এক দশকের হতাশা কাটিয়ে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ব্যাপক মুনাফার আভাস, সম্পদমূল্য বৃদ্ধি আর সম্পদের তুলনায় বেশিরভাগের দাম কম থাকার পরিপ্রেক্ষিতে এই খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হয়ে উঠেছেন।
ঈদের ছুটির আগে যে দুই দিন বাজারে লেনদেন চলতে তার প্রথম দিন এই খাতেই দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি চাঙাভাব। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে যেসব খাতে, তার মধ্যে একটি ছিল এই খাত।
চাঙাভাব দেখা গেছে ঘুমিয়ে থাকা জ্বালানি খাতেও। শেয়ারের দাম বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনেও দেখা গেছে গতি।
তবে সবচেয়ে বেশি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে লভ্যাংশের অপেক্ষায় থাকা প্রকৌশল খাতে। বিপরীতে আগ্রহ হারিয়ে দামও হারাচ্ছে বিমা খাত, ব্যাংক নিয়ে হতাশা দূর হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই, মাটিতে নেমেছে উড়তে থাকা বস্ত্র খাতও।
এর বিপরীতে সবচেয়ে বড় খবর হলো, ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি চালুর পর সাড়ে সাত বছরের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছাল ডিএসইএক্স সূচক।
২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর সূচকের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৩৩৬ পয়েন্ট। নানা সময় চাঙাভাব দেখা দিলেও সেই সূচক কখনও অতিক্রম করতে পারেনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। তবে গত মে মাসে ছয় হাজার পয়েন্টে উঠার পর সেখানে টিকে থাকতে এক মাস ধরে যে মনস্তাত্তিক লড়াই, সেটিতে জয় আসার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়।
বেলা ২ টা ২৬ মিনিটে ৬ হাজার ৩৩৭ পয়েন্ট অতিক্রম করার পর লেনদেনের শেষ সময়ে তা বাড়ে আরও। দিন শেষ হয় ৬ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে।
২৮ পয়েন্ট বাড়লেই ইতিহাস হবে, এমন অপেক্ষায় থাকা পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে আগের দিনের চেয়ে ৫৭ পয়েন্ট। এর মধ্য দিয়ে ডিএসইএক্স সূচক ইতিহাসের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছল।
এখন ডিএসইএক্স চালুর আগে ২০১১ সালের ৩ আগস্ট ডিএসই সূচক ৬ হাজার ৩৮৯ পয়েন্ট পরবর্তী সর্বোচ্চ ধাপ।
ডিএসইএক্স সূচকের সর্বোচ্চ অবস্থান
সূচক আর ২৮ পয়েন্ট বাড়লে রেকর্ড হবে, এমন বাস্তবতায় রোববারের লেনদেন নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তুমুল আগ্রহ ছিল। তবে সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা পর ১১টা ৯ মিনিটে তাদের মধ্যে বিরক্তি ধরে লেনদেনে জটিলতায়।
ডিএসইর সার্ভার জটিলতায় লেনদেন বন্ধ থাকে এক ঘণ্টা ২০ মিনিট। পরে লেনদেন নির্ধারিত সময় বেলা আড়াইটার পর আরও এক ঘণ্টা চলে।
সোয়া এক ঘণ্টা বিরতির পর লেনদেন আবার শুরু হলে সূচক বাড়তে থাকে। বেলা একটা ৩ মিনিটে ৬ হাজার ৩২২ পয়েন্ট থেকে বেড়ে এক পর্যায়ে ৬ হাজার ৩৭১ পয়েন্ট গিয়ে পৌঁছে। শেষ ৫ মিনিটে কিছু কমলেও সেটিতে উৎফুল্ল হয় বিনিয়োগকারীরা।
পুঁজিবাজারের এই ছুটে চলা শুরু ২০২০ সালের জুলাই থেকে। করোনার কারণে ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটির পর ৫ জুলাই বাজার শুরুর দিন সূচক ছিল ৩৯৮১ পয়েন্ট। সেখান থেকে প্রায় দুই হাজার পয়েন্ট বাড়ে এক টাকা।
গত ১৪ জানুয়ারি সূচক উঠে ৫ হাজার ৯০৯ পয়েন্টে। তবে এর পর দুই মাসের অস্থিরতায় সূচক গত ৪ এপ্রিল এক পর্যায়ে নেমে আসে ৫ হাজার ৮৮ পয়েন্টে।
৫ এপ্রিল লকডাউন শুরুর দিন পুঁজিবাজারে শুরু হয় দ্বিতীয় উত্থান। এক পর্যায়ে ৩৯ মাসের মধ্যে সূচক প্রথমবারের মতো ৬ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করে গত ৩০ মে। এরপর এক মাস উঠানামা করতে থাকে। প্রায়ই ৬ হাজার থেকে নিচে নেমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয় পুঁজিবাজারে।
তবে ৩০ জুন ৬ হাজার ১৫০ পয়েন্টে উঠার পর নিশ্চিত হয় যে, ছয় হাজার পয়েন্ট নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে মনস্তাত্তিক লড়াই তৈরি হয়েছিল, তাতে জয় হয়েছে। এরপর থেকে আবার বাড়তে থাকে সূচক।
গত বৃহস্পতিবার ৬ হাজার ৩০৭ পয়েন্ট হওয়ার পর ডিএসইএক্স এর রেকর্ড হয় কি না, তা নিয়ে তৈরি হয় আগ্রহ।
ডিএসইএক্স চালুর আগে যে সূচক ছিল, সেই ডিএসই সূচক কিন্তু এখনকার অবস্থানের চেয়ে অনেক বেশি ছিল এক পর্যায়ে। ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর সেই সূচক ছিল ৮ হাজার ৯১৮ পয়েন্ট। পরদিন থেকেই শুরু হয় এক দশক ধরে চলমান ধস।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ব্যাপক আগ্রহ
