× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
ওটিসি থেকে ফিরেই ছয় গুণ দাম
google_news print-icon

ওটিসি থেকে ফিরেই ছয় গুণ দাম

ওটিসি-থেকে-ফিরেই-ছয়-গুণ-দাম
গত ১৩ জুন ওটিসি থেকে ফেরা চার কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির চিত্র
ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে ফেরার পর পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে তিন কোম্পানি তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, মনোস্পুল পেপার ও পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং। একইভাবে ছুটতে থাকা মুন্নু ফেব্রিক্স অবশ্য এরই মধ্যে বিনিয়োগকারীদেরকে বিপুল পরিমাণ লোকসান ফেলেছে। এর আগেও যতগুলো কোম্পানি ফিরেছিল, তার প্রায় সবগুলোর ক্ষেত্রেই একই চিত্র দেখা গেছে। ফেরার পর দাম আকাশচুম্বি হয়ে পড়ে বিনিয়োগকারীদের লোকসানে ফেলেছে সবগুলো।

কোম্পানি বন্ধ, লোকসান, লভ্যাংশ না দেয়া, পুঁজিবাজারের আইন অমান্যের কারণে মূল বাজার থেকে ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি মার্কেট থেকে ফেরার পর শেয়ার দরে উল্লম্ফনের যে প্রবণতা, তা দেখা গেল আবার।

গত ১৩ জুন ওটিসি থেকে ফেরার পর চারটি কোম্পানির মধ্যে তিনটির দর বেড়েছে ব্যাপক হারে। এর মধ্যে একটির দর ছয় গুণ হয়ে গেছে।

এর আগেও এই প্রবণতা দেখা গেছে। আর দাম বাড়তে বাড়তে আকাশচুম্বী হয়ে যাওয়ার পর একপর্যায়ে যখন দাম কমে আসে, তখন শেয়ারধারীরা বিপুল লোকসান করেছেন।

যে চারটি কোম্পানি এবার মূল মার্কেটে এসেছে, তার মধ্যে একটি শেয়ারের দর সাড়ে তিন গুণের বেশি বেড়ে যাওয়ার পর আরও বাড়বে ভেবে কিনে ব্যাপক লোকসানে আছেন বিনিয়োগকারীরা।

মুন্নু ফেব্রিক্স, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, মনোস্পুল পেপার ও পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড ওটিসি মার্কেট থেকে ফিরে জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরুর পর বেশ কয়েক দিন প্রতিদিনই আগের দিনের তুলনায় ১০ শতাংশ করে বেড়েছে।

কোম্পানিগুলোর সম্পদমূল্য বেশ ভালো থাকলেও তিনটির আয় একেবারেই নগণ্য। আর শেয়ার দরের সঙ্গে আয়ের তুলনা করে যে মূল্য আয় অনুপাত দেখানো হয়, সেটি অনেক বেড়ে গেছে।

এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওটিসি থেকে যে কোম্পানি ফিরে আসে সেটি আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে ভালো করছে। কিন্তু সেটি কি মূল মার্কেটে আগে থেকে আছে, সেসব কোম্পানির চেয়ে ভালো?’

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বিষয়টি দেখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘বিমার শেয়রের দাম যখন হু হু করে বেড়েছে, তখনও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছে সেখানে কোনো কারসাজি হয়নি। এখন কিন্তু অনেক বিনিয়োগকারীর টাকা বিমা খাতের শেয়ারে আটকে গেছে। আর ওটিসি মার্কেট থেকে ফিরে ছয় গুণ দর বৃদ্ধি পাওয়ার পরও সেখানে যদি কারসাজির কিছু না পাওয়া যায়, তাহলে সেটি হতাশাজনক।’

দুর্বল কোম্পানি, জেড ক্যাটাগরি থেকে ভালো ক্যাটাগরিতে যাচ্ছে, কিংবা ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে আসছে এমন কোম্পানির শেয়ার দরে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করেন পুঁজিবাজারের এই বিশ্লেষক।

সবচেয়ে বেশি বেড়েছে তমিজউদ্দিনের দর

ওটিসিতে ফিরে দর বৃদ্ধির শীর্ষে আছে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল। দেড় মাসেরও কম সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৬২৫ শতাংশ।

