× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
Mutual Fund Profit of Tk 4 04 from loss of Tk 3 15
google_news print-icon

মিউচ্যুয়াল ফান্ড: ৩.১৫ টাকা লোকসান থেকে ৪.০৪ টাকা মুনাফা

মিউচ্যুয়াল-ফান্ড-৩১৫-টাকা-লোকসান-থেকে-৪০৪-টাকা-মুনাফা
ন্যাশনাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির আইবিবিএল ইসলামী ইউনিট ফান্ড গত বছর ব্যাপক লোকসান দিলেও এবার মুনাফা করেছে আকর্ষণীয়
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, এমন আরও একটি ফান্ড তার আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করেছে। গত বছর পুঁজিবাজারে ধসের কারণে যারা গত জুলাইয়ে ফান্ডটি কিনে ধরে রেখেছেন, তারা বিনিয়োগের ৫৯ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফায় আছেন। এর মধ্যে ৯০ পয়সা লভ্যাংশ, আর ৩ টাকা ৩৭ পয়সা ক্যাপিটাল গেইন।

ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে ইউনিট বিক্রি করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে, এমন আরও একটি ফান্ড চলতি বছর অভাবনীয় মুনাফা করেছে। গত বছর ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ১৫ পয়সা লোকসান দেয়ার কারণে এই ফান্ডটি অবশ্য চলতি বছর যে মুনাফা করেছে, সেটি বিতরণ না করে গত বছরের লোকসান সমন্বয় করেছে।

তার পরেও ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ৯০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে। ফান্ডটির বর্তমান ইউনিটমূল্য ১০ টাকা ২৯ পয়সা, যেটি এক বছর আগে সর্বনিম্ন ৬ টাকা ৯২ পয়সাতেও কেনা গেছে।

এই ফান্ডটি অবশ্য পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, তবে যে কেউ চাইলে যেকোনো সময় সম্পদমূল্যের সমান অর্থ দিয়ে ইউনিট কিনতে পারেন।

ন্যাশনাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট পরিচালিত আইবিবিএল ইসলামী ইউনিট ফান্ড এটি। গত বছর সম্পদমূল্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ লোকসান দেয়া ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি মুনাফা করেছে ৪ টাকা ৪ পয়সা।

আগের বছরের লোকসানে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে এবার ইউনিটপ্রতি চূড়ান্ত আয় বা ইপিইউ হয়েছে ১ টাকা ২৮ পয়সা। এখান থেকে ৩৮ পয়সা রেখে লভ্যাংশ দেয়া হয়েছে ৯০ পয়সা।

যাদের হাতে গত ৩০ জুলাই ইউনিট ছিল তারাই এই লভ্যাংশ পাবে।

এই ফান্ডগুলো যত আয় করে, তার থেকে ৭০ শতাংশ নগদে বিতরণের কথা। সেই হিসাবেই এই লভ্যাংশ দেয়া হয়েছে।

গত বছর পুঁজিবাজারে ধসের কারণে ফান্ডটির সম্পদমূল্য নেমে আসায় জুলাইয়ে ইউনিটের দাম একপর্যায়ে ৬ টাকা ৯২ পয়সায় নেমে আসে। চলতি সপ্তাহে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য আর ইউনিটের দাম ১০ টাকা ২৯ পয়সা।

এই হিসাবে যারা ৬ টাকা ৯২ পয়সায় ইউনিট কিনে ধরে রেখেছেন তারা লভ্যাংশের ৯০ পয়সার পাশাপাশি ক্যাপিটাল গেইন পেয়েছেন ৩ টাকা ৩৭ পয়সা। সব মিলিয়ে তাদের মুনাফা ৪ টাকা ২৭ পয়সা। তবে ইউনিট বিক্রি করার ক্ষেত্রে ২০ পয়সা কমে বিক্রি করতে হয়। এই হিসাবে মুনাফা দাঁড়ায় ৪ টাকা ৭ পয়সা।

