× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
ICBs Mutual Fund could not do well even in the strong capital market
google_news print-icon

চাঙা পুঁজিবাজারেও ভালো করতে পারল না আইসিবির ৮ মিউচ্যুয়াল ফান্ড

চাঙা-পুঁজিবাজারেও-ভালো-করতে-পারল-না-আইসিবির-৮-মিউচ্যুয়াল-ফান্ড
চলতি বছরের চাঙা বাজারেও বছরের তিন প্রান্তিকে আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির আটটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আয় আহামরি কিছু হয়নি। তাই লভ্যাংশের জন্য নির্ভর করতে হয়েছে মূলত চতুর্থ প্রান্তিকে আয়ের ওপর। কিন্তু তিন প্রান্তিকের মতো চতুর্থ প্রান্তিকেও হতাশ করল রাষ্ট্রায়ত্ত করপোরেশনটি।

২০২০ সালের জুলাই থেকে পুঁজিবাজারে যে উত্থান, তার তেমন কোনো এভাব দেখা গেল না রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি পরিচালিত আটটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে।

একটি ফান্ড সর্বনিম্ন ইউনিটপ্রতি ৩১ পয়সা আয় করেছে। আর একটি ফান্ড সর্বোচ্চ ৬৮ পয়সা আয় করেছে ইউনিটপ্রতি।

আর খুব একটা আয় করতে না পারায় লভ্যাংশও ভালো আসেনি। এর মধ্যে একটি ফান্ড ইউনিটপ্রতি সর্বনিম্ন ৪০ পয়সা এবং একটি ফান্ড ইউনিটপ্রতি সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ মুনাফা দিয়েছে।

এ নিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফান্ডগুলোর মধ্যে যেগুলোর অর্থবছর গত ৩০ জুন শেষ হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৪টি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আরও দুটি ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা হবে বৃহস্পতিবার।

এখন পর্যন্ত যেসব ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে কম লভ্যাংশ দিতে যাচ্ছে গত বছর মন্দা পুঁজিবাজারেও মুনাফা করে লভ্যাংশ দেয়া আইসিবির ফান্ডগুলো।

এর আগে যে ৬টি ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে কম আয় করেছে যে ফান্ডটি, সেটিও ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৮৭ পয়সা আয় করেছে। ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ১৪ পয়সাও আয় করেছে একটি ফান্ড।

২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছর জুন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে দুই হাজার ১০০ পয়েন্টেরও বেশি। আর এ কারণে চলতি বছর বিভিন্ন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি পরিচালিত মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো ব্যাপক আয় করে রেকর্ড সংখ্যক লভ্যাংশ দিচ্ছে। ৯ টাকার ঘরে দুটি ফান্ড ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ১২ পয়সা আর ১২ টাকার ঘরে দুটি ফান্ড ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিচ্ছে। একটি ফান্ড ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা লভ্যাংশও দিয়েছে।

চাঙা পুঁজিবাজারেও ভালো করতে পারল না আইসিবির ৮ মিউচ্যুয়াল ফান্ড

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, এমন ফান্ডগুলোও এবার আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। একটি ফান্ড ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ৫ পয়সা পর্যন্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

২০১০ সালে মহাধসের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইসিবির মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোও ব্যাপক লোকসানে পড়ে আর সেটি তারা কাটিয়ে উঠতে পারেনি এখনও। তবে গত বছর মন্দা বাজারেও এই ফান্ডগুলো কোনো লোকসান দেয়নি, যেটি তাদের শক্তিমত্তার পরিচয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তবে গত বছর লোকসান না দেয়াটাই এবার লভ্যাংশ বিতরণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এর আগে যে ছয়টি ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল, তার মধ্যে একটি কেবল গত বছর লোকসান দেয়নি। আর এ কারণে এবার ইউনিটপ্রতি আয় তুলনামূলক কম থাকলেও তারা লভ্যাংশ সেই হিসেবে বেশি দিয়েছে। অন্য ফান্ডগুলো তাদের আয় থেকে গত বছরের লোকসান সমন্বয় করেছে। আর বাকি অর্থের ওপর লভ্যাংশ দিয়েছে।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা অনুযায়ী গ্রোফ ফান্ড তাদের আয়ের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ এবং অন্যান্য ফান্ড অন্তত ৭০ শতাংশ লভ্যাংশে বিতরণ করবে।

