× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
The fall in the capital market in continuation of the previous day
google_news print-icon

প্রণোদনার ঋণ নিয়ে প্রতিবেদনের পর এবার ‘মুদ্রানীতির চাপ’

প্রণোদনার-ঋণ-নিয়ে-প্রতিবেদনের-পর-এবার-মুদ্রানীতির-চাপ
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ মনে করেন না প্রণোদনার টাকা পুঁজিবাজারে এসেছে, এমন খবরে পতন হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ আছে। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে এখন বিনিয়োগ বাড়ার অনেক কারণ আছে। শুধু প্রণোদনার টাকার কারণে পুঁজিবাজারের সূচক ও লেনদেন বেড়েছে এটা ঠিক না।’

প্রণোদনার ঋণ পুঁজিবাজারে এসেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন প্রকাশের পর টানা দুই দিন পড়ল উড়তে থাকা পুঁজিবাজার। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা মুদ্রানীতি নিয়ে সংশয়।

প্রতি বছর মুদ্রানীতি প্রকাশের আগে আগে পুঁজিবাজারে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা দেয়, যার ব্যতিক্রম হয়নি এবারও।

আগামী এক বছরের আর্থিক বাজারে মুদ্রার সরবরাহ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কেমন দেখতে চায় তা এই মুদ্রানীতিতে উল্লেখ থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণ করে তাহলে তারা বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি কমায়, আর যদি সম্প্রসারণমূলক ঘোষণা করে, তাহলে প্রবৃদ্ধি বাড়ায়।

করোনাকালে এমনিতে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কম। উৎপাদন খাতে বিনিয়োগ না করে হাত গুটিয়ে ব্যবসায়ীরা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটি চূড়ান্ত হওয়ার পরেই বহুজন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

অবশ্য টানা দ্বিতীয় দিনের এই পতন নিয়ে বাজারসংশ্লিষ্টরা কিছু নেতিবাচক ভাবছেন না। তারা বলছেন, ধারাবাহিকভাবে কয়েক দিন পুঁজিবাজারের সূচক বাড়ার পর কিছুটা দর সংশোধন স্বাভাবিক। আর সংশোধনে সূচকের এমন কোনো পতন হয়নি। তার চেয়ে বড় কথা লেনদেন কমার বদলে বাড়ছে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ মনে করেন না প্রণোদনার টাকা পুঁজিবাজারে এসেছে, এমন খবরে পতন হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ আছে। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে এখন বিনিয়োগ বাড়ার অনেক কারণ আছে। শুধু প্রণোদনার টাকার কারণে পুঁজিবাজারের সূচক ও লেনদেন বেড়েছে এটা ঠিক না।’

তিনি বলেন, ‘প্রণোদনার টাকা যদি পুঁজিবাজারে এসে থাকে তাহলে কত বিনিয়োগ হয়েছে, সেটি প্রকাশ করা উচিত ছিল।’

তার মতে, পুঁজিবাজারে দুর্বল কোম্পানির আধিপত্য আছে তবে ভালো কোম্পানির শেয়ারের দরও এ সময়ে বেড়েছে। ফলে যারা কয়েক সপ্তাহ আগে শেয়ার কিনেছেন তাদের শেয়ারপ্রতি মুনাফা হওয়ায় এখন বিক্রির চাপ বেড়েছে। ফলে সূচক কমছে। এতে আতঙ্কের কিছু নেই।

মঙ্গলবার লেনদেন শুরুর পাঁচ মিনিটে সূচক দিনের সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৪১৭ পয়েন্টে ওঠে। তারপর কমে আসে সূচক বৃদ্ধির হার। এরপর আবারও ১১টা ৯ মিনিটে সূচক ৬ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে পৌঁছায়। সেখান থেকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে আসে সূচক, যা লেনদেনের শেষ সময় পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

মঙ্গলবার ব্যাংক খাতের শেয়ারের দর ঢালাও পতন হলেও বিমা ও বস্ত্র খাতের উত্থান ছিল উল্লেখযোগ্য। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের দরও খুব বেশি বাড়েনি এদিন।

ঝিমিয়ে ব্যাংক ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড

লেনদেন হওয়া ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে মাত্র তিনটি ব্যাংকের শেয়ারে দর বেড়েছে। পাল্টায়নি পাঁচটির। বাকি ২৩টি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে।

ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এনআরবিসি ব্যাংকের ২.০৩ শতাংশ। শেয়ার দর ২৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা ১০ পয়সা।

ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ১.২৬ শতাংশ। ৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮ টাকা।

সাউথ ইস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর ১৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৬ টাকা ৮০ পয়সা।

ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার দর ৩৫ টাকা ১০ পয়সা থেকে দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা ২০ পয়সা।

প্রণোদনার ঋণ নিয়ে প্রতিবেদনের পর এবার ‘মুদ্রানীতির চাপ’

ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি দর কমেছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ১.৯৬ শতাংশ। এছাড়া রূপালী ব্যাংকের ১.৮৬ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংকের ১.৫০ শতাংশ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ার ১.৪৬ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংকের ১.৩২ শতাংশ ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১.২৯ শতাংশ।

এছাড়া পূবালী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে।

এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ১২৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে বেশি। সোমবার হাতবদল হয়েছিল মোট ১১৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

৩৬টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ছয়টি ফান্ডের দর বেড়েছে, পাল্টায়নি নয়টির। বাকি ২২টি ফান্ডের দর কমেছে।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের, ৩.১৯ শতাংশ। সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ২.৯০ শতাংশ, এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ২.৩৪ শতাংশ, ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফিন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের দর কমেছে ১.৯৬ শতাংশ।

এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ৬৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকার যা আগের দিন ছিল ৭১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

বেশ কিছু দিন পর বস্ত্র ও বিমার উত্থান

চলতি সপ্তাহের প্রথম দুদিন লেনদেনে বিমা ও বস্ত্র খাতের শেয়ার দর ছিল তলানিতে। মঙ্গলবার সে অবস্থা থেকে বের হয়ে উত্থানে ফিরেছে দুই খাতের বেশিরভাগ শেয়ারের দর।

এদিন দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায়র শীর্ষে ছিল বিমা খাতের পিপলস ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৯.৯১ শতাংশ। শেয়র দর ৪৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫১ টাকা।

বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ৫.৯৭ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ৫.৮৫ শতাংশ, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৫.৪৫ শতাংশ, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ৪.৯১ শতাংশ, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ৪.১৮ শতাংশ, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ৩.৭৩ কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৩.৫৯ শতাংশ আর রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৩.৩১ শতাংশ।

নিটল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ২.৮২ শতাংশ পর্যন্ত।

এই খাতে লেনদেন দীর্ঘদিন পর দুইশ কোটির ঘর অতিক্রম করেছে। লেনদেন হয়েছে মোট ২১১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, যা যে কোনো খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ১৩২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

প্রণোদনার ঋণ নিয়ে প্রতিবেদনের পর এবার ‘মুদ্রানীতির চাপ’

বিমার ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দুটির লেনদেন ছিল স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে দর কমেছে ১২টির। বেড়েছে বাকি ৩৭টির দর।

অন্যদিকে বস্ত্র খাতে ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১১টির, অপরিবর্তিত দেখা গেছে ৭টির দর, আর বেড়েছে বাকি ৪০টির দর। ঈদের আগে থেকে দর সংশোধনের মধ্যে বেশ কয়েকদিন পর এই চিত্র দেখা গেছে এই খাতে।

দর বৃদ্ধির মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানি। অন্যদিকে গত কয়েকদিনে বেশ বেড়েছিল, এমন বেশ কিছু কোম্পানি দর হারিয়েছে।

এই খাতে লেনদেন হয়েছে ১০৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা যা আগের দিন ছিল ১০৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

ঘুরে দাঁড়িয়েছে লোকসানি কোম্পানি

সোমবার লেনদেন শেষে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লোকসানি বা জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর ছিল তলানিতে। একদিনের ব্যবধানে মঙ্গলবার আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে এ খাতের শেয়ার দর। ওঠে এসেছে দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায়।

এ খাতের বিচ হ্যাচারি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৩৩ শতাংশ, ১৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা ৫০ পয়সা।

তুং হাই নিটিং কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৪৫ শতাংশ, ৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ টাকা ৬০ পয়সা।

জুট স্পিনার্সের দর বেড়েছে ৪.৯৮ শতাংশ, ১৩২ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩৯ টাকা।

দর বৃদ্ধির তালিকায় আছে লোকসানি প্রতিষ্ঠান ফাস ফিনান্স ও ফারইস্ট ফিনান্সও। এই দুই কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে যথাক্রমে ৪.৫৪ ও ৪.২৮ শতাংশ।

এছাড়া তাল্লু স্পিনিং, ফ্যামিলি টেক্সের শেয়ার দরও বেড়েছে মঙ্গলবার।

অন্যান্য খাতের লেনদেন

প্রধান অন্য খাতগুলোর মধ্যে প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১১টির। দর পাল্টায়নি একটির। বাকি ৩০টি কোম্পানি দর হারিয়েছে।

এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ১৪৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৬৪ কোটি টাকা।