তালিকাভুক্ত সব মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা এর আগেও দেখা গেছে পুঁজিবাজারে। তবে রোববার যেটি হয়েছে, সেটি এর আগে কখনও দেখা যায়নি।
এই খাতে আগের দিন ১৪০ কোটি টাকা লেনদেনই অনেককে অবাক করেছিল। তবে এটি আরও বেড়ে এবার ছাড়িয়েছে দুইশ কোটির ঘর। দিন শেষে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ২০৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এরচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে কেবল প্রকৌশল খাতে।
ফান্ডের মধ্যে একটি ছাড়া সবগুলোর দাম বেড়েছে। তবে কমেনি একটিও।
সর্বাধিক দর বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে মিউচ্যুয়াল ফান্ড না থাকলেও ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে অনেকগুলোর দাম বেড়েছে দিনে যত বাড়া সম্ভব তার কাছাকাছি।
সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭.৩১ শতাংশ, এরপর পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭.২৪ শতাংশ।
দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি রেইসের ফান্ডগুলো ছিল বেশ এগিয়ে। এই দুইটার পাশাপাশি এই কোম্পানির অন্য ফান্ডগুলোর মধ্যে ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬.৫৭ শতাংশ, ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬.৫২ শতাংশ, এফবিএফআইএফের ৫.৭৯ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫.৩৩ শতাংশ, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫.৩৩ শতাংশ, এবি ব্যাংক ফার্মাট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫.১৯ শতাংশ এবং এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২.১৫ শতাংশ দর বেড়েছে।
অন্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলোর ফান্ডের মধ্যে দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা গেছে দম।
মাস কয়েক আগে হতাশা থাকলেও
১০টি ফান্ড এখন অভিহিত মূল্য ১০ টাকার বেশি ১০টি কাছাকাছি চলে এসেছে। একটি ভালো দিনেই তা ছাড়িয়ে যেতে পারে ১০ টাকা। আর সবচেয়ে কম দাম এখন এফবিএফআইএফের ৭ টাকা ৩০ পয়সা।
ফান্ড নিয়ে এই আগ্রহের কারণ, এগুলোর আকর্ষণীয় লভ্যাংশের সম্ভাবনা।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসের পর থেকে এই খাতটিও ছিল ঘুমিয়ে। তবে এবার ৯ মাসে আকর্ষণীয় মুনাফা আর অতালিকাভুক্ত বিভিন্ন ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণার পর পুঁজিবাজারেরগুলোও ভালো লভ্যাংশ ঘোষণা করবে বলে আভাস মিলেছে। এই অবস্থায় এই খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন। আর চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দাম।
বিদ্যুৎ-জ্বালানির জাগার আভাস
পুঁজিবাজারে উত্থানের প্রভাব পড়েনি একেবারেই পড়েনি এই খাতে। তবে রোববারের লেনদেন আশাবাদী করেছে এই খাতের শেয়ারধারীদেরকে। অথচ লভ্যাংশ ঘোষণার মৌসুম চলে এসেছে আর বেশিরভাগ কোম্পানিই গত বছরের চেয়ে বেশি আয় করেছে বলেই তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদনে দেখা যায়। করোনাকালেও কোম্পানিগুলোর ব্যবসার খুব বেশি ক্ষতি হয়েছে, এমন নয়।
এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে কেবল দুটির, বেড়েছে বাকি সবগুলোর।
কেবল দাম বেড়েছে এমন নয়, এই খাতের লেনদেনও জাগাচ্ছে আশা। ১০৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে এই একটি খাতে।
এই খাতে সবচেয়ে বেশি ৯.৭২ শতাংশ বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের দাম। তবে হাতবদলের সংখ্যা নগণ্য। এই দামে মাত্রা ৪ হাজার ৪১০টি শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
এ ছাড়া ৮.৫৩ শতাংশ দাম বেড়েছে সরকারি কোম্পানি পদ্মা অয়েলের। বাকিগুলোর দাম বৃদ্ধির হার শতকরা হিসেবে খুব একটা বেশি নয়।
অন্যান্য খাতের কী চিত্র
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া প্রকৌশল খাতে ১৫টি কোম্পানির দাম কমার বিপরীতে বেড়েছে ২৭টির। হাতবদল হয়েছে ২৩৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
গত মাসের শেষ দিকে উড়তে থাকা বস্ত্র খাত আরও খানিকটা দর হারিয়েছে। ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ৪২টি। দর ধরে রাখতে পেরেছে কেবল একটি। বেড়েছে বাকি ১৫টির দাম। সবচেয়ে বেশি দর হারানো ৫টি কোম্পানির সবগুলো এই একটি খাতের।
এই খাতে হাতবদল হয়েছে ১৬৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগেও পাঁচশ কোটি টাকার আশেপাশে ছিল।
আরও হতাশ করেছে বিমা খাত। এক মাস ধরেই পতনের মধ্যে থাকা এই খাতটি সূচকের রেকর্ড করার দিন দাম বেড়েছে কেবল ৯টির। একটির লেনদেন ছিল স্থগিত, কমেছে বাকি ৪১টির দর।
হাতবদল হয়েছে মোট ১২৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, যা মাস দুয়েক আগে সাতশ কোটি টাকারও বেশি ছিল, এক দিন তা নয়শ কোটির ঘরও পেরিয়ে যায়।
