× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
What is the message of equal price of square beacon?
google_news print-icon

স্কয়ার-বিকনের শেয়ারের সমান দাম কী বার্তা দেয়?

স্কয়ার-বিকনের-শেয়ারের-সমান-দাম-কী-বার্তা-দেয়?
স্কয়ার ফার্মা ও বিকন ফার্মার কারখানা
গত দুই বছরে বিকন ফার্মার শেয়ারদর ১০ গুণ বেড়ে স্কয়ার ফার্মার সমান হয়ে গেছে। দুই বছর ধরে বিকনের আয়ে বেশ প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে, তার পরেও স্কয়ারের সঙ্গে কোনো দিক থেকেই তার তুলনা চলে না। কিন্তু একপর্যায়ে এই কোম্পানির শেয়ারদর স্কয়ারকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

তেল আর ঘি সমান দাম যেখানে, সেখানে ন্যায়বিচার নেই বলে অনেকটা পৌরাণিক কাহিনির মতো ঘটনা।

ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্কয়ার ও বিকন ফার্মার তুলনা চলে না কোনো মানদণ্ডেই। কিন্তু দুই কোম্পানির শেয়ার দর এখন অবস্থান করছে এক সমানতালে।

বিপুল পরিমাণ আয়, সম্পদমূল্য, ব্যবসায় উত্তরোত্তর প্রবৃদ্ধি আর আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দিয়ে আসা স্কয়ার ফার্মার শেয়ার কিনে এমনকি ২০১০ সালের মহাধসেও ক্ষতির শিকার হননি বিনিয়োগকারীরা।

তবে এক বছর ধরে পুঁজিবাজারে উত্থানে আড়াই হাজার পয়েন্টের বেশি সূচক বাড়ার মধ্যেও অনেকটাই ঘুমিয়ে এই কোম্পানিটি। শেয়ারদর একটি জায়গাতেই স্থির হয়ে আছে বলতে গেলে।

অন্যদিকে ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর ২০১১ সালে ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ইতিহাস আছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে। আর নগদ লভ্যাংশ হিসাব করা আছে ২০১৫ সাল থেকে। আর এই সময়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ লভ্যাংশ মিলেছে ৬ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ৬০ পয়সা।

২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি, তবে এর আগে শেয়ারপ্রতি সর্বোচ্চ আয় হয়েছে ২০২০ সালে; ১ টাকা ৬৫ পয়সা। এর আগে কখনও শেয়ারপ্রতি ১ টাকাও আয় করতে পারেনি তারা।

তবে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে গত বছরের দ্বিগুণের মতো আয় এটাও বলছে যে, কোম্পানিটি বড় হচ্ছে, বাড়ল সম্ভাবনাও। আর এই পর্যায়ে শেয়ারদরও ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।

গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর প্রায় তিন গুণ হয়েছে। একপর্যায়ে তা স্কয়ারকে ছাড়িয়ে যাওয়া নিয়ে তৈরি হয় বিস্ময়। তবে ৫ আগস্ট বিকনের শেয়ার ৯ টাকা ২০ পয়সা দর হারানোর পর তা স্কয়ারের নিচে নেমে আসে।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস শুরুর দিন অবশ্য বিকনের শেয়ারের দাম স্কয়ারের বেশিই ছিল। দিনের শুরুতে বিকনের শেয়ারমূল্য ছিল ২৩০ টাকা ৯০ পয়সা, আর স্কয়ারের ২২২ টাকা ৯০ পয়সা।

বিকন দর হারিয়ে ২২১ টাকা ৭০ পয়সা আর স্কয়ারের শেয়ারে ৩ টাকা ৯০ পয়সা যোগ হওয়ার পর দাম দাঁড়ায় ২২৬ টাকা ৮০ পয়সা।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএলের সাবেক গবেষণাপ্রধান দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে বিকন ফার্মার চেয়ে স্কয়ার ফার্মা ভালো। ব্যবসায়িক অবস্থা, মুনাফা বিবেচনা করলে পুঁজিবাজারের অনেক কোম্পানির চেয়ে স্কয়ার ফার্মার ফান্ডামেন্টাল ভালো।

