× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
Islami Bank lags behind in profit and earnings per share
google_news print-icon

মুনাফায় এগিয়ে ইসলামী ব্যাংক ‘পিছিয়ে’ শেয়ার প্রতি আয়ে

মুনাফায়-এগিয়ে-ইসলামী-ব্যাংক-পিছিয়ে-শেয়ার-প্রতি-আয়ে
অর্ধবার্ষিকীতে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৮ পসায়। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৯৪ পয়সা। এই সময়ে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ১৪ পয়সা বা ৭.২১ শতাংশ।

বছরের ছয় মাসে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলো যে পরিচালন মুনাফা করেছে তাতে শীর্ষে আছে ইসলামী ব্যাংক। কিন্তু এ সময়ে শেয়ার প্রতি আয়ে পিছিয়ে গেছে ব্যাংকটি।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানকে বছরের প্রতি তিনমাসে এক প্রান্তিক হিসেবে তিন প্রান্তিকের আয় সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের অবহিত করতে হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সময়ে ডিসেম্বরে অর্থবছর শেষ হওয়া কোম্পানিগুলো তাদের এপ্রিল থেকে জুন দ্বিতীয় প্রান্তিক এবং জানুয়ারি থেকে জুন ছয় মাসের হিসাব প্রকাশ করছে।

শনিবার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামী ব্যাংক তাদের দ্বিতীয় প্রান্তিকসহ ছয় মাসের আয় প্রকাশ করেছে।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন হওয়া প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অর্ধবার্ষিকীতে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৮ পসায়। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৯৪ পয়সা।

এই সময়ে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ১৪ পয়সা বা ৭.২১ শতাংশ।

২০২১ সালের জুন শেষে ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফার যে তথ্য পাওয়া গিয়েছিল সেখানে দেখা গেছে ইসলামী ব্যাংক অন্য সব ব্যাংকের তুলনায় সবচেয়ে বেশি আয় করেছিল। যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২০ কোটি টাকা। আগের বছর ২০২০ সালের জুনে আয় ছিল ১ হাজার ৭ কোটি টাকা।

ইসলামী ব্যাংক পরিচালন মুনাফায় এগিয়ে থাকলেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে অর্ধবার্ষিতকীতে শেয়ার প্রতি আয়ে পিছিয়ে আছে।

এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি শেয়ার প্রতি আয় করা ডাচ-বাংলা, ইস্টার্ন, প্রাইম ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক সহ প্রায় ৫টি ব্যাংকের পেছনে আছে ইসলামী ব্যাংক।

শনিবার প্রকাশ করা প্রতিবেদন অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংকের এপ্রিল থেকে জুন সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৬১ পয়সা। আর আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৫০ পয়সা। এই সময়ে আয় বেড়েছে ১১ পয়সা বা ০৭.৩৩ শতাংশ।

কোন ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় কত

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক চলতি বছরের অর্ধবার্ষিকে গত বছরের প্রায় চারগুণ আয় করেছে। গত বছরের প্রথম ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি ৬ পয়সা আয় করলেও এবার তারা আয় করেছে ২৩ পয়সা।

প্রাইম ব্যাংক এবার অর্ধবার্ষিকীতে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তিনগুণের বেশি আয় করেছে।

ব্যাংকটি গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮১ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৫৫ পয়সা ছিল।

এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ১১ পয়সা আয় করেছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে ২০২০ সালে একই সময়ে এই আয় ছিল ৪৯ পয়সা। শতকরা হিসাবে আয় বেড়েছে ১২৬ শতাংশ।

ব্র্যাক ব্যাংকের ছয় মাসে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৮৫ পয়সা আয় করতে পেরেছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৮৪ পয়সা। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ১ টাকা ১ পয়সা, শতকরা হিসেবে ১২০ দশমিক ২৩ বেশি।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মুনাফায় প্রবৃদ্ধি ১০৮ শতাংশ। অর্ধবার্ষিকীতে এই ব্যাংকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ২ পয়সা, যা গত বছর একই সময় ছিল ৯৯ পয়সা।

সিটি ব্যাংকে আয় বেড়েছে ১০৬ শতাংশ। অর্ধবার্ষিকীতে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২ টাকা ৬ পয়সা। গত বছর এই আয় ছিল ১ টাকা।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক এই ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৭২ পয়সা আয় করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি।

