× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
Another mutual funds dazzling dividend
google_news print-icon

আরও এক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের চমকজাগানিয়া লভ্যাংশ

আরও-এক-মিউচ্যুয়াল-ফান্ডের-চমকজাগানিয়া-লভ্যাংশ
অ্যাসুরেন্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট দুটি ফান্ড পরিচালনা করে যার একটি গত ৩০ জুনের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন ফান্ডের মধ্যে এএএমএল ইউনিট ফান্ড ইউনিটপ্রতি আড়াই টাকা লভ্যাংশ দেবে। তাদের ইউনিটপ্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৪৩ টাকা। এর আগে শান্তা ফার্স্ট ইনকাম প্রোপার্টি ফান্ড ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ৮৮ পয়সা আয় করে ২ টাকা ৫ পয়সা আর আইডিএলসি ব্যালেন্সড ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ১৭ পয়সা আয় করে দেড় টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে। এই দুটি ফান্ডই গত বছর লোকসানের কারণে কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি।

সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে, এমন আরও একটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে চমকপ্রদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

১০ টাকার ইউনিটপ্রতি আড়াই টাকা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাসুরেন্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট পরিচালিত এএএমএল ইউনিট ফান্ড।

এই ফান্ডটি অবশ্য পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় আর এটি একটি বেমেয়াদি ফান্ড।

১০ কোটি টাকার এই ফান্ডটি ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছর জুন পর্যন্ত ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ৪৩ পয়সা আয় করেছে।

এই আয় গত বছরের তুলনায় ৫ গুণের বেশি। গত বছর ইউনিটপ্রতি ৫৯ পয়সা আয় করেছিল ফান্ডটি।

গত ৩০ জুন যাদের হাতে ইউনিটটি ছিল, তারাই এই লভ্যাংশ পাবে।

গত ৩০ জুন ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল ১৬ টাকা ৬২ পয়সা। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফান্ডগুলোর বেশির ভাগ সম্পদমূল্যের কমে লেনদেন হলেও অতালিকাভুক্তগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সম্পদমূল্যে বা অল্প কিছু ডিসকাউন্ডে লেনদেন হয়।

অর্থাৎ ১৬ টাকা ৬২ পয়সা বিনিয়োগ করে একজন বিনিয়োগকারী যে লভ্যাংশ পাচ্ছেন, তা দেশে যেকোনো সঞ্চয়ী হিসাব, সঞ্চয়পত্রের আয়ের চেয়ে বেশি। আবার ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশে কোনো আয়করও কাটা হবে না।

এই ফান্ডের ইউনিটধারীরা এবার লভ্যাংশ পেয়েছেন ইউনিটমূল্যের ১৫.০৪ শতাংশ।

বেমেয়াদি অন্যগুলোরও আকর্ষণীয় মুনাফা

এখন পর্যন্ত জুন ক্লোজিং বেমেয়াদি বেশ কিছু ফান্ড যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার প্রতিটিই এবার ব্যাপক আয় করেছে। শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট পরিচালিত শান্তা ফার্স্ট ইনকাম প্রোপার্টি ফান্ড গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ৮৮ পয়সা আয় করে ২ টাকা ৫ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগের বছর ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৯ পয়সা লোকসান ছিল।

আইডিএলসি ব্যালেন্সড ফান্ডের আয় আরও বেশি হয়েছে। ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ১৭ পয়সা আয় হয়েছে তাদের। আগের বছর ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ১৮ পয়সা লোকসান ছিল তাদের।

৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে যারা ফান্ডের ইউনিট ধরে রেখেছিলেন, তারা ইউনিটপ্রতি দেড় টাকা করে পাবেন। গত বছর লোকসানের জন্য তারা কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।

