× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
১২ টাকার দাম ৬ টাকা ৯০ পয়সা
google_news print-icon

‘১২ টাকার’ দাম ৬ টাকা ৯০ পয়সা!

১২-টাকার-দাম-৬-টাকা-৯০-পয়সা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কিছু মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দাম তার সম্পদমূল্যের চেয়ে কমে পাওয়া যাচ্ছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২৬টির দাম তার সম্পদমূল্যের চেয়ে কমে পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি সম্পদমূল্যের ৪০ শতাংশ কমেও পাওয়া যাচ্ছে দুটি। এই বিষয়টি যে অস্বাভাবিক, সেটি অতালিকাভুক্ত ফান্ডের সম্পদমূল্য আর বাজারমূল্য দেখলেই বোঝা যায়। অতালিকাভুক্ত ফান্ডগুলোর সম্পদ যত এটি কিনতে হয় তত দামেই।

১২ টাকার সম্পদ কোথাও ৭ টাকা বা তার চেয়ে কমে কেনা যায়?

এটি যদি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো মিউচ্যুয়াল ফান্ড হয়, তাহলে পারা যায়।

তালিকাভুক্ত পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য আছে ১১ টাকা ৯৮ পয়সা। কিন্তু দাম এখন ৬ টাকা ৯০ পয়সা।

বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টাকা তুলে এই ফান্ডগুলো পুঁজিবাজার বা বাইরে বিনিয়োগ করে। আর বছর শেষে মুনাফা লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করে। আর লোকসান হলে সেটি বিতরণ করা সম্ভব হয় না।

২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসের পর এই মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো আশানুরূপ লভ্যাংশ দিতে পারেনি, আর এ কারণে এই ফান্ডগুলোর প্রতি আগ্রহ হারাতে থাকে বিনিয়োগকারীরা। আর একপর্যায়ে সম্পদমূল্যের চেয়ে অনেক নিচে নেমে আসে দাম।

তবে গত এক বছরে চাঙা পুঁজিবাজারে ফান্ডগুলো ব্যাপক মুনাফা করার হিসাব দিচ্ছে। আর এ কারণে ফান্ড কেনায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। দামও বাড়ছে ইউনিটের।

তারপরেও দেখা যাচ্ছে, তালিকাভুক্ত অনেক ফান্ড সম্পদমূল্যের ৪০ শতাংশ কমে পর্যন্ত লেনদেন হচ্ছে।

‘১২ টাকার’ দাম ৬ টাকা ৯০ পয়সা!

অথচ যেসব ফান্ড বাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি, সেগুলোর ক্ষেত্রে উল্টো চিত্র। সম্পদমূল্যের সমান বা আশপাশেই ক্রয়-বিক্রয় হয় সেসব ফান্ড।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দরের চেয়ে সম্পদমূল্য বেশি হলে সেই ফান্ডকে বিনিয়োগ উপযোগী হিসেবে বিনিয়োগ পরামর্শ দেয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মেয়াদ শেষ হয় বন্ধ হয়ে যাবে নয়তো বেমেয়াদিতে রূপান্তর হবে। এ খাতে যারা বিনিয়োগ করে তাদের প্রত্যাশা হচ্ছে বছর শেষে কী রিটার্ন দিচ্ছে। ফলে ভালো রিটার্ন না পেলে বিনিয়োগকারীরা সেখানে বিনিয়োগ করতে চান না।

কিন্তু যে বছর তালিকুভক্ত ফান্ডগুলো লভ্যাংশ দিতে পারেনি, সে বছর বেমেয়াদিগুলোও লভ্যাংশ দিতে পারেনি। তাহলে সেগুলোর দাম কেন তালিকাভুক্তগুলোর চেয়ে বেশি- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বেমেয়াদিগুলোতে আগ্রহ বেশি থাকে। কারণ, এখানে প্রতিযোগিতা আছে, কার চেয়ে কে বেশি ডিভিডেন্ডে দিতে পারে। এখানে হিসাবেরও স্বচ্ছতা মেয়াদিগুলোর চেয়ে বেশি।

পুঁজিবাজারে বর্তমানে লেনদেন হওয়া ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১ টির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় লেনদেনে আছে ৩৬টি ফান্ড।

‘১২ টাকার’ দাম ৬ টাকা ৯০ পয়সা!

