× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
ওটিসি থেকে ফিরেই ছয় গুণ দাম
google_news print-icon

ওটিসি থেকে ফিরেই ছয় গুণ দাম

ওটিসি-থেকে-ফিরেই-ছয়-গুণ-দাম
গত ১৩ জুন ওটিসি থেকে ফেরা চার কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির চিত্র
ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে ফেরার পর পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে তিন কোম্পানি তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, মনোস্পুল পেপার ও পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং। একইভাবে ছুটতে থাকা মুন্নু ফেব্রিক্স অবশ্য এরই মধ্যে বিনিয়োগকারীদেরকে বিপুল পরিমাণ লোকসান ফেলেছে। এর আগেও যতগুলো কোম্পানি ফিরেছিল, তার প্রায় সবগুলোর ক্ষেত্রেই একই চিত্র দেখা গেছে। ফেরার পর দাম আকাশচুম্বি হয়ে পড়ে বিনিয়োগকারীদের লোকসানে ফেলেছে সবগুলো।

কোম্পানি বন্ধ, লোকসান, লভ্যাংশ না দেয়া, পুঁজিবাজারের আইন অমান্যের কারণে মূল বাজার থেকে ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি মার্কেট থেকে ফেরার পর শেয়ার দরে উল্লম্ফনের যে প্রবণতা, তা দেখা গেল আবার।

গত ১৩ জুন ওটিসি থেকে ফেরার পর চারটি কোম্পানির মধ্যে তিনটির দর বেড়েছে ব্যাপক হারে। এর মধ্যে একটির দর ছয় গুণ হয়ে গেছে।

এর আগেও এই প্রবণতা দেখা গেছে। আর দাম বাড়তে বাড়তে আকাশচুম্বী হয়ে যাওয়ার পর একপর্যায়ে যখন দাম কমে আসে, তখন শেয়ারধারীরা বিপুল লোকসান করেছেন।

যে চারটি কোম্পানি এবার মূল মার্কেটে এসেছে, তার মধ্যে একটি শেয়ারের দর সাড়ে তিন গুণের বেশি বেড়ে যাওয়ার পর আরও বাড়বে ভেবে কিনে ব্যাপক লোকসানে আছেন বিনিয়োগকারীরা।

মুন্নু ফেব্রিক্স, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, মনোস্পুল পেপার ও পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড ওটিসি মার্কেট থেকে ফিরে জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরুর পর বেশ কয়েক দিন প্রতিদিনই আগের দিনের তুলনায় ১০ শতাংশ করে বেড়েছে।

কোম্পানিগুলোর সম্পদমূল্য বেশ ভালো থাকলেও তিনটির আয় একেবারেই নগণ্য। আর শেয়ার দরের সঙ্গে আয়ের তুলনা করে যে মূল্য আয় অনুপাত দেখানো হয়, সেটি অনেক বেড়ে গেছে।

এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওটিসি থেকে যে কোম্পানি ফিরে আসে সেটি আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে ভালো করছে। কিন্তু সেটি কি মূল মার্কেটে আগে থেকে আছে, সেসব কোম্পানির চেয়ে ভালো?’

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বিষয়টি দেখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘বিমার শেয়রের দাম যখন হু হু করে বেড়েছে, তখনও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছে সেখানে কোনো কারসাজি হয়নি। এখন কিন্তু অনেক বিনিয়োগকারীর টাকা বিমা খাতের শেয়ারে আটকে গেছে। আর ওটিসি মার্কেট থেকে ফিরে ছয় গুণ দর বৃদ্ধি পাওয়ার পরও সেখানে যদি কারসাজির কিছু না পাওয়া যায়, তাহলে সেটি হতাশাজনক।’

দুর্বল কোম্পানি, জেড ক্যাটাগরি থেকে ভালো ক্যাটাগরিতে যাচ্ছে, কিংবা ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে আসছে এমন কোম্পানির শেয়ার দরে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করেন পুঁজিবাজারের এই বিশ্লেষক।

সবচেয়ে বেশি বেড়েছে তমিজউদ্দিনের দর

ওটিসিতে ফিরে দর বৃদ্ধির শীর্ষে আছে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল। দেড় মাসেরও কম সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৬২৫ শতাংশ।

শেয়ার দর ১২ টাকা নিয়ে ফেরা তজিমউদ্দিনের শেয়ার প্রথম দিনই ১০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ টাকা ২০ পয়সা। ঈদের আগে তা দাঁড়ায় ৮৭ টাকায়। তবে এটিই সর্বোচ্চ দর নয়। ৯৪ টাকা ৭০ পয়সাও উঠেছিল দাম।