অর্থাৎ এক বছর ধরে রেখে একেকজন মুনাফা পেয়েছেন বিনিয়োগের প্রায় ৫৯ শতাংশ।

পুঁজিবাজারে গত এক বছরের চাঙাভাবের কারণে কেবল এই ফান্ডটিই নয়, এখন পর্যন্ত অতালিকাভুক্ত যেসব ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার সব কটিতে ব্যাপক মুনাফা করতে পেরেছেন ইউনিটধারীরা।

জুন মাসে অর্থবছর শেষ হয়েছে, এমন ৩০টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৫টি এরই মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণার তারিখ জানিয়েছে। আগামী সোমবারের মধ্যেই এগুলো লভ্যাংশ ঘোষণা করবে।

অতালিকাভুক্ত অন্য ফান্ডগুলোর লভ্যাংশ কত?

এখন পর্যন্ত অতালিকাভুক্ত যেসব ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন তুলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ- আইসিবি পরিচালিত ইউনিট ফান্ড। এটি ইউনিটপ্রতি ৪২ টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে। ফান্ডটির সবশেষ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬১ টাকা।

তবে ফান্ডটি চাইলেই কেনা যায় না। আইসিবিতে গিয়ে আবেদন করে রাখতে হয়। কেউ বিক্রি করতে চাইলেই পাওয়া যায়, তবে বিক্রির পরিমাণ খুবই কম। আর একবারে কিনতে হয় ৫০ লাখ টাকার ফান্ড।

ব্যাপক লভ্যাংশ দিয়েছে এএএমএল ইউনিট ফান্ডও। তারা ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ৪৩ টাকা আয় করে আড়াই টাকা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফান্ডটির বর্তমান দাম ১৬ টাকা ৩ পয়সা।

এই হিসাবে দামের ১৫.৫৯ শতাংশই লভ্যাংশ হিসেবে পেয়ে গেছেন বিনিয়োগকারীরা। গত বছর ইউনিটের দাম ছিল আরও কম। যারা কমে কিনেছেন, তাদের ইউনিট মূল্যের তুলনায় লভ্যাংশ শতকরা হারে আরও বেশি হয়েছে।

এর আগে শান্তা ফার্স্ট ইনকাম প্রোপার্টি ফান্ড ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ৮৮ পয়সা আয় করে ২ টাকা ৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে।

এই ফান্ডটির সবশেষ মূল্য ১৪ টাকা ৬৭ পয়সা। কেউ যদি এই দামেও ফান্ডটি কিনে থাকেন, তার পরেও তার লভ্যাংশ এসেছে ইউনিটমূল্যের ১৩.৯৭ শতাংশ।

আর আইডিএলসি ব্যালেন্সড ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ১৭ পয়সা আয় করে দেড় টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে।

এই ফান্ডটির বর্তমান ইউনিটপ্রতি সম্পদ ও মূল্য ১০ টাকা ৪৭ পয়সা। এই দামেও যদি কেউ কিনে থাকে, তার পরেও ১০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ হিসেবে পেয়েছেন।

দুটি ফান্ডই গত বছর লোকসানের কারণে কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। আর আইডিএলসির ফান্ডটি গত বছরের লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে গিয়ে লভ্যাংশ কমিয়েছে।

সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ক্যাপিটেক পরিচালিত মেয়াদহীন এই ফান্ড দুটির মধ্যে ক্যাপিটেক পপুলার লাইফ ইউনিট ফান্ড জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এই ফান্ডটির সবশেষ ইউনিটমূল্য ১১ টাকা ৫৪ পয়সা।

এই দামেও যদি কেউ ইউনিট কিনে থাকেন, তাহলে তিনি লভ্যাংশ পেয়েছেন ‍মূল্যের ১২.৯৯ শতাংশ।

