× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
BERCs Sai KPCL file is going to the Prime Ministers Office
google_news print-icon

কেপিসিএল: ফাইল যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে

কেপিসিএল-ফাইল-যাচ্ছে-প্রধানমন্ত্রীর-দপ্তরে
খুলনায় কেপিসিএলের মালিকানাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র। ফাইল ছবি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, সব সংস্থার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ফাইলটি এখন একজন যুগ্ম সচিবের কাছে আছে। শাটডাউনের সময় জরুরি ও নিয়মিত ফাইল ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে অন্য কোনো ফাইল পাঠানো হয়নি। তবে এটি যেকোনো দিন পাঠানোর মতো অবস্থা আছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খুলনা পাওয়ার কোম্পানি বা কেপিসিএলসহ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে ফাইল অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিষয়টিতে সায় দিয়ে সম্প্রতি তা পাঠায় এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি)। সেখান থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার পর তা পাঠানো হয় মন্ত্রণালয়ে। আর মন্ত্রণালয় সেটি চূড়ান্ত করে সরকারপ্রধানের দপ্তরে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অনুমোদন পেলে সেটি তোলা হবে মন্ত্রিসভায়। আর নীতিগত অনুমোদন হয়ে যাওয়ায় এই দুটি শুধু আনুষ্ঠানিকতা বলে জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা।

কেপিসিএলের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, তারাও জানতে পেরেছেন ফাইল চালাচালি হচ্ছে এবং কেন্দ্র দুটির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। তবে তাদের কাছে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, সব সংস্থার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ফাইলটি এখন একজন যুগ্ম সচিবের কাছে আছে। শাটডাউনের সময় জরুরি ও নিয়মিত ফাইল ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে অন্য কোনো ফাইল পাঠানো হয়নি। তবে এটি যেকোনো দিন পাঠানোর মতো অবস্থা আছে।

কেপিসিএলের দুই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন অনুমোদনের বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত আছে কি না, এমন প্রশ্নে সেই কর্মকর্তা বলেন, ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পে ভিত্তিতে এটি অনুমোদনের বিষয়ে আগেই কথা হয়েছিল। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনও এতে আপত্তি জানায়নি। তা ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই পর্যায়ে ফাইল পাঠালে তা অনুমোদন না হওয়ার কারণ নেই।’

কেন্দ্র দুটি নো ইলিকট্রিসিটি-নো পে ভিত্তিতে অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থাৎ সরকার বিদ্যুৎ না কিনলে আগের মতো বসিয়ে ভাড়া দেবে না।

এই কেন্দ্র দুটির একটি অবস্থানগত সুবিধা আছে। এগুলো অবস্থিত খুলনায়, যেখানে এখনও বিদ্যুতের কিছুটা সংকট আছে। রামপাল ও খানজাহান আলী নামের দুটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র সেখানে নির্মাণ হচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় এখনও কেপিসিএলের উপযোগিতা রয়ে গেছে।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে ভাড়াভিত্তিক অসংখ্য কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে। এসব কেন্দ্র থেকে সরকার প্রয়োজন হলে বিদ্যুৎ নিত, আর প্রয়োজন না থাকলেও কেন্দ্র বসিয়ে একটি বিল দিন, যা পরিচিতি পায় ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে।

তবে বড় বড় বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে চলে আসায় এসব কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র আর অনুমোদন না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর এই অবস্থায় গত মে মাসের শেষের দিকে কেপিসিএলের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। আরও তিন বছর আগে শেষ হয় আরও একটি কেন্দ্রের। এই অবস্থায় ২০১০ সালে সরাসরি তালিকাভুক্তির পর উচ্চমূল্যে শেয়ার কিনে বিপাকে পড়া বিনিয়োগকারীদের কী হবে, তা নিয়ে তৈরি হয় উৎকণ্ঠা।

কেপিসিএল সরকারের কাছে ধর্ণা দিয়ে যখন কোনো আশ্বাস পায়নি, তখন তারা যায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে। আর সংস্থাটির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। বলেন, কোম্পানির শেয়ার কিনে আটকে আছেন বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগকারী। তাদের স্বার্থে হলেও যেন কোনো শর্তে অনুমোদন দেয়া হয়।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান এই কর্তাব্যক্তি নিউজবাংলাকে গত জুনে বলেন, ‘আমরা সরকারের সঙ্গে একটু নেগোসিয়েশন পর্যায়ে আছি। নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট-এ রকম একটা ব্যবস্থাপনায়। এটা হলে লিস্টেড কোম্পানিগুলো কিছুটা বেনিফিট পাবে। তাদের যতটুকু বিদ্যুৎ সরকার কিনবে ততটুকুর জন্য পেমেন্ট পাবে।’

জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সচিব সাইফুল ইসলাম আজাদ সোমবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শেয়ার বাজারের তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’

তবে এর প্রায় দুই মাসেও মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় পুঁজিবাজারে বিশেষ করে কেপিসিএলের বিনিয়োগকারীরা উৎকণ্ঠিত সময় পার করছেন।

একজন বিনিয়োগকারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনায় আমি চাকরি হারিয়েছি। আমার সব বিনিয়োগ এই একটি কোম্পানিতে। ৫০ টাকার ওপরে কিনেছি একেকটি শেয়ার। সেটি এখন ৪০ টাকার নিচে। খুব উৎকণ্ঠায় আছি।’

কেপিসিএলের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সোহরাব আলী খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্লান্ট দুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এ বিষয়ে এখনও কোনো সরকারি নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি প্লান্ট দুটির মেয়াদ বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালি হচ্ছে জেনেছি। তবে আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি।’

বিএসইসি চেষ্টা

গত ২৩ মার্চ বিএসইসি কার্যালয়ে ডাকা হয় কেপিসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। তারা বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এরপর গত ১৫ এপ্রিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমানকে চিঠি দেয় বিএসইসি। এতে দুটি কেন্দ্রের মেয়াদ বাড়াতে কেপিসিএল যে আবেদন করেছে, সেদিক বিবেচনার জন্য অনুরোধ করে সংস্থাটি।

চিঠিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের পাওয়ার কোম্পানিসমূহ পুঁজিবাজার থেকে বিভিন্ন সময় মূলধন সংগ্রহের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

এ পরিস্থিতিতে খুলনা পাওয়ার কোম্পানিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের অর্থ লভ্যাংশ থেকে এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফেরত আসেনি। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এ কোম্পানির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কমিশন উদ্বিগ্ন। তাই কেপিসিএলসহ অন্যান্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির পিপিএ চুক্তি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে নবায়নের সুযোগ রয়েছে কি না, তা জানানোর জন্য অনুরোধ করে কমিশন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও। তার বক্তব্য শুনে তিনি মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। আর তিনিই বিএসইসি চেয়ারম্যানকে ‘নো পে নো ইলেকট্রিসিটির’ ভিত্তিতে অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার কথা জানান।

কেপিসিএল আদ্যোপান্ত

২০১০ সালে পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি হয় গড়ে ২১১ টাকায়। এটি যে মেয়াদী বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর তা বন্ধ হয়ে যাবে, সে বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধারণা ছিল না।

কোম্পানিটির বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল মোট তিনটি। এর মধ্যে ২০১৮ সালে একটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ বিষয়টি নিয়ে জানতে পারে।

এরপর থেকে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের আয়ে লভ্যাংশ পেয়ে আসছে বিনিয়োগকারীরা। এই দুটির মধ্যে ১১৫ মেগাওয়াটের কেপিসিএল-১-এর মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ মে। আর ৪০ মেগাওয়াটের নওয়াপাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয় ২৮ মে।

গত ২০ মে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘কেন্দ্রের মেয়াদ বাড়াতে আমাদের চেষ্টা-তদবির অব্যাহত রয়েছে।’

মেয়াদ শেষে কেন্দ্র দুটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এই চেষ্টা তদবিরের কতটা আগাল, সে বিষয়ে কোম্পানির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

কেপিসিএলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র

তিনটি কেন্দ্রই বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কোম্পানির মালিকানায় এখন আছে কেবল সহযোগী কোম্পানি ইউনাইটেড পায়রার ৩৫ শতাংশের মালিকানা।

পটুয়াখালী জেলার খলিসাখালী এলাকায় ১৫০ মেগাওয়াটের এই কেন্দ্র থেকে সরকার বিদ্যুৎ কিনবে আগামী ১৫ বছর। এটি উৎপাদন শুরু করেছে গত ১৮ জানুয়ারি।