১৩ জুন থেকে টানা ২১ কর্মদিবস দিনের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে কোম্পানিটির শেয়ার। ২২তম কর্মদিবসেও আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ দাম বেড়ে গিয়েছিল। পরে কিছুটা কমে।

সম্প্রতি যে চারটি কোম্পানি ওটিসি থেকে ফিরেছে, তার মধ্যে তমিজউদ্দিনেরই শেয়ারপ্রতি আয় সবচেয়ে বেশি। গত জুন থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৯৮ পয়সা।

তবে এই আয়ের বিপরীতে কোম্পানিটির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমানে তা ৬৬.৫৮। অর্থাৎ এই হারে আয় করে গেলে শেয়ার দর ৮৭ টাকা আয় করতে এত বছর লাগবে।

পুঁজিবাজারে ২৫ পর্যন্ত পিইকে গ্রহণযোগ্য ধরা হয়। আর ৪০ পিইর বেশি কোম্পানিগুলোর শেয়ার কিনতে ঋণ সুবিধাও পাওয়া যায় না।

১৯৯২ সালে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটি ২০০৯ সালে ওটিসিতে পাঠানোর পর সুশাসনে উন্নতি হয়। ২০১১ সালে ১০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ২০ শতাংশ, ২০১৮ সালে ২৫ শতাংশ, ২০১৯ সালে ২৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ আর আর ২০২০ সালে ১০ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ১ টাকা নগদ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে তারা।

এই কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য বেশ আকর্ষণীয়; ৮০ টাকা। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ার সম্পদমূল্যের দিক দিয়ে এরা এগিয়ে।

ছয় গুণ বাড়ল পেপার প্রসেসিংয়ের দরও

চারটি কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাগজ খাতের কোম্পানি পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের দাম। ১৩ জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৬০৩.৭৫ শতাংশ।

টাকা ২২ কর্মদিবস এই কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। দেশের পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে এটি রেকর্ড। এর আগের রেকর্ড ছিল রবির, যেটি বাড়ে ১৩ কর্মদিবস।

১৬ টাকা দিয়ে মূল মার্কেটে ফেরা কোম্পানিটির শেয়ার প্রথম দিন ১০ শতাংশ বেড়ে হয় ১৭ টাকা ৬০ পয়সা। সর্বশেষ কার্যদিবস সোমবার শেয়ারপ্রতি দর দাঁড়িয়েছে ১১২ টাকা ৬০ পয়সা।

এর মধ্যে ১৩ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিনই দিনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে দাম দাঁড়ায় ১২৭ টাকা ৩০ পয়সা। পরে একপর্যায়ে ১৩৬ টাকা ৮০ পয়সাও হয়েছিল। এরপর দাম কিছুটা কমে হয় ১৩০ টাকা ২০ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার কেবল ১৩ ‍গুণ নয়, এর চেয়ে বেশি দামও আছে। তবে এই শেয়ারটির আয়ের বিপরীতে দাম যে বেশি, সেটি মূল্য আয় অনুপাত বা পিই দিয়েই বোঝা যায়।

জুন ক্লোজিংয়ের এই কোম্পানিটির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী গত মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি আয় আছে ৪৪ পয়সা। এই হারে আয় করতে থাকলে বর্তমান শেয়ার দর ওঠাতে সময় লাগবে ২২১.৯৩ বছর।

পুঁজিবাজারে নিয়মিত লভ্যাংশ দেয়, এমন কোম্পানিরও এই পিই আছে ৩-এর নিচে।

কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য অবশ্য আকর্ষণীয়; গত বছরের নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী একেকটি শেয়ারের বিরপীতে সম্পদ আছে ৮৩ টাকা ৯৫ পয়সা।

৩৭ লাখ ২৯ হাজার ৬০০টি শেয়ারে বিভক্ত কোম্পানিটির রিজার্ভে আছে ২৪ কোটি টাকা।

মনোস্পুলের দর তিন গুণ

কাগজ খাতের বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডও তিন গুণের বেশি দামে লেনদেন হচ্ছে এখন।

শেয়ারপ্রতি ৫০ টাকা দর নিয়ে লেনদেন শুরুর করার প্রথম দিনই ১০ শতাংশ বেড়ে হয় ৫৫ টাকা। এরপর আরও ১২ কর্মদিবস শেয়ার দর বেড়েছে দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই, অর্থাৎ ১০ শতাংশের আশপাশে।

