পুঁজিবাজারে আসার আগে থেকেই উচ্ছ্বাস। লেনদেন শুরুর পর থেকে রীতিমতো উড়তে থাকা। দিনের পর দিন দাম বাড়তে থাকে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই।
এভাবে টানা বাড়তে বাড়তে ১৬ কর্মদিবসে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার হয়ে যায় ৭০ টাকা ১০ পয়সা। তবে ১৭তম দিনে গিয়েই খায় হোঁচট। যদিও দিনের শুরুতে আবারও দিনের সর্বোচ্চ দাম ৭৭ টাকা ১০ পয়সা উঠে যায়। তবে সেদিনই নেমে আসে ৬৪ টাকা ৫০ পয়সায়। অর্থাৎ ১৭ জানুয়ারি যারা সর্বোচ্চ দামে শেয়ারটি কিনেছিলেন, সেদিনই তারা প্রতিটিতে ১২ টাকা ৬০ পয়সা লোকসানে আছেন।
এরপর দিনে দিনে লোকসান কেবল বেড়েছেই। এখন দাম ৪৩ টাকা ১০ পয়সা। এর মাঝে বহুজন বিপুল পরিমাণ লোকসান দিয়ে শেয়ার বিক্রি করে বের হয়েছেন, যারা এখনও ধরে রেখেছেন, তারা আশায় আছেন হয়তো আবার দাম বেড়ে উঠবে, তাদের লোকসান কমবে।
২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৩৩ পয়সা আয় করে কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর ধাক্কা খান বিনিয়োগকারীরা। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিও অনেকটা চমকে যায় তাদের সিদ্ধান্তে। ডেকে আনা হয় প্রতিনিধিদের। বিনিয়োগকারীদের পুষিয়ে দেয়ার অনুরোধ করে তারা।
পরে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের হিসাব বিবরণী প্রকাশের দিন ৩ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ৩০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দেয় পরিচালনা পর্ষদ। কিন্তু কোম্পানিতে আগ্রহ আর ফেরেনি।
তালিকাভুক্তির পর এক দিনে যেখানে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯৫টি শেয়ার লেনদেনের ইতিহাস আছে, সেখানে গত এক মাসে এক দিনে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড আছে ৪৮ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭৯টি। আর সর্বনিম্ন ৬৪৫টি।
এই পরিমাণ লেনদেন নিঃসন্দেহে খারাপ না। কিন্তু কোম্পানির ৫২৩ কোটিরও বেশি শেয়ারের মধ্যে ৫০ কোটিওর বেশি শেয়ার লেনদেনের যোগ্য থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিলে একে নগণ্য না বলা ছাড়া উপায় থাকে না।
সর্বোচ্চ দরে ওঠার পর আর এই দরে যায়নি রবির শেয়ার। শুধু ৭৭ টাকা নয়, এই দর থেকে কমে যখন ৪৩ টাকা ১০ পয়সা হয়েছে, তখনও যারা শেয়ার কিনেছেন তারাও এখন লোকসানে বা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের অংশ হলে আটকে আছে বিনিয়োগ। সর্বোচ্চ দরে যারা শেয়ার কিনে আটকে আছেন, এই মুহূর্তে প্রতি ১০০ টাকায় ৪৪ টাকা খুইয়ে বসে আছেন তারা।
এখন যে দাম, সেটিও অবশ্য কিছুটা বেশি দেখাচ্ছে। কারণ একপর্যায়ে দাম ৩৬ টাকা ৮০ পয়সাতেও নেমে গিয়েছিল।
গত ১০ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত রবির শেয়ার সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৪৪ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করছে।
কেন ছিল আগ্রহ
দেশের টেলিকম খাতে ব্যবসা করছে চারটি কোম্পানি। গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি-এয়ারটেল ও সরকরি খাতের টেলিটক।
