× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
Most of the dividends can come from rural tours
google_news print-icon

লভ্যাংশ সবচেয়ে বেশি আসতে পারে গ্রামীণ টুর

লভ্যাংশ-সবচেয়ে-বেশি-আসতে-পারে-গ্রামীণ-টুর
মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি সর্বোচ্চ আয় আছে গ্রামীণ টু মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। ইউনিট প্রতি ৩ টাকা ৯১ পয়সা আয় আছে তাদের। আর গত বছরও কোনো লোকসান নেই। ফলে চতুর্থ প্রান্তিকে যত আয় হবে, সেটি যোগ করে তার ওপর ৭০ শতাংশ লভ্যাংশ পাবেন ইউনিটধারীরা। চতুর্থ প্রান্তিকে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত সূচক বেড়েছে ৮৮০ পয়েন্ট। আর প্রথম প্রান্তিকে গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যখন ৯৭০ পয়েন্ট বাড়ে, তখন গ্রামীণ টু ইউনিটপ্রতি আয় করে ৩ টাকা ৭ পয়সা। তারপরও চতুর্থ প্রান্তিকে যদি কোনো আয়ও না হয়, তার পরেও ন্যূনতম লভ্যাংশ আসবে ২ টাকা ৭৩ পয়সা।

একই সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির তিনটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের একটির ইউনিটপ্রতি আয় ২ টাকা ৩৫ পয়সা, একটির আয় ১ টাকা ৮৭ পয়সা। একই নীতিমালায় ঘোষণা হলেও প্রথমটির তুলনায় দ্বিতীয়টির লভ্যাংশ এসেছে দেড় গুণ।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে ডিসেম্বরে অর্থবছর শেষ হয়েছে এমন ছয়টি এরই মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সবগুলোই এবার ইউনিটধারীদেরকে রেকর্ড পরিমাণ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এগুলোর ইউনিটপ্রতি আয় আর লভ্যাংশের মধ্যে পার্থক্য দেখা গেছে।

এর কারণ, ফান্ডগুলোর গত বছরের ব্যালান্স শিট। যেগুলো গত বছর লোকসান দিয়েছিল, সেগুলোর এবার লভ্যাংশ আসছে কম। আর যেগুলো গত বছর মুনাফায় ছিল বা নূন্যতম লোকসান দিয়েছে, সেগুলোর লভ্যাংশ আসছে বেশি।

জুনে অর্থবছর শেষ হয়েছে এমন আরও যে ২৩টি ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণার বাকি আছে, সেগুলোর মধ্যে কোনগুলোর লভ্যাংশ কী পরিমাণ হতে পারে, তার একটি ধারণা এরই মধ্যে হয়ে গেছে। এতে এটা স্পষ্ট যে, সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেয়ার সক্ষমতা আছে গ্রামীণ টু মিউচ্যুয়াল ফান্ডের।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বা পুঁজিবাজারের বাইরে থাকা ফান্ডগুলো চলে একই নীতিতে। তাদের আয়ের কমপক্ষে ৭০ শতাংশ নগদে লভ্যাংশ হিসেবে দিতে হয়। তবে গ্রোথ ফান্ড হলে লভ্যাংশ দিতে হয় কমপক্ষে ৫০ শতাংশ।

লভ্যাংশ সবচেয়ে বেশি আসতে পারে গ্রামীণ টুর

বছর সাতেক আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এক আদেশে জানায়, মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো লভ্যাংশ নগদের বদলে চাইলে রিইনভেস্টমেন্ট ইউনিটেও দিতে পারবে। তবে সেই রিইনভেস্টমেন্ট ইউনিটের মারপ্যাঁচ ছিল বেশ জটিল। ফলে বিনিয়োগকারীরা আসলে কত লভ্যাংশ পেল তা বোঝা ছিল কঠিন।

আবার এক বছর মুনাফা করে পরের বছর যদি লোকসান হয়, তাহলে রিইনভেস্টমেন্ট ইউনিটের দামও কমে যেত। ফলে বিনিয়োগকারীদের লোকসান আরও বাড়ত।