ফান্ডটির প্রসপেকটাসে মুনাফার ৭০ শতাংশ নগদে লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করার কথা বলা আছে। তবে এবার আয়ের ৪৭ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে দেবে তারা। গত বছরের লোকসানের সঞ্চিতি হিসেবে সংরক্ষণ হবে বাকি অর্থ।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তগুলোও ভালো লভ্যাংশের ইঙ্গিত দিচ্ছে

গত বছরের জুলাই থেকে পুঁজিবাজারে যে উত্থান দেখা দিয়েছে, তাতে ফুলেফেঁপে উঠছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোও। চলতি বছর এখন পর্যন্ত যে কয়টি ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, সেগুলো এর আগে কখনও এত বেশি আয় করতে পারেনি।

আর ৩০টি ফান্ডের অর্থবছর শেষ হয়েছে জুনে। এখন হিসাব-নিকাশ করে ঘোষণা হবে লভ্যাংশ।

২০২০ সালের জুন থেকে প্রথম প্রান্তিকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ে ৯৭৭ পয়েন্ট। সে সময় দু-একটি ফান্ড ইউনিটপ্রতি ২ টাকারও বেশি আয় করেছে। বেশ কয়েকটির আয় দেড় টাকার বেশি বা আশপাশে দেখা গেছে।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সূচক বাড়ে আরও ৫৪০ পয়েন্ট। এই সময়েও ফান্ডগুলো ইউনিটপ্রতি বেশ ভালো মুনাফা করে। আগের প্রান্তিকের চেয়ে কম হলেও এই সময়েও কোনো কোনো ফান্ড ইউনিটপ্রতি দেড় বা ২ টাকা মুনাফা করে।

তবে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বাজারে ছন্দপতন ঘটে। এই প্রান্তিকে সূচক পড়ে ৩৪০ পয়েন্ট।

তবে বাজারে পতন হলেও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো লোকসান দিয়েছে এমন নয়। এই প্রান্তিকে ৩৭টি ফান্ডের মধ্যে মুনাফা করে ২৭টি। বাকি ১০টির মধ্যে দুটি ফান্ড চলতি অর্থবছরের হিসাব দেয়নি। অন্য আটটির মধ্যে ইউনিটপ্রতি ১ থেকে সর্বোচ্চ ১৪ পয়সা লোকসান করে। তবে আগের দুই প্রান্তিকে বিপুল পরিমাণ মুনাফার কারণে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে বেশ ভালো অঙ্কের আয় করায় এবার লোভনীয় লভ্যাংশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

সব মিলিয়ে চতুর্থ প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে প্রথম প্রান্তিকের কাছাকাছি, ৮৮০ পয়েন্ট। ফলে ফান্ডগুলো প্রথম প্রান্তিকের কাছাকাছি আয় করলে এবার যে চূড়ান্ত মুনাফা আসতে পারে, সেটি চমকে দিতে পারে বিনিয়োগকারীদের।

চলতি বছর যারা লভ্যাংশ দিল তাদের হিসাব-নিকাশ

যে পাঁচটি ফান্ড এখন পর্যন্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার প্রতিটিই এবার ব্যাপক মুনাফা করেছে। সর্বনিম্ন মুনাফা করা ফান্ডও ইউনিটপ্রতি ৭৭ পয়সার বেশি আয় করেছে।

১০ টাকার নিচে দাম এমন ফান্ডও ১ টাকার বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আর একটি ফান্ড ১ টাকা ৬২ পয়সা আয় করেও কেবল ১৬ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যদিও এটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের নীতিমালার পরিপন্থি।

এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ১ টাকা ৮৩ পয়সা আয় করে ইউনিটপ্রতি ১ টাকা সাড়ে ২২ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আগের বছর ইউনিটপ্রতি ৬২ পয়সা লোকসানের কারণে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি ফান্ডটি।

এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৯৫ পয়সা মুনাফা করে এবার লভ্যাংশ দিয়েছে ১ টাকা ১৫ পয়সা। গত বছর ইউনিটপ্রতি ৯৭ পয়সা লোকসানের কারণে তারা কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি।

