× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
বিমা খাতে সংশোধন শেষের ইঙ্গিত
google_news print-icon

বিমা খাতে সংশোধন শেষের ইঙ্গিত

বিমা-খাতে-সংশোধন-শেষের-ইঙ্গিত
বিমা খাতের শেয়ারগুলো জুনের মাঝামাঝি সময়ে দর হারালেও শেষ তিন দিনে ঘুরে দাঁড়ায়
জুনের মাঝামাঝি সময়ে পুঁজিবাজারে বিমা খাতের কোম্পানিগুলো সর্বোচ্চ দামে ওঠার পর আবার কমতে শুরু করে। ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ দাম কমে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে যেগুলোর দাম তুলনামূলক কম বেড়েছিল, সেগুলোর দামও কমেছে তুলনামূলক কম। তবে জুন ক্লোজিংয়ের আগে আগে এই শেয়ারগুলো সংশোধন কাটিয়ে আবার দর বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

জুনের প্রথম দিন রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ছিল ৭৮ টাকা ৪০ পয়সা। ১৭ জুন সেটি বেড়ে পৌঁছে ১৩৭ টাকায়। সেখান থেকে ২৩ জুন আবার নেমে আসে ৯৫ টাকা ১০ পয়সায়। পরদিন থেকে আবার ঘুরে দাঁড়ায়। জুনের শেষ দিনে দাম দাঁড়ায় ১১০ টাকা ৮০ পয়সা।

গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের দর ১ জুন ছিল ১০৪ টাকা ২০ পয়সা। ১৭ জুন দাম ওঠে ১৪৯ টাকা ৯০ পয়সা। রিলায়েন্সের মতোই সেদিন থেকেই পতন। পড়তে পড়তে ২৩ জুন নেমে আসে ১০৭ টাকা ৮০ পয়সায়। পরদিন থেকে ঘুরে দাঁড়ায় এই কোম্পানির শেয়ার দরও।

১ জুন পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের দর ছিল ১৪৭ টাকা ৬০ পয়সা। ১৫ জুন দাম ওঠে ২১৫ টাকা ৮০ পয়সা। সেদিনই পড়তে থাকে এখান থেকে। ২৭ জুন দাম নেমে আসে ১৫৪ টাকা ৩০ পয়সায়। জুনের শেষ দিন দাম কিছুটা বেড়ে হয়েছে ১৬০ টাকা ৪০ পয়সা।

এই তিনটি কোম্পানির মতো বিমা খাতের বেশির ভাগ কোম্পানিই জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দাম হারালেও শেষ সপ্তাহে এসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

জুনের মাঝামাঝি সময়ে পুঁজিবাজারে বিমা খাতের কোম্পানিগুলো সর্বোচ্চ দামে ওঠার পর আবার কমতে শুরু করে। ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ দাম কমে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে যেগুলোর দাম তুলনামূলক কম বেড়েছিল, সেগুলোর দামও কমেছে তুলনামূলক কম।

তবে জুন ক্লোজিংয়ের আগে আগে এই শেয়ারগুলো সংশোধন কাটিয়ে আবার দর বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যারা জুনের মাঝামাঝি সময়ে শেয়ার কিনে এখন লোকসানে আছেন, তারা পুঁজি ফিরে পাওয়ার আশা করছেন।

গত বছর করোনা সংক্রমণের পর সাধারণ ছুটি শেষে জুনে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হলে জানুয়ারি পর্যন্ত ঢালাও দাম বেড়েছে বিমা খাতে। এরপর এপ্রিলের শুরু থেকে এভাবে হয় সংশোধন। তখন যতটা দাম বেড়েছিল, সেই বাড়তি দাম থেকে ৫০ শতাংশের মতো কমে আসে।

তবে দর সংশোধনের সময় যারা বিক্রি করেননি, তারা ব্যাপক মুনাফা পান। যেমন পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের দাম গত জানুয়ারিতে ১০০ টাকা অতিক্রম করে আবার ৭০ টাকার নিচে নেমে আসে। আর পরেরবার এখান থেকে বেড়ে আবার ২০০ টাকা ছাড়ায়। এরপর আবার সংশোধন হতে থাকে। পরে জুনের শেষে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে।

একইভাবে ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৪৬ টাকার ওঠার পর সেটি কমতে কমতে একপর্যায়ে এপ্রিলের শুরুতে ২৬ টাকায় নেমে আসে। এরপর আবার বাড়তে বাড়তে তা ৪৫ টাকা ছাড়ায়। এর মধ্যে আবার ৩ শতাংশ বোনাস শেয়ার যোগ হয়েছে। সেখান থেকে আবার শেয়ার দর ৯ টাকা কমে আবার সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

রূপালী ইন্স্যুরেন্সেও একই চিত্র। গত জানুয়ারিতে ৪৬ টাকা উঠে সেখান থেকে এপ্রিলে ২৭ টাকায় নেমে আসে। সেখান থেকে আড়াই মাসে দ্বিগুণের বেশি দাম হয়। পরে ৫৫ টাকা থেকে কমে ৩৯ টাকায় নেমে আসে। সেখান থেকে আবার ঘুরে দাঁড়ায়।

তবে দর সংশোধনে কেউ কেউ অবশ্য শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন লোকসান মেনে। একজন বিনিয়োগকারীর সঙ্গে নিউজবাংলার কথা হয়েছে, যিনি ২১৫ টাকায় পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স কিনে ১৯০ টাকায় নেমে আসার পর বিক্রি করে দিয়েছেন। তার লোকসান হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার টাকার মতো। তবে তিনি সেদিন বিক্রি না করে দিলে এখন তিন গুণের বেশি লোকসান গুনতে হতো।

পুঁজিবাজারে কোনো খাতে বা কোনো কোম্পানির শেয়ারে উল্লম্ফন দেখা দিলেও সেটি ধাপে ধাপে কেবল বেড়ে যাবে এমন নয়। কিছুদূর পর্যন্ত বেড়ে আবার দাম কমে। একে বলে সংশোধন। এরপর আবার দাম বাড়তে থাকে একপর্যায়ে।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএলের সাবেক গবেষণা প্রধান দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিমা খাতের উত্থানের পর মূল্য সংশোধন হয়েছে। খাতভিত্তিক বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এখন এই খাতে। আর বিনিয়োগকারীরাও সচেতন হয়েছেন। ফলে লোকসানে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা কমেছে। এ কারণে দর সংশোধন তুলনামূলক কম হয়েছে।’

এখনও অতিমূল্যায়িত?

