× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

খেলা
Why Mostafiz a friend of Bangladesh?
google_news print-icon

কেন বাংলাদেশের ‘বিপদের বন্ধু’ মোস্তাফিজ?

কেন-বাংলাদেশের-বিপদের-বন্ধু-মোস্তাফিজ?

কথা খুব কম বলেন। মৃদুভাষী মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের কাছেও আরাধ্য। যে কয়েকবার তিনি তাদের মুখোমুখি হয়েছেন- তার কাছে যাওয়া প্রায় সব প্রশ্নেরই উত্তর ছিল ছোট। কখনো এক বাক্যে, কখনো এক-দুই শব্দেই থমকে গেছেন মোস্তাফিজ।

অথচ জাতীয় দলে তার সতীর্থ কাউকে জিজ্ঞেস করে দেখুন, তাদের দলের সবচেয়ে বেশি মজা করেন কে? সবার তালিকারই ওপরের একটা জায়গা থাকবে মোস্তাফিজের জন্য। ক্রিকেটারদের মুখের সেই কথা বিশ্বাস করা কঠিনই হওয়ার কথা বাইরের অন্যদের জন্য।

তবে একটা দৃশ্যের বর্ণনায় হয়তো কিছুটা বোঝানো যাবে মাঠের বাইরের মোস্তাফিজকে।

আরও দিন তিনেক আগে আবুধাবি থেকে দুবাইয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। সবার লাগেজ গুছিয়ে তারা তোলে দিয়েছিলেন টিম বাসে। মোস্তাফিজ এলেন শেষের দিকে, এসে হোটেলের গেটে নয়- তিনি ছুটে গেলেন পেস বোলিং কোচ টেইটের দিকে।

মোস্তাফিজ তার লাগেজটা একবার টেইটের গা ছুঁইয়ে দেন, তিনি তাকালেই আবার সরিয়ে নেন। মিনিট কয়েকের সেই দুষ্টুমিতে দুজনের কারও মুখেই কথা নেই, তবে মুখে ছিল চওড়া হাসি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে টেইট বলে গেছেন, এটাই নাকি তার কাজ।

‘এটা’ মানে মোস্তাফিজকে খুশি রাখা- তাতে দলের মঙ্গল বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই পেসার। টেইটের মুখে কথাটা ছিল এমন, ‘আমার কাজ হচ্ছে তাকে খুশি ও আত্মবিশ্বাসী রাখা। বাকিটা সে নিজেই করে ফেলবে।’

সেই কাজটা মোস্তাফিজ কতটা ভালো করতে পারেন, তা দেখা গেছে এক দিন পরই। গত শনিবার রাতে দুবাইয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে তাসকিন আহমেদ শ্রীলঙ্কার পাওয়ারপ্লেতে একটা উইকেট নিতে পেরেছিলেন বটে, কিন্তু ৬ ওভারে শ্রীলঙ্কা তুলে ফেলেছিল ৫৩ রান।

তখন দল চাপে। অধিনায়ক লিটন দাস বোলিংয়ে নিয়ে আসেন মোস্তাফিজকে। ৩ রান দিয়ে ওভারটা তিনি শেষ করেন। পরের ওভারে এসে মেহেদী তুলে নেন পাওয়ারপ্লেজুড়ে আক্রমণাত্মক থাকা কুশল মেন্ডিসের উইকেট।

দলের দরকারের সময়ে উইকেট এনে দিয়েছেন মোস্তাফিজ। গত শনিবার দুবাইয়ে এশিয়া কাপের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলের দরকারের সময়ে উইকেট এনে দিয়েছেন মোস্তাফিজ। গত শনিবার দুবাইয়ে এশিয়া কাপের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এসিসি ১৪তম ওভার। উইকেটে থিতু হয়ে গেছে দাসুন শানাকা আর কুশল পেরেরার জুটি। বোলিংয়ে আবার এলেন মোস্তাফিজ। তৃতীয় বলে চার হজম করলেন। অফ স্টাম্পের বাইরে নিচু হওয়া পরের বলটাই কুশল পেরেরার ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় লিটন দাসের হাতে। ভাঙল জমে যাওয়া ২৭ বলে ৩২ রানের জুটি।

