মহামারির বছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর সিংহভাগের আয় ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় বিস্ময়ের মধ্যে তুমুল আলোচিত বিমা খাতেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বছরের প্রথম প্রান্তিকে আয়ে তেমন কোনো পার্থক্য লক্ষ্য করা না গেলেও জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে কোনো কোনো কোম্পানির আয় বেড়ে নয় গুণ, কোনোটির তিন গুণ বা তার কাছাকাছি হয়ে গেছে।
তবে শেয়ার প্রতি আয়ের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে রিলায়েন্স আর তৃতীয় অবস্থানে প্রগতি ইন্স্যুরেন্স।
গত এক বছরে পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি উত্থান হয়েছে এই খাতটির। এই দরবৃদ্ধির পেছনে বেশ কিছু বিষয় কাজ করছিল। এজেন্টের কমিশন কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ, গাড়ির তৃতীয় পক্ষের বিমা বাতিল করে প্রথম পক্ষের বিমা চালু হলে আয় বাড়বে, লভ্যাংশ বাড়বে, এমন কথা বলাবলি হয়।
এরপর আলোচনায় আসে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলের মতো বড় বড় প্রকল্প বিমার আওতায় আসছে। এগুলোর ঝুঁকি একেবারেই কম; কোম্পানির লাভ হবে ভালো। তবে পরে জানানো হয়, মেট্রোরেল সরকারি সাধারণ বিমা করপোরেশনের আওতায় থাকবে। এটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়।
আবার ১০ বছর আগে করা একটি বিধান সামনে আনা হয়, যেখানে বলা ছিল, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ থাকতে হবে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এমনটি হলে বিমা কোম্পানির শেয়ার মালিকদেরই কিনতে হবে।
কিন্তু আয় বা লভ্যাংশ বাড়ার আশা সত্য প্রমাণ হয়নি ২০২০ সালে। পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ নিজেদের হাতে রাখার যে আইন করা হয়েছে, সেটিও কার্যকর হয়নি। তবে একটি কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৬০ লাখেরও বেশি শেয়ার কিনে পরিশোধিত মূলধনের ৬৫ শতাংশ এখন ধারণ করে আছেন।
এখন পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ৩৮টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মধ্যে ১৬টি অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে কেবল দুটির আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে, বেড়েছে বাকি সবগুলোর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের সচিব কাউসার মুন্সি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা খাতের জন্য যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় সব বিমা কোম্পানির ব্যয় আগের তুলনায় কমেছে। এ জন্য আয় বেড়েছে।’
পুঁজিবাজার উত্থানে কারণে এখানে বিনিয়োগ থেকে মুনাফাও কোম্পানির আয় বাড়ার কারণ কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে করোনাভাইরাসের এই সময়ে প্রায় সব সাধারণ বিমা কোম্পানির আয় বেড়েছে, ব্যবসা ভালো হয়েছে।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মহামারির সময়ে সাধারণ বিমা কোম্পানির আয় বাড়তে পারে। কারণ, এ সময়ে আমদানি রপ্তানির কার্যক্রম সচল ছিল, ফলে তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়নি। তবে জীবন বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর ব্যবসা কিছুটা খারাপ হয়েছে।’
কোন কোম্পানির আয় কত বাড়ল
এখন পর্যন্ত যেসব কোম্পানি তাদের প্রান্তিক ঘোষণা করেছ, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় বেড়েছে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৫৮ পয়সা আয় করেছে। ২০২০ সালের অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির আয় ছিল ২৬ পয়সা। শতকরা হিসেবে আয় বেড়েছে ৮৮৪.৫৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থান সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের। এই কোম্পানিটি গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৮১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ৫৬ পয়সা। শতকরা হিসেবে আয় বেড়েছে ২২৪ শতাংশ।
প্রবৃদ্ধিতে তৃতীয় অবস্থানে প্রাইম ইন্স্যুরেন্স। ছয় মাসে তারা শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৭৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৩১ পয়সা। এই সময়ে কোম্পানির আয় বেড়েছে ৪৪ পয়সা বা ১৪১.৯ শতাংশ।
প্রবৃদ্ধিতে চতুর্থ অবস্থানে থাকলেও শেয়ার প্রতি আয় সবচেয়ে বেশি গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের। এই কোম্পানিটি ছয় মাসে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৩ টাকা ৮৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৬৩ পয়সা। আয় বেড়েছে ২ টাকা ২৪ পয়সা বা ১৩৭.৪ শতাংশ।
গত এক বছরে ১০ গুণেরও বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স ছয় মাসে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৯৪ পয়সা। আয় বেড়েছে ৮৮ পয়সা বা ৯৩.৬২ শতাংশ।
প্রবৃদ্ধিতে ষষ্ঠ অবস্থানে আর টাকার অঙ্কে শেয়ার প্রতি আয়ের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ছয় মাসে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ১১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ২ টাকা ৫ পয়সা। আয় বেড়েছে ১ টাকা ৬ পয়সা বা ৫১.৭১ শতাংশ।
পিপলস ইন্স্যুরেন্স এই সময়ে আয় করেছে ১ টাকা ১৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৮১ পয়সা। আয় বেড়েছে ৩৩ পয়সা বা ৪০.৭৪ শতাংশ।
জনতা ইন্স্যুরেন্স শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৯৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৭০ পয়সা। আয় বেড়েছে ২৮ পয়সা বা ৪০ শতাংশ।
স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ছয় মাসে জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৭ পয়সা। এই সময়ে কোম্পানির আয় বেড়েছে ৩৩ পয়সা বা ৩৪.৫৭ শতাংশ।
প্রবৃদ্ধিতে খুব বেশি এগিয়ে না থাকলেও শেয়ার প্রতি আয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস ৩ টাকা ৩১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ২ টাকা ৪৯ পয়সা। আয় বেড়েছে ৮২ পয়সা বা ৩২.৯৩ শতাংশ।
এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৯৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা। আয় বেড়েছে ৪৬ পয়সা বা ৩০.৪৬ শতাংশ।
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ১৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৯৯ পয়সা। আয় বেড়েছে ১৮ পয়সা বা ১৮.১৮ শতাংশ।
ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৮১ পয়সা আয় করেছে। গত বছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ১ পয়সা ৫৭ ছিল। শতকরা হিসেবে আয় বেড়েছে ১৫.২৮ শতাংশ।
রূপালী ইন্স্যুরেন্স শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৯৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৫ পয়সা। এই সময়ে কোম্পানির আয় বেড়েছে ১ পয়সা বা ১.০৫ শতাংশ।
যেগুলোর আয় কমেছে
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ছয় মাসে জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৭৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৯৩ পয়সা। কোম্পানির আয় কমেছে ১৮ পয়সা বা ১৯.৩৫ শতাংশ।
ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ছয় মাসে জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ০৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা। এই সময়ে কোম্পানির আয় কমেছে ১৬ পয়সা বা ১২.৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য