গত ৩১ এপ্রিলের তথ্য অনুযায়ী কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৯.২ শতাংশ শেয়ার ছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে ছিল ২০.৫১ শতাংশ শেয়ার। আর দশমিক ৩০ শতাংশ আছে বিদেশিদের হাতে।

কেপিসিএল ছাড়াও অনুমোদন পাচ্ছে আরও কয়েকটি

এই সুবিধা কেপিসিএল ছাড়াও সামিট পাওয়ার, ওরিয়ন ফার্মার সাবসিডিয়ারি ওরিয়ন পাওয়ার মেঘনাঘাট ও ডাচ বাংলা পাওয়ার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসও পাচ্ছে।

সামিট পাওয়ারের ১০২ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র বন্ধ হয়েছে গত ৩১ মার্চ। আরও দুটি কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বছরের শেষে। তবে এই দুটি একেবারেই ছোট কেন্দ্র। একটি সাড়ে ১৩ মেগাওয়াটের, অন্যটি ২৪.৩০ মেগাওয়াটের।

এ ছাড়াও ওরিয়ন ইনফিউশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ১০০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র বন্ধ হচ্ছে আগামী ২০ জুলাই। মধ্যে ডাচ বাংলা পাওয়ারের মেয়াদ শেষ হবে জুলাই মাসে।

আরও পড়ুন:
কেপিসিএলের ‘অনিশ্চয়তায়’ চাঙা পুঁজিবাজারে ‘ঘুমিয়ে’ জ্বালানি খাত
বিমায় বুঁদ পুঁজিবাজারে হঠাৎ জ্বালানি খাতে আগ্রহ
আর উৎকণ্ঠার কারণ নেই কেপিসিএলের শেয়ারধারীদের
বন্ধ হচ্ছে দুই কেন্দ্র, কেপিসিএলের চেষ্টা জারি
কেপিসিএলের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ছে ‘বিশেষ শর্তে’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
BNPs decision to boycott upazila elections

উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির

উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিএনপি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়। সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, সভায় বিএনপি নেতারা বলেছেন- বিএনপি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি এবং বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।

এই সরকার ভোট, সংবিধান, ভিন্নমত প্রকাশ, বহু দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানুষের সহজাত অধিকারগুলোকে নির্দয় দমনের কষাঘাতে বিপর্যস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই সহিংস সন্ত্রাসের ব্যাপক বিস্তারের ফলশ্রুতিতে এই অবৈধ সরকারের অপরাজনীতি ও নির্বাচনী প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিএনপি আগামী ৮ মে শুরু হওয়া সব ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগণের কাছে জবাবদিহি করে সেই নির্বাচন গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত। এই শর্তের অনুপস্থিতিতে স্বৈরতন্ত্র হিংস্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে।

বর্তমানে বাংলাদেশে এক বিকট স্বৈরাচারের অভ্যুদয় হয়েছে। আওয়ামী দখলদার শাসক গোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হয়ে দেড় দশক ধরে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করেছে।

এদের আমলে কখনও জাতীয় ও স্থানীয় সরকার কোনো নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। জনগণের ভোটের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে। দখলদার শাসক গোষ্ঠী প্রতিটি নির্বাচনের আগে জনগণকে প্রতারিত করার জন্য নতুন নতুন রণকৌশল গ্রহণ করে।

আরও বলা হয়, প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি। তাদের অধীনে সব জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেয়া এবং নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা ও শারীরিক আক্রমণসহ পদে পদে বাধা দেয়া হয়। অনেককে মনোনয়নপত্র জমা দিতেও দেয়া হয়নি।

বিএনপি বলছে, অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মিত্র হতে পারে না। আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী ভোটারবিহীন ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের সব আয়োজন সম্পন্ন করার পরও আশঙ্কামুক্ত হতে পারেনি। তাই নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদেরও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ না দেয়া, ইন্টারনেটের গতি শ্লথ করা, নাগরিকদের নজরদারি নস্যাৎ ইত্যাদি নজিরবিহীন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বিনাশী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এরা (আওয়ামী লীগ) একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপিসহ গণতন্ত্রমনা দলগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে ভরে রাখে। ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ২৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে কারান্তরীণ করা হয়। তাদের অনেকে এখনও কারাগারে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। গুম-খুন অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন:
উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ চান না প্রধানমন্ত্রী
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ১৮৯১ মনোনয়নপত্র দাখিল
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ
উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগ: তাজুল