১৭তম ওভার। ততক্ষণে শানাকা বিধ্বংসী হয়ে গেছেন। তাকে চমৎকার সঙ্গ দিচ্ছেন লঙ্কান অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কা। বাংলাদেশ দল আবারও চাপে। আবার হাজির মোস্তাফিজ। প্রথম চার বলে বাউন্ডারি এলো না। পঞ্চম বলে ক্যাচ তুলে দিলেন শানাকা- কিন্তু ধরতে পারলে তো! কোনো বাউন্ডারি হজম না করেই মোস্তাফিজ শেষ করলেন ওভারটা।

এক ওভার পর আবার হাজির মোস্তাফিজ। তিনি ওভারটা শুরু করলেন এমন একটা পরিস্থিতিতে, যখন আগের দুটি বলেই ছক্কা খেয়েছেন শরীফুল ইসলাম। এবারও দল চাপে। শেষ দিকে রান বাড়ার তাড়া ও উইকেট- দুটিই আছে শ্রীলঙ্কার হাতে।

প্রথম বলে ক্যাচ ছাড়লেন হৃদয়, তবে বলটাতে রান আউট হলেন আসালাঙ্কা। চতুর্থটিতে ক্যাচ দিলেন কামিন্দু মেন্ডিস, শেষটিতে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাও। সব মিলিয়ে ওভার থেকে এল ৫ রান। আবার ত্রাতা মোস্তাফিজ। শ্রীলঙ্কা ২০ ওভারে ১৬৮ রান তুললেও চার ওভারে মোস্তাফিজ ২০ রান দিয়ে পেলেন ৩ উইকেট। বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত রানটা ৪ উইকেট আর ১ বল হাতে রেখে জিতেছে।

এ তো শুধু গত শনিবারের গল্প। মোস্তাফিজ বাংলাদেশের জন্য ত্রাতা হয়েছেন বারবারই। ডেথ ওভার, মানে ইনিংসের শেষ চার ওভারে তার পরিসংখ্যানটাই দেখুন- আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই সময়ে ওভারপ্রতি ৭.৯২ গড়ে রান দিয়েছেন মোস্তাফিজ।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি (৫৭) টি-টোয়েন্টি জয়ের সাক্ষীও মোস্তাফিজ। কিন্তু এই ম্যাচগুলোতে তার অবদান কেমন? ওভারপ্রতি ৬.২০ গড়ে রান দিয়ে এই পেসার নিয়েছেন ১০৩ উইকেট। সামগ্রিক এই অবস্থাটা আরও বেশি করে পোক্ত হয়েছে এ বছর এসে।

কীভাবে তা বলার আগে একটা বিশেষ দ্রষ্টব্য দিয়ে রাখা জরুরি- বাংলাদেশ শুধু মোস্তাফিজের জন্যই জিতেনি। তবে তাকে ছাড়া খেলা এ বছর ৮টি-টোয়েন্টির সবগুলোতেই হেরেছে বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের খেলা ১১টি-টোয়েন্টির যে একটি হার, তাও এবারের এই এশিয়া কাপেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

সুপার ফোরে এসে সেই শ্রীলঙ্কাকে হারানোর জয়ের নায়ক হয়েছেন সাইফ হাসান। তবে সেই পথটা গড়ে দিতে মোস্তাফিজও ইট-বালু দিয়েছেন ঠিকঠাক। তাকে হয়তো সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা করতে পারবে ম্যাচের শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলা সাইফের কথাটাই, ‘তিনি যখনই বল করে, দল একটা সংকটময় পরিস্থিতিতে থাকে। তিনি বিপদের সময় বোলিংয়ে আসেন। বেশির ভাগ সময় ডেলিভারও করে।’

সত্যিই তো, মোস্তাফিজ তো বাংলাদেশের বিপদের বন্ধুই। ত্রাতা হন সংকটের সময়ে। তিনি ‘খুশি’ থাকলে জিতে যায় বাংলাদেশও!

