চাঙা পুঁজিবাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আয়ে যে জোয়ার দেখা গেছে, সেটি প্রকাশ পেল আরও দুটি ফান্ডের প্রান্তিক প্রকাশে। তালিকাভুক্তির পর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া আরেকটি ফান্ড সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে আয় করেছে চমকপ্রদ।
কেবল তালিকাভুক্ত নয়, অতালিকাভুক্ত আরও একটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড আকর্ষণীয় মুনাফা ঘোষণা করেছে ইউনিটধারীদের জন্য। তারা যে হারে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, সেটি বাজার মূল্যের তুলনায় ১৫ শতাংশেরও বেশি।
আর্থিক খাতে কোথাও বিনিয়োগ করে এত বেশি মুনাফা পাওয়া যায় না। সবচেয়ে বেশি মুনাফা দেয়া সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগেও পাওয়া যায় সর্বোচ্চ সাড়ে ১১ শতাংশ। সেখানে আবার ১০ শতাংশ কর কাটে।
গত বছরের জুলাই থেকে পুঁজিবাজারে যে উত্থান দেখা দিয়েছে, তাতে ফুলেফেঁপে উঠছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোও। চলতি বছর এখন পর্যন্ত যে কয়টি ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, সেগুলো এর আগে কখনও এত বেশি আয় করতে পারেনি। আর ৩০টি ফান্ডের অর্থবছর শেষ হয়েছে জুনে। এখন হিসাব-নিকাশ করে ঘোষণা হবে লভ্যাংশ।
এই বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের অনেকেই বুঝতে পেরে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন। বৃহস্পতিবার এই খাতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৪০ কোটি টাকা। এত বেশি লেনদেন এই খাতে সাম্প্রতিককালে দেখা যায়নি।
ডিএসই পরিচালক রকিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর ইউনিটপ্রতি দর যখন অভিহিত মূল্যের নিচে ছিল, তখন ফান্ডগুলো নিয়ে আলোচনা ছিল। এখন অনেক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দর ১০ টাকার ওপরে। ফলে এটা কোনোভাবেই বলা যাবে না, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নেই।’
তিনি বলেন, ‘আরও একটি বিষয় থাকতে পারে, এখন সবগুলো ফান্ডের ইউনিটপ্রতি আয় কিন্তু ভালো। কারণ পুঁজিবাজার ভালো অবস্থায় আছে। ভালো পুঁজিবাজার থেকে ভালো মুনাফা নেয়ার জন্য মিউচ্যুয়াল ফান্ডই পথ।’
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মুভমেন্ট করার দুটি কারণ আছে। প্রথম কারণ হচ্ছে, ফান্ডগুলোর অর্থবছর শেষ হচ্ছে জুনে। আশা করা যায় আগামী আগস্ট মাসে বেশির ভাগ ফান্ড তাদের লভ্যাংশ ঘোষণা করবে। ফলে লভ্যাংশের প্রত্যাশায় বিনিয়োগকারীরা এ খাতে বিনিয়োগ করছেন।’
‘দ্বিতীয়, এখন পুঁজিবাজার ভালো অবস্থায় আছে। প্রায় সব কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ছে। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর কাছে শেয়ারই আছে। স্বাভাবিকভাবে পুঁজিবাজার ভালো থাকলে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অবস্থাও ভালো থাকবে। ফলে যারা ডে ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করেন তারাও মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করছেন।’
তিনি বলেন, ‘দুর্বল কোম্পানির শেয়ার দরও বাড়ছে। তবে পুঁজিবাজারে বিভিন্ন সেক্টর যারা যাচাই-বাছাই করে বিনিয়োগ করেন, তাদের মিউচ্যুয়াল ফান্ডও বিনিয়োগের খাত হতে পারে।’
দুই ফান্ডের প্রান্তিকে যে ইঙ্গিত
আইনি জটিলতায় ২০২০-২১ অর্থবছরের তিন প্রান্তিকের হিসাব সময়মতো প্রকাশ করতে না পারার পর এক সঙ্গে তিন মাস করে তিনটি হিসাব প্রকাশ পেয়েছে ডিবিএইচ ও গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের।