সাউথ ইস্ট ব্যাংক গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৫৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৫৯ পয়সা। এই হিসেবে চলতি বছর গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৯৭ পয়সা বা ৬১ শতাংশ।

ওয়ান ব্যাংক এই সময়ে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৪৬ পয়সা আয় করেছে। গত বছর এই সময়ে আয় ছিল ৯৩ পয়সা। আয় বেড়েছে ৫৩ পয়সা বা ৫৭ শতাংশ।

ইস্টার্ন ব্যাংক এবার ৬ মাসে গত বছরের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি আয় করেছে। অর্ধবার্ষিকীতে তাদের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৫৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ টাকা ৬৫ পয়সা।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল বা ইউসিবি ব্যাংক বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ ব্যাংকটির আয় বেড়েছে ৪১ শতাংশ।

আইএফআইসি ব্যাংক চলতি বছরের অর্ধবার্ষিকে গত বছরের প্রায় দেড়গুণ আয় করেছে। গত বছরের প্রথম ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি ৭১ পয়সা আয় করলেও এবার তারা আয় করেছে ৯১ পয়সা। আয় বেড়েছে ২৮.১২ শতাংশ।

যমুনা ব্যাংকের গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৬৪ পয়সা আয় করেছে ব্যাংকটি। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ২ টাকা ৭ পয়সা। এই হিসাবে আয় বেড়েছে ৫৭ পয়সা বা ২৭.৫৩ শতাংশ।

চলতি বছর অর্ধবার্ষিকে পরিচালন মুনাফার দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পূবালী ব্যাংক শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ১ টাকা ৪৪ পয়সা। আয় বেড়েছে ২৫ শতাংশ।

উত্তরা ব্যাংক বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ১ টাকা ৪৪ পয়সা। শতকরা হিসেবে আয় বেড়েছে ২৪ শতাংশের কিছু বেশি।

এনসিসি ব্যাংক এই ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৪৩ পয়সা আয় করেছে, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ২২ শতাংশের কিছু বেশি।

ট্রাস্ট ব্যাংক এবার শেয়ার প্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৪২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ২ টাকা। এই হিসেবে আয় বেড়েছে ৪২ পয়সা বা ২১ শতাংশ।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক চলতি বছর অর্ধবার্ষিকে শেয়ারপ্রতি ৫৫ পয়সা আয় করেছে। গত বছর এই সময়ে আয় ছিল ৪৮ পয়সা। আয় বেড়েছে ০৭ পয়সা বা ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

ডাচবাংলা ব্যাংক গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৫৭ পয়সা আয় করেছে। গত বছর এই সময়ে আয় ছিল ৩ টাকা ৪২ পয়সা। আয় বেড়েছে ১৫ পয়সা বা ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

যেসব ব্যাংকের আয় কমেছে

ব্যাংক খাতে সুবাতাসের মধ্যে ভালো করতে পারেনি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫৪ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৮২ পয়সা ছিল। অর্থাৎ এই ব্যাংকটির আয় কমেছে ৩৪ শতাংশ।

মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকেরও আয় কমে গেছে। মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক অর্ধবার্ষিকে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৮ পয়সা আয় করেছে এমটিবি পয়সা। গত বছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ১ টাকা ৩৪ পয়সা।

আগের বছর অর্ধবার্ষিকে ১ টাকা আয় করা এক্সিম ব্যাংকেরও আয় এবার কমেছে। এবার তাদের আয় হয়েছে ৮৯ পয়সা।

হতাশার বৃত্তেই আইসিবি ইসলামী ব্যাংকও। লোকসানি ব্যাংকটি এবারও তার বৃত্ত ভাঙতে পারেনি। গত বছরের মতোই চলতি বছরও অর্ধবার্ষিকীতে শেয়ারপ্রতি ৩২ পয়সা লোকসান দিয়েছে ব্যাংকটি।

আরও পড়ুন:
আয় বাড়ল ব্যাংক এশিয়ারও
আয় দ্বিগুণের বেশি বাড়ল ব্র্যাক ব্যাংকেরও
সাউথইস্ট ব্যাংক: এক বছরের আয়ের দেড় গুণ ৬ মাসে
করোনার মধ্যেও আয় বেড়েছে ওয়ান ব্যাংকের
ব্যাংকে সুদিনের হাওয়া লাগেনি এমটিবিতে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
The July Certificate will be signed clearly Salahuddin

জুলাই সনদে সই করব, ভিন্নমত স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে: সালাহউদ্দিন