টানা ১৩ কর্মদিবস হলট্রেড হয়ে ২৯ জুন দাম হয় ১৭১ টাকা ৯০ পয়সা। এরপর তা ১৮৯ জনে পৌঁছায় একপর্যায়ে। কিন্তু এরপর কমে যায়। ৩০ জুন থেকে ওঠানামা করে এখন দাম ১৬৯ টাকা ১০ পয়সা।

এই কয় দিনে দাম বেড়েছে ১১৯ টাকা ১০ পয়সা বা ২৩৮ দশমিক ২০ শতাংশ।

চলতি বছর প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় মাত্র ২৯ পয়সা। আয় বাড়াতে না পারলে বর্তমান শেয়ারমূল্য তুলতে সময় লাগবে ৪৫২.৯৫ বছর।

৯২ হাজার ১৮৬টি শেয়ারে বিভক্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য বেশ ভালো; ১২৫ টাকা ৬১ পয়সা। তবে আর্থিক ভিত্তির অন্য সূচকগুলো খুব একটা ভালো নয়।

কোম্পানিটির রিজার্ভে আছে ৩৫ কোটি টাকা। গত বছর শেয়ারপ্রতি ৯০ পয়সা নগদের পাশাপাশি ৮ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছে তারা।

মুন্নু ফেব্রিক্সে এরই মধ্যে লোকসান

তিন প্রান্তিকে মাত্র ৪ পয়সা আয় নিয়ে মূল মার্কেটে লেনদেন শুরু করা মুন্নু ফেব্রিক্সও পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে ছুটতে এরই মধ্যে লোকসানে ফেলেছে বিনিয়োগকারীদের।

টানা ১৫ কর্মদিবস টানা প্রায় ১০ শতাংশ করে বেড়ে ১০ টাকার শেয়ার ৩০ জুন একপর্যায়ে ৩৭ টাকা ২০ পয়সা উঠে যায়। তবে সেদিনই আবার ৩৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সকালে প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে আবার প্রায় ১০ শতাংশ কমে ৩০ টাকা ৬০ পয়সায় নেমে আসে।

অর্থাৎ সেদিন যারা সর্বোচ্চ দামে শেয়ারটি কিনেছিলেন, এক দিনেই প্রায় ২০ শতাংশ লোকসানে পড়েন। এরপর এই লোকসান কেবল বেড়েছেই।

সেদিনের পর আরও টানা ছয় কর্মদিবস কমে ১৩ জুলাই দাম দাঁড়ায় ২৩ টাকা ৫০ পয়সায়। এরপর দুই দিন কিছুটা বেড়ে ২৬ টাকা ১০ পয়সায় উঠলেও ঈদের ছুটির আগে আবার দুই দিন কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৮০ পয়সা। শতকরা হিসেবে দাম বেড়েছে ১৪৮ শতাংশ।

কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ২৭ টাকা ৩০ পয়সা হলেও এর যে আয় সেটি বাড়াতে না পারলে বর্তমান শেয়ার দরের সমান আয় করতে সময় লাগবে ৪৬৫ বছর।

ওটিসি থেকে ফেরা কোম্পানির আগের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়

এর আগেও যেসব কোম্পানি ওটিসি থেকে ফিরেছে, তার প্রতিটির দর এবারের চারটির মতোই বেড়েছে। মুন্নু যেসব তার শেয়ারধারীদের বিপুল লোকসানে ফেলেছে, একইভাবে লোকসানে ফেলেছে আগের সবগুলো।

ইউসিবিএল

২০০৯ সালে ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি থেকে ফেরার পর ব্যাংক খাতের এই কোম্পানিটি ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। শেয়ার দর একপর্যায়ে ছাড়ায় সাড়ে তিন হাজার টাকা।

সে সময় শেয়ারের ফেসভ্যালু ছিল ১০০ টাকা। এখন ১০ টাকা। এই হিসাবেও দাম ছাড়ায় ৩৫০ টাকা।

তখন ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ছিল কম, শেয়ারসংখ্যা ছিল সীমিত। পরে বোনাস শেয়ার নিয়ে শেয়ার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

তবে সেই হিসাব ধরলেও এখন শেয়ার দর ৮ ভাগের ১ ভাগ মাত্র। ঈদের ছুটির আগে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে হয়েছে ১৬ টাকা ১০ পয়সা।

