× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
The auction is the fifth highest transaction in history
google_news print-icon

‘নিলাম আতঙ্ক’ কাটিয়ে ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ লেনদেন

নিলাম-আতঙ্ক-কাটিয়ে-ইতিহাসের-পঞ্চম-সর্বোচ্চ-লেনদেন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া পাঁচটি কর্মদিবস
ব্যাংকগুলোতে আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি অতিরিক্ত তারল্য আছে, যার মধ্যে ৬২ হাজার কোটি টাকা একেবারেই অলস। এই টাকা বসিয়ে রেখে এক পয়সাও আয় হচ্ছে না ব্যাংকগুলোর। এই অর্থ ব্যাংকগুলো ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ বিলে বিনিয়োগ করে আয় করতে পারবে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুঝি বাণিজ্যিক ব্যাংকের টাকা নিয়ে নিচ্ছে।

ব্যাংকে থাকা অলস টাকা তুলে নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে ব্যাংকগুলো লাভবান হলেও বিষয়টি নিয়ে ভুল ব্যাখ্যায় পুঁজিবাজারে এই খাত নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ব্যাংকিং খাতে কমেছে প্রায় সব কোম্পানির শেয়ার দর।

তবে ব্যাংক, বিমা, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে পতনের দিন পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ।

দিন শেষে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৩৯ কোটি ৪৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।

এর আগে সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ২০১০ সালের ২৮ অক্টোবর ২ হাজার ৯৪৬ কোটি ৩৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা।

এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আর তিনটি কর্মদিবসে।

২০১০ সালের ২ ডিসেম্বর লেনদেন ছিল ৩ হাজার ১৭৯ কোটি ৬৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। পরের কর্মদিবসে ৫ ডিসেম্বর মহাধস শুরুর দিন লেনদেন ছিল ৩ হাজার ২৪৯ কোটি ৫৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এটিই বাংলাদেশের ইতিহাসে পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ লেনদেন।

২০১০ সালের ৩১ অক্টোবর ৩ হাজার ২০৮ কোটি ৯০ লাখ ৮২ হাজার টাকা লেনদেন বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস সোমবার লেনদেনের শুরুতে পতন ছিল বেশি আর এ কারণে সূচকও এক পর্যায়ে পগে যায় ৭৩ পয়েন্ট। তবে পরে দাম কমার হার কমে আসা আর প্রধান প্রধান অন্য খাতগুলোর বেশিরভাগে দর বৃদ্ধির কারণে সূচক বেড়ে যায়।

দিন শেষে আগের দিনের চেয়ে সূচকে যোগ হয়েছে ৩২ পয়েন্ট। সূচকের অবস্থান এখন ২০১১ সালের ২৬ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ।

সেদিন ডিএসই সূচক ছিল ৬ হাজার ৬৪২ পয়েন্ট। এখন অবশ্য ডিএসইর প্রধান সূচকের না, ডিএসইএক্স সূচক আর মান অনুযায়ী আগের সূচক এখনকার চেয়ে কিছুটা বেশি থাকার কথা।

তবে ব্যাংক খাতের চেয়ে বেশি পতন হয়েছে দর সংশোধনে থাকা বিমা খাতে। পক্ষান্তরে দারুণ একটি দিন গেছে লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং তথ্য প্রযুক্তি খাতে। বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বেড়েছে বস্ত্র খাতেও।

দুর্দান্ত লভ্যাংশ দিয়ে আসা মিউচ্যুয়াল ফান্ডে দর পতনও অনেকটা বিস্ময়করই বলা যায়। অথচ এই দিন তিনটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণার সংবাদ আসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বোর্ডে। এই তিনটি ফান্ডই গত বছর ব্যাপক লোকসান দেয়ার কারণে লভ্যাংশ দিতে পারেনি, কিন্তু এবার বেশ ভালো মুনাফা করে আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দিয়েছে।