পদ্মা প্রভিডেন্ট ফান্ডের শরিয়াহ ইউনিট ফান্ড ৭ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই ফান্ডটির বর্তমান ইউনিটমূল্য ১০ টাকা ৫৪ পয়সা। কেউ যদি এই দামে ইউনিট কিনে থাকেন, তাহলে তিনি মুনাফা অবশ্য কম পেয়েছেন; ৬.৬৪ শতাংশ। তবে এটিও বর্তমানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যেকোনো সঞ্চয়ী স্কিমের সুদ হারের চেয়ে বেশি।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ আরও এক কারণে লাভজনক। অন্য যেকোনো লভ্যাংশের ওপর শতকরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কর কাটে সরকার। কিন্তু মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত।

এবার আসছে পুঁজিবাজারেরগুলোর লভ্যাংশ

পুঁজিবাজারে বর্তমানে ৩৭টি ফান্ড তালিকাভুক্ত আছে। এর মধ্যে একটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় লেনদেন আছে ৩৬টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে ৩৬টি ফান্ডের অর্থবছর শেষ হয়েছে জুনে।

এই ফান্ডগুলোর সিংহভাগই গত বছর লোকসানের কারণে লভ্যাংশ দিতে পারেনি। তবে এবার সেগুলো ব্যাপক মুনাফা করেছে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে। আর চতুর্থ প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে ৮৮০ পয়েন্ট। এর সুফলও ফান্ডগুলো পাবে।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা অনুযায়ী এগুলো তাদের আয়ের ৭০ শতাংশ নগদে লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করবে। তবে গ্রোথ ফান্ডগুলো দেবে অন্তত ৫০ শতাংশ।

তবে আগের বছরের লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণের সুযোগ থাকছে। ফলে এখন পর্যন্ত যতটা আয় হয়েছে, তার বিপরীতে লভ্যাংশ কত হবে, তার পূর্বানুমান করা কঠিন।

তবে ডিসেম্বর, মার্চ ও সেপ্টেম্বরে অর্থবছর শেষ হয় এমন ছয়টি ফান্ড যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, সেগুলো এর আগে কখনও এত বেশি আয় করতে পারেনি।

জুন ক্লোজিং ফান্ডগুলোর মধ্যে সবার আগে লভ্যাংশ ঘোষণাসংক্রান্ত বৈঠক ডেকেছে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এলআর গ্লোবাল পরিচালিত গ্রিন ডেল্টা ফান্ড ও ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি বোর্ড।

আগামী বৃহস্পতিবার এই সভা হবে।

গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ইউনিটপ্রতি আয় করেছে প্রায় ৯৭.৯৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে তাদের ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ২ পয়সা।

ডিবিএইচ মিউচ্যুয়াল ফান্ড এই সময়ে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইউনিটপ্রতি লোকসান হয়েছিল ৯৯.৮৭ পয়সা।

এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড আগামী ৮ আগস্ট বেলা দেড়টায় লভ্যাংশ ঘোষণাসংক্রান্ত সভা ডেকেছে।

এই ফান্ডটি গত মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৮১ পয়সা মুনাফা করেছে।

৯ আগস্ট ট্রাস্টি সভা করবে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের পরিচালিত এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড ও এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড।

এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড চলতি বছর তিন প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ১৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ১৩ পয়সা।

এসইএমএল এফবিএসএল গ্রোথ ফান্ড জুলাই থেকে মার্চ সময়ে তিন প্রান্তিক মিলিয়ে ইউনিটপ্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে ১ টাকা ৫৮ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৭ পয়সা।

আরও পড়ুন:
লোকসান থেকে মুনাফায় আরও তিন মিউচ্যুয়াল ফান্ড
আরও দুই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ সোমবার
২৬১ টাকার মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ৪২ টাকা লভ্যাংশ
আসছে আরও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ
আরও দুই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আকর্ষণীয় লভ্যাংশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
Former MPs Sabina Tuhin and Faisal Biplob arrested

সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা তুহিন ও ফয়সাল বিপ্লব গ্রেপ্তার

সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা তুহিন ও ফয়সাল বিপ্লব গ্রেপ্তার

রাজনৈতিক সহিংসতা, দুর্নীতি ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন ও মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

সোমবার (২৩ জুন) সকালে ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সাবিনা আক্তার তুহিনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে দুর্নীতি, রাজনৈতিক সহিংসতায় উসকানি ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অন্যতম। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই নবাবগঞ্জের ষোল্লা ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে, গতকাল (রবিবার) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেটের মনিপুরীপাড়ার একটি আবাসিক ভবন থেকে ফয়সাল বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করে ডিবির আরেকটি দল।

তার বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট একটি হত্যা মামলায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

ডিবি কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতা ও হত্যার ঘটনায় তুহিন ও বিপ্লব—উভয়েই গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলেন। বিশেষ করে, গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময় ফয়সাল বিপ্লবের প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল বলে দাবি পুলিশের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, রাজনৈতিক হয়রানির জন্য নয়, যথাযথ প্রমাণ ও মামলার ভিত্তিতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দুজনেরই রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে এবং তদন্তে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিবির কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
NBR officials on the pen break wearing shroud clothes

কাফনের কাপড় পরে কলম বিরতিতে এনবিআর কর্মকর্তারা

কাফনের কাপড় পরে কলম বিরতিতে এনবিআর কর্মকর্তারা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আবারও তিন ঘণ্টার কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা।

সোমবার (২৩ জুন) সকাল ৯টা থেকে আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে কাফনের কাপড় পরে এই কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

এর আগে শনিবার (২১ জুন) এ কর্মসূচি ঘোষণা দেয় এনবিআর কর্মকর্তাদের সংগঠন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

কাউন্সিলের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাসান মোহাম্মদ তারেক রিকাবদার এবং সাধারণ সম্পাদক ও অতিরিক্ত কর কমিশনার সহেলা সিদ্দিকা পুনরায় এনবিআরে ‘যুক্তিসংগত সংস্কার’ বাস্তবায়নের দাবি জানান।

তারা বলেন, এনবিআর চেয়ারম্যানকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে, কারণ তার নেতৃত্ব সংস্কার প্রক্রিয়া শুধু বিলম্বিত হয়েছে।

এর আগেই তাকে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

গত ১৯ জুন গঠিত এনবিআর সংস্কার কমিটি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তারা।

এ প্রসঙ্গে তারা বলেন, রাজস্ব অধ্যাদেশ সংশোধনের লক্ষ্যে এনবিআরের কর, কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের ছয়জন সদস্য সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয়, এ কমিটিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের কোনো প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, এমনকি তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা পর্যন্ত করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, ১২ মে জারি করা এক অধ্যাদেশে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বাতিল করে সরকার রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি নতুন বিভাগ গঠন করে।

এরপর থেকেই এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এনবিআর কর্মকর্তারা নানা ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অধ্যাদেশ সংশোধনের ঘোষণা দেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার নতুন এই কমিটি গঠন করা হয়।

এদিকে, শিশুমেলা থেকে এনবিআর কার্যালয় পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। রবিবার থেকে কার্যকর হওয়া নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Today the lock of the city building will be closed to the administrator engineers rooms

আজ খুলছে নগর ভবনের তালা, বন্ধ থাকবে প্রশাসক-প্রকৌশলীদের কক্ষ

আজ খুলছে নগর ভবনের তালা, বন্ধ থাকবে প্রশাসক-প্রকৌশলীদের কক্ষ

আজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের সব কক্ষের তালা খুলে দেওয়া হবে। তবে প্রশাসক ও প্রকৌশলীদের কক্ষ তালাবদ্ধই থাকবে।

