সূচকের উত্থান পতনে শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারে মঙ্গলবারের লেনদেন। এদিন ব্যাংক, বিমা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রকৌশলের মতো দাপটে খাতগুলোকে পেছনে ফেলে দর বৃদ্ধির সামনের কাতারে ছিল মিউচ্যুয়াল ফান্ড। ইউনিট প্রতি দর খুব বেশি না বাড়লেও যেকোনো খাতের তুলনায় আগ্রহের শীর্ষে ছিল পিছিয়ে থাকা এই খাত।
তালিকাভুক্ত ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে পাঁচটির অর্থবছর বছরের বিভিন্ন সময়ে শেষ হলেও ৩০ জুন শেষ হয়েছে বাকি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অর্থবছর। জুন ক্লোজিংয়ের মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর ইউনিটি প্রতি সম্পদ মূল্য গত ৫ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে।
যেখানে দেখা গেছে গত বছরের জুনের তুলনায় চলতি বছরের জুনে ফান্ডগুলোর সম্পদ মূল্য সর্বনিম্ম বেড়েছে ১৩ শতাংশ আর সর্বোচ্চ বেড়েছে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতে চলমান শাটডাউনের মধ্যে দ্বিতীয় দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। চলমান সাত দিনের শাটডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে আরও সাত দিন করেছে সরকার।
এই সময়ে পুঁজিবাজারের লেনদেনের সময় সীমা ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত করা হয়েছে। আগামী সপ্তায়ও একইভাবে লেনদেন চলবে নাকি তা পরিবর্তন হবে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার ২১৯ পয়েন্ট থেকে বেড়ে হয় ৬ হাজার ২৪১ পয়েন্ট। সেখান থেকে ১০টাকা ৯ মিনিট পর্যন্ত খুব বেশি উত্থান পতন ছিল না সূচকে। তারপর থেকে ১০টা ২২ মিনিট পর্যন্ত সূচক টানা কমে, নেমে আসে ৬ হাজার ২০৩ পয়েন্টে। তারপর আবার উত্থানে সূচক ওঠে ৬ হাজার ২৩৪ পয়েন্টে।
এভাবেই সূচকের ওঠা নামায় চলে লেনদেন। দিন শেষে আর ফেরেনি শুরুর সেই উত্থান। পতনেই শেষ হয়েছে দিনের কার্যক্রম। তবে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর সম্পদ মূল্যের বিপরীতে যে দর থাকা উচিত বর্তমান বাজার দর অনেক কম। তবে আগের তুলনায় অনেক দর বেড়েছে। অনেক ৫ টাকা ৬ টাকার ফান্ড এখন দশ টাকার কাছাকাছি বা দশ টাকার বেশি। ফলে আগ্রহ নেই এটা বলা ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর সঙ্গে বাজারের সরাসরি সম্পৃক্ত। পুঁজিবাজারে শেয়ারের দর বাড়লে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদ মূল্য বাড়বে। শেয়ার দর কমলে সম্পদ মূল্য কমবে। আর গত এক বছরে পুঁজিবাজারের যে একটি ভালো জায়গায় পৌছেছে তার কারণেই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদ মূল্য বেড়েছে।
‘আমি বলব, যাদের পুঁজিবাজার সম্পর্কে ভালো ধারণা নেই তারা যেন তাদের বিনিয়োগের অর্ধেক অন্তত মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদে মূল্যের চেয়ে ফান্ডগুলোর ইউনিট প্রতি দর কম থাকে তাহলে বিনিয়োগ উপযোগী আর ফান্ডগুলোর সম্পদ মূল্যের চেয়ে ইউনিট প্রতি দর বেশি থাকলে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে যাচাই বাছাই করা উচিত।
ফান্ডগুলোর সম্পদ মূল্যের তুলনায় বেশির ভাগ ফান্ডের দর কম। এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড তাদের ৩০ জুন পর্যন্ত সম্পদ মূল্য প্রকাশ করেছে ১২ টাকা ১৫ পয়সা। অথচ ফান্ডটির ইউনিটি প্রতি দর মঙ্গলবার ছিল ৭ টাকা ২০ পয়সা।
ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটি প্রতি সম্পদ মূল্য ১২ টাকা ৮ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৩০ পয়সা।
এ সময় সবচেয়ে বেশি সম্পদ মূল্যের গ্রামিন ওয়ান, ‘স্কিম টু’-এর ২০ টাকা ৮২ পয়সা। ফান্ডটি মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ১৮ টাকা ৩০ পয়সা।
এ ছাড়া, সবচেয়ে কম সম্পদ মূল্যের আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। যার ইউনিট প্রতি সম্পদ মূল্য ৯ টাকা ০৫ পয়সা আর ফান্ড লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৬০ পয়সা।
মঙ্গলবার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উত্থানে অনেকটাই নিস্তেজ ছিল বিমা, ব্যাংক, বস্ত্র খাত।
ব্যাংক খাতের ৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র তিনটির। দর পাল্টায়নি পাঁচটির। বাকি ২৩টি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২২টি কোম্পানির মধ্যে আটটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। ১৩টির দর কমেছে। বাকি একটির দর পাল্টায়নি।
বিমা খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র চারটির। দর পাল্টায়নি একটির। বাকি ৪৬টি বিমা কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।