চলতি বছরের চাঙা বাজারেও বছরের তিন প্রান্তিকে আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির আটটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আয় আহামরি কিছু হয়নি। তাই লভ্যাংশের জন্য নির্ভর করতে হয়েছে মূলত চতুর্থ প্রান্তিকে আয়ের ওপর। কিন্তু তিন প্রান্তিকের মতো চতুর্থ প্রান্তিকেও হতাশ করল রাষ্ট্রায়ত্ত করপোরেশনটি।

কোন ফান্ডের আয়, লভ্যাংশ কত

আইসিবি এএমসিএল অগ্রণী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৬৮ পয়সা আয় করে ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটিরই আয় ও লভ্যাংশ এসেছে সর্বোচ্চ।

ফান্ডটির তৃতীয় প্রান্তিকে শেষে আয় ছিল ৩০ পয়সা। চতুর্থ প্রান্তিকে তারা ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ৩৮ পয়সা।

লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মূল্য ছিল ৯ টাকা ৩০ পয়সা।

গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ৩৪ পয়সা আয় করে ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট প্রতি ৩৭ পয়সা আয় করে ৮০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি আয় ছিল ৩১ পয়সা। অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিকে তারা ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ৬ পয়সা।

লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মূল্য ছিল ১১ টাকা ১০ পয়সা।

গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ৩০ পয়সা আয় করে ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৫২ পয়সা আয় করে ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি আয় ছিল ২৫ পয়সা। অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিকে তারা ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২৭ পয়সা।

লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মূল্য ছিল ৭ টাকা ৪০ পয়সা।

গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ২৪ পয়সা আয় করে ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিটপ্রতি ৪১ পয়সা আয় করে ৬০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ফান্ডটিরে ইউনিটপ্রতি আয় ছিল ৩০ পয়সা। অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিকে তারা ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১১ পয়সা।

লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মূল্য ছিল ৮ টাকা।

গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ২০ পয়সা আয় করে ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিট প্রতি ৫৩ পয়সা আয় করে ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি আয় হয়েছে ৪১ পয়সা।

অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিকে তারা ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১২ পয়সা।

লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মূল্য ছিল ৯ টাকা ১০ পয়সা।

গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ২৪ পয়সা আয় করে ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

আইএফআইএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিটপ্রতি ৩১ পয়সা আয় করে ৪০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তৃতীয় প্রান্তিক শেষে এই ফান্ডের ইউনিটপ্রতি আয় ছিল ১১ পয়সা। অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিকে তারা ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২০ পয়সা।

লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মূল্য ছিল ৭ টাকা ৪০ পয়সা।

গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ২২ পয়সা আয় করে ৪০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

ফিনিক্স ফিনান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট প্রতি ৩২ পয়সা আয় করে ৬০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি ২৮ পয়সা আয় ছিল। অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিকে তারা ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ৪ পয়সা।

লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মূল্য ছিল ১০ টাকা ৪০ পয়সা।

গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ২৬ পয়সা আয় করে ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৪৭ পয়সা আয় করে ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ৪১ পয়সা আয় করেছিল। অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিকে তারা ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ৬ পয়সা।

লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মূল্য ছিল ৭ টাকা ৮০ পয়সা।

গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ৩১ পয়সা আয় করে ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

সব ফান্ডের রেকর্ড আয়-রেকর্ড লভ্যাংশ

জুনে অর্থবছর শেষ হয়েছে এমন ছয়টি ফান্ড এরই মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করছে যেগুলো রেকর্ড আয় করে লভ্যাংশও দিয়েছে রেকর্ড পরিমাণ।

স্ট্র্যটেজিক ইক্যুইটি পরিচালিত তিনটি ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এর মধ্যে এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড ও এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড ইউনিটধারীদেরকে দেড় টাকা করে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

দুটির মধ্যে বেশি আয় করেছে লেকচার ফান্ড। তবে গত বছরের লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে গিয়ে তারা লভ্যাংশ কমিয়েছে।

ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৮৪ পয়সা। আগের বছর লোকসান ছিল ১ টাকা ৭ পয়সা।

অন্যদিকে গ্রোথ ফান্ড এবার ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৮৭ পয়সা আয় করলেও এর লভ্যাংশ দেয়ার সক্ষমতা বেশি ছিল। কারণ, তাদের গত বছর লোকসান ছিল না। সে বছর ইউনিটপ্রতি আয় ছিল ২৭ পয়সা।

এই কোম্পানি অপর ফান্ড এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ তার ইউনিটধারীদেরকে ১ টাকা করে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