১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরে ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্স ফান্ড ইউনিটপ্রতি আয় (ইপিইউ) করেছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা। আগের বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৮০ পয়সা লোকসান দিয়েছিল।

১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে এনসিসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ১২ পয়সা আয় করে সাড়ে ৭২ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে। আগের বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি লোকসান দিয়েছিল ৪৮ পয়সা।

প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে ইউনিটপ্রতি ৭৭ পয়সা আয় করে লভ্যাংশ দিয়েছে ৭০ পয়সা। এই ফান্ডটি তার অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস পুঁজিবাজারে ধসের কারণে লোকসান দিয়েছিল। বাকি ছয় মাসে তারা আয় করেছে ব্যাপক।

সম্পদমূল্যও বেড়েছে ব্যাপক

নিউজবাংলা হিসাব করে দেখেছে, গত এক বছরে পুঁজিবাজারের ফান্ডগুলোর পাঁচটির সম্পদমূল্য বেড়েছে ৬০ শতাংশের বেশি। একটির বেড়েছে ৫০ শতাংশ। ৪০ শতাংশের বেশি ও ৫০ শতাংশের কম বেড়েছে পাঁচটির।

৩০ শতাংশের বেশি ও ৪০ শতাংশের কম বেড়েছে ১১টি ফান্ডের সম্পদমূল্য। ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে ১০টি ফান্ডের সম্পদমূল্য। আর চারটি ফান্ডের সম্পদমূল্য বেড়েছে ১০ থেকে ২০ শতাংশ।

আরও পড়ুন:
ইতিহাস গড়ার দিন তুমুল আগ্রহ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে
‘১২ টাকার’ দাম ৬ টাকা ৯০ পয়সা!
মিউচ্যুয়াল ফান্ড: দিনবদলের আরও আভাস
পতনের দিনে আগ্রহ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে
মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য বৃদ্ধিতে চমক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
Bangladesh Air Force Chief inaugurated the next development program in Feni

ফেনীতে বন্যা পরবর্তী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান

ফেনীতে বন্যা পরবর্তী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃক ফেনী এলাকায় গত '২৪ এর ভয়াবহ বন্যা পরবর্তী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক, সংস্কার ও পুর্নগঠন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) সকাল ১১ টায় ফেনী ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের দুর্গাপুরে হাবিব উল্যাহ খাঁন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে এক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি।

বিমান বাহিনী প্রধান ফেনী এলাকায় বন্যা পরবর্তী উন্নয়নমূলক সংস্কার ও পুর্নগঠন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। হাবিব উল্যাহ খান উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপণ ও পরে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। উদ্বোধন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সহায়তায় ছাগলনাইয়া উপজেলার হাবিব উল্যাহ খান উচ্চ বিদ্যালয় এর নবনির্মিত শাহীন ভবন উদ্বোধন এবং দুর্গাপুর সিংহনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নুরুল কোরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।

এ ছাড়া বিমান বাহিনী কর্তৃক ফেনী জেলার বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম, বন্যা দুর্গতদের জন্য মেডিকেল সেবা পরিচালনা ও চিকিৎসা সেবা সহায়তা প্রদান কার্যক্রম পরিদর্শন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বিমান বাহিনী প্রধান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিমান বাহিনী প্রধান ফেনী জেলায় ২০২৪ সালের আকস্মিক বন্যাকালীন ও বন্যা পরবর্তী সময়ে বিমান বাহিনীর ভুমিকার ভূয়সী প্রসংশা করেন এবং পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে যে সকল প্রতিষ্ঠান আর্থিক, ত্রাণ ও বিভিন্নভাবে সার্বিক সহায়তা প্রদান করেছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বিমান বাহিনীর উন্নয়ন কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও বিমান বাহিনী দেশ ও জনগণের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