শেয়ার দর ১২ টাকা নিয়ে ফেরা তজিমউদ্দিনের শেয়ার প্রথম দিনই ১০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ টাকা ২০ পয়সা। ঈদের আগে তা দাঁড়ায় ৮৭ টাকায়। তবে এটিই সর্বোচ্চ দর নয়। ৯৪ টাকা ৭০ পয়সাও উঠেছিল দাম।

১৩ জুন থেকে টানা ২১ কর্মদিবস দিনের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে কোম্পানিটির শেয়ার। ২২তম কর্মদিবসেও আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ দাম বেড়ে গিয়েছিল। পরে কিছুটা কমে।

সম্প্রতি যে চারটি কোম্পানি ওটিসি থেকে ফিরেছে, তার মধ্যে তমিজউদ্দিনেরই শেয়ারপ্রতি আয় সবচেয়ে বেশি। গত জুন থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৯৮ পয়সা।

তবে এই আয়ের বিপরীতে কোম্পানিটির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমানে তা ৬৬.৫৮। অর্থাৎ এই হারে আয় করে গেলে শেয়ার দর ৮৭ টাকা আয় করতে এত বছর লাগবে।

পুঁজিবাজারে ২৫ পর্যন্ত পিইকে গ্রহণযোগ্য ধরা হয়। আর ৪০ পিইর বেশি কোম্পানিগুলোর শেয়ার কিনতে ঋণ সুবিধাও পাওয়া যায় না।

১৯৯২ সালে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটি ২০০৯ সালে ওটিসিতে পাঠানোর পর সুশাসনে উন্নতি হয়। ২০১১ সালে ১০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ২০ শতাংশ, ২০১৮ সালে ২৫ শতাংশ, ২০১৯ সালে ২৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ আর আর ২০২০ সালে ১০ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ১ টাকা নগদ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে তারা।

এই কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য বেশ আকর্ষণীয়; ৮০ টাকা। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ার সম্পদমূল্যের দিক দিয়ে এরা এগিয়ে।

ছয় গুণ বাড়ল পেপার প্রসেসিংয়ের দরও

চারটি কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাগজ খাতের কোম্পানি পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের দাম। ১৩ জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৬০৩.৭৫ শতাংশ।

টাকা ২২ কর্মদিবস এই কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। দেশের পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে এটি রেকর্ড। এর আগের রেকর্ড ছিল রবির, যেটি বাড়ে ১৩ কর্মদিবস।

১৬ টাকা দিয়ে মূল মার্কেটে ফেরা কোম্পানিটির শেয়ার প্রথম দিন ১০ শতাংশ বেড়ে হয় ১৭ টাকা ৬০ পয়সা। সর্বশেষ কার্যদিবস সোমবার শেয়ারপ্রতি দর দাঁড়িয়েছে ১১২ টাকা ৬০ পয়সা।

এর মধ্যে ১৩ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিনই দিনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে দাম দাঁড়ায় ১২৭ টাকা ৩০ পয়সা। পরে একপর্যায়ে ১৩৬ টাকা ৮০ পয়সাও হয়েছিল। এরপর দাম কিছুটা কমে হয় ১৩০ টাকা ২০ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার কেবল ১৩ ‍গুণ নয়, এর চেয়ে বেশি দামও আছে। তবে এই শেয়ারটির আয়ের বিপরীতে দাম যে বেশি, সেটি মূল্য আয় অনুপাত বা পিই দিয়েই বোঝা যায়।

জুন ক্লোজিংয়ের এই কোম্পানিটির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী গত মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি আয় আছে ৪৪ পয়সা। এই হারে আয় করতে থাকলে বর্তমান শেয়ার দর ওঠাতে সময় লাগবে ২২১.৯৩ বছর।

পুঁজিবাজারে নিয়মিত লভ্যাংশ দেয়, এমন কোম্পানিরও এই পিই আছে ৩-এর নিচে।

কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য অবশ্য আকর্ষণীয়; গত বছরের নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী একেকটি শেয়ারের বিরপীতে সম্পদ আছে ৮৩ টাকা ৯৫ পয়সা।

৩৭ লাখ ২৯ হাজার ৬০০টি শেয়ারে বিভক্ত কোম্পানিটির রিজার্ভে আছে ২৪ কোটি টাকা।

মনোস্পুলের দর তিন গুণ

কাগজ খাতের বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডও তিন গুণের বেশি দামে লেনদেন হচ্ছে এখন।

