পুঁজিবাজারে কিছুদিন থেকে দুর্বল ক্যাটাগরির কোম্পানির দৌরাত্ম বাড়ছে। দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায় এখন হরহামেশাই উঠে আসছে পুঁজিবাজারের এসব দুর্বল বা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার।
ওটিসি থেকে ফিরে অনেকটাই লাগামহীন তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, মনোস্পুল, পেপার প্রসেসিং ও মুন্নু ফেব্রিক্স।
এ ছাড়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে বোর্ড পুনর্গঠন করা কোম্পানিগুলোর প্রতিও বিনিয়োগকারীদের বাড়তি আগ্রহ দেখা গেছে। ফলে দুর্বল খাতের কোম্পানিগুলোকে মূলধারায় নিয়ে আসার যে উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি, তার এখনও শতভাগ সফলতা না পাওয়া গেলেও এরই মধ্যে অনেক কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে কয়েকগুণ।
বুধবার পুঁজিবাজারে মূল্য সংশোধনে কমেছে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। আগের দিন মঙ্গলবারও কমেছিল ডিএসইর এই সূচক। পুঁজিবাজারে আর্থিক অবস্থা ভালো এমন কোম্পানিগুলো যখন দর বৃদ্ধিতে ধাক্কা খাচ্ছে, তখন জেড ক্যাটাগরির উত্থান অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ লেনদেন।
চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে আবারও মূল্য সংশোধনে যাওয়া বিমা খাতের শেয়ারের পতন অব্যাহত ছিল বুধবার। পাশাপাশি ব্যাংক, নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রকৌশল, বস্ত্র খাতেরও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হয়েছে।
তবে মঙ্গলবার ঢালাওভাবে দর বৃদ্ধি পাওয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উত্থান আগের দিনের মতো না বাড়লেও বুধবার অন্য খাতের মতো দরপতন হয়নি।
বুধবার লেনদেন শেষে দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ দর বৃদ্ধি পাওয়া দুটি কোম্পানি ছিল জেড ক্যাটাগরিরর। এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স ও পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড।
যার মধ্যে পেপার প্রসেসিং ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে লেনদেন হচ্ছে, অপরটি নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের; যার ২০১৯ সালের নয় মাসের হিসাবে শেয়ার প্রতি লোকসান ৪ টাকা ৭৯ পয়সা। আর রিজার্ভে ঘাটতি আছে ৭৬ কোটি টাকা।
এ ছাড়া বোর্ড পুনর্গঠন করা ফ্যামিলি টেক্স কোম্পানিটি আবার চালু করার বিষয়ে নিজেরাই সন্দিহান পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেক্স কমিশন (বিএসইসি)।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলছেন, ফ্যামিলি টেক্স যারা পুঁজিবাজারে নিয়ে এসেছিল তার লোটপাটের উদ্দেশে এসেছে। এমনকি তাদের পরিচালকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করারও কথা জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।
কিন্তু তারপরও এই কোম্পানির শেয়ার দরে উত্থান অব্যাহত আছে গত সাত কার্যদিবস ধরে। মূলত কোম্পানিটির শেয়ার দরের উত্থান শুরু হয়েছে ৯ জুন থেকে।
সে সময় শেয়ার প্রতি দর ছিল ২ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪ টাকা ৫০ পয়সা।
বোর্ড পুনর্গঠন করা আরেক কোম্পানি তুং হাই নিটিং। এই কোম্পানির শেয়ার দরও বাড়ছে বেশ কয়েকদিন ধরে। গত ৮ জুন থেকে বাড়তে থাকা কোম্পানিটির শেয়ার দর বুধবার এসে পৌঁছেছে ৬ টাকা ২০ পয়সায়। যেখানে ৮ জুন শেয়ার প্রতি দর ছিল ৩ টাকা ২০ পয়সা।
জেড ক্যাটাগরির আরেক কোম্পানি জুনস্পিনিং। যার শেয়ার দরেও লাগাম দেয়া যাচ্ছে না।
বুধবার এই কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ১৭ জুন ৯৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে শেয়ার দর ক্রমাগত বেড়ে বুধবার এসে দাঁড়িয়েছে ১২১ টাকা ১০ পয়সায়।
কোম্পানিটির সঞ্চিতে ঘাটতি আছে ২ কোটি টাকা, আর সর্বশেষ আর্থিক হিসাব অনুযায়ী শেয়ার প্রতি লোকসান আছে ৩৩ টাকা ৮৩ পয়সা।
ওটিসি মার্কেট থেকে ফেরা তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলের বুধবার শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। জেড ক্যাটাগরির এই কোম্পানির শেয়ার দর এদিন এসে দাঁড়িয়েছে ৫৯ টাকা। যেখানে ওটিসি থেকে ফেরার দিন শেয়ার প্রতি দর ছিল ১২ টাকা।