তিনি আরো বলেন, বন্যার সাথে তৎকালীন বৈরী আবহাওয়া ও বিছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পেশাদারিত্বের সাথে বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসে, যা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। এ পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা দিকনির্দেশনায় এবং বিমান বাহিনী প্রধানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ভয়াবহ এ বন্যাদুর্গত কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং বিশেষ করে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী জেলায় হেলিকপ্টার ও ইউএভি এর মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে এরিয়াল রেকোনাইসেন্স মিশন পরিচালনা করে বন্যা দুর্গত মানুষের সহায়তায় প্রয়োজনীয় জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা কার্যক্রমে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

বিমান বাহিনীর সূত্র জানায়, সামগ্রিকভাবে বিমান বাহিনী বন্যা পরবর্তী এ পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী উপজেলার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এতিমখানা, ধর্মীয় উপাসনালয় ও রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ এবং সংস্কার কার্যক্রম ইতিমধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, দূর্গাপুর, ছাগলনাইয়্যা-এ অবস্থিত হাবিব উল্যাহ্ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রমবর্ধমান ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয় জনসাধারণের চাহিদা বিবেচনা করতঃ শাহীন ভবন নামে একটি চারতলা ভিত বিশিষ্ট দুইতলা ভবন আসবাবপত্রসহ নির্মাণ করা হয়েছে, যেটি দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। এ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করেছে ঢাকাস্থ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার ও বিমান বাহিনী ঘাঁটি একে খন্দকার।

অনুষ্ঠানে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন), বিমান ঘাঁটি বাশারের এয়ার অধিনায়ক, বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ, ফেনী জেলা প্রশাসক, সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Former councilor in Jhalakathi is in Persu prison

ঝালকাঠিতে সাবেক কাউন্সিলর ফারসু কারাগারে

ঝালকাঠিতে সাবেক কাউন্সিলর ফারসু কারাগারে

ঝালকাঠি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা শাহ আলম খান ফারসুকে সোমবার (২৩ জুন) কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এর আগে রোববার (২২ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, 'গ্রেফতারকৃত শাহ আলম খান ফারসু সদর থানার একটি বিষ্ফোরক মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী।

ওসি আরো জানান, '২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা মহিলা দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তা বেগম। বাদি হয়ে বিষ্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার পর থেকে পালিয়ে থাকা ফাসসু খানের এলাকায় উপস্থিতি জানতে পেরে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে সোমবার সকালে আদালতে হাজির করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মামলার এজাহারে বাদি লিখেছেন, '২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান ফারসু ও তার সহযোগীরা। ওই হামলায় লাথির আঘাতে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা মুক্তা বেগমের (৩৩), গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।'

ঘটনার প্রায় দুই বছর পর, ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মুক্তা বেগম ঝালকাঠি সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটিতে একাধিক আসামির নাম উল্লেখ থাকলেও, পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী ফারসু ছিলেন মূল অভিযুক্তদের একজন।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Former CEC does not support Huda Ganpituni BNP Salahuddin

সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন

সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাদের দল গণপিটুনির সংস্কৃতিকে সমর্থন করে না। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার গণপিটুটির ঘটনায় তাদের কোনো কর্মী জড়িত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (২৩ জুন) তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা গণপিটুনির সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে সংগ্রাম করে আসছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।’

সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় স্বচ্ছতার সঙ্গে আদালতের রায় বাস্তবায়ন হোক। নূরুল হুদার গ্রেপ্তার ও বিচারের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া আশাও করে তার দল।

তিনি বলে, ‘কিন্তু আমরা তার উপর যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে—তা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মী এতে জড়িত থাকে—তাহলে আমরা তদন্তের পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব...এটি আমাদের স্পষ্ট অবস্থান।’

সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় প্রতিটি ব্যক্তি, সে যত গুরুতর অপরাধীই হোক না কেন, তিনি তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করুক। ‘সে যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা উচিত নয়।’

