভে দায় আছে ১ হাজার ২০২ কোটি ৮০ লাখ টাকার।

এমন দুর্বল কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠনেও সে সময় দামে উল্লম্ফন হয়নি। বরং ১ এপ্রিল এই সংবাদ আসার দিন সকালে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৪ টাকা ৭০ পয়সা। এক দিনে কমে যতটা সম্ভব ততটাই, ৪ টাকা ৩০ পয়সায় নেমে আসে।

কিন্তু এখন দাম ৮ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ এপ্রিল থেকে দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

একই দিন বোর্ড পুনর্গঠন করা লোকসানি ফারইস্ট ফিনান্সের শেয়ার মূল্য ছিল ৩ টাকা ৮০ পয়সা। কিন্তু দাম এখন ৮ টাকা ৯০ পয়সা। দাম হয়ে গেছে আড়াই গুণেরও বেশি।

তারও আগে ২২ জানুয়ারি বোর্ড পুনর্গঠন করা বিআইএফসি ২০১৮ সালের পূর্ণাঙ্গ আর্থিক বিবরণীই এখনও প্রকাশ করেনি। ২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি ৬৯ টাকা ৫৫ পয়সা লোকসান, ৬৬ টাকা ৪০ পয়সা দায়, ৭৬৯ কোটি ২০ লাখ টাকা ঋণাত্মক রিজার্ভ থাকা কোম্পানিটি ২০১৮ সালের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত কেবল হিসাব দিয়েছে। ২০১৮ সালে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৪ টাকা ৭৯ পয়সা, আর শেয়ারপ্রতি দায় ছিল ৮৪ টাকা ২৪ পয়সা।

এমন দুর্বল কোম্পানির শেয়ার দর বোর্ড পুনর্গঠনের আগের দিন ছিল ৪ টাকা ৭০ পয়সা। বর্তমান দাম ৭ টাকা।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বেশ কিছু বন্ধ, লোকসানি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে সেগুলোতে প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে উৎপাদনে চলে আসে আলহাজ টেক্সটাইল ও রিংশাইন টেক্সটাইল। আর এমারেল্ড অয়েল আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।

কোম্পানিগুলো কখন বা আদৌ চালু হবে কি না, এ নিয়ে সংশয় ছিল। তবে এখন বিনিয়োগকারীরা তাদের হারানো পুঁজি ফিরে পাওয়ার আশায় আছেন।

কিন্তু বিএসইসির বোর্ড পুনর্গঠন মানেই যে সব কোম্পানি উৎপাদনে আসবে এমন নয়। কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এর আগে নিউজবাংলাকে বলেছেন, নতুন বোর্ড কোম্পানির দায়, দেনা, সম্পদের বিষয়টি বিবেচনা করে তা অবসায়নেরও সুপারিশ করতে পারে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম নিউজবাংলাসহ কয়েকটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল ও ফ্যামিলি টেক্স নিয়ে তারা হতাশ। এগুলো আদৌ চালু করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। সে ক্ষেত্রে তারা মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করবেন।

তবে এ বিষয়ে এখনো বিএসইসির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি আর তার আগেই শেয়ার মূল্য বেড়ে গেছে বহুগুণ।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এই দুটি কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিএসইসি। সেদিন সিঅ্যান্ডএর শেয়ার মূল্য ছিল ২ টাকা আর ফ্যামিলি টেক্সের ছিল ২ টাকা ৭০ পয়সা।

সিঅ্যান্ডএর শেয়ারের বর্তমান দাম ৬ টাকা ৭০ পয়সা, আর ফ্যামিলি টেক্সের ৫ টাকা ৭০ পয়সা। সর্বশেষ কর্মদিবসে সিঅ্যান্ডএর শেয়ার মূল্য বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। অন্যদিকে ফ্যামিলি টেক্সের শেয়ার মূল্য দিনে সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা বাড়ার সুযোগ ছিল, বেড়েছে ৪০ পয়সা।