বুদ্ধিমান বিনিয়োগকারীরা অবশ্য এই উদ্বেগটিকে কাজে লাগিয়েছেন, যার প্রমাণ লেনদেনে। আগের কর্মদিবস বৃগস্পতিবার দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন দেখেছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। সেটিও ছাড়িয়ে লেনদেন আজ ২০১০ সালের ২৮ অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ অবস্থান দেখা গেছে।

আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫১১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সেখান থেকে বেড়েছে আরও ৪২৩ কোটি টাকা।

সব মিলিয়ে দাম বেড়েছে ১৮১টি কোম্পানির, কমেছে ১৭৩টির, দাম বেড়েছে ২০টির।

ভিত্তিহীন উদ্বেগ

এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি অতিরিক্ত তারল্য আছে, যার মধ্যে ৬২ হাজার কোটি টাকা একেবারেই অলস। এই টাকা বসিয়ে রেখে এক পয়সাও আয় হচ্ছে না ব্যাংকগুলোর।

এই অতিরিক্ত তারল্যের কারণে ব্যাংকগুলো মেয়াদি আমানতের সুদহার কমিয়ে দেড় থেকে দুই শতাংশে নামিয়ে এনেছে। আর এ কারণে ব্যাংকে টাকা রাখলে মূল্য আসলে কমে যায়। কারণ, মূল্যস্ফীতির হার এখন মসাড়ে ৫ শতাংশের বেশি।

অর্থাৎ এক বছর আগে ১০০ টাকার যে মূল্য, চলতি বছর সেটা ৯৪ টাকা ৫০ পয়সার আশেপাশে। কিন্তু সুদ হিসেবে পাওয়া গেছে দেড় থেকে দুই টাকা। ফলে টাকার প্রকৃত মান কমে গেছে।

এই অবস্থায় বাজারে টাকার প্রবাহ কমানো ব্যাংকগুলো যেন আবার আমানত সংগ্রহে আগ্রহী হয়, সে জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুটি ব্যবস্থা করেছে।

অলস টাকা ফেলে না রেখে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক বিলে’ বিনিয়োগের সুবিধা রেখে তারা মোট ৯টি নিলামের আয়োজন করেছে। ব্যাংকগুলো সেখানে বিনিয়োগ করবে এবং এর বিপরীতে সুদ পাবে।

কিন্তু গণমাধ্যমে বিষয়টি যেভাবে এসেছে, সেটি বিনিয়োগকারীদের অনেকের মধ্যেই অস্থিরতা ছড়িয়েছে। ব্যাংক থেকে অলস টাকা তুলে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক- এমন খবরের ব্যাখ্যায় বহুজন ভাবছে, টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমনিতে নিয়ে নেবে। ফলে ব্যাংকের আয় ও সম্পদ কমবে।

তবে বিষয়টি উল্টো বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন মিউচ্যুয়ালা ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক বিলে’ বিনিয়োগ করে ব্যাংকগুলো আয় করবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলামও বলেছেন, এটি ব্যাংকের জন্য একটি সুবিধা নিয়ে এসেছে। যে অর্থ থেকে তাদের আয় ছিল শূন্য, সেখান থেকে তারা কিছুটা হলেও আয় করতে পারবে।

‘নিলাম আতঙ্ক’ কাটিয়ে ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ লেনদেন
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে থাকা অলস টাকা ‘বাংলাদেশ ব্যাংক বিলে’ বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন এসেছে যে, ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নিয়ে তৈরি হয় আতঙ্ক

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বরং ‘বাংলাদেশ ব্যাংক বিলে’ সুদহার কম রাখার ওপর তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সুদহার বেশি হলে ব্যাংকগুলো অন্য জায়গায় বিনিয়োগ না করে এই খাতে বেশি টাকা ঢালবে।

দ্বিতীয় যে পদক্ষেপটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়েছে, সেটি হলো আমানতের সুদহার মূল্যস্ফীতির বেশি রাখা। রোববার এক সার্কুলারে তারা জানিয়ে দিয়েছে, ব্যাংকগুলো ব্যক্তিশ্রেণির আমানতকারীদেরকে যে সুদ দিয়ে থাকে, তা কোনোভাবেই মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম হতে পারবে না।