জুলাই সনদে সই করব, ভিন্নমত স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে: সালাহউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘এই সংস্কার সারা জাতি চায়, আমরাও চাই। যে দলই ক্ষমতায় আসুক বা জাতীয় সংসদে যারাই মেজরিটি পাক, তাদের এটা বাস্তবায়ন করতেই হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করব, যে সমস্ত বিষয়ে ভিন্ন মত আছে, নোট অব ডিসেন্ট আছে, ওগুলো একদম পরিষ্কারভাবে দফাওয়ারি উল্লেখ থাকবে- কী কী বিষয়ে, কীভাবে নোট অব ডিসেন্ট আছে। কারণ নোট অব ডিসেন্ট দেওয়ার এখতিয়ারের জন্যই তো আমরা ঐকমত্য কমিশনে আলাপ-আলোচনা করেছি।’ গতকাল বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আগামী ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় যে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে, তার আগে প্রধান উপদেষ্টা আশ্বস্ত হতে চেয়েছিলেন বিভিন্ন বিষয়ে। তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে সবাই অংশগ্রহণ করে এবং এটাকে একটা ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে আমরা সংরক্ষণ করি, স্বাক্ষর করি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই সম্মত হয়েছি। বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার সুযোগ হয়নি। কয়েকজন বক্তব্য রেখেছেন, সব দল অংশগ্রহণ করেনি। আমি আমার বক্তব্যে বলেছি, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যেই আমরা যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি। জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন হোক, অন্যান্য কর্মকাণ্ড হোক, সব কিছুর লক্ষ্য হবে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা- সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং একটা ক্রেডিবল ইলেকশন।’

‘এখন সেটা করার লক্ষ্যে আমরা জুলাই জাতীয় সনদ যেটা প্রণয়ন করছি তার সঙ্গে সম্পর্ক কী? আমি মনে করি, জুলাই জাতীয় সনদের সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো সম্পর্ক নেই,’ যোগ করেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘এই সংস্কার সারা জাতি চায়, আমরাও চাই। যে দলই ক্ষমতায় আসুক বা জাতীয় সংসদে যারাই মেজরিটি পাক, তাদের এটা বাস্তবায়ন করতেই হবে। গণভোটের কথা আমরা বলেছি, সেই গণভোটে যাতে জনগণের পক্ষ থেকে একটা সার্বভৌম এখতিয়ার, কর্তৃত্ব প্রদান করা হয়। যাতে সেটা ম্যান্ডাটরি হয় জাতীয় সংসদের ওপর, সমস্ত সংসদ সদস্যদের ওপরে। যাতে এই সংস্কারগুলো, যেগুলো জনগণ পক্ষে রায় দেবে সেটা যেন গ্রহণ করি।’

‘কথা থাকল জুলাই জাতীয় সনদে কি কোনো প্রশ্ন থাকবে গণভোটের ব্যাপারে? একটাই প্রশ্ন থাকতে হবে, আমরা সবাই জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করব, যে সমস্ত বিষয়ে ভিন্ন মত আছে, নোট অব ডিসেন্ট আছে, ওগুলো একদম পরিষ্কারভাবে দফাওয়ারি উল্লেখ থাকবে- কী কী বিষয়ে, কীভাবে নোট অব ডিসেন্ট আছে। কারণ নোট অব ডিসেন্ট দেওয়ার এখতিয়ারের জন্যই তো আমরা ঐকমত্য কমিশনে আলাপ-আলোচনা করেছি।’ যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আলোচনার উদ্দেশ্যই ছিল যে সমস্ত বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত, সেগুলো সংকলিত করা। যে সমস্ত বিষয়ে দ্বিমত অথবা ভিন্ন মত সেগুলো সংকলিত করা। আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরিত হবে উইথ নোট অব ডিসেন্ট। যে সমস্ত বিষয়ে ভিন্ন মত আছে, সেগুলো স্পষ্ট উল্লেখ করে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সেভাবেই জুলাই জাতীয় সনদ প্রণীত হলে, স্বাক্ষরিত হলে গণভোটে একটাই প্রশ্ন থাকতে পারে যে, জুলাই জাতীয় সনদ যেভাবে স্বাক্ষরিত হয়েছে, জনগণ তার পক্ষে আছে কি নাই; হ্যাঁ অথবা না বলুন।’

