× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
The dream of a stable capital market is growing
google_news print-icon

বড় হচ্ছে স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের স্বপ্ন

বড়-হচ্ছে-স্থিতিশীল-পুঁজিবাজারের-স্বপ্ন
ব্যক্তিশ্রেণির বড় বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও সক্রিয় হচ্ছে। এ কারণে এক দশকে লেনদেনের রেকর্ড ভেঙেছে একাধিকবার। ঈদের ছুটির পর ভেঙেছে এক দশকে মূল্যসূচকের রেকর্ডও। বিমা, বস্ত্র, প্রকৌশল, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত এখন চাঙা। ব্যাংক, জ্বালানি এবং ওষুধ খাতে চাঙাভাবের লক্ষণ স্পষ্ট। এই তিনটি খাত এগিয়ে গেলে পুঁজিবাজারে দীর্ঘ হতাশা দূর হওয়ার আশা করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নানা উদ্যোগ আর সিদ্ধান্তের ফল মিলতে শুরু করেছে। বাজারে লেনদেন হচ্ছে নিয়মিত হাজার কোটি টাকার বেশি। সেটি প্রায়ই দেড় বা দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিন টানা বাড়লে পরে দর সংশোধনে কিছুটা ধীরগতি থাকলেও সূচকের সেভাবে পতন হচ্ছে না।

এর কারণ, বাজার বাড়ছে বিভিন্ন খাত ধরে। একটি খাত টানা বেড়ে সূচকের উত্থান হলে সেই খাতের শেয়ারগুলো যখন সংশোধনে যাচ্ছে, তখন দেখা যাচ্ছে, অন্য খাতের শেয়ারগুলোর দর বাড়ছে।

আবার সংশোধন কাটিয়ে যখন আবার বাজার উত্থান পর্বে ফিরছে, তখন কয়েকটি খাত একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ায় সূচক আরও বাড়তে শুরু করছে।

২০১০ সালের মহাধসের পর ২০১৩, পরে ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে অল্প কয়েক মাসের জন্য উত্থান হলেও সেটি এবারের মতো স্থায়ী হয়নি। লেনদেনের গতি ধরে রাখতে না পারাই এর কারণ।

কিন্তু এবার লেনদেনের গতি চমৎকার। ব্যক্তিশ্রেণির বড় বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও সক্রিয় হচ্ছে। এ কারণে এক দশকে লেনদেনের রেকর্ড ভেঙেছে একাধিকবার। ঈদের ছুটির পর ভেঙেছে এক দশকে মূল্যসূচকের রেকর্ডও।

তবে এই উত্থান পর্ব ঘটেছে প্রথমে বিমা, পরে বস্ত্র, এরপর প্রকৌশল ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত দিয়ে। তবে বাজার মূলধনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখা ব্যাংক, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ার দরে চাঙাভাব দেখা দেয়ার প্রবণতা দেখা গেলেও পরে স্থায়ী হয়নি। আর এই তিনটি খাত এখনও বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে। যদি এই তিনটি খাতে চাঙাভাব দেখা দেয়া খাতের মতো উত্থান হয়, তাহলে পুঁজিবাজারকে নিয়ে দীর্ঘ হতাশা দূর হয়ে যেতেই পারে।

২০২১ সালের লেনদেন শুরু হয়েছিল ৫ হাজার ৬১৮ পয়েন্ট দিয়ে। লেনদেন ছিল ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকার বেশি। তবে জানুয়ারিতে মার্জিন ঋণের সুদহার ১২ শতাংশ নির্দিষ্ট করে দেয়া নিয়ে টানাপোড়েন, এরপর এপ্রিলের শুরুতে লকডাউনে বাজার খোলা থাকে কি না, এ নিয়ে সংশয়ে তিন মাসের মধ্যে তা ৫ হাজার ৮৮ পয়েন্টে নেমে আসে।

২০২০ সালের জুলাইয়ে উত্থানের প্রথম পর্ব শেষে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় এপ্রিলের শুরু থেকে। একপর্যায়ে ৩৯ মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো ৬ হাজার পয়েন্টে পৌঁছে গত ৩০ মে। এরপর এক মাস সেখানে টিকে থাকার লড়াই করেছে।

জুনের এই মাসটিই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ৬ হাজার পয়েন্টে সূচক টিকে থাকা নিয়ে যে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই শুরু হয়েছিল, সেখানে সূচক দু-এক দিনের জন্য নিচে নামলেও পরে আবার তা ওপরে উঠে যায়। এর মধ্যে জুন ক্লোজিং শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে একপর্যায়ে ঈদের আগে তা ৬ হাজার ৪০০ পয়েন্টের ঘর অতিক্রম করে, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানের কাছাকাছি।

বড় হচ্ছে স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের স্বপ্ন

বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন, করোনায় ব্যাংক খাতকে ঘিরে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল, বিপুল পরিমাণ মুনাফা আর বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার বেশি লভ্যাংশ দিয়ে সেটি দূর করে দিয়েছে এই খাত। ফলে এই খাত ‍ঘুরে দাঁড়ালে সেটির প্রভাব পড়বে গোটা বাজারেই।

আর করোনায় জ্বালানি খাত খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও কেপিসিএলের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গেলে এই খাতও ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করা ওষুধ খাতের বড় কোম্পানিগুলোতে এরই মধ্যে বিনিয়োগকারীরা যে বিনিয়োগ বাড়াছেন, সেটি স্পষ্ট।

