× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
The capital market collapsed after the central bank report
google_news print-icon

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের পর পুঁজিবাজারে পতন

কেন্দ্রীয়-ব্যাংকের-প্রতিবেদনের-পর-পুঁজিবাজারে-পতন
ফাইল ছবি
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ব্র্যাক ইপিএলের সাবেক কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার মনে করেন, পুঁজিবাজার প্রণোদনার টাকায় চাঙা হয়েছে, বিষয়টা এমন নয়। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির সার্বিক যে অবস্থা তাতে প্রণোদনার টাকায় পুঁজিবাজার চাঙা করার প্রয়োজন নেই। বরং এ সময়ে পুঁজিবাজার চাঙা হওয়ার নানা কারণ আছে। এককভাবে শুধু প্রণোদনার টাকাকে পুঁজিবাজার চাঙা হওয়ার জন্য বলা ঠিক হবে না।’

একের পর এক ধাপ অতিক্রম করে পুঁজিবাজার যখন নতুন উচ্চতার দিকে যাবে বলে আশা বড় হচ্ছে, সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে হোঁচট।

করোনাকালে প্রণোদনার ঋণ অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে পুঁজিবাজারে টাকা আসছে, এমন কথা বলা নেই। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন এসেছে যে, এই অর্থ এসেছে এই খাতেও।

আর এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর দিন সোমবার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দেখা গেছে অস্থিরতা। প্রধান খাতগুলোতে ঘটেছে দরপতন। আর এ কারণে ছয় কর্মদিবস পর পতন হলো মূল্য সূচকে। তবে বেড়েছে লেনদেন।

১২ জুলাই ৬ হাজার ২০৮ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৬ হাজার ৪২৪ পয়েন্ট পুঁজিবাজার পৌঁছে ২৫ জুলাই। আজও লেনদেনের শুরুতেই সূচক বেড়ে যায়। কিন্তু ২ মিনিটও স্থায়ী হয়নি সেই উত্থান।

এক পর্যায়ে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৫ পয়েন্ট কমে যায়। তবে শেষ বেলায় ক্রয় চাপে সেখান থেকে কিছুটা বাড়ার পর ৬ হাজার ৪০৪ পয়েন্টে শেষ হয় লেনদেন।

আগের দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘অফসাইট সুপারভিশন’ বিভাগের পর্যবেক্ষণে প্রণোদনার ঋণের অপব্যবহারের চিত্র উঠে আসে। প্রণোদনার টাকা যাতে অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যবহার না হয়, সে জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ নিরীক্ষা বিভাগকে যাচাই-বাছাইয়ের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

তবে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ব্র্যাক ইপিএলের সাবেক কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার মনে করেন, পুঁজিবাজার প্রণোদনার টাকায় চাঙা হয়েছে, বিষয়টা এমন নয়। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির সার্বিক যে অবস্থা তাতে প্রণোদনার টাকায় পুঁজিবাজার চাঙা করার প্রয়োজন নেই। বরং এ সময়ে পুঁজিবাজার চাঙা হওয়ার নানা কারণ আছে। এককভাবে শুধু প্রণোদনার টাকাকে পুঁজিবাজার চাঙা হওয়ার জন্য বলা ঠিক হবে না।’

প্রণোদনার টাকার উপযুক্ত ব্যবহার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় পুঁজিবাজারে কোনো নেতিবাচক প্রভাব আছে কি না, এমন প্রশ্নে দেবব্রত বলেন, ‘কিছুটা প্রভাব তো অবশ্যই আছে। কারণ, বিনিয়োগকারীরা এমন নিদের্শনায় প্রভাবিত হওয়াটাই স্বাভাবিক।’

সোমবার লেনদেনে কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর। কমেছে সূচক। পাশাপাশি ব্যাংক, বিমা, বস্ত্র, প্রকৌশল, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের শেয়ারের দরও কমেছে।

সবচেয়ে বেশি চাঙা ওষুধ ও রসায়ন খান

দরপতনের দিন সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা গেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। এই খাতের কোম্পানিগুলোকে কর অবকাশ দেয়ার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর দিন খাতওয়ারি সবচেয়ে বেশি ১৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১০৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

