× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
ইতিহাস গড়ার দিন পুঁজিবাজারে তুমুল আগ্রহ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে
google_news print-icon

ইতিহাস গড়ার দিন তুমুল আগ্রহ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে

ইতিহাস-গড়ার-দিন-তুমুল-আগ্রহ-মিউচ্যুয়াল-ফান্ডে
উত্থান অব্যাহত থাকায় সাড়ে সাত বছর আগে চালু হওয়া ডিএসইএক্স সূচকের সর্বোচ্চ অবস্থান পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আপ্লুত করেছে।
২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি ডিএসইএক্স সূচক চালুর পর সর্বোচ্চ অবস্থান ছিল ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর ৬ হাজার ৩৩৬ পয়েন্ট। এই সূচক চালুর আগে ডিএসই সূচকের ৬ হাজার ৩৮৯ পয়েন্ট এখন পরবর্তী ধাপ। রেকর্ডের এই দিনে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে মূলত দুটি খাতে। বছরের পর বছর ঘুমিয়ে থাকা মিউচ্যুয়াল ফান্ড আর গত এক বছর ধরে হতাশা তৈরি করা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত।

এক দশকের হতাশা কাটিয়ে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ব্যাপক মুনাফার আভাস, সম্পদমূল্য বৃদ্ধি আর সম্পদের তুলনায় বেশিরভাগের দাম কম থাকার পরিপ্রেক্ষিতে এই খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হয়ে উঠেছেন।

ঈদের ছুটির আগে যে দুই দিন বাজারে লেনদেন চলতে তার প্রথম দিন এই খাতেই দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি চাঙাভাব। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে যেসব খাতে, তার মধ্যে একটি ছিল এই খাত।

চাঙাভাব দেখা গেছে ঘুমিয়ে থাকা জ্বালানি খাতেও। শেয়ারের দাম বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনেও দেখা গেছে গতি।

তবে সবচেয়ে বেশি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে লভ্যাংশের অপেক্ষায় থাকা প্রকৌশল খাতে। বিপরীতে আগ্রহ হারিয়ে দামও হারাচ্ছে বিমা খাত, ব্যাংক নিয়ে হতাশা দূর হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই, মাটিতে নেমেছে উড়তে থাকা বস্ত্র খাতও।

এর বিপরীতে সবচেয়ে বড় খবর হলো, ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি চালুর পর সাড়ে সাত বছরের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছাল ডিএসইএক্স সূচক।

২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর সূচকের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৩৩৬ পয়েন্ট। নানা সময় চাঙাভাব দেখা দিলেও সেই সূচক কখনও অতিক্রম করতে পারেনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। তবে গত মে মাসে ছয় হাজার পয়েন্টে উঠার পর সেখানে টিকে থাকতে এক মাস ধরে যে মনস্তাত্তিক লড়াই, সেটিতে জয় আসার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়।

বেলা ২ টা ২৬ মিনিটে ৬ হাজার ৩৩৭ পয়েন্ট অতিক্রম করার পর লেনদেনের শেষ সময়ে তা বাড়ে আরও। দিন শেষ হয় ৬ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে।

২৮ পয়েন্ট বাড়লেই ইতিহাস হবে, এমন অপেক্ষায় থাকা পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে আগের দিনের চেয়ে ৫৭ পয়েন্ট। এর মধ্য দিয়ে ডিএসইএক্স সূচক ইতিহাসের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছল।

এখন ডিএসইএক্স চালুর আগে ২০১১ সালের ৩ আগস্ট ডিএসই সূচক ৬ হাজার ৩৮৯ পয়েন্ট পরবর্তী সর্বোচ্চ ধাপ।

ডিএসইএক্স সূচকের সর্বোচ্চ অবস্থান

সূচক আর ২৮ পয়েন্ট বাড়লে রেকর্ড হবে, এমন বাস্তবতায় রোববারের লেনদেন নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তুমুল আগ্রহ ছিল। তবে সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা পর ১১টা ৯ মিনিটে তাদের মধ্যে বিরক্তি ধরে লেনদেনে জটিলতায়।