চাঙাভাব দেখা গেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতেও। ৩১টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত দীর্ঘদিন ধরেই। বাকিগুলোর মধ্যে ১০টির দাম কমার বিপরীতে বেড়েছে ২০টির। হাতবদল হয়েছে মোট ১৭৪ কোটি ৯ লাখ টাকা।
আর হতাশার বৃত্তে থাকা ব্যাংক খাত কোনো আশা দেখাতে পারেনি। যদিও দিনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এই খাতে দাম বাড়ার সংখ্যা ছিল খুবই কম, তবু শেষ বেলায় কিছুটা হলেও বেড়েছে।
৩১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৮টির, একটির লেনদেন ছিল স্থগিত, বাকি ৬টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।
এই খাতে হাতবদল হয়েছে ৯১ কোটি ৮২ লাখ টাকা, যা সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে কমগুলোর একটি।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৭.৭৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ২০ দশমিক ০২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজা ৩৭৯ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৩১ দশমিক ১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩০৬ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২১০টির, দর কমেছে ১৫০টি, দর পাল্টায়নি ১৩টির। মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ৬০ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৭৯ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ৭১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:ঝালকাঠি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা শাহ আলম খান ফারসুকে সোমবার (২৩ জুন) কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এর আগে রোববার (২২ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, 'গ্রেফতারকৃত শাহ আলম খান ফারসু সদর থানার একটি বিষ্ফোরক মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী।
ওসি আরো জানান, '২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা মহিলা দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তা বেগম। বাদি হয়ে বিষ্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার পর থেকে পালিয়ে থাকা ফাসসু খানের এলাকায় উপস্থিতি জানতে পেরে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে সোমবার সকালে আদালতে হাজির করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বাদি লিখেছেন, '২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান ফারসু ও তার সহযোগীরা। ওই হামলায় লাথির আঘাতে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা মুক্তা বেগমের (৩৩), গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।'
ঘটনার প্রায় দুই বছর পর, ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মুক্তা বেগম ঝালকাঠি সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটিতে একাধিক আসামির নাম উল্লেখ থাকলেও, পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী ফারসু ছিলেন মূল অভিযুক্তদের একজন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাদের দল গণপিটুনির সংস্কৃতিকে সমর্থন করে না। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার গণপিটুটির ঘটনায় তাদের কোনো কর্মী জড়িত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (২৩ জুন) তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা গণপিটুনির সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে সংগ্রাম করে আসছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।’
সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় স্বচ্ছতার সঙ্গে আদালতের রায় বাস্তবায়ন হোক। নূরুল হুদার গ্রেপ্তার ও বিচারের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া আশাও করে তার দল।
তিনি বলে, ‘কিন্তু আমরা তার উপর যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে—তা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মী এতে জড়িত থাকে—তাহলে আমরা তদন্তের পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব...এটি আমাদের স্পষ্ট অবস্থান।’
সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় প্রতিটি ব্যক্তি, সে যত গুরুতর অপরাধীই হোক না কেন, তিনি তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করুক। ‘সে যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা উচিত নয়।’