এই খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত দীর্ঘদিন ধরে। বাকিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২২টির, কমেছে কেবল ৮টির।

গ্লোবাল হ্যাভি কেমিক্যালস এর শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৮১ শতাংশ। এ ছাড়া লিব্রা ইনফিউশনের ৪.৫৯ শতাংশ, কেয়া কসমেটিকসের ৩.৪৯ শতাংশ, এমবি ফার্মার ৩.৪১ শতাংশ, কোহিনুর কেমিক্যালসের ২.৬০ শতাংশ এবং অরিয়ন ইনফিউশনের দর বেড়েছে ২.২৮ শতাংশ।

দর বৃদ্ধির পর দিনই ব্যাংক খাতে পতন

অর্ধবার্ষিকী মুনাফার হিসাবে একের এক ব্যাংকের চমক, দেড়গুণ, দুই গুণ এমনকি তিন গুণের বেশি মুনাফা করার খবরে এই খাত নিয়ে যে আশাবাদ তৈরি হয়েছিল, সেটিতে ছেদ পড়েছে। আগের দিন ৩১টি ব্যাংকের শেয়ারের মধ্যে ২৬টির দর বাড়লেও আজ উল্টো চিত্র।

মাত্র ছয়টি ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে। নয়টির দর ছিল অপরিবর্তিত। বাকি ১৬টির দর কমেছে।

দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে আছে এনআরবিসি ব্যাংক, যার দর বেড়েছে ৩.৫০ শতাংশ। এ ছাড়া রূপালী ব্যাংকের ১.৯০ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়ার ১.০১ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাংকের দশমিক ৭৪ শতাংশ, সাউথইস্ট ব্যাংকের দশমিক ৬০ শতাংশ এবং পূবালী ব্যাংকের দর বেড়েছে দশমিক ৩৯ শতাংশ।

দর পতন হওয়া ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২.১৭ শতাংশ কমেছে স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকের। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর অর্ধবার্ষিকীতে তিন গুণের বেশি মুনাফা করার খবর প্রকাশের পর কমেছে প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার দরও। এই ব্যাংকটি দর হারিয়েছে ২.১৫ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের পর পুঁজিবাজারে পতন

এ ছাড়া ঢাকা ব্যাংকের ২.০৫ শতাংশ, এবি ব্যাংকের ১.৪১ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংকের ১.২৫ শতাংশ, ইউনাইটেড কর্মাসিয়াল ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১.২২ শতাংশ।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১ শতাংশের কম।

এই খাতে দরপতন হলেও লেনদেন কমেনি। হাতবদল হয়েছে ১১৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১১০ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডেও পতন

৩০টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণার আগে আগে পরপর দ্বিতীয় দিন দর হারালো এই খাত। অথচ ঈদের আগে অল্প অল্প করে এই খাতে দর বাড়ার পাশাপাশি দিনের লেনদেন একদিন ১৪০ কোটি এবং একদিন ২০৫ কোটি টাকা হয়েছিল।

গত জুলাই থেকে চলতি জুন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে দুই হাজার পয়েন্টের বেশি। মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোও তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত বেশ ভালো মুনাফার তথ্য দিয়েছে। আর চতুর্থ প্রান্তিকে ৮০০ পয়েন্টের বেশি সূচক বাড়ায় এই প্রান্তিকেও আকর্ষণীয় মুনাফার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

ফান্ডগুলো গত বছর লোকসান দেয়ায় যদি এবারের মুনাফা থেকে সঞ্চিতি সংরক্ষণও করে, তার পরেও বাকি মুনাফা বিতরণ করলে দামের তুলনায় লভ্যাংশ হতে পারে অপ্রত্যাশিত।

মোট ৩৭টি ফান্ডের মধ্যে একটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেটি বেমেয়াদি ফান্ডে রূপান্তর হয়েছে, বাকিগুলোর মধ্যে ৩০টি ফান্ড যে কোনো দিন লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত বৈঠকের খবর দিতে পারে।

এই অবস্থাতেও ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ছয়টির, কমেছে ২১টির আর পাল্টায়নি ১০ টির।