সব কটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড এরই মধ্যে তাদের ৩০ জুনের ক্লোজিং হিসাব অনুযায়ী সম্পদমূল্য প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া এরই মধ্যে এক সপ্তাহের ৮ জুলাই পর্যন্তও তাদের সম্পদমূল্য প্রকাশ করেছে।

সেখানে দেখা গেছে ১০টি ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দর ৮ জুলাই প্রকাশ করা সম্পদমূল্যের তুলনায় বেশি। বাকি ২৬টির দর কম।

সম্পদমূল্যের চেয়ে কম যেগুলোর

পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদ মূল্য ১১ টাকা ৯৮ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৬ টাকা ৯০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৪২ দশমিক ৪০ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৭৯ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৬ টাকা ৯০ পয়সায়। সম্পদ মূল্যের চেয়ে ৪১.৪৭ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদ মূল্য ১১ টাকা ৯৫ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৫০ পয়সায়। সম্পদ মূল্যের চেয়ে ৩৭ দশমিক ২৩ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১২ টাকা ৪ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৬০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩৬.৮৭ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

‘১২ টাকার’ দাম ৬ টাকা ৯০ পয়সা!

এবিব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১২ টাকা ৯ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৭০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩৬ দশমিক ৩১ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদ মূল্য ১২ টাকা ৩৭ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৯০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১৩ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৫৮ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৫০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩৫ দশমিক ২৩ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান সম্পদমূল্য ১২ টাকা ৪২ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৮ টাকা ৪০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩২ দশমিক ৩৬ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৮ জুলাই পর্যন্ত সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৯৫ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৮ টাকা ২০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩১ দশমিক ৩৮ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফিন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান সম্পদমূল্য ১২ টাকা ৯২ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৫০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ২৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৯০ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৮ টাকা ৯০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ২৫ দশমিক ২১ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

‘১২ টাকার’ দাম ৬ টাকা ৯০ পয়সা!

এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ২৮ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৮ টাকা ৬০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

আইএফআইএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ৯ টাকা ৫০ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৪০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ২২ দশমিক ১০ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৭৫ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ২০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ২১ দশমিক ৭০ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৮০ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৩০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ২১ দশমিক ১৮ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৮৫ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৪০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ২০ দশমিক ৬৭ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১২ টাকা ১৩ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৩০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১০ টাকা ২৯ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৮ টাকা ৩০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্স ফান্ডের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৫৪ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৪০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ১৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ৯ টাকা ৩৮ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৭০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ১৭ দশমিক ৯১ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

‘১২ টাকার’ দাম ৬ টাকা ৯০ পয়সা!

আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ১৪ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৫০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৮১ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৫০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ১২ দশমিক ২৮ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

আইসিবি এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান, স্কিম ওয়ানের সম্পদমূল্য ৯ টাকা ৫২ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৮ টাকা ৬০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৫০ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৫০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

রিলায়েন্স ওয়ান ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১৪ টাকা ৭৬ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ১৩ টাকা ৫০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

গ্রামীণ ওয়ান, স্কিম টু ফান্ডের সম্পদমূল্য ২০ টাকা ৮৬ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ১৯ টাকা ৩০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

সম্পদমূল্যের চেয়ে ইউনিটের দর বেশি

সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দর বৃহস্পতিবার ছিল ২৪ টাকা ৬০ পয়সা। ফান্ডটির ৮ জুলাই পর্যন্ত সম্পদমূল্য ১২ টাকা ২৮ পয়সা। সম্পদমূল্যের চেয়ে ১০০ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

প্রাইম ফিন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৮ জুলাই সময়ে সম্পদমূল্য প্রকাশ করা হয়েছে ১৪ টাকা ৩৪ পয়সা। বৃহস্পতিবার ফান্ডটির ক্লোজিং প্রাইস ছিল ২০ টাকা ৪০ পয়সা। ফলে ফান্ডটির সম্পদমূল্যের চেয়ে ৪২ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে।

আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৫৪ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ১২ টাকা ৮০ পয়সায়। ফলে সম্পদমূল্যের চেয়ে ২১ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দর ১৩ টাকা ৬০ পয়সা, ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৩৬ পয়সা। সম্পদমূল্যের চেয়ে বাজারমূল্য বেশি ১৯ দশমিক ৭১ শতাংশ।

সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের সম্পদমূল্য ১২ টাকা ৮ পয়সা। ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি দর বৃহস্পতিবার ছিল ১৪ টাকা ৪০ পয়সা। সম্পদমূল্যের চেয়ে ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

ফিনিক্স ফিন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বৃহস্পতিবার ইউনিটপ্রতি দর ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা। সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, ইউনিটপ্রতি ফান্ডটির সম্পদ ৯ টাকা ৮০ পয়সা। ফলে সম্পদমূল্যের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

‘১২ টাকার’ দাম ৬ টাকা ৯০ পয়সা!

এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১৫ টাকা ৩৯ পয়সা। ফান্ডটি লেনদেন হচ্ছে ১৬ টাকা ৯০ পয়সায়। ফলে সম্পদমূল্যের চেয়ে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

এসইএম লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ইউনিট প্রতি দর ১২ টাকা ৮০ পয়সা, ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৮৫ পয়সা। সম্পদমূল্যের চেয়ে বাজারমূল্য বেশি ৮ দশমিক ০১ শতাংশ।

এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ডের ৮ জুলাই পর্যন্ত সম্পদমূল্য ১২ টাকা ৫৫ পয়সা। বৃহস্পতিবার ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি দর ছিল ১৩ টাকা ৫০ পয়সা। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশে দরে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।

এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দর ১২ টাকা ৮০ পয়সা, ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য ১২ টাকা ৩৮ পয়সা। সম্পদমূল্যের চেয়ে বাজারমূল্য বেশি ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

অতালিকাভুক্তগুলোর সম্পদ ও বাজারমূল্য সমান

৮ জুলাই সবশেষ প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী আইডিএলসি ব্যালান্সড ফান্ডের ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য আছে ১২ টাকা ৯০ পয়সা। এটিই ক্রয় ও বিক্রয়মূল্য।

একই সময়ে আইডিএলসি গ্রোথ ফান্ডেরর সম্পদমূল্য ছিল ১৩ টাকা ৩৪ পয়সা। এর ক্রয় ও বিক্রয়মূল্য একই।

আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট শরিয়াহ ফান্ডের ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য ১২ টাকা ৪৬ পয়সা। ক্রয় ও বিক্রয়মূল্যও একই।

আইডিএলসি ইনকাম ফান্ডের সম্পদমূল্য আছে ১০ টাকা ২ পয়সা। কেউ কিনতে চাইলে এই পরিমাণ টাকাই দিতে হবে। বিক্রি করলেও পাবেন সমপরিমাণই।

শান্তা ফার্স্ট ইনকাম ইউনিট ফান্ডের সম্পদমূল্য এখন ১৪ টাকা ১২ পয়সা। এটিরও ক্রয়মূল্য ও বিক্রয়মূল্যে কোনো পার্থক্য নেই।

শান্তা আমানাহ শরিয়া ফান্ডের সম্পদূমূল্য ১২ টাকা ৪৮ পয়সা। এরও ক্রয় ও বিক্রয়মূল্যে কোনো পার্থক্য নেই।

আরও পড়ুন:
মিউচ্যুয়াল ফান্ড: দিনবদলের আরও আভাস
পতনের দিনে আগ্রহ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে
মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য বৃদ্ধিতে চমক
ব্যাংক, বিমা, বস্ত্রে ধসে উজ্জ্বল মিউচ্যুয়াল ফান্ড
অর্থবছর শেষ হওয়ার এক বছর পর লভ্যাংশ ঘোষণার সভা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
Public Health and Environment in Public Health and Environment Plastic Waste

হুমকিতে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ প্লাস্টিক বর্জ্যে নাকাল কর্ণফুলী

হুমকিতে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ প্লাস্টিক বর্জ্যে নাকাল কর্ণফুলী