আগের বছর একই সময়ে তিনটি ফান্ডই ইউনিটপ্রতি এক টাকার আশপাশে লোকসান দিলেও এবার এক টাকার বেশি লাভ করেছে।
দুটি ফান্ডের মধ্যে গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে প্রায় ৯৭.৯৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে তাদের ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ২ পয়সা।
অন্যদিকে ডিবিএইচ মিউচ্যুয়াল ফান্ড এই সময়ে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইউনিটপ্রতি লোকসান হয়েছিল ৯৯.৮৭ পয়সা।
মেয়াদ ফুরানোর বছরে সবচেয়ে বেশি মুনাফা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে একটি সাউথইস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড এরই মধ্যে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বেমেয়াদি ফান্ডে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এই ফান্ডটিরও জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব প্রকাশ হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দেয়া হিসাব অনুযায়ী ফান্ডটি সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ৭২ পয়সা মুনাফা করেছে। আগের বছর তাদের ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিল ৭৬ পয়সা।
ফান্ডটির সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৩২ পয়সা। যা গত বছরের ৩০ জুন শেষে ছিল ১১ টাকা ৭৭ পয়সা। অর্থাৎ এই এক বছরে সম্পদমূল্য বেড়েছে ২ টাকা ৫৫ পয়সা।
২০১১ সালে তালিকাভুক্ত ফান্ডটি ২০১৭ সালে ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৫৪ পয়সা মুনাফা করেছিল। এতদিন এটাই ছিল এই ফান্ডের সর্বোচ্চ মুনাফা।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসের পর থেকে অন্যান্য অনেক খাতের মতো মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতেও ছিল হতাশা। আয়-সম্পদ বাড়াতে না পারায় প্রত্যাশিত মুনাফা দিতে পারেনি বলতে গেলে কোনো ফান্ড। তবে গত এক বছরে পুঁজিবাজারে উত্থানের পর দিন এই খাতেও পরিবর্তনের আভাস দেখা যাচ্ছে।
চমক দেখাল অতালিকাভুক্ত দুই ফান্ড
কেবল তালিকাভুক্ত নয়, তালিকাবহির্ভূত ফান্ডগুলোও যে বেশ ভালো করছে, সেটি প্রকাশ পেয়েছে শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট পরিচালিত শান্তা ফার্স্ট ইনকাম প্রোপার্টি ফান্ড আর আইডিএলসি পরিচালিত আইডিএলসি ফার্স্ট ব্যালান্সড ফান্ডের আয়ের হিসাবে।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শান্তার ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ৮৮ পয়সা আয় করে ২ টাকা ৫ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগের বছর ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৯ পয়সা লোকসান ছিল।
১৫ থেকে ১৯ জুলাই ফান্ডটির ক্রয় ও বিক্রয়মূল্য ১৪ টাকা ১২ পয়সা। আর এই ফান্ড যাদের হাতে গত ৩০ জুলাই ছিল, তারাই এই লভ্যাংশ পাবেন।
১৪ টাকা বিনিয়োগ করে দুই টাকার বেশি মুনাফা এমনকি সঞ্চয়পত্রের আয়ের চেয়ে বেশি। আবার ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশে কোনো আয়করও কাটা হবে না।
আইডিএলসি ব্যালেন্সড ফান্ডের আয় আরও বেশি হয়েছে। ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ১৭ পয়সা আয় হয়েছে তাদের। আগের বছর ইউনিটপ্রতি এক টাকা ১৮ পয়সা লোকসান ছিল তাদের।
৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে যারা ফান্ডের ইউনিট ধরে রেখেছিলেন, তারা ইউনিটপ্রতি দেড় টাকা করে পাবেন। গত বছর লোকসানের জন্য তারা কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।
