প্রতিপক্ষের রানের চাকা থামাতে হবে। কে আসবেন বোলিংয়ে? কে আবার, বাংলাদেশ দলে ‘ডেথ ওভার বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে সর্বজনস্বীকৃত সবেধন নীলমণি একজনই আছেন- মুস্তাফিজুর রহমান!
তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত শুক্রবার সিরিজ জয়ের ম্যাচে ডেথ ওভারে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ১৮ ও ২০তম ওভার মিলিয়ে দিয়েছেন ১৬ রান। ১৮তম ওভারে ৬ রান দিলেও শেষ ওভারে দেন ১০ রান। সব মিলিয়ে ৪ ওভার বোলিং করে উইকেটশূন্য থেকে দেন ৪০ রান। কিপটেমি খুব একটা দেখাতে না পারলেও এর মধ্যেই ৭টি ডেলিভারি ছিল ‘ডট’। আর সেই ডট দিয়েই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির এক দারুণ তালিকায় শীর্ষে ওঠে গেছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার।
টি-টোয়েন্টি যেহেতু চার-ছক্কার খেলা, সেখানে প্রতিটি ডট বল সোনার চেয়েও দামি। মোস্তাফিজ এখন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ডট বল আদায় করা বোলার। গত শুক্রবার ম্যাচ চলাকালীন তার ফেসবুক পেজে পোস্ট করে জানানো হয়, ‘আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ডট বল করার রেকর্ড এখন মুস্তাফিজুর রহমানের-১১৪২!’
অর্থাৎ এ পর্যন্ত ১১৪২টি ডট আদায় করেছেন মোস্তাফিজ, যা এই সংস্করণে সর্বোচ্চ। তালিকায় দ্বিতীয় নিউজিল্যান্ডের সাবেক পেসার টিম সাউদি, তৃতীয় বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। চারে ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার আদিল রশিদ, পাঁচে আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান।
মোস্তাফিজ ১২০ ইনিংসে বোলিং করেছেন। তার ২৬১৬টি বৈধ ডেলিভারির মধ্যে ডট ১১৪২টি- অর্থাৎ ৪৩.৬৫ শতাংশ বলেই ব্যাটসম্যান রান নিতে পারেননি। মোট রান দিয়েছেন ৩১৯৫। সাউদি ১২৩ ইনিংসে ২৭৫৩ বল করে ডট আদায় করেছেন ১১৩৮টি (৪১.৩৩ শতাংশ)। সাকিব ১২৫ ইনিংসে ২৭২০ বল করে ডট আদায় করেছেন ১০৭৮টি (৩৯.৬৩ শতাংশ)।
এই তালিকায় এক হাজারের বেশি ডট দেওয়া বোলার আছেন কেবল তিনজন- মোস্তাফিজ, সাউদি ও সাকিব। আদিল রশিদ ১২৬ ইনিংসে ২৭৫৬ বল করে ডট আদায় করেছেন ৯৮৮টি (৩৫.৮৪ শতাংশ)। আফগান রশিদ খান ১০৫ ইনিংসে ২৪০৮ বল করে ডট আদায় করেছেন ৯৮৪টি (৪০.৮৬ শতাংশ)।
শীর্ষ দশে বাংলাদেশের আর কোনো বোলার নেই। তবে ১১তম স্থানে আছেন তাসকিন আহমেদ। তিনি ৮১ ইনিংসে ১৭৫৫ বল করে ডট আদায় করেছেন ৮৩৮টি- অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক বলেই (৪৭.৭৪ শতাংশ) ব্যাটসম্যানকে আটকে রেখেছেন।
ডট আদায় করা শীর্ষ পাঁচ বোলারের মধ্যে সবচেয়ে কম ছক্কা হজম করেছেন রশিদ খান (৮২টি)। এরপর আছেন মোস্তাফিজ (১০৪), সাকিব (১২০), সাউদি (১৪২) ও আদিল রশিদ (১৮৪)।
উইকেট শিকারে এই পাঁচজনের মধ্যে এগিয়ে আছেন রশিদ খান। ১৭৯ উইকেট নিয়ে তিনি টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। সাউদি নিয়েছেন ১৬৪, মোস্তাফিজ ১৫২, সাকিব ১৪৮ ও আদিল ১৪১ উইকেট।
কিপটেমির দিক থেকেও শীর্ষে রশিদ খান। তার ইকোনমি রেট ৬.১২। এরপর সাকিব (৬.৮০), মোস্তাফিজ (৭.৩২), আদিল (৭.৪৮) ও সাউদি (৮.০০)।
অর্থাৎ উইকেট, ইকোনমি কিংবা ডট- সব জায়গাতেই নাম আছে মোস্তাফিজের। কখনো কৃপণ, কখনো শিকারি।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে নতুন এক মাইলফলকে পৌঁছেছেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড এখন তার দখলে।
এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে আউট করার মধ্য দিয়ে নিজের ১৫০তম টি-টোয়েন্টি উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজ। এদিনই তিনি পেছনে ফেলেন দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষে থাকা সাকিব আল হাসানকে, তার উইকেট সংখ্যা ছিল ১৪৯।
এর আগে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে সাকিবকে স্পর্শ করেছিলেন মুস্তাফিজ। ভারতের বিপক্ষে উইকেট নিয়েই গড়ে ফেললেন নতুন রেকর্ড।
মুস্তাফিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পরিসংখ্যানও চমকপ্রদ। ১১৮ ম্যাচে ১৫০ উইকেট, গড় ২০.৬৫ এবং সেরা বোলিং ফিগার ১০ রানে ৬ উইকেট। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এই ১০ রানের ৬ উইকেটের রেকর্ডটি এখনো টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে পেস বোলারদের সেরা বোলিং ফিগার হিসেবে রয়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে চতুর্থ বোলার হিসেবে ১৫০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁলেন মুস্তাফিজ। তার আগে এই মাইলফলক অর্জন করেছেন নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি, ইশ সোধি এবং আফগানিস্তানের রশিদ খান।