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রাম প্রতিদিন তৈরি করছে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশজুড়ে রয়েছে প্লাস্টিক বর্জ্য। নগরজুড়ে উৎপন্ন এই প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের অভাবে সরাসরি নদী, খাল ও নালায় গিয়ে মিশছে। যা পরিবেশের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), জার্মান সরকার এবং বাউস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, চট্টগ্রাম শহরে প্রতিদিন প্রায় ২৫০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে ১৪০ টন সরাসরি খাল ও নালার মাধ্যমে গিয়ে পড়ে কর্ণফুলী নদীতে। নদীতে জমা হওয়া এই প্লাস্টিক বর্জ্যে তৈরি হচ্ছে পলিথিন ও প্লাস্টিকের আস্তর। এর ফলে নদীর স্বাভাবিক গভীরতা দিন দিন কমে যাচ্ছে, ব্যাহত হচ্ছে কর্ণফুলী নদীতে জাহাজ ও নৌযান চলাচল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে নদীর গভীরতা বাড়াতে সম্প্রতি প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে হয়েছে। এই ব্যয় অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য প্লাস্টিকের পাশাপাশি ওয়ান টাইম প্লাস্টিক সবচেয়ে বেশি পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, প্লাস্টিক মূলত তৈরি হয় পেট্রোলিয়াম থেকে। সুতরাং পরিবেশের ওপর এর একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব থেকে যায়। এছাড়া প্লাস্টিক পলিথিনের মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় যেগুলোর প্রায় প্রতিটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক। বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৪৮০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন হয়। ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পরিবেশের উপর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

চুয়েটের পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যদি শহরের বর্জ্য ঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতে পারতাম তাহলে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ড্রেজিংয়ে খরচ হতো না। একইসঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।’ এক গবেষণায় দেখা যায়, কর্ণফুলী নদীতে প্রতিদিন গড়ে ৭৮৫ টন বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য গিয়ে পড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া ওয়ান টাইম প্লাস্টিক, যা পরিবেশের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। গবেষকরা জানান, বন্দরে যেসব জাহাজ আসে সেগুলোও কম-বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি করে। এসব বর্জ্য যথাযথভাবে নিষ্কাশন না হলে তা শুধু নদী নয়, সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য এবং সামুদ্রিক পরিবেশেও মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

এসসিআইপি প্লাস্টিক প্রজেক্টের পরিচালক ড. ফারজানা রহমান জুথি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিদিনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যথাযথভাবে করতে হবে। আর এটি করতে না পারলে নদী ও সমুদ্র উভয়ের পরিবেশই বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।’

জানা গেছে, বাংলাদেশ প্লাস্টিক দূষণের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে একটি। নদীতে প্লাস্টিক দূষণ রোধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকরা। কারণ, এটি শুধু পরিবেশ নয়, জনস্বাস্থ্যের ওপরও দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের এক সমীক্ষায় কর্ণফুলী নদীর ৭৯টি স্থানে দূষণের চিত্র ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ৭৭টি স্থানে দূষণকে ভয়াবহ বলা হয়েছে। শিল্প-কারখানা, গৃহস্থালি, রাসায়নিক, কঠিন ও তরল বর্জ্য, পয়োঃবর্জ্য ও পলিথিন সরাসরি নদীতে ফেলার কারণে নদীর জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, চট্টগ্রাম শহরের ২৩টি স্থানে এবং ১৯টি খালের মাধ্যমে গৃহস্থালি ও শিল্প বর্জ্য কর্ণফুলীতে যাচ্ছে। শুধু নগরী নয়, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী ও কর্ণফুলী উপজেলা থেকেও নদীতে ব্যাপক দূষণ হচ্ছে।