ডিএসইর সার্ভার জটিলতায় লেনদেন বন্ধ থাকে এক ঘণ্টা ২০ মিনিট। পরে লেনদেন নির্ধারিত সময় বেলা আড়াইটার পর আরও এক ঘণ্টা চলে।

ইতিহাস গড়ার দিন তুমুল আগ্রহ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে
কারিগরি ত্রুটির কারণে রোববার পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকে এক ঘণ্টা ২০ মিনিট

সোয়া এক ঘণ্টা বিরতির পর লেনদেন আবার শুরু হলে সূচক বাড়তে থাকে। বেলা একটা ৩ মিনিটে ৬ হাজার ৩২২ পয়েন্ট থেকে বেড়ে এক পর্যায়ে ৬ হাজার ৩৭১ পয়েন্ট গিয়ে পৌঁছে। শেষ ৫ মিনিটে কিছু কমলেও সেটিতে উৎফুল্ল হয় বিনিয়োগকারীরা।

পুঁজিবাজারের এই ছুটে চলা শুরু ২০২০ সালের জুলাই থেকে। করোনার কারণে ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটির পর ৫ জুলাই বাজার শুরুর দিন সূচক ছিল ৩৯৮১ পয়েন্ট। সেখান থেকে প্রায় দুই হাজার পয়েন্ট বাড়ে এক টাকা।

গত ১৪ জানুয়ারি সূচক উঠে ৫ হাজার ৯০৯ পয়েন্টে। তবে এর পর দুই মাসের অস্থিরতায় সূচক গত ৪ এপ্রিল এক পর্যায়ে নেমে আসে ৫ হাজার ৮৮ পয়েন্টে।

৫ এপ্রিল লকডাউন শুরুর দিন পুঁজিবাজারে শুরু হয় দ্বিতীয় উত্থান। এক পর্যায়ে ৩৯ মাসের মধ্যে সূচক প্রথমবারের মতো ৬ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করে গত ৩০ মে। এরপর এক মাস উঠানামা করতে থাকে। প্রায়ই ৬ হাজার থেকে নিচে নেমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয় পুঁজিবাজারে।

তবে ৩০ জুন ৬ হাজার ১৫০ পয়েন্টে উঠার পর নিশ্চিত হয় যে, ছয় হাজার পয়েন্ট নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে মনস্তাত্তিক লড়াই তৈরি হয়েছিল, তাতে জয় হয়েছে। এরপর থেকে আবার বাড়তে থাকে সূচক।

গত বৃহস্পতিবার ৬ হাজার ৩০৭ পয়েন্ট হওয়ার পর ডিএসইএক্স এর রেকর্ড হয় কি না, তা নিয়ে তৈরি হয় আগ্রহ।

ডিএসইএক্স চালুর আগে যে সূচক ছিল, সেই ডিএসই সূচক কিন্তু এখনকার অবস্থানের চেয়ে অনেক বেশি ছিল এক পর্যায়ে। ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর সেই সূচক ছিল ৮ হাজার ৯১৮ পয়েন্ট। পরদিন থেকেই শুরু হয় এক দশক ধরে চলমান ধস।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ব্যাপক আগ্রহ

তালিকাভুক্ত সব মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা এর আগেও দেখা গেছে পুঁজিবাজারে। তবে রোববার যেটি হয়েছে, সেটি এর আগে কখনও দেখা যায়নি।

এই খাতে আগের দিন ১৪০ কোটি টাকা লেনদেনই অনেককে অবাক করেছিল। তবে এটি আরও বেড়ে এবার ছাড়িয়েছে দুইশ কোটির ঘর। দিন শেষে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ২০৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এরচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে কেবল প্রকৌশল খাতে।

ফান্ডের মধ্যে একটি ছাড়া সবগুলোর দাম বেড়েছে। তবে কমেনি একটিও।

ইতিহাস গড়ার দিন তুমুল আগ্রহ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে

সর্বাধিক দর বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে মিউচ্যুয়াল ফান্ড না থাকলেও ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে অনেকগুলোর দাম বেড়েছে দিনে যত বাড়া সম্ভব তার কাছাকাছি।

সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭.৩১ শতাংশ, এরপর পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭.২৪ শতাংশ।

দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি রেইসের ফান্ডগুলো ছিল বেশ এগিয়ে। এই দুইটার পাশাপাশি এই কোম্পানির অন্য ফান্ডগুলোর মধ্যে ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬.৫৭ শতাংশ, ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬.৫২ শতাংশ, এফবিএফআইএফের ৫.৭৯ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫.৩৩ শতাংশ, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫.৩৩ শতাংশ, এবি ব্যাংক ফার্মাট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫.১৯ শতাংশ এবং এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২.১৫ শতাংশ দর বেড়েছে।

অন্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলোর ফান্ডের মধ্যে দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা গেছে দম।

মাস কয়েক আগে হতাশা থাকলেও

১০টি ফান্ড এখন অভিহিত মূল্য ১০ টাকার বেশি ১০টি কাছাকাছি চলে এসেছে। একটি ভালো দিনেই তা ছাড়িয়ে যেতে পারে ১০ টাকা। আর সবচেয়ে কম দাম এখন এফবিএফআইএফের ৭ টাকা ৩০ পয়সা।

ফান্ড নিয়ে এই আগ্রহের কারণ, এগুলোর আকর্ষণীয় লভ্যাংশের সম্ভাবনা।

২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসের পর থেকে এই খাতটিও ছিল ঘুমিয়ে। তবে এবার ৯ মাসে আকর্ষণীয় মুনাফা আর অতালিকাভুক্ত বিভিন্ন ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণার পর পুঁজিবাজারেরগুলোও ভালো লভ্যাংশ ঘোষণা করবে বলে আভাস মিলেছে। এই অবস্থায় এই খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন। আর চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দাম।

বিদ্যুৎ-জ্বালানির জাগার আভাস

পুঁজিবাজারে উত্থানের প্রভাব পড়েনি একেবারেই পড়েনি এই খাতে। তবে রোববারের লেনদেন আশাবাদী করেছে এই খাতের শেয়ারধারীদেরকে। অথচ লভ্যাংশ ঘোষণার মৌসুম চলে এসেছে আর বেশিরভাগ কোম্পানিই গত বছরের চেয়ে বেশি আয় করেছে বলেই তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদনে দেখা যায়। করোনাকালেও কোম্পানিগুলোর ব্যবসার খুব বেশি ক্ষতি হয়েছে, এমন নয়।

এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে কেবল দুটির, বেড়েছে বাকি সবগুলোর।

কেবল দাম বেড়েছে এমন নয়, এই খাতের লেনদেনও জাগাচ্ছে আশা। ১০৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে এই একটি খাতে।

ইতিহাস গড়ার দিন তুমুল আগ্রহ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে

এই খাতে সবচেয়ে বেশি ৯.৭২ শতাংশ বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের দাম। তবে হাতবদলের সংখ্যা নগণ্য। এই দামে মাত্রা ৪ হাজার ৪১০টি শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

এ ছাড়া ৮.৫৩ শতাংশ দাম বেড়েছে সরকারি কোম্পানি পদ্মা অয়েলের। বাকিগুলোর দাম বৃদ্ধির হার শতকরা হিসেবে খুব একটা বেশি নয়।

অন্যান্য খাতের কী চিত্র

সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া প্রকৌশল খাতে ১৫টি কোম্পানির দাম কমার বিপরীতে বেড়েছে ২৭টির। হাতবদল হয়েছে ২৩৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

গত মাসের শেষ দিকে উড়তে থাকা বস্ত্র খাত আরও খানিকটা দর হারিয়েছে। ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ৪২টি। দর ধরে রাখতে পেরেছে কেবল একটি। বেড়েছে বাকি ১৫টির দাম। সবচেয়ে বেশি দর হারানো ৫টি কোম্পানির সবগুলো এই একটি খাতের।