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
The youngest hero Prateek Shahiduls family has no permanent residence

সর্বকনিষ্ঠ বীর প্রতীক শহীদুলের পরিবারের নেই স্থায়ী নিবাস

সর্বকনিষ্ঠ বীর প্রতীক শহীদুলের পরিবারের নেই স্থায়ী নিবাস বীর প্রতীক শহীদুল ইসলামের পরিবার। ছবি: নিউজবাংলা
গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরি করে দেয়ার একটি প্রকল্প চলমান আছে। গোপালপুরে জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৬২টি বীর নিবাস নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ছয়টি নির্মাণাধীন রয়েছে।’

‘রাজাকার-আলবদর থাকে আজ রাজপ্রাসাদে, আমি শহীদুল ইসলাম বীর প্রতীক থাকি একটা কুইড়াঘরে (কুঁড়েঘরে) তার কারণ কী?’

২০০৩ সালে ধারণ করা এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সূতী গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে শহীদুল ইসলাম।

তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, ছোট থেকেই অনেক সাহসী ও বুদ্ধিমান ছিলেন শহীদুল। তাই তো দেশকে হানাদার মুক্ত করতে ১২ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন কাদেরিয়া বাহিনীর কমান্ডার আনোয়ার হোসেন পাহাড়ির অধীনে।

দেশের সর্বকনিষ্ঠ এ বীর প্রতীকের পরিবারের নেই স্থায়ী কোনো নিবাস। সন্তানদের জন্য নেই চাকরির ব্যবস্থা। তিনি কুলির কাজ ও খাবার হোটেলের কাজ করে কাটিয়েছেন জীবনের অধিকাংশ সময়।

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ বীর প্রতীকের পরিবার বসবাস করছেন ঢাকার মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন প্রকল্পের সরকারি জমিতে। প্রথম সন্তান মুক্তা বেগম (৩৫) পেশায় গৃহিণী, স্বামীর বাড়ি রাজশাহীর নাটোরে। দ্বিতীয় সন্তান আক্তার হোসেন (৩২) পেশায় গাড়ি চালক, তৃতীয় সন্তান সোহাগ হোসেন (২৭) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সদ্য গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন, চতুর্থ সন্তান শিখা আক্তার (২০) ঢাকার একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভারতে ট্রেনিং চলাকালে সর্বকনিষ্ঠ হওয়ায় সহযোদ্ধারা তাকে লালু আর তার চেয়ে বয়সে বড় শ্যামলকে ভুলু নামে ডাকতে শুরু করেন। দেশে ফিরলে তার বুদ্ধিমত্তায় একাধিকবার মুক্তিযোদ্ধারা প্রাণে বাঁচেন।

সেই ঘটনাই বর্ণনা করে তার পরিবার, কাদেরিয়া বাহিনীর কমান্ডারের নির্দেশে ছদ্মবেশ ধারণ করেন চতুর শহীদুল ইসলাম। কৌশলে এক রাজাকারের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে গোপালপুর থানা কম্পাউন্ডের, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বাংকারে ঢুকে পরেন। তার কৌশল ও দুঃসাহসিক গ্রেনেড হামলায় একাধিক বাংকার ধ্বংস করলে গোপালপুর থানা হানাদার মুক্ত হয়।

শহীদুলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বীর প্রতীক উপাধি লাভ করেন তিনি। রাইফেলের সমান উচ্চতা হওয়ায় ভারতে প্রশিক্ষণ চলাকালে তাকে স্টেনগান চালনা ও গ্রেনেড ছোঁড়ার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কাদেরিয়া বাহিনী ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী বালক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অস্ত্র সমর্পণের সময় সময় ১২ বছরের কিশোর শহীদুলের বীরত্বের কথা শুনে মুগ্ধ হয়ে তাকে কোলে তুলে নেন স্বয়ং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ছবিটি সামরিক ও মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।