বিশেষভাবে কর্ণফুলী উপজেলায় অবস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় সিমেন্ট, চিনি, তেল পরিশোধন, ফিশিং কমপ্লেক্স ও অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান নদীতে সরাসরি বর্জ্য ফেলছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা তেলের দোকান, খোলা টয়লেট, ডায়িং মিল, সার কারখানাসহ নানা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ড্রেন ও খালের মাধ্যমে গিয়ে মিশছে কর্ণফুলীতে। কৃষি কাজে ব্যবহৃত কীটনাশক ও রাসায়নিক সারও খালের মাধ্যমে নদীতে পৌঁছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।ঢাকায় আয়োজিত এক সেমিনারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. এম. ফিরোজ আহমেদ জানান, দেশে বছরে প্রায় ৯, ৭৭,০০০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক সবচেয়ে ক্ষতিকর। তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিক মূলত পেট্রোলিয়াম থেকে তৈরি হয়। এটি পরিবেশে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। এসব প্লাস্টিকের মান উন্নয়নের জন্য ব্যবহৃত কেমিক্যালগুলোও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।’ তিনি আরও বলেন, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৪৮০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদিত হচ্ছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
The Kushtia Gorai River is being occupied
হুমকিতে শহররক্ষা বাঁধ

বেদখল হয়ে যাচ্ছে কুষ্টিয়া গড়াই নদীর চর ও তীরবর্তী অঞ্চল

বেদখল হয়ে যাচ্ছে কুষ্টিয়া গড়াই নদীর চর ও তীরবর্তী অঞ্চল

গড়াইয়ের পানি প্রবাহের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৪ জেলার মানুষের ভালোমন্দ। তাদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রিত হয় গড়াইয়ের ওপর। একটু বলে রাখা দরকার, ১৯৫৪ সালে কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে সেচ সুবিধা ও বন্যা থেকে ফসল ও জনপদ রক্ষার জন্য গঙ্গা কপোতাক্ষ পরিকল্পনা (জিকে) সেচ প্রকল্প নামে কার্যক্রম চালু হয়। জাতিসংঘের সহযোগিতায় চালু হওয়া সে প্রকল্পের আওতায় ফসল উৎপাদন বেড়ে যায় প্রায় তিনগুণ। এ প্রকল্পের মূল উৎস ছিল গড়াই। গড়াই নাব্য সংকটে থাকায় উৎসমুখের কাছে ভেড়ামারাতে পাম্প হাউস স্থাপন করে এ প্রকল্প টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল, তাও রক্ষা হয়নি। গড়াই শুকিয়ে যাওয়ার ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

আর নানা কারণে কুষ্টিয়া শহরের গড়াই নদীর তীরবর্তী দুই পাড় দখলের কবলে পড়ছে। অবৈধ স্থাপনা ও বাধের দুইপাড় দখলের কারণে ধীরে ধীরে গ্রাস করছে গড়াই নদীর শহর রক্ষা বাঁধ। স্বেচ্চাচারিভাবে নদী তীরে দোকান পাঠ, খামার, প্রতিষ্ঠান, এমনকি ঘর বাড়িও নির্মাণ করা হচ্ছে। নদীর কিছু কিছু জায়গায় ইতোমধ্যেই দখলদাররা বালু মহাল তৈরি করে পুরো চর দখল করে নিয়েছে। এমনকি নদীর তীরে মোটা বালি চিকন বালির বিশাল বিশাল বড় বড় গাদি করে ট্রলি ও ডাম ট্রাক এর মাধ্যমে এসব বালি বিক্রয় করছে। যা নদী রক্ষা বাঁধ ও তীর হুমকির মধ্যে পড়েছে। এছাড়াও নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে ক্ষমতাসীনদের ছত্র ছায়ায় বিভিন্ন মানুষকে টাকার বিনিময়ে জায়গা বিক্রয় করে তাদেরকে বসবাস করার অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি এই দখলদাররা এলাকার উচ্চ পদের লোকদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছে যার ফলে এদের কিছুই হচ্ছে না।