আগের দিন সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ওষুধ ও রসায়ন খাতে পরপর দ্বিতীয় দিন বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। ৩১টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪টির, কমেছে ১৬টির।

আগের দিন লেনদেনে শীর্ষে থাকলেও আজ লেনদেনে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল এই খাত। হাতবদল হয়েছে মোট ১৫১ কোটি ২১ লাখ টাকা যা আগের দিন ছিল ১৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আবার দরপতন হয়েছে। তালিকাভুক্তির পর উড়তে থাকা বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার এদিন আগ্রহ ধরে রাখতে পারেনি। আগের দিন দর বৃদ্ধিতে শীর্ষে থাকলেও এই কোম্পানিটি এদিন দর পতনের শীর্ষ তালিকায় ছিল।

৫.৫৯ শতাংশ দর হারিয়ে ৪৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে ৪৩ টাকা ৯০ পয়সা হয়েছে।

এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে ১৩টিই দর হারিয়েছে, বেড়েছে বাকি ১০টির দর। হাতবদল হয়েছে মোটি ১১৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার, যা আগের দিন ছিল ১৪৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে সাতটির, পাল্টায়নি দুটির। বাকি ১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমেছে।

এই খাতে হাতবদল হয়েছে ৬১ কোটি ৬ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৫৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে গত দুই দিনে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির শেয়ারে বেশ আগ্রহ দেখা গেলেও টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কমেছে দর। আগের দিন দুই টাকা হারলেও আজ দর কমেছে ১১ টাকা ৭০ পয়সা।

এই খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির, বেড়েছে ৭টির, আর অপরিবর্তিত ছিল একটির দর।

এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ৬৯ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৭৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

প্রণোদনার ঋণ নিয়ে প্রতিবেদনের পর এবার ‘মুদ্রানীতির চাপ’
মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

বিবিধ খাতে বেক্সিমকো টানা প্রায় এক বছর ধরে লেনদেনের শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও সুকুক বন্ডের টাকা তুলতে শুরু করার পর আর সেই অবস্থানে ফিরতে পারছে না। আর বেক্সিমকোর কারণে বিবিধ খাত লেনদেনে শীর্ষ অবস্থানে থাকলেও এখন আর সেই অবস্থানে নেই।

আজ এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ৮৫ কোটি টাকা যা আগের দিন ছিল ৮৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার লেনদেনে তালিকাভুক্ত সাতটি সিমেন্ট খাতের কোম্পানির মধ্যে সবগুলোর দর কমেছে। টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে হাইডেনবার্গ সিমেন্টের, যার শেয়ার দর কমেছে ৯ টাকা। ২ টাকা ৩০ পয়সা শেয়ার প্রতি দর কমেছে প্রিমিয়ার সিমেন্টের।

তালিকাভুক্ত সিরামিক খাতের ৫টি কোম্পানির মধ্যে মঙ্গলবার দর বেড়েছে মাত্র একটির। এদিন স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১.৪৯ শতাংশ।

সূচক ও লেনদেন

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৭৯ পয়েন্টে।

শরিয়াহ ভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক ১.৯৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৮৮ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩০৮ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৩টির, কমেছে ১৯৪টির, পাল্টায়নি ২৬টির। লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ৮৩ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৩২ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৪টির, কমেছে ১৬৩টির, পাল্টায়নি ৩২টির।

সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৬ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের পর পুঁজিবাজারে পতন
দেশের পুঁজিবাজার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রোড শো শুরু আজ
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ টানতে রোড শো এবার যুক্তরাষ্ট্রে
চাঙা পুঁজিবাজারে লেনদেনে জোয়ার
দর বাড়ল ব্যাংকের, লোকসানি কোম্পানির ব্যাপক দরপতন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
The chief adviser to form a committee to investigate the role of those involved in organizing controversial three national elections

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন প্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে কমিশন সদস্যগণ জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‘বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত দিয়েছে। যেখানেই গেছি সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনায় বসতে হবে।’

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।’

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Partner Congress in Phulbaria in cultivating pesticides and poisonous fruits vegetables and crops

কীটনাশক ও বিষমুক্ত ফল, সবজি ও ফসল আবাদে ফুলবাড়িয়ায় পার্টনার কংগ্রেস

কীটনাশক ও বিষমুক্ত ফল, সবজি ও ফসল আবাদে ফুলবাড়িয়ায় পার্টনার কংগ্রেস

কীটনাশক ও বিষমুক্ত ফল, সবজি ও ফসল আবাদের লক্ষ্যে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) এর আওতায় পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার (১৬ জুন) উপজেলা কৃষি বিভাগের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ময়মনসিংহের উপ-পরিচালক ড. মোছাঃ নাছরিন আক্তার বানু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ফসলি জমিতে কীটনাশক ব্যবহারে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শরীরে পিপিই ও মাস্ক পড়ে কীটনাশক স্প্রে করার বিষয়ে গুরুত্বরোপ ও নির্দেশনা প্রদান করেন।