বোর্ড পুনর্গঠন বা মালিকানায় পরিবর্তন এলেই যে কোম্পানি ঘুরে দাঁড়াতে পারে না, তার উদাহরণ পুঁজিবাজারেই আছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবে যাওয়া ওরিয়েন্টাল ব্যাংককে পুনর্গঠন করে নতুন মালিকানা পরিবর্তন করেও ব্যাংকটিকে জাগানো সম্ভব হয়নি।

ব্যাংকটির পরিচালকদের মাধ্যমে ৬০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ডুবন্ত ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেয়া হয় ২০০৬ সালের ১৯ জুন। ব্যাংকটি অধিগ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর দুই বছর ধরে বেনামে থাকা শেয়ার বাজেয়াপ্ত করাসহ আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় একটি পুনর্গঠন স্কিম তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ওই স্কিমের আওতায় ৫০ শতাংশের বেশি শেয়ার মালয়েশিয়াভিত্তিক কোম্পানি আইসিবি ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপ হোল্ডিং এজি লিমিটেডের কাছে বিক্রি করা হয়। গত ১০ বছর ধরে এই গ্রুপের অধীনে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক নামে পরিচালিত হচ্ছে ব্যাংকটি। কিন্তু ১৩ বছরেও মুনাফার মুখ দেখেনি ব্যাংকটি। ফলে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি।

আইসিবি ইসলামী ব্যাংক মুনাফায় যদি ফেরেও, তার পরেও তার ১ হাজার ৮৩০ কোটি ৬৩ লাখ টাকার দায় কবে পূরণ করবে, তার নেই কোনো নিশ্চয়তা। ফলে আপাতত লভ্যাংশ পাওয়ার আশা না করাই ভালো।

এই ব্যাংকটি ১৩ বছরেও লাভের মুখ দেখতে না পারলেও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ফাস ফিনান্স বা ফারইস্ট ফিনান্সে কোন আশায় শেয়ার কিনছেন বিনিয়োগকারীরা, সে প্রশ্নের জবাব পাওয়া কঠিন।

বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানির খোঁজে বিনিয়োগকারীরা

বন্ধ, লোকসানি কোম্পানির দাম বাড়ল লাফিয়ে লাফিয়ে

এখন পুঁজিবাজারে এমন লোকসানি ও বন্ধ কোম্পানির জোয়ার। বোর্ড পুনর্গঠন হতে যাচ্ছে বা হয়েছে, এমন খবরেই সেই কোম্পানির শেয়ার নিয়ে তৈরি হচ্ছে হুলুস্থুল।

যেমন নুরানী ডায়িং। ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ৪১ পয়সা আর চলতি অর্থবছরে মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ৯৫ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ বলে গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমে খবর আসে। সোমবার কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য ছিল ১১ টাকা ৪০ পয়সা। দুই দিন টানা কমে বুধবার দাম দাঁড়ায় ৯ টাকা ৯০ পয়সা। আর দিন শেষে বিএসইসির বিজ্ঞপ্তি আসে কোম্পানিটির বোর্ড পুনর্গঠনে।

আর এ খবরে বৃহস্পতিবার আবার শেয়ার দর দেয় লাফ। সেদিন শেয়ার দর ৯০ পয়সা বাড়ার সুযোগ ছিল। বেড়েছেও তাই। আবার আতঙ্কে আগের দিন যত শেয়ার বিক্রি হয়েছিল, পরের দিন বিক্রি হয়েছে তার অর্ধেকেরও কম। অর্থাৎ দর আরও বাড়বে ভেবে তা ধরে রেখেছেন বিনিয়োগকারীরা।

বোর্ড পুনর্গঠন না হলেও আর্থিক খাতের লোকসানি ফার্স্ট ফিনান্সের শেয়ারদরও বাড়ছে তরতর করে।

২০২০ সালের চূড়ান্ত হিসাব এখনও প্রকাশ না করা কোম্পানিটি গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি লোকসান দিয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা। অথচ গত দুই কর্মদিবসে ৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে এনবিএলের সমান দাম ৮ টাকায় পৌঁছে গেছে। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ৪ টাকা ৩০ পয়সা।

মালিকানা বদল দাম বাড়ার আরেক অনুষঙ্গ। গত বছর শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ৬২ পয়সা ও ৩০ জুলাই সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে ১ টাকা ২১ পয়সা লোকসান দেয়া বিবিধ খাতের মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দর বাড়ছে গত ১৩ জুলাই থেকে। সেদিন শেয়ার দর ছিল ৩১ টাকা ২০ পয়সা, বর্তমান দাম ৪৫ টাকা ২০ পয়সা।