সবচেয়ে বেশি ৪.৯২ শতাংশ দর হারিয়েছে আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড। সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান-এর দর কমেছে ৩.৫০ শতাংশ। আইসবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর কমেছে ৩.০৯ শতাংশ।

এছাড়া সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২.৫৮ শতাংশ, ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২.১১ শতাংশ, এক্সিম ব্যাংক ফার্সাট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২.০৮ শতাংশ এবং এসইএমএ লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের দর কমেছে ১.৫৭ শতাংশ।

অবশ্য দরপতন হলেও বেড়েছে লেনদেন। আজ হাতবদল হয়েছে ৭১ কোটি ৫০ লাখ টাকার ফান্ড। আগের দিন লেনদেন ছিল ৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার।

বিমা খাত আরও ধরাশায়ী

গত জুলাই থেকে জানুয়ারি, এরপর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত উত্থানের পর বিমা খাতে দর পতন থামছে না কোনো মতেই।

আগের দিনের মতোই ঢালাও পতন হয়েছে বিমার শেয়ারের।

৫১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৫টির, কমেছে ৩৪টির। বাকি দুটির শেয়ার দর আগের দিনের সমান আছে।

সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৪.২৭ শতাংশ। সন্ধানী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪.২৫ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের পর পুঁজিবাজারে পতন

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৪.০৩ শতাংশ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩.৭৩ শতাংশ, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ২.৮৫ শতাংশ, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ২.৮৫ শতাংশ।

প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, নিটল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ২.২৮ শতাংশ থেকে ১.০৩ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।

এই খাতে লেনদেনও কিছুটা কমেছে। হাতবদল হয়েছে ১৩২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৩৫ কোটি টাকা।

অন্যান্য খাতের চিত্র

ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে চারটির। দর পাল্টায়নি পাঁচটির। দর কমেছে ১৩টির।

এই খাতে হাতবদল হয়েছে ৫৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকার, যা আগের দিন ছিল ৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৫টির। দর পাল্টায়নি দুটির। বাকি ২৫টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।

এই খাতে লেনদেন হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। হাতবদল হয়েছে ১৬৪ কোটি টাকার, যা আগের দিন ছিল ১৪০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

ঈদের আগে আগে চাঙা থাকা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শেয়ারে এদিন বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে শেয়ারদর কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর ৭টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৬টির দর।

তবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় হয়েছে দ্বিগুণ। এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ১৪৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, আগের দিন যা ছিল ৭১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক দাম কমেছে ৯টি খাতের। আর বেড়েছে ১১টির। আগের দিন ব্যাপক আগ্রহ থাকা ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানির শেয়ার আজও সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে তিন নম্বরে ছিল। তবে দাম কমেছে ২ টাকা।

এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ৭৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৯১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

ঈদের আগে চাঙা থাকা বস্ত্র খাত আরও দর হারিয়েছে। অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি পাওয়ার পর এবার লোকসানি ও দুর্বল কোম্পানিতে দেখা দিয়েছে ভাটার টান।

এই খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে কেবল ১৫টির, কমেছে ৩৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল বাকি সাতটির দর।

এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ১০৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১০৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

সূচক ও লেনদেন

ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২০ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪০৪ পয়েন্টে।

শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৩.৫৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৯০ পয়েন্টে। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৩ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩২২ পয়েন্টে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের পর পুঁজিবাজারে পতন

লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১১টির, কমেছে ২২৯টির আর দর পাল্টায়নি ৩৪টির।

লেনদেন হয়েছে মোট ১ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএ্এসপিআই আগের দিনের তুলনায় ৫৬ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬১৬ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৮টির, কমেছে ১৫৫টির আর দর পাল্টায়নি ৪৪টির। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫৯ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
দেশের পুঁজিবাজার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রোড শো শুরু আজ
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ টানতে রোড শো এবার যুক্তরাষ্ট্রে
চাঙা পুঁজিবাজারে লেনদেনে জোয়ার
দর বাড়ল ব্যাংকের, লোকসানি কোম্পানির ব্যাপক দরপতন
বড় হচ্ছে স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের স্বপ্ন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
There is no plan to raise fuel prices now Finance Advisor