ড. মোছাঃ নাছরিন আক্তার বানু বলেন, ফুলবাড়িয়া উপজেলার মাটি অনেক ভালো। ফসলি জমিতে আগাছা সরাতে হবে, তাহলে আবাদ আরও বেশি ভালো হবে। অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে মানবদেহে মারাত্মক প্রভাব পড়ে।

এসময় তিনি আরও বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কীটনাশক ও বিষমুক্ত ফল, সবজি ও ফসল উৎপাদনে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মাঠপর্যায়ে এ কার্যক্রম ইতিমধ্যেই ভালো সাড়া ফেলেছে।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নূর মোহাম্মদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আ র ম আতিকুর রহমান, বাকতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মাখন, কালাদহ ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম মাস্টার, কৃষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষানী আকলিমা আক্তার প্রমুখ।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Provided briefing to the members of the Central Africa Republic of Contingent by the Chief of Air Force

বিমান বাহিনী প্রধান কর্তৃক মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রগামী কন্টিনজেন্ট সদস্যদের উদ্দেশ্যে ব্রিফিং প্রদান

বিমান বাহিনী প্রধান কর্তৃক মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রগামী কন্টিনজেন্ট সদস্যদের উদ্দেশ্যে ব্রিফিং প্রদান

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে (Central African Republic) নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে (MINUSCA), Bangladesh Armed Military Utility Helicopter Unit-5 (BANAMUHU-5) কন্টিনজেন্ট এর মোট ১২৫ জন সদস্য প্রতিস্থাপন করতে যাচ্ছে। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি সোমবার (১৬-৬-২০২৫) বিমান বাহিনী সদর দপ্তর-এ মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রগামী কন্টিনজেন্ট (BANAMUHU-6) এর সদস্যদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।

এসময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সততা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তথা দেশের সুনাম বয়ে আনার জন্য কন্টিনজেন্ট সদস্যদের প্রতি আহবান জানান। পরিশেষে তিনি মিশনের সাফল্য কামনায় আয়োজিত এক বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বিমান বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারগণ, ঢাকাস্থ বিমান ঘাঁটি দ্বয়ের এয়ার অধিনায়ক এবং বিমান সদর ও ঘাঁটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সমরাস্ত্র ব্যবহারে সক্ষম এবং নাইটভিশন প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ০৩ টি এমআই-১৭১ হেলিকপ্টার ও বিভিন্ন গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে MINUSCA জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিযুক্ত রয়েছে। BANAMUHU-6 কন্টিনজেন্টের নেতৃত্বে থাকবেন এয়ার কমডোর ইমরানুর রহমান, বিইউপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জিডি(পি)। আগামী ১৯ জুন ২০২৫ তারিখে কন্টিনজেন্ট এর সদস্যগণ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, ঢাকা হতে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
The Trump camp is divided over the attack on Iran

ইরানে হামলা নিয়ে ট্রাম্প শিবিরে বিভক্তি

ইরানে হামলা নিয়ে ট্রাম্প শিবিরে বিভক্তি

দ্বিতীয় মেয়াদে গত জানুয়ারিতে শপথ নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ‘সব যুদ্ধ বন্ধের’ পক্ষে থাকবেন এবং একজন ‘শান্তির দূত ও ঐক্য প্রতিষ্ঠাকারী’ হিসেবে নিজের উত্তরাধিকার রেখে যাবেন।

কিন্তু মাত্র ছয় মাসের মাথায় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছোড়া শুরু হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র। গত শুক্রবার ভোরে ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে—এমন এক সর্বাত্মক যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। আর শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকেও এটি সংঘাতে টেনে নিতে পারে।

ইসরায়েলের ওই হামলাকে ট্রাম্প প্রায় প্রকাশ্যেই সমর্থন জানিয়েছেন। ফলে নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার তার প্রতিশ্রুতিই এখন সবচেয়ে বড় পরীক্ষার সম্মুখীন।

ট্রাম্পের এ সমর্থন তার অনুগত রাজনৈতিক গোষ্ঠীকে, যাদের অনেকে ডানপিন্থি রাজনীতিক ও ভাষ্যকার, বিভক্ত করে ফেলেছে। তারা মনে করছেন, ইসরায়েলকে বিনা প্রশ্নে সমর্থন দেওয়া প্রকৃতপক্ষে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির পরিপন্থি। অথচ ট্রাম্পের মূল নির্বাচনী স্লোগান ছিল এটি।