রবিবার(২৩ জুন) রাতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে একদল জনতা তাকে আক্রমণ করার পর গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুল হুদার কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হুদা সাদা টি-শার্ট এবং লুঙ্গি পরে ছিলেন এবং তার গলায় জুতার মালা ছিল। এক পর্যায়ে একজন ব্যক্তি জুতা দিয়ে হুদার মুখে আঘাত করেন। ভিডিওটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার জন্য হুদার ভূমিকার সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নুরুল হুদা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য দায়ী কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন।’
সালাহউদ্দীন বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য তিনিসহ আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ধ্বংসের জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মতো আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ভেঙে ফেলার জন্যও দায়ী। ‘কিন্তু আমরা এই ধরনের বিষাক্ত সংস্কৃতি বা জনতার বিচারে বিশ্বাস করি না,’ বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি করে দুষ্কৃতিকারীরা।
পরে মুক্তিপণ না পেয়ে মোবাইল ফোন-মানিব্যাগ রেখে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।
সোমবার (২৩ জুন) বরিশাল থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার পথে মাদারিপুরে সকাল ৮টার দিকে বাস থেকে নামলে অপহরণের শিকার হন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. আসাদ, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায়।
আসাদের পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত শিক্ষার্থীর বড় চাচা মারা যাওয়ায় আজ ভোরে ৬টায় বরিশাল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে মাদারিপুর পর্যন্ত যান বাসে। বাস থেকে নেমে মাদারিপুর নেমে ঝিনাইদহে যাওয়ার জন্য গাড়ি খুঁজতেছিলেন এমন সময় মাইক্রোবাসটি তাকে ঝিনাইদহে পৌঁছে দিবে বলে উঠিয়ে নেয়। উঠিয়ে নেয়ার পর অপহরণকারীরা পরিবারের সঙ্গে ০১৫১৮৪৯৫৬০৯ নম্বর থেকে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি পরিবারের মাধ্যমে জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশের সহযোগিতা নেন, প্রশাসনের তৎপরতার খবর পেয়ে অপহরনকারীরা তার সব কিছু রেখে তাকে ছেড়ে দেন।
এ বিষয়ে আসাদের সহপাঠী রাফিদ হাসান জানান, আসাদের চাচা মারা যাওয়ায় ও আজ ভোরের দিকে বরিশাল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন, পথিমধ্যে এই ঘটনার শিকার হন ।
এ বিষয়ে আসাদের বাবা বলেন, আসাদের বড় চাচা গতকাল রাতে মারা যাওয়ায় আজকে ভোরে বাড়ি আসার পথে মাদারিপুর থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না পেয়ে ওর মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। পরে অন্য একটি বাসে করে আসাদ বাড়ি ফিরছে বলে জানান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সোনিয়া খান সনি বলেন, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বরিশাল থেকে ঝিনাইদাহ বাড়ি যাওয়ার পথে মাদারিপুরে আটকিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে, এমন ঘটনা জেনে সাথে সাথে মাদারিপুর পুলিশকে কল করি। শিক্ষার্থী এখন নিরাপদে আছে সে বাড়ি ফিরতেছে শিক্ষার্থী এবং পরিবারের সাথে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধ, সংগ্রহ, এলাকা স্থানান্তর, আর্থিক লেনদেন ও সেবা প্রত্যাশিদের হয়রানি অভিযোগে নওগাঁয় জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে দুদকের একটি দল এ অভিযানে যায়। এসময় তারা টাকা নগদ টাকা লেনদেনের প্রমান পায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় নওগাঁর উপ-সহকারী পরিচালক মেহবুবা খাতুন রিতা জানান, সেবা প্রত্যাশিদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে প্রথমে ছদ্মবেশে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে প্রবেশ করা হয়। এসময় প্রত্যেক সেবা প্রত্যাশিদের কাছ থেকে টাকা নিতে দেখা যায়। এই অফিসে নগদ টাকা লেনদেনের সুযোগ নেই। কিন্তু তারা নগদ টাকা লেনদেন ও প্রত্যেক সেবা প্রত্যাশিদেও কাছ থেকে অতিরিক্ত চার্জ হিসেবে ১০০ টাকা নিচ্ছে।
মেহবুবা খাতুন রিতা বলেন, পরবর্তীতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ডেকে এনে সরেজমিনে এমন কর্মকান্ড দেখানো হয়। পরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
টাকা লেনদেনের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি অস্বীকার করে জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আব্দুল মোত্তালিব বলেন, নির্বাচন অফিসে সরাসরি নগদ টাকা লেনদেনের কোন সুযোগ নেই। এনআইডির ক্ষেত্রে যে ফি নির্ধারণ করা আছে, অনলাইন ব্যাংকি বা চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে অফিসে আসতে হয়।