তবে বিমা খাতের অনেক কোম্পানির শেয়ার দর সংশোধনের পরেও অতিমূল্যায়িত অবস্থায় আছে বলে ধারণা করেন কেউ কেউ।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্যের সভাপতি আ ন ম আতাউল্লাহ নাঈম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিমা খাতের শেয়ার নিয়ে অনেক আগে থেকেই আলোচনা। এই আলোচনার মধ্যেই এ খাতের প্রায় সব শেয়ারের দর অতিমূল্যায়িত হয়েছে। অতিরঞ্জিত দরে যারা শেয়ার কিনেছেন তাদের কোম্পানির ফান্ডমেন্টাল বিবেচনা করে কেনা উচিত ছিল। তাহলে এখন যে হতাশার কথা বলা হচ্ছে, সেটি থাকত না।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে এখন শুধু বিমা খাত নয়, সব খাতের শেয়ারেরই দর বাড়ছে। বিনিয়োগকারীদের কোম্পানির আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করলেও এই বাজার থেকেও ভালো রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।’

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, ‘পুঁজিবাজারে বিভিন্ন খাতের উত্থান-পতন থাকবেই। তবে এই উত্থান-পতনের মধ্যেই ফান্ডামেন্টাল বিবেচনা করে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।’

কোন কোম্পানির কত সংশোধন

ঢাকা ইন্স্যুরেন্স

৪ এপ্রিল থেকে বিমা কোম্পানিটির শেয়ার দর বাড়তে শুরু করে। তখন শেয়ারপ্রতি দর ছিল ৩৮ টাকা ৯০ পয়সা। এ উত্থান শেষ হয় ৩ মে, যখন শেয়ারপ্রতি দর ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা। এরপর শেয়ার দরে সংশোধন হয়। তিন কার্যদিবস মূল্য সংশোধন হয়ে দর নেমে আসে ৭০ টাকা ৫০ পয়সায়।

এরপর আবার উত্থান। যা শেষ হয় ৮ জুন। শেয়ার দর উঠে ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। শেয়ার দর দাঁড়ায় ১১২ টাকা ৫০ পয়সা। সেখানে থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত শেয়ার দর সংশোধনে হয় ৮২ টাকা ১০ পয়সা। এরপর ইউটার্ন। দর বেড়ে হয় ৮৬ টাকা ৯০ পয়সা।

সোনারবাংলা

সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বাড়ছে ৪ এপ্রিল থেকে। তখন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দর ছিল ৪২ টাকা ৮০ পয়সা। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে শেয়ার দর বেড়ে ৯ জুন হয় ১২১ টাকা ৮০ পয়সা।

এরপর ৯ কার্যদিবস ধারাবাহিকভাবে কমে ২৩ জুন হয় ৮৫ টাকা। সেখান থেকে আবার ঘুরে দাঁড়ায় কোম্পানিটি। ৩০ জুন দর ছিল ৯৩ টাকা ৮০ পয়সা।

রূপালী

গত ৪ এপ্রিল কোম্পানির শেয়ার দর ছিল ২৭ টাকা ৫০ পয়সা। সেখান থেকে বেড়ে ৯ জুন দাম পৌঁছায় ৫৫ টাকায়। সেদিনই দাম কমে যায়। পরে ৩৯ টাকা ৪০ পয়সায় নেমে আসে গত ২৭ জুন। এরপর তিন কার্যদিবস আবার দাম বাড়ে। ৩০ জুন দাম ৯.৮২ শতাংশ বেড়ে হয় ৪৩ টাকা ৬০ পয়সা।

ইস্টল্যান্ড

এই কোম্পানির শেয়ার দর গত ১৬ মে থেকে বাড়তে থাকে। সেদিন দাম ছিল ৩১ টাকা ৯০ পয়সা। একপর্যায়ে ৯ জুন দাম ৪৫ টাকা ৫০ পয়সায় উঠে যায়। কিন্তু সেদিনই শুরু হয় সংশোধন। আর পড়তে পড়তে ৩৬ টাকা ১০ পয়সায় নেমে আসে ২৯ জুন। অর্থবছরের শেষ দিন বাড়ে ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৬.৬৫ শতাংশ।

ইস্টার্ন

এই কোম্পানির শেয়ারে এখন পর্যন্ত দুবার মূল্য সংশোধন হয়েছে। এর প্রথম উত্থান হয় গত বছরের ১৪ অক্টোবর, যখন শেয়ারপ্রতি দর ছিল ৭৪ টাকা ১০ পয়সা।

এখান থেকে এক মাসের কম ব্যবধানে শেয়ার দর বেড়ে হয় ১১৭ টাকা ১০ পয়সা। এরপর দীর্ঘ সংশোধনে যায় কোম্পানিটি। শেয়ার দর চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি নেমে আসে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। সেখানে থকে আবার উত্থানে দিকে যাত্রা। এই টানে শেয়ার দর ওঠে আসে ১৩১ টাকা ৪০ পয়সা। যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দর।

৪ মের পর শুরু হয় কোম্পানির সংশোধন। ধাপে ধাপে শেয়ার দর কমে ২১ জুন হয় ১১৫ টাকা ২০ পয়সা। সেখানেই থেকেই আবার শেয়ার দর বেড়ে ৩০ জুন হয় ১২০ টাকা ৬০ পয়সা।

বিএনআইসিএল

কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বাড়তে শুরু করে। তখন শেয়ারপ্রতি দর ছিল ৪৬ টাকা ১০ পয়সা। সেখান থেকে শেয়ার দর পর্যায়ক্রমে বেড়ে গত ১৬ মে হয় ১৪৯ টাকা ৩০ পয়সা। এরপর মূল্য সংশোধনে যায় কোম্পানিটি। ২২ জুন পর্যন্ত শেয়ার দর কমে হয় ১১৯ টাকা।

আবার ঘুরে দাঁড়ানো। পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১৯ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ জুন দাঁড়ায় ১২৭ টাকা ৪০ পয়সা।

প্রগতি লাইফ

চলতি বছরের ২৩ মে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৮৮ টাকা ৩০ পয়সা। ৯ জুন দর দাঁড়ায় ১৩৭ টাকা ৪০ পয়সা। সেখানে থেকে সংশোধনে যায় কোম্পানিটি। ২৯ জুন পর্যন্ত এই সংশোধনে শেয়ার দর নেমে আসে ১১০ টাকা ১০ পয়সায়। তবে ৩০ জুন দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১১৫ টাকা ৩০ পয়সা।