বস্ত্র খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৮টির। কমেছে ৩৯টির। দর পাল্টায়নি একটির।
বাধনহারা মিউচ্যুয়াল ফান্ড
মঙ্গলবার তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো ছিল বাধনহারা। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ স্থানে ছিল এ খাতের ইউনিটগুলো।
লেনদেন দর বৃদ্ধির শীর্ষে না থাকলেও সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া ফান্ডটি ছিল ডিবিএসই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড। ৩০ জুন শেষে ফান্ডটির সম্পদ মূল্য প্রকাশ করা হয়েছে ১১ টাকা ৮১ পয়সা। মঙ্গলবার ফান্ডটির শেয়ার দর বেড়েছে ৭.১৪ শতাংশ। ইউনিট প্রতি দর ৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯ টাকা।
তারপরেই আছে ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড। যার অর্থবছর শেষ ইউনিটি প্রতি সম্পদ মূল্য ১২ টাকা ৪২ পয়সা। মঙ্গলবার ফান্ডটির ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ৬.৭৫ শতাংশ।
গ্রিন ডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি সম্পদ মূল্য প্রকাশ করা হয়েছে ১১ টাকা ৭২ পয়সা। লেনদেন শেষে ফান্ডটির দর বেড়েছে ৬.০২ শতাংশ।
ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ৫.৮৮ শতাংশ। এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অর্থবছর শেষে সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ১৫ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ৫.৭৯ শতাংশ।
এ ছাড়া, দর বৃদ্ধির তালিকায় আছে এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ৫.৭১ শতাংশ। আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ৫.৫৫ শতাংশ।
এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইএফআইএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৪.৮১ শতাংশ থেকে ৪.২৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
নন ব্যাংক আর্থিক খাতেও জোয়ার
মঙ্গলবার লেনদেন সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া খাত হচ্ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড। পাশাপাশি দর বেড়েছে নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর।
দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায় ছিল নন ব্যাংক আর্থিক খাতের ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, যার শতকরা হিসেবে শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। শেয়ার দর ৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা ৫০ পয়সা।
প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স লিমিটেডের শতকরা হিসেবে দর বেড়েছে ৯.৭৮ শতাংশ। শেয়ার দর ৯ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০ টাকা ১০ পয়সা।
ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের শেয়ারের শতকরা হিসেবে দর বেড়েছে ৯.৫২ শতাংশ। শেয়ার দর ৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯ টাকা ২০ পয়সা।
ইউনাইটেড ফিন্যান্স লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৩০ শতাংশ। বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের শতকরা হিসেবে দর বেড়েছে ৯.০৯ শতাংশ। শেয়ার দর ৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ টাকা।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৬৯ শতাংশ। শেয়ার দর ৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা ৫০ পয়সা।
এদিন নন ব্যাংক আর্থিক খাতের ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র দুটির দর কমেছে। বাকি ২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বেড়েছে। এ খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১৬৯ কোটি টাকা।
ব্যাংক হারাল দর
গত কয়েক কার্যদিবসে অনেকটাই উত্থান দেখা গেছে তালিকাভুক্ত ব্যাংকের শেয়ার। এ খাতের ন্যাশনাল ব্যাংকের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের ২০২০ সালের লভ্যাংশ ঘোষণা।
অন্য যেকোনো খাতের তুলনায় ব্যাংক খাতের লভ্যাংশ ঘোষণা আকর্ষণীয় হলেও বিনিয়োগকারীরা সময় সময় তাদের আগ্রহ পরিবর্তন করেন। ফলে কয়েকদিন ব্যাংক খাতের শেয়ারের দর বাড়লেও কমে ঠিক তাল রেখে। কয়েকদিন দর বাড়ার পর মঙ্গলবারও ঢালাওভাবে দর কমেছে এ খাতের।
এ খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১১৭ কোটি টাকা। আর ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র তিনটির। দর পাল্টায়নি তিনটির। বাকি ১৫টি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে।
গত কয়েক কার্যদিবস ধরে ব্যাংক খাতের সবচেয়ে দুর্বল আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর বাড়ছে। ওঠে আসছে দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায়।
মঙ্গলবারও ব্যাংকটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৩০ শতাংশ। শেয়ার দর ৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪ টাকা ৭০ পয়সা।
তারপরের দর বৃদ্ধি পাওয়া ব্যাংক ছিল প্রিমিয়ার ব্যাংক, যার শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে দশমিক ৭৬ শতাংশ।
আল-আরফাহ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে দশমিক ৪৪ শতাংশ।
দর পাল্টায়নি বা আগের কার্যদিবসের মতোই শেয়ার দর আছে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের।
পতনের দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি কমেছে এনআরবিসি ব্যাংকের ৪.৭৬ শতাংশ। শেয়ার দর ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৩০ টাকা।
এবি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২.৭০ শতাংশ। ডাচ বাংলা ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২.১৪ শতাংশ। ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২.০৪ শতাংশ। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২ শতাংশ। রূপালী ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১.৯০ শতাংশ। ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১.৫১ শতাংশ। একই হারে কমেছে আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার দর।
উঠছে নামছে বিমা
সোমবার ঢালাওভাবে বিমা খাতের শেয়ারের দর বাড়ার পর পুরো উল্টে গেছে মঙ্গলবার। শেয়ার দর কমার চিত্র এতটাই করুন শীর্ষ দর পতন হওয়া ২৩টি কোম্পানির মধ্যে ১২টি ছিল বিমা খাতের।
সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের, শতকরা হিসেবে দর কমেছে ৬.৩২ শতাংশ। শেয়ার দর ৮৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৮১ টাকা ৪০ পয়সা।
প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৬.০২ শতাংশ। পগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৫.৩৮ শতাংশ। মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৫.০১ শতাংশ। রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪.৮৮ শতাংশ। রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪.৮৭ শতাংশ। স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪.৫৯ শতাংশ।
এছাড়া গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, প্রিমিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪.১৮ শতাংশ পর্যন্ত।
অন্যান্য খাতের যে অবস্থা
তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানির শেয়ারের মোট লেনদেন হয়েছে ৩৩৯ কোটি টাকা। লেনদেনে এ খাতের জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৮৪ শতাংশ।
নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.২৮ শতাংশ। আরএন স্পিনিং মিলসের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৭৭ শতাংশ। তাল্লু স্পিনিং মিলসের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.০৯ শতাংশ। এ ছাড়া, এ খাতের তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস, তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড, জাহিন স্পিনিং, জাহিন টেক্স ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৫৫ কোটি টাকা। এদিন এ খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে জিবিবি পাওয়ার লিমিটেডের ১.২৫ শতাংশ। লেনদেন হওয়া ২২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭টির। দর পাল্টায়নি একটির। বাকি ১৪টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।
প্রকৌশল খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১৫৬ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১১টির। দর পাল্টায়নি একটির। দর কমেছে ৩০টির।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৩ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৯৬ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩২৪ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৩ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২৯ পয়েন্টে।
ডিএসইতে এদিন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৮৯ কোাটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৭৯ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৯৫৬ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৪টির, কমেছে ১৬৬টির। পাল্টায়নি ১২টির। মোট লেনদেন হয়েছে ৮১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য