শেয়ারপ্রতি ৫০ টাকা দর নিয়ে লেনদেন শুরুর করার প্রথম দিনই ১০ শতাংশ বেড়ে হয় ৫৫ টাকা। এরপর আরও ১২ কর্মদিবস শেয়ার দর বেড়েছে দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই, অর্থাৎ ১০ শতাংশের আশপাশে।

টানা ১৩ কর্মদিবস হলট্রেড হয়ে ২৯ জুন দাম হয় ১৭১ টাকা ৯০ পয়সা। এরপর তা ১৮৯ জনে পৌঁছায় একপর্যায়ে। কিন্তু এরপর কমে যায়। ৩০ জুন থেকে ওঠানামা করে এখন দাম ১৬৯ টাকা ১০ পয়সা।

এই কয় দিনে দাম বেড়েছে ১১৯ টাকা ১০ পয়সা বা ২৩৮ দশমিক ২০ শতাংশ।

চলতি বছর প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় মাত্র ২৯ পয়সা। আয় বাড়াতে না পারলে বর্তমান শেয়ারমূল্য তুলতে সময় লাগবে ৪৫২.৯৫ বছর।

৯২ হাজার ১৮৬টি শেয়ারে বিভক্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য বেশ ভালো; ১২৫ টাকা ৬১ পয়সা। তবে আর্থিক ভিত্তির অন্য সূচকগুলো খুব একটা ভালো নয়।

কোম্পানিটির রিজার্ভে আছে ৩৫ কোটি টাকা। গত বছর শেয়ারপ্রতি ৯০ পয়সা নগদের পাশাপাশি ৮ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছে তারা।

মুন্নু ফেব্রিক্সে এরই মধ্যে লোকসান

তিন প্রান্তিকে মাত্র ৪ পয়সা আয় নিয়ে মূল মার্কেটে লেনদেন শুরু করা মুন্নু ফেব্রিক্সও পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে ছুটতে এরই মধ্যে লোকসানে ফেলেছে বিনিয়োগকারীদের।

টানা ১৫ কর্মদিবস টানা প্রায় ১০ শতাংশ করে বেড়ে ১০ টাকার শেয়ার ৩০ জুন একপর্যায়ে ৩৭ টাকা ২০ পয়সা উঠে যায়। তবে সেদিনই আবার ৩৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সকালে প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে আবার প্রায় ১০ শতাংশ কমে ৩০ টাকা ৬০ পয়সায় নেমে আসে।

অর্থাৎ সেদিন যারা সর্বোচ্চ দামে শেয়ারটি কিনেছিলেন, এক দিনেই প্রায় ২০ শতাংশ লোকসানে পড়েন। এরপর এই লোকসান কেবল বেড়েছেই।

সেদিনের পর আরও টানা ছয় কর্মদিবস কমে ১৩ জুলাই দাম দাঁড়ায় ২৩ টাকা ৫০ পয়সায়। এরপর দুই দিন কিছুটা বেড়ে ২৬ টাকা ১০ পয়সায় উঠলেও ঈদের ছুটির আগে আবার দুই দিন কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৮০ পয়সা। শতকরা হিসেবে দাম বেড়েছে ১৪৮ শতাংশ।

কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ২৭ টাকা ৩০ পয়সা হলেও এর যে আয় সেটি বাড়াতে না পারলে বর্তমান শেয়ার দরের সমান আয় করতে সময় লাগবে ৪৬৫ বছর।

ওটিসি থেকে ফেরা কোম্পানির আগের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়

এর আগেও যেসব কোম্পানি ওটিসি থেকে ফিরেছে, তার প্রতিটির দর এবারের চারটির মতোই বেড়েছে। মুন্নু যেসব তার শেয়ারধারীদের বিপুল লোকসানে ফেলেছে, একইভাবে লোকসানে ফেলেছে আগের সবগুলো।

ইউসিবিএল

২০০৯ সালে ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি থেকে ফেরার পর ব্যাংক খাতের এই কোম্পানিটি ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। শেয়ার দর একপর্যায়ে ছাড়ায় সাড়ে তিন হাজার টাকা।

সে সময় শেয়ারের ফেসভ্যালু ছিল ১০০ টাকা। এখন ১০ টাকা। এই হিসাবেও দাম ছাড়ায় ৩৫০ টাকা।

