১২ টাকার সম্পদ কোথাও ৭ টাকা বা তার চেয়ে কমে কেনা যায়?
এটি যদি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো মিউচ্যুয়াল ফান্ড হয়, তাহলে পারা যায়।
তালিকাভুক্ত পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য আছে ১১ টাকা ৯৮ পয়সা। কিন্তু দাম এখন ৬ টাকা ৯০ পয়সা।
বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টাকা তুলে এই ফান্ডগুলো পুঁজিবাজার বা বাইরে বিনিয়োগ করে। আর বছর শেষে মুনাফা লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করে। আর লোকসান হলে সেটি বিতরণ করা সম্ভব হয় না।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসের পর এই মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো আশানুরূপ লভ্যাংশ দিতে পারেনি, আর এ কারণে এই ফান্ডগুলোর প্রতি আগ্রহ হারাতে থাকে বিনিয়োগকারীরা। আর একপর্যায়ে সম্পদমূল্যের চেয়ে অনেক নিচে নেমে আসে দাম।
তবে গত এক বছরে চাঙা পুঁজিবাজারে ফান্ডগুলো ব্যাপক মুনাফা করার হিসাব দিচ্ছে। আর এ কারণে ফান্ড কেনায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। দামও বাড়ছে ইউনিটের।
তারপরেও দেখা যাচ্ছে, তালিকাভুক্ত অনেক ফান্ড সম্পদমূল্যের ৪০ শতাংশ কমে পর্যন্ত লেনদেন হচ্ছে।
অথচ যেসব ফান্ড বাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি, সেগুলোর ক্ষেত্রে উল্টো চিত্র। সম্পদমূল্যের সমান বা আশপাশেই ক্রয়-বিক্রয় হয় সেসব ফান্ড।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দরের চেয়ে সম্পদমূল্য বেশি হলে সেই ফান্ডকে বিনিয়োগ উপযোগী হিসেবে বিনিয়োগ পরামর্শ দেয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মেয়াদ শেষ হয় বন্ধ হয়ে যাবে নয়তো বেমেয়াদিতে রূপান্তর হবে। এ খাতে যারা বিনিয়োগ করে তাদের প্রত্যাশা হচ্ছে বছর শেষে কী রিটার্ন দিচ্ছে। ফলে ভালো রিটার্ন না পেলে বিনিয়োগকারীরা সেখানে বিনিয়োগ করতে চান না।
কিন্তু যে বছর তালিকুভক্ত ফান্ডগুলো লভ্যাংশ দিতে পারেনি, সে বছর বেমেয়াদিগুলোও লভ্যাংশ দিতে পারেনি। তাহলে সেগুলোর দাম কেন তালিকাভুক্তগুলোর চেয়ে বেশি- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বেমেয়াদিগুলোতে আগ্রহ বেশি থাকে। কারণ, এখানে প্রতিযোগিতা আছে, কার চেয়ে কে বেশি ডিভিডেন্ডে দিতে পারে। এখানে হিসাবেরও স্বচ্ছতা মেয়াদিগুলোর চেয়ে বেশি।
পুঁজিবাজারে বর্তমানে লেনদেন হওয়া ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১ টির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় লেনদেনে আছে ৩৬টি ফান্ড।
সব কটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড এরই মধ্যে তাদের ৩০ জুনের ক্লোজিং হিসাব অনুযায়ী সম্পদমূল্য প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া এরই মধ্যে এক সপ্তাহের ৮ জুলাই পর্যন্তও তাদের সম্পদমূল্য প্রকাশ করেছে।
সেখানে দেখা গেছে ১০টি ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দর ৮ জুলাই প্রকাশ করা সম্পদমূল্যের তুলনায় বেশি। বাকি ২৬টির দর কম।
সম্পদমূল্যের চেয়ে কম যেগুলোর
পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদ মূল্য ১১ টাকা ৯৮ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৬ টাকা ৯০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৪২ দশমিক ৪০ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৭৯ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৬ টাকা ৯০ পয়সায়। সম্পদ মূল্যের চেয়ে ৪১.৪৭ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদ মূল্য ১১ টাকা ৯৫ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৫০ পয়সায়। সম্পদ মূল্যের চেয়ে ৩৭ দশমিক ২৩ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১২ টাকা ৪ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৬০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩৬.৮৭ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
এবিব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১২ টাকা ৯ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৭০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩৬ দশমিক ৩১ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদ মূল্য ১২ টাকা ৩৭ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৯০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১৩ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৫৮ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৫০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩৫ দশমিক ২৩ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান সম্পদমূল্য ১২ টাকা ৪২ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৮ টাকা ৪০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩২ দশমিক ৩৬ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৮ জুলাই পর্যন্ত সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৯৫ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৮ টাকা ২০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩১ দশমিক ৩৮ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফিন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান সম্পদমূল্য ১২ টাকা ৯২ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৫০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ২৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৯০ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৮ টাকা ৯০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ২৫ দশমিক ২১ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ২৮ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৮ টাকা ৬০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
আইএফআইএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ৯ টাকা ৫০ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৪০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ২২ দশমিক ১০ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৭৫ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ২০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ২১ দশমিক ৭০ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৮০ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৩০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ২১ দশমিক ১৮ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৮৫ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৪০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ২০ দশমিক ৬৭ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১২ টাকা ১৩ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৩০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১০ টাকা ২৯ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৮ টাকা ৩০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্স ফান্ডের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৫৪ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৪০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ১৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ৯ টাকা ৩৮ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৭০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ১৭ দশমিক ৯১ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ১৪ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৫০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৮১ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৫০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ১২ দশমিক ২৮ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
আইসিবি এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান, স্কিম ওয়ানের সম্পদমূল্য ৯ টাকা ৫২ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৮ টাকা ৬০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৫০ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৫০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
রিলায়েন্স ওয়ান ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১৪ টাকা ৭৬ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ১৩ টাকা ৫০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
গ্রামীণ ওয়ান, স্কিম টু ফান্ডের সম্পদমূল্য ২০ টাকা ৮৬ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ১৯ টাকা ৩০ পয়সায়। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ কম দামে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
সম্পদমূল্যের চেয়ে ইউনিটের দর বেশি
সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দর বৃহস্পতিবার ছিল ২৪ টাকা ৬০ পয়সা। ফান্ডটির ৮ জুলাই পর্যন্ত সম্পদমূল্য ১২ টাকা ২৮ পয়সা। সম্পদমূল্যের চেয়ে ১০০ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
প্রাইম ফিন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৮ জুলাই সময়ে সম্পদমূল্য প্রকাশ করা হয়েছে ১৪ টাকা ৩৪ পয়সা। বৃহস্পতিবার ফান্ডটির ক্লোজিং প্রাইস ছিল ২০ টাকা ৪০ পয়সা। ফলে ফান্ডটির সম্পদমূল্যের চেয়ে ৪২ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে।
আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৫৪ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ১২ টাকা ৮০ পয়সায়। ফলে সম্পদমূল্যের চেয়ে ২১ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দর ১৩ টাকা ৬০ পয়সা, ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৩৬ পয়সা। সম্পদমূল্যের চেয়ে বাজারমূল্য বেশি ১৯ দশমিক ৭১ শতাংশ।
সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের সম্পদমূল্য ১২ টাকা ৮ পয়সা। ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি দর বৃহস্পতিবার ছিল ১৪ টাকা ৪০ পয়সা। সম্পদমূল্যের চেয়ে ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
ফিনিক্স ফিন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বৃহস্পতিবার ইউনিটপ্রতি দর ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা। সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, ইউনিটপ্রতি ফান্ডটির সম্পদ ৯ টাকা ৮০ পয়সা। ফলে সম্পদমূল্যের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১৫ টাকা ৩৯ পয়সা। ফান্ডটি লেনদেন হচ্ছে ১৬ টাকা ৯০ পয়সায়। ফলে সম্পদমূল্যের চেয়ে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
এসইএম লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ইউনিট প্রতি দর ১২ টাকা ৮০ পয়সা, ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৮৫ পয়সা। সম্পদমূল্যের চেয়ে বাজারমূল্য বেশি ৮ দশমিক ০১ শতাংশ।
এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ডের ৮ জুলাই পর্যন্ত সম্পদমূল্য ১২ টাকা ৫৫ পয়সা। বৃহস্পতিবার ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি দর ছিল ১৩ টাকা ৫০ পয়সা। সম্পদমূল্যের চেয়ে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশে দরে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটি।
এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দর ১২ টাকা ৮০ পয়সা, ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য ১২ টাকা ৩৮ পয়সা। সম্পদমূল্যের চেয়ে বাজারমূল্য বেশি ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
অতালিকাভুক্তগুলোর সম্পদ ও বাজারমূল্য সমান
৮ জুলাই সবশেষ প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী আইডিএলসি ব্যালান্সড ফান্ডের ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য আছে ১২ টাকা ৯০ পয়সা। এটিই ক্রয় ও বিক্রয়মূল্য।
একই সময়ে আইডিএলসি গ্রোথ ফান্ডেরর সম্পদমূল্য ছিল ১৩ টাকা ৩৪ পয়সা। এর ক্রয় ও বিক্রয়মূল্য একই।
আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট শরিয়াহ ফান্ডের ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য ১২ টাকা ৪৬ পয়সা। ক্রয় ও বিক্রয়মূল্যও একই।
আইডিএলসি ইনকাম ফান্ডের সম্পদমূল্য আছে ১০ টাকা ২ পয়সা। কেউ কিনতে চাইলে এই পরিমাণ টাকাই দিতে হবে। বিক্রি করলেও পাবেন সমপরিমাণই।
শান্তা ফার্স্ট ইনকাম ইউনিট ফান্ডের সম্পদমূল্য এখন ১৪ টাকা ১২ পয়সা। এটিরও ক্রয়মূল্য ও বিক্রয়মূল্যে কোনো পার্থক্য নেই।
শান্তা আমানাহ শরিয়া ফান্ডের সম্পদূমূল্য ১২ টাকা ৪৮ পয়সা। এরও ক্রয় ও বিক্রয়মূল্যে কোনো পার্থক্য নেই।
আরও পড়ুন:
হিন্দুত্ববাদী চক্র কর্তৃক মুসলিম নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট, গাজীপুরে আশামনি ধর্ষণ, খতিব মুহিবুল্লাহকে অপহরণ, চট্টগ্রামের আলিফ হত্যা সহ ইসকনের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে ‘মুসলিম শিক্ষার্থী’র ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে একই স্থানে সমবেত হন এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
এসময় বক্তারা বলেন, ' পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ইসকন নামক এই বিষফোঁড়া, ভারতের দালাল বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। অতিসত্বর এই বাংলাদেশ থেকে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা দেখেছি, ফ্যাসিস্ট আমলে ইসকন এদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলো নিয়ন্ত্রণ করেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে তারা ইসকনদের জায়গা করে নিয়েছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় থেকে একদম রুট-লেভেল পর্যন্ত ইসকন পরিকল্পিতভবে তাদের লোকদের ঢুকিয়েছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে এই বাংলাদেশ থেকে ইসকন'কে নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসকনকে যদি নিষিদ্ধ করা না হয়, এদেশের তাওহীদি জনতা এবং ছাত্র সমাজ কখনো মেনে নিবে না। 'জেন-জি' যদি একবার ইসকনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেঁটে-পড়ে তাহলে এই বাংলায় ইসকনের কবর রচিত হতে বাধ্য।'
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, ‘ইসকন এই বিশ্বে ধর্ম প্রচার করছে না বরং তারা ধর্মের ছদ্মবেশে উগ্র হিন্দুত্ববাদকে প্রচার এবং প্রসার করার জন্য মাঠে নেমেছে। মুসলিম মা বোনদের নিয়ে তামাশা করছে। ইসকনের মত সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি। সিঙ্গাপুর আফগানিস্তান সহ বিভিন্ন দেশে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। হিন্দুদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে বলা হয়েছে ইসকন তাদের ধর্ম প্রচারের কোন সংগঠন না। তারা উগ্র হিন্দুত্ববাদ প্রচার-প্রসারের জন্য এখানে আদা জল খেয়ে নেমেছে।’
আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এ বিষয়ে সরকারের উপর দেশি-বিদেশি কোন চাপ নেই। তারা গণহত্যার জন্য এখনো ভুল স্বীকার করেনি।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ফ্রী ফেয়ার একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচনে সব দল একসাথে অংশগ্রহণ করবে।
বিগত শেখ হাসিনার সময়ের প্রতিটি নির্বাচনে তাদের পছন্দমত প্রার্থী কেনাবেচা হয়েছে। তাতে জনগণের কোন অংশগ্রহণ ছিল না।
শুক্রবার সকালে মাগুরা শহরের নবগঙ্গা পার্কে জুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মৃতি স্তম্ভে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফুলেল শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদের ও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ পারভেজ।
তিনি আরও জানান, জুলাই সনদ বিষয়ে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই ঐক্যমত পোষণ করেছে। যে কয়েকটি দল এখনো স্বাক্ষর করেনি, তাদেরও সম্মতি রয়েছে।