কোম্পানিটি নতুন মালিকের অধীনে যাচ্ছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে এবং এ খবরেই দামে এই ঊর্ধ্বগতি।

বস্ত্র খাতের তাল্লু স্পিনিংয়ের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। এই কোম্পানিটিরও মালিকানা বদলের গুঞ্জন আছে। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর লোকসান দেয়া কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাবই দেয়নি।

কোম্পানিটির শেয়ার দর বাড়ছে গত ৫ এপ্রিল থেকে। সেদিন দর ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা। বর্তমান দর ১১ টাকা ৫০ পয়সা। এর মধ্যে সবশেষ চার কর্মদিবসের মধ্যে তিনটিতে বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। গত ৩ আগস্টও দাম ছিল ৭ টাকা ৯০ পয়সা। এরপর ৫ কর্মদিবসে বেড়েছে ৪৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

বস্ত্র খাতেরই আরেক কোম্পানি তুংহাই নিটিং অ্যান্ড ডায়িং ২০১৭ সালের হিসাবই দেয়নি। কোম্পানিটি নিয়ে অন্ধকারে বিনিয়োগকারীরা। অথচ গত ৮ জুন থেকে দাম বেড়ে হয়ে গেছে আড়াই গুণ। সেদিন শেয়ার দর ছিল ৩ টাকা ২০ পয়সা। বর্তমান দর ৭ টাকা ৭০ পয়সা। তিন কর্মদিবসে দাম বেড়েছে ১৮.৪৬ শতাংশ।

মিথুন নিটিংয়ের দর গত ১ জুন ছিল ৯ টাকা ১০ পয়সা। বর্তমান দাম ১৮ টাকা। বেড়েছে প্রায় ১০০ শতাংশ। এর মধ্যে গত ২৯ জুলাইয়ের পর সাত কর্মদিবসে বেড়েছে ৫ টাকা। এই কয়দিনেই বেড়েছে ২৭.৭৭ শতাংশ।

বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানির খোঁজে বিনিয়োগকারীরা

সরকারি লোকসানি কোম্পানির দাম মুনাফায় ডুবে থাকা কোম্পানির চেয়ে কম

প্রতিবছর আকর্ষণীয় মুনাফা করা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি পাওয়ার গ্রিডের চেয়ে বেশি দাম লোকসানে জর্জরিত সরকারি চিনিকল শ্যামপুর সুগারের। কেবল চার কর্মদিবসে ২৮.২৯ শতাংশ বেড়ে ৬২ টাকা ২০ পয়সার শেয়ার হয়ে গেছে ৭৯ টাকা ৮০ পয়সা।

আরেক চিনিকল জিলবাংলা সুগারের দাম গত চার বছরে শেয়ারপ্রতি সর্বনিম্ন ১৮ টাকা ১৩ পয়সা মুনাফা করা যমুনা অয়েলের প্রায় কাছাকাছি। অথচ গত বছর শেয়ারপ্রতি ৯৩ টাকার বেশি লোকসান দেয়া জিলবাংলা ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে আরও ৪৭ টাকা ৮ পয়সা লোকসান দিয়ে আছে।

যমুনা অয়েলের শেয়ার মূল্য ১৭৮ টাকা ৭০ পয়সা আর জিলবাংলার ১৬৯ টাকা ২০ পয়সা।

জিলবাংলার দাম গত ২৭ জুলাই থেকে বেড়েছে ৮৮ শতাংশ।

এই দুটি কোম্পানিকে বিদেশি বিনিয়োগে আধুনিকায়ন করে চালুর পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে সরকার আর কেবল এ খবরেই এভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম।

