× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
জাপানি মিনোরিতে আবার জাগবে এমারেল্ডের স্পন্দন
google_news print-icon

জাপানি মিনোরিতে আবার জাগবে এমারেল্ডের স্পন্দন

জাপানি-মিনোরিতে-আবার-জাগবে-এমারেল্ডের-স্পন্দন
এমারেল্ড অয়েলের ধানের কুঁড়ার তেল স্পন্দন বছর পাঁচেক আগে বেশ সাড়া জাগিয়েছিল।
২০১৬ সালের ২৭ জুন বন্ধ হয়ে যাওয়া এমারেল্ড অয়েল কোম্পানিতে জাপানি বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দুই বছর আগেই কোম্পানিটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার কিনেছে তারা। আগে থেকেই বাংলাদেশে ব্যবসা করা প্রতিষ্ঠানটি এখানে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চায়।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের এমারেল্ড অয়েলের ব্যবস্থাপনায় জাপানি একটি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার আলোচনা অনেকটাই এগিয়ে গেছে।

জাপানের মিনোরি বাংলাদেশ লিমিটেড ২০১৯ সালে কোম্পানিটির ৮ শতাংশ শেয়ার কিনেছিল। প্রায় পাঁচ বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানিটিকে তাদের মাধ্যমেই আবার চালু করার স্বপ্ন দেখছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

তবে কোম্পানিটির ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ সুদে আসলে বেড়ে ১০০ কোটি টাকার মতো হয়ে গেছে। এখন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে সুদ মওকুফের চেষ্টা চলছে। সেটি হয়ে গেলেই কোম্পানিটিকে উৎপাদনে আনার চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছেন এই উদ্যোগে সম্পৃক্ত একজন কর্মকর্তা।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম খুবই আশাবাদী কোম্পানিটিকে নিয়ে। তারা যেসব বোর্ড পুনর্গঠন করেছিলেন, তার মধ্যে রিং সাইনও আলহাজ্ব টেক্সটাইল এরই মধ্যে উৎপাদন শুরু করেছে।

শিবলী রুবাইয়াত নিউজবাংলাকে সেই বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘রিং সাইন প্রোডাকশনের চলে আসছে। এমারেল্ড অয়েলও প্রোডাকশনে চলে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

বন্ধ ও মালিক লাপাত্তা কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটির বোর্ড পুনর্গঠন করে বিএসইসি চেষ্টা করছে সেগুলোকে চালু করার।

এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ৩ মার্চ সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হককে চেয়ারম্যান করে নতুন বোর্ড করা হয়। পর্ষদের অন্যান্য স্বাধীন পরিচালকরা হচ্ছেন বিআইবিএমের প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম সারওয়ার, সজিব হোসেইন ও সন্তোষ কুমার দেব।

কোম্পানি চালুর বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে গোলাম সারওয়ার মন্তব্য করতে রাজি হননি। পরে বিএসইসির একজন নির্বাহী পরিচালক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জাপানি কোম্পানিটি এরই মধ্যে ৮ শতাংশ শেয়ার কিনেছে। আরও ২৫ শতাংশ নেয়ার চেষ্টায় আছে তারা।’

কোম্পানিটি ২০১৪ সালে ১০ টাকা করে অভিহিত মূল্যে দুই কোটি শেয়ার বিক্রি করে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে পুঁজিবাজার থেকে।

দুই বছর পর রাষ্ট্রায়াত্ত বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি মামলার কারণে ২০১৬ সালের ২৭ জুন থেকে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে এমারেল্ড অয়েলের।

শেরপুরে কোম্পানিটির কারখানা রয়েছে। তারা স্পন্দন নামে ধানের কুঁড়ার তেল উৎপাদন করত। দেশের বাজারে এই কোম্পানিটি বেশ সাড়া ফেলেছিল। তবে বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারিতে মালিকদের নাম আসার পর তারা কারখানা বন্ধ রেখে উধাও হয়ে যান।