এই খাতে হাতবদল হয়েছে ১৬৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগেও পাঁচশ কোটি টাকার আশেপাশে ছিল।

ইতিহাস গড়ার দিন তুমুল আগ্রহ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে

আরও হতাশ করেছে বিমা খাত। এক মাস ধরেই পতনের মধ্যে থাকা এই খাতটি সূচকের রেকর্ড করার দিন দাম বেড়েছে কেবল ৯টির। একটির লেনদেন ছিল স্থগিত, কমেছে বাকি ৪১টির দর।

হাতবদল হয়েছে মোট ১২৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, যা মাস দুয়েক আগে সাতশ কোটি টাকারও বেশি ছিল, এক দিন তা নয়শ কোটির ঘরও পেরিয়ে যায়।

চাঙাভাব দেখা গেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতেও। ৩১টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত দীর্ঘদিন ধরেই। বাকিগুলোর মধ্যে ১০টির দাম কমার বিপরীতে বেড়েছে ২০টির। হাতবদল হয়েছে মোট ১৭৪ কোটি ৯ লাখ টাকা।

আর হতাশার বৃত্তে থাকা ব্যাংক খাত কোনো আশা দেখাতে পারেনি। যদিও দিনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এই খাতে দাম বাড়ার সংখ্যা ছিল খুবই কম, তবু শেষ বেলায় কিছুটা হলেও বেড়েছে।

৩১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৮টির, একটির লেনদেন ছিল স্থগিত, বাকি ৬টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

এই খাতে হাতবদল হয়েছে ৯১ কোটি ৮২ লাখ টাকা, যা সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে কমগুলোর একটি।

সূচক ও লেনদেন

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৭.৭৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে।

শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ২০ দশমিক ০২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজা ৩৭৯ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৩১ দশমিক ১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩০৬ পয়েন্টে।

ইতিহাস গড়ার দিন তুমুল আগ্রহ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে
রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২১০টির, দর কমেছে ১৫০টি, দর পাল্টায়নি ১৩টির। মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ৬০ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৭৯ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ৭১ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
‘১২ টাকার’ দাম ৬ টাকা ৯০ পয়সা!
মিউচ্যুয়াল ফান্ড: দিনবদলের আরও আভাস
পতনের দিনে আগ্রহ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে
মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য বৃদ্ধিতে চমক
ব্যাংক, বিমা, বস্ত্রে ধসে উজ্জ্বল মিউচ্যুয়াল ফান্ড

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
Graffiti "July Heroism" in memory of martyrs in the mass uprising of the students in July and inaugurated July

জুলাই ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদের স্মরণে অঙ্কিত গ্রাফিতি “জুলাই বীরত্ব” ও “জুলাই আত্মত্যাগ" এর উদ্বোধন

জুলাই ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদের স্মরণে অঙ্কিত গ্রাফিতি “জুলাই বীরত্ব” ও “জুলাই আত্মত্যাগ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) জুলাই ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদের স্মরণে পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে অঙ্কিত বিশেষ গ্রাফিতি “জুলাই বীরত্ব” ও “জুলাই আত্মত্যাগ” এর শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব), মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার, সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, পদ্মা সেতু সাইট অফিসের কর্মকর্তাগণ এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয় গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে জাতিকে মুক্ত করার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদকে। তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং তাঁদের পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

জুলাই পুনর্জাগরণ ও তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তের ম্যুরাল চত্বরে জুলাই বিপ্লবের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে মূল উপজীব্য করে ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান-এর নির্দেশনা এবং মাননীয় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী-এর পরামর্শ অনুযায়ী গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। এজন্য তিনি মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং মাননীয় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়কে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং গ্রাফিতি অঙ্কন শিল্পিদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, এই প্রজন্ম ও আগামীর প্রজন্মকে জানতে হবে-জুলাইয়ের সেই গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি আন্দোলন নয়, বরং ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। ছাত্রজনতার নেতৃত্বে সেই আন্দোলন গণমানুষের প্রত্যাশাকে একত্রিত করে জাতিকে নতুন দিশা দিয়েছিল। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ ধরণের উদ্যোগ তরুণ সমাজকে অনুপ্রাণিত করবে সত্য, ন্যায়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চেতনায় উজ্জীবিত হতে।