তখন ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ছিল কম, শেয়ারসংখ্যা ছিল সীমিত। পরে বোনাস শেয়ার নিয়ে শেয়ার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

তবে সেই হিসাব ধরলেও এখন শেয়ার দর ৮ ভাগের ১ ভাগ মাত্র। ঈদের ছুটির আগে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে হয়েছে ১৬ টাকা ১০ পয়সা।

ওয়াটা কেমিক্যালস

২০১৪ সালে ওটিসি থেকে মূল বাজারে আসে ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেড। মূল মার্কেটে আসার আগে শেয়ার মূল্য ছিল ৫০ টাকার আশপাশে। মার্কেটে আসার পর ১২ কর্মদিবসে লেনদেন হয় কেবল দুই দিন। পরে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ মে কোনো মূল্যসীমা না থাকার সুযোগে সেদিন দাম বেড়ে হয় ৪৮৫ টাকা। এক দিনেই বাড়ে ৭৩৫ শতাংশ। আগের দিন দাম ছিল ৫৯ টাকা।

সেখানেই থেমে থাকেনি। একপর্যায়ে তা এক হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়।

এর পরের বছর ২৫ শতাংশ, পরের বছর ১০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৫ শতাংশ, পরের বছর ৩০ শতাংশ, ২০১৯ সালে ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়া কোম্পানিটির শেয়ার দর এখন ২৯৯ টাকা ৭০ পয়সা। সব বোনাস শেয়ার হিসেবে নিলেও এখন দাম ৮২৫ টাকা দাঁড়ায়। অর্থাৎ সাত বছর রেখেও কোনো মুনাফা পাননি বিনিয়োগকারীরা।

ওটিসি থেকে ফেরা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর আকাশচুম্বী হয়ে পরে ধসের কারণে ব্যাপক লোকসান হয়েছে বিনিয়োগকারীদের।

কোম্পানিটি গত ৩১ জানুয়ারি তাদের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ করেছে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৩১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪ টাকা ১১ পয়সা।

গত দুই বছরের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর ওঠে ২০১৯ সালে ১০ অক্টোবর ৬৯১ টাকা ৬০ পয়সা। এরপর এই সময়ে আর কখনও এই দরে লেনদেন হয়নি।

আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ

২০১৮ সালে ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে আসার পরই আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার দর ১৩০ টাকায় শুরু হয়ে ১৪৩ টাকায় লেনদেন হয়। এরপর আরও বেড়ে ১৮০ টাকাও ছাড়িয়ে যায়।

কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ার দর ৩৬ টাকা ৯০ পয়সা। তাও কিছুটা ভদ্রস্ত দেখাচ্ছে। এক মাসে সর্বনিম্ন দাম ছিল ২২ টাকা ৯০ পয়সা।

গত দুই বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৬৩ টাকা ২০ পয়সা।

মূল মার্কেটে ফেরার পর একবার ১০ শতাংশ এবং একবার ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছে আলিফ। অর্থাৎ বোনাস শেয়ার পেয়েও বিনিয়োগকারীরা তাদের লোকসান কাটাতে পারেননি।

সোনালী পেপার

সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ডমিল ২০১৯ সালের ২ জুলাই থেকে মূল মার্কেটে লেনদেন হচ্ছে। মূল বাজারে ফিরিয়ে আনতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ধরা হয় ২৭৩ টাকা। পরে বাড়তে বাড়তে দাম দাঁড়ায় ৩৫০ টাকায়।

এক বছরের মধ্যে দাম কমে গত ২৭ জুন দাঁড়ায় ১৯৭ টাকা ৪০ পয়সায়। অবশ্য এর পরে তিন সপ্তাহে অবিশ্বাস্য উত্থান ঘটে শেয়ারটির। ঈদের ছুটির আগে দাম দাঁড়ায় ২৯৭ টাকা ১০ পয়সা। এই কয় দিনে দাম প্রায় ১০০ টাকা বেড়েছে।

আর মূল মার্কেটে আসার পর দুবারে ১০ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার দিয়েছে তারা।

গত ২৫ এপ্রিল কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরে তৃতীয় প্রান্তিকের যে হিসাব প্রকাশ করেছে, তাতে শেয়ার দর যে অতিমূল্যায়িত, তা বোঝাই যায়।

বছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ২৯ পয়সা।

এই হারে আয় করলে কোম্পানিটির বর্তমান মূল্য তুলতে সময় লাগবে ৬৮ বছর।

অবশ্য এটাও ঠিক যে, এর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য অনেক। সব শেষ নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী ১০ টাকার শেয়ারে সম্পদমূল্য আছে ৩০৭ টাকা ৮৮ পয়সা।

কোম্পানিটি তাদের নতুন প্রোডাকশন লাইন চালুর ঘোষণা দিয়েছে। জানানো হয়েছে, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপার বক্স তৈরির এই নতুন লাইনের উৎপাদনক্ষমতা প্রতিদিন এক লাখ পিস এবং তারা এও জানিয়েছে যে, নতুন উৎপাদন লাইনের যে উৎপাদনক্ষমতা তার পুরোটাই ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন:
ওটিসি থেকে ফিরেই ছয় গুণ দাম
ওটিসি থেকে ফিরেই ধামাকা, পরে হতাশা
ওটিসি থেকে ফিরেই নাগালের বাইরে চার কোম্পানি
সোনালী পেপার: ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে ফিরেই চমক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
The government is then a safe return of the national football team trapped in Nepal

নেপালে আটকে পড়া জাতীয় ফুটবল দলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে তৎপর সরকার

নেপালে আটকে পড়া জাতীয় ফুটবল দলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে তৎপর সরকার

নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।

নেপালে চলমান বিক্ষোভ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের দেশে প্রত্যাবর্তন সাময়িকভাবে বিলম্বিত হয়েছে। আজ স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দলের দেশে ফেরার কথা থাকলেও পরিস্থিতির অবনতির কারণে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সব ফ্লাইট বাতিল করে। ফলে দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাবৃন্দ বর্তমানে টিম হোটেলে অবস্থান করছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় জানিয়েছে, দলের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্ন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দলের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। এ বিষয়ে নেপালস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, নেপালের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের প্রেক্ষাপটে দলের নির্বিঘ্ন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেপালের সেনাবাহিনীর সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

এছাড়া যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া এবং টিম ম্যানেজার আমের খানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে দলের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন এবং দেশে দ্রুত প্রত্যাবর্তনে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Comilla University student Sumaiya and his mother were killed after failing to rape

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সুমাইয়া ও তার মাকে হত্যা

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সুমাইয়া ও তার মাকে হত্যা

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। হত্যার মূল আসামি মো. মোবারক হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঢাকায় পালিয়ে যাবার সময় কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মোবারক হোসেন জেলার দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের মৃত. আবদুল জলিলের ছেলে।

পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ঝাড়-ফুক করার সুবাদে মোবারক হোসেন সুমাইয়া আফরিনদের বাসায় যাতায়াত করতেন। গত রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সুমাইয়াদের ভাড়া বাসা নগরীর কালিয়াজুরি এলাকায় নেলি কটেজ নামক বাসায় প্রবেশ করেন মোবারক। এরই মধ্যে মোবারক তাদের বাসায় ঝাড়ফুঁক করে পানি ছিটিয়ে বেরিয়ে যান। আবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন। যা সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়।

পুলিশ সুপার বলেন, মোবারক তাদের বাসায় থাকাকালীন সময়ে এক পর্যায়ে সুমাইয়া আফরিনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় সুমাইয়ার মা বাধা দেন। এতে মোবারক ক্ষুব্ধ হয়ে সুমাইয়াকে এক ঘরে আটকে মা তাহমিনা বেগমকে অন্য একটি রুমে নিয়ে বালিশ চাপায় হত্যা করেন। এরপর সুমাইয়াকে তার রুমে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় সুমাইয়া প্রতিরোধ করলে তাকে গলা টিপে হত্যা করেন। হত্যার পর মোবারক সুমাইয়াদের ঘর থেকে ৪টি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যান। তিনি আরো বলেন, ধর্ষণ হয়েছে কিনা বিষয়টি ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নিহত সুমাইয়া আরফিন (২৩) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি কুমিল্লা নগরীর সুজানগর এলাকার বাসিন্দা ও কুমিল্লা আদালতের সাবেক হিসাবরক্ষক মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে। গত সোমবার সকালে ওই বাসা থেকে সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Missing the traditional trap of fishing is getting lost in Comilla