অন্যদিকে উৎপাদন বন্ধ থাকা সিভিও পেট্রোক্যামিকেলকে আবার কাঁচামাল কনডেনসেট সরবরাহে রাজি হয়েছে সরকার। আর এতে তারা উৎপাদন শুরু করতে পারবে।
গ্যাসক্ষেত্রে গ্যাসের সঙ্গে কাদামাটি ও জ্বালানি তেলে পরিপূর্ণ আরও যে উপাদানগুলো আসে, তাকে বলে কনডেনসেট আর সেখান থেকে ডিজেল ও আরও কিছু উপাদান পাওয়া যায়। সেগুলো আলাদা করে বিক্রি করত কোম্পানিটি।

২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে কোম্পানিতে কাঁচামাল সরবরাহ বন্ধ করে দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিপিবি। এরপর থেকে উৎপাদন বন্ধ তাদের। সম্প্রতি বিপিসির সঙ্গে এ ধরনের কোম্পানিগুলোর সমঝোতা হয়েছে বলে খবর এসেছে। তবে এখনও আনুষ্ঠানিক কিছু জানানো হয়নি।

এই আলোচনা চলছে, এমন সংবাদে গত ২২ জুন থেকে দাম অল্প করে বাড়তে থাকে। সেদিন দাম ছিল ৮৩ টাকা ২০ পয়সা। আর সমঝোতা হওয়ার আগে ২ আগস্ট দাম ছিল ১১১ টাকা ৯০ পয়সা। সেখান থেকে মাত্র ছয় কর্মদিবসে দাম পৌঁছেছে ১৫৫ টাকা ৫০ পয়সা। এই কয়দিনেই বেড়েছে ৩৮.৯৬ শতাংশ।

উৎপাদন শুরুর আলোচনা থাকা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিডি ওয়েল্ডিংয়ের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা যায় গত ৬ ‍জুন থেকে। সেদিন দাম ছিল ১৫ টাকা ৭০ পয়সা। বর্তমান দাম ২৩ টাকা। এই কয় দিনে বেড়েছে ৪৬.৪৯ শতাংশ।

আরেক লোকসানি কোম্পানি জুট স্পিনার্সের পরিচালনা পর্ষদকে গত ২৫ মে আরও ১০টি কোম্পানির সঙ্গে তলব করে বিএসইসি। তলব করার দিন শেয়ার দর ছিল ৯৮ টাকা। বর্তমান দাম ১৫৮ টাকা। বেড়েছে ৬০ টাকা বা ৬১.২২ শতাংশ।

২০১২ সালের পর থেকে লোকসানের কারণে কখনও লভ্যাংশ দিতে না পারা কোম্পানিটি গত মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষে শেয়ারপ্রতি লোকসান দিয়েছে ৩৩ টাকা ৮৩ পয়সা। গত বছরে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১৪৭ টাকা ৪৪ পয়সা।

বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানির খোঁজে বিনিয়োগকারীরা
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ

ঝুঁকি কোথায়

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিনিয়োগকারীরা এসব জাংক শেয়ারে অতি নির্ভরশীল হলে দুটি ক্ষতি হতে পারে। উচ্চমূল্যে যারা শেয়ার কিনে থাকেন, পরে তারা দাম কমতে থাকলে লোকসান দিয়ে বের হতে পারেন না। বছর বছর লভ্যাংশ না আসায় এসব শেয়ার কম দামে কিনেই সমন্বয় করতে হয়। আবার একবার দাম বৃদ্ধির প্রবণতা বন্ধ হয়ে গেছে দ্বিতীয়বার সেই প্রবণতা আসতে সময় লাগে।

দ্বিতীয়ত, তুলনামূলক দাম কম হয় বলে মৌলভিত্তির ভালো কোম্পানিবিমুখ হয়ে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। যারা ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন, তারাও ভাবতে থাকেন, এসব কোম্পানিতে থেকে কী লাভ। তার চেয়ে জাংক শেয়ারে বিনিয়োগ লাভজনক। এতে বাজারে দীর্ঘমেয়াদে এক ধরনের আস্থার সংকট তৈরি হয়।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমানে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা যেভাবে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, সেটিকে অস্বাভাবিক আচরণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। বিনিয়োগকারীরা এখন ঢালাওভাবে লোকসানি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করছেন। তবে তারা সেসব কোম্পানি থেকে মুনাফাও পাচ্ছেন। ফলে এসব কোম্পানির প্রতি তাদের আগ্রহ বেশি।’