মন্তব্য

আরও পড়ুন

খেলা
Bangladesh Biswas will do something great in the Asia Cup and the World Cup

এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপেও দারুণ কিছু করবে বাংলাদেশ, বিশ্বাস বিসিবির

এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপেও দারুণ কিছু করবে বাংলাদেশ, বিশ্বাস বিসিবির

এক সপ্তাহ পর শুরু হবে এশিয়া কাপ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলতে যাওয়ার আগে প্রস্তুতিটা দারুণভাবে সারছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে নেদারল্যান্ডসকে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছে বাংলাদেশ। এতে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হ্যাটট্রিক সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।

লিটন দাসের অধিনায়কত্বে এমন পারফরম্যান্সে খুশি হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এমন ধারাবাহিকতা এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ কাজে দেবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।

সিলেটে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় আমিনুল বলেছেন, ‘পরপর তিনটা সিরিজ জিতলাম আমরা। আমার কাছে মনে হয়েছে ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস ছিল অনেক।

ধারাবাহিক উন্নতির দিকটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই আত্মবিশ্বাস হয়তো ইনশাআল্লাহ এশিয়া কাপেও কাজে লাগবে।’

আত্মবিশ্বাসটা ধরে রেখে ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দারুণ কিছু করবেন বলে জানান আমিনুল। তিনি বলেছেন, ‘তাদের এই আত্মবিশ্বাস সামনের ম্যাচগুলোতে কাজে লাগবে। শুধু এশিয়া কাপ না, ২০২৬ সালে বিশ্বকাপও আছে। আশা করি, ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসটা ধরে রাখা যাবে।’

মন্তব্য

খেলা
If you do not win a match you will enter the pocket of Bangladesh 1 crore

কোনো ম্যাচ না জিতলেও বাংলাদেশের পকেটে ঢোকবে ৩ কোটি টাকা

কোনো ম্যাচ না জিতলেও বাংলাদেশের পকেটে ঢোকবে ৩ কোটি টাকা

কোনো ম্যাচ না জিতলেও বাংলাদেশের পকেটে ঢোকবে ৩ কোটি টাকা

ক্রীড়া ডেস্ক

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভারতে মাঠে গড়াবে ২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্টের কিছু ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কায়ও। এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে সোমবার প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

সেখানে জানানো হয়, এবারের টুর্নামেন্ট শুধু অংশগ্রহণ করলেই আড়াই লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি ৩ লাখ টাকা পাবে দলগুলো। তাই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ যদি কোনো ম্যাচ নাও জিতে, তবুও এই বিপুল অঙ্কের অর্থ পকেটে ঢোকবেই।

আইসিসি সোমবার এক মিডিয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এবারের বিশ্বকাপে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকার প্রাইজমানি থাকছে, যা নারী বিশ্বকাপে রেকর্ড। সবশেষ আসরের তুলনায় প্রাইজমানি বেড়েছে ২৯৭ শতাংশ বেড়েছে।

বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। রানার্স-আপ দল পাচ্ছে ২২ লাখ ২৪ হাজার ডলার বা ২৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

দুই সেমিফাইনালিস্ট পাচ্ছে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আট দলের টুর্নামেন্টে পঞ্চম, ষষ্ঠ এই দুই দল পাচ্ছে ৭ লাখ ডলার করে (৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা)। সাত ও আট নম্বরে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করা দল দুটির প্রত্যেকেই পাচ্ছে ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য দলগুলো পাবে ৩৪ হাজার ৩১৪ ডলার করে। বাংলাদেশি হিসেবে ৪১ লাখ ৬১ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড- এই আট দল নিয়ে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে হবে ২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। প্রথম রাউন্ডের ২৮ ম্যাচ, দুই সেমিফাইনাল ও ফাইনালসহ টুর্নামেন্টের ৩১ ম্যাচ হবে পাঁচ স্টেডিয়ামে। কলম্বো, ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের পাশাপাশি ইন্দোরের হোলকার, গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া, বিশাখাপত্তনমের ওয়াই এস রাজাশেখর রেড্ডি স্টেডিয়ামে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে।