‘তবে করোনার এ সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রীসহ ওষুধ কোম্পানিগুলোর ভালো ব্যবসা হয়েছে, যার ফলে অনেক কোম্পানির আয় আগের তুলনায় বেড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শেয়ার দামের বিষয়টি বিবেচনা করলে স্কয়ার ফার্মার আয়ে অনেক বেশি পরিবর্তন হয়নি যতটা বিকন ফার্মার ক্ষেত্রে হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করেছে। এটিই মূলত দাম বৃদ্ধির কারণ। তবে এমন দাম বৃদ্ধির পর যদি পরবর্তী প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় যদি অব্যাহত না থাকে, তাহলে সেটি অবশ্যই ঝুঁকির।’

মৌলভিত্তি ও দামের তুলনা

বিকনের আয়ে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি হলেও এখনও তা স্কয়ারের তুলনায় অনেক কম। তিন প্রান্তিক শেষে বিকনের শেয়ারপ্রতি আয় ৩ টাকা ২৭ পয়সা, আর স্কয়ারের ১৩ টাকা ১২ পয়সা।

গত এক বছরে বিকনের শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম ছিল ৬৫ টাকা ৯০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দাম ২৩৫ টাকা।

আর দুই বছরের হিসাব বিবেচনায় নিলে দেখা যায় সর্বনিম্ন দাম ২৩ টাকা ৫০ পয়সা।

অন্যদিকে গত এক বছরে স্কয়ারের শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৮৩ টাকা, আর সর্বোচ্চ দাম ২৪৭ টাকা। আর দুই বছরে সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৫৯ টাকা ৫০ পয়সা।

দুই বছর ধরেই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির মধ্যেও বিকনের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে গত ৪ এপ্রিল থেকে। চার মাসেরও বেশি সময়ে শেয়ারপ্রতি দাম বাড়ে ১০০ টাকার বেশি। সেদিন বিকনের শেয়ার দর ছিল ৯৮ টাকা ১০ পয়সা। একই সময়ে স্কয়ার ফার্মার শেয়ার দর ছিল ১৯২ টাকা ৯০ পয়সা।

ফলে চার মাসে স্কয়ার ফার্মার শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ৩০ টাকা বা ১৫.৫৫ শতাংশ। আর বিকনের বেড়েছে ১২৩ টাকা ৬০ পয়সা বা ১২৫.৯৯ শতাংশ।

বিকন ফার্মার রিজার্ভে জমা আছে ২৩২ কোটি টাকা আর স্কয়ার ফার্মার রিজার্ভে আছে ৬ হাজার ৭০২ কোটি টাকা।

তবে এক বছরে বিকনের দাম ১০ গুণ হয়ে যাওয়ার পরেও বাজার মূলধনের দিক থেকে স্কয়ার থেকে যোজন যোজন দূরত্বে কোম্পানিটি।

সবশেষ শেয়ারদর অনুযায়ী বিকনের বাজার মূলধন ৫ হাজার ৩৩৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

অন্যদিকে স্কয়ারের বাজার মূলধন ১৯ হাজার ৭৫৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

দুই কোম্পানির শেয়ারদর সমান সমান হলেও বাজার মূলধনে এই বিশাল পার্থক্যের কারণ পরিশোধিত মূলধন।

৮৮৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন স্কয়ারের শেয়ার সংখ্যা ৮৮ কোটি ৬৪ লাখ ৫১ হাজার ১১টি।

অন্যদিকে ২৩১ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের বিকন বিভক্ত ২৩ কোটি ১০ লাখ শেয়ারে।

লভ্যাংশের তুলনা

আর লভ্যাংশের ইতিহাস বিবেচনায় নিলে তো কথাই নেই। বিকনের তালিকাভুক্তির বছর থেকে ধরলে স্কয়ারের ১০০টি শেয়ার বোনাস যুক্ত হয়ে এখন হয়েছে ৫৮৭টি শেয়ার।

আর সঙ্গে দেয়া নগদ লভ্যাংশ ২০১৫ সাল থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায়, ১০০টি শেয়ার, সে সময় ৩১১টি শেয়ারে পরিণত হয়েছে। ওই বছর শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা করে স্কয়ারের সেই আগের ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে নগদ পাওয়া গেছে ৯৩৫ টাকা।