পদ্মা লাইফ

কোম্পানিটির শেয়ার দর বাড়ছে ৪ এপ্রিল থেকে। সেদিন দাম ছিল ১৬ টাকা ১০ পয়সা। এরপর শেয়ারপ্রতি ২০ পয়সা অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দেয়ার পর ৩০ মে ৩৩ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠে।

তারপর সেখান থেকে মূল্য সংশোধন, যা ২৭ জুন পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। শেয়ার দর কমে হয় ২৯ টাকা ৮০ পয়সা। তারপর তিন কার্যদিবসে শেয়ার দরে আবারও উত্থানে ফিরে হয় ৩২ টাকা ৬০ পয়সা।

আরও পড়ুন:
আইপিওতে আসছে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজারে বিমায় ধসে সূচকের পতন
শর্ত পূরণে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ৬০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
শেয়ারের হিস্যা নিয়ে গুজব: দর হারাল ঢাকা ইন্স্যুরেন্স
ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের হিসাব নিয়ে ‘নজিরবিহীন কারসাজি’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
Badiuzzaman Lashkar is the CEO of Express Insurance Limited

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সিইও হলেন বদিউজ্জামান লস্কর

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সিইও হলেন বদিউজ্জামান লস্কর ইআইএলের সিইও হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ পেয়েছেন মো. বদিউজ্জামান লস্কর। ছবি: সংগৃহীত
বদিউজ্জামান লস্কর ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও দিলকুশা শাখার প্রধান হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে তাকে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি ও কোম্পানির কাকরাইল শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের (ইআইএল) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ পেয়েছেন মো. বদিউজ্জামান লস্কর।

তিনি বিমা পেশায় দীর্ঘ ২৮ বছর সুনামের সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বদিউজ্জামান লস্কর ১৯৯৫ সালের ২ মে বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে ডেপুটি ম্যানেজার পদে যোগদানের মাধ্যমে বিমা পেশায় কর্মজীবন শুরু করেন। সেখানে তিনি ১৯৯৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাজ করেছেন।

পরবর্তী সময়ে ১৯৯৭ সালের ১ অক্টোবর নর্দান জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এলিফ্যান্ট রোড শাখার প্রধান হিসেবে যোগ দেন বদিউজ্জামান। ওই প্রতিষ্ঠানে ১৯৯৯ সালের ৩০ নভেম্বর নাগাদ কাজ করেন তিনি।

বদিউজ্জামান লস্কর ১৯৯৯ সালের ১ ডিসেম্বর ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এলিফ্যান্ট রোড শাখার প্রধান হিসেবে যোগ দিয়ে ২০০১ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।

পরে তিনি সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার ও লোকাল অফিস শাখার প্রধান হিসেবে ২০০১ সালের ১ আগস্ট তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে যোগ দিয়ে হেড অফ মার্কেটিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এ কোম্পানিতে ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ করেছেন।

বদিউজ্জামান লস্কর ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও দিলকুশা শাখার প্রধান হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে তাকে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি ও কোম্পানির কাকরাইল শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে তিনি হেড অফ মার্কেটিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ৩০৫তম সভায় তাকে সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিমা কোম্পানীর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি তার নিয়োগ অনুমোদন দেয়।

বদিউজ্জামান লস্কর গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি থেকে সমাজ বিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি বিমাবিষয়ক বিভিন্ন সভা-সেমিনারে যোগ দেন।

আরও পড়ুন:
চোরাই স্বর্ণসহ বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আটক
এয়ার অ্যারাবিয়ার সেই বিমান চট্টগ্রাম ছাড়ল
মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটি, ১৪৯ যাত্রী নিয়ে ফিরে এলো বিমান
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর পরিবর্তে সামাজিক বিমা চায় সিপিডি
‘ইউক্রেনের ৬৫ যুদ্ধবন্দি’ নিয়ে রাশিয়ার সামরিক বিমান বিধ্বস্ত

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
After a decade Zenith Islami Life Insurance Limited is in its eleventh year

একাদশ বর্ষে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স

একাদশ বর্ষে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যানার। ছবি: সংগৃহীত
সবার জন্য সুরক্ষিত, নিরাপদ ও সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০১৩ সালের ১১ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে চতুর্থ প্রজন্মের শরিয়াহভিত্তিক বিমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

সফলতার সঙ্গে ১০ বছর শেষ করে একাদশ বছরে পা দিয়েছে দেশের বেসরকারি খাতের জীবনবিমা প্রতিষ্ঠান জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

সবার জন্য সুরক্ষিত, নিরাপদ ও সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০১৩ সালের ১১ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে চতুর্থ প্রজন্মের শরিয়াহভিত্তিক এ বিমা কোম্পানি।

এ উপলক্ষে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজন করা হয় গৌরবগাঁথার এক দশক পূর্তি অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান তার বক্তব্যে আগামী দিনের জন্য অনুপ্রেরণা ও সব ইতিবাচক পরিবর্তনে মূল্যবান দিকনির্দেশনা দেন।

তিনি কোম্পানির সাফল্য ও সার্বিক অগ্রযাত্রা তুলে ধরেন। শোকের মাস চলার কারণে জন্মবার্ষিকীর কেট কাটা হয়নি।

অনুষ্ঠানে এ বিমা কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ৩৭ হাজারেরও বেশি গ্রাহককে স্বাস্থ্য ও জীবনবিমার আওতায় সেবা দিচ্ছে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এর মধ্যে আংশিক মেয়াদপূর্তি ও মেয়াদপূর্তি বাবদ প্রায় ১৪ কোটি ২৬ লাখ টাকারও বেশি বিমা দাবি পরিশোধ করা হয়েছে। মৃত্যুদাবি বাবদ প্রায় ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং স্বাস্থ্যবিমা দাবি বাবদ প্রায় ৮২ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠার ১০ বছরে ১৮ কোটি টাকারও বেশি বিভিন্ন বিমা দাবি পরিশোধ করেছে বলে জানায় চতুর্থ প্রজন্মের জীবনবিমা কোম্পানি জেনিথ লাইফ ইন্স্যুরেন্স। দেশব্যাপী ৫৫টি শাখা অফিস ও প্রায় ১৩ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মী নিয়ে চলছে এ কোম্পানি।