আন্তর্জাতিক কূটনীতিবিষয়ক মার্কিন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান কুইন্সি ইনস্টিটিউটের নির্বাহী সহসভাপতি ত্রিতা পারসি বলেন, ‘আমেরিকা ফার্স্ট ঘাঁটির (এ নীতির সমর্থক গোষ্ঠী) অনেক অংশে এখন প্রবল ক্ষোভ ও বিশ্বাসঘাতকতার অনুভূতি বিরাজ করছে। কারণ, তারা সত্যিকার অর্থেই যুক্তরাষ্ট্রকে আর কোনো যুদ্ধে জড়িয় পড়া বা তাতে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি দেখতে চায় না।’

ত্রিতা পারসি আরও বলেন, ‘তারা (এ গোষ্ঠী) এখন ইসরায়েল নিয়ে ব্যাপক সংশয়ের মধ্যে পড়েছে। তারা মনে করে, এ ধরনের যুদ্ধই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টদের ব্যর্থ ও তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ অগ্রাধিকারগুলো ক্ষুণ্ন করেছে।’

ইরানে গত শুক্রবার ইসরায়েলি হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন রক্ষণশীল নেতাও এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র যেন এমন কোনো যুদ্ধে না জড়ায়, যা তার স্বার্থ রক্ষা করবে না।

ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ (এমএজিএ) আন্দোলনের বড় মুখ ও প্রভাবশালী রক্ষণশীল ভাষ্যকার টাকার কার্লসন বলেন, ইসরায়েলের বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ‘যুদ্ধপিপাসু সরকার’কে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন দেওয়া উচিত নয়।

‘ইসরায়েল চাইলে যুদ্ধ করতেই পারে। ওটা স্বাধীন রাষ্ট্র। তারা যা খুশি করতে পারে। কিন্তু সেটা যেন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে না হয়,’ গত শুক্রবার ‘টাকার কার্লসন নেটওয়ার্ক’–এর সকালের নিউজলেটারে লেখা হয়।

নিউজলেটারে আরও বলা হয়, ইরানের সঙ্গে (যুক্তরাষ্ট্রের) যুদ্ধ হলে তা ‘পরবর্তী প্রজন্মের সন্ত্রাসবাদের জন্ম দিতে পারে’ কিংবা একটি বিদেশি এজেন্ডার নামে হাজার হাজার মার্কিনের মৃত্যু ডেকে আনতে পারে।

‘এ কথা বলাই বাহুল্য যে এ ধরনের কোনো সম্ভাবনাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক হবে না। কিন্তু অন্য একটি পথও আছে: ইসরায়েলকে বাদ দাও। ওরা নিজেরা যুদ্ধ করুক,’ লেখা হয় নিউজলেটারে।

রিপাবলিকান সিনেটর র‍্যান্ড পলও ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানো নিয়ে সতর্ক করেছেন এবং ওয়াশিংটনের যুদ্ধ–সমর্থক রক্ষণশীলদের কঠোর সমালোচনা করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে র‍্যান্ড পল লিখেছেন, ‘মার্কিন জনগণ যে যুদ্ধের শেষ নেই, তার ঘোরবিরোধী এবং ২০২৪ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে তাঁরা সেটাই দেখিয়েছেন।’

‘আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অনুরোধ করব যেন তিনি তার অবস্থানে অটল থাকেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অগ্রাধিকার দেন এবং অন্য দেশের মধ্যে চলা কোনো যুদ্ধে জড়িত না হন,’ বলেন র‍্যান্ড পল।

ডানপন্থী কংগ্রেস সদস্য মারজোরি টেলর গ্রিনও একটি বার্তায় ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি হামলার পক্ষে নন। এর আগেও তিনি ট্রাম্পকে সতর্ক করেছিলেন, তেহরান পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হচ্ছে—এমন ইসরায়েলি অভিযোগের ভিত্তিতে যেন ইরানে হামলা চালানো না হয়।

মারজোরি টেলর এক্সে লেখেন, ‘আমি শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি। শান্তি। এটাই আমার আনুষ্ঠানিক অবস্থান।’

যদিও ইসরায়েলের সমর্থকেরা ইরানের সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির হুমকির কথা উল্লেখ করে দেশটিতে হামলাকে যৌক্তিক বলে দাবি করছেন; তেহরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এমনকি ট্রাম্পের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ডও গত মার্চে এক সাক্ষ্যে বলেছেন, ‘আমাদের মূল্যায়ন অনুযায়ী, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বানাচ্ছে না।’