পরের বছর শেয়ারসংখ্যা আরও বাড়ায় নগদ লভ্যাংশ দিয়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১০১ টাকা। ২০১৭ সালে তা আরও বেড়ে হয় ১ হাজার ৪১২ টাকা। ২০১৮ সালে শেয়ার আরও বাড়ার পর নগদ লভ্যাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৫৯ টাকা। ২০১৯ সালে নগদ লভ্যাংশ দাঁড়ায় ১ হাজার ৯৪৫ টাক আর ২০২০ সালে পাওয়া গেছে ২ হাজার ৩২৮ টাকা।

অর্থাৎ ২০১০ সালের ১০০ (সে সময় ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যে ছিল ১০টি শেয়ার) শেয়ার কেউ ধরে রাখলে ২০১৫ সাল থেকে তিনি নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন ৯ হাজার ২২৮ টাকা।

অন্যদিকে বিকনের কেউ ১০০ শেয়ার ধরে রাখলে এই ১০ বছরে তার শেয়ারসংখ্যা বেড়ে এখন হয়েছে ১০৫টি। আর ২০১৬ সাল থেকে এই শেয়ারে এখন পর্যন্ত নগদে লভ্যাংশ হিসেবে পাওয়া গেছে ২৮৩ টাকা ৫০ পয়সা।

অবশ্য বিকন সম্প্রতি তার ডানা মেলার ইঙ্গিত দিচ্ছে, এ অবস্থায় তার শেয়ারদর বাড়বে, এটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু কতটা বাড়বে, এটি হচ্ছে কথা।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে একটি প্রবণতা আছে, সেটি হলো শেয়ারসংখ্যা কম হলেই কোম্পানির অবস্থা যা-ই হোক না কেন, তার দাম বেড়ে যায় ক্ষণে ক্ষণে। আর শেয়ার সংখ্যা বেশি হলে কোম্পানির মৌলভিত্তি, আর্থিক প্রতিবেদন, লভ্যাংশ বা সম্ভাবনা যা-ই হোক না কেন, এর শেয়ার দর থাকে কম।

কেন বিকন ফার্মার শেয়ারের দর এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাচ্ছে, জানতে চাইলে কোম্পানি সচিব খলিলুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা মহামারি এ সময়টিতে করোনা-সম্পর্কিত ওষুধ বিক্রির মাধ্যমে আমাদের আয়ের সিংহভাগ এসেছে। আগে যেখানে আমাদের শেয়ারপ্রতি আয় ১ টাকা কিংবা তার কাছাকাছি থাকত, এখন তা ৩ টাকার কাছাকাছি চলে এসেছে।

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া অপ্রকাশিত আর কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। শেয়ারদর কেন এভাবে বেড়েছে, সে কারণ আমাদের জানা নেই।’

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: সোমবার থেকে লেনদেন চলবে আড়াইটা পর্যন্ত
ব্যাংক ছাড়া চাঙা সব খাত, ১০ বছর আগের অবস্থান ছাড়িয়ে সূচক
ব্যাংকে উত্থানের দিনও দুর্বল কোম্পানির কদর
১০ বিলিয়ন ডলার ক্রয়াদেশের খবরে চাঙা বস্ত্র খাত  
চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় এবি ব্যাংকের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
NBR officials on the pen break wearing shroud clothes

কাফনের কাপড় পরে কলম বিরতিতে এনবিআর কর্মকর্তারা

কাফনের কাপড় পরে কলম বিরতিতে এনবিআর কর্মকর্তারা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আবারও তিন ঘণ্টার কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা।

সোমবার (২৩ জুন) সকাল ৯টা থেকে আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে কাফনের কাপড় পরে এই কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

এর আগে শনিবার (২১ জুন) এ কর্মসূচি ঘোষণা দেয় এনবিআর কর্মকর্তাদের সংগঠন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

কাউন্সিলের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাসান মোহাম্মদ তারেক রিকাবদার এবং সাধারণ সম্পাদক ও অতিরিক্ত কর কমিশনার সহেলা সিদ্দিকা পুনরায় এনবিআরে ‘যুক্তিসংগত সংস্কার’ বাস্তবায়নের দাবি জানান।