গতকাল রোববার দুপুরে নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, নাগরিক সেবার স্বার্থে আঞ্চলিক অফিসসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো চালু রাখা এবং কর্মরতদের নিজ নিজ দফতরে ফিরে গিয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সাবেক সচিব মশিউর রহমান বলেন, ‘ঢাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমরা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত। একই সঙ্গে নাগরিক সেবা নির্বিঘ্ন রাখতে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণ না করিয়ে আদালত ও সংবিধান লঙ্ঘন করায় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়ার অপসারণ দাবি করছি।’

মশিউর রহমান বলেন, ‘প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিব, স্বাস্থ্য বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ভাণ্ডার ও ক্রয়, হিসাব ও অডিট, সমাজ কল্যাণ, আইন, রাজস্ব, সম্পত্তি, পরিবহন, বিদ্যুৎ, যান্ত্রিক, সংস্থাপন, নিরাপত্তা, জনসংযোগ, আইসিটি সেল, নগর পরিকল্পনা বিভাগ এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দফতরে থেকে জন্ম-মৃত্যু সনদ, নাগরিক সনদ, ওয়ারিশ সনদ, প্রত্যয়নপত্র, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন, মশক নিধন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ এবং সড়কবাতি সচল রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কোনও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, সাবেক সরকারের দোসর বা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর নগরভবন বা আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। দেখামাত্র প্রতিহত করা হবে। কোনও কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে নগর ভবনের বেশ কিছু কক্ষে শিকল দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই তালা খুললেও প্রশাসক ও প্রকৌশলীদের কক্ষ বন্ধই থাকবে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, নতুন করে কেউ নিয়োগ দিতে চাইলে সেটিও প্রতিহত করা হবে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Will deliver international games to each region Advisor Asif

প্রতিটি অঞ্চলে আন্তর্জাতিক খেলা পৌঁছে দিব : উপদেষ্টা আসিফ

প্রতিটি অঞ্চলে আন্তর্জাতিক খেলা পৌঁছে দিব : উপদেষ্টা আসিফ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, প্রতিটি অঞ্চলে আন্তর্জাতিক খেলা পৌঁছে দিব। এটিকে ঘিরে গড়ে উঠবে স্পোর্টস ইকোসিস্টেম।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, 'কথা দিয়েছিলাম প্রতিটি অঞ্চলে আন্তর্জাতিক খেলা পৌঁছে দিব। তাকে ঘিরে গড়ে উঠবে স্পোর্টস ইকোসিস্টেম। এই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে রাজশাহীতে হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর নীলফামারিতে আন্তর্জাতিক ফুটবল। এছাড়াও পরিকল্পনায় আছে খুলনাও।'

পোস্টে আরো বলা হয়েছে, 'প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুতই মাঠে বল গড়াবে ইনশাআল্লাহ।'

মন্তব্য

বিএনপির সঙ্গে বৈঠক গণতন্ত্র মঞ্চের

বিএনপির সঙ্গে বৈঠক গণতন্ত্র মঞ্চের

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ চৌধুরী টুকু।

গণতন্ত্র মঞ্চ লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেইসবুক পেইজে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Error on Rampura Grid Sunpin Many areas of the capital without electricity

রামপুরা গ্রিড উপকেন্দ্রে ত্রুটি : বিদ্যুৎবিহীন রাজধানীর অনেক এলাকা

রামপুরা গ্রিড উপকেন্দ্রে ত্রুটি : বিদ্যুৎবিহীন রাজধানীর অনেক এলাকা

রামপুরা ২৩০/১৩২ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে ত্রুটির কারণে রাজধানীর বিভিন্নস্থানে বিদ্যুৎ নেই বলে জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি (পিজিসিবি)। এর ফলে ঢাকার একটি বড় অংশ এখন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। ত্রুটি মেরামত করে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পিজিসিবি জানিয়েছে।