ফান্ডটির প্রসপেকটাসে মুনাফার ৭০ শতাংশ নগদে লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করার কথা বলা আছে। তবে এবার আয়ের ৪৭ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে দেবে তারা। গত বছরের লোকসানের সঞ্চিতি হিসেবে সংরক্ষণ হবে বাকি অর্থ।
‘দেখেন না কী লভ্যাংশ দেই এবার’
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে শান্তার সাড়ে ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণার বিষয়টি নিয়ে কথা হয়। তিনি বলেন, তাদের ফান্ডগুলোও এবার চমকপ্রদ লভ্যাংশ দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এবার কী দেই দেখেন না। আমরাও ভালো লভ্যাংশ দেব।’
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে জুনে অর্থবছর সমাপ্ত হয়েছে ৩০টির। আর এগুলো আগামী দুই মাসের মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারে।
প্রতিটি ফান্ডই এবার মুনাফায় আছে। গত এক দশকেও তৃতীয় প্রান্তিক শেষে এত বেশি মুনাফা দেখা যায়নি কোনো ফান্ডের।
২০২০ সালের জুন থেকে প্রথম প্রান্তিকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ে ৯৭৭ পয়েন্ট। সে সময় দুই-একটি ফান্ড ইউনিটপ্রতি ২ টাকারও বেশি আয় করেছে। বেশ কয়েকটির আয় দেড় টাকার বেশি বা আশপাশে দেখা গেছে।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সূচক বাড়ে আরও ৫৪০ পয়েন্ট। এই সময়েও ফান্ডগুলো ইউনিটপ্রতি বেশ ভালো মুনাফা করে। আগের প্রান্তিকের চেয়ে কম হলেও এই সময়েও কোনো কোনো ফান্ড ইউনিটপ্রতি দেড় বা দুই টাকা মুনাফা করে।
তবে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বাজারে ছন্দপতন ঘটে। এই প্রান্তিকে সূচক পড়ে ৩৪০ পয়েন্ট।
তবে বাজারে পতন হলেও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো লোকসান দিয়েছে এমন নয়। এই প্রান্তিকে ৩৭টি ফান্ডের মধ্যে মুনাফা করে ২৭টি। বাকি ১০টির মধ্যে দুটি ফান্ড চলতি অর্থবছরের হিসাব দেয়নি। অন্য আটটির মধ্যে ইউনিটপ্রতি ১ থেকে সর্বোচ্চ ১৪ পয়সা লোকসান করে। তবে আগের দুই প্রান্তিকে বিপুল পরিমাণ মুনাফার কারণে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে বেশ ভালো অঙ্কের আয় করায় এবার লোভনীয় লভ্যাংশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আর তৃতীয় প্রান্তিকের শুরুতে এপ্রিলে লকডাউন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পুঁজিবাজারে ধস নামলেও পরে সেই লকডাউন চলাকালেই দেখা দেয় উত্থান। আর চলমান শাটডাউনেও দেখা গেছে একই প্রবণতা।
সব মিলিয়ে চতুর্থ প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে প্রথম প্রান্তিকের কাছাকাছি, ৮৮০ পয়েন্ট। ফলে ফান্ডগুলো প্রথম প্রান্তিকের কাছাকাছি আয় করলে এবার যে চূড়ান্ত মুনাফা আসতে পারে, সেটি চমকে দিতে পারে বিনিয়োগকারীদের।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত যেসব ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার প্রতিটিই ব্যাপক আয় করেছে। তবে একটি ফান্ড ১ টাকা ৬১ পয়সার বেশি আয় করেও মুনাফার ১০ শতাংশ লভ্যাংশ বিতরণ করেছে, যদিও নীতিমালায় বলা আছে, নগদে ৭০ শতাংশ বিতরণ করতে হবে।
তবে এই ফান্ডটি গত বছর ব্যাপক লোকসান দিয়েছিল আর সেই লোকসানের সঞ্চিতি সংরক্ষণের সুবিধা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। আর এতে ফান্ডের ভিত্তি শক্তিশালী হয়েছে।