তিনি আরও বলেন যে আমাদের দায়িত্ব হবে তাঁদের এ ত্যাগকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা এবং একইসাথে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁদের আদর্শকে ধারণ করা। শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তিনি সকলকে আহবান জানান, যেই বাংলাদেশে থাকবে ন্যায়, সমতা ও মানবিকতার অবিচল প্রতিশ্রুতি।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
BNP did not fly across Mirza Fakhrul

বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি : মির্জা ফখরুল

বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেক ষড়যন্ত্র চলছে, মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বিএনপির বিরুদ্ধে। আমরা সেই দল, যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেনি। লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গড়ে উঠেছি।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন ফখরুল।

তিনি বলেন, নির্বাচনের মধ্যদিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তা কাজে লাগানোর জন্য বিএনপি প্রস্তুত।

মির্জা ফখরুল বলেন, একাত্তরে ভিন্ন অবস্থানে থাকা দল, এমনকি যাদের কালকে জন্ম হয়েছে তারাও বিএনপিকে নিয়ে কথা বলে, কিন্তু এই দল (বিএনপি) হলো ফিনিক্স পাখির মতো, এ দলকে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি। বরং ষড়যন্ত্রকারীরাই পালিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, যেকোনো নেতার নামে স্লোগান নয়, স্লোগান হবে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Rescue of a 5 foot tall dragon in Boalkhali

বোয়ালখালীতে ১০ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার

বোয়ালখালীতে ১০ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা বিনোদ চৌধুরীর বাড়ির পাশে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একটি ১০ ফুট লম্বা বার্মিজ প্রজাতির অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।

ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিমের সদস্য আমির হোসাইন শাওন জানান, সাপটি বসতবাড়ির পাশে ঘেরা দেওয়া জালে আটকা পড়েছিল। খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জাল কেটে সাপটিকে উদ্ধার করেন।

সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ফুট এবং ওজন আনুমানিক ৮-৯ কেজি। জালে আটকা পড়ার কারণে সাপটি কিছুটা আহত হয়েছে। উদ্ধারের পর সাপটিকে সুস্থ করে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে অবমুক্ত করা হবে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Tareq Rahmans gift distribution at Pujamandap in Comilla

কুমিল্লায় ১৩১ পূজামণ্ডপে তারেক রহমানের উপহার বিতরণ

কুমিল্লায় ১৩১ পূজামণ্ডপে তারেক রহমানের উপহার বিতরণ

আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে কুমিল্লা মহানগরীর ১৩১টি পূজামণ্ডপে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে নগদ বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর ধর্মসাগর পাড়স্থ কুমিল্লা মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই উপহার প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপহার বিতরণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াসিন।

অনুষ্ঠানে মহানগরীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে উপহার গ্রহণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারি আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিউর রাজিব, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকসহ মহানগর ও ওয়ার্ড বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সবসময় দেশের মানুষের পাশে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার—এই মন্ত্রে বিশ্বাস করে বিএনপি। শারদীয় দুর্গাপূজা হচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতির একটি বড় অংশ। এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে দলের পক্ষ থেকে প্রতিবারই বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করা হয়ে থাকে।

হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিন বলেন, “তারেক রহমান সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের প্রতি সমান সহানুভূতি ও শ্রদ্ধা পোষণ করেন। কুমিল্লার ১৩১টি পূজামণ্ডপে আজকের এই উপহার প্রদান তারেক রহমানের আন্তরিক ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ। বিএনপি বিশ্বাস করে—একটি সুস্থ ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতেই হবে।”