কোম্পানিটির ৩০ শতাংশ শেয়ার ছিল উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ার ছিল প্রাতিষ্ঠানিক বা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা পুঁজি হারানোর অনিশ্চয়তায় পড়ে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘এমারেল্ড অয়েল কোম্পানি চালু করার বিষয়ে মিনোরি বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটি জাপানি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আগ্রহী। দেখা যাক, কীভাবে কী করা যায়।’

মিনোরি বাংলাদেশ কী বলছে

মিনোরি বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক আশরাফ হোসেনের সঙ্গে কথা হয়েছে নিউজবাংলার। তিনি জানান, ২০১৯ সালে তারা কোম্পানিটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার কিনেছিলেন। বোর্ড পুনর্গঠনের পর বিএসইসির সঙ্গে আলোচনায় হয় তাদের। তারা ৫০ কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ করতে চান।

বন্ধ কোম্পানিতে বিনিয়োগের আগ্রহের বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নতুন করে একটি কোম্পানি রিফর্ম করা খুবই জটিল। এছাড়া সেটিকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসাও দীর্ঘ সময়ের বিষয়। এজন্য আমরা এই কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ আগ্রহী হয়েছি।’

উৎপাদন শুরুর প্রক্রিয়ায় আসতে কত সময় লাগতে পারে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দুটি ব্যাংক ও দুটি নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোম্পানিটির প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ আছে। এখন নতুন যে বোর্ড আছে, তারা যদি ঋণের বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করে বা এটি কীভাবে মওকুফ হবে সেটির বিষয়ে আন্তরিক হয়, তাহলে কোম্পানিটি চালাতে আমাদের সহজ হবে।’

এমারেল্ড অয়েলকে আবার চালু করতে কী পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কোম্পানিটির দুটি ইউনিট আছে। এগুলোর জন্য প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে আমরা হিসাব করেছি।’

বাংলাদেশে এই কোম্পানিটির বিনিয়োগ আছে আগে থেকেই। সাতক্ষীরায় চিংড়ি ও সাদা মাছ নিয়ে তাদের ব্যবসা আছে, যাতে অর্থ লগ্নি হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা।

আশরাফ হোসেন জানান, সাতক্ষীরায় প্রায় দুই হাজার হেক্টরের চিংড়ি ঘের আছে তাদের।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ভুলুয়া নদীর ভাঙনে নিঃস্ব কয়েক হাজার পরিবার, মানববন্ধন

ভুলুয়া নদীর ভাঙনে নিঃস্ব কয়েক হাজার পরিবার, মানববন্ধন

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মীর সমাজের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ভুলুয়া নদীর তীব্র ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে গেছে কয়েক হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি ও কয়েক একর কৃষি জমি। ভাঙন রোদে ভূলুয়া নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মীর সমাজের ভূলুয়া নদীর পাড়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন- চররমিজ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হুমায়ুন কবির, মীর সমাজ জামে মসজিদের সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ, স্থানীয় বাসিন্দা জহির উদ্দীন, শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম, আজিমা বেগম, কুলছুম ও রাবেয়া বেগম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার সিমান্তের চররমিজ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মীর সমাজের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ভূলুয়া নদী। নদীটির সুবর্ণচর অংশে চর জেগে ওঠায় রামগতির অংশে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে মীর সমাজের কয়েক হাজার পরিবার নদীভাঙনের মুখে পড়ে। ইতোমধ্যে অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখনো ৪০টির মতো বসতবাড়ি হুমকির মুখে আছে। এছাড়া কয়েক একর কৃষি জমি ভূলুয়া নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর পাশেই রয়েছে, উত্তর চর আফজাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরআফজল মীর সমাজ নুরানী মাদ্রাসা, চরআফজল মীর সমাজ জামে মসজিদসহ অন্তত ১০ হাজার মানুষের বসবাস। এসব মানুষগুলো রয়েছে চরম উদ্বিগ্ন উৎকণ্ঠায়। বক্তারা আরও বলেন, ভুলুয়া নদীর ওই স্থানে দ্রুত ব্লক বাঁধ নির্মাণ না করলে অল্প সময়ের মধ্যে মীর সমাজটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তাই তারা দ্রুত নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ-জামান খান বলেন, সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে ওই স্থানে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেবেন তিনি।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Chhatra Shibir gave 2 lakh taka to the journalist Shiblis family