রবিবার(২৩ জুন) রাতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে একদল জনতা তাকে আক্রমণ করার পর গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুল হুদার কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হুদা সাদা টি-শার্ট এবং লুঙ্গি পরে ছিলেন এবং তার গলায় জুতার মালা ছিল। এক পর্যায়ে একজন ব্যক্তি জুতা দিয়ে হুদার মুখে আঘাত করেন। ভিডিওটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার জন্য হুদার ভূমিকার সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নুরুল হুদা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য দায়ী কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন।’

সালাহউদ্দীন বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য তিনিসহ আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ধ্বংসের জন্য দায়ী।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মতো আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ভেঙে ফেলার জন্যও দায়ী। ‘কিন্তু আমরা এই ধরনের বিষাক্ত সংস্কৃতি বা জনতার বিচারে বিশ্বাস করি না,’ বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
The ransom claims by abducting students of Barisal University

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি করে দুষ্কৃতিকারীরা।

পরে মুক্তিপণ না পেয়ে মোবাইল ফোন-মানিব্যাগ রেখে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।

সোমবার (২৩ জুন) বরিশাল থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার পথে মাদারিপুরে সকাল ৮টার দিকে বাস থেকে নামলে অপহরণের শিকার হন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. আসাদ, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায়।

আসাদের পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত শিক্ষার্থীর বড় চাচা মারা যাওয়ায় আজ ভোরে ৬টায় বরিশাল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে মাদারিপুর পর্যন্ত যান বাসে। বাস থেকে নেমে মাদারিপুর নেমে ঝিনাইদহে যাওয়ার জন্য গাড়ি খুঁজতেছিলেন এমন সময় মাইক্রোবাসটি তাকে ঝিনাইদহে পৌঁছে দিবে বলে উঠিয়ে নেয়। উঠিয়ে নেয়ার পর অপহরণকারীরা পরিবারের সঙ্গে ০১৫১৮৪৯৫৬০৯ নম্বর থেকে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি পরিবারের মাধ্যমে জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশের সহযোগিতা নেন, প্রশাসনের তৎপরতার খবর পেয়ে অপহরনকারীরা তার সব কিছু রেখে তাকে ছেড়ে দেন।

এ বিষয়ে আসাদের সহপাঠী রাফিদ হাসান জানান, আসাদের চাচা মারা যাওয়ায় ও আজ ভোরের দিকে বরিশাল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন, পথিমধ্যে এই ঘটনার শিকার হন ।

এ বিষয়ে আসাদের বাবা বলেন, আসাদের বড় চাচা গতকাল রাতে মারা যাওয়ায় আজকে ভোরে বাড়ি আসার পথে মাদারিপুর থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না পেয়ে ওর মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। পরে অন্য একটি বাসে করে আসাদ বাড়ি ফিরছে বলে জানান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সোনিয়া খান সনি বলেন, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বরিশাল থেকে ঝিনাইদাহ বাড়ি যাওয়ার পথে মাদারিপুরে আটকিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে, এমন ঘটনা জেনে সাথে সাথে মাদারিপুর পুলিশকে কল করি। শিক্ষার্থী এখন নিরাপদে আছে সে বাড়ি ফিরতেছে শিক্ষার্থী এবং পরিবারের সাথে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
ACC has found evidence of money transactions at the election office in Naogaon

নওগাঁয় ছদ্মবেশে নির্বাচন কার্যালয়ে দুদক, টাকা লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে

নওগাঁয় ছদ্মবেশে নির্বাচন কার্যালয়ে দুদক, টাকা লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধ, সংগ্রহ, এলাকা স্থানান্তর, আর্থিক লেনদেন ও সেবা প্রত্যাশিদের হয়রানি অভিযোগে নওগাঁয় জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে দুদকের একটি দল এ অভিযানে যায়। এসময় তারা টাকা নগদ টাকা লেনদেনের প্রমান পায়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় নওগাঁর উপ-সহকারী পরিচালক মেহবুবা খাতুন রিতা জানান, সেবা প্রত্যাশিদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে প্রথমে ছদ্মবেশে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে প্রবেশ করা হয়। এসময় প্রত্যেক সেবা প্রত্যাশিদের কাছ থেকে টাকা নিতে দেখা যায়। এই অফিসে নগদ টাকা লেনদেনের সুযোগ নেই। কিন্তু তারা নগদ টাকা লেনদেন ও প্রত্যেক সেবা প্রত্যাশিদেও কাছ থেকে অতিরিক্ত চার্জ হিসেবে ১০০ টাকা নিচ্ছে।

মেহবুবা খাতুন রিতা বলেন, পরবর্তীতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ডেকে এনে সরেজমিনে এমন কর্মকান্ড দেখানো হয়। পরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

টাকা লেনদেনের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি অস্বীকার করে জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আব্দুল মোত্তালিব বলেন, নির্বাচন অফিসে সরাসরি নগদ টাকা লেনদেনের কোন সুযোগ নেই। এনআইডির ক্ষেত্রে যে ফি নির্ধারণ করা আছে, অনলাইন ব্যাংকি বা চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে অফিসে আসতে হয়।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Netrokona District Administration gave economic assistance to four students 

চার শিক্ষার্থীকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করলেন নেত্রকোণা জেলা প্রশাসন 

চার শিক্ষার্থীকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করলেন নেত্রকোণা জেলা প্রশাসন 

নেত্রকোণা জেলা থেকে নানান অর্থনৈতিক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে সুযোগ পেয়েছে ৪ জন অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী।

অর্থনৈতিক সংকটে থাকা চার শিক্ষার্থীকে রোববার (২২জুন) নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের টাকা প্রদান করা হয়েছে।

এদের মধ্যে মো: সাজ্জাদ আলী ইংরেজি বিভাগে, মানব তালুকদার অর্থনীতি বিভাগে, রেশমা আক্তার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে এবং বন্যা রানী সরকার বাংলা বিভাগে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে।

তাদের ভর্তির ব্যাপারে আর্থিক সমস্যার কথা জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বনানী বিশ্বাস অবগত হলে তিনি এই চারজন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে বিশ হাজার টাকা (২০,০০০/- টাকা) করে মোট আশি হাজার টাকা শিক্ষা সহায়তা প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস জানান, “চারজন শিক্ষার্থী ভর্তি সহায়তার জন্য আবেদন করেছিলেন। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কলেজের মাধ্যমে যাচাই করে দেখা যায়, তারা আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হয়।”

তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে আর্থিক সংকটের কারণে কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও শিক্ষা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Mob Justice is not acceptable in any way Home Advisor

মব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নুরুল হুদাকে আটকের সময় যেভাবে মব জাস্টিজ করা হয়েছে তা কাম্য নয় জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে এ ধরনের ঘটনায় বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (২৩ জুন) সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাকে হর্টিকালচার সেন্টার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গতকাল (রবিবার) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তারের যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয়; তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। গ্রেপ্তার হয়েছেন নুরুল হুদা।’

‘তবে তাকে গ্রেপ্তারের সময় যেভাবে মব জাস্টিজ করা হয়েছে তা কাম্য নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেছে। এ ঘটনার তদন্ত হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কৃষিজমি দখল রোধে কৃষিজমি সুরক্ষা আইন করা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বিদেশি ফলের পাশাপাশি দেশীয় ফলের উৎপাদন বাড়াতে হবে, যেন এসব ফল হারিয়ে না যায়।’

পরিদর্শনের সময় গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেক, কালিয়াকৈর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ, হর্টিকালচার সেন্টারের এনামুল হকসহ পুলিশ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় উপদেষ্টা হর্টিকালচার সেন্টারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নানা দিক নির্দেশনা দেন।

মন্তব্য

p
উপরে