ওয়াটা কেমিক্যালস

২০১৪ সালে ওটিসি থেকে মূল বাজারে আসে ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেড। মূল মার্কেটে আসার আগে শেয়ার মূল্য ছিল ৫০ টাকার আশপাশে। মার্কেটে আসার পর ১২ কর্মদিবসে লেনদেন হয় কেবল দুই দিন। পরে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ মে কোনো মূল্যসীমা না থাকার সুযোগে সেদিন দাম বেড়ে হয় ৪৮৫ টাকা। এক দিনেই বাড়ে ৭৩৫ শতাংশ। আগের দিন দাম ছিল ৫৯ টাকা।

সেখানেই থেমে থাকেনি। একপর্যায়ে তা এক হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়।

এর পরের বছর ২৫ শতাংশ, পরের বছর ১০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৫ শতাংশ, পরের বছর ৩০ শতাংশ, ২০১৯ সালে ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়া কোম্পানিটির শেয়ার দর এখন ২৯৯ টাকা ৭০ পয়সা। সব বোনাস শেয়ার হিসেবে নিলেও এখন দাম ৮২৫ টাকা দাঁড়ায়। অর্থাৎ সাত বছর রেখেও কোনো মুনাফা পাননি বিনিয়োগকারীরা।

ওটিসি থেকে ফেরা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর আকাশচুম্বী হয়ে পরে ধসের কারণে ব্যাপক লোকসান হয়েছে বিনিয়োগকারীদের।

কোম্পানিটি গত ৩১ জানুয়ারি তাদের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ করেছে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৩১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪ টাকা ১১ পয়সা।

গত দুই বছরের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর ওঠে ২০১৯ সালে ১০ অক্টোবর ৬৯১ টাকা ৬০ পয়সা। এরপর এই সময়ে আর কখনও এই দরে লেনদেন হয়নি।

আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ

২০১৮ সালে ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে আসার পরই আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার দর ১৩০ টাকায় শুরু হয়ে ১৪৩ টাকায় লেনদেন হয়। এরপর আরও বেড়ে ১৮০ টাকাও ছাড়িয়ে যায়।

কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ার দর ৩৬ টাকা ৯০ পয়সা। তাও কিছুটা ভদ্রস্ত দেখাচ্ছে। এক মাসে সর্বনিম্ন দাম ছিল ২২ টাকা ৯০ পয়সা।

গত দুই বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৬৩ টাকা ২০ পয়সা।

মূল মার্কেটে ফেরার পর একবার ১০ শতাংশ এবং একবার ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছে আলিফ। অর্থাৎ বোনাস শেয়ার পেয়েও বিনিয়োগকারীরা তাদের লোকসান কাটাতে পারেননি।

সোনালী পেপার

সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ডমিল ২০১৯ সালের ২ জুলাই থেকে মূল মার্কেটে লেনদেন হচ্ছে। মূল বাজারে ফিরিয়ে আনতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ধরা হয় ২৭৩ টাকা। পরে বাড়তে বাড়তে দাম দাঁড়ায় ৩৫০ টাকায়।

এক বছরের মধ্যে দাম কমে গত ২৭ জুন দাঁড়ায় ১৯৭ টাকা ৪০ পয়সায়। অবশ্য এর পরে তিন সপ্তাহে অবিশ্বাস্য উত্থান ঘটে শেয়ারটির। ঈদের ছুটির আগে দাম দাঁড়ায় ২৯৭ টাকা ১০ পয়সা। এই কয় দিনে দাম প্রায় ১০০ টাকা বেড়েছে।

আর মূল মার্কেটে আসার পর দুবারে ১০ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার দিয়েছে তারা।

গত ২৫ এপ্রিল কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরে তৃতীয় প্রান্তিকের যে হিসাব প্রকাশ করেছে, তাতে শেয়ার দর যে অতিমূল্যায়িত, তা বোঝাই যায়।

বছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ২৯ পয়সা।

এই হারে আয় করলে কোম্পানিটির বর্তমান মূল্য তুলতে সময় লাগবে ৬৮ বছর।

অবশ্য এটাও ঠিক যে, এর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য অনেক। সব শেষ নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী ১০ টাকার শেয়ারে সম্পদমূল্য আছে ৩০৭ টাকা ৮৮ পয়সা।