সাংবাদিক শিবলীর পরিবারকে ২ লাখ টাকা দিল ছাত্রশিবির

সাংবাদিক শিবলীর পরিবারকে ২ লাখ টাকা দিল ছাত্রশিবির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দিন সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে স্ট্রোক করে মারা যান চ্যানেল এস-এর সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম শিবলী।

নবনির্বাচিত ডাকসু নেতা ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা গত শুক্রবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর মধুমিতা রোডের শিবলীর বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তারা মৃতের পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং তরিকুল শিবলীর পরিবারের হাতে নগদ দুই লাখ টাকা তুলে দেন।

ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ডাকসুর নব-নির্বাচিত ভিপি ও শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম, ডাকসু জিএস এস এম ফরহাদ, পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ ও শিবিরের গাজীপুর মহানগর সভাপতিসহ অন্যান্য নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

গত শুক্রবার রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ডাকসুর নবনির্বাচিত জিএস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ লেখেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের দিন সংবাদ কাভার করতে গিয়ে ইন্তেকাল করেছেন তরিকুল শিবলী ভাই। তিনি রেখে গেছেন দুই সন্তান। বড় সন্তান আয়াতের বয়স চার বছর এবং ছোট সন্তান আজমীনের বয়স দেড় বছর।’

ফরহাদ আরও লেখেন, চার বছর বয়সী আয়াত দীর্ঘ আলাপের ফাঁকে আমাকে বলছে- ‘আমার বাবাকে আল্লাহ নিয়ে গেছেন এবং আল্লাহ বাবাকে সুন্দর একটা জায়গায় রেখেছেন। যেহেতু বাবা আসবেন না, তাই আমি ও আমার মা ছোট বোন আজমীনের খোঁজখবর রাখবো, আদর করবো।’ অবুঝ শিশুর মুখে এমন ভারি কথা!

তিনি জানান, আমরা পরিবারের সঙ্গে প্রাথমিক সাক্ষাতে ছোট্ট দুই শিশুর খরচের জন্য ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আপাতত দুই লাখ টাকা পৌঁছে দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, আমরা সব প্রয়োজনে সাধ্যমতো পরিবারটির পাশে থাকবো। বাবা হারানো ছোট শিশুদের জন্য দোয়া চাই।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Arrested in Mohammadpur in the capital

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গ্রেপ্তার ১০

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গ্রেপ্তার ১০

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার বিভিন্ন অপরাধ প্রবণ এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

শনিবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. দুলাল মিয়া (২৭), গোলাম রাব্বি ওরফে বাপ্পি (১৯), মো. শাকিল হাওলাদার (২৫), মো. বাপ্পি (৩০), মো. হৃদয় হোসেন (৩০), মো. বিজয় (১৮), মো. ইজাজুল হোসেন (১৮), মো. কামাল হোসেন (৩২), মো. বাবু ওরফে ছোট বাবু (৩০) ও মো. সুমন (৩২)।

এতে বলা হয়, গত শুক্রবার দিনব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদপুর থানার বিভিন্ন স্থান থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থাকা দুটি সামুরাই উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে নিয়মিত মামলার আসামি, দস্যুতা মামলার আসামি, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী।

গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Arrested with about 2 million taka stolen in Banani

বনানীতে চুরি যাওয়া প্রায় ২৫ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার ১

বনানীতে চুরি যাওয়া প্রায় ২৫ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার ১

রাজধানীর বনানীর একটি বাসা থেকে চুরি যাওয়া ২৪ লাখ সাড়ে ৮৪ হাজার টাকা, মোটরসাইকেল এবং দুইটি মোবাইল ফোনসহ মো. কাউছার আহমেদ (২২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

গত শুক্রবার রাত পৌঁনে ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির বনানী থানা পুলিশ।

শনিবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী মুস্তাজিরুল শোভন ইসলামের বনানীর বাসায় চুরি হয়। হ্যান্ড সুটকেসে থাকা ব্যবসায়িক কাজের জন্য রাখা ৩০ লাখ টাকা চোর চুরি করে নিয়ে যায়। পরে ১১ সেপ্টেম্বর ভিক্টিম মুস্তাজিরুল বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন।

