গত এক বছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর সম্পদমূল্যে ব্যাপক বৃদ্ধির তথ্য মিলেছে। একটি ফান্ডের সম্পদমূল্য বেড়েছে সর্বোচ্চ ৬৫ শতাংশ। সবচেয়ে কম বেড়েছে যেটির, সেটিও বেড়েছে ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর পুঁজিবাজারে যে ধস নামে, সে কারণে জুন ক্লোজিং ফান্ডগুলোর বেশির ভাগই ব্যাপক লোকসানের কারণে লভ্যাংশ দিতে পারেনি।
তবে ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে ৭ জুন লেনদেন শুরুর পর থেকে এক বছরে পুঁজিবাজারে যে দুই হাজার পয়েন্টের বেশি উত্থান হয়েছে, তাতে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোও হয়েছে স্ফীত। যে ফান্ডগুলোর ক্রয়মূল্যের চেয়ে বাজারমূল্য প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছিল, সেগুলোও এখন ক্রয়মূল্যের কাছাকাছি চলে গেছে। আর বেশির ভাগ ফান্ডের ক্রয়মূল্যের চেয়ে বাজারমূল্য বেশি।
নিউজবাংলা হিসাব করে দেখেছে, এই এক বছরে ৫টি ফান্ডের সম্পদমূল্য বেড়েছে ৬০ শতাংশের বেশি। একটির বেড়েছে ৫০ শতাংশ। ৪০ শতাংশের বেশি ও ৫০ শতাংশের কম বেড়েছে ৫টির।
৩০ শতাংশের বেশি ও ৪০ শতাংশের কম বেড়েছে ১১টি ফান্ডের সম্পদমূল্য। ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে ১০টি ফান্ডের সম্পদমূল্য। আর ৪টি ফান্ডের সম্পদমূল্য বেড়েছে ১০ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে।
অবশ্য সম্পদমূল্য বৃদ্ধি আর আয় যে সমানুপাতিক, সেই নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। আইসিবি এমপ্লয়ি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য এই এক বছরে ৬৫ দশমিক ০৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে প্রথম ৯ মাসে এই ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি আয় হয়েছে ৩০ পয়সা। তবে সম্পদমূল্য ২৮ দশমিক ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়া পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৯ মাসে আয় হয়েছে ১ টাকা ৪৪ পয়সা।
পুঁজিবাজারে যে ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড আছে, তার মধ্যে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সাউথইস্ট ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড বেমেয়াদিতে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাকি ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে জুনে অর্থবছর সমাপ্ত হয়েছে ৩০টির। আর এগুলো আগামী দুই মাসের মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারে।
প্রতিটি ফান্ডই এবার মুনাফায় আছে। গত এক দশকেও তৃতীয় প্রান্তিক শেষে এত বেশি মুনাফা দেখা যায়নি কোনো ফান্ডের।
২০২০ সালের জুন থেকে প্রথম প্রান্তিকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ে ৯৭৭ পয়েন্ট। সে সময় দুই একটি ফান্ড ইউনিটপ্রতি ২ টাকারও বেশি আয় করেছে। বেশ কয়েকটির আয় দেড় টাকার বেশি আ আশপাশে দেখা গেছে।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সূচক বাড়ে আরও ৫৪০ পয়েন্ট। এই সময়েও ফান্ডগুলো ইউনিটপ্রতি বেশ ভালো মুনাফা করে। আগের প্রান্তিকের চেয়ে কম হলেও এই সময়েও কোনো কোনো ফান্ড ইউনিটপ্রতি দেড় বা দুই টাকা মুনাফা করে।
তবে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বাজারে ছন্দপতন ঘটে। এই প্রান্তিকে সূচক পড়ে ৩৪০ পয়েন্ট।
তবে বাজারে পতন হলেও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো লোকসান দিয়েছে এমন নয়। এই প্রান্তিকে ৩৭টি ফান্ডের মধ্যে মুনাফা করে ২৭টি। বাকি ১০টির মধ্যে দুটি ফান্ড চলতি অর্থবছরের হিসাব দেয়নি। অন্য আটটির মধ্যে ইউনিটপ্রতি ১ থেকে সর্বোচ্চ ১৪ পয়সা লোকসান করে। তবে আগের দুই প্রান্তিকে বিপুল পরিমাণ মুনাফার কারণে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে বেশ ভালো অঙ্কের আয় করায় এবার লোভনীয় লভ্যাংশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আর তৃতীয় প্রান্তিকের শুরুতে এপ্রিলে লকডাউন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পুঁজিবাজারে ধস নামলেও পরে সেই লকডাউন চলাকালেই দেখা দেয় উত্থান। আর চলমান শাটডাউনেও দেখা গেছে একই প্রবণতা।