কোম্পানিটি তাদের নতুন প্রোডাকশন লাইন চালুর ঘোষণা দিয়েছে। জানানো হয়েছে, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপার বক্স তৈরির এই নতুন লাইনের উৎপাদনক্ষমতা প্রতিদিন এক লাখ পিস এবং তারা এও জানিয়েছে যে, নতুন উৎপাদন লাইনের যে উৎপাদনক্ষমতা তার পুরোটাই ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন:
ওটিসি থেকে ফিরেই ছয় গুণ দাম
ওটিসি থেকে ফিরেই ধামাকা, পরে হতাশা
ওটিসি থেকে ফিরেই নাগালের বাইরে চার কোম্পানি
সোনালী পেপার: ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে ফিরেই চমক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
Expulsion of 64 BNP leaders with show cause notice 5
উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ

বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, বহিষ্কার ৫

বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, বহিষ্কার ৫
বিএনপির নেতাদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কারণ দর্শানো নোটিশ সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে তাকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জনের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ইতোমধ্যে পাঁচ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সূত্রের উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, নির্বাচনে অংশ নেয়া নেতাদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, কারণ দর্শানো নোটিশের সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হওয়া নেতাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন সহ-দপ্তর সম্পাদক জানান, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বিএনপির ৬৪ জন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

এর আগে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে যেকোনো নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপির হাইকমান্ড।

এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ইতোমধ্যে পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সল চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সহ-সভাপতি সাদেক আলী, উত্তর চট্টগ্রামের চিকনন্দী ইউনিয়নের সহকারী আহ্বায়ক রাশেদ আলী মাহমুদ, কক্সবাজার জেলা বিএনপি নেতা জহুরুল আলম ও কক্সবাজার জেলা মৎস্যজীবী দলের নেতা এম হান্নান মিয়াকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হলেন সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুফাতো ভাই

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Fake juice ice cream was being made in the army mans establishment

সেনা সদস্যের প্রতিষ্ঠানে তৈরি হচ্ছিল নকল জুস আইসক্রিম

সেনা সদস্যের প্রতিষ্ঠানে তৈরি হচ্ছিল নকল জুস আইসক্রিম ছবি: নিউজবাংলা
আব্দুস সালামের বাবা ওহাব আলী বলেন, ‘আমার ছেলে ছুটিতে এসে এই কারখানাটি দিয়েছিল। এখনও সরকারিভাবে অনুমোদন পাইনি। তবে অল্পদিনেই লাইসেন্স হাতে পাওয়ার কথা রয়েছে।’

মেহেরপুরে নকল মোড়ক বানিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির ভেজাল মানহীন আইসক্রিম, রোবো, আইস ললি ও জুস বানানো কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় এসব নকল খাদ্যপণ্য তৈরি ও বিক্রি করার অপরাধে আইকন আইসক্রিম ফুড ও বেভারেজ কোম্পানির ম‍্যানেজার লিখন আহমেদকে ৫০ হাজার টাকা এবং জব্দকৃত মালামাল ধ্বংস করার পাশাপাশি কারখানিটি বন্ধ সাময়িক রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুরে জেলার গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের হাড়াভাঙ্গা মোল্লাপাড়ার আব্দুস সালামের বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়।

কোম্পানির মালিক আব্দুস সালাম পেশায় একজন সেনা সদস্য।

অভিযান পরিচালনা করেন জেলা ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা সজল আহমেদ।

এসব তথ‍্য নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মোল্লা পাড়ার সেনা সদস্য আব্দুস সালামের বাড়িতে বিভিন্ন কোম্পানির নকল মোড়ক বানিয়ে কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে, নকল আইস ললি, রোবো, জুস ও আইসক্রিমসহ শিশুখাদ‍্য যা দণ্ডনীয় অপরাধ।

‘আমরা এ ভেজাল কারখানায় অভিযান চালিয় নকল এসব পণ‍্য ও পণ‍্য তৈরিতে ব‍্যবহৃত কেমিক্যাল জব্দের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার লিখন আহমেদ আটক করে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করাসহ জব্দকৃত মালামাল নষ্ট করার পাশাপাশি কারখানাটি বন্ধের নির্দেশ দেই।’

আইকন ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ম‍্যানেজার লিখন আহমেদ বলেন, ‘আমার মহাজন সালাম মিলিটারি মাস ছয়েক হবে কারখানাটি চালু করেছেন। উনি ফোনের মাধ‍্যমে ব‍্যবসার দেখভাল করেন। আমরা এই কারখানায় আইস ললি, রোবো, জুস ও আইসক্রিম তৈরি করে কয়েকটি জেলায় বিক্রি করতাম। আজ অভিযানের পর বুঝতে পারলাম এ পণ‍্যগুলো বিক্রি ও বানানো অপরাধ।’