মন্তব্য

খেলা
The ICC will give more prizes in the World Cup than men

পুরুষদের থেকেও নারী বিশ্বকাপে বেশি প্রাইজমানি দেবে আইসিসি

পুরুষদের থেকেও নারী বিশ্বকাপে বেশি প্রাইজমানি দেবে আইসিসি

চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মাঠে গড়াবে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আসন্ন এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আগের আসরের তুলনায় এবার প্রাইজমানি বেড়েছে চার গুণ। যা পুরুষদের সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের চেয়েও বেশি।

এবারের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের মোট পুরস্কার ধরা হয়েছে ১৩.৮৮ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫৩ কোটি টাকা। নারীদের এই বিশ্বকাপের পুরস্কার অর্থ ২০২৩ সালের পুরুষদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের চেয়েও বেশি। সেবার পুরুষদের আসরে প্রাইজমানি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার।

আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি নারী ক্রিকেটের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। প্রাইজমানির এই ব্যাপক বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা দেখাতে চাই, নারী ক্রিকেটাররা পুরুষদের সমান মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য।’

উল্লেখ্য, ২০২২ নারী বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া পেয়েছিল মাত্র ১.৩২ মিলিয়ন ডলার। এবার চ্যাম্পিয়নদের জন্য প্রাইজমানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৪৮ মিলিয়নে। অন্যদিকে, ২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে পুরুষ বিশ্বকাপ জিতে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছিল ৪ মিলিয়ন ডলার, যা এবার পেছনে ফেলল নারী ক্রিকেট।

কে কত প্রাইজমানি পাবে

চ্যাম্পিয়ন: ৪.৪৮ মিলিয়ন ডলার, রানার্স-আপ: ২.২৪ মিলিয়ন ডলার, সেমিফাইনালিস্ট: ১.১২ মিলিয়ন ডলার করে,

গ্রুপ পর্বে প্রতি ম্যাচ জয়ের পুরস্কার: ৩৪,৩১৪ ডলার, ৫ম ও ৬ষ্ঠ স্থানে থাকা দল: ৭ লাখ ডলার করে, ৭ম ও ৮ম দল: ২.৮ লাখ ডলার করে, প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী দল: ২.৫ লাখ ডলার

মন্তব্য

খেলা
The stadium closed for 6 months in bird eggs in Australia

পাখি ডিম পাড়ায় ১ মাসের জন্য স্টেডিয়াম বন্ধ হলো অস্ট্রেলিয়ায়

পাখি ডিম পাড়ায় ১ মাসের জন্য স্টেডিয়াম বন্ধ হলো অস্ট্রেলিয়ায়

অদ্ভুত কারণে অস্ট্রেলিয়ায় একটি খেলার মাঠ ১ মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংরক্ষিত প্রজাতির একটি দেশি পাখি সেই মাঠে ডিম পাড়ার কারণেই মূলত এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ইয়াহু নিউজের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ক্যানবেরা থেকে ২০ মিনিট দূরত্বের জেরাবম্বেরা রিজিওনাল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ফুটবল খেলতে গিয়ে খেলোয়াড়রা জানতে পারেন, মাঠের একদম মাঝখানে এক প্লোভার পাখি ডিম দিয়েছে। ফলে তাদের ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হয় পাশের আরেকটি মাঠে।

প্লোভার পাখি সাধারণত বাচ্চা ফোটানোর পর অত্যন্ত রক্ষণশীল এবং ভয়ানকভাবে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার কারণে পরিচিত। এ সময় তারা ডানা ঝাপটে, তীব্র শব্দ করে এবং ঝাঁপিয়ে পড়ার মাধ্যমে বাসার কাছ থেকে অনধিকার প্রবেশকারীদের দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করে।