১৭৩ উইকেটে নিয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ডটি এখনো আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খানের। সামনের দিনে এই তালিকাতেও আরও ওপরে উঠে আসার সুযোগ রয়েছে মুস্তাফিজের সামনে।
যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডের (ইউএসএসির) ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। গত মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এর আগে চলতি বছরের জুলাইয়ে বার্ষিক সাধারণ সভায় ইউএসএসিকে তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। শর্ত ছিল, ‘স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন’ আয়োজন করতে হবে এবং ‘শাসন কাঠামোয় বড় পরিবর্তন’ আনতে হবে। তা না হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শেষ পর্যন্ত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ইউএসএসির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। তবে এতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দলগুলো আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট খেলতে পারবে না এমনটা নয়। তারা আগের মতোই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণেও এর কোনো প্রভাব ফেলবে না। এছাড়া ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের প্রস্তুতিতেও কোনো বাধা থাকছে না। এ সময়ে জাতীয় দলের উন্নয়ন ও হাই-পারফরম্যান্স কার্যক্রম সরাসরি তদারকি করবে আইসিসি এবং তাদের নিযুক্ত প্রতিনিধিরা।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের জন্য একটি নরমালাইজেশন কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি শাসন কাঠামো, কার্যক্রম ও সংগঠনের সংস্কার পরিকল্পনা তৈরি করবে এবং পুরো প্রক্রিয়ায় নজরদারি করবে।
আইসিসির মতে, এই পদক্ষেপ ক্রিকেটের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নিশ্চিত করা হবে, খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার বা যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটের বিকাশ কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়।
মাত্র ১৩ বছর বয়সেই আইপিএলে দল পেয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন ভারতের বিস্ময় বালক বৈভব সূর্যবংশী। এরপর ১৪ বছর ৩২ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করে হৈ-চৈ ফেলে দেন এই ব্যাটার। এবার অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের মাটিতে দুর্দান্ত সফর কাটিয়ে ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল এখন অস্ট্রেলিয়ায়। ২১ সেপ্টেম্বর প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক অজিদের ৭ উইকেটে হারায় ভারতীয় যুবারা। বুধবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল।
অস্ট্রেলিয়ার যুবাদের বিপক্ষে তিন ফিফটিতে ৩০০ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে সফরকারী ভারত। তাদের পক্ষে অভিজ্ঞান কুন্ডু সর্বোচ্চ ৭১, বৈভব সূর্যবংশী ও ভিহান মালহোত্রা সমান ৭০ রান করেছেন।
৬৮ বলে ৭০ রানের ইনিংসটি খেলার পথে ৫টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকায় বৈভব। এর মধ্য দিয়ে যুব ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড হয়ে গেল ১৪ বছর বয়সি এই ভারতীয় ব্যাটারের। মাত্র ১০ ওয়ানডেতে বৈভব ৪১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন বৈভব।
এতদিন ৩৮টি ছয় নিয়ে রেকর্ডটি দখলে ছিল আরেক ভারতীয় উন্মুক্ত চাঁদের। ওই কীর্তি গড়তে ২০১১-১২ সালে তিনি ২১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। এই তালিকায় এরপর যথাক্রমে আছেন- বাংলাদেশের জাওয়াদ আবরার (৩৫), পাকিস্তানের শাহজাইব খান (৩১), বাংলাদেশের তাওহীদ হৃদয় (৩০) ও ভারতের যশস্বী জয়সওয়াল (৩০)।