এখনই জ্বালানির দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই: অর্থ উপদেষ্টা

এখনই জ্বালানির দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই: অর্থ উপদেষ্টা

সরকার ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের উপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এই মুহূর্তে জ্বালানির দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।

তিনি বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যদি সংঘাত দীর্ঘায়িত হয়—তাহলে এটি আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তবে আপাতত, আমরা অপেক্ষা করব।’

মঙ্গলবার (১৭ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক বিষয় সম্পর্কিত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং পাবলিক ক্রয় সম্পর্কিত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এই সংঘাত অভ্যন্তরীণ জ্বালানির দামের উপর প্রভাব ফেলতে পারে কিনা এমন প্রশ্নে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে এরই মধ্যে দাম সামান্য বেড়েছে, তবে আমাদের আগের দেওয়া ক্রয়াদেশগুলোকে এটি প্রভাবিত করেনি।’

তিনি আরও বলেন, সরকার গ্যাস ও এলএনজির দামও পর্যবেক্ষণ করছে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি এলএনজির দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে, তবে আমরা আমাদের পরিকল্পনায় এটি বিবেচনা করব। সৌভাগ্যবশত, আজ আমরা যে এলএনজি আমদানি প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছি তা পুরোনো দামেই। আমরা ভাগ্যবান যে এটি আগের হারে পাচ্ছি।’

বাণিজ্যের উপর বর্তমানে কোনো প্রভাব পড়ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, বর্তমানে বাণিজ্যের উপর কোনো প্রভাব পড়ছে না।’

ভবিষ্যতে সম্ভাব্য বিঘ্নের আশঙ্কায় সরকার কোনো বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আজ আমরা যে এলএনজি এবং সার আমদানি প্রস্তাবগুলো অনুমোদন করেছি তা আগের দামেই রয়েছে। ভবিষ্যতে নতুন যেকোনো প্রস্তাব মূল্যে উপর প্রভাব পড়তে পারে।’

যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে তাক্ষণিক পরিকল্পনা সম্পর্কে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয় বিকল্পগুলো নিয়ে কাজ করছে। ‘আমরা এলএনজির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করি। এই সংঘাত কেবল জ্বালানি নয়, সার আমদানি এবং সামুদ্রিক পরিবহনকেও প্রভাবিত করতে পারে। হরমুজ প্রণালী দিয়ে জাহাজ চলাচল করে যার প্রভাব পড়তে পারে। তবে আমি মনে করি না যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে।’

বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম ইতোমধ্যে বেড়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, অনেক দেশে দাম বেড়েছে, তবে আমরা এখনও কোনো পরিবর্তন করছি না। আমরা অপেক্ষা করব এবং দেখব।’

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
The unemployed people are lost in employment
কর্মসংস্থান হারিয়ে বেকার সংশ্লিষ্টরা

হারিয়ে যাচ্ছে বর-কনের বাহন পালকি

হারিয়ে যাচ্ছে বর-কনের বাহন পালকি গ্রামবাংলার ঐতিহ্য পালকি। ছবি: নিউজবাংলা

পালকি ছিল এক সময় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য, বর-কনের বাহন। এটা ছাড়া বিয়ের কথা ভাবাই যেত না। সারা দেশের মতো রূপগঞ্জেও একই অবস্থা ছিল। কালের বির্বতনে চিরায়ত গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের ধারক পালকি রূপগঞ্জে আজ আর চোখে পড়ে না। পালকি এখন মিউজিয়াম পিস হয়ে কালের সাক্ষী হয়ে আছে জাদুঘরে। বেহারাদের সুর করে সেই গ্রাম ঘুরে মাঠ-ঘাট-প্রান্তর পেরিয়ে গন্তব্যের কাছে দূর থেকে সেই ছয় বেহারাদের আর দেখা যাচ্ছে না। তাদের ছন্দিত লয়ে হাঁটার সঙ্গে সঙ্গে এ গাঁ থেকে ওগাঁয়ে নাইয়র, বিয়ের কনে বর কিংবা মান্যগন্য ব্যক্তিদের নিয়ে যাওয়ার এ চক্রবিহীন যান সম্ভবত তার অন্তিম যাত্রা করেছে। ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ভাষায়, রবীন্দ্রনাথের কবিতায়, হেমন্তের গানে কিংবা ভুপেন হাজারিকার মাদল তালে চলা পালকি এখন ঐতিহ্যের খাতায় নাম লিখিয়েছে।