শরিয়াহভিত্তিক এ জীবনবিমা কোম্পানিটি ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বিমা দাবি পরিশোধ করে থাকে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। পাশাপাশি, ঢাকা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, নগদ অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি প্রিমিয়াম জমা দেয়ার ব্যবস্থা আছে জেনিথের।

ইআরপি সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হয় বিমা কোম্পানিটির কার্যক্রম। রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১০০ গোষ্ঠী বিমা করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানান বিমা প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সংশ্লিষ্টরা জানান, ১০ বছরে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে সফল হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রাহক সন্তুষ্টির পাশাপাশি কোম্পানির শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি গড়ে উঠেছে। এর স্বীকৃতি হিসেবে এসেছে নানা পুরস্কার ও সম্মাননা।

জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গ্রাহক, পৃষ্ঠপোষক ও শুভানুধ্যায়ীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ অনুষ্ঠান।

আগামীতেও স্বপ্ন ও সম্ভাবনার মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে কার্যকরী বিমা সেবা সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Sunlife Insurance is circulating customer complaints in the name of giving money

টাকা দেয়ার নামে ঘোরাচ্ছে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, অভিযোগ গ্রাহকের

টাকা দেয়ার নামে ঘোরাচ্ছে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, অভিযোগ গ্রাহকের সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের লোগো। ছবি: সংগৃহীত
গ্রাহক সেলেনার ভাই মোহাম্মদ আসলাম হোসেন বলেন, ‘সানলাইফ থেকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি চেক দিয়েছে, তবে ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে এখনও টাকা আসেনি। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে টাকা দেয়ার নামে আমাকে ঘোরাচ্ছে।’

টাঙ্গাইল জেলায় সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে ১০ বছর মেয়াদি জীবনবিমা করেছিলেন সেলেনা আক্তার। ২০২০ সালের দিকে বিমার একটি কিস্তি দেয়া বাকি ছিল তার, তবে ২০২০ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।

সাড়ে তিন বছর পার হয়ে গেলেও সেলেনা আক্তারের স্বামী হাসমত খান ও তার ভাই মোহাম্মদ আসলাম হোসেন বিমা দাবির টাকা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।

শুধু সেলেনা আক্তারই নন, এমন অনেক গ্রাহকের অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না বেসরকারি বিমা প্রতিষ্ঠানটি। জীবনবিমা পলিসির মেয়াদ শেষ হলেও গ্রাহকের টাকা দিতে পারছে না কোম্পানিটি।

একাধিক গ্রাহকের ভাষ্য, সানলাইফ কোম্পানি থেকে গ্রাহকদের ব্যাংক চেক ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। গ্রাহক সেই নির্ধারিত ব্যাংকে চেক জমা দিলে তাকে জানানো হচ্ছে অ্যাকাউন্টে টাকা নেই।

সেলেনার ভাই মোহাম্মদ আসলাম হোসেন জানান, একাধিকবার সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগাযোগ করলে বারবার টাকা ফেরতের আশ্বাস দেয়া হয়।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সানলাইফ থেকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি চেক দিয়েছে, তবে ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে এখনও টাকা আসেনি। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে টাকা দেয়ার নামে আমাকে ঘোরাচ্ছে।’

আসলাম আরও বলেন, ‘আমার বোন নিয়মিত কোম্পানিতে পলিসির টাকা পরিশোধ করেছেন, তবে কোম্পানিটি আমার বোনের বিমা করার অর্থ পরিশোধ করছেন না।’

আইডিআরএর ২০২০ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট অর্থসংকটে থাকা বিমা গ্রাহকদের সহযোগিতা করার স্বার্থে মেয়াদোত্তীর্ণ পলিসিগুলোর বিপরীতে প্রাপ্য দাবি ৯০ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের আবেদনের জন্য অপেক্ষা করা যাবে না। তথ্যভান্ডার থেকে মেয়াদোত্তীর্ণের তালিকা নিয়ে বিমা গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে কোম্পানিগুলোকেই। এরপর কোম্পানিগুলোকে অনলাইনে গ্রাহকের ব্যাংকে বিমা দাবির টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে।

আইডিআরএর জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোনো গ্রাহকের মৃত্যু হলে ৯০ দিনের মধ্যে বিমা কোম্পানিকে টাকা পরিশোধ করতে হবে, তবে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স এ নিয়ম অনুসরণ করছে না।

‘কোম্পানিটির অবস্থাও ভালো নয়। সানলাইফের গ্রাহকরা হন্যে হয়ে টাকার জন্য ঘুরছেন।’

বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে (আইডিআরএ) প্রায় ৬ হাজার গ্রাহকের অভিযোগ জমা পড়েছে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির নামে।

আইডিআরএর কর্মকর্তারা জানান, ছয় হাজার অভিযোগের সংখ্যা প্রকৃত চিত্র নয়। এর চেয়ে অনেক বেশি অভিযোগ রয়েছে, যা আইডিআরএ পর্যন্ত আসে না। কারণ অনেক গ্রাহক আইডিআরএ সম্পর্কে অবহিত নন। ফলে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সবার আগে গ্রাহকের স্বার্থের দিকে নজর দিতে হবে। গ্রাহক যাতে বিমার টাকা নিয়ে কোনো রকমের সমস্যার মধ্যে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। ফলে আইন মোতাবেক আইডিআরএর উচিত এ কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।’

এ বিষয়ে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ নুরুল ইসলামকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হয়। এরপর মোবাইল নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপে খুদেবার্তা দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

অতিরিক্ত ব্যয়

গ্রাহক হয়রানির অনুসন্ধান করা আইডিআরএর তদন্ত দল মনে করে, কোম্পানিটি নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি ব্যয় করায় গ্রাহকদের পাওনা টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। তদন্ত প্রতিবেদনে দেয়া পর্যালোচনায় তারা দেখিয়েছে, ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৮৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করেছে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। অর্থাৎ আইন অনুসারে কোম্পানিটি ব্যবসা পরিচালনায় যে ব্যয় করতে পারে, তার চেয়ে বেশি ব্যয় করেছে। অতিরিক্ত ব্যয় করা এসব টাকার ৯০ শতাংশই বিমা গ্রাহকের জমাকৃত টাকা।