‘আমরা আশা করি, এই গণভোটে না ভোটের পরিমাণ হাতে গোনা যাবে। কারণ সমগ্র জাতি তো সংস্কারের পক্ষে। সুতরাং আমরা ধরেই নিতে পারি জনগণ সংস্কারের পক্ষে আছে। আমরা সবাই আছি। সকল রাজনৈতিক দল আছে। এভাবে গণভোটে যে ফলাফল আসবে, তার একটা কারণ হলো- সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণ যাতে গণভোটের মধ্য দিয়ে এমন একটা এখতিয়ার-কর্তৃত্ব দেয় সংসদকে, যাতে করের সেটা বাধ্যবাধকতা থাকে প্রতিপালনে-বাস্তবায়নে,’ বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সেটাকে বলা হচ্ছে গাঠনিক ক্ষমতা। সেই সংসদকে দেওয়া হচ্ছে এবং সেটার অনুবলে যখন কোনো সংস্কার বা সংশোধনী গৃহীত হবে, সেটা চাইলেও জুডিশিয়ারি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারবে না। এটাই হচ্ছে গণভোটের ভিত্তি। আমরা অপেক্ষায় আছি আগামীকাল শুক্রবার (১৭ তারিখ) আমাদের ঐতিহাসিক দলিল জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরিত হবে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এবং সেটার পরে সেই স্বাক্ষরিত দলিল সবার কাছে দেওয়া হবে। জাতির জন্য উন্মুক্ত করা হবে। তার পরে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের কাছে ঐকমত্য কমিশন বিভিন্ন প্রক্রিয়াসহ সুপারিশ করবে।’

‘সেই সুপারিশ হিসেবে আমরা বলেছি যে, গণভোটের মধ্য দিয়ে একইদিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সেই সম্মতিটা নেওয়া যায়। যার মধ্য দিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের সমস্ত প্রস্তাবগুলো যেগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছে, নোট অব ডিসেন্টসহ সেটা বাস্তবায়ন হবে,’ যোগ করেন তিনি।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Election in February Chief Advisor

ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

উৎসবমুখর পরিবেশে শুক্রবার জুলাই সনদে স্বাক্ষর হবে
ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসেই হবে বলে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে গতকাল বুধবার রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’ বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবেই। এটা এই যে ঐকমত্য কমিশনের যে সনদ, এটা সনদেরই অংশ এখন। এটার সঙ্গে এটা জড়িত। এই যে ঘোষণা আমরা করলাম, এটা আমাদের রক্ষা করতে হবে। এটা এমন না যে কথার কথা বলে ফেলেছি। ওই রকম না। এটা ফেব্রুয়ারিতে হবে এবং ওই যে বারবার বলেছি, এটা উৎসবমুখর নির্বাচন হবে।’
রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনারা যেমন সবাই মিলে সনদ তৈরি করেছেন, আমাদের সরকারের দায়িত্ব হলো- সবাই মিলে উৎসবমুখর নির্বাচনটা করে দেওয়া। তাহলেই আমাদের কাজ পরিণত হলো।’
রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশনকে একান্তভাবে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য তিনি এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে, কঠিন কঠিন বিষয়ে আলোচনা করা এবং সন্তোষজনকভাবে রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশন মিলে এর সমাপ্তি আনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাদের ধন্যবাদ জানান। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘যে অসম্ভবকে আপনারা সম্ভব করেছেন, এটা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর পলিটিক্যাল সিস্টেমের (রাজনৈতিক ব্যবস্থার) ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে।’
জুলাই সনদ রচনাকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থান, এই অভ্যুত্থানের এটাই আমার মনে হয় পরবর্তী অধ্যায় সঠিকভাবে রচিত হলো। যে সংস্কারের কথা আমরা মুখে বলে যাচ্ছিলাম, আপনারা সেই সংস্কার, প্রকৃতপক্ষে যে সংস্কার হবে, তা করে দেখিয়ে দিয়েছেন। কাজেই আমরা এই জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সারা জাতি বড় রকমের উৎসবের মধ্যে আমরা শরিক হব।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে কলম দিয়ে স্বাক্ষর করা হবে, সেগুলো জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। মানুষ তাদের ভুলতে পারবে না। এটা এমন একটা ঘটনা যে ঘটনার ভেতরে থেকে এর বিশালত্ব বোঝা যাচ্ছে না। মাসের পর মাস বৈঠক করে হতাশা এসেছে, মনে হয়েছে, এটা হয়তো অসমাপ্ত থেকে যাবে। তবে এটা অসমাপ্ত থেকে যায়নি। তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ জাতির জন্য একটা মস্ত বড় সম্পদ হয়ে রইল।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেসব দলিল তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো হারিয়ে যাবে না। এগুলো জনসাধারণের মধ্যে সহজ ভাষায় প্রচার করা হবে। যাতে করে সবার মনের মধ্যে থাকে, কেন একমত হয়েছি।’ সরকার হিসেবে জুলাই সনদ ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তাদের।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, যেসব বিতর্ক হয়েছে, সেগুলোকে বিষয়ভিত্তিকভাবে ভিডিও করে ও বই করে রাখা হবে, যেন এগুলো সম্পদ হিসেবে থাকে, হারিয়ে না যায়। যাতে করে সবাই জানতে পারে, কেমন জাতি গড়ার জন্য এগুলো করা হয়েছে।
সনদ ও নির্বাচন বিচ্ছিন্ন কোনো জিনিস নয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, উত্তরণটা কীভাবে হবে, এটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। সেটার উত্তরও জুলাই সনদে দেওয়া আছে। এই উত্তর নিয়ে যেন সন্তোষভাবে উত্তরণটা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেভাবে রূপান্তরটি হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিপূর্ণ প্রচেষ্টা হবে, আপনারা যত কষ্ট করে এগুলো রচনা করছেন, সেটা যেন আমরা বাস্তবে রূপান্তর করতে পারি। নির্বাচনের মাধ্যমে এবং আমাদের দৈনন্দিন রাজনৈতিক মাধ্যমে যেন আমরা সেটাকে রূপান্তর করতে পারি। এই হলো আমাদের আশা। আগামীকাল শুক্রবারে আমরা সেই আশাকে সারা জাতির সামনে নিয়ে আসব।’
আগামীকাল শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা উৎসবমুখরভাবে সেখানে যাব এবং এই দলিলে সই করব এবং উৎসব করব। সবাই, সারা জাতি এটায় শরিক হবে। আপনারা তাদের সামনের সারির মানুষ, যারা প্রকৃত সই করছেন। সারাদেশের মানুষ চিন্তার মধ্যে, তাদের ভাবনার মধ্যে আপনাদের সঙ্গে সই করছে। জাতির জন্য এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
There is a need for many reforms in the High Court Law Advisor