এ ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা কী, সেটিও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। বলেন, ‘এ ধরনের বিনিয়োগ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে লাস্ট বলটি যার হাতে থাকবে, তিনি লোকসানের মুখে পড়বেন।’

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএলের গবেষণা বিভাগের সাবেক প্রধান দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নানা কারণে একটি কোম্পানি লোকসানি হতে পারে। অনেক কোম্পানি আছে যেগুলো পরবর্তী সময়ে মুনাফা বা উৎপাদনে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি দুই ধরনের কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন করেছে। এখন বিনিয়োগকারীদের দেখতে হবে এর মধ্যে কোন কোম্পানিগুলো উৎপাদনে গিয়ে লোকসান কাটানোর সম্ভাবনা আছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন বিএসইসি লোকসানি কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন করে দিচ্ছে, কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়া বিনিয়োগকারীরা সেসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে একসময় তাই ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হবে।

‘দুর্বল নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেগুলো আছে সেগুলো অন্যান্য যেকোনো কোম্পানির তুলনায় অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। আর এই ঝুঁকি থেকে বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করতেই বিএসইসি সম্প্রতি এসব প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানির শেয়ার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, যা এসব কোম্পানিতে ঢালাও বিনিয়োগ কিছুটা বাধাগ্রস্ত হবে।’

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করেই সম্প্রতি কিছু কোম্পানির দর বৃদ্ধি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখানে এমন কোম্পানিও আছে, যেগুলোর বোর্ড পুনর্গঠন করে দিয়েছে কমিশন।’

আরও পড়ুন:
তদন্তের ধাক্কা কাটিয়ে উত্থান, বেক্সিমকো গ্রুপের রমরমা
বিএসইসির আদেশে পুঁজিবাজারে হঠাৎ উৎকণ্ঠা
বড় পতন থেকে রক্ষা ‘হতাশার ব্যাংকে’
‘নিলাম আতঙ্ক’ কাটিয়ে ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ লেনদেন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
ECNEC meeting chaired by the chief adviser

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Coxs Bazar Airport will start partially in international flights in mid October

কক্সবাজার বিমানবন্দরে অক্টোবরের মাঝামাঝি আংশিকভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে

কক্সবাজার বিমানবন্দরে অক্টোবরের মাঝামাঝি আংশিকভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে

কক্সবাজার বিমানবন্দরে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আংশিকভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরুর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকী।

রবিবার দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।

চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকী বলেন, 'আমরা আজকে বিমানবন্দরের দ্বিতীয় টার্মিনাল ও সাগরের বুকে নির্মিত হওয়া রানওয়ের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছি। তাতে মনে হয়েছে আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আংশিকভাবে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, 'কত শতাংশ কাজ শেষে তা বলা না গেলেও তবে মাঝামাঝি সময়ে শুরু করা সম্ভব। যার জন্য আমাদের প্রস্তুতি শেষের পথে।

পরিদর্শনকালে কক্সবাজার বিমানবন্দরের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ইউনূছ ভুঁইয়া, বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তজা হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
What is the income property of Baghdan Sachin son Arjun at the age of 20?

২৫ বছর বয়সেই বাগদান, শচীনপুত্র অর্জুনের আয়-সম্পত্তি কত?

২৫ বছর বয়সেই বাগদান, শচীনপুত্র অর্জুনের আয়-সম্পত্তি কত?

কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের ঘরে এবার বাজতে যাচ্ছে বিয়ের শানাই। তবে বোন সারা টেন্ডুলকার নয়, প্রথমেই আংটি বদল করলেন ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার। ২৫ বছর বয়সেই বাগদান সম্পন্ন করেছেন তিনি। পাত্রী ভেটেরিনারি চিকিৎসক সানিয়া চান্দোক।

গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, পারিবারিকভাবে সম্পন্ন হওয়া এই বাগদান অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই অর্জুন-সানিয়ার সম্পর্ক ছিল। এর আগে একাধিকবার অর্জুনের ম্যাচে দেখা গেছে সানিয়াকে। সারার সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব রয়েছে।