এতে ব্যাংকগুলোর আমানতের খরচ কিছুটা বাড়বে। কিন্তু ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশ থাকলেও এখন তা ৬ থেকে ৭ শতাংশের ঘরে নেমে এসেছে। ফলে আমানতের জন্য যে বাড়তি খরচ করতে হবে, বিতরণ করা ঋণ থেকে বাড়তি আয় করে তা পুষিয়ে নেয়ার ক্ষমতা তাদের আছে।

ব্যাংক খাতে ৪টি কোম্পানির দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৯টির দর। অপরিবর্তিত ছিল বাকি আটটি।

শতকরা হিসেবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে গত কয়েকদিন ধরে আলোচনায় থাকা আইএফআইসি ব্যাংক। আগের দিনের চেয়ে ৪.১৪ শতাংশ বেড়ে দর হারিয়েছে ১৫ টাকা ১০ পয়সা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাড়া আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের দর বেড়েছে ৩ শতাংশ।

অন্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইবিএলের ২০ পয়সা আর ইউসিবির বেড়েছে ১০ পয়সা।

লেনদেন হয়েছে ১৯৪ কোটি ৩ লাখ টাকা, আগের দিন যা ছিল ১১৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

ব্যাংকের মতো পতন হয়েছে আর্থিক খাতেও। এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে বেড়েছে ২টির, কমেছে ১৭টির। লেনদেন হয়েছে ১০৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

আগের দিন লেনদেন ছিল ১০২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

প্রকৌশল, ওষুধ, জ্বালানি, বস্ত্র, বিবিধের ‘দখলে’ বাজার

৩০ জুন অর্থবছর শেষ হওয়ায় লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা এই পাঁচটি খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

মোট লেনদেনের ৬৮.৪৬ শতাংশই হয়েছে এই পাঁচ খাতে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতে। এই খাতের ৩২টি কোম্পানির মধ্যে ৯টির দর হারানোর বিপরীতে বেড়েছে ৩২টির দর। একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।

এই খাতের শেয়ারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ন্যাশনাল পলিমারের দর। আগের দিনের চেয়ে বেশি বেড়েছে ৯.৭০ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেড়েছে বিডিঅটোকারের ৯.৪৬ শতাংশ। তৃতীয় সর্বোচ্চ অ্যাপোলো ইস্পাতের বেড়েছে ৯.২৪ শতাংশ।

এ ছাড়া বেঙ্গল উইন্ডসরের দাম ৮.০১ শতাংশ, এস এস স্টিলের ৭.২৬ শতাংশ, ন্যাশনাল টিউবের ৬.৪৭ শতাংশ, সুঋদের ৫.৩৮ শতাংশ, বিএসআরএম স্টিলের ৪.৬৯ শতাংশ, বিডি ল্যাপসের ৪.১৮ শতাংশ বেড়েছে।

‘নিলাম আতঙ্ক’ কাটিয়ে ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ লেনদেন
১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেনের দিনে পাঁচ খাতেই হাতবদল হয়েছে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি

এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ৪৭৭ কোটি ১০ টাকা। আগের কর্মদিবসে বৃহস্পতিবার এই খাতে লেনদেন ছিল ৩৭৭.২০ কোটি টাকা।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বস্ত্র খাতে ৪৫৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এই খাতেও লেনদেন বেড়েছে। বৃহস্পতিবার লেনদেন ছিল ৩৯৮.২০ কোটি টাকা।

এই খাতে ১৯টি কোম্পানি দর হারানোর বিপরীতে বেড়েছে ৩৬টি। ৩টির দর ছিল অপরিবর্তিত।

সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে তিনটি ছিল এই খাতের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ বেড়েছে ভিএসএফ থ্রেডের দর। এই কোম্পানির দরই আজ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।

আগের কর্মদিবসে দর ছিল ২৭ টাকা আর আজ লেনদেন হয়েছে ২৯ টাকা ৭০ পয়সায়।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পাওয়া আলহাজ্ব টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৯.৯১ শতাংশ। নূরানী ডায়িং এর দর ৯.৮০ শতাংশ, তাল্লু স্পিনিং এর ৯.৭৫ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইলের ৯.৭৫ শতাংশ, তসরিফার ৯.৬২ শতাংশ, মিথুন নিটিং ৯.৫২ শতাংশ দর বেড়েছে।