তারা বলেন, এনবিআর চেয়ারম্যানকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে, কারণ তার নেতৃত্ব সংস্কার প্রক্রিয়া শুধু বিলম্বিত হয়েছে।

এর আগেই তাকে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

গত ১৯ জুন গঠিত এনবিআর সংস্কার কমিটি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তারা।

এ প্রসঙ্গে তারা বলেন, রাজস্ব অধ্যাদেশ সংশোধনের লক্ষ্যে এনবিআরের কর, কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের ছয়জন সদস্য সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয়, এ কমিটিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের কোনো প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, এমনকি তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা পর্যন্ত করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, ১২ মে জারি করা এক অধ্যাদেশে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বাতিল করে সরকার রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি নতুন বিভাগ গঠন করে।

এরপর থেকেই এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এনবিআর কর্মকর্তারা নানা ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অধ্যাদেশ সংশোধনের ঘোষণা দেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার নতুন এই কমিটি গঠন করা হয়।

এদিকে, শিশুমেলা থেকে এনবিআর কার্যালয় পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। রবিবার থেকে কার্যকর হওয়া নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Today the lock of the city building will be closed to the administrator engineers rooms

আজ খুলছে নগর ভবনের তালা, বন্ধ থাকবে প্রশাসক-প্রকৌশলীদের কক্ষ

আজ খুলছে নগর ভবনের তালা, বন্ধ থাকবে প্রশাসক-প্রকৌশলীদের কক্ষ

আজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের সব কক্ষের তালা খুলে দেওয়া হবে। তবে প্রশাসক ও প্রকৌশলীদের কক্ষ তালাবদ্ধই থাকবে।

গতকাল রোববার দুপুরে নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, নাগরিক সেবার স্বার্থে আঞ্চলিক অফিসসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো চালু রাখা এবং কর্মরতদের নিজ নিজ দফতরে ফিরে গিয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সাবেক সচিব মশিউর রহমান বলেন, ‘ঢাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমরা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত। একই সঙ্গে নাগরিক সেবা নির্বিঘ্ন রাখতে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণ না করিয়ে আদালত ও সংবিধান লঙ্ঘন করায় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়ার অপসারণ দাবি করছি।’

মশিউর রহমান বলেন, ‘প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিব, স্বাস্থ্য বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ভাণ্ডার ও ক্রয়, হিসাব ও অডিট, সমাজ কল্যাণ, আইন, রাজস্ব, সম্পত্তি, পরিবহন, বিদ্যুৎ, যান্ত্রিক, সংস্থাপন, নিরাপত্তা, জনসংযোগ, আইসিটি সেল, নগর পরিকল্পনা বিভাগ এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দফতরে থেকে জন্ম-মৃত্যু সনদ, নাগরিক সনদ, ওয়ারিশ সনদ, প্রত্যয়নপত্র, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন, মশক নিধন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ এবং সড়কবাতি সচল রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কোনও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, সাবেক সরকারের দোসর বা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর নগরভবন বা আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। দেখামাত্র প্রতিহত করা হবে। কোনও কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে নগর ভবনের বেশ কিছু কক্ষে শিকল দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই তালা খুললেও প্রশাসক ও প্রকৌশলীদের কক্ষ বন্ধই থাকবে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, নতুন করে কেউ নিয়োগ দিতে চাইলে সেটিও প্রতিহত করা হবে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Will deliver international games to each region Advisor Asif

প্রতিটি অঞ্চলে আন্তর্জাতিক খেলা পৌঁছে দিব : উপদেষ্টা আসিফ

প্রতিটি অঞ্চলে আন্তর্জাতিক খেলা পৌঁছে দিব : উপদেষ্টা আসিফ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, প্রতিটি অঞ্চলে আন্তর্জাতিক খেলা পৌঁছে দিব। এটিকে ঘিরে গড়ে উঠবে স্পোর্টস ইকোসিস্টেম।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, 'কথা দিয়েছিলাম প্রতিটি অঞ্চলে আন্তর্জাতিক খেলা পৌঁছে দিব। তাকে ঘিরে গড়ে উঠবে স্পোর্টস ইকোসিস্টেম। এই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে রাজশাহীতে হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর নীলফামারিতে আন্তর্জাতিক ফুটবল। এছাড়াও পরিকল্পনায় আছে খুলনাও।'