এই ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ৩৫ আয় করেছে। গত বছর ১ টাকা ১৩ পয়সা লোকসান ছিল তাদের। সেটি সমন্বয়ের পর কমেছে লভ্যাংশ।

আরেক সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এলআর গ্লোবাল পরিচালিত ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও গ্রিন ডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট প্রতি ১ টাকা ২০ পয়সা অর্থাৎ ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে এবার।

২০১০ সালে তালিকাভুক্ত দুটি ফান্ড এর আগে কখনও এত বেশি লভ্যাংশ দিতে পারেনি।

গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড এর আগে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দিয়েছে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে, ৯ শতাংশ করে। অন্যদিকে ডিবিএইচ মিউচ্যুয়াল ফান্ড সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ২০১৮ সালে।

ফান্ড দুটিই এবার ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ১৩ পয়সা করে আয় করেছে। ২০২০ সালে ডিবিএইচ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট প্রতি ১ টাকা ৮ পয়সা লোকসান দিয়েছিল। আর গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড লোকসান দিয়েছিল ৯৯ পয়সা। আর সেটি সমন্বয় করতে কমাতে হয়েছে লোকসান।

জুন ক্লোজিং মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো মধ্যে সবার প্রথম লভ্যাংশ ঘোষণা করে এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, যেটি ইউনিট প্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে।

চলতি বছর আয় হয়েছে ৩ টাকা ১৪ পয়সা। আর আগের বছর ৭৬ পয়সা লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে চূড়ান্ত আয় হয়েছে ১ টাকা ৮৬ পয়সা।

আরও পড়ুন:
লভ্যাংশ সবচেয়ে বেশি আসতে পারে গ্রামীণ টুর
এবার ১২ টাকার মিউচ্যুয়াল ফান্ডে দেড় টাকা লভ্যাংশ
মুনাফায় ফিরে আরেক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের রেকর্ড লভ্যাংশ
৯ টাকার মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

নবীনগরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

নবীনগরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দেবী দুর্গার আগমন উপলক্ষে ইতোমধ্যেই ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। এবছর উপজেলায় ১২৭টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে দুর্গাপূজা, যা চলবে ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী পর্যন্ত। ২৯ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহাঅষ্টমী, ১ অক্টোবর মহানবমী এবং ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব।

উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে—খড়, বাঁশ ও কাদা-মাটি দিয়ে শিল্পীরা শৈল্পিক ছোঁয়ায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিমা কারিগর মনেন্দ্র পাল (৫৭) বলেন, “প্রতি বছর প্রায় ৫০-৫৫টি মণ্ডপে কাজ করি। কিন্তু এবার মাত্র ৩২টি মণ্ডপের প্রতিমা বানানোর কাজ করছি। প্রতিটি প্রতিমার দাম প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা ধরা হচ্ছে।” একই কথা জানিয়েছেন কারিগর বিজয় পালসহ অন্যান্য শিল্পীরাও।

নবীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক সঞ্জয় সাহা বলেন, “এবার উপজেলায় ১২৭টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। নিরাপত্তা ও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী জানান, “আসন্ন দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী মিটিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Matchapa boy arrested after killing his father in Coxs Bazar

কক্সবাজারে ‘বাবাকে পিটিয়ে হত্যার’ পর মাটিচাপা, ছেলে গ্রেফতার

কক্সবাজারে ‘বাবাকে পিটিয়ে হত্যার’ পর মাটিচাপা, ছেলে গ্রেফতার

কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে পারিবারিক কলহের জেরে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ বস্তা ভর্তি করে বসতভিটার পাশে মাটি চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাইয় অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তা্ার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার অন্তত ৩৬ ঘন্টার পর প্রকাশ পায়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেইলপাড়া কুরিমারিয়ারছড়া এলাকায় পৌঁছায়। পরে রাত ৯ টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় মাটি খুড়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা গেছে, নিহত মোহাম্মদ ছৈয়দ (৫০) একই এলাকার বাসিন্দা। গ্রেপ্তারকৃৎ মোহাম্মদ রফিক নিহত মোহাম্মদ ছৈয়দের ছেলে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত ও গ্রেপ্তার ব্যক্তি সম্পর্কে বাবা-ছেলে। মোহাম্মদ ছৈয়দের সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তানদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। তিনি কয়েক বছর আগে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে খুরুশকুলের কুমারিয়ারছড়া এলাকায় এসে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। পুরো পরিবারটি রোহিঙ্গা নাগরিক।