তবে তৃতীয় প্রান্তিকের যে হিসাব পাওয়া গেছে, সেই সঙ্গে চতুর্থ প্রান্তিকের যে চাঙাভাব, সেটি বিবেচনায় আনলে আর ফান্ডের বাজারমূল্য হিসাব করলে এবার বিনিয়োগকারীরা যে আকর্ষণীয় লভ্যাংশ পেতে পারেন, সেই সম্ভাবনাই দেখা যায়।
বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয়
তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর বেশির ভাগের সম্পদমূল্য অভিহিত মূল্য ১০ টাকার বেশি হলেও এখনও ২১টি ফান্ড বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকার নিচে। এমনটি ৭ টাকার নিচেও আছে দুটির দাম। ৭ থেকে ৮ টাকার মধ্যে আছে ৭টির দাম। আট থেকে ৯ টাকার ভেতর আছে ৬টির দাম।
৯ থেকে ১০ টাকার ভেতর আছে ৭টির দাম। ১০ থেকে ১৫ টাকার ভেতর আছে ৯ টির দাম। ২০ টাকার আশেপাশে বিক্রি হচ্ছে বাকি তিনটির দাম।
এর মধ্যে সম্পদমূল্যের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কেবল দুই একটি ফান্ড।
চলতি বছর যারা লভ্যাংশ দিল তাদের হিসাবনিকাশ
যে পাঁচটি ফান্ড এখন পর্যন্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার প্রতিটিই এবার ব্যাপক মুনাফা করেছে। সর্বনিম্ন মুনাফা করা ফান্ডও ইউনিটপ্রতি ৭৭ পয়সার বেশি আয় করেছে।
১০ টাকার নিচে দাম এমন ফান্ডও এক টাকার বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আর একটি ফান্ড এক টাকা ৬২ পয়সা আয় করেও কেবল ১৬ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যদিও এটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের নীতিমালার পরিপন্থি।
এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড এক টাকা ৮৩ পয়সা আয় করে ইউনিটপ্রতি এক টাকা সাড়ে ২২ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আগের বছর ইউনিটপ্রতি ৬২ পয়সা লোকসানের কারণে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি ফান্ডটি।
এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি এক টাকা ৯৫ পয়সা মুনাফা করে এবার লভ্যাংশ দিয়েছে এক টাকা ১৫ পয়সা। গত বছর ইউনিটপ্রতি ৯৭ পয়সা লোকসানের কারণে তারা কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি।
১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরে ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্স ফান্ড ইউনিটপ্রতি আয় (ইপিইউ) করেছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা। আগের বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৮০ পয়সা লোকসান দিয়েছিল।
১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে এনসিসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ১২ পয়সা আয় করে সাড়ে ৭২ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে। আগের বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি লোকসান দিয়েছিল ৪৮ পয়সা।
প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে ইউনিটপ্রতি ৭৭ পয়সা আয় করে লভ্যাংশ দিয়েছে ৭০ পয়সা। এই ফান্ডটি তার অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস পুঁজিবাজারে ধসের কারণে লোকসান দিয়েছিল। বাকি ছয় মাসে তারা আয় করেছে ব্যাপক।
সম্পদমূল্যও বেড়েছে ব্যাপক
নিউজবাংলা হিসাব করে দেখেছে, গত এক বছরে পুঁজিবাজারের ফান্ডগুলোর ৫টির সম্পদমূল্য বেড়েছে ৬০ শতাংশের বেশি। একটির বেড়েছে ৫০ শতাংশ। ৪০ শতাংশের বেশি ও ৫০ শতাংশের কম বেড়েছে ৫টির।
৩০ শতাংশের বেশি ও ৪০ শতাংশের কম বেড়েছে ১১টি ফান্ডের সম্পদমূল্য। ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে ১০টি ফান্ডের সম্পদমূল্য। আর ৪টি ফান্ডের সম্পদমূল্য বেড়েছে ১০ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য