নেত্রকোণা জেলা থেকে নানান অর্থনৈতিক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে সুযোগ পেয়েছে ৪ জন অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী।
অর্থনৈতিক সংকটে থাকা চার শিক্ষার্থীকে রোববার (২২জুন) নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের টাকা প্রদান করা হয়েছে।
এদের মধ্যে মো: সাজ্জাদ আলী ইংরেজি বিভাগে, মানব তালুকদার অর্থনীতি বিভাগে, রেশমা আক্তার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে এবং বন্যা রানী সরকার বাংলা বিভাগে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে।
তাদের ভর্তির ব্যাপারে আর্থিক সমস্যার কথা জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বনানী বিশ্বাস অবগত হলে তিনি এই চারজন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে বিশ হাজার টাকা (২০,০০০/- টাকা) করে মোট আশি হাজার টাকা শিক্ষা সহায়তা প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস জানান, “চারজন শিক্ষার্থী ভর্তি সহায়তার জন্য আবেদন করেছিলেন। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কলেজের মাধ্যমে যাচাই করে দেখা যায়, তারা আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হয়।”
তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে আর্থিক সংকটের কারণে কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও শিক্ষা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নুরুল হুদাকে আটকের সময় যেভাবে মব জাস্টিজ করা হয়েছে তা কাম্য নয় জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে এ ধরনের ঘটনায় বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (২৩ জুন) সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাকে হর্টিকালচার সেন্টার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গতকাল (রবিবার) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তারের যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয়; তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। গ্রেপ্তার হয়েছেন নুরুল হুদা।’
‘তবে তাকে গ্রেপ্তারের সময় যেভাবে মব জাস্টিজ করা হয়েছে তা কাম্য নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেছে। এ ঘটনার তদন্ত হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কৃষিজমি দখল রোধে কৃষিজমি সুরক্ষা আইন করা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বিদেশি ফলের পাশাপাশি দেশীয় ফলের উৎপাদন বাড়াতে হবে, যেন এসব ফল হারিয়ে না যায়।’
পরিদর্শনের সময় গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেক, কালিয়াকৈর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ, হর্টিকালচার সেন্টারের এনামুল হকসহ পুলিশ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপদেষ্টা হর্টিকালচার সেন্টারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নানা দিক নির্দেশনা দেন।
ময়মনসিংহের ভালুকায় পৃথক তিনটি অভিযান চালিয়ে হেরোইন, ইয়াবা ও নিষিদ্ধ পেথিডিন ইনজেকশনসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। রবিবার (২২ জুন) রাতভর এসব অভিযান পরিচালনা করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে উপজেলার মেদুয়ারী এলাকার বাঘসাতরা মোড় বাজারের একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে ৫ গ্রাম হেরোইনসহ মো. আতিকুর রহমান (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তিনি মেদুয়ারী গ্রামের মৃত সিরু মিয়ার ছেলে। একই রাতে, সাড়ে ৩টার দিকে মাহমুদপুর ব্রিজ ঘাট এলাকার আনন্দ সাব্বির অটো ওয়ার্কশপের সামনে থেকে মো. মনিরুজ্জামান (৩০) নামের এক যুবককে ২০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। অপদরিকে ভোর ৪টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের তেপান্তর হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের সামনে চেকপোস্টে জামালপুরগামী রাজীব পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-১৪-১৫৭৪) তল্লাশি করে ৯১১ পিস পেথিডিন ইনজেকশনসহ মো. ফারুক মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তিনি নেত্রকোনা সদর উপজেলার পশ্চিম কাটলী গ্রামের বাসিন্দা। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। আটককৃত তিনজনের বিরুদ্ধেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা হয়েছে। আতিকুর ও ফারুকের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক পুরোনো মাদক মামলা রয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য