নিহতের প্রতিবেশিসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মোহাম্মদ সৈয়দের বাড়ির আশেপাশের উৎকট দুর্গন্ধ ছড়ালে এলাকাবাসীর সন্দেহ জাগে। এক পর্যায়ে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে তার বাড়ির ধানক্ষেতের পাশে সদ্য মাটি চাপা দেওয়া একটি শার্ট দেখতে পান। সেখান থেকে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের পৌঁছার পর মাটি সরিয়ে বস্তাবন্দী অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে।

গ্রেপ্তারকৃত রফিকের স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, ‘সোমবার ভোরে তার শ্বশুর মোহাম্মদ ছৈয়দ স্থানীয় মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান। সকালে বাড়ী ফিরলে শ্বাশুরির সঙ্গে তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তার স্বামীও কলহে জড়িয়ে পড়েন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্বামী রফিক বাবাকে লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করেন। আঘাতে তার শ্বশুর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আহত হন। পরে তার মৃত্যু হলে লাশটি বস্তাবন্দী করে ঘরে ফেলে রাখা হয়।

ঘটনার ব্যাপারে কারও কাছে প্রকাশ করলে বাবার মত পরিণতি ভোগ করারও হুমকি দেন তার স্বামী, জানান অভিযুক্তের স্ত্রী।

এদিকে সোমবার মধ্যরাতে ঘটনা ধামাচাপা দিতে সৈয়দের স্ত্রী, দুই সন্তান রফিক ও সাহাবউদ্দিন জিয়া মিলে গত সোমবার রাত ১০টার দিকে বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে মাটি চাপা দিয়ে লাশ পুঁতে রাখেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে ছৈয়দের স্ত্রী ও সন্তানরা পালিয়ে আত্মগোপন করেন।

পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণার কথা বলেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াছ খান।

তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মাটি সরিয়ে বস্তাবন্দী লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নিহতের ছেলে মোহাম্মদ রফিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলা নথিভূক্ত হওয়ার পর জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
How many tons went to the first shipment to export hilsa to India

ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু, প্রথম চালানে গেল কত টন

ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু, প্রথম চালানে গেল কত টন

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত একটার দিকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সাতটি ট্রাকে ইলিশ পাঠানো হয়। ৩৭ দশমিক ৪৬ মেট্রিক টন ইলিশ নিয়ে ট্রাকগুলো ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, ভারতের কলকাতার ৫টি প্রতিষ্ঠান ইলিশ আমদানি করছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ন্যাশনাল ট্রেডিং, এফএনএস ফিশ, জয় শান্তসী, মা ইন্টারন্যাশনাল ও আর জে ইন্টারন্যাশনাল। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি করেছে সততা ফিশ, স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ ও লাকী ট্রেডিং নামের প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সরকার আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে ভারতে মোট এক হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।

এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান রপ্তানি করতে পারবে ৫০ টন ইলিশ, ২৫টি প্রতিষ্ঠান ৩০ টন করে (৭৫০ টন), ৯টি প্রতিষ্ঠান ৪০ টন করে (৩৬০ টন) এবং দুটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন করে (৪০ টন) ইলিশ ভারতে রপ্তানি করতে পারবে।

বেনাপোল মৎস্য কোয়ারেন্টিন কর্মকর্তা সজীব সাহা বলেন, ‘প্রতিকেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলারআগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানি শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের।’

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
At least 5 Sudanese refugees died by boat on the coast of Libya

লিবিয়ার উপকূলে নৌকায় আগুন, অন্তত ৫০ সুদানি শরণার্থীর মৃত্যু

লিবিয়ার উপকূলে নৌকায় আগুন, অন্তত ৫০ সুদানি শরণার্থীর মৃত্যু

লিবিয়ার উপকূলে সুদানি শরণার্থীবাহী একটি নৌকায় আগুন লাগার ঘটনায় অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, ওই দুর্ঘটনার সময় নৌকাটিতে ৭৫ জন শরণার্থী ছিলেন।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

আইওএম জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ২৪ জনকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি এক্স-এ পোস্ট করে বলেছে, সমুদ্রপথে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঠেকাতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

এর আগেও সমুদ্রপথে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। গত মাসে ইয়েমেন উপকূলে একটি নৌকা ডুবে অন্তত ৬৮ শরণার্থী ও অভিবাসীর মৃত্যু হয়, নিখোঁজ হয় আরও অনেকে।

আইওএম-এর তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত বছরই ভূমধ্যসাগরে ২ হাজার ৪৫২ অভিবাসী বা শরণার্থী প্রাণ হারিয়েছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সমুদ্রপথগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