জাতীয় ঐক্যমতের কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে বা পরে অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এ বিষয়ে সরকার এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, “জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারিতে। আরপিওতে ‘না ভোট’ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে একক প্রার্থী থাকলেও জনগণ প্রয়োজনে তাকে প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ পায়।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ১৫% বাড়ী ভাড়া প্রজ্ঞাপণ জারী হওয়ায় অন্তবর্তীকালীন সরকারকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ র্যালী করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশীজোট পটুয়াখালী জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকগণ।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শহরের পৌরসভা চত্বর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট পটুয়াখালী জেলা শাখার সমন্বয়ক আয়োজনে র্যালীটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পটুয়াখালী সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে পটুয়াখালী সদর উপজেলা এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট আহবায়ক মো. অহিদুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব মো. সাখাওয়াত হোসেন এর সঞ্চালনায় ধন্যবাদ জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশীজোট পটুয়াখালী জেলা শাখার সমন্বয়ক এবং আনুষ্ঠানের সভাপতি সাইফুল মজিদ মোঃ বাহাউদ্দিন।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছোটবিঘাই মোক্তার ডিগ্রি কলেজ এর অধ্যক্ষ মোঃ কামরূল আহসান, ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নাহিয়ান, হাজীখালী আলিম মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মোঃ ফারুকুজ্জামান, খাসেরহাট স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ মোঃ রশির উদ্দিন,জেলা শাখার সমন্বয়ক মোঃ সাজেদুল ইসলাম বাহাদুর, আবদুল কাউয়ুম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,আলহামদুলিল্লাহ মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট শতকোটি শুকরিয়া আদায় করছি। সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই প্রিয় অধ্যক্ষ আজিজুল হক স্যারকে এবং পটুয়াখালী জেলার শিক্ষক ভাইদের যারা কষ্ট করে আমাদের আন্দোলন কে সফল করেছেন।যাদের নাম না বললেই নয়। সৈয়দ কাইয়ুম ভাই, বশির স্যার,শফিক স্যার,মুস্তাফিজ স্যার,অহিদ সারওয়ার স্যার,মাসুম ছোট ভাই সাখাওয়াত, মাসুদ, জলিল স্যার সহ অনেক অনেক স্যারদের।সবাই দোয়া করবেন যেন ভবিষ্যতে শিক্ষকের যে কোন নায্য দাবি আদায় করতে সবাই একসাথে কাজ করতে পারি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে পাকিস্তানি হাইকমিশনার ইমরান হায়দার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: পাকিস্তানি হাইকমিশন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, সাক্ষাৎকালে দু’দেশের সাম্প্রতিক যোগাযোগ ও মন্ত্রী পর্যায়ের সফরের প্রশংসা করেন উভয়পক্ষ। এর মধ্যে গত আগস্টে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়।
গত এপ্রিলে রাজধানীতে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ষষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ সভা সফলভাবে হওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়। এছাড়া দীর্ঘ বিরতির পর আগামী ২৭ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় নবম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠককেও স্বাগত জানান উভয় পক্ষ।
উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, সম্প্রতি ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালুসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে উভয় দেশ অগ্রগতি লাভ করেছে।
এ সময় তারা দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। পাশাপাশি একাধিক খাতে সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে পাকিস্তানি হাইকমিশনারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।বাসস
চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলায় আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে রমনা থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলাটি আদালতের নির্দেশে পুনরায় তদন্তাধীন থাকায় আসামিরা যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে, সে জন্য রমনা থানা থেকে সংশ্লিষ্ট সব বিমান ও স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করা হয়েছে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মামলার তদন্ত এখন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে।
তাই কোনো আসামি যেন দেশ ছাড়তে না পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এ মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেন অভিনেতার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। তবে এতে দ্বিমত পোষণ করে সালমান শাহর পরিবার।
তাদের দাবি, সালমান শাহকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
দীর্ঘ ২৯ বছর পর অভিনেতা সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলা রূপ নিয়েছে হত্যা মামলায়। গত ২০ অক্টোবর সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলাকে হত্যা মামলায় রূপান্তরের নির্দেশ দেন আদালত। মহানগর দায়রা জজ আদালতের দেওয়া নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম।
সালমান শাহ হত্যা মামলায় সর্বমোট ১১ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হত্যা মামলায় প্রধান আসামি নায়কের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। অন্য ১০ আসামিরা হলেন প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রিজভী আহমেদ ফরহাদ।
মন্তব্য