লাইফ ফান্ড বিনিয়োগে বিধি লঙ্ঘন

সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের লাইফ ফান্ড পর্যালোচনা করে তদন্ত দল জানিয়েছে, ২০১৯ সাল পর্যন্ত নিরীক্ষিত হিসাব অনুসারে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড ১৯২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। প্রবিধানমালা অনুসারে ১৫ শতাংশ সরকারি বন্ডে বিনিয়োগের পরিমাণ হবে প্রায় ২৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা, কিন্তু কোম্পানিটি সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ করেছে ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ লাইফ ফান্ডের ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ বিনিয়োগ করা হয়েছে সরকারি বন্ডে।

বিমা আইন লঙ্ঘন করে ব্যবসা

সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের তদন্ত প্রতিবেদনে কর্তৃপক্ষের তদন্ত দল জানিয়েছে, সার্বিক বিষয়ে বিচার বিশ্লেষণ, তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই করে এবং যথাসম্ভব কিছু কিছু জায়গা পরিদর্শন, প্রাপ্ত তথ্য ও প্রমাণ ইত্যাদি থেকে স্পষ্টত বোঝা যায়, কোম্পানির সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং বিমা আইন ২০১০ সালের বিধান মতে কার্যক্রম পরিচালনা না করার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন:
‘কারণ ছাড়া’ দরবৃদ্ধি প্রগতি লাইফের
আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সিইও হলেন আনোয়ার শফিক
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান হামজা, ভাইস চেয়ারম্যান হালিমা
সন্ধানীর লভ্যাংশহীন ফান্ডের সাবস্ক্রিপশন শেষ

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
IDRA has taken massive initiatives to develop the insurance sector Kamrul Hasan

বিমা খাতের উন্নয়নে আইডিআরএ ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে: কামরুল হাসান

বিমা খাতের উন্নয়নে আইডিআরএ ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে: কামরুল হাসান জেনিথ ইসলামী লাইফের অর্ধ-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ছবি: নিউজবাংলা
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (লাইফ) কামরুল হাসান বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের বিমা খাতকে কার্যকর ও দক্ষ পরিচালনার মাধ্যমে বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সহায়ক ও সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বিমার আওতা বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বিমা গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করার মাধ্যমে সার্বিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করা।’

বিমা খাতের উন্নয়ন ও প্রসারে আইডিআরএ ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সদস্য (লাইফ) কামরুল হাসান।

শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে আয়োজিত জেনিথ ইসলাম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অর্ধ-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিমা কোম্পানিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী।

বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (লাইফ) কামরুল হাসান বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের বিমা খাতকে কার্যকর ও দক্ষ পরিচালনার মাধ্যমে বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সহায়ক ও সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বিমার আওতা বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বিমা গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করার মাধ্যমে সার্বিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিমা খাতের উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিমা কোম্পানিতে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে ১ মার্চকে জাতীয় বিমা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে বিমা মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

‘বিভিন্ন আইন, বিধি-বিধান ও নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে কোম্পানিগুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কর্তৃপক্ষের কঠোর মনিটরিংয়ের ফলে পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে বিমা দাবি পরিশোধের পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্রুত ও নির্ভুল সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ইউনিফায়েড মেসেজিং প্লাটফরম-ইউএমপি চালু করা হয়েছে।’

সম্মেলনে উপস্থিত বিমা কর্মীদের উদ্দেশে কামরুল হাসান বলেন, ‘আপনারা সকলেই জানেন জীবনবিমা একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা; যা সমাজের অর্থনৈতিক সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। এটি মানুষের জীবনের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য সম্পদ। আপনারা জনমানুষের পাশে থেকে তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য শ্রম দিয়ে থাকেন।

‘আপনাদের কাজের মাধ্যমে পরিকল্পনা করা হয় যেন মানুষের পরিবার সুরক্ষিত থাকে এবং তাদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। জীবনবিমা কর্মীরা পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বপূর্ণ কাজের কারণে তাদের যোগ্যতা দিয়ে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ কোম্পানিগুলোতে কাজ করছে। আপনাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ অত্যন্ত সৌভাগ্যের।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা এ অর্ধ-বার্ষিক সম্মেলনে এসেছেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে আপনাদের প্রতিষ্ঠান তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে আপনাদের ওপর ভরসা করেছেন এবং আপনাদের দ্বারা প্রদানকৃত সেবার মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের জীবন এবং পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছেন। তাই আপনাদের সর্বদা উন্নত ও দ্রুত গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বদা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গের কাজ করে গ্রাহকের আস্থা অর্জন করতে হবে।’

আইডিআরএ সদস্য কামরুল হাসান বলেন, ‘চতুর্থ প্রজন্মের জীবনবিমা কোম্পানি হিসেবে জেনিথ ইসলামী লাইফ নিয়মিত দাবি পরিশোধ করে আসছে। আমি জেনেছি আপনারা বিভিন্ন প্রকার বিমা দাবি বাবদ প্রায় ১৮ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন; যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ও আনন্দদায়ক। আপনাদের লাইফ ফান্ডও ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। তবে লাইফ ফান্ড আরও বৃদ্ধি করতে হবে। যাতে মেয়াদান্তে আকর্ষণীয় মুনাফাসহ গ্রাহকের টাকা ফেরত প্রদান করা যায়। এ লক্ষ্যে আপনাদের নবায়ন আদায় হার ৭০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।’

জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, ‘জনসাধারণের জন্য বিমার কোনো বিকল্প নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে উন্নয়নের মহীসোপানে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে সকলের জন্য তখন বিমা প্রয়োজনীয়তা অনুভব হচ্ছে।’

জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, ‘বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কঠোর মনিটরিংয়ের ফলে গ্রাহক ভোগান্তি আগের চেয়ে বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। কোম্পানিগুলো এখন নিয়মিত দাবি পরিশোধ করছে। ফলে বিমার প্রতি গ্রাহক আস্থা আগের চেয়ে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ৩৫টি জীবনবিমা কোম্পানি কাজ করছে। এর মধ্যে যারা সর্বোত্তম সেবা দিতে পারবে তারাই এগিয়ে যাবে। সর্বদা গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করে আমরা দ্রুত গ্রাহক সেবা নিশ্চিত এবং দ্রুত বিমা দাবি পরিশোধ করে ইতোমধ্যেই গ্রাহকের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছি।’