এই পরিস্থিতিতে গত বছর থেকে রিইনভেস্টমেন্ট ইউনিট দেয়ার বিধান বাতিল হয়। এবার থেকে আর সে সুযোগ নেই। ফলে দিতে হচ্ছে নগদেই।

লভ্যাংশ সবচেয়ে বেশি আসতে পারে গ্রামীণ টুর

২০২০ সালে দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর মার্চ থেকে পুঁজিবাজারে যে ধস নামে তাতে জুনে অর্থবছর শেষ হয় এমন সিংগভাগ মিউচ্যুয়াল ফান্ড বড় অংকের লোকসান দেয়। যে কয়টি মুনাফা করে, সেগুলোও ছিল নগণ্য।

কিন্তু গত বছরের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে যে অবিশ্বাস্য উত্থান, তাতে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোও ব্যাপক মুনাফায় আছে। আর এ কারণে এবার লভ্যাংশও আসছে ভালো।

এবার বিভিন্ন ফান্ডের ট্রাস্টি বোর্ডের ঘোষণার পর স্পষ্ট হচ্ছে কোন নীতিমালায় লভ্যাংশ আসবে।

আগের বছর যদি কোনো ফান্ডের লোকসান থাকে, তাহলে সেটির বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণের সুযোগ থাকে। আর এ কারণে জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত যত আয় হয়েছে, তার বিপরীতে ‘সর্বোচ্চ’ লভ্যাংশ পাওয়া যায়নি।

এখন পর্যন্ত ঘোষণা হয়েছে ছয়টি ফান্ডের লভ্যাংশ। এর মধ্যে কেবল একটি গত বছর মুনাফায় ছিল। আর এ কারণে তারা ইউনিটপ্রতি এবার ১ টাকা ৮১ পয়সা আয় করেও দেড় টাকা লভ্যাংশ দিতে পেরেছে। অন্যদিকে গত বছরের লোকসানের কারণে ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ৩৫ পয়সা আয় করেও এবার লভ্যাংশ এসেছে এক টাকা।

এখন পর্যন্ত জুন ক্লোজিং যে ছয়টি ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত যে ফান্ডটি সময়ে সবচেয়ে কম আয় করেছে, তারা আয় করেছে ১৮ পয়সা। আর সবচেয়ে বেশি আয় করেছে একটি ১ টাকা ২৫ পয়সা। ১ টাকার বেশি আয় করেছে আরও একটি ফান্ড।

তৃতীয় প্রান্তিক শেষে সবচেয়ে বেশি বিতরণযোগ্য আয় যাদের

৩০ জুন অর্থবছর শেষ হয়, পুঁজিবাজারে এমন ফান্ডের সংখ্যা ২৯টি। এর মধ্যে ৬টি লভ্যাংশ ঘোষণা করার পাশাপাশি আরও ১০টি ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণার তারিখ জানিয়েছে। বাকি ১৩টি ফান্ড এখনও এই সিদ্ধান্ত জানায়নি।

সব মিলিয়ে ২৩টি ফান্ডের মধ্যে মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি সর্বোচ্চ আয় আছে গ্রামীণ টু মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। ইউনিট প্রতি ৩ টাকা ৯১ পয়সা আয় আছে তাদের। আর গত বছরও কোনো লোকসান নেই। ফলে চতুর্থ প্রান্তিকে যত আয় হবে, সেটি যোগ করে তার ওপর ৭০ শতাংশ লভ্যাংশ পাবেন ইউনিটধারীরা।

চতুর্থ প্রান্তিকে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত সূচক বেড়েছে ৮৮০ পয়েন্ট। আর প্রথম প্রান্তিকে গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যখন ৯৭০ পয়েন্ট বাড়ে, তখন গ্রামীণ টু ইউনিটপ্রতি আয় করে ৩ টাকা ৭ পয়সা।

তারপরও চতুর্থ প্রান্তিকে যদি কোনো আয়ও না হয়, তার পরেও ন্যূনতম লভ্যাংশ আসবে ২ টাকা ৭৩ পয়সা।