আজ রোববার রাত ১০টার দিকে এই ত্রুটি দেখা দেয়। এতে বসুন্ধরা, গুলশান, আফতাবনগর, রামপুরা, মগবাজার, মধুবাগ, ফার্মগেট, রাজাবাজার, কাওরান বাজার, বনানী, হাতিরঝিল, মহাখালী, সেগুনবাগিচা, মগবাজার, তেজগাঁও, ফার্মগেট, বনশ্রীসহ অনেক এলাকা এখন বিদ্যুৎবিহীন।

পিজিসিবির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) এ বি এম বদরুদ্দোজা খান সুমন বলেন, রামপুরা ২৩০/১৩২ কেভি গ্রিড সাবস্টেশনে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আকস্মিক কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। এতে ঢাকার একাংশে বিদ্যুৎ সরবরাহে অনাকাঙ্ক্ষিত বিচ্যুতি হয়েছে। পাওয়ার গ্রিডের প্রকৌশলীরা দ্রুত সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন বলে তিনি জানান।

সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে বলে আশা তিনি জানান, রামপুরা গ্রিডের ২৩০ কেভি অংশে সমস্যা হওয়ায় কারণে ডেসকো'র বসুন্ধরা ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিডের (আংশিক), পূর্বাচল গ্রিড, বনানী গ্রিড, আফতাবনগর গ্রিড, গুলশান গ্রিড বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এনএলডিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে সঠিক কারণ উদ্ঘাটন এবং দ্রুত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালুর চেষ্টা চলছে। তবে সব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Every day two hundred to three hundred gems of hilsa are coming
ইলিশে সরগরম বরিশালের মোকাম

প্রতিদিন আসছে দুইশ থেকে সাড়ে তিনশ মণ ইলিশ

প্রতিদিন আসছে দুইশ থেকে সাড়ে তিনশ মণ ইলিশ

বরিশালের নদ-নদী এবং সাগরে হঠাৎ করে ধরা পড়ছে ঝাকে ঝাকে ইলিশ। সেই সঙ্গে ঝিমিয়ে যাওয়া বরিশালের সর্ববৃহৎ পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীদের দাবি-গত তিনদিন ধরে দৈনিক দুইশ থেকে সাড়ে তিনশ মণ পর্যন্ত ইলিশ আসছে এই পাইকারি মৎস্য আড়তে। তবে সরবরাহের অর্ধেকের বেশি ইলিশ আকারে ছোট দাবি বলে আড়তদারদের।

ইলিশের সরবরাহ বাড়তে শুরু করলেও দাম এখনো নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এক কেজি জাটকা কিনতে এখনো গুণতে হচ্ছে সর্বনিম্ন পাঁচশ টাকা। তবে সরবরাহ বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ঠিক থাকলে চলতি মাসেই ইলিশে দাম আরও কমে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।

সরজমিনে বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড ইলিশ মোকামে দেখা যায়, ভোর পাঁচটা বাজার আগে থেকেই আড়তে আসছে একের পর এক ইলিশের ট্রলার। সাগর এবং নদীর মাঝ পোর্ট রোডে নামিয়ে দিয়ে ট্রলার নিয়ে জেলেরা আবার ছুটছেন সাগর এবং নদীতে। তবে বর্তমানে বরিশাল মোকামে আসা অর্ধেক ইলিশ স্থানীয় নদ-নদীর বলে দাবি জানিয়েছেন আড়াতদাররা।

পোর্টরোড আক্তার মৎস্য আড়তের আড়তদার আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, গত দুই-তিন দিনের তুলনায় রোববার ইলিশের দাম কিছুটা কম ছিল। কারণ এ কয়দিনে আড়তে ইলিশের সরবরাহ কিছু বেশি হয়েছে। এর পরও এলসি সাইজ অর্থাৎ ৭০০-৯৯৯ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ ইলিশ ৭৫-৭৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া এক কেজি সাইজের ইলিশ প্রতিমণ ৮৮ হাজার, এক কেজির ওপরে ১২শ গ্রাম পর্যন্ত ইলিশ প্রতিমণ ৯২ হাজার, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ প্রতিমণ ৯৮ হাজার টাকা, ভেলকা সাইজ অর্থাৎ ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম প্রতিমণ ৫৮-৬০ হাজার টাকা, ৩০০ থেকে ৫শ গ্রাম ইলিশ প্রতিমণ ৩২ হাজার টাকা এবং জাটকা ইলিশ প্রতিমণ বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার টাকা দরে।