এই ছয়টি কোম্পানির শেয়ারদর এর চেয়ে বেশি বাড়া সম্ভব ছিল না।

একদিনে পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ দাম বাড়ার সুযোগ থাকলেও ১০ পয়সা ড্রিপের কারণে কখনও কখনও শতকরা হিসেবে দাম বাড়তে পারে কিছুটা কম।

আগ্রহের নতুন মোড় থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয়েছে ৩৯৪ কোটি ১২ লাখ টাকা। এই খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২২টির, কমেছে আটটির।

আগের কর্মদিবসে এই খাতে লেনদেন ছিল ৩২৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

‘নিলাম আতঙ্ক’ কাটিয়ে ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ লেনদেন
বিমার পতন থামছে না, আকর্ষণীয় লভ্যাংশেও দর হারাচ্ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯.৯৮ শতাংশ দাম বেড়েছে একমি ল্যাবরেটরিজের দর। সেন্ট্রাল ফার্মার বেড়েছে ৯.৭০ শতাংশ। কোম্পানি দুটির শেয়ার দর এর চেয়ে বেশি বাড়া সম্ভব ছিল না।

এ ছাড়া এমবি ফার্মার ৮.৭৩ শতাংশ, গত কয়েক দিনে তুমুল আগ্রহ তৈরি করা ওরিয়ন ফার্মার দাম বেড়েছে ৮.৩৫ শতাংশ। অন্যগুলোর মধ্যে ইমাম বাটনের ৭.৯৭ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৭.০৬ শতাংশ, কেয়া কসমেটিকসের ৬.৬৬ শতাংশ দাম বেড়েছে।

লেনদেনের চতুর্থ স্থানে উঠে আসা বিবিধ খাতে লেনদেন বেড়েছে ব্যাপকভাবে। এই খাতের ১৪টি কোম্পানির ২৩১ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার কিনেছেন বিনিয়োগকারীরা। যাদের একটির দর কমেছে, বেড়েছে বাকিগুলোর।

এই লেনদেনের সিংহভাহেরই হয়েছে বেক্সিমকো লিমিডেটের। একক কোম্পানি হিসেবে ১৫২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে এই কোম্পানির।

সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে এই খাতের মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ আছে, যার দর বেড়েছে ৯.৮৬ শতাংশ।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২০টির, কমেছে বাকিগুলোর। লেনদেন হয়েছে ২২৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।

আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ১৪৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

এই খাদে দীর্ঘদিন ধরে ঘুমিয়ে থাকা খুলনা পাওয়ার কোম্পানির শেয়ার দরে হঠাৎ বেশ আগ্রহ দেখা গেছে। শতকরা হিসেবে খুব বেশি না বাড়লেও শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২০ পয়সা দর বৃদ্ধি পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে।

এই খাতের শেয়ারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে শাহজিবাজার পাওয়ারের ৮.৪২ শতাংশ।

লভ্যাংশে চমকের পরও দর হারাল মিউচ্যুয়াল ফান্ড

এদিন তিনটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে। লোকসানের কারণে গত বছর লভ্যাংশ দিতে না পারা ডিবিএইচ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ২০ পয়সা করে লভ্যাংশ দেবে। ফান্ড দুটির দর ১০ টাকার নিচে। এই পরিমাণ বিনিয়োগ করে ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ নিঃসন্দেহে আকর্ষণীয়।

ডিবিএইচের দাম বেড়েছে ১০ পয়সা, আর গ্রিনডেল্টার ২০ পয়সা।

তাও এই দুটির দর বেড়েছে। কমেছে বাকি সবগুলোর। এমনকি অন্যদিকে ইউনিটপ্রতি এক টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করা এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড ইউনিটপ্রতি দর হারিয়েছে ৬০ পয়সা। ১২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে দাম কমে হয়েছে ১২ টাকা ১০ পয়সা।