সর্বকনিষ্ঠ বীর প্রতীক শহীদুলের পরিবারের নেই স্থায়ী নিবাস
ছবি: সংগৃহীত

শহীদুলের জীবন সংগ্রাম

শৈশবে বাবা-মা আর মুক্তিযুদ্ধের সময় এক ভাই-এক বোনের মৃত্যু হলে দারিদ্র্যতায় উপায়ান্তর না দেখে মুক্তিযুদ্ধের পর দুই ভাইকে রেখে জীবিকার তাগিদে বাড়ি ছাড়া হন শহীদুল। ঢাকার সোয়ারীঘাটে বালু টানা, ঠেলা গাড়ি চালানো, রাজমিস্ত্রীর হেলপারের কাজ, শেষে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে কুলির কাজ শুরু করেন।

একপর্যায়ে কুলির কাজ শেষে হোটেলে কাজ শুরু করেন। যাযাবর অবস্থায় বিয়েও করেন, এক মেয়ে ও এক ছেলের জন্ম নেয়া সেই সংসার স্থায়ী হয়নি।

পরবর্তী সময় কুমিল্লায় হোটেলে কাজ করা অবস্থায় সহকর্মীকে জীবনের সব ঘটনা খুলে বলেন। দুই সন্তানকে নিয়ে ওই সহকর্মীর সঙ্গে মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর চলে যান। ১৯৯৬ সালে সেই সহকর্মীর নিকটাত্মীয় মালা বেগমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।

এ দম্পতির ছেলে সন্তান সোহাগ হোসেনের জন্মের পর সংসারে অভাব অনটন দেখা দেয়। ঢাকার পোস্তগোলায় নিজের খাবার হোটেল চালু করার কিছু দিনের মধ্যেই ১৯৯৮ সালে জটিল কিডনি রোগে আক্রান্তের কথা জানতে পারেন শহীদুল।

কোনো উপায় না পেয়ে কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ঢাকার বাসার ঠিকানা জোগাড় করে দেখা করেন। কাদের তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করান, উপস্থিত সহযোদ্ধাদের নির্দেশ দেন তার কাগজপত্র সংগ্রহ করতে। কাদেরিয়া বাহিনীর যোদ্ধা বীর প্রতীক আবদুল্লাহকে নির্দেশ দেন, ঢাকার মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন প্রকল্পে শহীদুলের পরিবারের জন্য জায়গা দিতে। সে অনুযায়ী তার পরিবারের ঠাঁই হয় সেখানে।

বীর প্রতীক খেতাব লাভ

চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হন শহীদুল ইসলাম। কাগজপত্র সংগ্রহের পর জানতে পারেন তিনি বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, তিনিই সর্বকনিষ্ঠ বীর প্রতীক। পরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক তাকে ৩০ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে অপর দুইভাই তাকে খুঁজে পায়।

শহীদুলের চিরবিদায়

অসুস্থতার কারণে শেষ সময়ে কোনো কাজকর্ম করতে পারেননি শহীদুল। শুভাকাঙ্ক্ষীদের অর্থে চলেছে চিকিৎসা ও পরিবারের খরচ। ২০০৯ সালে ২৫ মে অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

পরিবারের বক্তব্য

বীর প্রতীক শহীদুল ইসলামে স্ত্রী মালা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার স্বামীর জীবদ্দশায় ভাতাপ্রাপ্ত ছিলেন না, তাই শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তায় চিকিৎসা করাতে হয়েছে। উনার মৃত্যুর পর চার সন্তানকে অনেক কষ্টে লালনপালন করি। এরপর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর কাছে গেলে ২০১৪ সালে দুই হাজার টাকা ভাতা চালু হয়।

‘মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন প্রকল্পের সরকারি জমিতে একাধিক রুম বানিয়ে ভাড়ার টাকায় সন্তানদের বড় করি। সন্তানদেরকে শিক্ষিত বানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার দাবি সন্তানদের জন্য উপযুক্ত চাকরি ও আমাদের স্থায়ী নিবাসের ব্যবস্থা করে দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘তার নিজ এলাকার মানুষের থেকে সে তেমন মূল্যায়ন পায়নি, এই ক্ষোভে তিনি মৃত্যুর আগে কখনও গোপালপুর যাননি, তবে সন্তানদের নিয়ে আমি একাধিকবার গোপালপুর গিয়েছিলাম।’