উচ্চ আদালতে অনেক সংস্কারের প্রয়োজন আছে: আইন উপদেষ্টা

উচ্চ আদালতে অনেক সংস্কারের প্রয়োজন আছে: আইন উপদেষ্টা

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, উচ্চ আদালতে অনেক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। উচ্চ আদালতে বেঞ্চগুলো গঠনের কাজকে বিকেন্দ্রীকরণ করার প্রয়োজন রয়েছে। মামলার যে সিরিয়াল হয় সেখানে আগের মামলা পেছনে চলে যায় আবার পেছনের মামলা আগে চলে আসে। এটা কীভাবে হয় সেটা নিয়ে মানুষের প্রশ্ন রয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে অনলাইন (ই-বেইলবন্ড) কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা অনেক কাজ করেছি। সময় বাঁচানোর জন্য আমরা ফৌজদারি কার্যবিধিতেও আমরা অনেক পরিবর্তন এনেছি। সরকারি ম্যাজিস্ট্রেটসহ কর্মকর্তাদের সাক্ষী আমরা অনলাইনে নেওয়ার ব্যাবস্থা করে দিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য বিচার নিতে মানুষকে যে ভোগান্তি পোহাতে হয়, সেটা যেন হ্রাস পায় এর ব্যাবস্থা করা।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রায়ই দেখি বাচ্চার কাস্টডি’কে পাবে, দুই লাখ টাকার চেকের মামলা এ রকম ছোট বিষয়গুলোর জন্য যেন কোর্টে যেতে না হয় সে জন্য আমরা সংস্কার করছি। এটা পাইলট প্রজেক্ট আকারে আছে। দুয়েক মাসের মধ্যে আমরা এটা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারব। নিন্ম আদালতে সংস্কার করে ফেললাম কিন্তু উচ্চ আদালতে সংস্কার হরো না, তাহলে কিন্তু কোনো লাভ হয় না। নিন্ম আদালতে যে মামলাগুলো নিষ্পত্তি হয় উচ্চ আদালতে তা বছরের পর বছর ঝুলে থাকে। শিশু আছিয়ার ঘটনায় আমরা আইন বদলে এক মাসে বিচার করলাম। কিন্তু উচ্চ আদালতে এটা কয়েক বছরেও নিষ্পত্তি হবে কি না, আমরা জানি না।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের বিচারকরা নিন্ম আদালতে ইনস্পকেকশনে যান আদালত ঠিকমতো চলছে কি না, দেখতে। তখন এটা একরকম আনন্দভ্রমণে পরিণত হয়। বগুড়ায় এক জায়গায় ইনস্পেকশনে দুই লাখের অধিক টাকা খাবারের বিল দিতে হয়েছে। এই টাকা দিয়েছে নিন্ম আদালতের গরিব বিচারকরা।