এতে আরও বলা হয়, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্তকারী দল দ্রুত চুরির সাথে জড়িত ব্যক্তির পরিচয় ও অবস্থান শনাক্ত করে। পরবর্তীতে মানিকগঞ্জে অভিযান চালিয়ে কাউছারকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে চুরির ঘটনা স্বীকার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
1900 cases in violation of traffic law

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ৩ হাজার ৫৪১ মামলা

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ৩ হাজার ৫৪১ মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে গত দুইদিনে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ৫৪১টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। এছাড়াও অভিযানকালে ৫৯৫ গাড়ি ডাম্পিং ও ৩১৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

শনিবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

আড়তে মিলছে না বড় ইলিশ

আড়তে মিলছে না বড় ইলিশ

ভোর হলেই জমে ওঠে পটুয়াখালীর বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আলিপুর-মহিপুর ঘাট। রাতভর মাছ ধরে বড় ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে ফিরছে। পন্টনে নোঙর করছে একের পর এক ট্রলার, লেবাররা মাছ উঠানোর জন্য প্রস্তুত, আড়তদাররা ব্যস্ত হিসাব কষতে আর পাইকাররা ব্যস্ত কত দ্রুত মাছ কিনে ঢাকায় পাঠানো যায়। তবে এ আড়তগুলোর ব্যস্ততা সারা বছর থাকে কিন্তু বর্তমান মাছের পরিমাণ বাড়লেও দেখা নেই বড় ইলিশের। মনকে মন উন্মুক্ত ডাকে মাছ বিক্রি হচ্ছে যার ওজন ৩০০ থেকে পাঁচশো গ্রাম। এদিকে, বড় ও মাঝারি আকারের ইলিশের দাম সাধারণ ক্রেতাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এবার ইলিশের দাম কেজিপ্রতি ৯০০ থেকে ২২০০ টাকার মধ্যে। গত বছর একই সময় এই দাম ছিল ৮০০ থেকে ১৬০০ টাকার মধ্যে।

বন্দরে ঘুরে দেখা যায়, বন্দরে মাছ বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৩৫টি আড়তে, যার প্রতিটি আড়তে আবার ৩-৪ টি ট্রলারে মাছ বিক্রি করে। এ ট্রলারগুলো মূলত এ বন্দরের নয়, কিছু এ বন্দরের থাকলেও বাকিগুলো চট্টগ্রাম কক্সবাজার, বাঁশখালী, ভোলা, নোয়াখালী, সন্দীপ, হাতিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে এখানে মাছ বিক্রি করেন।

যে কারণে যখন সমুদ্রে মাছ দেখা যায় তখন হাঁকডাকে মুখর থাকে এ বন্দর। তবে অনেক জেলেরা বড় মাছ না পেয়ে হতাশ, ছোট মাছ পরিমাণে বেশি পেলেও আর্থিকভাবে লাভবান কম হয়। যে কারণে সব জেলেদের আকাঙ্ক্ষা বড় মাছ শিকার করার।

জেলেরা বলছে, বেশ কয়েক বছর বড় মাছ কমে আসছে। আবার সমুদ্রে অবৈধ ট্রলিং ট্রলার চলার কারণে মাছ অনেকটা কমে আসছে। তবে বর্তমানে কিছু ট্রলিং এর ওপরে প্রশাসন নজরদারি বাড়ানোর কারণে ট্রলিং বন্ধের পথে তাই কিছু মাছের আবার দেখা মিলছে।

আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. রাসেল জানায়, বর্তমানে সমুদ্রের জেলেরা বড় মাছ কম পায় ছোট মাছ বেশি পায় যার ওজন ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম। আর এ ছোট মাছগুলোর দাম মন প্রতি ১৫ হাজার ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

মাছগুলো এক কেজি পরিমাণ হইতে ৫ থেকে আটটি মাছ দরকার হয়। তবে মার্কেটে এক কেজি ৮০০ গ্রাম, ৭০০ গ্রামের মাছও পাওয়া যায় তবে পরিমাণে খুবই কম।