সেই ন্যাংটা পুঁটো ছেলেটা আর বলে না পালকি চলে পালকি চলে.....আদুল গাঁয়ে যাচ্ছে কারা হনহনিয়ে। রবি ঠাকুরের ‘বীর পুরুষ’ কবিতার খোকা তার মাকে পালকিতে নিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতদের সাথে লড়ে যখন ওরা আসে তেড়ে ‘হারে রে রে’ বলে। সেই ভীষণ যুদ্ধের বর্ণনাও দিতে পারে না মাকে। মাও বলতে পারে না, ভাগ্যেস খোকা ছিল তার সঙ্গে। দাদা তার সদ্য বিয়ে হওয়া দিদিকে আর বলে না, আর কটাঁ দিন থাক না দিদি, কেঁদে কেটে কঁকিয়ে, দুদিন বাদে তো নিয়েই যাবে পালকি করে সাজিয়ে। ‘মৈমনসিং গীতিকার’ দেওয়ানা মদিনা ও ছুটবে না পালকিতে আবের পাংখা নিয়ে আর পালকি বহরের সেই পরিচিত দৃশ্য এখন আর দেখা যায় না।

আধুনিক যোগাযোগের গোগ্রাসে পালকি হারিয়ে যাচ্ছে বিস্মৃতির অতল তলে প্রাচীন বাংলার এ বাহনটি। এক সময় গ্রাম-বাংলার হাটবাজারে পালকি সাজিয়ে রাখা হত। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আগেই পালকিওয়ালাদের কাছে ছুটে যেতেন বরের লোকজন। পালকি কাঠ দিয়ে তৈরি করা হতো। ছয়জন মিলে পালকি বহন করতো। সামনে পেছনে দুজন ও মাঝখানে দুজন করে পালকি কাঁদে নিত। প্রথমে বরকে পালকিতে করে তার নিজ বাড়ি থেকে কনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হতো। বিয়ের কার্যক্রম সম্পূর্ণ হওয়ার পর বর-কনেকে এক সঙ্গে আবার বরের বাড়িতে নিয়ে আসতো।

আসলে পালকি নামটির উৎপত্তি ফারসি ও সংস্কৃত উভয় ইন্দো ভারতীয় ভাষা থেকে আর সেই সঙ্গে ফরাসি থেকেও। পল্লীকবি জসিম উদ্দিন তাঁর স্মৃতি কথায় এ গাঁ থেকে ওগাঁয়ে যাওয়া বেহারাদের পালকি নিয়ে চলার যে বিবরণ দিয়েছেন তা আমাদের আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। বিলুপ্ত এ পালকি এখন বিভিন্ন জাদুঘরে শোভা পাচ্ছে। বিয়ে বাড়িতে নব বর-বধুদের আনা নেয়ায় পালকি ব্যবহার করা হতো। চক্রযানের বিপ্লবে পালকির জায়গা দখল করে নিয়েছে আধুনিকতার এ যুগে প্রাইভেটকার, নোহা, বাস ও মাইক্রোবাস। হালের লাঙ্গল যেমন গ্রামেও অচল তেমনি ধনী গরিব নির্বিশেষে সকলের নানা অনুষ্ঠানে ব্যবহার করছে আধুনিক যান্ত্রিক যানবাহন। এসব যানের রমরমা ব্যবসাও এ কারণেই জমে ওঠেছে।

আধুনিকতার ছোঁয়ায় ইদানিং বর-কনের বাহনে যোগ হয়েছে হেলিকপ্টারও। রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া এলাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে বর যাত্রা গিয়েছেন সফিক মিয়া। হেলিকপ্টারে বর-কনে বহনের ঘটনা তখন পুরো এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ছড়ায় বলা হতো বউ সাজবে কালকি, চড়বে সোনার পালকি! সোনার বরনী কন্যা এখন আর পালকিবদ্ধ পরিবেশে যাবে না, উঠবে আসল বা নকল ফুলের সাজানো এয়ারকন্ডিশন গাড়িতে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Bus in Pabna Truck driver killed in a collision with truck