তিনি আরও বলেন, নিন্ম আদালত সংস্কার করব কিন্তু উচ্চ আদালত আগের মতো থাকলে লাভ হবে না। এতে বিচারপ্রত্যাশীরা লাভবান হবে না। আমরা যতদিন আছি সংস্কারের কাজ করব। আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারা যদি সহযোগিতা করেন আমরা বিচারব্যাবস্থাকে আগের চেয়ে অনেক সুন্দরভাবে সাজাতে পারব।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ প্রমুখ।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Ansar and VDPs constant commitment to protect the law and order and sustainable environment in the hills Director General

পার্বত্য অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা ও টেকসই পরিবেশ রক্ষায় আনসার ও ভিডিপির অবিচল অঙ্গীকার- মহাপরিচালক

পার্বত্য অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা ও টেকসই পরিবেশ রক্ষায় আনসার ও ভিডিপির অবিচল অঙ্গীকার- মহাপরিচালক

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ আজ বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে বাহিনীর চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। সফরকালে তিনি বাহিনীর সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, অপারেশনাল সক্ষমতা উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে, পার্বত্য চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুসংহত রাখতে আনসার ও ভিডিপির সমন্বিত দায়িত্ব ও কার্যকর ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

পার্বত্য অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা ও টেকসই পরিবেশ রক্ষায় আনসার ও ভিডিপির অবিচল অঙ্গীকার- মহাপরিচালক

বান্দরবানের সুয়ালক আনসার ব্যাটালিয়ন (১০ বিএন)-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মহাপরিচালক স্বাধীনতা-পরবর্তী ও পূর্ববর্তী সময়ে পার্বত্য অঞ্চলে আনসার ব্যাটালিয়নের অবদান স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “আনসার বাহিনী ১৯৭৬ সাল পূর্বকাল থেকেই মাতৃভূমির স্বার্থরক্ষায় অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় ও সামঞ্জস্য বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ফলে বাহিনী অর্জন করেছে দেশবাসীর অবিচল আস্থা।” “পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ, সবুজ বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সুয়ালক আনসার ব্যাটালিয়ন আয়োজিত গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক মহোদয়ের হাত থেকে বান্দরবানের সুয়ালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা গাছের চারা গ্রহণ করে। আনসার সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ডে সম্মিলিত অংশগ্রহণ কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাই নয়, বরং টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনা গঠনে বাহিনীর দীর্ঘদিনের দায়বদ্ধতাকে পুনর্ব্যক্ত করে।

পার্বত্য অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা ও টেকসই পরিবেশ রক্ষায় আনসার ও ভিডিপির অবিচল অঙ্গীকার- মহাপরিচালক

রুমা আনসার ব্যাটালিয়ন (১৬ এবিএন) পরিদর্শনকালে মহাপরিচালক সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, “দেশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মানদণ্ডে আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বহিঃশত্রু বা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা হুমকি, সামাজিক উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা কিংবা নিরাপত্তা পরিধি স্খলনের যেকোনো ঝুঁকি প্রতিহত করতে আনসার বাহিনীর ভূমিকা হবে শক্তিশালী ও অবিচল।” মহাপরিচালক দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, “বর্তমানে আনসার বাহিনীর অন্যতম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র হলো সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ অর্জন।” তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় নিরাপত্তা প্রদান, যৌথ টহল কার্যক্রম (এসআরপি, এলআরপি) এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে আনসার বাহিনীর সক্রিয়, সহনশীল ও পেশাদার ভূমিকা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। সফরের শেষাংশে মহাপরিচালক চট্টগ্রামের পটিয়া আনসার ব্যাটালিয়ন (৩৭ বিএন)-এর চলমান প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের প্রতি দেশ ও জাতির কল্যাণে একনিষ্ঠভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