ইউনুস নামের আর এক ব্যবসায়ী জানান, ‘আলিপুর মৎস্য অবদান কেন্দ্রে অনেক মাছের দেখা মিলছে। তবে সবগুলো মাছ জাটকা এবং অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ। ইলিশ বড় মাছের পরিমাণ খুবই সামান্য, কে আমি কিছু নরম (সামান্য পচা) মাছ কিনেছি ২৫০ টাকা কেজি। আমাদের এ বন্দরের বড় মাছগুলো অনেক সুস্বাদু হয়, বড় মাছের চাহিদাও বেশি তবে বড় মাছের এখন দেখা নেই। যখন সাগরে টলিং চলছে তখন কোনো ধরনের মাছ পাইনি জেলেরা।’

জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১ কেজি ওজনের ইলিশের মন এক লাখ টাকার ওপরে বিক্রি হয়েছে। ৭-৮ শো গ্রামের ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকায়। ৫-৬ শো গ্রামের ওজন ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। বেশিরভাগ ট্রলার ১০ থেকে ৫০ মন পর্যন্ত মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরেছে।

আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার মো. কামাল ব্যাপারী জানান, আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মোট ৩৫টি মৎস্য আড়ত রয়েছে। যার প্রতিটিতে দৈনিক গড়ে ২-৩টি ট্রলার মাছ বিক্রি করে। বর্তমানে প্রতিটি ট্রলার মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরছে কিন্তু কোনো ট্রলারে বড় মাছের দেখা নেই। একসময়ে জেলেরা উপকূলের কাছাকাছি মাছ পেত কিন্তু এখন উপকূলের বেশিরভাগ স্থানে চর পরার কারণে মাছের অভায়শ্রম পরিবর্তন হয়েছে। যেটা বড় মাছ না পাওয়ার অনেক বড় কারণ।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, সাম্প্রতিক সময় আমরা লক্ষ্য করছি জেলেদের জালে বেশিরভাগ ছোট ইলিশ ধরা পড়ছে। আবহাওয়া জনিত কারণে জেলেরা অনেক সময় গভীর সমুদ্র যেতে পারে না, যে কারণে ছোট মাছগুলো বেশি ধরা পড়ছে। গভীর সমুদ্র যখন জেলেরা যেতে পারবে তখন আরো বড় মাছের দেখা মিলবে। জাটকা ইলিশের অবরোধকালীন সময় হলো পহেলা নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। তাই বর্তমানে জাটকা ইলিশের বৈধতা রয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
The love of the people is the power of BNP GK Gaus in Kulaura

জনগণের ভালোবাসাই বিএনপির শক্তি: কুলাউড়ায় জি. কে. গউছ

জনগণের ভালোবাসাই বিএনপির শক্তি: কুলাউড়ায় জি. কে. গউছ

আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে কঠিন লড়াইয়ের- এমন মন্তব্য করে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি. কে. গউছ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালেও তাদের বীজ দেশে রয়ে গেছে, যা বিএনপির বিরুদ্ধে কাজ করছে। তবে জনগণের ভালোবাসা যদি বিএনপির সঙ্গে থাকে, দেশি-বিদেশি কোনো ষড়যন্ত্রই দলকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। শনিবার দুপুরে কুলাউড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জি. কে. গউছ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন, সেটিই জাতির মুক্তির রক্ষাকবচ। দুই বছর আগেই তিনি ভবিষ্যতের চিত্র জাতির সামনে তুলে ধরেছিলেন। বিএনপি কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করছে, এই নেতৃত্বই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।

তিনি আরও বলেন, যে জাতি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, যে জাতি নিজের অধিকারের জন্য বুক পেতে দিয়েছে, সেই জাতিকে কোনো শক্তিই দমাতে পারেনি, পারবেও না। বিএনপি আজও সারাদেশের মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়।

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. রেদওয়ান খানের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপনের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির সিলেট বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন, সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ জেলা ও উপজেলা নেতারা। প্রয়াত নেতাদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন বহির্বিশ্ব জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি ড. সাইফুল আলম চৌধুরী।

মন্তব্য

p
উপরে