পাবনায় বাস- ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত

পাবনায় বাস- ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত

মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোর সাড়ে চারটার দিকে পাবনা বাইপাস মহাসড়কের ইয়াকুব ফিলিং স্টেশন এর সামনে দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ট্রাকচালক সেলিম হোসেন (৩৮) মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে।

আহতরা হলেন- বাসের হেলপার তারেক (৩৫) ট্রাকের হেল্পার আলামিন (৩৫)। তাদের রাজশাহী মেডিকেল। কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ট্রাকচালক সেলিম সুনামগঞ্জ থেকে পাথর ভর্তি করে মাওয়া যাচ্ছিলেন।অপরদিক পাবনা এক্সপ্রেস বাসটি ঢাকা থেকে পাবনা বাস টার্মিনালে যাত্রী নামিয়ে হেলপার আলামিন গাড়ি গ্যারেজ করার জন্য দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে ইয়াকুব ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তাৎক্ষিনক ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আহত তিনজনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ট্রাক চালক সেলিম কে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে আহত ট্রাকের হেলপার ও বাসের হেলপারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্থানান্তর করা হয়।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Jamaat did not join the consensus commission discussion

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়াত

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়াত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়েতে ইসলামীর কোনো প্রতিনিধি। বিএনপি ও এনসিপির মাঝে জামায়াতের জন্য সংরক্ষিত আসনটি মধ্যাহ্নভোজের আগ পর্যন্ত ছিল ফাঁকা।

জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেয়ায় নানা রাজনৈতিক দল নানা মত দিয়েছেন। অনেকে বলছেন, কমিশনের বেশ কয়েকটি বিষয়ে জামায়াতের বনিবনা না হওয়ায় মঙ্গলবারের আলোচনায় তারা যোগ দেননি।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কেন জামায়াত আলোচনায় যোগ দেয়নি সেই উত্তর কমিশনই ভালো দিতে পারবে।’

জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেয়া প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা যতদূর জানি জামায়াত আজকের বৈঠক প্রতীকী বয়কট করেছে। ঐকমত্য কমিশনের আজকের আলোচ্য বেশ কয়েকটি বিষয়ে জামায়াত হয়তো একমত হতে পারেনি। তাই আলোচনায় অংশ নেয়নি।’

জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেয়া প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল হিসেবে আজকের আলোচনায় জামায়াতের থাকা উচিত ছিল। তারা এই আলোচনা বয়কট করেছে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানায়নি। যদি মধ্যাহ্নভোজের পরেও জামায়াত আলোচনায় না আসে তাহলে পুরো ব্যাপারটি বোঝা যাবে।’

ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আদর্শিক জায়গা থেকে আমরা বেশিরভাগ বিষয়েই একমত হয়েছি। কিন্তু নারীদের জন্য আলাদা করে সংরক্ষিত ১০০ আসন রাখার প্রয়োজন দেখি না। নারীর ক্ষমতায়ন আমরাও চাই, কিন্তু কোনো বৈষম্যমূলক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে না।’

বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল মনে করছে, নারী আসনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়ায় আলোচনার প্রথম পর্যায়ে জামায়াত যোগ দেয়নি।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Opposition Party of Chairman of Four Standing Committee in Parliament Salahuddin

সংসদে চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দলের: সালাহউদ্দিন

সংসদে চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দলের: সালাহউদ্দিন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ের সভার মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সাংবাদিকদের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী জাতীয় সংসদে ৫০টি স্থায়ী কমিটির মধ্যে চারটি বিরোধী দলের জন্য ধার্য হয়েছে এবং সব রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে একমত।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের (১৭ জুন) সভায় চারটি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পাবলিক অ্যাকাউন্ট, প্রিভিলেজ, ইস্টিমেশন এবং পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দল থেকে দেওয়ার সিদ্ধান্তে সবাই একমত বলে জানিয়েছে তিনি।