পোস্টে আরো বলা হয়েছে, 'প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুতই মাঠে বল গড়াবে ইনশাআল্লাহ।'

মন্তব্য

বিএনপির সঙ্গে বৈঠক গণতন্ত্র মঞ্চের

বিএনপির সঙ্গে বৈঠক গণতন্ত্র মঞ্চের

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ চৌধুরী টুকু।

গণতন্ত্র মঞ্চ লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেইসবুক পেইজে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Error on Rampura Grid Sunpin Many areas of the capital without electricity

রামপুরা গ্রিড উপকেন্দ্রে ত্রুটি : বিদ্যুৎবিহীন রাজধানীর অনেক এলাকা

রামপুরা গ্রিড উপকেন্দ্রে ত্রুটি : বিদ্যুৎবিহীন রাজধানীর অনেক এলাকা

রামপুরা ২৩০/১৩২ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে ত্রুটির কারণে রাজধানীর বিভিন্নস্থানে বিদ্যুৎ নেই বলে জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি (পিজিসিবি)। এর ফলে ঢাকার একটি বড় অংশ এখন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। ত্রুটি মেরামত করে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পিজিসিবি জানিয়েছে।

আজ রোববার রাত ১০টার দিকে এই ত্রুটি দেখা দেয়। এতে বসুন্ধরা, গুলশান, আফতাবনগর, রামপুরা, মগবাজার, মধুবাগ, ফার্মগেট, রাজাবাজার, কাওরান বাজার, বনানী, হাতিরঝিল, মহাখালী, সেগুনবাগিচা, মগবাজার, তেজগাঁও, ফার্মগেট, বনশ্রীসহ অনেক এলাকা এখন বিদ্যুৎবিহীন।

পিজিসিবির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) এ বি এম বদরুদ্দোজা খান সুমন বলেন, রামপুরা ২৩০/১৩২ কেভি গ্রিড সাবস্টেশনে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আকস্মিক কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। এতে ঢাকার একাংশে বিদ্যুৎ সরবরাহে অনাকাঙ্ক্ষিত বিচ্যুতি হয়েছে। পাওয়ার গ্রিডের প্রকৌশলীরা দ্রুত সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন বলে তিনি জানান।

সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে বলে আশা তিনি জানান, রামপুরা গ্রিডের ২৩০ কেভি অংশে সমস্যা হওয়ায় কারণে ডেসকো'র বসুন্ধরা ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিডের (আংশিক), পূর্বাচল গ্রিড, বনানী গ্রিড, আফতাবনগর গ্রিড, গুলশান গ্রিড বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এনএলডিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে সঠিক কারণ উদ্ঘাটন এবং দ্রুত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালুর চেষ্টা চলছে। তবে সব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Every day two hundred to three hundred gems of hilsa are coming
ইলিশে সরগরম বরিশালের মোকাম

প্রতিদিন আসছে দুইশ থেকে সাড়ে তিনশ মণ ইলিশ

প্রতিদিন আসছে দুইশ থেকে সাড়ে তিনশ মণ ইলিশ

বরিশালের নদ-নদী এবং সাগরে হঠাৎ করে ধরা পড়ছে ঝাকে ঝাকে ইলিশ। সেই সঙ্গে ঝিমিয়ে যাওয়া বরিশালের সর্ববৃহৎ পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীদের দাবি-গত তিনদিন ধরে দৈনিক দুইশ থেকে সাড়ে তিনশ মণ পর্যন্ত ইলিশ আসছে এই পাইকারি মৎস্য আড়তে। তবে সরবরাহের অর্ধেকের বেশি ইলিশ আকারে ছোট দাবি বলে আড়তদারদের।

ইলিশের সরবরাহ বাড়তে শুরু করলেও দাম এখনো নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এক কেজি জাটকা কিনতে এখনো গুণতে হচ্ছে সর্বনিম্ন পাঁচশ টাকা। তবে সরবরাহ বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ঠিক থাকলে চলতি মাসেই ইলিশে দাম আরও কমে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।