অনুষ্ঠান শেষে পূজামণ্ডপ প্রতিনিধিরা বিএনপি ও তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ উৎসবকে আরও আনন্দঘন করে তোলে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
The river canal is being resumed to reduce permanent waterlogging in Keshabpur

কেশবপুরে স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে পুনঃখনন শুরু হচ্ছে ১৩ নদী-খাল

১৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বরাদ্দ
কেশবপুরে স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে পুনঃখনন শুরু হচ্ছে ১৩ নদী-খাল

বন্যা ও স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে চলতি মাসেই ৩টি নদী ও ১০টি সংযোগ খালের - পুনঃখনন কাজ শুরু হচ্ছে। এ কাজের জন্য ১৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সেনাবাহিনী ৩টি নদীর ৮২ কিলোমিটার এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ১০টি সংযোগ খালের ৩১ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হবে।

কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে হরি নদীর ভবদহের ২১ ভেন্ট সুইস গেট থেকে উজানে ৭ কিলোমিটার ও ভাটিতে হরি নদীর খর্ণিয়া ব্রিজ পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার, খর্নিয়া ব্রিজ থেকে তেলিগাতি ঘ্যাংরাইল পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার, হরি নদীর শাখা আপার ভদ্রার কাশিমপুর থেকে মঙ্গলকোট ব্রিজ পর্যন্ত ১৮ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, বড়েঙ্গার তিন নদীর মোহনায় জিরো পয়েন্ট থেকে কেশবপুর মনিরামপুর হয়ে রাজগঞ্জ রোড পর্যন্ত হরিহর নদীর ৩৫ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হবে। এছাড়া নদীর ১০টি সংযোগ খালের মধ্যে নুরানিয়া ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার, বাদুড়িয়া ৩ কিলোমিটার, বুড়ি ভদ্রার শাখা খালের ৫ কিলোমিটার, গরালিয়া ১ দশমিক ৩৫০ কিলোমিটার, কন্দর্পপুর ১ কিলোমিটার, কাশিমপুর ১ কিলোমিটার, ভায়না ১ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, বিল খুকশিয়া ৭ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, বুড়ুলি ৩ কিলোমিটার ও পাথরা খাল ১ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হবে। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে নদীর সিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনীও নদীগুলি পরিদর্শন করেছেন। পাউবো আরও জানায়, কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার বর্ষার অতিরিক্ত পানি হরি নদীর শাখা দেলুটি দিয়ে শিবশা নদী হয়ে সাগরে পতিত হয়। এসব নদীর সংযোগ খালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসংখ্য পোল্ডার ও ৯১টি লুইস গেট রয়েছে। বিল খুকশিয়া ৮ ভেন্ট সুইস গেটের সাথে ছোট বড় ২৭ টি বিল, নূরনিয়া ৪ ভেন্ট সুইস গেটের সাথে ১২টি বিল, ভবদহের ২১ ও ৯ ভেন্ট লুইস গেটের সাথে ছোট বড় ৫২টি বিল ও কোনো কোনো রেগুলেটরের সাথে একাধিক বিল যুক্ত আছে। যা পোল্ডারে আবদ্ধ থাকায় দু'পাশ পলিতে ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। পোল্ডারের কারণে প্লাবনভূমির সঙ্গে নদীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বর্তমানে হরিনদীসহ অন্যান্য নদীতে জোয়ার উঠে না। ফলে নদীগুলো বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নিয়ে থাকে।

এছাড়া শুধুমাত্র কেশবপুরের বিভিন্ন বিলের মধ্যে ৫৯টি সরকারি খাল রয়েছে যা মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীরা দখল করে তাদের ঘেরের সাথে যুক্ত করে মাছ চাষ করে আসছে। এসব খাল দখলমুক্ত করতে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কেশবপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার বলেন, বন্যা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩টি নদী ও ১০টি খাল পুনঃখননে সরকার ১৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে ৩টি নদীর পুনঃখনন সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে করা হবে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী নদী এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসব নদী-খাল খনন সম্পন্ন হলে এলাকা বন্যা ও জলাবদ্ধতা মুক্ত হবে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Video viral of a doctors abuse with the relatives of the rape victim