তৃতীয় প্রান্তিক শেষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিতরণযোগ্য আয় আছে রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। মার্চ শেষে তাদের ইউনিটপ্রতি আয় ৭৯ পয়সা। গত বছর লোকসান ৪ পয়সা, হাতে থাকে ৭৫ পয়সা। এর সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

তৃতীয় প্রান্তিক শেষে তৃতীয় সর্বোচ্চ বিতরণযোগ্য আয় আছে সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। মার্চ শেষে তাদের ইউনিটপ্রতি আয় ১ টাকা ১৯ পয়সা। গত বছর ইউনিটপ্রতি ৪৮ পয়সা লোকসান দেয়ায় তাদের হাতে থাকে ৭১ পয়সা। এর সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ৮ ফান্ডের যে চিত্র

২০২০ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ-আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি পরিচালিত আটটি ফান্ড গত বছর মন্দা বাজারেও কোনো লোকসান দেয়নি। কিন্তু চলতি বছরের চাঙা বাজারেও বছরের তিন প্রান্তিকে তাদের ইউনিটপ্রতি আয় আহামরি কিছু হয়নি। এ কারণে তারা এবারের আয়ের পুরোটার ওপরও যদি লভ্যাংশ বিতরণ করে, তার পরেও মূলত নির্ভর করতে হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়ের ওপর।

এই ফান্ডগুলো লভ্যাংশ ঘোষণা করবে আগামী বুধবার।

লভ্যাংশ সবচেয়ে বেশি আসতে পারে গ্রামীণ টুর

এর মধ্যে আইসিবি এএমসিএল অগ্রণী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড তৃতীয় প্রান্তিকে শেষে ৩০ পয়সা, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৩১ পয়সা, আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ২৫ পয়সা, আইসিবি এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ৩০ পয়সা, আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ৪১ পয়সা, আইএফআইএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ১১ পয়সা, ফিনিক্স ফিনান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ২৮ পয়সা আর প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট এএমসিএল ৪১ পয়সা আয় করেছে।

এই ফান্ডগুলোর বেশিরভাগ গত বছর ইউনিটপ্রতি ৫০ পয়সা করে লভ্যাংশ বিতরণ করেছিল।

ব্যাপক আয় থাকা সত্ত্বেও লভ্যাংশ কম হওয়ার আভাস

মার্চ শেষে ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি আয় ১ টাকা ৮৩ পয়সা। চতুর্থ প্রান্তিকে যদি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আয়ও হয়, তার পরেও লভ্যাংশ কিছুটা কম হবে। কারণ, গত বছরের লোকসান ১ টাকা ৩৫ টাকা। হাতে থাকে ৪৮ পয়সা। সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মার্চ শেষে আয় ১ টাকা ৭১ পয়সা। গত বছর তাদের লোকসান ছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা। তাদেরও বিতরণযোগ্য আয় আছে ৪৮ পয়সা। সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান মার্চ শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ২০ পয়সা। গত বছর ইউনিটে লোকসান ছিল ৭৫ পয়সা। ফলে বিতরণযোগ্য আছে ৪৫ পয়সা। সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৬৬ পয়সা। গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ২৩ পয়সা লোকসান দিয়েছিল। ফলে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে বিতরণযোগ্য আয় আছে আসলে ৪৩ পয়সা। এরপর যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড মার্চ শেষে ইউনিটপ্রতি আয়করেছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা। গত বছর ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৩৭ পয়সা। হাতে থাকে ৪৩ পয়সা। সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

তৃতীয় প্রান্তিক শেষে এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭০ পয়সা। গত বছর ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা। হাতে থাকে ৪২ পয়সা। সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি আয় আছে ১ টাকা ৭১ পয়সা। গত বছর ফান্ডটির লোকসান ছিল ১ টাকা ৩৫ পয়সা। হাতে থাকে ৩৬ পয়সা। সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৪৪ পয়সা। গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি লোকসান দিয়েছে ১ টাকা ২৩ পয়সা। হাতে থাকে ২১ পয়সা। সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