ইসরায়েলের একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত রিপাবলিকান কর্মী ও ভাষ্যকার চার্লি কার্কও ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানো নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

নিজ পডকাস্টে কার্ক বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমাদের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ ঘাঁটি কোনো যুদ্ধই চায় না। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা চায় না (ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে)। তারা চায় না যুক্তরাষ্ট্র এতে জড়িয়ে পড়ুক।’

গত শুক্রবার ইসরায়েল যখন ইরানের সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক স্থাপনা ও আবাসিক এলাকায় বোমাবর্ষণ শুরু করে, তার কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছাতে তিনি আগ্রহী।

গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘বিষয়টা খুবই সহজ। জটিল কিছু না। ইরান পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারে না—এই একটাই কথা। তার বাইরে আমি চাই, তারা সফল হোক। আমরা সাহায্য করব।’

গতকাল রোববার ওমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে ষষ্ঠ দফা আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।

তবে শুক্রবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি আগেই ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে জানতেন। অবশ্য তিনি হামলা চালাতে ইসরায়েলকে নিষেধ করেছিলেন কি না, তা বলেননি। যদিও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসরায়েলের হামলাকে ‘একতরফা’ বলেই উল্লেখ করেছেন।

অথচ ট্রাম্প ইরানের ওপর হামলার দায় চাপিয়ে বলেন, দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য তার আহ্বানে ইরানের কর্মকর্তাদের সাড়া দেওয়া উচিত ছিল।

ট্রাম্প পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম, তাদের জন্য এটা হবে এমন কিছু, যা তারা কল্পনাও করতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্র তৈরি করে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও জীবনঘাতী সামরিক সরঞ্জাম—অনেক অনেক বেশি। আর ইসরায়েলের কাছে এর অনেক কিছুই আছে, আরও আসছে।’

ত্রিতা পারসি বলেন, শুরুতে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে সমঝোতা চেয়েছিলেন, কিন্তু তার চরম শর্ত—ইরানকে সম্পূর্ণভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে হবে—আলোচনায় অচলাবস্থা তৈরি করে।

‘এটা অনুমেয় ছিল যে এ চূড়ান্ত দাবির ফলে আলোচনা ব্যর্থ হবে। ইসরায়েল সেই ব্যর্থতাকে কাজে লাগিয়ে ট্রাম্পকে সামরিক পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে,’ বলেন ত্রিতা পারসি।

পারসি আরও বলেন, ‘গত সপ্তাহজুড়ে ট্রাম্প কূটনৈতিক উদ্যোগের পক্ষে কথা বললেও, তিনি জানতেন ইসরায়েলের হামলা আসন্ন। এভাবে তিনি সবাইকে ভুল বার্তা দিয়েছেন যে হামলা হবে আলোচনার পরে। অথচ সেটা আগেই হয়েছে।’

ইসরায়েলের হামলার পর কংগ্রেসে কিছুটা সমালোচনা হলেও বহু রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট এই হামলার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্পের ঘাঁটির একটি বড় অংশ, বিশেষ করে তরুণ ডানপনন্থিরা, ইসরায়েলকে অন্ধ সমর্থনের বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাটো ইনস্টিটিউটের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিশ্লেষক জন হফম্যান বলেন, ‘তারা (ডানপন্থিরা) রিপাবলিকান পার্টির একটি উল্লেখযোগ্য অংশের প্রতিনিধিত্ব করে, বিশেষত তরুণদের মধ্যে।’

হফম্যান আরও বলেন, ‘পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপ বলছে, ৫০ বছরের নিচের অর্ধেক রিপাবলিকানই এখন ইসরায়েল সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ এই নিরন্তর যুদ্ধক্লান্তির মধ্যে হাঁপিয়ে উঠেছেন।’

বিশ্লেষকদের মতে, ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রতি ট্রাম্পের নমনীয় অবস্থান তাঁকে আবারও এমন একটি সংকটের মুখে ফেলেছে, যেটা একসময় বুশ প্রশাসনকে ফেলেছিল।

হফম্যান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরে দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কামনা করা প্রভাবশালীদের উপস্থিতি, যেমন লিন্ডসে গ্রাহাম—এসবই বড় ঝুঁকির সৃষ্টি করছে।’

‘এ পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলার আশঙ্কা অনেক বেশি,’ বলেন হফম্যান।

সূত্র: আল জাজিরা

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Five youths of Natore Barayagram were not found in the long era