কুমিল্লায় হারিয়ে যাচ্ছে মাছ ধরার ঐতিহ্যবাহী ফাঁদ চাই

কুমিল্লায় হারিয়ে যাচ্ছে মাছ ধরার ঐতিহ্যবাহী ফাঁদ চাই

বর্ষা মৌসুমে টইটম্বুর পানির সঙ্গে উজান থেকে ভেসে আসা দেশীয় মাছ—বজুরী, টেংরা, ঢেলা, দারখিলা, কটকটি, বাইলা, পুটি, সেলবেলা, চান্দা, বৈইচা, পাবদা, শিং, কৈ, টাকি, চেধূরী, এলকোনা, খৈইলশা, ভাংলা, কাটাইড়া, বাতাইয়া, চিংড়ি, বাইম, গুতুমসহ নানান প্রজাতির মাছ একসময় খাল-বিল-জমিতে ডিম ছাড়ার জন্য ছুটে আসত। সেই সময়ে গ্রামের ছেলেরা মাছ ধরার জন্য নানান ফাঁদ পাতত। এর মধ্যে অন্যতম ছিল আনতা, বেউর ও চাই, আনতা। যা আজ বিলুপ্তির পথে।

তবে এখনো কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রামচন্দ্রপুর আনতা হাট সেই পুরনো স্মৃতি ধরে রেখেছে। রামচন্দ্রপুর, দক্ষিণ বাঙ্গরা ও মালাই বাঙ্গরা বাজার, হাটখোলা, ইলিয়াটগঞ্জ, চান্দিনার নোয়াবপুর, বর্ষা মৌসুমে বাঁশের তৈরি আনতা বিক্রির ধুম পড়ে যেত কিন্তু পূর্বে ন্যায় দেশীয় মাছ না থাকায় আস্তে আস্তে এসব মাছ ধরার ফাঁদ তৈরিতে কৃষক, জেলে আগ্রাহ হাচ্ছে। শুধুই মাছ ধরার ফাঁদ নয়, আনতা হয়ে উঠেছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ, যা এ সময় স্থানীয়দের মধ্যে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দেয়।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ও মানভেদে প্রতিটি আনত ৩০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্ষার শেষ দিকে এ ফাঁদের চাহিদা আরও বেড়ে যেত। ব্যবসায়ীরাও মৌসুমে ভালো লাভের আশা করত। এন তেমন একটা চোখে পড়ে না, রামচন্দ্রপুরের আনতা ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, ‘প্রতি হাটে আমি ৬০ থেকে ৭০টি আনতা বিক্রি করি কিন্তু যখন মাছের ভরা মৌসুম ছিল তখন সারাবছর লোক নিয়োগ করে বিভিন্ন বাড়িতে আনতা তৈরি করতাম। দূর-দূরান্ত থেকেও ক্রেতারা আসত। আর তেমন বিক্রি না থাকায় ব্যাবসা অনেক কমে গেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে মাছ জমির আইল ধরে নামতে শুরু করে, তখন আইলে আনতা পুঁতে রাখলেই সহজে মাছ ধরা পড়ে। বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় আমরা খুশি হতাম, আমাদের দাবি আনতা, বেউর, চাই, উছা, পেলুন।এই ফাঁদ তৈরিতে সরকার ভর্তুকি দিয়ে অল্প আয়ের মানুষ দের বাচিয়ে রাখা উচিত। পাশাপাশি বাঁশ শিল্প বেচে থাকবে।

স্থানীয় মাছ বিক্রেতা মতিন মিয়া জানান, তিনি প্রতি মৌসুমে ৫-৬টি আনতা কেনেন। আনতা দিয়ে প্রতিদিন ২-৩ কেজি মাছ ধরা পড়ে। নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে তিনি ৩০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন।

শুধু মাছ ধরার ফাঁদ নয়, আনতা হয়ে উঠেছে অনেকের জীবিকার উৎস। আনতা তৈরি ও বিক্রি করে বহু পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। আবার এর সাহায্যে ধরা মাছ বিক্রি করে অনেকেই বাড়তি আয় করছে। ছোট-বড় সবাইকে মাছ ধরার আনন্দে মাতিয়ে তোলে এই দেশীয় কৌশল, যা আজও মুরাদনগরের গ্রামীণ জীবনের অনন্য ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Tausif returns to the Bachelor Point series

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকে ফিরছেন তৌসিফ!