মার্চ শেষে এফবিএফআইএফের ইউনিটপ্রতি আয় ১ টাকা ৭৫ পয়সা। গত বছর এটি ইউনিটপ্রতি লোকসান দেয় ১ টাকা ৫৫ পয়সা। ফলে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে হাতে থাকে ২০ পয়সা। সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা। গত বছর ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৫৮ পয়সা। ফলে বিতরণযোগ্য থাকে ১৮ পয়সা। সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড মার্চ শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮২ পয়সা। কিন্তু ফান্ডটি গত বছর ইউনিটপ্রতি লোকসান দিয়েছিল ১ টাকা ৮০ পয়সা। ফলে ফলে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে বিতরণযোগ্য আয় আছে আসলে ২ পয়সা। এরপর যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ১ টাকা ৪০ পয়সা আয় করলেও চতুর্থ প্রান্তিকে অভাবনীয় আয় না হলে ভালো লভ্যাংশ আসার সম্ভাবনা কম। কারণ, গত বছর ইউনিটপ্রতি ফান্ডটি ১ টাকা ৬৯ পয়সা লোকসান দিয়েছিল। ফলে এর পুরোটা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে গেলে এখনও লাগবে ২৯ পয়সা। চতুর্থ প্রান্তিকের আয় থেকে সেই ক্ষতি পুষিয়ে এরপর লভ্যাংশ বিতরণ করা হবে।

‍২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে ভ্যানগার্ড রূপালী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। ফান্ডটি অর্থবছর শেষে ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৬৭ পয়সা আয় করেও লভ্যাংশ দিয়েছিল ১৬ পয়সা। কারণ, আগের বছর ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৮০ পয়সা লোকসান ছিল তাদের। আর অর্থবছরের পুরো আয় দিয়েও সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যায়নি। ফলে আগামী বছরও কিছু সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হবে।

লভ্যাংশ ঘোষণা করা ৬ ফান্ডের চতুর্থ প্রান্তিকের আয় কত

প্রথম লভ্যাংশ ঘোষণা কার এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছর শেষে ইউনিট প্রতি আয় করেছে ৩ টাকা ১৪ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি আয় ছিল ২ টাকা ৯৬ পয়সা। এর পরে চাঙা তিন মাসে তারা খুব একটা আয় বাড়াতে পারেনি। এ সময়ে আয় হয়েছে ১৮ পয়সা, যা চার প্রান্তিকের আয়ের মধ্যে সর্বনিম্ন।

সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এলআর গ্লোবাল পরিচালিত ডিবিএইচ মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবার ইউনিট প্রতি আয় ২ টাকা ১৩ পয়সা। এর মধ্যে চতুর্থ প্রান্তিকে আয় করেছে সবচেয়ে বেশি; ১ টাকা ২ পয়সা।

গ্রিন ডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড চতুর্থ প্রান্তিকে এর চেয়ে বেশি আয় করেছে। তাদের মোট আয় ২ টাকা ১৩ পয়সা। যার মধ্যে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্তই এসেছে ১ টাকা ২৫ পয়সা।

স্ট্র্যটেজিক ইক্যুইটি ফান্ড পরিচালনা করে মোট তিনটি। এগুলোর একেকটি একেক ধরনের আয় করেছে তৃতীয় প্রান্তিকে।

এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড ইউনিটপ্রতি মোট আয় করেছে ২ টাকা ৮৪ পয়সা। এর মধ্যে চতুর্থ প্রান্তিকে হয়েছে ৭০ পয়সা।

এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড ইউনিট প্রতি আয় করেছে মোট ১ টাকা ৮৭ পয়সা। এর মধ্যে চতুর্থ প্রান্তিকে আয় করেছে ৩৩ পয়সা।

অন্যদিকে এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড বছর শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৩৫ পয়সা। এর মধ্যে চতুর্থ প্রান্তিকে এসেছে ৫৪ পয়সা।

আরও পড়ুন:
লভ্যাংশ সবচেয়ে বেশি আসতে পারে গ্রামীণ টুর
এবার ১২ টাকার মিউচ্যুয়াল ফান্ডে দেড় টাকা লভ্যাংশ
মুনাফায় ফিরে আরেক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের রেকর্ড লভ্যাংশ
৯ টাকার মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ
বুধবার আসছে আট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
BNP chairperson expressed his gratitude to the chief adviser and countrymen Dr Zahid

প্রধান উপদেষ্টা ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিএনপি’র চেয়ারপার্সন : ডা. জাহিদ

প্রধান উপদেষ্টা ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিএনপি’র চেয়ারপার্সন : ডা. জাহিদ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চিকিৎসা পরবর্তী সময়ে তাঁর (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা অনেকটাই সুস্থ এবং মানসিকভাবেও তিনি স্ট্যাবল (স্থিতিশীল)। তাঁর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করায় তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলীয় চেয়ারপার্সনের বাসভবন ‘ফিরোজা’র সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশের পর দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি এই ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন।

ডা. জাহিদ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন অনেকটাই সুস্থ। মানসিকভাবেও উনি স্ট্যাবল (স্থিতিশীল) আছেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে লন্ডন থেকে তিনি দেশে ফিরে এসেছেন।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ ও মানসিকভাবে দৃঢ় রয়েছেন। তার প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করায় তিনি নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, গত ৭ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত লন্ডনে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।

তবে ১৪ ঘণ্টার জার্নি এবং দীর্ঘ সময়ের এ জার্নির কারণে উনি শারীরিকভাবে একটু অবসন্ন। তারপরও মানসিক ভাবে উনার অবস্থা অত্যন্ত স্থিতিশীল আছে বলেও ডা. জাহিদ উল্লেখ করেন।

বেগম খালেদা জিয়ার এই সুস্থতা যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন ডা. জাহিদ।

ডা. জাহিদ বলেন, বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের জন্য কাতারের ‘রাজকীয় বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ ‘বিনাভাড়ায়’ দেয়ার জন্য কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং কাতার কর্তৃপক্ষের প্রতি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কতৃজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
In the Cyber ​​Protection Ordinance the previous five cases will also be canceled Asif Nazrul

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে আগের ৯টি ধারা বাতিল, মামলাও বাতিল হবে: আসিফ নজরুল

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে আগের ৯টি ধারা বাতিল, মামলাও বাতিল হবে: আসিফ নজরুল মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: বাসস

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, সাইবার সুরক্ষা আইন সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশে অনলাইন জুয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো সাইবার স্পেসে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং যৌন হয়রানিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে আগের আইনের ৯টি ধারা বাতিল করা হয়েছে। যা ছিল কুখ্যাত ধারা, এসব ধারাতেই ৯৫ শতাংশ মামলা হয়েছিল। মামলাগুলোও এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া উপস্থাপন করা হয়। কিছু সংশোধন শেষে এই সপ্তাহে গেজেট আকারে প্রকাশ হতে পারে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।

আসিফ নজরুল জানান, এছাড়া কিছু কিছু ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে। মত প্রকাশের ক্ষেত্রে দুটি অপরাধ রাখা হয়েছে, একটি হচ্ছে নারী ও শিশুর প্রতি যৌন নির্যাতনমূলক কন্টেন্ট প্রকাশ, হুমকি দেওয়া। আরেকটি হচ্ছে ধর্মীয় ঘৃণা ছড়ানো, যেই ঘৃণা ছড়ানোর মধ্যে দিয়ে সহিংসতা উসকে দেওয়া হয়। ধর্মীয় ঘৃণাকে কঠোরভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যাতে ভুল বোঝাবুঝি না হয়, কেউ কাউকে হয়রানি করতে না পারে। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এই প্রথমবারের বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে যদি কোনও সাইবার অপরাধ করা হয়, সেটাকে শাস্তিযোগ্য করা হয়েছে। মত প্রকাশের ক্ষেত্রে ওই দুটি ক্ষেত্রে কারো বিরুদ্ধে মামলা হলে এটা আমলি আদালতে যাবে, যাওয়ার পর ম্যাজিস্ট্রেট যদি দেখেন— এই মামলার কোনো যৌক্তিকতা নেই, তাহলে প্রি ট্রায়াল স্টেজে তিনি মামলা বাতিল করে দিতে পারবেন। অর্থাৎ চার্জশিটের জন্য অপেক্ষা করা লাগবে না। যদি দেখেন সম্পূর্ণ ভুয়া মামলা, এই মামলার কোনো ভিত্তি নেই, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই মামলা বাতিল করে দিতে পারবেন।

