এক দিন আগে বিমা খাতের কোম্পানির শেয়ারের যে পতন হয়েছিল তাতে আতঙ্ক ছড়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। এক দিনের ব্যবধানে আবারও নতুন আশা জাগিয়ে সূচক উত্থানে ভূমিকা রাখল পুঁজিবাজারের এই খাতটি।
ধারণা করা হয়েছিল, বিমা খাতের শেয়ারের মূল্য সংশোধন হয়েছে। তারপরও থেমে থেমে এ খাতের শেয়ারের দরপতন নতুন বিনিয়োগের সিদ্ধান্তে সময় নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিমা খাতের শেয়ারের এমন উত্থান-পতন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, একদিন দর বাড়ার পর দুদিন দর পতন, এ খাত থেকে নতুন করে মুনাফা উত্তোলন অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
বিমা খাতের পাশাপাশি মঙ্গলবার ব্যাংক খাতের শেয়ারের উত্থান দেখা গেছে। বেড়েছে বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দর। তবে এ দিন সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধিতে এখনও দাপটে আছে তালিকাভুক্ত দুর্বল কোম্পানিগুলো।
ফলে পুঁজিবাজারে যে উত্থান, তাতে মৌল ভিত্তিক কোম্পানিতে বিনিয়োগ করার তুলনায় দুর্বল কোম্পানিতে মুনাফা দৃশ্যমান হচ্ছে বেশি।
এতে বিনিয়োগ ঝুঁকি আছে বলা হলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির দুর্বল কোম্পানির পুনরুজীবিত করার যে উদ্যোগ, তাতে এ ধরনের সব কোম্পানির পালে ধাক্কা লাগছে। বাড়ছে চালু হওয়ার সম্ভাবনা থাকা কোম্পানির পাশাপাশি অস্তিত্বহীন কোম্পানিগুলোরর শেয়ারদর।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় ধাপে দ্বিতীয় দিনের লেনদেন চলছে পুঁবিাজারে। এ সময়ে ব্যাংকের কার্যক্রম রোববার বন্ধ রাখায় সপ্তাহের পাঁচ দিনের বদলে চার দিন লেনদেন হচ্ছে গত এক সপ্তাহ ধরে।
একই সঙ্গে লেনদেনে সময়সীমাতেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত দেয়া শাটডাউনে পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত। পরে দ্বিতীয় মেয়াদে শাটডাউন বাড়ানোর ফলে ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় রেখে লেনদেন সময়সীমা এক ঘণ্টা বাড়িয়ে ২টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার লেনদেন শুরুর ১৫ মিনিটে সূচক কমে আসার প্রবণতা দেখা গেলেও পরে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ৬ হাজার ২৩১ পয়েন্ট থেকে কমে ৬ হাজার ২২২ পয়েন্টে নেমে আসে। এরপর টানা সূচকের উত্থানে শেষ হয় লেনদেন।
এ দিন ব্যাংক খাতের ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে মাত্র তিনটির শেয়ার দর কমেছে। দর পাল্টায়নি চারটি কোম্পানির। বাকি ২৪টি ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে। দর বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে এনআরবিসি ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক।
বিমা খাতের তালিকাভুক্ত ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩০টির। দর কমেছে ১৯টির। দর পাল্টায়নি দুটির। দর বৃদ্ধিতে এগিয়ে ছিল এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স।
অপরদিকে জেড ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ৩৭টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র নয়টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। আর বেড়েছে ২২টির।
ব্যাংকের শেয়ারে উত্থান
মঙ্গলবার লেনদেনে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর বেড়েছে সাউথইস্ট ব্যাংকের। ব্যাংকটির শেয়ারের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
এ ছাড়া এ তালিকায় আছে এনআরবিসি ব্যাংক। এ দিন ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। শেয়ার দর ২৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৯ টাকা ৫০ পয়সা।
এরপরেই আছে রূপালী ব্যাংক, যার শতকরা হিসেবে শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। শেয়ার দর ৩৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৬ টাকা ৭০ পয়সা।
এবি ব্যাংকের শেয়ার ১৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৪ টাকা ৪০ পয়সা।
ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। শেয়ার দর ৮২ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা।
ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৪ শতাংশ। শেয়ার দর ১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে হয়েছে ১৩ টাকা।
এ ছাড়া এনসিসি ব্যাংকের ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ, ঢাকা ব্যাংকের ২ দশমিক ৯২ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংকের ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যমুনা ব্যাংকের ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
ব্যাংক খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১২৩ কোটি টাকা। লেনদেনে দর বেড়েছে ২৪টি ব্যাংকের।
পতন থেকে উত্থানে বিমা
সোমবার বিমা খাতের ঢালাও দরপতন হয়েছিল। সেদিন ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছিল মাত্র তিনটির। আর পাল্টায়নি একটির। বাকি ৪৭টি কোম্পানির দর হারিয়েছিল।
মঙ্গলবার বিমা খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১৪২ কোটি টাকা। এ দিন লেনদেনে ৩২টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৬টির। দর পাল্টায়নি তিনটির।
লেনদেনে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের, যার শতকরা হিসেবে শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৭ দমমিক ৮৮ শতাংশ। শেয়ার প্রতি দর ৯৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৪ টাকায়।
এরপর ছিল স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। তাকাফুল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। পিপলস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৩ দমমিক ৭৪ শতাংশ। ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ।
এ ছাড়া বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৪৪ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ দর বেড়ে হয়েছে ৪৫ টাকা ৬০ পয়সা।
অন্যান্য খাতের লেনদেন
মঙ্গলবার বস্ত্র খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ২৩০ কোটি টাকা। লেনদেনে এ খাতের মোট ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ২৪টির দর বেড়েছে। এ খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ফ্যামিলিটেক্স, সিএনএ টেক্সটাইল ও এইচআর টেক্সাইলের।
নন ব্যাংক আথিক প্রতিষ্ঠান খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১১৩ কোটি টাকা। এ দিন লেনদেনে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ৪টির। আর দর পাল্টায়নি একটির।
লেনদেনে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানির।
প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানি মোট লেনদেন হয়েছে ১৪৪ কোটি টাকা। এরমধ্যে দর বেড়েছে ২৫টির। মঙ্গলবার এ খাতের সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৭ দশমিক ৬২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৬৬ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৭ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৪ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৪ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২১২টির, দর কমেছে ১২৯টির। দর পাল্টায়নি ৩২টির। লেনদেন হয়েছে মোট ১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ১৭৯ দশমিক ৬২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২২০ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ৫৭ কোটি টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৫টির। দর কমেছে ১১৮টির। দর পাল্টায়নি ২৭টির।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য