বেকারত্ব বিমোচনে বিমার গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান বলেন, ‘মানুষের কল্যাণের জন্য আমরা কাজ করছি। এতিম ও বিধবাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা কাজ করছি।’

বিমা কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মিথ্যা কথা বলে বা প্রতারণা করে কোনো বিমা পলিসি বিক্রি করবেন না। বিমা পলিসি চালাতে পারবে না বা নবায়ন আসবে না, এমন কাউকে বিমা পলিসি করাবেন না। মনে রাখবেন-একটি ভালো পলিসি আপনাকে নতুন আরেকটি পলিসি সংগ্রহে সহায়তা করবে।’

জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান বলেন, ‘আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, আমরা জেনিথ ইসলামী লাইফ এ পর্যন্ত ১৮ কোটি ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৩১ টাকা বিমা দাবি পরিশোধ করেছি। বর্তমানে আমাদের হাতে কোনো বিমা দাবি পেন্ডিং নেই। আমাদের কোম্পানির প্রায় ৩০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। বর্তমানে আমাদের লাইফ ফান্ড দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

‘আমরা এখন পর্যন্ত ১৮০টি মৃত্যুদাবি বাবদ ৩ কোটি ৬ লাখ টাকা, ৩ হাজার ৫৪৫টি এসবি বাবদ ১৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, ৭৭৮টি স্বাস্থ্য বীমা বাবদ ৭১ লাখ ১২ হাজার টাকা, ম্যাচিউরিটির ২৭টি বীমা দাবি বাবদ ৫৮ লাখ টাকা এবং ১৪৪টি সারেন্ডারে ৩৭ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। এ ছাড়াও ৪১টি পলিসি লোন দেয়া হয়েছে, যার পরিমাণ ২১ লাখ টাকা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কোম্পানির ৯০ শতাংশ কার্যক্রম ইআরপি সল্যুশনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের কার্যক্রমের ৯৯ শতাংশই পেপারলেস করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। বিমা আইনে ৯০ দিন থাকলেও আমরা সাত কর্মদিবসের মধ্যে বিমা দাবি পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছি।’

জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের সক্ষমতা আছে বলেই বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর গ্রুপ জীবন ও স্বাস্থ্য বীমা সেবা দিয়ে আসছি। ইতোমধ্যে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি হয়েছে, যার মধ্যে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি অন্যতম।’

আরও পড়ুন:
পদ্মা ইসলামী লাইফকে ৩ বছরের পরিকল্পনা দেয়ার নির্দেশ
জয়নুল বারী আইডিআরের নতুন চেয়ারম্যান
পদ ছাড়লেন বিমার মোশাররফ
আইডিআরএ চেয়ারম্যানের আরও একটি কোম্পানির খোঁজ
আইডিআরএ চেয়ারম্যানের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Insurance claims must be paid even if the companys assets are sold Chairman

কোম্পানির সম্পদ বিক্রি করে হলেও বিমা দাবি পরিশোধ করতে হবে: চেয়ারম্যান

কোম্পানির সম্পদ বিক্রি করে হলেও বিমা দাবি পরিশোধ করতে হবে: চেয়ারম্যান সিএমজেএফ টক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী। ছবি: নিউজবাংলা
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন, ‘সবাই বিমা করে সময় শেষে যেন টাকাগুলো বুঝে পায়, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সঠিক সময়ে গ্রাহক টাকা পাচ্ছে না। এ বিষয়ে একটা সেল গঠন করা হয়েছে। সেল কমিটির কাছে প্রচুর অভিযোগ আসে, সরাসরি কিংবা মেইল বা অন্যান্য মাধ্যমে। এ অভিযোগগুলো নিয়ে আমরা কাজ শুরু করছি। প্রয়োজনে কোম্পানির সম্পত্তি বিক্রি করে হলেও এসব বিমা দাবি পরিশোধের জন্য কাজ করছি।’

প্রয়োজনে কোম্পানির সম্পত্তি বিক্রি করে হলেও বিমা দাবি পরিশোধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।

ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) নিজস্ব কার্যালয়ে ‘সিএমজেএফ টক’ অনুষ্ঠানে বুধবার তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সবাই বিমা করে সময় শেষে যেন টাকাগুলো বুঝে পায়, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সঠিক সময়ে গ্রাহক টাকা পাচ্ছে না। এ বিষয়ে একটা সেল গঠন করা হয়েছে। সেল কমিটির কাছে প্রচুর অভিযোগ আসে, সরাসরি কিংবা মেইল বা অন্যান্য মাধ্যমে। এ অভিযোগগুলো নিয়ে আমরা কাজ শুরু করছি। প্রয়োজনে কোম্পানির সম্পত্তি বিক্রি করে হলেও এসব বিমা দাবি পরিশোধের জন্য কাজ করছি।’

জয়নুল বারী বলেন, ‘এতদিন আমরা কমপ্লায়েন্স না মানলে শুধু কোম্পানিকে জরিমানা করেছি। এখন ব্যক্তিকেও অর্থাৎ অভিযুক্ত কর্মকর্তাকেও জরিমানা করা হবে। এসব সমস্যা সমাধানে আমরা বেশ কিছু আইন প্রনয়ণ করেছি, আরও কিছু আইন প্রনয়ণে কাজ করছি।’

তিনি বলেন, ‘কিছু কোম্পানি অতিরিক্ত টাকা খরচ করেছে। কেউ ম্যানেজমেন্ট খরচ বেশি করেছে। কেউ জমি কিনেছে বেশি দামে, এসব জমি বিক্রি করতে গেলে দেখা যায় কেনা দামের কমে বিক্রি করতে হচ্ছে। এজন্য চাইলেও বিক্রি করা যাচ্ছে না। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যৌক্তিক দামে বিক্রি করতে, তাহলে গ্রাহকের টাকাগুলো পরিশোধ বড় ভূমিকা রাখবে।’

আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ৭টা কোম্পানির বোর্ডকে ডেকেছি এবং তাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। তাদের প্রিমিয়াম কেমন এবং কি ধরনের সম্পদ আছে তা দেখেছি। সব শেষ যাতে পলিসি যেগুলো মেচুয়েট হয় সেগুলো কিভাবে পরিশোধ করবে সেই পরিকল্পনা চেয়েছি। এসব তথ্যগুলো দিলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিব।’