আব্দুস সালামের বাবা ওহাব আলী বলেন, ‘আমার ছেলে ছুটিতে এসে এই কারখানাটি দিয়েছিল। এখনও সরকারিভাবে অনুমোদন পাইনি। তবে অল্পদিনেই লাইসেন্স হাতে পাওয়ার কথা রয়েছে।’

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Naogaon madrasa girl teacher in jail in attempted rape case

নওগাঁয় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষক কারাগারে

নওগাঁয় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষক কারাগারে ছবি: নিউজবাংলা
এদিন আসামির উপস্থিতিতে তাকে দেয়া সাজার রায় পড়ে শোনানো হয় এবং শেষে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক।

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার উত্তর পাকুরীয়া গ্রামের এক নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলায় এক মাদ্রাসা শিক্ষককে দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে।

নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার বুধবার এ রায় দেন। জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগী ছাত্রীকে প্রদানের নির্দেশ দেন বিচারক।

দণ্ডাদেশ পাওয়া ওই শিক্ষকের নাম আবুল হাসান। ২৫ বছর বয়সী আবুল হাসান বদলগাছী উপজেলার উত্তর পাকুরীয়া গ্রামের বাসিন্দা ও একটি মাদ্রাসার আরবি বিষয়ের শিক্ষক।

আদালত সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ছয়টার সময় নয় বছর বয়সী ওই মেয়েটি একই গ্রামের আরবি শিক্ষক আবুল হাসানের বাড়িতে আরবি পড়তে যায়। সে সময় অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা না আসায় তাকে একা পেয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর মা বদলগাছী থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা মেলায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালত আট জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।

এদিন আসামির উপস্থিতিতে তাকে দেয়া সাজার রায় পড়ে শোনানো হয় এবং শেষে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আজিজুল হক ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামলা পরিচালনা করেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করে এবং আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানায়।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Human chain in front of FDC to protest the attack on journalists

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তি দাবিতে বুধবার এফডিসির সামনে মানববন্ধন করেন সাংবাদিকরা। ছবি: সংগৃহীত
মানববন্ধনে বক্তারা এফডিসিতে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেয়া জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোসহ এতে জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা।

টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজে সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাস সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেন তাদেরকে আমরা মননশীল মনে করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?

নারকীয় এই হামলায় নেতৃত্ব দেয়া জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোসহ হামলায় জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বোর নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন চারজন।

তদন্ত কমিটি

এদিকে হামলার ঘটনা তদন্তে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

দশজনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয় ও আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল ও রত্না রয়েছেন।

আরও পড়ুন:
এফডিসিতে সাংবাদিকদের বেধড়ক পেটালেন শিল্পীরা

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
4 hundred bigha of paddy was burnt by the heat of the brick kiln

ইটভাটার তাপে পুড়েছে ৪ শ’ বিঘা জমির ধান

ইটভাটার তাপে পুড়েছে ৪ শ’ বিঘা জমির ধান পুড়ে যাওয়া ধানের গোছা হাতে দাঁড়িয়ে আছেন এক কৃষক। ছবি: নিউজবাংলা
ইটভাটার মালিক রমিজ উদ্দিন রমি বলেন, ‘আগুনের তাপে ধানের ফুল আসার সময় কয়েকজন কৃষকের ফসল নষ্ট হইছে। পরে তারা ইটভাটার গেইটে তালা মেরে রাখেন।’

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ফেটালিয়া ও নাশেরা গ্রামের দুইশ’ কৃষকের প্রায় ৪ শ’ বিঘা জমির বোরো ধান ইটভাটার আগুনের তাপে নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভাটার আগুনের তেজস্ক্রিয়তায় পার্শ্ববর্তী দড়িনাশেরা গ্রামের কৃষকদেরও ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

অভিযোগ পেয়ে উপজেলা কৃষি অফিস জমির ফসল পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নির্ণয় করে তাদের ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইটভাটার চারপাশের বিপুল পরিমাণ জমির ফসল পুড়ে যাওয়ার মতো লালচে রঙ ধারণ করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন ফলজ গাছপালা ও সবজির বাগান।

স্থানীয়রা জানান, ২০১২ সাল থেকে কাপাসিয়ার তারাগঞ্জের ফেটালিয়া গ্রামে এসকেএস ইটভাটা স্থাপিত হয়। হাত বদল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামেরও পরিবর্তন হয়। তবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে কর্তৃপক্ষ ইটভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কখনও ফেটালিয়া ব্রিক ফিল্ড, ভাই ভাই ব্রিক ফিল্ড নামে ইটভাটা পরিচালনা করলেও বর্তমানে এসআরএফ নামে ইটভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বর্তমান মালিক।