সরজমিনে দেখা যায়, অবৈধ দখলদারদের হাতে বেদখল হয়ে যাচ্ছে কুষ্টিয়া গড়াই নদীর চর ও তীরবর্তী অঞ্চল গুলো। কিছু অসাধু চক্র ক্ষমতার বড়াই দেখিয়ে একের পর এক দখল করে নিচ্ছে গড়াই নদীর পাড়। কুষ্টিয়া থানাপাড়া থেকে শশ্নান ঘাট পর্যন্ত ক্ষমতা দেখিয়ে নদী তীরে দোকান পাঠ, খামার এমনকি ঘর বাড়ি ও নির্মাণ করেছে ওইসব ভূমিদস্যুরা। কোথাও কোথাও পাকা দোতলা পর্যন্ত বাড়ি করা হয়েছে। শুধু তাই নয় কুষ্টিয়া হরিপুর ব্রিজের দুই পাশে দোকানপাট করেছে । এমনকি ব্রিজের পিলার দখল করে দোকান তৈরি করা হয়েছে। এতে হুমকিতে রয়েছে নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ। এছাড়াও এইসব দখলবাজদের জন্য সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে কুষ্টিয়া গড়াই নদীর তীর। নষ্ট হচ্ছে নদীর পরিবেশ ও প্রকৃতি। নদী দখল হওয়া এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে কুষ্টিয়া শহরসংলগ্ন জুগিয়ার নদী তীরবর্তী অঞ্চল, মঙ্গলবাড়িয়া বাঁধ সংলগ্ন, রেইনউক বাঁধ ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা, হরিপুর সংযোগ ব্রিজ এলাকা, হরিপুরের বিভিন্ন নদীর তীরসংলগ্ন এলাকা, বড়বাজার ঘোড়ার ঘাট এলাকা, শ্বশ্নান ঘাট, সৈয়দ মাসউদ রুমী সেতুসংলগ্ন এলাকা, কয়া বাজার ও কুমারখালী শহররক্ষা বাঁধ। খোকসা উপজেলাতেও চলছে নদী দখলের মহোৎসব। স্থানীয়দের অভিযোগ এই দখলদারিকে কেন্দ্র করে নদী তীরে বেশ কয়েকবার রক্তা রক্তির ঘটনাও ঘটেছে।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা যায়, এসব অবৈধ স্থাপনা নিয়ে কাজ করছে তারা। অতি দ্রুতই এগুলো ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশিদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

সাতক্ষীরায় গরমের তীব্রতায় বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ

সাতক্ষীরায় গরমের তীব্রতায় বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ

সাতক্ষীরায় গরমের তীব্রতায় নাভিশ্বাস উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষের। আষাঢ়ের শুরু থেকে গরমের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় দুপুরের আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তা। অসহনীয় কষ্ট বেড়েছে শ্রমজীবী মানুষের। ভিড় বেড়েছে ডাব, শরবত আর আখের রসের দোকানে। গরমের তীব্রতা কাটাতে শহরের পৌরদিঘীতে দীর্ঘক্ষণ ধরে গোসল করছেন অনেকেই।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সাতক্ষীরার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা শতকরা ৫৪ ভাগ। অপরদিকে শনিবার সাতক্ষীরায় এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজমান ছিল। ওইদিন তাপমাত্রা ছিল ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাতক্ষীরায় গরমের তীব্রতায় নাকাল হয়ে পড়েছে মানুষ। গরমে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি কষ্ট পাচ্ছে। মাঝে মধ্যে বৃষ্টির দেখা দিলেও ভ্যাপসা গরম আরো অসহনীয় লাগছে জনসাধারণের ।

ভ্যানচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভ্যান চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। রাস্তায় বের হলে মুখ পুড়ে যাচ্ছে গরমে। এছাড়া বাইরে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে ভাড়াও সেভাবে পাচ্ছিনা।’

শহীদ রাজ্জাক পার্কের শরবত বিক্রেতা ইনতাজ আলী জানান, অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় শরবত বিক্রি বেড়েছে। আগে যেখানে ৪০ থেকে ৫০ গ্লাস শরবত বিক্রি করতাম, এখন সেখানে ১০০ ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক কামরুন্নাহার বলেন, ‘সাতক্ষীরায় কখনো মৃদু আবার কখনো মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ধারা জুন মাসের পুরোটা সময় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
The name of the Sheikh family from 4 colleges in Barisal

বরিশালে ৫ কলেজ থেকে শেখ পরিবারের নাম বাদ

বরিশালে ৫ কলেজ থেকে শেখ পরিবারের নাম বাদ

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার মা ও ফুফার নামে নামকরণ করা বরিশাল বিভাগের পাঁচটি কলেজের নতুন নামকরণ করা হয়েছে।

বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকী জানান, সম্প্রতি নাম পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপণ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ।

নাম পরিবর্তন করা পাঁচ কলেজ হচ্ছে; বরিশাল নগরীর কাউনিয়া এলাকায় স্থাপিত শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি কলেজের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘কাউনিয়া সরকারি কলেজ’। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা মহাবিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন করে ‘আলিমাবাদ সরকারি মহাবিদ্যালয়’, আগৈলঝাড়ার শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি ডিগ্রি কলেজের নামের পরিবর্তে ‘আগৈলঝাড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ’, নাজিরপুর উপজেলার ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়ের নতুন নাম হয়েছে ‘নাজিরপুর সরকারি মহিলা কলেজ’। ভোলার সরকারি ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা’ মহিলা কলেজের পরিবর্তে ‘ভোলা সরকারি মহিলা কলেজ’ নামকরণ করা হয়েছে।

শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা চেয়েছিলো। তালিকা পাঠানোর পর মন্ত্রণালয় নাম পরিবর্তন করেছে। বিষয়টি নোটিশ আকারে স্ব স্ব কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো এরই মধ্যে নতুন নামের সাইনবোর্ড স্থাপন করেছেন।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
The walls were injured in the explosion in Keraniganj

কেরানীগঞ্জে বিস্ফোরণে দেয়াল ধস, আহত ৩

কেরানীগঞ্জে বিস্ফোরণে দেয়াল ধস, আহত ৩

কেরানীগঞ্জে গভীর রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি পাঁচ তলা ভবনের নিচতলার দেয়াল ধসে পড়েছে এবং শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছেন। গত রোববার গভীর রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার শুভাড্যা খেজুরবাগ মন্দির এলাকার পাকিজা নামক ভবনের নিচতলায় এ বিস্ফোরণ ঘটে।

কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানার এসআই তুষার জানান, আহতরা হলেন আল সামির (৮), তার বাবা ফারুক হোসেন (৪০) এবং মা শিউলি (৩০)। বিস্ফোরণের পর তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।

আহত ফারুক হোসেন জানান, ঘুমন্ত অবস্থায় হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে দেখি আমার স্ত্রীর হাত ও শিশুপুত্র সামিরের শরীর আগুনে পুড়ে গেছে। আমারও মুখের বাম পাশে ঝলসে যায়। তিনি আরও জানান, মাসখানেক ধরেই রুমের ফ্লোর অতিরিক্ত গরম হচ্ছিল। বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানানো হলেও তখন তা মেরামত করা হয়নি। ভবনের মালিক সহিদ বলেন, ভবনের ফ্লোর গরম হওয়ার বিষয়টি জানার পর আমি দ্রুত দেশে ফিরে আসি। বিস্ফোরণের সময় পাশের রুমেই ছিলাম। বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে দেখি ভবনের নিচ তলার দেয়াল ভেঙে গেছে। ভবনটি রাজউকের অনুমোদন না থাকলেও তিনি ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি নিয়ে নির্মাণ করেছেন বলে দাবি করেন। ভবনটিতে মোট ১০টি পরিবার বসবাস করছে।

পরিদর্শন শেষে পোস্তগোলা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু মুহাম্মদ সাজেদুল কবির জোয়ার্দার জানান, ভবনটি অনিয়মিত ও অপরিকল্পিভাবে ডোবা ভরাট করে তৈরি হওয়ার কারণে ধসে পড়তে পারে। অথবা গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকেও বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে। তিনি আরও জানান, ভবনটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে এবং এ বিষয়ে মালিকপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে বলেও তিনি জানান।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Gum was involved in the detective agency of India

গুমের সঙ্গে জড়িত ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা

গুম কমিশনের প্রতিবেদন
গুমের সঙ্গে জড়িত ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা

বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা আন্তরাষ্ট্রীয় গুমের সঙ্গে জড়িত ছিল। সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গুম হওয়া ব্যক্তিদের আদান-প্রদান করতেন দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। গুম কমিশনের দ্বিতীয় প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। কমিশন গত ৪ জুন এই প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অনেক নাগরিককে গুম করে অবৈধভাবে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হতো, আবার ভারত থেকেও অনেককে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হতো—পাঠিয়ে দেওয়া হতো। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের চাওয়া ও প্রয়োজন অনুযায়ী গুম করে অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে আদান-প্রদান করা হতো। এই কর্মকাণ্ডকে কমিশন ‘আন্তরাষ্ট্রীয় গুমপ্রক্রিয়া’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

প্রতিবেদনে অন্তত পাঁচজন গুম হওয়া ভুক্তভোগী ব্যক্তির জবানবন্দি নিয়েছে কমিশন। যারা গুমের পর ভারতে পাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি প্রথমে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন। পরে বাংলাদেশের ডিজিএফআই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রস্তাব পাঠায়, যাতে আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কোনো আদালতের অনুমতি বা নথিভুক্ত মামলার ভিত্তি ছাড়াই বিচারবহির্ভূতভাবে এই পুরো প্রক্রিয়া হয়। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার নামে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হলেও ব্যক্তি-অধিকার ও মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে।

একাধিক ঘটনায় দেখা গেছে, ভারত থেকে ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের আবার ডিজিএফআই ও র‍্যাবের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও নির্যাতন করা হয়েছে। কাউকে কাউকে আবারও নিখোঁজ করে ফেলা হয়েছে, যার কোনো খোঁজ পরিবারের কাছে নেই।

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার চাওয়া অনুযায়ী আবার অনেককে গুম করে ভারতে পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

প্রতিবেদনে একজন বন্দির অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়, ‘আমাকে চোখ বেঁধে ভারতের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আবার বাংলাদেশে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আমাকে বলা হয়, ‘‘তুমি মরো, তুমি বাঁচো, আমরা ঠিক করব।’

আরেক বন্দিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাঠিয়ে সেখানে ভারতীয় মুসলমানদের বিষয়ে ভিডিও কনটেন্ট তৈরির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে ফিরিয়ে এনে র‍্যাবের হেফাজতে রাখা হয়।

গুম ও নির্যাতনের শিকার এসব ব্যক্তির নিরাপত্তার স্বার্থে নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি কমিশন।

কমিশন আরও জানিয়েছে, এসব কর্মকাণ্ডে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে মৌখিক সমঝোতা থাকলেও কোনো লিখিত চুক্তি বা আইনি কাঠামো নেই। ফলে এসব বন্দীর পরিবার আইনি প্রতিকার তো দূরের কথা, খোঁজখবরও পায় না।

কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ধরনের সমন্বয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এতে ব্যক্তির স্বাধীনতা, আইনি নিরাপত্তা ও বিচারপ্রাপ্তির অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়।

সূত্র: ইত্তেফাক

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Pirojpur Superintendent of Police has handed over 20 mobile phones recovered in Pirojpur

পিরোজপুরে উদ্ধার হওয়া ২৬টি মোবাইল ফোন মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার

পিরোজপুরে উদ্ধার হওয়া ২৬টি মোবাইল ফোন মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার

পিরোজপুর উদ্ধারকৃত ২৬টি মোবাইল ফোন তিনটি ফেসবুক ফেইক আইডি ও একটি হ্যাক হওয়া ফেসবুক আইডি উদ্ধার করে

মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার। সোমবার বেলা ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের হল রুমে উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন মালিকদের মাঝে হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের।

পুলিশ সুপার জানন, পিরোজপুর জেলার ৭টি উপজেলা থেকে ২৬ টি মোবাইল, তিনটি ফেসবুক ফেইক আইডি ও একটি হ্যাক হওয়া ফেসবুক আইডি উদ্ধার করে জেলা পুলিশের আইসিটি ও মিডিয়া সেল শাখা। উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন ও হ্যাক হওয়া ফেইজবুক আইডি মালিকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

পিরোজপুর পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের আরও জানান, পিরোজপুর জেলা পুলিশের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। মাদক ও অন্যান্য বিষয় জেলা পুলিশ কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও অপরাধজনিত যে কোন বিষয় জেলা পুলিশ এর তৎপর অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

p
উপরে