সরজমিনে বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড ইলিশ মোকামে দেখা যায়, ভোর পাঁচটা বাজার আগে থেকেই আড়তে আসছে একের পর এক ইলিশের ট্রলার। সাগর এবং নদীর মাঝ পোর্ট রোডে নামিয়ে দিয়ে ট্রলার নিয়ে জেলেরা আবার ছুটছেন সাগর এবং নদীতে। তবে বর্তমানে বরিশাল মোকামে আসা অর্ধেক ইলিশ স্থানীয় নদ-নদীর বলে দাবি জানিয়েছেন আড়াতদাররা।

পোর্টরোড আক্তার মৎস্য আড়তের আড়তদার আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, গত দুই-তিন দিনের তুলনায় রোববার ইলিশের দাম কিছুটা কম ছিল। কারণ এ কয়দিনে আড়তে ইলিশের সরবরাহ কিছু বেশি হয়েছে। এর পরও এলসি সাইজ অর্থাৎ ৭০০-৯৯৯ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ ইলিশ ৭৫-৭৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া এক কেজি সাইজের ইলিশ প্রতিমণ ৮৮ হাজার, এক কেজির ওপরে ১২শ গ্রাম পর্যন্ত ইলিশ প্রতিমণ ৯২ হাজার, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ প্রতিমণ ৯৮ হাজার টাকা, ভেলকা সাইজ অর্থাৎ ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম প্রতিমণ ৫৮-৬০ হাজার টাকা, ৩০০ থেকে ৫শ গ্রাম ইলিশ প্রতিমণ ৩২ হাজার টাকা এবং জাটকা ইলিশ প্রতিমণ বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার টাকা দরে।

মৎস্য আড়তদার ইয়ার হোসেন জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে বরিশালের আড়তে প্রতিদিন ৩-৪ হাজার মণ ইলিশও এসেছে। কিন্তু পদ্মা সেতু চালুর পর সেই পরিমাণ কমে গেছে। তবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মৎস্য আড়তে কিছুটা ঝামেলা হয়েছে বিধায় গত তিন দিন ধরে নদী এবং সাগরের মাছের ট্রলার বরিশালে আসছে। এ কারণে বরিশালের আড়তে সরবরাহও বেড়েছে।

বরিশাল শহীদ জিয়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জহির সিকদার বলেন, রোববার বরিশালের আড়তে তিনশ মনের বেশি ইলিশ এসেছে। যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ। তবে সরবরাহ হওয়া ইলিশের মধ্যে প্রায় আড়াইশ মণই জাটকা। তাছাড়া নদীর থেকে সাগরের ইলিশটাই বেশি আসছে।

তিনি জানান, গত শনিবার বরিশাল পোর্ট রোড মোকামে ২০০ মণ এবং তার আগের দিন শুক্রবার প্রায় দুইশ মণ ইলিশ এসেছে পোর্ট রোডের ইলিশ মোকামে। ফলে গত তিন দিনের ব্যবধানে ইলিশের দাম মণপ্রতি ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত কমেছে। আগামী ২৫ জুন পূর্ণিমার জোঁ রয়েছে। ওইদিন থেকে আরও বেশি মাছ ধরা পড়বে বলে আশাবাদী এই ব্যবসায়ী।

খুঁচরা বাজারে দেখা যায়, আড়তে মাছের সরবরাহ বাড়লেও খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। সংকটের অজুহাতে এখনো বাড়তি দামেই ইলিশ বিক্রি করছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা। ৭০০-৯৯৯ গ্রামের ইলিশ পাইকারী হিসেবে প্রতি কেজির দাম ১৮শ থেকে ১৯শ টাকা হলেও তা বিক্রি করা হচ্ছে ২২শ থেকে আড়াই হাজার টাকায়। একইভাবে কেজি সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি ২২শ টাকার পরিবর্তে বিক্রি করা হচ্ছে ২৫শ থেকে ২৮শ টাকায়। আর জাটকা ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। বাড়তি দামে ইলিশ বিক্রি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিম্ন আয়ের ক্রেতারা।

বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপণ কান্তি ঘোষ বলেন, একসময় বরিশালের পোর্ট রোড মৎস্য আড়ত জমজমাট ছিল। তখন দক্ষিণাঞ্চলের নদী এবং সাগরের ইলিশ এখানো আসত। তবে এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির কারণে ইলিশ যাচ্ছে পটুয়াখালীর মহিপুর, আলিপুর এবং পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। তাছাড়া বরিশালের হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ এলাকার ইলিশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চাঁদপুরে। বরিশালের আড়তে যা মাছ আসছে তা স্থানীয় নদনদীর মাছ।

তিনি বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান অনেকটা সফল হয়েছে। এ সময় প্রচুর ইলিশের পোনা ছেড়েছে। এর সুফল সামনে পাওয়া যাবে। তবে এখনই গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করেই নদনদীতে বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। এটা ভালো লক্ষ্যন। বৃষ্টি এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে ইলিশ ধরা পড়ছে বেশি। ভবিষ্যতে আরও বেশি ইলিশ ধরা পড়লে দামও কমে আসবে বলেন এই কর্মকর্তা।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
The monsoon is actually in the village of Nayamati Pirulia

বর্ষা আসলেই নৌকা তৈরির ধুম পড়ে নয়ামাটি-পিরুলিয়া গ্রামে

বর্ষা আসলেই নৌকা তৈরির ধুম পড়ে নয়ামাটি-পিরুলিয়া গ্রামে

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার অজোপাড়াগায়ে গড়ে ওঠেছে নৌকার গ্রাম। আর এ নৌকার গ্রামকে ঘিরে বালু নদীর তীর ঘেষে জমে ওঠেছে ব্যতিক্রমী নৌকার হাট। কাঠের খুটখাট আর নদীর পানির ছলাৎ-ছলাৎ শব্দ যে-কারো মনকে আবেগে ভরিয়ে দেবে। হয়তো ক্ষণিকের জন্য কেউ কবি বনে যেতে পারে। নৌকা তৈরির এ গ্রাম দু’টির অদূরেই গড়ে ওঠা ঐতিহ্যবাহী নৌকার হাটটি বর্ষা আসলেই জমে উঠে। আর বর্ষা ঘিরে নয়ামাটি ও পিরুলিয়া এলাকায় নৌকা তৈরির ধুম পড়ে যায়। কারিগরেরা হয়ে পড়ে মহাব্যস্ত। কায়েতপাড়া নৌকার হাটটিতে তখন চলে নৌকা বেচাকেনার রমরমা ব্যবসা। এছাড়া গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের গোলাকন্দাইল বাজারে প্রতি বৃহস্পতিবার বসে নৌকার হাট। ইছাখালী-নগরপাড়া সড়কের অদূরেই নৌকার গ্রাম। আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাত্র তিন মাসের মৌসুমি ব্যবসা। চাহিদা যথেষ্ট, তাই কারিগরদের ব্যবস্থাও বেশি।

শুরুর ইতিহাস : রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের পিরুলিয়া ও নয়ামাটি এলাকার কারিগরেরা স্বাধীনতারও আগে থেকে নৌকা তৈরি করে আসছে। কারো-কারো মতে, এ এলাকার নৌকা তৈরির ইতিহাস প্রায় শতাব্দী প্রাচীন। পিরুলিয়া এলাকার অতশীপরবৃদ্ধ অঞ্জনকুমার দাস বলেন, আমার জন্মের আগে থেইক্যা বাপ-দাদারা গয়না (নৌকা) বানাইয়া আইতাছে হুনছি। নয়ামাটি ও পিরুলিয়া ছাড়া গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের গোলাকান্দাইল, সাওঘাট এলাকার কারিগরেরা নৌকা তৈরি করে আসছে।
কারিগর কারা : নৌকা তৈরির গ্রাম পিরুলিয়া ও নয়ামাটি বললেই সবাই চেনে। তবে এ এলাকা দুটি গ্রামের ৯০ ভাগই মানুষ হিন্দু সম্প্রদায়ের। হিন্দুরাই দীর্ঘদিন ধরে নৌকা তৈরি করে আসছে। আশির দশকের পর নৌকা ব্যবসায়ী কমে যায়। অনেকে ভারত চলে যাওয়ায় এখনো দেড়শ পরিবার টিকে রয়েছে কোনোমতে। সাওঘাট এলাকার কারিগর প্রদ্যুত কুমার সরকার বলেন, আগে ব্যবসা ভালাই আছিলো। অহন কাটের দাম আর লোয়া (লোহা ) পেরেকের দাম বাইড়া যাওনে লাভ কম অয়।