সর্বকনিষ্ঠ বীর প্রতীকের সন্তান সোহাগ হোসেন বলেন, ‘মানুষের মৌলিক চাহিদার একটি বাসস্থান। আমরা বিশেষ পরিবারের সন্তান হলেও ঢাকার মিরপুরে সরকারি জমিতে বসবাস করতেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবি, স্থায়ী বাসস্থান ও আমাদের জন্য উপযুক্ত চাকুরির ব্যবস্থা যেন উনি করেন।’

নিয়মিত সরকারি রেশন ও ভাতা পাচ্ছেন বলেও জানান তারা।

জনপ্রতিনিধিদের ভাষ্য

গোপালপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সমরেন্দ্রনাথ সরকার বিমল বলেন, ‘সূতী মীরপাড়ায় গোপালপুরের একমাত্র বীর প্রতীক শহীদুল ইসলামের জন্ম হলেও, এখানে তার বাড়ি-ঘর নেই। তার পরিবার এখানে এসে কিছু চায় নাই, তাই বীর নিবাসসহ অন্যান্য সুবিধাদি পায়নি। তার পরিবার বীর প্রতীক ভাতা পাচ্ছেন।’

গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরি করে দেয়ার একটি প্রকল্প চলমান আছে। গোপালপুরে জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৬২টি বীর নিবাস নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ছয়টি নির্মাণাধীন রয়েছে।

‘উনাকে আবেদন করে রাখতে বলেন। পরের অর্থবছরে আবার যদি বরাদ্দ আসে তবে হয়ত এগুলো পাঠাতে পারব।’

আরও পড়ুন:
কুমিল্লায় ১৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা
বীর নারী মুক্তিযোদ্ধারা পেলেন সম্মাননা
কিশোরী রানীর ভাতের পাতিলে লুকানো পিস্তল-গুলি
ডিসেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা মাস’ চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি দাবি

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
83 dead in Pakistan Afghanistan due to storm

ঝড়ে পাকিস্তান আফগানিস্তানে ৮৩ প্রাণহানি

ঝড়ে পাকিস্তান আফগানিস্তানে ৮৩ প্রাণহানি পাকিস্তানের পেশোয়ারে সোমবার বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া সড়কে বিভিন্ন বয়সী লোকজন। ছবি: এপি
পাকিস্তানজুড়ে ঝড়ে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা জরুরি সেবা সংস্থাগুলোকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে মৌসুমি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় আফগানিস্তানে ৩৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। দেশটিতে আহত হয়েছেন ২৭ জন।

ঝড়ের সময় বজ্রপাত ও প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় সীমান্তবর্তী দুই দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে কমপক্ষে ৮৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে আল জাজিরা।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তানজুড়ে ঝড়ে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা জরুরি সেবা সংস্থাগুলোকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

পাকিস্তানের বেশির ভাগ প্রাণহানি হয় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায়, যেখানে প্রবল বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় ভূমিধসে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি উপড়ে যায় গাছ।

দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং পাঞ্জাব প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিতে ধসে যায় বিপুলসংখ্যক বাড়িঘর।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র জানান, অঞ্চলটিতে বৃষ্টিজনিত কারণে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সপ্তাহে আরও বৃষ্টি হতে পারে।

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও ব্যাপক বৃষ্টি হয়। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে বন্যায় সাতজন প্রাণ হারান।

বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ার এবং বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানী কুয়েটার সড়ক।

এমন বাস্তবতায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে বলেন, তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ত্রাণসামগ্রী সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন।

আফগানিস্তানে বন্যা

দেশটির প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, মৌসুমি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় ৩৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। দেশটিতে আহত হয়েছেন ২৭ জন।

তিনি জানান, বন্যায় ছয় শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে এবং প্রায় ২০০ গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে।

ওই মুখপাত্র জানান, বন্যায় বিপুল কৃষিজমির পাশাপাশি ৮৫ কিলোমিটারের বেশি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আরও পড়ুন:
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শাহবাজ শরিফ
পাকিস্তানের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ
সরকার গঠন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়: যুক্তরাষ্ট্র
পাকিস্তানে সরকার গঠনে ঐকমত্য, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ-প্রেসিডেন্ট জারদারি
ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেব না: ইমরান

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Rain of relief after intense heat

তীব্র গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টি

তীব্র গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টি রাজধানীর শাহবাগে বৃষ্টিতে যান চলাচল। ফাইল ছবি
বৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে নিউজবাংলাকে জানান, তারা ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বৃষ্টির খবর পেয়েছেন। কী পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা পরবর্তী সময়ে জানানো যাবে।