সব মিলিয়ে চতুর্থ প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে প্রথম প্রান্তিকের কাছাকাছি, ৮৮০ পয়েন্ট। ফলে ফান্ডগুলো প্রথম প্রান্তিকের কাছাকাছি আয় করলে এবার যে চূড়ান্ত মুনাফা আসতে পারে, সেটি চমকে দিতে পারে বিনিয়োগকারীদের।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত যেসব ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার প্রতিটিই ব্যাপক আয় করেছে। তবে একটি ফান্ড ১ টাকা ৬১ পয়সার বেশি আয় করেও মুনাফার ১০ শতাংশ লভ্যাংশ বিতরণ করেছে, যদিও নীতিমালায় বলা আছে, নগদে ৭০ শতাংশ বিতরণ করতে হবে।
তবে এই ফান্ডটি গত বছর ব্যাপক লোকসান দিয়েছিল আর সেই লোকসানের সঞ্চিতি সংরক্ষণের সুবিধা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। আর এতে ফান্ডের ভিত্তি শক্তিশালী হয়েছে।
তবে তৃতীয় প্রান্তিকের যে হিসাব পাওয়া গেছে, সেই সঙ্গে চতুর্থ প্রান্তিকের যে চাঙাভাব, সেটি বিবেচনায় আনলে আর ফান্ডের বাজারমূল্য হিসাব করলে এবার বিনিয়োগকারীরা যে আকর্ষণীয় লভ্যাংশ পেতে পারেন, সেই সম্ভাবনাই দেখা যায়।
ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে সময়টিতে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য বেড়েছে সে সময়টিতে কিন্ত পুঁজিবাজারও ভালো ছিল। ফলে তার সুফল পেয়েছে ফান্ডগুলো।’
তবে সম্পদমূল্য ও আয় বাড়লেও এই ফান্ডগুলোর মূল্য যে খুব একটা বেড়েছে এমন নয়। পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য ১২ টাকা ২ পয়সা হলেও দাম ৬ টাকা ৫০ পয়সা।
সব মিলিয়ে ২৪টি ফান্ডের দামই এখন অভিহিত মূল্য ১০ টাকার নিচে। যদিও এদের সিংহভাগের সম্পদমূল্যই ১১ টাকার বেশি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে পুঁজিবাজারের প্রাণ হিসেবে ধরা হলেও বাংলাদেশে এই ফান্ডগুলো এখন পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেনি। যদিও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এই ফান্ডগুলোতে বিনিয়োগে উৎসাহ দিচ্ছে। এতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের ঝুঁকি কমে আসবে বলে মনে করছে তারা।
শাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো পুঁজিবাজারের জন্য সবচেয়ে আস্থার পোডাক্ট। কিন্ত সেভাবে বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। কারণ হচ্ছে বিনিয়োগকারীরা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কাছ থেকে পরিমাণ মুনাফা প্রত্যাশা করে সেটি তারা পান না। ফলে এ খাতে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ আগ্রহী হন না।’
তবে চলতি বছর ফান্ডগুলো ভালো লভ্যাংশ দিতে পারলে পরিস্থিতি ঘুরে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক শাকিল রিজভী।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজার ভালো থাকলে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের এনএভি বা সম্পদমূল্য বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। এনএভির চেয়ে দাম কম থাকলে বুঝতে হবে এই খাতে আগ্রহ কম। এবার যেহেতু আয় ভালো হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী লভ্যাংশ দেয়া উচিত।’
সবচেয়ে বেশি সম্পদমূল্য বেড়েছে আইসিবির ফান্ডগুলোর
৩০ জুন শেষে রাষ্ট্রায়াত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ, আইসিবির অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির পরিচালনায় আইসিবি এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ২১ পয়সা। ২০২০ সালের ৩০ জুন শেষে সম্পদূল্য ছিল ৫ টাকা ৫৮ পয়সা। অর্থাৎ এই ফান্ডটির সম্পদমূল্য বেড়েছে ৩ টাকা ৬৩ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৬৫ দশমিক ০৫ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পাওয়া আইসিবি থার্ড এনআরবির সম্পদ মূল্য ৩০ জুন শেষে দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৫ পয়সা, যা ২০২০ সালের জুন শেষে ছিল ৫ টাকা ৫৯ পয়সা। এই এক বছরে বেড়েছে ৩ টাকা ৪৬ পয়সা বা ৬১ দশমিক ৯০ শতাংশ।