স্থানীয় কাউন্সিল ইয়াহু নিউজ অস্ট্রেলিয়াকে জানায়, আঞ্চলিক স্পোর্টস কমপ্লেক্সের কৃত্রিম ফুটবল মাঠে একটি প্লোভার ডিম দিয়েছে। যে কারণে স্থানীয় বন্যপ্রাণী সংস্থা ওয়াইল্ডকেয়ারের পরামর্শে ক্লাব ম্যাচগুলো পাশের মাঠে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ছোট নথজিরিয়া বা ছোট জিরিয়া নামে পরিচিত এই পাখির চোখ দুটো হলুদ বৃত্তে ঘেরা বলে এদের ইংরেজি নাম ‘লিটল রিংড প্লোভার’।

জানা গেছে, পাখিসংক্রান্ত কারণে মাঠটি সর্বোচ্চ ২৮ দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকতে পারে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিল বলেছে, ‘আমাদের দেশি পাখি প্রজাতিগুলো রক্ষায় সক্রিয় হতে হবে। ডিম সরানো প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের আনতে হবে এবং অনুমতি নিতে হবে।’ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে স্থানীয় ফুটবল দলগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে কাউন্সিল। পাশাপাশি তারা খেলা ও অনুশীলন সরিয়ে নিতে সহযোগিতা করেছে এবং কর্তৃপক্ষকে বিকল্প মাঠের ব্যবস্থাও করে দিয়েছে।

মন্তব্য

খেলা
This time I am choosing Tamim Iqbal

এবার নির্বাচন করছি আমি: তামিম ইকবাল

এবার নির্বাচন করছি আমি: তামিম ইকবাল

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সফলতম ওপেনার ও সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল অবশেষে নিশ্চিত করেছেন, তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় থাকলেও এবার প্রথমবারের মতো সরাসরি জানালেন, ‘এবার নির্বাচন করছি আমি।’ তামিম বলেন, ‘আমি মনে করি, আমার ফোকাস থাকা উচিত সর্বোচ্চ দুটি বা তিনটি বিষয়ের ওপর। এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো- বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো।’ তামিমের মতে, স্টেডিয়াম নয়, প্রাধান্য পাওয়া উচিত ‘এক্সিলেন্স সেন্টার’ গড়ে তোলায়। তার ভাষায়, ‘আপনার এক্সিলেন্স সেন্টার না থাকলে ১০টি স্টেডিয়াম থেকেও কোনো লাভ নেই।’ এছাড়া স্কুল ক্রিকেট নিয়ে বিসিবিকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ‘আমাদের স্কুল ক্রিকেট কাঠামো খুবই দুর্বল। বিসিবির উচিত এখানে বিনিয়োগ করা,’ বলেন তামিম।

সভাপতি হতে চান কি না, এমন প্রশ্নে সরাসরি জবাব না দিলেও তামিম ইঙ্গিত দেন, পরিচালকের পদে নির্বাচিত হয়ে যদি যথেষ্ট সমর্থন পান, তবে সভাপতির পদে লড়াই করতেও পিছপা হবেন না। ‘আমি মনে করি, ক্রিকেট বোর্ডে এলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো ক্ষমতাও আমার থাকা উচিত,’ বলেন তিনি। বিসিবির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তামিম বলেন, ‘কে নতুন আইডিয়া নিয়ে আসছেন, কাকে ক্রিকেটের জন্য এখন সবচেয়ে বেশি দরকার, আলোচনা সেদিকে ঘোরা উচিত।’ তামিম জানান, তিনি দুটি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত থাকায় কাউন্সিলর হওয়া নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। তিনি বলেন, ‘আমি ক্রিকেটে বিনিয়োগ করেছি। কাউন্সিলর তো আমি হবই।’