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকে ফিরছেন তৌসিফ!

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকের ৫ নম্বর সিজন চলছে। ভক্তদের মুখে মুখে কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত এ সিরিজটি। নাটকটির শুরু থেকেই সিজন ১, ২, ৩ এবং ৪ দিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত হন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি ও তার টিম। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজনগুলোর ব্যাপক সাফল্যের পর এবার ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর ফাইভ সিজন প্রচার হচ্ছে।

এই সিরিজে কাবিলা, শুভ, জাকির, শিমুল, পাশা, আরেফিন, হাবু ভাই নামের চরিত্রগুলোর মতো নেহাল চরিত্রটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ সর্বদা তুঙ্গে। যেই নেহাল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তৌসিফ মাহবুব। এত দিন ব্যক্তিগত কিছু কারণে এ সিরিজ থেকে দূরে ছিলেন। তবে এ সিজনে ফিরছেন তিনি নেহাল হয়েই, যেটা তিনি নিজেই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

বললেন, ‘দর্শক সর্বদা চান নেহাল চরিত্রটি ফিরে আসুক। তাই ফের এ চরিত্রটির মাধ্যমে ব্যাচেলর পয়েন্টে দর্শক আমাকে দেখতে পাবেন।’ এর আগে নির্মাতা অমি বলেছিলেন, বাস্তব জীবনের মতোই হয়তো ভবিষ্যতে কোনো একসময় দেখা যাবে তাদের আবার একসঙ্গে। তাই সেই অপেক্ষার পালা মনে হয় শেষ হলো তৌসিফের ফেরার মাধ্যমে।

মন্তব্য

গফরগাঁওয়ে পূবালী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ ও কুইজ প্রতিযোগিতা

গফরগাঁওয়ে পূবালী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ ও কুইজ প্রতিযোগিতা

ময়মনসিংহর গফরগাঁওয়ে পূবালী ব্যাংক (পিএল সি) এর স্কুল ব্যাংকিং কর্মশালার আওতায় ঐতিহ্যবাহি বিদ্যাপীঠ গফরগাঁও মহিলা কলেজে বৃক্ষরোপণ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার ( ৯সেপ্টন্বর) ১১টায় মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
বৃক্ষরোপণ শেষে মহিলা কলেজ হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন গফরগাঁও মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ মো. আব্দুল খালেক,পূবালী ব্যাংক (পিএলসি) গফরগাঁও উপশাখা ব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামানসহ কলেজের শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ। কলেজ অধ্যক্ষ আবদুল খালেক ব্যাংক কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, গাছ আমাদের জীবনের অংশ,গাছ ছাড়া আমাদের জীবন ও পরিবেশের কথা চিন্তাও করতে পারিনা,অধিক পরিমানে গাছ লাগান প্রাকৃতিক বিপর্যয় হতে দেশকে বাচাঁন।
আলোচনা শেষে কলেজ শিক্ষার্থীদে মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
In the Coast Guards operation in Chandpur 3 domestic firearms were seized by 2 Ram Da and 2 Chinese ax

চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি রাম দা ও ২টি চাইনিজ কুড়াল জব্দ

চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি রাম দা ও ২টি চাইনিজ কুড়াল জব্দ

মঙ্গলবার ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সোমবার চাঁদপুর উত্তর মতলব থানাধীন মোহনপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় একটি ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন চাঁদপুর কর্তৃক উক্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকা হতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি রাম দা ও ২টি চাইনিজ কুড়াল জব্দ করা হয়। এসময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

জব্দকৃত অস্ত্রের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Distribution of Assistant Devices to Students with Special Students

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের উদ্যোগে স্পেশাল অ্যাডুকেশন নিডস অ্যান্ড ডিজাবিলিটিস (সেন্ডর) কার্যক্রম বাস্তবায়নের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মাঝে অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডা. তামান্না তাসনীম।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিশুদের মাঝে ৪ জনকে হুইল চেয়ার, ২ জনকে শ্রবণ যন্ত্র, ১০ জনকে চশমা ও একজনকে জুতা জোড়া প্রদান করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রমজান আলী, লুৎফুন্নেছা, মনিরা খাতুন, আরিফুল ইসলাম, কাপাসিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেলী নাসরিন, একডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ভূঁইয়া, ধরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুল ইসলামসহ শিশুদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে