× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
Mutual Fund Profit of Tk 4 04 from loss of Tk 3 15
google_news print-icon

মিউচ্যুয়াল ফান্ড: ৩.১৫ টাকা লোকসান থেকে ৪.০৪ টাকা মুনাফা

মিউচ্যুয়াল-ফান্ড-৩১৫-টাকা-লোকসান-থেকে-৪০৪-টাকা-মুনাফা
ন্যাশনাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির আইবিবিএল ইসলামী ইউনিট ফান্ড গত বছর ব্যাপক লোকসান দিলেও এবার মুনাফা করেছে আকর্ষণীয়
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, এমন আরও একটি ফান্ড তার আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করেছে। গত বছর পুঁজিবাজারে ধসের কারণে যারা গত জুলাইয়ে ফান্ডটি কিনে ধরে রেখেছেন, তারা বিনিয়োগের ৫৯ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফায় আছেন। এর মধ্যে ৯০ পয়সা লভ্যাংশ, আর ৩ টাকা ৩৭ পয়সা ক্যাপিটাল গেইন।

ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে ইউনিট বিক্রি করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে, এমন আরও একটি ফান্ড চলতি বছর অভাবনীয় মুনাফা করেছে। গত বছর ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ১৫ পয়সা লোকসান দেয়ার কারণে এই ফান্ডটি অবশ্য চলতি বছর যে মুনাফা করেছে, সেটি বিতরণ না করে গত বছরের লোকসান সমন্বয় করেছে।

তার পরেও ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ৯০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে। ফান্ডটির বর্তমান ইউনিটমূল্য ১০ টাকা ২৯ পয়সা, যেটি এক বছর আগে সর্বনিম্ন ৬ টাকা ৯২ পয়সাতেও কেনা গেছে।

এই ফান্ডটি অবশ্য পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, তবে যে কেউ চাইলে যেকোনো সময় সম্পদমূল্যের সমান অর্থ দিয়ে ইউনিট কিনতে পারেন।

ন্যাশনাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট পরিচালিত আইবিবিএল ইসলামী ইউনিট ফান্ড এটি। গত বছর সম্পদমূল্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ লোকসান দেয়া ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি মুনাফা করেছে ৪ টাকা ৪ পয়সা।

আগের বছরের লোকসানে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে এবার ইউনিটপ্রতি চূড়ান্ত আয় বা ইপিইউ হয়েছে ১ টাকা ২৮ পয়সা। এখান থেকে ৩৮ পয়সা রেখে লভ্যাংশ দেয়া হয়েছে ৯০ পয়সা।

যাদের হাতে গত ৩০ জুলাই ইউনিট ছিল তারাই এই লভ্যাংশ পাবে।

এই ফান্ডগুলো যত আয় করে, তার থেকে ৭০ শতাংশ নগদে বিতরণের কথা। সেই হিসাবেই এই লভ্যাংশ দেয়া হয়েছে।

গত বছর পুঁজিবাজারে ধসের কারণে ফান্ডটির সম্পদমূল্য নেমে আসায় জুলাইয়ে ইউনিটের দাম একপর্যায়ে ৬ টাকা ৯২ পয়সায় নেমে আসে। চলতি সপ্তাহে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য আর ইউনিটের দাম ১০ টাকা ২৯ পয়সা।

এই হিসাবে যারা ৬ টাকা ৯২ পয়সায় ইউনিট কিনে ধরে রেখেছেন তারা লভ্যাংশের ৯০ পয়সার পাশাপাশি ক্যাপিটাল গেইন পেয়েছেন ৩ টাকা ৩৭ পয়সা। সব মিলিয়ে তাদের মুনাফা ৪ টাকা ২৭ পয়সা। তবে ইউনিট বিক্রি করার ক্ষেত্রে ২০ পয়সা কমে বিক্রি করতে হয়। এই হিসাবে মুনাফা দাঁড়ায় ৪ টাকা ৭ পয়সা।

অর্থাৎ এক বছর ধরে রেখে একেকজন মুনাফা পেয়েছেন বিনিয়োগের প্রায় ৫৯ শতাংশ।

পুঁজিবাজারে গত এক বছরের চাঙাভাবের কারণে কেবল এই ফান্ডটিই নয়, এখন পর্যন্ত অতালিকাভুক্ত যেসব ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার সব কটিতে ব্যাপক মুনাফা করতে পেরেছেন ইউনিটধারীরা।

জুন মাসে অর্থবছর শেষ হয়েছে, এমন ৩০টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৫টি এরই মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণার তারিখ জানিয়েছে। আগামী সোমবারের মধ্যেই এগুলো লভ্যাংশ ঘোষণা করবে।

অতালিকাভুক্ত অন্য ফান্ডগুলোর লভ্যাংশ কত?

এখন পর্যন্ত অতালিকাভুক্ত যেসব ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন তুলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ- আইসিবি পরিচালিত ইউনিট ফান্ড। এটি ইউনিটপ্রতি ৪২ টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে। ফান্ডটির সবশেষ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬১ টাকা।

তবে ফান্ডটি চাইলেই কেনা যায় না। আইসিবিতে গিয়ে আবেদন করে রাখতে হয়। কেউ বিক্রি করতে চাইলেই পাওয়া যায়, তবে বিক্রির পরিমাণ খুবই কম। আর একবারে কিনতে হয় ৫০ লাখ টাকার ফান্ড।

ব্যাপক লভ্যাংশ দিয়েছে এএএমএল ইউনিট ফান্ডও। তারা ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ৪৩ টাকা আয় করে আড়াই টাকা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফান্ডটির বর্তমান দাম ১৬ টাকা ৩ পয়সা।

এই হিসাবে দামের ১৫.৫৯ শতাংশই লভ্যাংশ হিসেবে পেয়ে গেছেন বিনিয়োগকারীরা। গত বছর ইউনিটের দাম ছিল আরও কম। যারা কমে কিনেছেন, তাদের ইউনিট মূল্যের তুলনায় লভ্যাংশ শতকরা হারে আরও বেশি হয়েছে।

এর আগে শান্তা ফার্স্ট ইনকাম প্রোপার্টি ফান্ড ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ৮৮ পয়সা আয় করে ২ টাকা ৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে।

এই ফান্ডটির সবশেষ মূল্য ১৪ টাকা ৬৭ পয়সা। কেউ যদি এই দামেও ফান্ডটি কিনে থাকেন, তার পরেও তার লভ্যাংশ এসেছে ইউনিটমূল্যের ১৩.৯৭ শতাংশ।

আর আইডিএলসি ব্যালেন্সড ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ১৭ পয়সা আয় করে দেড় টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে।

এই ফান্ডটির বর্তমান ইউনিটপ্রতি সম্পদ ও মূল্য ১০ টাকা ৪৭ পয়সা। এই দামেও যদি কেউ কিনে থাকে, তার পরেও ১০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ হিসেবে পেয়েছেন।

দুটি ফান্ডই গত বছর লোকসানের কারণে কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। আর আইডিএলসির ফান্ডটি গত বছরের লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে গিয়ে লভ্যাংশ কমিয়েছে।

সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ক্যাপিটেক পরিচালিত মেয়াদহীন এই ফান্ড দুটির মধ্যে ক্যাপিটেক পপুলার লাইফ ইউনিট ফান্ড জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এই ফান্ডটির সবশেষ ইউনিটমূল্য ১১ টাকা ৫৪ পয়সা।

এই দামেও যদি কেউ ইউনিট কিনে থাকেন, তাহলে তিনি লভ্যাংশ পেয়েছেন ‍মূল্যের ১২.৯৯ শতাংশ।

পদ্মা প্রভিডেন্ট ফান্ডের শরিয়াহ ইউনিট ফান্ড ৭ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই ফান্ডটির বর্তমান ইউনিটমূল্য ১০ টাকা ৫৪ পয়সা। কেউ যদি এই দামে ইউনিট কিনে থাকেন, তাহলে তিনি মুনাফা অবশ্য কম পেয়েছেন; ৬.৬৪ শতাংশ। তবে এটিও বর্তমানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যেকোনো সঞ্চয়ী স্কিমের সুদ হারের চেয়ে বেশি।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ আরও এক কারণে লাভজনক। অন্য যেকোনো লভ্যাংশের ওপর শতকরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কর কাটে সরকার। কিন্তু মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত।

এবার আসছে পুঁজিবাজারেরগুলোর লভ্যাংশ

পুঁজিবাজারে বর্তমানে ৩৭টি ফান্ড তালিকাভুক্ত আছে। এর মধ্যে একটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় লেনদেন আছে ৩৬টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে ৩৬টি ফান্ডের অর্থবছর শেষ হয়েছে জুনে।

এই ফান্ডগুলোর সিংহভাগই গত বছর লোকসানের কারণে লভ্যাংশ দিতে পারেনি। তবে এবার সেগুলো ব্যাপক মুনাফা করেছে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে। আর চতুর্থ প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে ৮৮০ পয়েন্ট। এর সুফলও ফান্ডগুলো পাবে।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা অনুযায়ী এগুলো তাদের আয়ের ৭০ শতাংশ নগদে লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করবে। তবে গ্রোথ ফান্ডগুলো দেবে অন্তত ৫০ শতাংশ।

তবে আগের বছরের লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণের সুযোগ থাকছে। ফলে এখন পর্যন্ত যতটা আয় হয়েছে, তার বিপরীতে লভ্যাংশ কত হবে, তার পূর্বানুমান করা কঠিন।

তবে ডিসেম্বর, মার্চ ও সেপ্টেম্বরে অর্থবছর শেষ হয় এমন ছয়টি ফান্ড যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, সেগুলো এর আগে কখনও এত বেশি আয় করতে পারেনি।

জুন ক্লোজিং ফান্ডগুলোর মধ্যে সবার আগে লভ্যাংশ ঘোষণাসংক্রান্ত বৈঠক ডেকেছে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এলআর গ্লোবাল পরিচালিত গ্রিন ডেল্টা ফান্ড ও ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি বোর্ড।

আগামী বৃহস্পতিবার এই সভা হবে।

গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ইউনিটপ্রতি আয় করেছে প্রায় ৯৭.৯৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে তাদের ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ২ পয়সা।

ডিবিএইচ মিউচ্যুয়াল ফান্ড এই সময়ে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইউনিটপ্রতি লোকসান হয়েছিল ৯৯.৮৭ পয়সা।

এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড আগামী ৮ আগস্ট বেলা দেড়টায় লভ্যাংশ ঘোষণাসংক্রান্ত সভা ডেকেছে।

এই ফান্ডটি গত মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৮১ পয়সা মুনাফা করেছে।

৯ আগস্ট ট্রাস্টি সভা করবে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের পরিচালিত এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড ও এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড।

এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড চলতি বছর তিন প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ১৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ১৩ পয়সা।

এসইএমএল এফবিএসএল গ্রোথ ফান্ড জুলাই থেকে মার্চ সময়ে তিন প্রান্তিক মিলিয়ে ইউনিটপ্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে ১ টাকা ৫৮ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৭ পয়সা।

আরও পড়ুন:
লোকসান থেকে মুনাফায় আরও তিন মিউচ্যুয়াল ফান্ড
আরও দুই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ সোমবার
২৬১ টাকার মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ৪২ টাকা লভ্যাংশ
আসছে আরও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ
আরও দুই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আকর্ষণীয় লভ্যাংশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
Human bonds and road blockade demanding the fair prices of the victims to construct a lane road in Jhenaidah

ঝিনাইদহে ৬ লেন রাস্তা তৈরীতে ক্ষতিগ্রস্থদের জমির ন্যায্য মুল্যের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ

ঝিনাইদহে ৬ লেন রাস্তা তৈরীতে ক্ষতিগ্রস্থদের জমির ন্যায্য মুল্যের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ

ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক ও ব্যবসায়ীদের ন্যায্যমুল্যে দেওয়ার দাবীতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করা হয়েছে।
বুধবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ব্যবসায়ী, স্থানীয়সহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়।
সেসময় ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক আলহাজ শহিদুল ইসলাম, বদরুজ্জামান, ডা: জহুরুল ইসলাম, কমিশনার আনোয়ারসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা অভিযোগ করেন, জমির মালিকদের ২০২২ সালের মৌজা মুল্য দেওয়া হচ্ছে। যেসব জমির দাম ১০ লাখ টাকা সেই জমির দাম দেওয়া হচ্ছে ২ লাখ টাকা করে। এছাড়াও একটি বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পুর্ণ ক্ষতিপুরণ না দিয়ে আংশিক দিচ্ছে কর্র্তৃপক্ষ। তাই মালিক ও ব্যবসায়ীদের ন্যায্য মুল্যে নিশ্চিতের দাবী জানানো হয়।
পরে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় ঝিনাইদহ থেকে যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গাগামী সকল রুটের যানচলাচল। প্রায় ১ ঘন্টাপর আবারো কর্মসূচীর হুশিয়ারি দিয়ে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা।

মন্তব্য

নবীনগরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

নবীনগরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দেবী দুর্গার আগমন উপলক্ষে ইতোমধ্যেই ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। এবছর উপজেলায় ১২৭টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে দুর্গাপূজা, যা চলবে ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী পর্যন্ত। ২৯ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহাঅষ্টমী, ১ অক্টোবর মহানবমী এবং ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব।

উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে—খড়, বাঁশ ও কাদা-মাটি দিয়ে শিল্পীরা শৈল্পিক ছোঁয়ায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিমা কারিগর মনেন্দ্র পাল (৫৭) বলেন, “প্রতি বছর প্রায় ৫০-৫৫টি মণ্ডপে কাজ করি। কিন্তু এবার মাত্র ৩২টি মণ্ডপের প্রতিমা বানানোর কাজ করছি। প্রতিটি প্রতিমার দাম প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা ধরা হচ্ছে।” একই কথা জানিয়েছেন কারিগর বিজয় পালসহ অন্যান্য শিল্পীরাও।

নবীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক সঞ্জয় সাহা বলেন, “এবার উপজেলায় ১২৭টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। নিরাপত্তা ও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী জানান, “আসন্ন দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী মিটিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Matchapa boy arrested after killing his father in Coxs Bazar

কক্সবাজারে ‘বাবাকে পিটিয়ে হত্যার’ পর মাটিচাপা, ছেলে গ্রেফতার

কক্সবাজারে ‘বাবাকে পিটিয়ে হত্যার’ পর মাটিচাপা, ছেলে গ্রেফতার

কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে পারিবারিক কলহের জেরে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ বস্তা ভর্তি করে বসতভিটার পাশে মাটি চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাইয় অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তা্ার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার অন্তত ৩৬ ঘন্টার পর প্রকাশ পায়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেইলপাড়া কুরিমারিয়ারছড়া এলাকায় পৌঁছায়। পরে রাত ৯ টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় মাটি খুড়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা গেছে, নিহত মোহাম্মদ ছৈয়দ (৫০) একই এলাকার বাসিন্দা। গ্রেপ্তারকৃৎ মোহাম্মদ রফিক নিহত মোহাম্মদ ছৈয়দের ছেলে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত ও গ্রেপ্তার ব্যক্তি সম্পর্কে বাবা-ছেলে। মোহাম্মদ ছৈয়দের সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তানদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। তিনি কয়েক বছর আগে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে খুরুশকুলের কুমারিয়ারছড়া এলাকায় এসে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। পুরো পরিবারটি রোহিঙ্গা নাগরিক।

নিহতের প্রতিবেশিসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মোহাম্মদ সৈয়দের বাড়ির আশেপাশের উৎকট দুর্গন্ধ ছড়ালে এলাকাবাসীর সন্দেহ জাগে। এক পর্যায়ে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে তার বাড়ির ধানক্ষেতের পাশে সদ্য মাটি চাপা দেওয়া একটি শার্ট দেখতে পান। সেখান থেকে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের পৌঁছার পর মাটি সরিয়ে বস্তাবন্দী অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে।

গ্রেপ্তারকৃত রফিকের স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, ‘সোমবার ভোরে তার শ্বশুর মোহাম্মদ ছৈয়দ স্থানীয় মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান। সকালে বাড়ী ফিরলে শ্বাশুরির সঙ্গে তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তার স্বামীও কলহে জড়িয়ে পড়েন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্বামী রফিক বাবাকে লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করেন। আঘাতে তার শ্বশুর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আহত হন। পরে তার মৃত্যু হলে লাশটি বস্তাবন্দী করে ঘরে ফেলে রাখা হয়।

ঘটনার ব্যাপারে কারও কাছে প্রকাশ করলে বাবার মত পরিণতি ভোগ করারও হুমকি দেন তার স্বামী, জানান অভিযুক্তের স্ত্রী।

এদিকে সোমবার মধ্যরাতে ঘটনা ধামাচাপা দিতে সৈয়দের স্ত্রী, দুই সন্তান রফিক ও সাহাবউদ্দিন জিয়া মিলে গত সোমবার রাত ১০টার দিকে বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে মাটি চাপা দিয়ে লাশ পুঁতে রাখেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে ছৈয়দের স্ত্রী ও সন্তানরা পালিয়ে আত্মগোপন করেন।

পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণার কথা বলেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াছ খান।

তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মাটি সরিয়ে বস্তাবন্দী লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নিহতের ছেলে মোহাম্মদ রফিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলা নথিভূক্ত হওয়ার পর জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
How many tons went to the first shipment to export hilsa to India

ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু, প্রথম চালানে গেল কত টন

ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু, প্রথম চালানে গেল কত টন

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত একটার দিকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সাতটি ট্রাকে ইলিশ পাঠানো হয়। ৩৭ দশমিক ৪৬ মেট্রিক টন ইলিশ নিয়ে ট্রাকগুলো ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, ভারতের কলকাতার ৫টি প্রতিষ্ঠান ইলিশ আমদানি করছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ন্যাশনাল ট্রেডিং, এফএনএস ফিশ, জয় শান্তসী, মা ইন্টারন্যাশনাল ও আর জে ইন্টারন্যাশনাল। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি করেছে সততা ফিশ, স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ ও লাকী ট্রেডিং নামের প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সরকার আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে ভারতে মোট এক হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।

এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান রপ্তানি করতে পারবে ৫০ টন ইলিশ, ২৫টি প্রতিষ্ঠান ৩০ টন করে (৭৫০ টন), ৯টি প্রতিষ্ঠান ৪০ টন করে (৩৬০ টন) এবং দুটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন করে (৪০ টন) ইলিশ ভারতে রপ্তানি করতে পারবে।

বেনাপোল মৎস্য কোয়ারেন্টিন কর্মকর্তা সজীব সাহা বলেন, ‘প্রতিকেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলারআগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানি শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের।’

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
At least 5 Sudanese refugees died by boat on the coast of Libya

লিবিয়ার উপকূলে নৌকায় আগুন, অন্তত ৫০ সুদানি শরণার্থীর মৃত্যু

লিবিয়ার উপকূলে নৌকায় আগুন, অন্তত ৫০ সুদানি শরণার্থীর মৃত্যু

লিবিয়ার উপকূলে সুদানি শরণার্থীবাহী একটি নৌকায় আগুন লাগার ঘটনায় অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, ওই দুর্ঘটনার সময় নৌকাটিতে ৭৫ জন শরণার্থী ছিলেন।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

আইওএম জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ২৪ জনকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি এক্স-এ পোস্ট করে বলেছে, সমুদ্রপথে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঠেকাতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