মন্তব্য

খেলা
Hamza set the record that made Bangladeshs first footballer

বাংলাদেশের প্রথম ফুটবলার হিসেবে যে রেকর্ড গড়লেন হামজা

বাংলাদেশের প্রথম ফুটবলার হিসেবে যে রেকর্ড গড়লেন হামজা

বাংলাদেশের ধুঁকতে থাকা ফুটবলে প্রাণ ফিরিয়েছেন হামজা চৌধুরী। গেল মার্চে প্রথমবারের মতো লাল-সবুজ জার্সি গায়ে মাঠে নেমেই বদলে দিয়েছেন অনেক হিসাব। এর পর থেকে তিনি হয়ে উঠেছেন প্রবাসী ফুটবলারদের অনুপ্রেরণা, দেশের ফুটবলের নতুন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

এই মিডফিল্ডার এবার ছুঁলেন এক অনন্য উচ্চতা।

হয়ে গেলেন ইনস্টাগ্রামে ১০ লাখ বা ১ মিলিয়ন অনুসারী পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি ফুটবলার। নিজের ফেসবুক পেজে বিষয়টি জানিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি।

এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ইনস্টাগ্রামে ১ মিলিয়ন অনুসারী হয়েছে আমার। আপনাদের সমর্থনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ, আমি সত্যিই অনেক কৃতজ্ঞ।’

এদিকে হামজার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শমিত সোম। তার অনুসারীর সংখ্যা ৯ লাখ ৯২ হাজার। অর্থাৎ শিগগিরই তিনি পেরোতে পারেন ১০ লাখের গণ্ডি।

বাংলাদেশ দলে অভিষেকের আগেই ১০ লাখ ফেসবুক অনুসারী পেয়েছিলেন হামজা।

তবে সেখানে তিনি দ্বিতীয়-প্রথম বাংলাদেশি ফুটবলার হিসেবে এই মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন জামাল ভূঁইয়া। চলতি বছরের শুরুতে হামজা যোগ দেন সেই তালিকায়।

তবে শুধু অনলাইনে নয়, মাঠের খেলায়ও চমক দেখাচ্ছেন হামজা। গেল ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে অভিষেক হয় হামজার। মাঝমাঠে দাপট দেখিয়ে ভারতকে নড়বড়ে করেছিলেন তিনি।

যদিও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ড্র করে বাংলাদেশ।

ঘরের মাঠে অভিষেকটা ছিল আরও স্মরণীয়। ভুটানের বিপক্ষে মাত্র ৭ মিনিটের মাথায় গোল করে আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোলের খাতা খোলেন তিনি। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতে ২-০ ব্যবধানে।

কোচ হাভিয়ের কাবরেরার অধীনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও খেলেছেন হামজা। তবে উন্মাদনা ছড়ালেও শেষমেশ বাংলাদেশ হেরে যায় ২-১ গোলে।

হামজার পথ ধরে এখন দলে এসেছেন শমিত সোম, ফাহামেদুল ইসলামদের মতো খেলোয়াড়রা। বসুন্ধরা কিংসের উদীয়মান তারকা কিউবা মিচেলদের মতো ফুটবলারও অভিষেকের অপেক্ষায়।

মন্তব্য

খেলা
Miami in the final of Messi in the final

ফিরেই মেসির জোড়া গোল, ফাইনালে মায়ামি

ফিরেই মেসির জোড়া গোল, ফাইনালে মায়ামি

চোটের কারণে লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালসহ ইন্টার মায়ামির সর্বশেষ দুটি ম্যাচে লিওনেল মেসি খেলতে পারেননি। তিগ্রেসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে জর্দি আলবা দ্বিতীয়ার্ধে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। দুজনকেই নিয়েই তাই দুশ্চিন্তায় ছিল ইন্টার মায়ামি। লিগস কাপের সেমিফাইনালে মেসি ও আলবা খেলতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে ম্যাচের দিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল।

ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে লিগস কাপের সেই সেমিফাইনালে মেসি ও আলবাকে শুরু থেকেই দেখা গেল মাঠে। দুজনের বোঝাপড়া দেখে বার্সেলোনায় তাদের সোনালি দিনগুলো মনে পড়েছে অনেকের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ লিখেছেন ‘জাস্ট লাইক ওল্ড টাইমস।’