তারা জানান, এ ইটভাটার ২০০ ফিট দূরত্বের মধ্যে স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও ঘনবসতি রয়েছে। ভাটার কালো ধোঁয়ায় আশপাশের গ্রামের বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছে ফুল-ফল থাকে না; সব কিছু অকালেই ঝরে যায়। প্রতি বছর যে সমস্যাটি প্রকট আকার ধারণ করে, তা হলো কালো ধোঁয়া ও তাপে পুড়ে যায় ফসলের মাঠ। এ বছরও বিস্তীর্ণ ধানের মাঠ ভাটার আগুনের তাপে পুড়ে গেছে।

ইটভাটার তাপে পুড়েছে ৪ শ’ বিঘা জমির ধান

স্থানীয় কৃষকরা জানান, অনুমোদন না থাকায় ঈদের আগে পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ইটের ভাটাটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে যায়। এই ভাটাটি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধের দাবি করে আসছিল এলাকাবাসী। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকলেও ইট পোড়ানো হয় এ ভাটায়। কয়েকদিন পরপর ইটভাটায় কয়েক দফা অভিযান পরিচালনা করে প্রশাসন, কিন্তু পরবর্তীতে ফের শুরু হয় ভাটার কার্যক্রম। তবে সেসব সময় অদৃশ্য কারণে নীরবতা পালন করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ফেটালিয়া ও নাশেরা গ্রামটি ধান উৎপাদনে ব্যাপক প্রসিদ্ধ। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষের আয়ের মূল চালিকা শক্তি ফল উৎপাদন ও কৃষির বিভিন্ন ফসল। কৃষকদের দাবি, অথচ এক ইটভাটার কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে পুরো এলাকার মানুষের।

মো. বুরুজ আলী নামের এক কৃষক বলেন, ‘আমি এ বছর পাঁচ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। ধানে দুধ আসার পরপরই ভাটার আগুনের তাপে তা পুড়ে গেছে। টাকা ধার করে জমি চাষ করেছিলাম। সেই ধারের টাকা এখন কীভাবে পরিশোধ করব, তা নিয়ে ভেবে কূল পাচ্ছি না।’

কৃষক মো. রফিকুল বলেন, ‘এ বছর ১৫ শতাংশ জমিতে ধানের চাষ করেছি। তার এক মুঠো ধানও ঘরে তুলতে পারব না। ইটভাটার আগুনের তাপে সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।

‘গরুকে খাওয়ানোর যে কুটা (খড়) লাগবে তাও পাই কিনা সন্দেহ। আগুনের তাপে ঝলসে যাওয়া কুটা গরুও খেতে চায় না। এখন গরু কী খাবে, আর আমরাই বা কী খাব?’

আবাদি জমির পাশে ইটভাটা নির্মাণ হওয়ায় প্রতি বছরই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় বলে জানান কৃষক আব্দুল হাই।

কিছুটা ক্ষোভের সুরে তিনি বলেন, ‘ভাটার আগুনের তাপ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে, যা কোনোভাবেই পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হয় না। ওই জমির ফসল দিয়েই আমাদের সারা বছরের খাওয়ার যোগান হয়। কীভাবে কী করবো বুঝতে পারছি না।’

কৃষি জমিতে কাজ করতে গিয়ে ভাটার ধোঁয়ায় জনস্বাস্থ্যেও পড়ছে বিরূপ প্রভাব। এ বিষয়ে কৃষক আব্দুল বাতেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খেতে কাজ করতে গেলেই আমার বাবার তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি।’

এই এলাকায় যেন কোনো ইটের ভাটা না থাকে, প্রশাসনের কাছে এমন দাবি রাখেন তিনি।

ইটভাটার তাপে পুড়েছে ৪ শ’ বিঘা জমির ধান

দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ফেটালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মঞ্জুর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই শতাধিক কৃষকের ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিপূরণ পেতে কৃষকরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তারা ক্ষতিপূরণ পাবে কি না এখনই বলা যাচ্ছে না।’

এ বিষয়ে ইটভাটার মালিক রমিজ উদ্দিন রমি বলেন, ‘আগুনের তাপে ধানের ফুল আসার সময় কয়েকজন কৃষকের ফসল নষ্ট হইছে। পরে তারা ইটভাটার গেইটে তালা মেরে রাখেন।’

কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমার ভাটাটি বন্ধ রয়েছে। আমি এখনও ভাটার লাইসেন্স করতে পারিনি।’

কৃষি বিভাগের ব্লক সুপারভাইজার মঞ্জুরুল আমিন সম্প্রতি কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত ফলজ গাছ ও ধানের ফসল পরিদর্শন করেছেন। সরেজমিনে তিনি কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে ও তথ্যানুসন্ধান করে জেনেছেন, স্থানীয় ইটভাটার কারণেই কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, ‘ধান পরিপুষ্ট হওয়ার আগেই নির্গত ক্ষতিকর ধোঁয়ায় সব ঝলসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের তালিকা তৈরি করে উপজেলা কৃষি অফিসে জমা দেয়া হবে।’

কাপাসিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার বসাক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Bodies of two missing fishermen recovered from Matamuhuri river

মাতামুহুরি নদীতে নিখোঁজ দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার

মাতামুহুরি নদীতে নিখোঁজ দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার কক্সবাজারের ওপর দিয়ে বয়ে চলা মাতামুহুরী নদী। ছবি: সংগৃহীত
বুধবার সকালে নদীতে মাছ ধরতে নেমে নিখোঁজ হন ওই দুই জেলে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহায়তায় নিখোঁজ হওয়ার ৬ ঘণ্টা পর বিকেলে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বেতুয়া বাজার ব্রিজ সংলগ্ন মাতামুহুরী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তারা হলেন- চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলা এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনছুর আলম ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুস সালামের ছেলে মুবিন।

বুধবার সকালে নদীতে মাছ ধরতে নেমে নিখোঁজ হন ওই দুই জেলে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহায়তায় নিখোঁজ হওয়ার ৬ ঘণ্টা পর বিকেলে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পূর্ব বড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিন মুন্না বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুই জেলে নিখোঁজ হন। স্থানীয়রা নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও না পাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা এসে নদীর গভীরে তল্লাশি চালিয়ে ওই দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করেন।

আরও পড়ুন:
মুহুরী নদীতে মিলল নিখোঁজ নৌ সৈনিকের মরদেহ
পদ্মার শাখা নদীতে এবার ভেসে উঠল রামিনের মরদেহ

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
1500 megawatts loadshedding people suffer in extreme heat

প্রচণ্ড গরমে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ

প্রচণ্ড গরমে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ প্রতীকী ছবি।
এনএলডিসির তথ্য বলছে, মঙ্গলবার রাত ১টায় লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৬৮ মেগাওয়াট। বুধবার সকাল ৭টায় তা ৫৪২ মেগাওয়াটে নেমে এলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লোডশেডিং বাড়তে থাকে। বিকেল ৩টায় লোডশেডিং বেড়ে দাঁড়ায় ৮২১ মেগাওয়াট।

দেশজুড়ে বয়ে চলেছে তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে অস্থির জনজীবন। বিদ্যুতের লোডশেডিং সেই অস্বস্তি-অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়লেও সারাদেশে লোডশেডিং কমার কোনো লক্ষণ নেই। বরং আগের তুলনায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্যের উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, বুধবার (দেশে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার তা ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।

এনএলডিসির তথ্যে আরও দেখা যায়, মঙ্গলবার রাত ১টায় লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৬৮ মেগাওয়াট। তবে বুধবার দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ঘাটতির মাত্রা কমে সকাল ৭টায় ৫৪২ মেগাওয়াটে নেমে আসে। আবার বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। বিকেল ৩টায় লোডশেডিং বেড়ে দাঁড়ায় ৮২১ মেগাওয়াট।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও পিজিসিবির তথ্য বলছে, ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বুধবার বিকেল ৫টায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৪৭৩ মেগাওয়াট। সে হিসাবে সন্ধ্যার এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উৎপাদন ঘাটতি ছিল ৭২৭ মেগাওয়াট।

ওদিকে বুধবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে লোডশেডিং এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।

বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, সেগুলোতে গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।

আরও পড়ুন:
তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে লোডশেডিং বাড়ার শঙ্কা
তীব্র লোডশেডিং, পানির সংকটে অতিষ্ঠ সিলেটবাসী
জনরোষ এড়াতে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কোপ গ্রামে
সিলেটে গ্রামের চেয়ে বেশি লোডশেডিং শহরে
গ্যাস সংকটে লোডশেডিংয়ের সতর্কতা

মন্তব্য

p
উপরে