‘নিলাম আতঙ্ক’ কাটিয়ে ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ লেনদেন
সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০টি কোম্পানির মধ্যে চারটিই ছিল এই খাতের। একের পর এক আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণার মধ্যেও এভাবে দর হারানো কিছুটা বিস্ময়ও তৈরি করেছে।

এর মধ্যে এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড ৫.২৬ শতাংশ, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৫.১৪ শতাংশ, এসএমইএল আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৪.৭২ শতাংশ এবং এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড দর হারিয়েছে ৪.৬৮ শতাংশ।

এই খাতে লেনদেনও কমেছে। আজ হাতবদল হয়েছে ১৩২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১৪২ কোটি ৮ লাখ টাকা।

বিমার পতন থামার নাম নেই

গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি, এরপর এপ্রিলের শুরু থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহ পর অবিশ্বাস্য উত্থান ঘটা বিমা খাতে যে পতন শুরু হয়েছে, তা আর থামার নাম নেই।

এই খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে ৪টির দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ৪৭টির। লেনদেন হয়েছে ১৬৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার এই খাতে লেনদেন ছিল ১৭১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। সেদিন বেড়েছিল ৩৩টির দর কমেছিল ১০টির।

তবে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতও এদিন বেশ চমক দেখিয়েছে। ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির। কমেছে বাকি চারটির। লেনদেন হয়েছে ১৩০ কোটি ৭ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন:
তুমুল আগ্রহের রবি আর জ্বলেনি
স্কয়ার-বিকনের শেয়ারের সমান দাম কী বার্তা দেয়?
পুঁজিবাজার: সোমবার থেকে লেনদেন চলবে আড়াইটা পর্যন্ত
ব্যাংক ছাড়া চাঙা সব খাত, ১০ বছর আগের অবস্থান ছাড়িয়ে সূচক
ব্যাংকে উত্থানের দিনও দুর্বল কোম্পানির কদর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
The child fell from the roof while playing and died

খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে শিশু নিহত

খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে শিশু নিহত প্রতীকী ছবি
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মহম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুটির মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে খিলগাঁও থানার সাথে কথা হয়েছে।

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোড়ানে খেলতে গিয়ে একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক শিশু নিহত হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে পাঁচ তলা ভবনটির ছাদ থেকে পড়ে নিহত হয় সে।

নিহত শিশুর নাম খাদিজা আক্তার (৫)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির ফুফা মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া (২০ বছর)।

খাদিজার বাবা মোহাম্মদ ফয়সাল আহমাদ জানান, দুপুরে পাঁচ তলার ছাদে খাদিজা খেলাধুলা করার সময় ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায়। এ সময় খাদিজার ফুফা দৌড়ে ধরতে গেলে তিনিও নিচে পড়ে যান।

তিনি জানান, পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যায় এবং ফারিয়ার ফুফাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানা এলাকায়। খিলগাঁওয়ের গোড়ান নবাবীর মোড় বতর্মানে১৪৮ /১ রায়হান সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া আমরা।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মহম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুটির মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে খিলগাঁও থানার সাথে কথা হয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
The temperature in Pabna has exceeded 42 degrees

৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা

৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা ছবি: নিউজবাংলা
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তীব্র থেকে অতি তীব্র মাত্রায় পাবনা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। অসহনীয় দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত তিন-চার দিন তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও শুক্রবার চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

এদিন পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে প্রথমবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অতি তীব্র তাপদাহে পাবনার মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ইটভাটার শ্রমিকসহ দিনমজুরদের জন্য অসহ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও তীব্র গরমে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।

আরও পড়ুন:
তাপপ্রবাহ থাকছেই, বৃষ্টি হলেও হতে পারে
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি, মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
The robber who killed the driver to rob a rickshaw is in jail

রিকশা ছিনতাই করতে চালককে খুন, ছিনতাইকারী কারাগারে

রিকশা ছিনতাই করতে চালককে খুন, ছিনতাইকারী কারাগারে ফাইল ছবি
বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে আশরাফ আলী কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। তিনি এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন।

গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আশরাফ আলী নামের এক রিকশাচালক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-কুপতলা সড়কের ৭৫ নম্বর রেলগেট নামক এলাকায় এ ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সাদেকুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।

৫০ বছর বয়সী রিকশাচালক আশরাফ আলী সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের সাহার ভিটার গ্রামের মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ছিনতাই ও হত্যায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলাম কুপতলা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা।

ওসি জানান, প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আশরাফ আলী। তিনি কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। আশরাফ আলী এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি বলেন, ‘এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে রিকশাটিও উদ্ধার করা হয়। পরে আজ (শুক্রবার) দুপুরে সাদেকুলকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Even if the heat wave remains it may rain

তাপপ্রবাহ থাকছেই, বৃষ্টি হলেও হতে পারে

তাপপ্রবাহ থাকছেই, বৃষ্টি হলেও হতে পারে গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, নগরীতে পানিতে লাফাচ্ছে শিশুরা। ছবি: নিউজবাংলা
রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়াও প্রায় একই থাকতে পারে।

শুক্রবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়া ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Dhaka Bangkok will work together on the Rohingya issue

রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক সঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক

রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক সঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক বাংলাদেশ ও থাই প্রধানমন্ত্রী মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। ছবি: বাসস
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ ও থাই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক থেকে বেরিয়ে ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি শুক্রবার এ কথা জানান। খবর বাসসের

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’

দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউজে উভয় নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত একান্ত বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব তথ্য জানান। সন্ধ্যায় ঢাকায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বহু বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেছেন।

থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের যে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক, সেটা আরও জোরদার, বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।

দেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করার কথাও বলেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা উদ্ভূত হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও এই পালিয়ে আসা মানুষদের ভারে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের একসাথে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।

এদিন গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অফ অনার প্রদানকালে থাই প্রধানমন্ত্রী সাথে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। তিনি বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে দেওয়া ভাষণে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান।

সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর আগামী ২৯ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
3 bank officials in jail on charges of irregularities of Tk 10 crores

দশ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

দশ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে ওই শাখার তিন কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ সেদিন রাতেই তাদের তিনজনকে আটক করে।

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে শাখা ম্যানেজারসহ ৩ কর্মকর্তাকে আটকের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর। এদিন দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের জিআরও এএসআই মাহবুবুর রহমান জানান, বিকেলে সাঁথিয়া থানা থেকে এনে তাদের আদালতে তোলা হয়। এ সময় কেউ তাদের জন্য জামিন আবেদন করেননি। ফলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আটককৃতরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন বিন সালাম, সিনিয়র অফিসার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর এবং ক্যাশিয়ার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানায় ওই শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী ও সিনিয়র অফিসার আবু জাফরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিলে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের তিনজনকে আটক করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অডিটে অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের আটক করে সাঁথিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে জিডির ভিত্তিতে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে দুদক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

আরও পড়ুন:
পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
We must work for the development of the country and people Prime Minister

দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফাইল ছবি
গত ১৫ বছরে দেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকায় এ অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের উন্নয়নে আপনাদেরকে কাজ করতে হবে।

থাইল্যান্ড আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের

প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বঙ্গবন্ধু তার অনুপ্রেরণার উৎস উল্লেখ করে শেখ হাসিনা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জাতির পিতাকে অসময়ে হত্যা করা হলেও ‘তার আদর্শ আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে এবং সে কারণেই আমি তার (বঙ্গবন্ধু) আদর্শ বাস্তবায়ন করতে কাজ করছি। বঙ্গবন্ধু দেশের গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন।

গত ১৫ বছরে দেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকায় এ অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, অনেক বাংলাদেশি থাইল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তবে তারা দ্বৈত নাগরিকত্ব বজায় রাখতে চান। এই দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে থাই সরকারের সাথে কথা বলবেন।

মন্তব্য

p
উপরে