আসিফ নজরুল বলেন, বিলুপ্ত করা বিধানগুলোর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় শহীদ বা জাতীয় পতাকা সম্পর্কিত বিদ্বেষ বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক প্রচারণার যে দণ্ড দেওয়ার বিধান সেটা বিলুপ্ত করা হয়েছে। এই বিধানে প্রচুর হয়রানিমূলক মামলা হতো। মানহানিকর তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে বিধান যেটা এতে প্রচুর মামলা হতো, অনেক সাংবাদিক এই মামলার ভুক্তভোগী হয়েছেন, এই ধারা সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে। আরেকটা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে— এই ধরনের কোনও কন্টেন্ট বা কথাবার্তা বলায় প্রচুর মামলা হতো, এটাও সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করা হয়েছে। আক্রমণাত্মক বা ভীতিকর তথ্য উপাত্ত প্রকাশ এটাও সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, কোরবানি ঈদের ছুটি ৫-১০ জুন আগে থেকেই ঘোষণা করা ছিল। ১১ এবং ১২ জুন ছুটি ঘোষণা করে ১৭ মে এবং ২৪ মে এই দুই দিন সরকারি ও আধা সরকারি কর্মচারীরা কাজ করবেন। এই দুই দিন ছুটি ঘোষণা করায় ঈদুল আজহার ছুটি হবে ১০ দিন। এই অনুযায়ী ব্যাংক ও প্রাইভেট কোম্পানি তাদের মতো করে ছুটি ঘোষণা করবে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Engineers must be involved with the progress of technology knowledge Chief Advisor

প্রযুক্তি জ্ঞানের অগ্রগতির সাথে প্রকৌশলীদের সম্পৃক্ত থাকতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রযুক্তি জ্ঞানের অগ্রগতির সাথে প্রকৌশলীদের সম্পৃক্ত থাকতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি জ্ঞানের সর্বশেষ অগ্রগতির সাথে প্রকৌশলীদের সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

আগামীকাল ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। ‘উন্নত জগৎ গঠন করুন’ এই আদর্শকে সামনে রেখে ১৯৪৮ সালের ৭ মে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) প্রতিষ্ঠিত হয়।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রকৌশলী সমাজের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি কর্তৃত্ববাদী দু:শাসনের অবসান হয়েছে। বর্তমান অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার একটি বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। প্রযুক্তি ও প্রকৌশলগত উন্নয়ন একটি জাতির উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করে। তথ্যপ্রযুক্তিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন জ্ঞান ও আবিষ্কার। প্রকৌশলীগণ যার মুখ্য কারিগর।

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বিশ্বায়নের এ যুগে প্রযুক্তি ও প্রকৌশল জ্ঞানের বিকাশ ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত এবং উন্নত আধুনিক বাংলাদেশ গঠনেও প্রকৌশলীদের কার্যকর ভূমিকা অত্যাবশ্যক বলে আমি মনে করি। প্রকৌশলীগণ দেশপ্রেমের অনির্বাণ চেতনাকে ধারণ করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করছি।’

প্রধান উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Chinmay the leader of the ISKCON arrested in three more cases