বিমা খাতে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কোনটা বলে মনে করেন এমন প্রশ্নের জবাবে জয়নুল বারী বলেন, ‘নন কমপ্লায়েন্স বড় চ্যালেঞ্জ। কোম্পানির অনিয়ম বন্ধ হলেই অনেক কিছু সমাধান হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডেল্টা লাইফের অবস্থা পেয়েছি খুবই খারাপ। আইন অনুযায়ী দুইটা বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে হয়তো বোর্ড ভেঙে দেয়া। অথবা কোম্পানি বন্ধ করে দেয়া যায়, কিন্তু আমরা ভেবে দেখলাম কোম্পানিটি ভালো ছিল, তাই চেষ্টা করেছি কীভাবে পুনরায় দাঁড় করানো যায় সে কাজ শুরু করলাম। এরপর আদালত থেকে একটা রায় হয়। সব মিলে তাদের স্টোকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা কিছু শর্ত দিয়ে আদালতে পাঠালাম। আদালতের রায়ের পর তাদের কার্যক্রমের বিষয়ে অনুমোদন করেছি।’

বিমা খাতের প্রচারের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, কত টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে পারবে সেটা বলা নেই।

ব্যয়ের পরিমাণ কত হতে পারে এই বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে জয়নুল বারী বলেন, ‘বিমা খাত ছড়িয়ে দেয়ার জন্য নতুন নতুন জায়গায় যেতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে নন লাইফ বিমা কোম্পানির সঙ্গে একটা বৈঠক করেছি এবং তাদের কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছি। প্রচারণায় গুরুত্ব রাখে বীমা খাতের ব্যাপ্তি বাড়াতে। এসব কাজে যেন অতিরিক্ত খরচ না হয় সেটা আমরা দেখব।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জয়নুল বারী বলেন, ‘কোনো কাজ যেমন হুটহাট করা সম্ভব নয় ঠিক তেমনি রাতারাতি বিমা খাতের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। আপনারা দেখবেন আমরা দুর্নীতি করছি কি না। আমরা সমস্যা সমাধানে কাজ করছি কি না। সব কিছু দেখে আলোচনা সমালোচনা করবেন। তবে যৌক্তিক আলোচনা বা সমালোচনাকে আমি পছন্দ করি। আমরা যেমন বীমা খাতের উন্নয়নে কাজ করছি আপনারাও সে কাজে সহযোগিতা করবেন বলে আশা করছি।’

সিএমজেএফ সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি জিয়াউর রহমান।

আরও পড়ুন:
উড্ডয়নের সময় উড়োজাহাজে ঝাঁকুনি, আতঙ্কিত যাত্রীরা অক্ষত
দুই মাস ৫ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে শাহজালালের রানওয়ে
বিমানের নতুন চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল
কুয়াশায় শাহজালালে ফ্লাইট ওঠানামায় বিপত্তি
উড়োজাহাজে নারীর গায়ে প্রস্রাব করা সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Dont give insurance money under pressure PM

চাপে পড়ে বিমার টাকা দেবেন না: প্রধানমন্ত্রী

চাপে পড়ে বিমার টাকা দেবেন না: প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বুধবার ‘জাতীয় বিমা দিবস-২০২৩’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দর্শক সারিতে পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাতসহ (সামনে বাঁ থেকে দ্বিতীয়) আমন্ত্রিত অতিথিরা। ছবি: ফোকাস বাংলা

ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোকে কারও চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে ইন্স্যুরেন্সের টাকা দিতে হবে। যথাযথভাবে তদন্ত না করে কারও চাপে পড়ে কোনো টাকা দেবেন না।’

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বুধবার ‘জাতীয় বিমা দিবস-২০২৩’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘দাবিদার দাবি করবে বড় একটা। তার প্রকৃত ক্ষতিটাকে যাচাই-বাচাই করেই অর্থ দেবেন। সেটা কেন করা হয় না?

‘আমি মনে করব, যারা তদন্ত করতে আসে তারাও কি এর ভাগিদার? তাদেরও নিশ্চয়ই হাত আছে? সেটাও আমার সন্দেহ হচ্ছে।’

অতীতের উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একসময় দেখা যেত গার্মেন্টসে শুধু আগুন লাগত। হঠাৎ কোনো এক গার্মেন্টসে আগুন লাগে। তারপর ইন্স্যুরেন্সের টাকা চায়। এবার মোটা অঙ্কের একটা টাকা চাইল। তখন আমি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে বললাম যে, আপনারা এখন টাকা দেবেন না, আমি তদন্ত করব।

‘তদন্ত করে দেখা গেল, ওই গার্মেন্টসের এক মেয়ে শ্রমিককে ২০ হাজার টাকা দিয়ে আগুন দিয়ে তারপর ইন্স্যুরেন্সের মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়। যেখানে কিছু নেই, যেখানে তারা বসে খাওয়া-দাওয়া করত, সেখানে আগুন দেয়া হয়েছিল। ওই মহিলাকে যখন ধরা হলো তখন সে স্বীকার করল তাকে দিয়ে এটা করা হয়েছে। এত ঘন ঘন আগুন একটা জায়গায় লাগবে কেন? সে ক্ষেত্রে বিমা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকা দরকার।’

আগুনে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আগুনে কতটুকু ক্ষতি হলো সেটা যথাযথভাবে তদন্ত করা দরকার। যথাযথভাবে তদন্ত না করে, কারও চাপে পড়ে কোনো টাকা দেবেন না। একটা ফ্ল্যাটে কী সম্পদ থাকতে পারে যে, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি তাকে ৪০ কোটি টাকা দেবে? আপনাদের কাছে এর জবাব আছে? তাহলে কীভাবে গেল সাধারণ বিমা থেকে।

‘আমার কাছে এই ধরনের একটা ঘটনা এসেছে সামনে। আমি এটাও তদন্ত করাব। কত সম্পদ একটা ফ্ল্যাটের মালিকের কাছে আছে যে, তার ৪০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেল আর বিমা থেকে টাকা নিয়ে গেল? যার ঘরটা সবচেয়ে বেশি পুড়ল তার বিমাও নেই। সে কিছু পেল না। এসব বিষয়ে সকলের একটু নজর দিতে হবে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিমা পলিসি মানুষ যাতে গ্রহণ করে তার জন্য আপনাদের প্রচার করতে হবে। সেই প্রচারটা ব্যাপকভাবে করতে হবে। আগে অনেক যুবসমাজ বিমার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে অর্থ উপার্জন করত।