দীর্ঘ একযুগেও সন্ধান মেলেনি নাটোরের বড়াইগ্রামের পাঁচ যুবকের

দীর্ঘ একযুগেও সন্ধান মেলেনি নাটোরের বড়াইগ্রামের পাঁচ যুবকের

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চারটি গ্রামের পাঁচ যুবকের অপহরণের এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এখনো তাদের সন্ধান মেলেনি। অপহৃতদের কেউ বেঁচে আছেন কিনা, নাকি তাঁরা চিরতরে হারিয়ে গেছেন—সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি পরিবার, প্রশাসন কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার কাছেও।

২০১৩ সালের ১৯ মে রাতে বড়াইগ্রামের গুরুমশৈল গ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অস্ত্রধারী ১০-১২ জনের একটি দল মাইক্রোবাসে এসে কৃষক কামাল হোসেনকে বাড়ির পাশ থেকে তুলে নেয়। একই রাতে একই কায়দায় অপহরণ করা হয় ওই গ্রামের দিনমজুর ইব্রাহিম তালুকদার এবং পার্শ্ববর্তী মহিষভাঙ্গা গ্রামের ভুটভুটি চালক তৈয়ব আলীকে।

অপহরণের সময় অস্ত্রধারীরা এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং অপহৃতদের মারধর করে তুলে নিয়ে যায়। এর ঠিক দুদিন আগে একই উপজেলার কালিকাপুর গ্রাম থেকে নিখোঁজ হন বিজিবি সদস্য রাসেল গাজী ও তার বন্ধু কাটাশকুল গ্রামের সেন্টু হোসেন। ছুটিতে বাড়ি এসে রাসেল তার বন্ধুর ফোন পেয়ে বের হওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ হন দুজনই।

স্বজনরা জানান, অপহরণের পরপরই তারা থানায় জিডি ও মামলার পাশাপাশি প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কিন্তু তৎকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা দেখা যায়নি। গুরুমশৈল গ্রামের কামালের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘এক যুগ হয়ে গেল, আমার ছেলের ছবি বুকে নিয়ে কাঁদি। কে নিল, কেন নিল, কোনো উত্তর নেই।’

নিখোঁজ ইব্রাহিম তালুকদারের মা বলেন, ‘ছেলেকে হারিয়ে আমরা পথে বসেছি। কোনো দিন কেউ খোঁজও নেয়নি।’ রাসেল গাজীর বাবা বলেন, ‘বিজিবির মতো চাকরিতে থেকেও যদি অপহৃত হয়, তবে সাধারণ মানুষের কী হবে?’

নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, ‘এই ঘটনার বিষয়ে আমরা নতুন করে তদন্ত শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও হাতে এসেছে। আশা করছি, দ্রুতই রহস্য উদঘাটন এবং দায়ীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’

অপহৃতদের স্বজনরা বলছেন, ‘বর্তমান সরকারের কাছে তারা আকুতি জানাচ্ছেন—তাদের প্রিয়জনেরা জীবিত না থাকলেও অন্তত কী ঘটেছে, কোথায় গেল তারা—সে রহস্য তো উন্মোচিত হোক।’

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Households are weight and retail mango buyers are cheating on the price
প্রতি মণ ফজলি আমে ৫ কেজি ধলতা

গৃহস্থরা ওজনে আর খুচরা আম ক্রেতারা ঠকছেন দামে

গৃহস্থরা ওজনে আর খুচরা আম ক্রেতারা ঠকছেন দামে

গৃহস্থদের কাছ থেকে ৭০০-৮০০ টাকায় ৪৫ কেজিতে এক মণ নাক ফজলি আম কিনছেন পাইকারি দোকানিরা। তারা সেই আম ১ হাজার ২০০ টাকায় ৪০ কেজিতে এক মণ বিক্রি করছেন। প্রতি মণ আমে নিচ্ছেন ৫ কেজি ধলতা। এতে গৃহস্থরা ওজনে আর খুচরা আম ক্রেতারা দামে ঠকছেন। পাইকারি বিক্রেতারা প্রতি মণে অর্ধেকেরও বেশি টাকা লাভ করছেন। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর শহরে রেলগেট এলাকায় এভাবেই সিন্ডিকেট করে আম বেচাকেনা হচ্ছে। খুচরা ক্রেতারা ও গৃহস্থরা আম ক্রয়-বিক্রয়ে প্রশাসনের নজরদারির দাবি জানিয়েছেন।