বুধবার লেনদেনে আগের মতোই দর কমেছে ব্যাংক খাতের। লেনদেন হওয়া ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে দর বেড়েছে তিনটির। দর পাল্টায়নি ৫টির। বাকি ২৩টি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে।
বিমা খাতের শেয়ারের দরও বাড়েনি বুধবার। লেনদেন হওয়া ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১০টির। দর পাল্টায়নি তিনটির। বাকি ৩৮টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।
বস্ত্র খাতের তালিকাভুক্ত ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টির দর বেড়েছে। দর পাল্টায়নি ছয়টির। বাকি ২৮টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।
মঙ্গলবার নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের শেয়ারে দরেও উত্থান দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বুধবার তা টিকেনি। এদিন লেনদেন হওয়া ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫টির দর বেড়েছে। দর পাল্টায়নি একটির। বাকি ১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমেছে।
মঙ্গলবার ঢালাওভাবে দর বৃদ্ধি পাওয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটি প্রতি দর বাড়লেও বুধবার তা টিকেনি। তবে অন্য খাতের তুলনায় দর বৃদ্ধির হার ছিল কিছুটা বেশি। এদিন লেনদেন হওয়া ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৪টির। দর কমেছে ১১টির। আর দর পাল্টায়নি ২টির।
আগ্রহ ধরে রাখল মিউচ্যুয়াল ফান্ড
মঙ্গলবার লেনদেন হওয়া ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র একটি ফান্ডের দর কমেছিল। দর বেড়েছিল বাকি ৩৬টির। বুধবার সে ধারায় ইউনিট প্রতি দর না বাড়লেও অন্য খাতের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর।
বুধবার এ খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১২২ কোটি টাকা। এদিন লেনদেনে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে এনসিসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এলআরগ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ৫ শতাংশ।
এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটি প্রতি দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ইউনিট প্রতি দর ৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ১০ পয়সা। ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আইএফআইএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান এর ইউনিটি প্রতি দর বেড়েছে ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
ব্যাংক-বিমায় মন্দা
বুধবার আবারও ঢালাওভাবে দর কমেছে ব্যাংক ও বিমা খাতের শেয়ারের। এদিন দর পতন হওয়া কোম্পানির তালিকায় বেশিরভাগই ছিল ব্যাংক ও বিমা খাতের।
এ দিন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ থেকে আড়াই শতাংশ পর্যন্ত।
অপরদিকে ব্যাংক খাতের পূবালী ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৪ শতাংশ। ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২ দশমিক ১১ শতাংশ। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
এ ছাড়া ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ৫২ শতাংশ। এবি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
বিশ্লেষকরা যা বলছেন ৱ
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে সূচক। ফলে অনেক কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে কয়েকগুণ। বিশেষ করে বিমা খাতের যে উত্থান দেখা গিয়েছিল সেটির সংশোধন পর্যায়ে সার্বিক পুঁজিবাজারে প্রভাব পড়ছে।
তিনি বলেন, ‘সূচক ৬ হাজারের বেশি আর লেনদেনও ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ওপরে। ফলে সূচকের এমন পতন পুঁজিবাজারের নিয়মিত বিষয়। এতে আতঙ্কের কিছু দেখছি না।’
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৯ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৭৭ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ২ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩২৭ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৩১ পয়েন্টে।
এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ৭৪ দশমিক ৩২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৮৮১ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ৭৮ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য