পার্বত্য অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা ও টেকসই পরিবেশ রক্ষায় আনসার ও ভিডিপির অবিচল অঙ্গীকার- মহাপরিচালক

উল্লেখ্য, আগামীকাল মহাপরিচালক চট্টগ্রামের রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় চলমান ভিডিপি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন বলে আনসার-ভিডিপি সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। মহাপরিচালকের এ সফরকালে আরও উপস্থিত ছিলেন উপমহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোঃ সাইফুল্লাহ রাসেল, উপমহাপরিচালক (চট্টগ্রাম রেঞ্জ) ড. সাইফুর রহমানসহ বাহিনীর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
BNP Liberation War Party Freedom Fighters

বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল

কোটালীপাড়ায় এস এম জিলানী
বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এসএম জিলানী বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল। আমরা এই আদর্শকে ধারণ করি, লালন করি। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাক হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল, গণহত্যা চালিয়েছিল তখন একজন দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার শহীদ জিয়াউর রহমান পাকিস্তানীদের এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করলাম পাকিস্তান সরকারের সাথে। আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করলাম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে। বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হতো তাহলে কোর্ট মার্শালে জিয়াউর রহমানের ফাঁসি হতো এই বিদ্রোহ ঘোষণার কারণে। নিশ্চিত ফাঁসি জেনেও তিনি দেশ মাতৃকার জন্য বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজি মন্টু কলেজ মাঠে আয়োজিত ‘সম্প্রীতি সমাবেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে এসএম জিলানী বলেন, ইতিহাস থেকে জেনেছি, যখন কোনো দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয় তখন সেই দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের নেতা সে দেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে থাকেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থাকেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য ছিল বাংলাদেশের মানুষের। কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ সেদিন দিকবেদিক নেতৃত্ব শূণ্যতায় ছিল। জিয়াউর রহমান অপেক্ষায় ছিলেন হয়তো স্বাধীনতার ঘোষণা কেউ দিবে। কিন্তু কোন রাজনৈতিক দলের নেতা যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন না। জিয়াউর রহমান উপলব্ধি করলেন যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দেই তাহলে বাংলাদেশর মানুষ ঐক্যবদ্ধ হবে না। আর যদি বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ না হয় তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হতে পারব না।

সমাবেশে কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী আবুল খায়ের। অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অলিউর রহমান হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা মোদাচ্ছের ঠাকুরসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের সিনিয়র নেতারা।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Agriculture and Home Advisor has joined the World Food Forum

বিশ্ব খাদ্য ফোরামে যোগ দিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিশ্ব খাদ্য ফোরামে যোগ দিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইতালির রোমে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব খাদ্য ফোরাম ২০২৫-এ যোগ দিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে আরও রয়েছেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ও অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি উইং) ড. মো. মাহমুদুর রহমান।

উপদেষ্টার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল ফোরামে দেশের কৃষি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিয়ে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সদস্য দেশসমূহের সাথে বিভিন্ন সেশনে অংশগ্রহণ করবে। সফরকালে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা ইতালির ইন্টেরিয়র মিনিস্টার এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতালির রোমস্থ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য এ ফোরাম ১০ অক্টোবর শুরু হয়ে চলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Life of a former UP member in Kishoreganj

কিশোরগঞ্জে সাবেক ইউপি সদস্যের যাবজ্জীবন

পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে হত্যা
কিশোরগঞ্জে সাবেক ইউপি সদস্যের যাবজ্জীবন

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমিন বিপ্লব আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইসলাম উদ্দিন (৫৫) তাড়াইল উপজেলার ধলা ইউনিয়নের তেওরিয়া গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে। তিনি ধলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।

কিশোরগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তর ধলা চকেরবাড়ির ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম ও তেওরিয়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ইসলাম উদ্দিনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইসলাম উদ্দিন কামরুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করেন।

তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে কামরুলের ভাতিজা আনোয়ার ফকির ওরফে আনার (৩৭) এর বুকেও ছুরিকাঘাত করেন ইসলাম উদ্দিন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় আনোয়ার ফকিরকে উদ্ধার করে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পরদিন নিহতের ছোট ভাই আখলাকুল ফকির বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে তাড়াইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর ইসলাম উদ্দিনকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ আদালত রায় ঘোষণা করে।

মন্তব্য

p
উপরে