এই তিনটি খাত যদি এগিয়ে যায়, তাহলে পুঁজিবাজারের নতুন উচ্চতায় পৌঁছা সময়ের ব্যাপার বলেই মনে করেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ঈদের আগে ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্টের যে আরও একটি মনস্তাত্ত্বিক বাধা ছিল, সেটি অতিক্রম করে যাওয়া ইতিবাচক।

পুঁজিবাজারে ৩৮৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ২২ খাতে বিভক্ত। এর মধ্যে তিন শরও বেশি কোম্পানি মুনাফায়। লোকসানি ও বন্ধ কোম্পানিগুলোতে সুশাসন ফেরাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি যে পদক্ষেপ নিয়েছে, এমন ভূমিকা এর আগে কখনও দেখা যায়নি।

যেসব কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সুশাসন বজায় রাখতে বা কোম্পানিকে মুনাফায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে, সেগুলোকে ডেকে কথা বলছে বিএসইসি। বেশ কিছু কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন করে দেয়া হয়েছে, আরও কিছু কোম্পানির ক্ষেতে একই ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ফলে লোকসানি কোম্পানির সংখ্যাও আগামীতে কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ ছাড়া বাজারে তারল্যসংকট কমাতে অবণ্টিত মুনাফা নিয়ে একটি বড় আকারের তহবিল গঠনের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে ২১ হাজার কোটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি অর্থ ও শেয়ার চলে এলে এই তহবিল কাজ শুরু করবে। এর ৪০ শতাংশ শেয়ারে আর ৫০ শতাংশ মার্জিন ঋণে বিনিয়োগ করা হবে।

এই তহবিল বাজারে সংকটকালে সাপোর্ট দেবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি ও তহবিলের ট্রাস্টি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ বা আইসিবি। এ ছাড়া এক বিলিয়ন ডলারের একটি বন্ড ছাড়ার চেষ্টা চলছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর উপায় খোঁজা হচ্ছে, আর ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের তহবিল থেকেও শেয়ার কেনা হচ্ছে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভালো কোম্পানির উত্থান হলে সূচক ছয় থেকে সাত হাজারে গেলেও সেটি স্থিতিশীল থাকবে। কিন্তু দুর্বল কোম্পানির হাত ধরে সূচক যতই ওপরে উঠুক, সেটি স্থিতিশীল হবে না।’

কোন কোন খাত এ সময় ভালো ভূমিকা রাখতে পারে, প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ব্যাংক আছে, মিউচ্যুয়াল ফান্ড আছে, জ্বালানি ও ওষুধ খাত আছে। এ ছাড়া মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বাড়লে ভালো পুঁজিবাজার পাওয়া কঠিন কিছু হবে না।’

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, ‘এখন সব খাত মুভিং। সব খাতের অংশগ্রহণেই পুঁজিবাজারের উত্থান হচ্ছে। এ ছাড়া আগামীতে পুঁজিবাজার কোন অবস্থানে যাবে, সেটি বিনিয়োগকারীদের আস্থার ওপর নির্ভর করছে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান কমিশন যেভাবে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে, তাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার কোনো কিছু দেখছি না। তারপরও সব সময় মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে।’

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্যের সভাপতি আ ন ম আতাউল্লাহ নাঈম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সূচকের উত্থান-পতন পুঁজিবাজারে থাকবেই। তবে এই সূচক হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের মনস্তাত্ত্বিক একটি বিষয়। সূচক যদি টানা পতন হয়, তাহলে এমনও বিনিয়োগকারী আছে যারা লোকসানে শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগ সুরক্ষার জন্য। কিন্তু সে যদি শেয়ার ধরে রাখে তাহলে একসময় না একসময় সেটি থেকে লাভসহ রিটার্ন পাওয়া সম্ভব।’

তিনি মনে করেন, বাজার অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল হওয়ার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও পরিপক্বতা এসেছে। তারা কিছু হলেই এখন শেয়ার বিক্রি করে বাজারে আতঙ্ক তৈরি করেন না।

বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামও সম্প্রতি এই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, পুঁজিবাজার অনেক ভালো হবে। বিনিয়োগকারীরা যাতে আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি না করেন।

বিনিয়োগকারীদের সংগঠনের নেতা আতাউল্লাহ নাঈম বলেন, ‘বর্তমান কমিশন যদি এই আস্থা ধরে রাখতে পারে, তাহলে অবশ্যই এই পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগাকরীরা বিনিয়োগ সুরক্ষাসহ ভালো মুনাফা নিতে পারবে।’

রাজ্জাক সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী মোজাম্মেল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে যেভাবে উত্থান হচ্ছে, তাতে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতাই বেশি। ছয় হাজারে সূচক যেহেতু দেড় মাসের বেশি সময় ধরে টিকে আছে, সেহেতু সাত হাজার পয়েন্টে সূচকও প্রত্যাশা করা যায়।’

আরও পড়ুন:
লাফার্জহোলসিমের নতুন মোড়ক উন্মোচন
পুঁজিবাজার: রোববার থেকে ৫ আগস্ট লেনদেন ১টা পর্যন্ত
বিএসইসির একটি ভালো উদ্যোগের সুযোগ নিয়ে ‘কারসাজি’
এবার ১০ বছরের সর্বোচ্চ অবস্থানে পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে উচ্ছ্বাসের মধ্যেও ভয় ‘দুর্বল কোম্পানি’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Capital Market Most companies have decreased major collapse in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Transaction in Dhaka is going on in Chittagong

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মন্তব্য

p
উপরে