বাকি স্থায়ী কমিটি প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘শুধু এই চারটি কমিটি না, সংখ্যাধিক্যের ভিত্তিতে বাকি কমিটিতেও আনুপাতিক হারে বিরোধীদলের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে।’

‘এছাড়া সংবিধানের ৭০ নং অনুচ্ছেদ যেখানে নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে সদস্য পদ বাতিলের বিধান আছে, সে বিষয়ে আস্থা ভোট এবং অর্থ বিল বাদে অন্য কোনো বিষয়ে ভোটদানে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে সবাই একমত,’ বলেন তিনি।

তবে বিএনপির পক্ষ থেকে যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা এই দুই বিষয়েও দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া যাবে না এমন মত দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে এই দুই বিষয়ে অটল থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা নির্বাচিত হলে ৭০নং অনুচ্ছেদে এ দুটি বিষয়ও যুক্ত করা হবে।’

নারীদের ১০০ সংরক্ষিত আসন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে একমত। তবে নির্বাচন পদ্ধতি কেমন হবে তা নিয়ে মতানৈক্য আছে। আশা করছি, আজকের আলোচনা শেষে এ বিষয়ে সমাধানে আসা যাবে ‘

এছাড়া জুলাই সনদের পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের আলাদা আলাদা ইশতেহার গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির এ নেতা।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Two pirates with weapons in the Sundarbans 

সুন্দরবনে অস্ত্রসহ দুই ‘জলদস্যু’ আটক 

সুন্দরবনে অস্ত্রসহ দুই ‘জলদস্যু’ আটক 

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নজির গাজী (৪৯) ও দিদারুল ইসলাম (৩৮) নামে দুই ’জলদস্যুকে’ আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা ও ১১টার দিকে উপজেলার উপকুলবর্তী যতীন্দ্রনগর ও মীরগাং এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় আটক দুই জলদস্যুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের ব্যবহৃত নৌকা থেকে একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা।

এর আগে সোমবার রাত আটটার দিকে সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে উঠে আসার সময় স্থানীয়দের ধাওয়ার মুখে অপর কয়েক সহযোগিসহ এসব জলদস্যুরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আটকরা হলেন— শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের নওশাদ গাজী এবং আশাশুনি উপজেলার চাকলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে দিদারুল ইসলাম।

আবু হামজা, সিদ্দিক হোসেন ও আকবর আলীসহ স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে আটটার দিকে অপরিচিত পাঁচ/সাত জন ব্যক্তি সুন্দরবন তীরবর্তী যতীন্দ্রনগর বাজারে যায়। এসময় নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য তারা মাইক্রো বা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের জন্য কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে নাম—পরিচয়সহ সুন্দরবন এলাকায় আসার কারণ জানতে চাইলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় যতীন্দ্রনগর বাজারে উপস্থিত লোকজন ধাওয়া করে দিদারুলকে ধরে পুলিশকে খবর দেয়। পরবর্তীতে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থলে পৌঁছে নজীরকে আটকের পাশাপাশি তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই চক্রের ব্যবহৃত মাছ শিকারের নৌকার মধ্যে থেকে একটি একনলা বন্দুক ও একটি দা উদ্ধার করে।

এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছে, জোনাব বাহিনী এখন সুন্দরবনে খুব বেশি তৎপর না। বরং নজীর, তার ভাই নবাব ও ছেলে আব্দুর রহিম এবং মুন্সিগঞ্জ আটিরউপর এলাকার আছাদুলসহ কয়েকজনকে নিয়ে জোনাবের নামে সুন্দরবনে দস্যুতায় লিপ্ত। সোমবার রাতে নজীর আলীকে আটকের পরপরই তার ছেলে আব্দুর রহিম ও ভাই নবাব ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।

আটক নজীর আলীর ভাষ্য, তিনি সুন্দরবনের ত্রাস কুখ্যাত জোনাব বাহিনীর সদ্যদের উপরে তুলে দেওয়া এবং সুন্দরবনে নামিয়ে দেয়ার কাজ করেন। সোমবার ১০ হাজার টাকার চুক্তিতে জোনাব বাহিনীর দুই সদস্যকে যতীন্দ্রনগর বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন। বনবিভাগের অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনে যেয়ে মাছ শিকারের পাশাপাশি তারা পরিচিত জলদস্যুদের উপরে নিচে উঠানামার কাজ করেন বলেও দাবি তার। উপরে উঠে যাওয়া দুই জলদস্যু উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি তার নৌকার মধ্যে রেখে যায় বলেও তিনি দাবি করেন।