গত কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। দিনে অস্বস্তি নিয়ে কাজকর্ম করার পর রাতে স্বস্তির ঘুমও কেড়ে নিয়েছে উত্তাপ। এমন পরিস্থিতি থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই অপেক্ষা করছিলেন বৃষ্টি। তাদের সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে রাজধানীতে নেমে এলো বৃষ্টি।

ঈদের ছুটির পর দ্বিতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীতে নামে বৃষ্টি, যা নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন অনেকে।

রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বৃষ্টি হওয়াতে খুব ভালো লাগল। যে গরম শুরু হয়েছিল!

‘আমি প্রেশারের রোগী। অতিরিক্ত গরম হলে সমস্যা হয়ে যায়।’

পূর্বাভাসে যা বলেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানিয়েছিল, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

বৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে নিউজবাংলাকে জানান, তারা ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বৃষ্টির খবর পেয়েছেন। কী পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা পরবর্তী সময়ে জানানো যাবে।

আরও পড়ুন:
দিনে গরম বাড়বে
বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি, আরও ঘামবে মানুষ
কোথাও কোথাও হতে পারে শিলা বৃষ্টি
ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে পাঁচ বিভাগে
ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে সাত বিভাগে

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Dr Yunus bail was extended till May 23
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা

ড. ইউনূসের জামিন বাড়ল ২৩ মে পর্যন্ত

ড. ইউনূসের জামিন বাড়ল ২৩ মে পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দণ্ডিত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত জামিন বৃদ্ধি করে আদেশ দিয়েছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। খবর বাসসের

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলমখান।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূস শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিন চান। ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ আবেদন দাখিল করেন।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা এ মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনকে গত ১ জানুয়ারি ছয়মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। রায় ঘোষণার পরপরই আপিল শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয় আদালত।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত বিলে জমা দেয়া হয়নি।

শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

আরও পড়ুন:
ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে গ্রহণ
‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার নিয়ে যা বলল ইউনূস সেন্টার
ড. ইউনূস ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টারের তথ্য বিভ্রান্তিকর: শিক্ষামন্ত্রী
ইউনেস্কোর ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার পেলেন ড. ইউনূস

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Netanyahu is scarier than Hitler Kader

হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর নেতানিয়াহু: কাদের

হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর নেতানিয়াহু: কাদের নাৎসি জার্মানির একনায়ক অ্যাডলফ হিটলার ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: উইকিমিডিয়া কমনস
কাদের বলেন, ‘হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে নেতানিয়াহু।’

ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নাৎসি জার্মানির একনায়ক অ্যাডলফ হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দক্ষিণ ইসরায়েলে গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার শাসক দল হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন থেকেই উপত্যকায় প্রাণঘাতী হামলা শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েল। সামরিকভাবে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্রটির হামলায় এরই মধ্যে গাজায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৩৪ হাজার ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার শিশু।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সিসকা আলবানিজ চলতি বছরের মার্চের শেষের দিকে বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় যে অভিযান শুরু করেছে, সেটি গণহত্যার সমতুল্য।

আলবানিজ ইসরায়েলের ওপর অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানান।

এমন বাস্তবতায় কাদের বলেন, ‘হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে নেতানিয়াহু।’

তিনি বলেন, ‘আজকে সারা বিশ্বেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। মনে হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিটলারের যে দাম্ভিকতা, যুদ্ধংদেহী মনোভাব, সেটা আবারও নতুন করে বিশ্ব রাজনীতিতে দেখতে পাচ্ছি। হিটলার যে হলোকাস্ট ঘটিয়েছিল ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করে, আজকে গাজায় গণহত্যার যে নায়ক একই রূপে আবির্ভূত হয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

‘এই নেতানিয়াহু জাতিসংঘকে মানে না, হোয়াইট হাউসকে তোয়াক্কা করে না। আমেরিকান প্রেসিডেন্টের কথা শুনে না। সে হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর। ১৪ হাজার শিশুকে গাজায় ইতোমধ্যে হত্যা করে ফেলছে।’