এর মধ্যে গ্রামীণ ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৭০ টাকা অভিহিত মূল্যে শেয়ার বিক্রি করেছে কোম্পানিটি। আর গত বছর শেয়ারপ্রতি ২৭ টাকা ৫০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। গত ৬ বছরে সর্বনিম্ন লভ্যাংশ দিয়েছে শেয়ারপ্রতি ১৪ টাকা। আর এরপর থেকে প্রতিবছরই বাড়ছে লভ্যাংশের পরিমাণ।
চলতি বছর অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের দিনও শেয়ারপ্রতি সাড়ে ১২ টাকা অন্তর্বর্তী লভ্যাংশের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে তারা।
গ্রামীণফোনের শেয়ার ধরে রেখে বিনিয়োগকারীরা প্রতিবছর ভালো লভ্যাংশ পাওয়ার পাশাপাশি শেয়ারদরও ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। এখন দাম ৩৬৯ টাকা ১০ পয়সা।
গ্রামীণের মতোই রবিও বহুজাতিক কোম্পানি আর তাদেরও এই মার্কেটে হিস্যার পরিমাণ কম নয়। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা ধারণা করে আসছিলেন, রবিও এভাবে আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দেবে।
তবে তারা যে হিসাবে ভুল করেছেন, সেটা হলো রবির শেয়ারপ্রতি আয়ের দিক থেকে গ্রামীণের সঙ্গে এই কোম্পানির তুলনাই হতে পারে না।
গত বছর রবি যেখানে শেয়ারপ্রতি ৩৩ পয়সা আয় করেছে, সেখানে গ্রামীণের আয় ছিল ২৭ টাকা ৫৪ পয়সা।
চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে গ্রামীণ যেখানে শেয়ারপ্রতি ১২ টাকা ৮৯ পয়সা আয় করেছে, সেখানে রবির আয় মাত্র ১৫ পয়সা।
এই আয় বাড়বে বলে আশা করা হলেও আসলে কমেছে। গত বছর প্রথম ৬ মাসে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছিল ১৬ পয়সা।
রবি ও গ্রামীণের শেয়ারপ্রতি আয়ে এত পার্থক্যের কারণ মোট আয়ের পার্থক্যের পাশাপাশি শেয়ার সংখ্যায় বিপুল ব্যবধানের। গ্রামীণফোন আর রবির মোট আয় সমান হলেও শেয়ারপ্রতি আয়ে বিশাল পার্থক্য থেকেই যাবে।
গ্রামীণ যেখানে ১৩৫ কোটি ৩ লাখ ২২টি শেয়ারে বিভক্ত, সেখানে রবির শেয়ারসংখ্যা ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৫টি।
অর্থাৎ যদি গ্রামীণ আর রবির আয় সমানও হয়, তার পরেও শেয়ারপ্রতি আয়ের পার্থক্য থেকে যাবে ৪:১ হারে।
তবে এখন সমান আয়ের বিষয়টি আলোচনাতেই আসছে না এ কারণে যে, রবি গত বছর কেবল আয় করেছে ১৭২ কোটি ২৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, আর গ্রামীণ করেছে ৩ হাজার ৭১৮ কোটি ৭২ লাখ ৬২ হাজার ৬০৫ টাকা।
এই বিষয়টি বিচার বিবেচনা না করেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ারমূল্য ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে, এমন আশায় শেয়ারে হুমড়ি খেয়ে এখন টাকা খুইয়েছেন। বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রির আদেশ থাকলেও এখন ক্রয়াদেশ থাকে কমই।
লোকসানের পোর্টফোলিও রবির
গত ১৪ জানুয়ারি রবির শেয়ারদর ছিল ৭১ টাকা ১০ পয়সা। দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটির পর ১৭ জানুয়ারি তা ওঠে ৭৭ টাকা ১০ পয়সায়।
১৩ জানুয়ারি শেয়ারদর ছিল ৬৩ টাকা ৮০ পয়সা। এদিন রবির সর্বোচ্চ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯৫টি শেয়ার। তার পরদিন ১৪ জানুয়ারি লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৪ হাজার ৬৩৬টি শেয়ার।