দিদারুল জানান, তিনি নজীর আলীর শ্রমিক হিসেবে সুন্দরবনে যাওয়া জেলেদের জিম্মি করারসহ মুক্তিপণ আদায়ের কাজ করেন। লোকারয়ে পৌঁছে দেওয়া দুই জলদস্যুকে সুন্দরবনের পুটেরদুনে এলাকা থেকে নিয়ে আসার কথাও নিশ্চিত করেন তিনি। তবে তার কাছে মোবাইলের পাওয়ার ব্যাঙ্কসহ নানান সরঞ্জামাদির বিষয়ে জানতে চাইলে নিরুত্তর থাকেন।

এদিকে অস্ত্র উদ্ধারসহ দু’জনকে আটকের বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা জানান, নজীরের দেওয়া তথ্যে নৌকায় থাকা ককসিটের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। আটকের পর উভয়কে শ্যামনগর থানায় নেওয়া হয়েছে। তারা মাছ শিকারির ছদ্মবেশে সুন্দরবনে প্রবেশ করতেন বলে প্রাথমিক তথ্য মিলেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাহিনীর নাম—পরিচয়সহ বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Aurakhali Bazaar artisans are busy busy making boats
বর্ষার আগমনী বার্তা

নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে আওরাখালী বাজারের কারিগররা

নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে আওরাখালী বাজারের কারিগররা

গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের আওরাখালী বাজারে বর্ষার আগমনের আগেই শুরু হয়েছে নৌকা তৈরির ব্যস্ততা। বেলাই বিল ঘিরে গড়ে ওঠা এই ঐতিহ্যবাহী নৌকার বাজারে ইতোমধ্যে কাঠমিস্ত্রিরা দিনরাত পরিশ্রম করে তৈরি করছেন নানা আকার-আকৃতির কাঠের নৌকা। বর্ষার পানিতে ভাসিয়ে মাছ ধরা, কৃষিকাজ কিংবা সাধারণ যাতায়াতের জন্য এসব নৌকা স্থানীয় মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

স্থানীয়দের মতে, এই বাজারে প্রায় বিশটির বেশি দোকান বা কাঠের কারখানা রয়েছে, যেখানে কাজ করছেন শতাধিক শ্রমিক। নৌকা তৈরির মৌসুম শুরু হতেই এসব দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। কাঠের উপর নির্ভরশীল এই শিল্পটি শুধু বর্ষাকালেই নয়, বছরের অনেকটা সময় জুড়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে এলাকার বহু মানুষের জন্য।

একজন অভিজ্ঞ কারিগর জানান, "আমরা ছোট-বড় নানা আকারের নৌকা তৈরি করি। চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন এবং কাঠ ব্যবহার করে নৌকা বানানো হয়। ছোট নৌকার দাম শুরু হয় আট হাজার টাকা থেকে, আর বড় নৌকার দাম গিয়ে ঠেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকায়।"

নৌকা কিনতে আসা এক কৃষক বলেন, "প্রতি বছর বর্ষার আগে একটা নৌকা কিনতে হয়। বিলের ভেতর যাতায়াত, ফসল তোলা আর মাছ ধরার কাজে এটি খুবই দরকারি।"

এই বাজারের ব্যবসায়ীরা মনে করেন, সরকারি সহায়তা পেলে এই নৌকা শিল্প আরও প্রসারিত হতে পারে। নৌকা রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হলে দেশের বাইরেও এই হস্তশিল্পের পরিচিতি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অনেকেই।

প্রাকৃতিক জলাভূমিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আওরাখালীর এই নৌকা বাজার শুধুই ব্যবসার স্থান নয়—এটি গ্রামীণ জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বর্ষা যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই যেন এখানে নতুন জীবনের স্পন্দন ফিরে আসছে।

মন্তব্য

p
উপরে