পুঁজিবাজারে কিছুদিন থেকে দুর্বল ক্যাটাগরির কোম্পানির দৌরাত্ম বাড়ছে। দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায় এখন হরহামেশাই উঠে আসছে পুঁজিবাজারের এসব দুর্বল বা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার।
ওটিসি থেকে ফিরে অনেকটাই লাগামহীন তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, মনোস্পুল, পেপার প্রসেসিং ও মুন্নু ফেব্রিক্স।
এ ছাড়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে বোর্ড পুনর্গঠন করা কোম্পানিগুলোর প্রতিও বিনিয়োগকারীদের বাড়তি আগ্রহ দেখা গেছে। ফলে দুর্বল খাতের কোম্পানিগুলোকে মূলধারায় নিয়ে আসার যে উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি, তার এখনও শতভাগ সফলতা না পাওয়া গেলেও এরই মধ্যে অনেক কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে কয়েকগুণ।
বুধবার পুঁজিবাজারে মূল্য সংশোধনে কমেছে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। আগের দিন মঙ্গলবারও কমেছিল ডিএসইর এই সূচক। পুঁজিবাজারে আর্থিক অবস্থা ভালো এমন কোম্পানিগুলো যখন দর বৃদ্ধিতে ধাক্কা খাচ্ছে, তখন জেড ক্যাটাগরির উত্থান অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ লেনদেন।
চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে আবারও মূল্য সংশোধনে যাওয়া বিমা খাতের শেয়ারের পতন অব্যাহত ছিল বুধবার। পাশাপাশি ব্যাংক, নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রকৌশল, বস্ত্র খাতেরও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হয়েছে।
তবে মঙ্গলবার ঢালাওভাবে দর বৃদ্ধি পাওয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উত্থান আগের দিনের মতো না বাড়লেও বুধবার অন্য খাতের মতো দরপতন হয়নি।
বুধবার লেনদেন শেষে দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ দর বৃদ্ধি পাওয়া দুটি কোম্পানি ছিল জেড ক্যাটাগরিরর। এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স ও পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড।
যার মধ্যে পেপার প্রসেসিং ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে লেনদেন হচ্ছে, অপরটি নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের; যার ২০১৯ সালের নয় মাসের হিসাবে শেয়ার প্রতি লোকসান ৪ টাকা ৭৯ পয়সা। আর রিজার্ভে ঘাটতি আছে ৭৬ কোটি টাকা।
এ ছাড়া বোর্ড পুনর্গঠন করা ফ্যামিলি টেক্স কোম্পানিটি আবার চালু করার বিষয়ে নিজেরাই সন্দিহান পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেক্স কমিশন (বিএসইসি)।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলছেন, ফ্যামিলি টেক্স যারা পুঁজিবাজারে নিয়ে এসেছিল তার লোটপাটের উদ্দেশে এসেছে। এমনকি তাদের পরিচালকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করারও কথা জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।
কিন্তু তারপরও এই কোম্পানির শেয়ার দরে উত্থান অব্যাহত আছে গত সাত কার্যদিবস ধরে। মূলত কোম্পানিটির শেয়ার দরের উত্থান শুরু হয়েছে ৯ জুন থেকে।
সে সময় শেয়ার প্রতি দর ছিল ২ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪ টাকা ৫০ পয়সা।
বোর্ড পুনর্গঠন করা আরেক কোম্পানি তুং হাই নিটিং। এই কোম্পানির শেয়ার দরও বাড়ছে বেশ কয়েকদিন ধরে। গত ৮ জুন থেকে বাড়তে থাকা কোম্পানিটির শেয়ার দর বুধবার এসে পৌঁছেছে ৬ টাকা ২০ পয়সায়। যেখানে ৮ জুন শেয়ার প্রতি দর ছিল ৩ টাকা ২০ পয়সা।
জেড ক্যাটাগরির আরেক কোম্পানি জুনস্পিনিং। যার শেয়ার দরেও লাগাম দেয়া যাচ্ছে না।
বুধবার এই কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ১৭ জুন ৯৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে শেয়ার দর ক্রমাগত বেড়ে বুধবার এসে দাঁড়িয়েছে ১২১ টাকা ১০ পয়সায়।
কোম্পানিটির সঞ্চিতে ঘাটতি আছে ২ কোটি টাকা, আর সর্বশেষ আর্থিক হিসাব অনুযায়ী শেয়ার প্রতি লোকসান আছে ৩৩ টাকা ৮৩ পয়সা।
ওটিসি মার্কেট থেকে ফেরা তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলের বুধবার শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। জেড ক্যাটাগরির এই কোম্পানির শেয়ার দর এদিন এসে দাঁড়িয়েছে ৫৯ টাকা। যেখানে ওটিসি থেকে ফেরার দিন শেয়ার প্রতি দর ছিল ১২ টাকা।