এর আগেও সমুদ্রপথে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। গত মাসে ইয়েমেন উপকূলে একটি নৌকা ডুবে অন্তত ৬৮ শরণার্থী ও অভিবাসীর মৃত্যু হয়, নিখোঁজ হয় আরও অনেকে।

আইওএম-এর তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত বছরই ভূমধ্যসাগরে ২ হাজার ৪৫২ অভিবাসী বা শরণার্থী প্রাণ হারিয়েছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সমুদ্রপথগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

২০১১ সালে লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে দেশটি আফ্রিকা থেকে ইউরোপগামী শরণার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে। গাদ্দাফির আমলে আফ্রিকার বহু মানুষ লিবিয়ায় কাজ করলেও তাঁর পতনের পর দেশটিতে বিভিন্ন মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সংঘাতে স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়।

গত আগস্টে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের কাছে দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়। তার আগে জুন মাসে লিবিয়া উপকূলে দুটি জাহাজডুবিতে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয় বা নিখোঁজ হন।

মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা বলছে, লিবিয়ায় আটক শরণার্থী ও অভিবাসীরা নিয়মিতভাবে নির্যাতন, ধর্ষণ ও অর্থ আদায়ের শিকার হচ্ছেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অভিবাসন ঠেকাতে লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে সরঞ্জাম ও অর্থসহায়তা দিয়েছে। কিন্তু ওই কোস্টগার্ডের সঙ্গে নির্যাতন ও অপরাধে জড়িত মিলিশিয়ার সম্পর্ক থাকার অভিযোগ উঠেছে।

এনজিওগুলো বলছে, সরকারি সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ কার্যক্রম কমিয়ে দেওয়ায় এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সীমিত করায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়া অভিবাসীদের জীবন আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে যুদ্ধ, সংঘাত ও নির্যাতন থেকে পালিয়ে আসা বহু মানুষ লিবিয়ায় আটকে পড়ছেন এবং অমানবিক অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Administrator is the final sitting of the decision to unite five banks

পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক

পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক

সমস্যাগ্রস্ত শরিয়াভিত্তিক বেসরকারি পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বিশেষ বোর্ড সভা শেষে এ তথ্য জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. আরিফ হোসেন খান। সভায় গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড সদস্যরা।

সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, সমস্যাগ্রস্ত শরিয়াভিত্তিক বেসরকারি পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ’ অনুযায়ী পরিচালিত এই মার্জার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগবে দুই বছর। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে শিগগিরই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, এই একীভূতকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি প্রশাসক টিম গঠন করা হবে। তবে ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা টিম। প্রতিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাদের পদে বহাল থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ব্যাংকগুলোর পর্ষদ (বোর্ড) বাতিল করা হবে না। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। প্রশাসক টিম নিয়মিত তাদের কার্যক্রমের অগ্রগতি ও আপডেট বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত টিমকে জানাবে।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংককে একীভূত করে গঠন করা হবে একটি নতুন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, যার সম্ভাব্য নাম হবে ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’। নতুন এ ব্যাংকটির জন্য লাইসেন্স ইস্যু করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Legal measures excluding the July Fighter List when proven fake Ministry of Liberation War

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি পরিলক্ষিত হয়েছে যে, কিছু কিছু গণমাধ্যমে ভুয়া জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে। ওই সংবাদগুলোর প্রতি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের গেজেট প্রকাশ এবং ভাতাসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের এম.আই.এস ভুক্ত যে তালিকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে ইতোমধ্যে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

জুলাই শহীদ এবং জুলাই যোদ্ধার তালিকায় যে সকল ভূয়া জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল তাদের নাম যাচাই বাছাই করে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ইতোমধ্যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।

এছাড়াও গণমাধ্যমে যে সকল ভুয়া জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের নাম প্রকাশিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর তা পুনরায় যাচাই-বাছাই করছে।

কোনো প্রকার ভুয়া প্রমাণিত হলে তাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়নে মন্ত্রণালয় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মন্তব্য

p
উপরে