সম্পদমূল্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধিতে থাকা প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৯৩ পয়সা, যা ২০২০ সালের জুন শেষে ছিল ৬ টাকা ১৪ পয়সা। শতকরা হিসেবে ৬১ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়েছে এক বছরে।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ১৩ পয়সা। ২০২০ সালের জুন শেষে যা ছিল ৬ টাকা ২৯ পয়সা। এক বছরে বেড়েছে ৬১ দশমিক ০৫ শতাংশ।
পঞ্চম অবস্থানে থাকা ফিনিক্স ফিনান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৪৭ পয়সা। ২০২০ সালের ৩০ জুন যা ছিল ৫ টাকা ৮৯ পয়সা। এই এক বছরে বেড়েছে ৩ টাকা ৫৮ পয়সা বা ৬০ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এছাড়া ৫০ শতাংশ বেড়েছে আইসিবি সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য।
৪০ শতাংশের বেশি বাড়ল যেগুলোর
ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালান্সড ফান্ডের সম্পদমূল্য গত ৩০ জুন শেষে দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৪৯ পয়সা। ২০২০ সালের ৩০ জুন সম্পদ ছিল ৭ টাকা ৮৬ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৪৬ দশমিক ১৮ শতাংশ।
এ ছাড়া ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফিনান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৪৫ দশমিক ২৬, আইএফআইএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৪২ দশমিক ৯৯ শতাংশ, আইসিবি ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৪১ দশমিক ৪৬ এবং সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য বেড়েছে ৪০ দশমিক ৫২ শতাংশ।
৩০ শতাংশের বেশি সম্পদ বাড়ল যেগুলোর
৩০ জুন শেষে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের রিলায়েন্স ওয়ান ফার্স্ট স্পিম মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৭৬ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন যা ছিল ১০ টাকা ৭০ পয়সা। এই এক বছরে বাড়ল ৪ টাকা ৬ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
শতকরা হিসেবে সম্পদমূল্য এর চেয়ে খানিকটা কম বৃদ্ধি পাওয়া গ্রামীণ টু ও এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদ মূল্য টাকার অঙ্কে আরও বেশি বেড়েছে।
এক বছরে সম্পদ ৫ টাকা ৩৬ পয়সা বৃদ্ধি পাওয়া গ্রামীণ টুর সম্পদ বৃদ্ধির শতকরা হার ৩৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ, আর ৪ টাকা ১০ পয়সা সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়া এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদ মূল্য বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এ ছাড়া ইবিএলএনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩৫ দশমিক ১৫ শতাংশ, এবিব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩৩ দশমিক ৫২ শতাংশ, সিএপিএমআইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩৩ দশমিক ১৫ শতাংশ, এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ৩১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩০ দশমিক ৭২ শতাংশ, ডিবিএইচি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩০.০৭ শতাংশ, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩০ দশমিক ০৩ শতাংশ, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩০ দশমিক ০১ শতাংশ দাম বেড়েছে।
২০ থেকে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
৩০ জুন শেষে আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৬৩ পয়সা। গত বছর ৩০ জুন শেষে সম্পদমূল্য ছিল ৮ টাকা ৯৭ পয়সা। শতকরা হিসেবে সম্পদ বেড়েছে ৬৫ শতাংশ।
এ ছাড়া গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২৯ দশমিক ২২ শতাংশ, এফবিএফআইএফ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২৮ দশমিক ৩২ শতাংশ, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২৮ দশমিক ১৪ শতাংশ, এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ডের ২৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ডের ২৩ দশমিক ২৬ শতাংশ, এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের, ২১ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং এনসিসিবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদ বেড়েছে ২১ দশমিক ২২ শতাংশ।
সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি চারটির
গত এক বছরে শতকরা হিসেবে সম্পদমূল্য সবচেয়ে কম বেড়েছে এআইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। ১ টাকা ৩২ পয়সা বা ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ বেড়েছে এটির।
এ ছাড়া এলআর গ্লোবাল ওয়ানের সম্পদমূল্য বেড়েছে ১৬ দশমিক ৮৯, ফার্স্ট প্রাইম ফিনান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৭ দশমিক ৫৬ এবং এসইএমএল এফবিএসএল গ্রোথ ফান্ডের সম্পদমূল্য বেড়েছে ১৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাদের দল গণপিটুনির সংস্কৃতিকে সমর্থন করে না। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার গণপিটুটির ঘটনায় তাদের কোনো কর্মী জড়িত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (২৩ জুন) তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা গণপিটুনির সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে সংগ্রাম করে আসছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।’
সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় স্বচ্ছতার সঙ্গে আদালতের রায় বাস্তবায়ন হোক। নূরুল হুদার গ্রেপ্তার ও বিচারের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া আশাও করে তার দল।
তিনি বলে, ‘কিন্তু আমরা তার উপর যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে—তা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মী এতে জড়িত থাকে—তাহলে আমরা তদন্তের পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব...এটি আমাদের স্পষ্ট অবস্থান।’
সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় প্রতিটি ব্যক্তি, সে যত গুরুতর অপরাধীই হোক না কেন, তিনি তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করুক। ‘সে যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা উচিত নয়।’
রবিবার(২৩ জুন) রাতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে একদল জনতা তাকে আক্রমণ করার পর গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুল হুদার কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হুদা সাদা টি-শার্ট এবং লুঙ্গি পরে ছিলেন এবং তার গলায় জুতার মালা ছিল। এক পর্যায়ে একজন ব্যক্তি জুতা দিয়ে হুদার মুখে আঘাত করেন। ভিডিওটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার জন্য হুদার ভূমিকার সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নুরুল হুদা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য দায়ী কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন।’
সালাহউদ্দীন বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য তিনিসহ আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ধ্বংসের জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মতো আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ভেঙে ফেলার জন্যও দায়ী। ‘কিন্তু আমরা এই ধরনের বিষাক্ত সংস্কৃতি বা জনতার বিচারে বিশ্বাস করি না,’ বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি করে দুষ্কৃতিকারীরা।
পরে মুক্তিপণ না পেয়ে মোবাইল ফোন-মানিব্যাগ রেখে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।
সোমবার (২৩ জুন) বরিশাল থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার পথে মাদারিপুরে সকাল ৮টার দিকে বাস থেকে নামলে অপহরণের শিকার হন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. আসাদ, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায়।
আসাদের পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত শিক্ষার্থীর বড় চাচা মারা যাওয়ায় আজ ভোরে ৬টায় বরিশাল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে মাদারিপুর পর্যন্ত যান বাসে। বাস থেকে নেমে মাদারিপুর নেমে ঝিনাইদহে যাওয়ার জন্য গাড়ি খুঁজতেছিলেন এমন সময় মাইক্রোবাসটি তাকে ঝিনাইদহে পৌঁছে দিবে বলে উঠিয়ে নেয়। উঠিয়ে নেয়ার পর অপহরণকারীরা পরিবারের সঙ্গে ০১৫১৮৪৯৫৬০৯ নম্বর থেকে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি পরিবারের মাধ্যমে জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশের সহযোগিতা নেন, প্রশাসনের তৎপরতার খবর পেয়ে অপহরনকারীরা তার সব কিছু রেখে তাকে ছেড়ে দেন।
এ বিষয়ে আসাদের সহপাঠী রাফিদ হাসান জানান, আসাদের চাচা মারা যাওয়ায় ও আজ ভোরের দিকে বরিশাল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন, পথিমধ্যে এই ঘটনার শিকার হন ।
এ বিষয়ে আসাদের বাবা বলেন, আসাদের বড় চাচা গতকাল রাতে মারা যাওয়ায় আজকে ভোরে বাড়ি আসার পথে মাদারিপুর থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না পেয়ে ওর মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। পরে অন্য একটি বাসে করে আসাদ বাড়ি ফিরছে বলে জানান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সোনিয়া খান সনি বলেন, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বরিশাল থেকে ঝিনাইদাহ বাড়ি যাওয়ার পথে মাদারিপুরে আটকিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে, এমন ঘটনা জেনে সাথে সাথে মাদারিপুর পুলিশকে কল করি। শিক্ষার্থী এখন নিরাপদে আছে সে বাড়ি ফিরতেছে শিক্ষার্থী এবং পরিবারের সাথে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধ, সংগ্রহ, এলাকা স্থানান্তর, আর্থিক লেনদেন ও সেবা প্রত্যাশিদের হয়রানি অভিযোগে নওগাঁয় জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে দুদকের একটি দল এ অভিযানে যায়। এসময় তারা টাকা নগদ টাকা লেনদেনের প্রমান পায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় নওগাঁর উপ-সহকারী পরিচালক মেহবুবা খাতুন রিতা জানান, সেবা প্রত্যাশিদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে প্রথমে ছদ্মবেশে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে প্রবেশ করা হয়। এসময় প্রত্যেক সেবা প্রত্যাশিদের কাছ থেকে টাকা নিতে দেখা যায়। এই অফিসে নগদ টাকা লেনদেনের সুযোগ নেই। কিন্তু তারা নগদ টাকা লেনদেন ও প্রত্যেক সেবা প্রত্যাশিদেও কাছ থেকে অতিরিক্ত চার্জ হিসেবে ১০০ টাকা নিচ্ছে।
মেহবুবা খাতুন রিতা বলেন, পরবর্তীতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ডেকে এনে সরেজমিনে এমন কর্মকান্ড দেখানো হয়। পরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
টাকা লেনদেনের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি অস্বীকার করে জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আব্দুল মোত্তালিব বলেন, নির্বাচন অফিসে সরাসরি নগদ টাকা লেনদেনের কোন সুযোগ নেই। এনআইডির ক্ষেত্রে যে ফি নির্ধারণ করা আছে, অনলাইন ব্যাংকি বা চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে অফিসে আসতে হয়।
নেত্রকোণা জেলা থেকে নানান অর্থনৈতিক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে সুযোগ পেয়েছে ৪ জন অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী।
অর্থনৈতিক সংকটে থাকা চার শিক্ষার্থীকে রোববার (২২জুন) নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের টাকা প্রদান করা হয়েছে।
এদের মধ্যে মো: সাজ্জাদ আলী ইংরেজি বিভাগে, মানব তালুকদার অর্থনীতি বিভাগে, রেশমা আক্তার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে এবং বন্যা রানী সরকার বাংলা বিভাগে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে।
তাদের ভর্তির ব্যাপারে আর্থিক সমস্যার কথা জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বনানী বিশ্বাস অবগত হলে তিনি এই চারজন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে বিশ হাজার টাকা (২০,০০০/- টাকা) করে মোট আশি হাজার টাকা শিক্ষা সহায়তা প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস জানান, “চারজন শিক্ষার্থী ভর্তি সহায়তার জন্য আবেদন করেছিলেন। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কলেজের মাধ্যমে যাচাই করে দেখা যায়, তারা আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হয়।”
তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে আর্থিক সংকটের কারণে কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও শিক্ষা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নুরুল হুদাকে আটকের সময় যেভাবে মব জাস্টিজ করা হয়েছে তা কাম্য নয় জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে এ ধরনের ঘটনায় বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (২৩ জুন) সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাকে হর্টিকালচার সেন্টার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গতকাল (রবিবার) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তারের যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয়; তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। গ্রেপ্তার হয়েছেন নুরুল হুদা।’
‘তবে তাকে গ্রেপ্তারের সময় যেভাবে মব জাস্টিজ করা হয়েছে তা কাম্য নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেছে। এ ঘটনার তদন্ত হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কৃষিজমি দখল রোধে কৃষিজমি সুরক্ষা আইন করা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বিদেশি ফলের পাশাপাশি দেশীয় ফলের উৎপাদন বাড়াতে হবে, যেন এসব ফল হারিয়ে না যায়।’
পরিদর্শনের সময় গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেক, কালিয়াকৈর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ, হর্টিকালচার সেন্টারের এনামুল হকসহ পুলিশ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপদেষ্টা হর্টিকালচার সেন্টারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নানা দিক নির্দেশনা দেন।
ময়মনসিংহের ভালুকায় পৃথক তিনটি অভিযান চালিয়ে হেরোইন, ইয়াবা ও নিষিদ্ধ পেথিডিন ইনজেকশনসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। রবিবার (২২ জুন) রাতভর এসব অভিযান পরিচালনা করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে উপজেলার মেদুয়ারী এলাকার বাঘসাতরা মোড় বাজারের একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে ৫ গ্রাম হেরোইনসহ মো. আতিকুর রহমান (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তিনি মেদুয়ারী গ্রামের মৃত সিরু মিয়ার ছেলে। একই রাতে, সাড়ে ৩টার দিকে মাহমুদপুর ব্রিজ ঘাট এলাকার আনন্দ সাব্বির অটো ওয়ার্কশপের সামনে থেকে মো. মনিরুজ্জামান (৩০) নামের এক যুবককে ২০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। অপদরিকে ভোর ৪টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের তেপান্তর হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের সামনে চেকপোস্টে জামালপুরগামী রাজীব পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-১৪-১৫৭৪) তল্লাশি করে ৯১১ পিস পেথিডিন ইনজেকশনসহ মো. ফারুক মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তিনি নেত্রকোনা সদর উপজেলার পশ্চিম কাটলী গ্রামের বাসিন্দা। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। আটককৃত তিনজনের বিরুদ্ধেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা হয়েছে। আতিকুর ও ফারুকের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক পুরোনো মাদক মামলা রয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ স্কাউটস এর দেশব্যাপী আয়োজিত কাব কার্নিভালের উদ্বোধন করেছেন।
সারাদেশে ৫২৭টি জায়গায় একযোগে এই কার্নিভাল শুরু হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস স্কাউটস কার্নিভালের উদ্বোধন করেন। একইসাথে তিনি বিজয়ী স্কাউট সদস্যদের হাতে শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।
মন্তব্য