ধর্ষণের শিকার শিশুর স্বজনদের সঙ্গে চিকিৎসকের দুর্ব্যবহারের ভিডিও ভাইরাল

ধর্ষণের শিকার শিশুর স্বজনদের সঙ্গে চিকিৎসকের দুর্ব্যবহারের ভিডিও ভাইরাল

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের শিকার এক শিশুর অভিভাবকের সঙ্গে অত্যন্ত অশালীন ভাষা ব্যবহার ও দুর্ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ঘটা এই ঘটনার একটি বিতর্কিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, চিকিৎসক আবুল কাশেম চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা ও স্বজনদের উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ, অপমানজনক ও হুমকিমূলক ভঙ্গিতে কথা বলছেন।

স্থানীয় ভাষায় তাকে বলতে শোনা যায়— ‘ ‘হাসপাতালডাক তোমরা চিড়িয়াখানা পাইছ, চিড়িয়াখানার মতো ভর্তি হবার আইসো, কোনঠে সাংবাদিক আইসো, দেউনিয়া-মদ্দিনা আইসো, এলাকাবাসী আইসো, পুরুষ-মহিলা আইসো, ছোট-বড় আইসো, এইটা হরিবোল, হরিবোল দেওয়ার জায়গা নাকি? এই ছুটি বাড়ি যাও, আইজকে বিস্তিবার (বৃহস্পতিবার) আর কোথায় রাখব? তোমরা মামলা করলে করো, না করলে…(অশ্লীল ভাষায় কিছু বলেন)।’

এদিকে, বিতর্কিত ভিডিওটি সিভিল সার্জনের নজরে আসার পর রাতেই অভিযুক্ত চিকিৎসক আবুল কাশেমকে শনিবারের (২০ সেপ্টেম্বর) মধ্যে ঘটনার কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সার্জন ডা. মো. মিজানুর রহমান জানান, কী ঘটেছিল এবং কেন রোগীর পরিবারের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে, তার সঠিক জবাব চেয়ে নোটিশ করা হয়েছে। গত শুক্রবার ১৯ সেপ্টেম্বর সরকারি ছুটি থাকায় শনিবারের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি যেহেতু আলোচিত, তাই জবাব পাওয়ার পর তা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য

দৌলতপুরে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি

দৌলতপুরে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে রোগীবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার গভীর রাতে, উপজেলার খলিশাকুণ্ডি ইউনিয়নের পিপুলবাড়িয়া মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতেরা রাস্তার ওপর গাছ ফেলে অ্যাম্বুলেন্সটি থামিয়ে, অস্ত্রের মুখে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্ট্রোকের রোগী লিটনকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। পথিমধ্যে পিপুলবাড়িয়া মাঠের কাছে যাত্রীছাউনির সামনে গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ করে পাঁচ-ছয়জনের এক ডাকাত দল। দেশীয় অস্ত্র হাতে তারা অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও ভেতরে থাকা চারজনকে জিম্মি করে অর্থ ছিনিয়ে নেয়।

অ্যাম্বুলেন্স চালক রতন আহমেদ জানান, রাত ১টার দিকে রোগীকে কুষ্টিয়ায় নিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ডাকাতেরা গাড়ি আটকে আমার গলায় ছুরি ঠেকিয়ে টাকার ব্যাগ নিয়ে যায়। তারা কাউকে কিছু না বলতে কড়া হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

রোগীর এক স্বজন জালাল বলেন, আমরা চালককে কাতলামারী হয়ে না যেতে অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তিনি ওই পথেই যান। পথে এই ঘটনা ঘটে এবং আমাদের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে লিটন নামে একজন রোগী হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। পথে অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

p
উপরে