আরও ৪ মামলায় গ্রেপ্তার ইসকন নেতা চিন্ময়

আরও ৪ মামলায় গ্রেপ্তার ইসকন নেতা চিন্ময়

চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা পুলিশের কাজে বাধাসহ চার মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দীনের আদালতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রায়হানুল ওয়াজেদ বলেন, কোতোয়ালী থানার পুলিশের কাজে বাধা, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলাসহ চার মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা। আদালতে শুনানি হয় ও আসামি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস কারাগার থেকে ভার্চুয়াল শুনানিতে যুক্ত ছিলেন। আদালত শুনানি শেষে চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন।

এদিকে চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর ভার্চুয়াল শুনানিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

গত ২৬ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করার পর কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।

এসময় তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিচার্জ এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে এদিন বিকেলে রঙ্গম কমিউনিটি হল সংলগ্ন এলাকায় আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Jarridona canal in Kamlnagar

কমলনগরে ৮০ প্রভাবশালীদের দখলে জারিরদোনা খাল

উচ্ছেদের আদেশ হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেই প্রশাসনের
কমলনগরে ৮০ প্রভাবশালীদের দখলে জারিরদোনা খাল

ময়লা-আবর্জনা আর অবৈধ দখলের কারণে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ জারিরদোনা শাখা খালটি। এ জন্য যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব ও প্রশাসনের উদাসীনতাকে দুষছেন এলাকাবাসী।

উপজেলা সদর হাজিরহাট বাজার অংশে জারিরদোনা খাল দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ছোট-বড় বহু দোকানপাট ও বহুতল ভবন। কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই খালের পানি বাধাগ্রস্ত করে ইচ্ছামতো সরু পুল, কালভার্ট নির্মাণ করেছেন প্রভাবশালীরা। সেই সঙ্গে গড়ে তুলেছেন অবৈধ দোকানপাট। এ ছাড়া এলাকার কিছু প্রভাবশালী বাজারের আবর্জনা দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে খালটি ভর্তি করে ফেলেছেন। যাতে করে পরে সময় সুযোগ বুঝে ওই স্থান দখলে নেওয়া যায়।

এলাকাবাসী জানান, চরফলকন, চরলরেন্স, হাজিরহাট ও সাহেবেরহাট ইউনিয়নসহ উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কৃষিকাজ এ খালের পানি প্রবাহের ওপর নির্ভরশীল। পানির স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে যেমন পানি সংকটে কৃষিকাজ ব্যাহত হয়, তেমনি বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনজনিত সমস্যায় সয়াবিন, ধান, মরিচ, বাদাম ও সবজীসহ বিভিন্ন ফসল ও বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বর্তমান এ অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা চলছে। খালটি দখলের কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় জীবনযাত্রা চরম দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে মানুষের। বন্যার পানি না নামার কারণ হিসেবে খাল দখলকে দায়ী করছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

হাজিরহাট এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নূর সেলিম বলেন, জারিরদোনা শাখা খালটির সংযোগ সরাসরি মেঘনা নদীর সঙ্গে। আশির দশক পর্যন্ত এ খালটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হিসেবেই বিবেচিত ছিল। এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যেও এর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। ওই সময়ে কাঁচা রাস্তা দিয়ে বাস-ট্রাক যাতায়াত করা ছিল দুর্সাধ্য। এমনকি ৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে এ অঞ্চলের সড়ক পথই ছিল না।

এদিকে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ৮০ দখলবাজের কবজা থেকে খালটি উদ্ধার করতে উচ্ছেদের আদেশ হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। তারা খাল উদ্ধারে গড়িমসি করে সময় পার করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

উপজেলা ভূমি অফিসের তথ্যমতে, পিএস জরিপে হাজিরহাট বাজার অংশে খালের প্রশস্ততা ছিল গড়ে প্রায় ৩২ ফুট। বর্তমান আরএস জরিপে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ২০ ফুটে। কিন্তু কিছু ইমারত (ভবন) এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে ওই সব অংশে খালের প্রশস্ততা বর্তমানে ২ থেকে ৩ ফুটের বেশি নেই।

হাজিরহাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল হাছান বলেন, ‘এলাকার বৃহত্তর স্বার্থে খালটি সংস্কার করে পানির প্রবাহ ঠিক রাখা একান্ত জরুরি। পুরো খাল দখল করে যারা ইমারত তৈরি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে খালটি দখলমুক্ত করা এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাত হুসাইন বলেন, ‘জারিরদোনা খাল দখলমুক্ত করতে ইতোমধ্যে আদেশ হয়েছে। আমরা দ্রুত কাজ শুরু করব।’

এ বিষয়ে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহাত-উজ জামান বলেন, খালটি সংস্কার ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Eid ul Azha 7 Day leave Press Secretary

ঈদুল আজহায় ১০ দিন ছুটি: প্রেস সচিব

ঈদুল আজহায় ১০ দিন ছুটি: প্রেস সচিব

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিন ছুটি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

মঙ্গলবার (৬ মে) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান।

পাশাপাশি ১৭ ও ২৪ মে দুটি শনিবার অফিস খোলা থাকবে বলে ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। তবে কবে থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে কবে শেষ হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

গত ঈদুল ফিতরে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি ছিল। ঈদে টানা পাঁচদিন ছুটি আগেই ঘোষণা করে সরকার। তার সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও এক দিন ছুটি বাড়ানো হয়। ওই ছুটি শুরুর দুদিন আগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ছুটি ছিল। মাঝে ২৭ মার্চ একদিন খোলা ছিল অফিস।

চলতি মে মাসে এরইমধ্যে টানা তিন দিন ছুটি উপভোগ করছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। দ্বিতীয় দফায় আরও একবার তিন দিনের ছুটি পেতে চলেছেন তারা। আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি। এরআগে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি আছে তাদের। অর্থাৎ এই মাসে দুদফায় তিন দিন করে ছুটি উপভোগ করবেন তারা।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Up Bangladesh political party is not a platform Junaid

‘আপ বাংলাদেশ’ রাজনৈতিক দল নয়, প্ল্যাটফরম : জুনায়েদ

‘আপ বাংলাদেশ’ রাজনৈতিক দল নয়, প্ল্যাটফরম : জুনায়েদ আলী আহসান জুনায়েদ

আগামী ৯ মে (শুক্রবার) আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ। যার সংক্ষিপ্ত রূপ ইউপিবি বা আপ বাংলাদেশ। তবে এটি রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম বলে জানিয়েছেন প্ল্যাটফরমের উদ্যোক্তা আলী আহসান জুনায়েদ।

গতকাল সোমবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানান তিনি।

তবে এর আগে জানা গিয়েছিল, রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘোষণা হচ্ছে আপ বাংলাদেশ।

ওই পোস্টে জুনায়েদ বলেন, আগামী ৯ মে (শুক্রবার) বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (ইউপিবি/আপ বাংলাদেশ)। এটি মূলত একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম, দল নয়।

জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করাই হবে এই প্ল্যাটফরমের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা বলে জানিয়েছেন তিনি।

জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের মধ্যে আলী আহসান জুনায়েদ অন্যতম। গত ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা হওয়া নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ পদগুলোর মধ্যে একটি পদ পাওয়ার গুঞ্জন ছিল। পরে এক পোস্টে তিনি ওই দলে যাচ্ছেন না বলে জানান।

আজকের পোস্টে জুনায়েদ আরও বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে আমরা বাংলাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করে যোগ্য ও নৈতিক নেতৃত্বের বিকাশ, সুবিচার ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করতে চাই। ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের আলোকে সামাজিক চুক্তির পুনর্বহাল করে সাম্প্রদায়িক বন্ধন ও পারষ্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ সমাজ গড়ায় কাজ করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ, ধর্মবিদ্বেষ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে এই প্ল্যাটফরম কাজ করবে ইনশাআল্লাহ। আপনাদের সবার পরামর্শ, দোয়া ও সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। ৯ মে শহীদ মিনারে আপনাদের আমন্ত্রণ রইল।’

মন্তব্য

p
উপরে