‘সেই এজেন্ট নিয়োগ করা এবং তাদের দিয়ে কাজ করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এতে কর্মসংস্থানেরও একটা সুবিধা হবে। বেকার যুবকরা এই পেশায় যাতে আরও বেশি আসে, তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পরিবহনের ব্যাপারটা আমি দেখব।’

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিমার যোগসূত্র নিয়ে তার কন্যা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে ইন্স্যুরেন্সের একটা যোগসূত্র রয়ে গেছে। জীবন-জীবিকার জন্য আমার বাবা (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে দায়িত্ব নেন, তবে এটা বেশি দিন টেকেনি। কারণ ১৯৬২ সালে আমার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

বাবার ইন্স্যুরেন্সে চাকরি করার সময়টা জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কারণ বাবা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করেছেন, গাড়ি পেয়েছেন; আমরাও বেশ ভালোভাবে আছি। এই সময়টা বাবা আমাদের সঙ্গে ছিলেন। ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সঙ্গে আমাদের একটা আত্মার যোগাযোগ আছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওই ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে বসেই ছয় দফা প্রণয়ন করেছিলেন বাবা। পুরো জিনিসটা টাইপ করেছিলেন মোহাম্মদ হানিফ। পরে এটা একজন বিজ্ঞ ব্যক্তিকে দিয়ে ট্রান্সলেশন করা হয়।

‘আমাদের যে স্বাধীনতা অর্জন বা ছয় দফা প্রণয়ন, ছয় দফার ভিত্তিতে সত্তরের নির্বাচন, সবই কিন্তু ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে বসেই করা হয়। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে ইন্স্যুরেন্সের এক যোগসূত্র রয়ে গেছে।’

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। এতে আরও বক্তব্য দেন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন।

বিমা দিবস উপলক্ষে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

আরও পড়ুন:
হাওরের প্রতিটি সড়ক এলিভেটেড করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
মিঠামইনে প্রধানমন্ত্রী, উদ্বোধন করলেন আবদুল হামিদ সেনানিবাস
প্রধানমন্ত্রীকে মিঠামইনে নিজ বাড়িতে স্বাগত জানাবেন রাষ্ট্রপতি
নবীন বিসিএস ক্যাডাররা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক: প্রধানমন্ত্রী
স্মার্ট ক্রীড়াবিদ তৈরিতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Let Insurance Day be a pledge to pay insurance claims

বিমা দিবসের শপথ হোক বিমা দাবি পরিশোধের

বিমা দিবসের শপথ হোক বিমা দাবি পরিশোধের জাতীয় বিমা দিবসের লোগো ও জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান। কোলাজ: নিউজবাংলা
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে জাতি বিমার সুফল পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা সব বিমা কোম্পানিকে বিক্রি করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। যে কোম্পানি যত দ্রুত দাবি পরিশোধ করবে, সে কোম্পানি আগামী দিনে বিমা খাতের নেতৃত্ব দেবে।

আজকের এই দিনে আমি গভীরভাবে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যিনি বিমা পেশায় ছিলেন বলেই আজকের এই দিনটি বিমা পেশাজীবিরা পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকেও ধন্যবাদ তার সাহসী নেতৃত্বে দিবসটিকে ‘খ’ শ্রেণি থেকে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত করায়।

বিমা দিবসের শপথ হোক দ্রুত বিমা দাবি পরিশোধ করব আমরা। বিমা দিবস সব বিমা পেশাজীবীদের একটি আনন্দের দিন। ঈদ ও পূজার দিনের মতো আজ প্রতিটি মোবাইলে বিমার গুরুত্বের এসএমএস পাওয়া যায়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিবসটি উদ্বোধনের পর প্রতিটি বিভাগে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে র‍্যালি ও আলোচনা সভা হবে। এই কাজটি সব বিমা কোম্পানি মিলে ১০০ কোটি টাকা খরচ করলেও করা যেত না, যা সরকারের একটি নির্বাহী আদেশে হয়েছে। বিমা দিবসের ফলে জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র বের হচ্ছে। টিভিতে টকশো হচ্ছে ও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক প্রচার হচ্ছে।

বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে জাতি বিমার সুফল পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা সব বিমা কোম্পানিকে বিক্রি করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। যে কোম্পানি যত দ্রুত দাবি পরিশোধ করবে সে কোম্পানি আগামী দিনে বীমা খাতের নেতৃত্ব দেবে। বাংলাদেশে গ্রুপ বিমার অপার সম্ভবনা রয়েছে।

বছরে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার গ্রুপ বিমাতে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করা সম্ভব। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিমার জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। বর্তমানে দেশ স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কারণে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রিমিয়াম আদায় করা সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে বিমা গ্রাহকরা ঘরে বসে ব্যাংকের পাশাপাশি বিইএফটিএন ও মোবাইল ব্যাংকিং যেমন: বিকাশ, রকেট ও নগদে দ্রুত ও সহজে সুবিধা পাওয়ায় বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিকট দিন দিন গ্রাহক পর্যায়ে অভিযোগ হ্রাস পাচ্ছে।

আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড শুরু থেকেই আন্তরিকতার সঙ্গে বিমা দাবি পরিশোধ করে আসছে। জেনিথ ইসলামী লাইফ প্রায় ১৬ কোটি টাকারও অধিক বিমা দাবি ইতোমধ্যে পরিশোধ করেছে।

আমরা গ্রুপ বিমাসহ অনলাইনে ইআরপি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ৭ কর্মদিবসে দাবি পরিশোধ করে থাকি। বিমার আস্থা ফিরে আসার জন্য বিমা দাবি পরিশোধের বিষয়ে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিমার সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য পঞ্চম শ্রেণি হতে পাঠ্যসূচিতে বিমা বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

লেখক: জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল

আরও পড়ুন:
বিমানে লিজ দুর্নীতিতে ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সোয়া ৩ ঘণ্টা পর ওসমানীতে উড়ছে ফ্লাইট
উড্ডয়নের সময় উড়োজাহাজে ঝাঁকুনি, আতঙ্কিত যাত্রীরা অক্ষত
দুই মাস ৫ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে শাহজালালের রানওয়ে
বিমানের নতুন চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল

মন্তব্য

p
উপরে