মৎস্য আড়তদার ইয়ার হোসেন জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে বরিশালের আড়তে প্রতিদিন ৩-৪ হাজার মণ ইলিশও এসেছে। কিন্তু পদ্মা সেতু চালুর পর সেই পরিমাণ কমে গেছে। তবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মৎস্য আড়তে কিছুটা ঝামেলা হয়েছে বিধায় গত তিন দিন ধরে নদী এবং সাগরের মাছের ট্রলার বরিশালে আসছে। এ কারণে বরিশালের আড়তে সরবরাহও বেড়েছে।

বরিশাল শহীদ জিয়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জহির সিকদার বলেন, রোববার বরিশালের আড়তে তিনশ মনের বেশি ইলিশ এসেছে। যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ। তবে সরবরাহ হওয়া ইলিশের মধ্যে প্রায় আড়াইশ মণই জাটকা। তাছাড়া নদীর থেকে সাগরের ইলিশটাই বেশি আসছে।

তিনি জানান, গত শনিবার বরিশাল পোর্ট রোড মোকামে ২০০ মণ এবং তার আগের দিন শুক্রবার প্রায় দুইশ মণ ইলিশ এসেছে পোর্ট রোডের ইলিশ মোকামে। ফলে গত তিন দিনের ব্যবধানে ইলিশের দাম মণপ্রতি ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত কমেছে। আগামী ২৫ জুন পূর্ণিমার জোঁ রয়েছে। ওইদিন থেকে আরও বেশি মাছ ধরা পড়বে বলে আশাবাদী এই ব্যবসায়ী।

খুঁচরা বাজারে দেখা যায়, আড়তে মাছের সরবরাহ বাড়লেও খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। সংকটের অজুহাতে এখনো বাড়তি দামেই ইলিশ বিক্রি করছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা। ৭০০-৯৯৯ গ্রামের ইলিশ পাইকারী হিসেবে প্রতি কেজির দাম ১৮শ থেকে ১৯শ টাকা হলেও তা বিক্রি করা হচ্ছে ২২শ থেকে আড়াই হাজার টাকায়। একইভাবে কেজি সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি ২২শ টাকার পরিবর্তে বিক্রি করা হচ্ছে ২৫শ থেকে ২৮শ টাকায়। আর জাটকা ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। বাড়তি দামে ইলিশ বিক্রি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিম্ন আয়ের ক্রেতারা।

বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপণ কান্তি ঘোষ বলেন, একসময় বরিশালের পোর্ট রোড মৎস্য আড়ত জমজমাট ছিল। তখন দক্ষিণাঞ্চলের নদী এবং সাগরের ইলিশ এখানো আসত। তবে এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির কারণে ইলিশ যাচ্ছে পটুয়াখালীর মহিপুর, আলিপুর এবং পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। তাছাড়া বরিশালের হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ এলাকার ইলিশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চাঁদপুরে। বরিশালের আড়তে যা মাছ আসছে তা স্থানীয় নদনদীর মাছ।

তিনি বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান অনেকটা সফল হয়েছে। এ সময় প্রচুর ইলিশের পোনা ছেড়েছে। এর সুফল সামনে পাওয়া যাবে। তবে এখনই গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করেই নদনদীতে বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। এটা ভালো লক্ষ্যন। বৃষ্টি এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে ইলিশ ধরা পড়ছে বেশি। ভবিষ্যতে আরও বেশি ইলিশ ধরা পড়লে দামও কমে আসবে বলেন এই কর্মকর্তা।

মন্তব্য

p
উপরে