১৭ জানুয়ারি লেনদেন হয় ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৯৪ হাজার ৬২৩টি শেয়ার।
১৮ জানুয়ারি ৫৮ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার ৮৭৭টি শেয়ার লেনদেন হয়।
১৯ জানুয়ারি ৫৭ টাকা ৪০ পয়সা দরে ২ কোটি ৬৩ লাখ ৬৬ হাজার ১৭২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
২০ জানুয়ারি ৬৩ টাকা ১০ পয়সায় ২ কোটি ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৪৯৬টি শেয়ার লেনদেন হয়।
২১ জানুয়ারি ২ কোটি ৪২ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪৯টি শেয়ার ৬১ টাকা ৭০ পয়সা দরে লেনদেন হয়।
২৪ জানুয়ারি ১ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার ১৩৬টি শেয়ার ৫৭ টাকা ৩০ পয়সা দরে লেনদেন হয়।
২৫ জানুয়ারি ৫৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে ১ কোটি ৬২ লাখ ৭৬ হাজার ১২৩টি শেয়ার লেনদেন হয়।
২৬ জানুয়ারি ৫৬ টাকা ৪০ পয়সা দরে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৬০ হাজার ৫৫১টি শেয়ার লেনদেন হয়।
২৭ জানুয়ারি দরপতনের শীর্ষে ছিল রবি। এদিন শেয়ারপ্রতি সাড়ে ৫ টাকার বেশি দর পতন হয়। শেয়ারদর দাঁড়ায় ৫১ টাকা ১০ পয়সা। এদিন মোট ১ কোটি ২৭ লাখ ৫৫ হাজার ১৫টি শেয়ার লেনদেন হয়।
২৮ জানুয়ারি আবারও দর বাড়ে রবির। শেয়ারপ্রতি দর ৫৩ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয় ১ কোটি ২১ লাখ ২৫ হাজার ৭৫৫টি শেয়ার।
দুই দিন সরকারি ছুটির পর ৩১ জানুয়ারি লেনদেন হয় রবির। ৫২ টাকা ৪০ পয়সা দরে এদিন লেনদেন হয় ১ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার ৬৮৩টি শেয়ার।
মূলত এদিন যারা শেয়ার কিনেছেন তারাই পরবর্তী সময়ে এই দরেই শেয়ার বিক্রির সুযোগ পেয়েছিলেন। এর আগে যারা শেয়ার কিনেছেন তারা সবাই হয় লোকসানে শেয়ার ছেড়েছেন, নয়তো লোকসান দিয়ে পোর্টফোলিওতে রেখে দিয়েছেন।
বেশি দামে বেচে এখন কম দামে কিনছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে শেয়ারের হিস্যার যে হিসাব দেয়া থাকে, সেটি অনুসারে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে রবির মোট শেয়ারের ৯০.০৫ শতাংশ শেয়ার ছিল উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ছিল ২.৪২ শতাংশ শেয়ার। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ছিল ৭.৫৩ শতাংশ শেয়ার।
৩০ এপ্রিল উদ্যোক্তা পরিচালকদের অংশ অপরিবর্তিত থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা তাদের হাতে থাকা শেয়ারের একটি বড় অংশ বিক্রি করে দেয়। সে সময় তাদের হাতে মোট শেয়ারের ১.৭৭ শতাংশ থাকে আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকে বাকি ৮.১৮ শতাংশ।
তবে মে মাসে কম দামে শেয়ার কিনে নিজেদের হিস্যা বাড়ায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। ওই মাসে মোট শেয়ারে তাদের মালিকানা বেড়ে হয় ২.০৫ শতাংশে। আর রবিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মালিকানা কমে হয় ৭.৯০ শতাংশ শেয়ার।
তবে জুন ও জুলাই শেষে শেয়ারের হিস্যার হিসাব এখনও প্রকাশ পায়নি।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য