সমস্ত জল্পনা-কল্পনা শেষে উসমান দেম্বেলের হাতেই উঠল ব্যালন ডিঅর ট্রফি। ষষ্ঠ ফরাসি ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডিঅর ট্রফি জিতলেন এই পিএসজি তারকা। দেম্বেলের আগে ফরাসিদের মধ্যে ব্যালন ডিঅর জিতেছেন রাইমন্ড কোপা, মিশেল প্লাতিনি, জ্যাঁ পিয়েরে পাপিন, জিনেদিন জিদান এবং করিম বেনজেমা। এই ছয়জন মিলে সব মিলিয়ে ব্যালন ডিঅর জিতেছেন ৮ বার। যেখানে মিশেল প্লাতিনি একাই জিতেছেন ৩ বার এবং বাকিরা একবার করে।
আর ৮ বার ব্যালন ডিঅর জেতার মধ্য দিয়ে দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ ব্যালন ডিঅর জয়ে ফ্রান্স ছুঁয়ে ফেলল আর্জেন্টিনাকে। ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা সমান ব্যালন ডিঅর জিতলেও, দুই দেশের জেতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য আছে।
ফ্রান্সের হয়ে ৬ জন মিলে যেখানে আটবার জিতেছেন, সেখানে আর্জেন্টিনার হয়ে লিওনেল মেসি একাই জিতেছেন আটবার। যা এককভাবে কোনো ফুটবলারের সর্বোচ্চ ব্যালন ডিঅর জয়ের রেকর্ডও বটে।
মেসি প্রথম ব্যালন ডিঅর জেতেন ২০০৯ সালে। এরপর ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত টানা আরও তিনটি ব্যালন ডিঅর জেতেন তিনি। মাঝে তিন বছরের বিরতি দিয়ে ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফিটি মেসি জেতেন ২০১৫ সালে। পরবর্তী তিনটি ব্যালন ডিঅর মেসি জেতেন ২০১৯, ২০২১ ও ২০২৩ সালে।
অন্য দিকে ফ্রান্সের হয়ে প্রথম ব্যালন ডিঅর জেতেন রাইমন্ড কোপা। এরপর ১৯৮৩, ১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে হ্যাটট্রিক ট্রফি জেতেন মিশেল প্লাতিনি। জ্যাঁ পিয়েরে পাপিন জেতেন ১৯৯১ সালে।
কিংবদন্তি জিনেদিন জিদানের হাতে ট্রফিটি ওঠে ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ জেতার পর। এরপর লম্বা বিরতি দিয়ে ২০২২ সালে এই ট্রফি জেতেন করিম বেনজেমা। আর এবার জিতলেন দেম্বেলে।
দেশ হিসেবে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার পর যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছে জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও পর্তুগাল। পর্তুগালের হয়ে অবশ্য ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো একাই জিতেছেন ৫ বার। অন্যদের মধ্যে জিতেছেন ইউসেবিও এবং লুইস ফিগো। এ ছাড়া ৫ বার করে এই ট্রফিটি জিতে ৩ নম্বরে আছে ইতালি ও ব্রাজিল। ব্রাজিলের হয়ে ২ বার জিতেছেন রোনালদো নাজারিও।
ছয় বছর পর আবারও বাংলার ক্রিকেট প্রশাসনে ফিরলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। ভারতের সাবেক অধিনায়ককে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) সভাপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত করা হয়েছে। গত শনিবার সিএবির ৯৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে ২০১৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত একই পদে ছিলেন গাঙ্গুলী। এবার তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন বড় ভাই স্নেহাশিস গাঙ্গুলীর স্থলাভিষিক্ত হয়ে। টানা ছয় বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ায় স্নেহাশিসকে পদ ছাড়তে হয়েছে।
পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর সংবাদ সংস্থা ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সৌরভ গাঙ্গুলী বলেন, ‘এর আগেও আমি পাঁচ বছর সভাপতি হিসেবে কাজ করেছি। এবারও আমরা সেরাটাই করার চেষ্টা করব। ভারতে ক্রিকেটের বিপুল উন্মাদনা আছে। প্রচুর প্রতিভা আছে। সেই প্রতিভাকে দিকনির্দেশনা দেওয়াটাই আমাদের কাজ হবে।’
সিএবির দায়িত্ব শেষ করার পর ২০১৯ সালে বিসিসিআইয়ের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন গাঙ্গুলী। সেই দায়িত্বে ছিলেন ২০২২ সাল পর্যন্ত। চলতি বছরের শুরুর দিকেই গাঙ্গুলীকে আবারও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আইসিসি পুরুষদের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে। ২০২১ সালে প্রথমবার এই পদে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।
চলমান এশিয়া কাপে সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের জয়ের পরও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গাঙ্গুলী। অভিষেক শর্মার ৭৪ আর সহঅধিনায়ক শুবমান গিলের ৪৭ রানে ভর করে ভারত ১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারত খুব ভালো দল। আমাদের হাতে এশিয়া কাপ জেতার ভালো সুযোগ আছে। আশা করি আমরা ভালো খেলব।’