নওগাঁর বদলগাছি উপজেলায় প্রচুর নাক ফজলি আমের উৎপাদন। বদলগাছির এই নাক ফজলি আম অনান্য এলাকার চেয়ে সুস্বাদুও। প্রতি বছর আমের মৌসুমে আক্কেলপুর পৌর শহরের কিশোর মোড় থেকে রেলগেট পর্যন্ত সড়কে আমের পাইকারি বাজার বসে। এবারও আমের পাইকারি বাজার বসছে। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত আম বেচাকেনা হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ও পাইকারিরা এসে আম কিনেন।

গৃহস্থ ও খুচরা আম ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের আগে নাক ফজলি আম ১ হাজার ৪০০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছে। ঈদের পর নাক ফজলি আমের আমদানি বেড়েছে। এ কারণে আমের মণে ৬০০ থেকে ৪০০ টাকা দাম কমেছে। ৪০ কেজিতে মণ হলেও পাইকারিরা গৃহস্থদের কাছে ৪৫ কেজি মণে আম কিনছেন। পাইকারিরা দোকানে সেই আম ১ হাজার ২০০ টাকায় ৪০ কেজিতে মণ বিক্রি করছেন।

বদলগাছির ভাণ্ডারপুর গ্রামের গৃহস্থ মনোয়ার হোসেন বলেন, আক্কেলপুর বাজারে ৮০০ টাকা দরে তিন মণ আম বিক্রি করেছি। তিন মণ আমে আমাকে ১৫ কেজি আম বেশি দিতে হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের কাছে ৪৫ কেজিতে পাইকারিরা আম কিনছেন। এটি চরম অন্যায়। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

খুচরা বিক্রেতা বেলাল হোসেন বলেন, রেলগেট এলাকার দোকান থেকে এক মণ নাক ফজলি আম ১ হাজার ২০০ টাকায় কিনলাম। দোকানিরা প্রতি মণে ৪০০-৫০০ টাকা লাভ করছে। আবার গৃহস্থদের কাছে নেওয়া ওজন দিচ্ছেন না। মৌসুমি আম বিক্রেতা হারুন বলেন, ৪৫ কেজিতে আম বিক্রি হয়। আমরা দূরে নিয়ে গিয়ে আম বিক্রি করি। তবে রেলগেট এলাকার দোকানিরা একটু বেশি দামে বিক্রি করছেন।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Coral of 20 kg was caught in a jail net

জেলের জালে ধরা পড়ল ২৩ কেজির কোরাল

জেলের জালে ধরা পড়ল ২৩ কেজির কোরাল

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মামুন জমাদ্দার (৪০) নামে এক জেলের জালে ২৩ কেজি ওজনের বিশাল একটি সামুদ্রিক কোরাল মাছ ধরা পড়েছে। পরে মাছটি ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

গতকাল রোববার সকালে কুয়াকাটা মাছ বাজারের মনি ফিস নামে মৎস্য আড়তে মাছটি বিক্রি করার জন্য আনা হয়। ডাকের মাধ্যমে ১ হাজার ৫০ টাকা কেজি দরে ২৪ হাজার ১৫০ টাকায় মাছটি কিনে নেন কুয়াকাটা মাছ বাজারের ব্যবসায়ী মো. মোস্তাফিজ।

জানা গেছে, পটুয়াখালীর মহিপুর সদর ইউনিয়নের নিজামপুর গ্রামের জেলে মামুন জমাদ্দার ১২ জুন রাতে সমুদ্রে জাল ফেলেন এবং ১৪ জুন রাতে জাল তুললে তিনি তার জালে এই বিশাল আকৃতির সামুদ্রিক কোরাল মাছটি পান।

জেলে মামুন জমাদ্দার বলেন, এত বড় মাছ পাব সেটা ভাবতেও পারিনি। প্রায় দুই মাস মাছ ধরতে পারিনি। কারণ মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছিল। এই অবরোধের পর মাছটি পেয়ে ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছি। মাছটির ক্রেতা কুয়াকাটা মাছ বাজারের ব্যবসায়ী মো. মোস্তাফিজ বলেন, আমাদের এলাকায় বড় বড় হোটেলগুলোতে সামুদ্রিক বড় কোরাল মাছের চাহিদা রয়েছে। আশা করছি মাছটি বিক্রি করে ভালো টাকা লাভ করতে পারব। তবে এলাকায় বিক্রি না হলে ঢাকায় পাঠিয়ে দেব।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা সমুদ্রে মাছ ধরতে নেমেছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই জেলেদের জালে বড় মাছ ধরা পড়বে। জেলেরা সঠিকভাবে নিষেধাজ্ঞা পালন করেছে বিধায় সামনের দিনগুলোতে তাদের জালে ভালো সংখ্যক মাছ ধরা পড়বে।

মন্তব্য

p
উপরে