সানিয়া চান্দোক ভারতের খ্যাতনামা ব্যবসায়ী রবি ঘাইয়ের নাতনি। তাদের হোটেল ও আইসক্রিম ব্যবসা রয়েছে। পশু চিকিৎসক হওয়ার পাশাপাশি সানিয়া একজন উদ্যোক্তাও। তার নিজস্ব পোষা প্রাণীর স্কিন কেয়ার ও স্পা সেন্টার পরিচালনা করেন তিনি। বয়সে তিনি অর্জুনের চেয়ে এক বছরের বড়।

অর্জুন অবশ্য বাবার মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম করতে পারেননি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি নিয়মিত খেলছেন গোয়ার হয়ে। ২০২৩ সালে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে অভিষেক হয় বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে তিনি খেলেছেন ৫ ম্যাচে নিয়েছেন ৩ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৭ ম্যাচে সংগ্রহ করেছেন ৫৩২ রান ও নিয়েছেন ৩৭ উইকেট। ঘরোয়া ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ম্যাচ সংখ্যা ৪২।

আইপিএল থেকে অর্জুনের আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বর্তমানে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছ থেকে তিনি বছরে ৩০ লাখ টাকা পান। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে আসে আরও প্রায় ১০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে বছরে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মতো আয় করেন তিনি।

তবে পারিবারিক সূত্রেই অর্জুনের সম্পদ এখন প্রায় ২২ কোটি টাকা। বর্তমানে তিনি থাকেন মুম্বাইয়ের সেই বাড়িতে, যেটি ২০০৭ সালে শচীন কিনেছিলেন প্রায় ৩৯ কোটি টাকায়। ছোটবেলা থেকেই বিলাসবহুল পরিবেশে বেড়ে ওঠা অর্জুনের জীবনযাত্রা তাই নিজের আয়ের সঙ্গে তুলনামূলক নয় বলেই মনে করছে গণমাধ্যম।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Rickshaw driver arrested from Dhanmondi 12 has not been charged in the murder case DMP

ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালককে হত্যা মামলার আসামি করা হয়নি: ডিএমপি

ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালককে হত্যা মামলার আসামি করা হয়নি: ডিএমপি

ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমানকে (২৭) হত্যা মামলার আসামি করা হয়নি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ রোববার ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস কর্মকর্তা মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া সেলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা থেকে মো. আজিজুর রহমান (২৭) নামের এক রিকশাচালককে গত ১৫ আগস্ট আটক করা হয়। এর পরদিন সন্দেহজনক একটি মামলার আসামি হিসেবে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে মো. আজিজুর রহমানের গ্রেপ্তার ও মামলা নিয়ে অহেতুক ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আটক মো. আজিজুর রহমানকে যে মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়েছে, তা পেনাল কোডের একটি নিয়মিত মামলা। কিন্তু অনেকেই বিষয়টিকে হত্যা মামলা হিসেবে প্রচার করছেন, যা পুরোপুরি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক।

এ বিষয়ে কোনোরকম বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য বিবৃতিতে অনুরোধ করে হয়।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Full draft of the July Charter to the political parties

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ খসড়া প্রেরণ

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ খসড়া প্রেরণ

জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ, সমন্বিত ও সংশোধিত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

খসড়াটি সম্পর্কে যে কোনো মতামত আগামী ২০ আগস্ট বিকেল ৪টার মধ্যে কমিশনের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।

গতকাল (শনিবার) রাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

খসড়া সনদটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এতে একটি পটভূমি, সংস্কার কমিশনসমূহ গঠন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন ও এর কার্যকলাপের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, ঐকমত্যে উপনীত হওয়া বিষয়সমূহ এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আট দফা অঙ্গীকারনামা রয়েছে।

পটভূমিতে বলা হয়েছে, '১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বর্ণিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের নীতিকে ধারণ করে সংঘটিত মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠনের আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে তৈরি হয়েছিল, দীর্ঘ ৫৩ বছরেও তা অর্জন করা যায়নি। কারণ, শাসন ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও সংস্কৃতি বিকাশের ধারা বারবার হোঁচট খেয়েছে।'

বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের নানা কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়েছে, 'বিগত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন একটি দলীয় সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে ক্রমান্বয়ে অবশিষ্ট গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে জলাঞ্জলি দিয়ে অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করতে থাকে। তারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সমালোচকদের গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার হরণ, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুম, খুন, নিপীড়ন-নির্যাতন, মামলা, হামলার মাধ্যমে একটি নৈরাজ্যকর ও বিভীষিকাময় ত্রাস ও ভীতির রাজত্ব কায়েম করে।'

খসড়ায় সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে সংসদের নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোট, জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষরের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিধান যুক্তকরণ, জরুরি অবস্থাকালীন সময়ে নাগরিকের জীবনের অধিকার ও ৩৫ অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক অধিকারসমূহ খর্ব না করা, রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়ার সময় কোনো ব্যক্তি কোনো রাষ্ট্রীয়, সরকারি বা রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের পদে না থাকা, একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদে যত মেয়াদ বা যত বারই হোক সর্বোচ্চ ১০ বছর থাকতে পারবেন এবং প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ব্যক্তি একইসঙ্গে দলীয় প্রধানের পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন না - এই বিধান সংবিধানে যুক্তকরণ- ইত্যাদি বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে এসেছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, 'মেয়াদ অবসানের কারণে অথবা মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙ্গে যাওয়ার পরবর্তী নব্বই (৯০) দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের ৫৮ (খ) সংশোধনপূর্বক সংসদের মেয়াদ অবসান হওয়ার ১৫ দিন পূর্বে এবং মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙ্গে গেলে ভঙ্গ হওয়ার পরবর্তী পনের (১৫) দিনের মধ্যে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ হবে অনধিক ৯০ দিন। তবে দৈব-দুর্বিপাকজনিত কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আরও সর্বোচ্চ ৩০ দিন দায়িত্ব পালন করতে পারবে।'

রাষ্ট্রভাষা, নাগরিকত্ব ও সংবিধান, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত, আইনসভা, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ও মৌলিক অধিকার ইত্যাদি বিষয়ের মোট ৮৪টি প্রস্তাবিত দফা উল্লেখ করে এতে সুনির্দিষ্টভাবে ঐকমত্য, ও নোট অভ ডিসেন্টসহ কোন রাজনৈতিক দলের কি মতামত সেটি উল্লেখ করা হয়েছে।

সবশেষে রয়েছে 'জুলাই জাতীয় সনদ,২০২৫' বাস্তবায়নের আট দফা অঙ্গীকারনামা।

অঙ্গীকারনামার শুরুতেই বলা হয়েছে, 'যেহেতু বাংলাদেশের সাংবিধানিক কনভেনশনের অংশ হিসেবে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে কার্যত কোনো সংবিধান না থাকা সত্ত্বেও ওই সময়ের সব কার্যাবলী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৯৭২ সালের সংবিধানে সন্নিবেশিত করে এর আইনি ও সাংবিধানিক বৈধতা প্রদান করা হয় এবং একইভাবে যেহেতু ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণঅভ্যুত্থানোত্তর সময়ে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করে উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ, অতঃপর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্ব গ্রহণ এবং পরবর্তীকালে প্রধান বিচারপতি পদে ফিরে যাওয়া সংক্রান্ত কোনো আইনি কাঠামো না থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহের রূপরেখা ও অঙ্গীকারের ভিত্তিতে ওই ধরনের কার্যাবলীকে বৈধতা দিয়ে পরবর্তী সংসদ গণ-অভ্যুত্থানে প্রদত্ত জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে সাংবিধানিক কনভেনশন এবং গণতন্ত্রকে সংহত করে; সুতরাং উল্লেখিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং সাংবিধানিক কনভেনশন বজায় রেখে ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে স্বাক্ষরকারীরা এই অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করবেন।'

সমন্বিত খসড়ায় থাকা অঙ্গীকারগুলো হলো-

১) জনগণের অধিকার ফিরে পাওয়া এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে হাজারো মানুষের জীবন ও রক্তদান এবং অগণিত মানুষের সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি ও ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত সুযোগ এবং তৎপ্রেক্ষিতে জন-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন হিসেবে দীর্ঘ ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রণীত ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দলিল হিসাবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করব।

২) এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ; তাদের অভিপ্রায়ই সর্বোচ্চ আইন এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের অভিপ্রায় প্রতিফলিত ও প্রতিষ্ঠিত হয় রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে। এমতাবস্থায় আমরা রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহ সম্মিলিতভাবে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে জনগণের অভিপ্রায়ের সুস্পষ্ট ও সর্বোচ্চ অভিব্যক্তি হিসাবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছি বিধায় এই সনদের সকল বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে অন্তর্ভুক্তকরণ নিশ্চিত করব এবং বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সেই ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান/প্রস্তাব/সুপারিশ প্রাধান্য পাবে।

৩) এই সনদের কোনো বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকবে।

৪) ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ ’-এর প্রতিটি বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশ সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে বলবৎ হিসেবে গণ্য হবে বিধায় এর বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা, কিংবা জারির কর্তৃত্ব সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।

৫) ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ এ বাংলাদেশের সামগ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা তথা সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশি ব্যবস্থা ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থার বিষয়ে যেসব প্রস্তাব/সুপারিশ লিপিবদ্ধ রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, লিখন ও পুনর্লিখন এবং বিদ্যমান আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন, লিখন, পুনর্লিখন বা নতুন আইন প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন বা বিদ্যমান বিধি ও প্রবিধির পরিবর্তন বা সংশোধন করব।

৬) আমরা ঐকমত্যে স্থির হয়েছি যে, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম এবং বিশেষত; ২০২৪ সালের অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে সাংবিধানিক তথা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

৭) আমরা সম্মিলিতভাবে ঘোষণা করছি যে, রাষ্ট্র ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনে ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।

৮) আমরা এই মর্মে একমত যে, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ এর যে সকল প্রস্তাব/সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য বলে বিবেচিত হবে সেগুলো কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই জাতীয় সনদের আইনী বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং তা বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে তার উপায় খুঁজে বের করার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞজনের সাথে ইতোমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এদের মধ্যে রয়েছেন দেশ-বিদেশের সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞরা।

মন্তব্য

লালবাগে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু 

লালবাগে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু 

রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।

রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Two people were detained with five thousand Yaba from the cricket bat at Coxs Bazar Airport

কক্সবাজার বিমানবন্দরে ক্রিকেট ব্যাট থেকে পাঁচ সহস্রাধিক ইয়াবাসহ দুইজন আটক

কক্সবাজার বিমানবন্দরে ক্রিকেট ব্যাট থেকে পাঁচ সহস্রাধিক ইয়াবাসহ দুইজন আটক

কক্সবাজার বিমানবন্দরে ক্রিকেট ব্যাট থেকে পাঁচ সহস্রাধিক ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করেছে বিমানবন্দরের কর্মিরা; যাদের মধ্যে একজন বিমানবন্দরের চাকুরিচ্যুত কর্মি।

রোববার সকাল সোয়া ১০ টায় বিমানবন্দরে মালামাল তল্লাশীর সময় তাদের আটকের এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াস খান।

আটকরা হল, মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা জাকির হোসেন (২৬) এবং বরিশাল জেলার বাসিন্দা তানভীর আহমদ (৩০)। এদের মধ্যে তানভীর বিমানবন্দরেক চাকুরিচ্যুত কর্মি।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টদের বরাতে ইলিয়াস খান বলেন, আটকরা বেলা ১১ টা ২৫ মিনিটের কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ইউএস বাংলা নামের বিমান পরিবহন সংস্থার একটি ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন। তারা ফ্লাইটে উঠতে সকাল সোয়া ১০ টার দিকে বিমানবন্দরে আসেন। এসময় বিমানবন্দরের কর্মিরা যাত্রীদের মালামাল তল্লাশী কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।

এতে ব্যাগ ও মালামাল স্কেনিং করার সময় ক্রিকেট ব্যাটের ভিতরে বিশেষ কৌশলে লুকানো অবস্থায় ৫ হাজার ১০০ টি ইয়াবা পাওয়া বলে জানান ওসি।

ইলিয়াছ জানান, আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মন্তব্য

p
উপরে