বিসিসিআই সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেওয়া সাবেক দিল্লি তারকা মিঠুন মানহাসকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন গাঙ্গুলী। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে অভিনন্দন জানাই। এটা অনেক বড় পদ। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও দক্ষ বোর্ডের সভাপতি হওয়া মানে বিশাল দায়িত্ব। ভারতের হয়ে খেলা ক্রিকেটাররা অবিশ্বাস্য প্রতিভাবান। তাদের সামলানো আর পথ দেখানো কঠিন দায়িত্ব। আমি আশা করি, ও এবং তার টিম খুব ভালোভাবে কাজ করবে।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোষাগারে কত টাকা আছে তা নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা অঙ্কের কথা শোনা গেলেও এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানা গেল সেই সংখ্যা। বিদায়ী পরিচালনা পর্ষদ ১৩৯৮ কোটি টাকা কোষাগারে রেখে দায়িত্ব ছাড়ছে।
২০২১ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পাওয়া এই বোর্ড তিনজন সভাপতির নেতৃত্বে কাজ করেছে। প্রথমে ছিলেন নাজমুল হাসান, যিনি টানা তিন মেয়াদে সভাপতি ছিলেন।
তবে গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি দায়িত্ব হারান। এরপর ফারুক আহমেদ মাত্র ৯ মাস সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। সর্বশেষ প্রায় চার মাস ধরে বিসিবির সভাপতি ছিলেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তার সভাপতিত্বেই গত সোমবার অনুষ্ঠিত হয় বিদায়ী বোর্ডের শেষ সভা।
নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘণ্টা পর রাত ৯টায় সভা শুরু হয়ে শেষ পর্যন্ত মধ্যরাত পর্যন্ত চলে। সভা দীর্ঘ হওয়ার মূল কারণ ছিল বিসিবি নির্বাচনের কাউন্সিলর অনুমোদনকে ঘিরে জটিলতা। দেশের ক্রিকেটে এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়ও এটিই।
সভা শেষে মধ্যরাতে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান আর্থিক অবস্থার হালনাগাদ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘১৩৯৮ কোটি টাকা আমরা রেখে যাচ্ছি। এফডিআর, হাতে থাকা নগদ অর্থ, ব্যাংক ব্যালেন্স- সব মিলিয়েই এই প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা রাখা হচ্ছে।’
সভায় বিপিএল নিয়েও আলোচনা হয়। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল হওয়ার কথা থাকলেও বিসিবি নির্বাচনের ব্যস্ততায় প্রক্রিয়া আটকে আছে। এখনো চূড়ান্ত হয়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
সামনে জাতীয় নির্বাচন ঘিরেও পরিস্থিতি অনিশ্চিত।
ইফতেখার রহমান বলেন, ‘আমরা টার্গেট করছি, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল হবে। তবে দায়িত্বটা পরবর্তী বোর্ডের। আমরা কিছু কাজ এগিয়ে রেখে যাচ্ছি। পরের বোর্ড এসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’
ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় ও বিখ্যাত আম্পায়ার হ্যারল্ড ‘ডিকি’ বার্ড মারা গেছেন। ৯২ বছর বয়সে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের বার্নসলিতে জন্ম বার্ডের। সেখানকার কাউন্টি দল ইয়র্কশায়ারের হয়ে ১৯৫৬ সালে ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। ২০১৪ সালে ইয়র্কশায়ারের সভাপতিও হন। ক্লাবটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা পোস্টে বার্ডের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। ইয়র্কশায়ার ক্লাব শোকবার্তায় জানিয়েছে, ‘ডিকি বার্ড শুধু একজন আম্পায়ার নন, তিনি ছিলেন ক্রিকেটের এক অনন্য চরিত্র। তার সততা, রসবোধ আর খেলাধুলার প্রতি নিবেদন তাকে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। ইয়র্কশায়ার পরিবারের সকলেই তাকে গভীরভাবে স্মরণ করবে।’
১৯৭৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আম্পায়ারিং করেছেন বার্ড। এ সময়ে ৬৬টি টেস্ট ও ৬৯টি ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনা করেন তিনি। এর মধ্যে তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনালও ছিল তার দায়িত্বে। খেলোয়াড় ও দর্শকদের কাছে সৎ, রসিক ও স্বতন্ত্র আম্পায়ার হিসেবে তিনি সমানভাবে সমাদৃত ছিলেন। ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৮৬ সালে ‘এমবিই’ ও ২০১২ সালে ‘ওবিই’ সম্মান পান তিনি।
মন্তব্য