সেটা অবশ্যই ৮৮ মিনিটে মেসি-আলবার যৌথ প্রযোজনায় করা গোলটির জন্য। তবে শুধু এ গোল দিয়ে গোটা ম্যাচের দৃশ্যপট বলা যায় না। প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল অরল্যান্ডো সিটি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের শেষ ১৫ মিনিটে জোড়া গোল করে ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেন মেসি। অরল্যান্ডো সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে লিগস কাপের ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মায়ামি।

প্রথমার্ধে দাপট বজায় রেখে খেলেছে মায়ামি। মেসিকেও চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরে ক্ষুধার্ত মনে হয়েছে। প্রথমার্ধেই গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন। মায়ামি প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল হজম করে ডিফেন্ডার ম্যাক্সিমিলিয়ানো ফ্যালকন বল ‘ক্লিয়ার’ করতে না পারায়। সুযোগটা নেন অরল্যান্ডোর উইঙ্গার মার্কো পাসালিচ। বাঁপায়ের জোরালো শটে গোল করেন। ফ্যালকন এ সময় পাসালিচের হ্যান্ডবলের দাবি তুললেও রেফারি কর্ণপাত করেননি।

মায়ামি খেলায় ফিরেছে ৭৫ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি থেকে। তাদের উইঙ্গার তাদেও আয়েন্দেকে নিজেদের বক্সে ফেলে দেন অরল্যান্ডো লেফট ব্যাক ডেভিড ব্রেকালো। শাস্তি হিসেবে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় ব্রেকালোকে আর অরল্যান্ডো হজম করে পেনাল্টি। গোলকিপারের বাঁ-পাশের পোস্টঘেঁষা শটে গোল করেন মেসি।

১০ জনে পরিণত হওয়া অরল্যান্ডো ম্যাচে পিছিয়েও পড়েছে মেসির কারণেই। তাতে অবশ্য আলবার অবদানও কম না। ৮৮ মিনিটে অরল্যান্ডোর বক্সের মাথায় বাঁ-পাশ থেকে আলবাকে পাস দিয়ে দ্রুত বক্সে ঢোকেন মেসি। বার্সায় দুজনের জুটি দেখে একসময় অভ্যস্ত হয়ে পড়া দর্শক যেন জানতেন এরপর কী হবে। মেসি বক্সে ঢুকতেই একদম মোক্ষম সময়ে একটু ফাঁকায় থাকতে তাকে ফিরতি পাস দেন আলবা। দৌড়ের ওপরই কঠিন কোণ থেকে বাঁ-পায়ের নিখুঁত শটে দূরের পোস্ট দিয়ে গোল করেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। মায়ামির হয়ে এ বছর তার গোলসংখ্যা ৩৩ ম্যাচে ২৭।

অরল্যান্ডোর ভোগান্তির আরও বাকি ছিল। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে বাঁ-প্রান্ত দিয়ে ক্লাবটির বক্সে ঢুকে লুইস সুয়ারেজকে পাস দেন ভেনেজুয়েলান মিডফিল্ডার তেলেসকো সেগোভিয়া। ফিরতি পাস পেয়ে ম্যাচের শেষ গোলটি করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময় আগামী সোমবার সকালে ফাইনালে সিয়াটল সাউন্ডার্সের মুখোমুখি হবে মায়ামি। লিগস কাপের ফাইনালে ওঠার মধ্য দিয়ে আগামী বছর কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে খেলার যোগ্যতাও অর্জন করল হাভিয়ের মাচেরানোর দল।

ফাইনালে ওঠার পর মেসি বলেছেন, ‘ম্যাচটা খেলা গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ প্রতিপক্ষ বেশ কঠিন। এ বছর তাদের বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই হেরেছি। প্রথমার্ধে একটু ভয় নিয়ে খেলেছি। কিন্তু তারপর সব সহজ হয়ে যায়।’

মন্তব্য

p
উপরে