কারিগরা যা বলছেন: পিরুলিয়া ও নয়ামাটি এলাকার নৌকা তৈরির কারিগরেরা এখন ভালোই আছেন। নৌকা বিক্রি করে তারা সংসার চালাচ্ছেন। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছেন। বছর শেষে মোটামুটি লাভের মুখ ও দেখছেন। কথাগুলো একবাক্যে বললেন পিরুলিয়া এলাকার সত্যেন দাস। তার ছেলে লেখাপড়া করছে। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। নয়ামাটি এলাকার রমেশ দাস বলেন, কই খারাপতো নাইগো দাদা। মোডা ভাত- আর মোডা কাপড় পরবার পারি। এইডাই সুখ।

বর্তমান অবস্থা : নৌকা তৈরির কারিগরদের অবস্থা এখন কিছুটা ভাটা পড়েছে। ৯০ দশকের পর যান্ত্রিক সভ্যতা ফিরে আসায় নৌকার কদর কিছুটা কমে যায়। প্রতি বছর বর্ষায় নৌকা তৈরির ধুম চলে। তবে বন্যা হলে ব্যবসা ভালো হয় বলে জানালেন সুনীল দাস। তিনি বলেন, ৮৮’ আর ৯৮’ সালের বন্যায় অনেক টেহা লাব অইছিলো। নয়ামাটি এলাকার নৌকার কারিগর রবি দাস বলেন, কাডের দাম বাইড়া যাওনে লাভটা কম হয়। নাইলে ব্যবসা খারাপ না। আর স্টিলের নৌকার কারণে কিছুডা লছ অইতাছে। তারপরেও খারাপ নাই। ডাইল-ভাত খাইবার পারি।

খরচ কত : এক-একটি নৌকা তৈরি করতে খরচ পড়ে ১৫/২০ হাজার টাকা। আর মোটামুটি কাঠের নৌকা তৈরিতে খরচ পড়ে ৮/১০ হাজার টাকা। কথাগুলো বললেন নৌকার কারিগর তাপস দাস।
নৌকার হাটের কথা : বালু নদীর তীর ঘেঁষেই কায়েতপাড়া বাজারে নৌকার হাট। বর্ষা মাসজুড়েই এ হাট জমে। ঢাকার নিম্নাঞ্চলসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা নৌকা কিনতে আসেন। দামে সস্তা হওয়ায় এখানকার নৌকার কদরও বেশি। গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের গোলাকান্দাইল বাজারের সামনে বিলে জমে ব্যতিক্রমি নৌকার হাট। এ হাটে প্রতি বৃহস্পতিবারে প্রায় কয়েক হাজার নৌকা ওঠে। নৌকার হাট শুরু হয় নৌকা তৈরির গ্রামগুলোর কারিগরদের ঘিরেই। প্রতি বৃহস্পতিবার এ হাট জমে ওঠে। বৃহস্পতিবার এ হাটে কয়েক হাজার নৌকা ওঠে। ওঠে নৌকার বৈঠাও। গজারি কাঠের এক-একটি নৌকার দাম পড়ে ১৫/২০ হাজার টাকা। আর কোষা ৭/৮ হাজার টাকায়। বৈঠাগুলো ৪শ থেকে ৫শ টাকায় বিক্রি হয়। নৌকা বিক্রেতা সুবল চন্দ্র দাস বলেন, দাদু ব্যবসা ভালোই, তয় পানি বেশি অইলে লাভ অয়। ঢাকার ত্রিমহোনী থেকে নৌকা কিনতে আসা ওমরআলী বলেন, এ হাটে তুলনামূলক সস্তায় নৌকা পাওয়া যায়। আড়াইহাজার থেকে নৌকা কিনতে আসা সামছুল হক বলেন, এ হাটে নৌকার দাম কম। তাই এহান থেইক্যা কিনবার আইছি।

মন্তব্য

p
উপরে