পুঁজিবাজার চাঙা হয়ে ওঠার পর ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তার প্রমাণ মিলছে লেনদেনে।
গত ২৯ এপ্রিলের পর লেনদেন কখনো ১ হাজার কোটি টাকার নিচে নামেনি। সেদিন থেকে লেনদেন হয়েছে সব মিলিয়ে ৫৩ কর্মদিবস। আর এর মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে এক দিন ১ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা। আর সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
এই ৫৩ দিনের মধ্যে আবার ১৯ কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি। আর ১৭ দিন লেনদেন হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে তিন দিন আবার আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি।
২০১০ সালের মহাধসের পর পুঁজিবাজারে লেনদেনে এমন জোয়ার আর দেখা যায়নি। এমনকি গত বছর যখন এক ধাপে উত্থান শুরু হয়, তখনও নয়।
করোনার কারণে ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে ২০২০ সালের ২ জুলাই থেকে পুঁজিবাজারে দেখা যায় চাঙাভাব। চলে টানা জানুয়ারি পর্যন্ত। তবে ওই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আবার হয় সংশোধন। এরপর ৫ এপ্রিল থেকে চলে উত্থানের দ্বিতীয় পর্ব।
গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৪ কর্মদিবস টানা হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল। তখন পাঁচ দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার কোটি টাকার বেশি।
এই সময়ের মধ্যে পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে ২ হাজার ৪৩৭ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট।
এর মধ্যে উত্থানের প্রথম পর্বে গত বছরের ২ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সূচক বাড়ে ১ হাজার ৯২৩ পয়েন্ট।
তবে এরপর ১৫ জানুয়ারি থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সংশোধনে সূচক কমে ৮২১ পয়েন্ট। এরপর উত্থানের দ্বিতীয় পর্বে এখন পর্যন্ত বেড়েছে ১ হাজার ৩৩৬ পয়েন্ট।
এই উত্থানের মধ্যে গত ২০১১ সালের ৩১ জুলাইয়ের পর প্রথমবারের মতো ৬ হাজার ৪০০ পয়েন্টের সীমা অতিক্রম করে।
২০১১ সালের ৩১ জুলাই সূচক ছিল ৬ হাজার ৪৫৯ পয়েন্ট।
২০২০ সালে মাঝামাঝি সময়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি নতুন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন আস্থায় জেগে ওঠে বিনিয়োগ পরিবেশ।
কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ গত জানুয়ারির শেষে গাজীপুরে এক অনুষ্ঠানে ৩ হাজার কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হওয়ার আশা করেছিলেন। পরে বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, তারা বন্ড মার্কেটকে চাঙা করার চেষ্টা করছেন। অন্যান্য শেয়ারের পাশাপাশি বন্ডগুলোও বাজারে ট্রেড হলে লেনদেন ৫ হাজার কোটি টাকাও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লেনদেনে বাড়ছে মানে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হচ্ছে। এর মানে এই না যে শুধু বিনিয়োগ হচ্ছে, মুনাফাও হচ্ছে। আর আগে যেটি হতো, মুনাফা হলেই বিনিয়োগকারীরা তা উত্তোলন করে নিয়ে নিতেন।
‘কিন্তু এখন সেটি হচ্ছে না। মুনাফা হলেও বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগ করছেন। উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছেন না।’
তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ হারিয়ে যাওয়ার যে আতঙ্ক আগে ছিল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে, তা এখন নেই। এমনকি লসে শেয়ার বিক্রির প্রবণতাও অনেকটাই কেটেই গেছে। এর জন্য নতুন কমিশন পুঁজিবাজারের জন্য যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তার প্রতিফলনও এটি।
‘এ ছাড়া আইপিও মার্কেট ছিল বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজার থেকে মুনাফা নেয়ার প্রধান মাধ্যম। এখন আনুপাতিক হারে শেয়ার বণ্টন হওয়ায় আইপিওতেই যারা বিনিয়োগ করতেন, তারা সেখান থেকে বের হচ্ছেন। এ ছাড়া আইপিও আবেদন করার জন্যও যে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে, সে সিদ্ধান্তও পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগ আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।’
লেনদেন পরিসংখ্যান
২৯ এপ্রিল পুঁজিবাজারে লেনদেন হয় ১ হাজার ১৭২ কোটি টাকা। যদিও এর আগে ২৫ ও ২৬ এপ্রিল যথাক্রমে ১ হাজার ১৮৮ ও ১ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এরপর ২৭ ও ২৮ এপ্রিল লেনদেন হাজার কোটি টাকা থেকে নেমে আসে ৯৪০ কোটি টাকায়।
মূলত ২৯ এপ্রিল থেকে টানা হাজার কোটি টাকা লেনদেনের পথে হাঁটতে শুরু করে পুঁজিবাজার।
এ সময়ে ১১০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে তিন দিন। ২৯ এপ্রিল লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৭২ কোটি টাকা। ৩ মে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা। এই সময়ে সবচেয়ে কম লেনদেন হয়েছে ২৯ জুন ১ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা।
১২০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে এক দিন ১৯ জুলাই। এদিন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা।
১৩০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে চার দিন। ৪ মে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা। ৫ মে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। ৯ মে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। ২৮ জুন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা।
১৪০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে আট দিন। ২ মে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা। ৬ মে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। ১১ মে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। ১২ মে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। ১৬ মে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা। ২৩ মে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা। ৩০ জুন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা। ৮ জুলাই লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা।
১৫০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে পাঁচ দিন। এর মধ্যে ১৭ মে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা। ২৪ জুন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা। ৫ জুলাই লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা। ৭ জুলাই লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। ১২ জুলাই লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা।
১৬০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে তিন দিন। এর মধ্যে ২০ মে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা। ১৩ জুন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। ১৪ জুন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা।
১৭০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে সাত দিন। এর মধ্যে ১৮ মে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। ৩১ মে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। ১৪ জুন ও ২৭ জুন একই লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। ৬ ও ১৫ জুলাইও একই ১ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ১৮ জুলাই লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
১৮০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে ২৪ মে। এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮২০ কোটি টাকা। ১৭ জুন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা। ২০ জুন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।
১৯০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে ১ জুন, এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা।
২ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে ১৯ মে ২ হাজার ৯৯ কোটি, ২৫ মে ২ হাজার ৮ কোটি, ৭ জুন ২ হাজার ৮৩ কোটি, ৮ জুন ২ হাজার ৬৫ কোটি, ১৩ জুন ২ হাজার ৬৯ কোটি, ১৫ জুন ২ হাজার ৩২ কোটি, ২১ জুন ২ হাজার ৪৩ কোটি, ২২ ও ২৩ জুন যথাক্রমে ২ হাজার ১৭ কোটি ও ২ হাজার ৩০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
২১০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে ৩০ মে, এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। ৩ জুন লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৮২ কোটি টাকা। ১৬ জুন লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১০৯ কোটি টাকা।
২২০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ২ জুন ২ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। ২৩০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ২৭ মে, ২ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। ২৬০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ৬ জুন, ২ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা। এই সময়ের মধ্যে পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ৯ জুন।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য