২০১১ সালে লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে দেশটি আফ্রিকা থেকে ইউরোপগামী শরণার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে। গাদ্দাফির আমলে আফ্রিকার বহু মানুষ লিবিয়ায় কাজ করলেও তাঁর পতনের পর দেশটিতে বিভিন্ন মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সংঘাতে স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়।

গত আগস্টে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের কাছে দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়। তার আগে জুন মাসে লিবিয়া উপকূলে দুটি জাহাজডুবিতে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয় বা নিখোঁজ হন।

মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা বলছে, লিবিয়ায় আটক শরণার্থী ও অভিবাসীরা নিয়মিতভাবে নির্যাতন, ধর্ষণ ও অর্থ আদায়ের শিকার হচ্ছেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অভিবাসন ঠেকাতে লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে সরঞ্জাম ও অর্থসহায়তা দিয়েছে। কিন্তু ওই কোস্টগার্ডের সঙ্গে নির্যাতন ও অপরাধে জড়িত মিলিশিয়ার সম্পর্ক থাকার অভিযোগ উঠেছে।

এনজিওগুলো বলছে, সরকারি সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ কার্যক্রম কমিয়ে দেওয়ায় এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সীমিত করায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়া অভিবাসীদের জীবন আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে যুদ্ধ, সংঘাত ও নির্যাতন থেকে পালিয়ে আসা বহু মানুষ লিবিয়ায় আটকে পড়ছেন এবং অমানবিক অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Administrator is the final sitting of the decision to unite five banks

পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক

পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক

সমস্যাগ্রস্ত শরিয়াভিত্তিক বেসরকারি পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বিশেষ বোর্ড সভা শেষে এ তথ্য জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. আরিফ হোসেন খান। সভায় গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড সদস্যরা।

সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, সমস্যাগ্রস্ত শরিয়াভিত্তিক বেসরকারি পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ’ অনুযায়ী পরিচালিত এই মার্জার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগবে দুই বছর। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে শিগগিরই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, এই একীভূতকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি প্রশাসক টিম গঠন করা হবে। তবে ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা টিম। প্রতিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাদের পদে বহাল থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ব্যাংকগুলোর পর্ষদ (বোর্ড) বাতিল করা হবে না। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। প্রশাসক টিম নিয়মিত তাদের কার্যক্রমের অগ্রগতি ও আপডেট বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত টিমকে জানাবে।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংককে একীভূত করে গঠন করা হবে একটি নতুন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, যার সম্ভাব্য নাম হবে ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’। নতুন এ ব্যাংকটির জন্য লাইসেন্স ইস্যু করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Legal measures excluding the July Fighter List when proven fake Ministry of Liberation War

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি পরিলক্ষিত হয়েছে যে, কিছু কিছু গণমাধ্যমে ভুয়া জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে। ওই সংবাদগুলোর প্রতি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের গেজেট প্রকাশ এবং ভাতাসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের এম.আই.এস ভুক্ত যে তালিকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে ইতোমধ্যে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

জুলাই শহীদ এবং জুলাই যোদ্ধার তালিকায় যে সকল ভূয়া জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল তাদের নাম যাচাই বাছাই করে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ইতোমধ্যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।

এছাড়াও গণমাধ্যমে যে সকল ভুয়া জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের নাম প্রকাশিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর তা পুনরায় যাচাই-বাছাই করছে।

কোনো প্রকার ভুয়া প্রমাণিত হলে তাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়নে মন্ত্রণালয় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Legal measures excluding the July Fighter List when proven fake Ministry of Liberation War

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি পরিলক্ষিত হয়েছে যে, কিছু কিছু গণমাধ্যমে ভুয়া জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে। ওই সংবাদগুলোর প্রতি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের গেজেট প্রকাশ এবং ভাতাসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের এম.আই.এস ভুক্ত যে তালিকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে ইতোমধ্যে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

জুলাই শহীদ এবং জুলাই যোদ্ধার তালিকায় যে সকল ভূয়া জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল তাদের নাম যাচাই বাছাই করে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ইতোমধ্যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।

এছাড়াও গণমাধ্যমে যে সকল ভুয়া জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের নাম প্রকাশিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর তা পুনরায় যাচাই-বাছাই করছে।

কোনো প্রকার ভুয়া প্রমাণিত হলে তাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়নে মন্ত্রণালয় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মন্তব্য

p
উপরে