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইরানের ইসরায়েল আক্রমণের পর পৃথিবীর ইনফ্লুয়েনশিয়াল রাষ্ট্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু নেতানিয়াহু আবারও ইরান আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মনে হয় বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তি হচ্ছেন নেতানিয়াহু। আপন ইচ্ছায় চলেন, যা খুশি করেন।

‘যাকে ইচ্ছা তাকে মারেন। ভাতে মারেন, পানিতে মারেন, এয়ার স্ট্রাইক করে মারেন। বাউন্ডারি সাইডে সেনাবাহিনী মারেন। তাদের দুর্দমনীয় শক্তির অনুপ্রেরণা দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এটা পৃথিবীর ভয়ংকর চিত্র। তার দাপট মনে হয় হিটলারকেও ছাড়িয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন:
পাহাড় সামলাতে সরকার ব্যর্থ: জিএম কাদের
পাহাড়ের ঘটনায় সরকার সতর্ক ও শক্ত অবস্থানে: কাদের
ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় বিদেশি মদদ নেই: কাদের
পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র তৎপরতা নিয়ে সরকার অত্যন্ত কঠোর: কাদের
তারেক বিএনপির অভিশাপ: কাদের

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
6 fugitive accused in Jhenaidah murder case arrested

ঝিনাইদহে হত্যা মামলার ৬ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহে হত্যা মামলার ৬ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার শৈলকুপায় হত্যা মামলার ছয়জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। ছবি: সংগৃহীত
স্থানীয়রা জানায়, রোববার বিকেলে কাদা খেলা নিয়ে ওই গ্রামের মাতব্বর সুনিল বিশ্বাসের সঙ্গে অধির বিশ্বাস নামের এক চৈত্র সন্ন্যাসীর কথা কাটাকাটি হয়। দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে সন্ন্যাসীকে থাপ্পড় দেন সুনিল বিশ্বাস। এরই জের ধরে রাতে বাড়ির পেছনে গেলে সুনিল বিশ্বাস ও তার ছেলে স্বাধীনকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন সন্ন্যাসীরা।

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্বাধীন বিশ্বাস হত্যা মামলার ছয়জন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৬।

উপজেলার ভাটই বাজার এলাকা থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানায় র‍্যাব।

গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন ভগবাননগর গ্রামের সজীব বিশ্বাস (২০), বিজয় বিশ্বাস (১৮), সুশান্ত বিশ্বাস (৩৫), সুভাষ বিশ্বাস (৪০), প্রশনজিৎ বিশ্বাস (২৬) ও পলাশ বিশ্বাস (১৬)।

এর আগে রোববার রাতে উপজেলার ভগবান নগর গ্রামের আদিবাসী পাড়ার সুনিল বিশ্বাসের ছেলে স্বাধীন বিশ্বাসকে (২২) হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আহত হন আরও একজন।

স্থানীয়রা জানায়, ভগবান নগর গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নীলপূজার অংশ হিসেবে কাদা খেলার আয়োজন করে স্থানীয় বাগদি সম্প্রদায়। রোববার বিকেলে এ নিয়ে ওই গ্রামের মাতব্বর সুনিল বিশ্বাসের সঙ্গে অধির বিশ্বাস নামের এক চৈত্র সন্ন্যাসীর কথা কাটাকাটি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে সন্ন্যাসীকে থাপ্পড় দেন সুনিল বিশ্বাস। এরই জের ধরে রাতে বাড়ির পেছনে গেলে সুনিল বিশ্বাস ও তার ছেলে স্বাধীনকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন সন্ন্যাসীরা। রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ওই দিন রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বাধীনের মৃত্যু হয় স্বাধীনের।

এ ঘটনায় স্বাধীন বিশ্বাসের বাবা বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, সোমবার বিকেলে র‌্যাব-৬ (ঝিনাইদহ ক্যাম্প)-এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ছয়জন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। আসামিদের মঙ্গলবার সকালে শৈলকুপা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন:
রূপপুরে পড়ে গিয়ে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
ময়মনসিংহে দুই বাসের সংঘর্ষে নারীসহ ২ জন নিহত
কাদা খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ‘সন্ন্যাসীদের’ পিটুনিতে যুবক নিহত
ঝরে গেল হাসনাহেনা, মা শুধুই কাঁদছেন
গাছে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ২ যুবক নিহত

মন্তব্য

p
উপরে