বুধবার লেনদেনে আগের মতোই দর কমেছে ব্যাংক খাতের। লেনদেন হওয়া ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে দর বেড়েছে তিনটির। দর পাল্টায়নি ৫টির। বাকি ২৩টি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে।
বিমা খাতের শেয়ারের দরও বাড়েনি বুধবার। লেনদেন হওয়া ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১০টির। দর পাল্টায়নি তিনটির। বাকি ৩৮টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।
বস্ত্র খাতের তালিকাভুক্ত ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টির দর বেড়েছে। দর পাল্টায়নি ছয়টির। বাকি ২৮টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।
মঙ্গলবার নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের শেয়ারে দরেও উত্থান দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বুধবার তা টিকেনি। এদিন লেনদেন হওয়া ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫টির দর বেড়েছে। দর পাল্টায়নি একটির। বাকি ১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমেছে।
মঙ্গলবার ঢালাওভাবে দর বৃদ্ধি পাওয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটি প্রতি দর বাড়লেও বুধবার তা টিকেনি। তবে অন্য খাতের তুলনায় দর বৃদ্ধির হার ছিল কিছুটা বেশি। এদিন লেনদেন হওয়া ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৪টির। দর কমেছে ১১টির। আর দর পাল্টায়নি ২টির।
আগ্রহ ধরে রাখল মিউচ্যুয়াল ফান্ড
মঙ্গলবার লেনদেন হওয়া ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র একটি ফান্ডের দর কমেছিল। দর বেড়েছিল বাকি ৩৬টির। বুধবার সে ধারায় ইউনিট প্রতি দর না বাড়লেও অন্য খাতের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর।
বুধবার এ খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১২২ কোটি টাকা। এদিন লেনদেনে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে এনসিসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এলআরগ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ৫ শতাংশ।
এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটি প্রতি দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ইউনিট প্রতি দর ৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ১০ পয়সা। ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আইএফআইএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান এর ইউনিটি প্রতি দর বেড়েছে ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
ব্যাংক-বিমায় মন্দা
বুধবার আবারও ঢালাওভাবে দর কমেছে ব্যাংক ও বিমা খাতের শেয়ারের। এদিন দর পতন হওয়া কোম্পানির তালিকায় বেশিরভাগই ছিল ব্যাংক ও বিমা খাতের।
এ দিন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ থেকে আড়াই শতাংশ পর্যন্ত।
অপরদিকে ব্যাংক খাতের পূবালী ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৪ শতাংশ। ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২ দশমিক ১১ শতাংশ। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
এ ছাড়া ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ৫২ শতাংশ। এবি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
বিশ্লেষকরা যা বলছেন ৱ
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে সূচক। ফলে অনেক কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে কয়েকগুণ। বিশেষ করে বিমা খাতের যে উত্থান দেখা গিয়েছিল সেটির সংশোধন পর্যায়ে সার্বিক পুঁজিবাজারে প্রভাব পড়ছে।
তিনি বলেন, ‘সূচক ৬ হাজারের বেশি আর লেনদেনও ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ওপরে। ফলে সূচকের এমন পতন পুঁজিবাজারের নিয়মিত বিষয়। এতে আতঙ্কের কিছু দেখছি না।’
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৯ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৭৭ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ২ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩২৭ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৩১ পয়েন্টে।
এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ৭৪ দশমিক ৩২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৮৮১ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ৭৮ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য