শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী এশিয়া কাপের শিরোপা জিতে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। শক্তিমত্তা বিবেচনায় ভারত এগিয়ে থাকলেও বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিনটি নিজেদের করে নেন লঙ্কান নারীরা।
ভারতের দেয়া বড় লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন চামারি আতাপাত্তু। অধিনায়কের গড়ে দেয়া ভিতে ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
ডাম্বুলায় রোববার ফাইনালে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে খেলতে নেমে ১৮ ওভার ৪ বলে দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
ব্যাট হাতে দারুণ সময় পার করা অধিনায়ক আতাপাত্তু খেলেন ৪৩ বলে ৬১ রানের ইনিংস। এছাড়া সামারাবিক্রমাও অর্ধশতক তুলে নেন। ৫১ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন এই ব্যাটার।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন হারমানপ্রীত। ভারতের ওপেনিং জুটি শুরুটা ভালো করলেও ম্যাচে বড় রান করতে পারেননি তারা। ১৯ বলে ১৬ রান করে আউট হন ওপেনার শেফালি ভার্মা। অর্ধশতরান করেন অপর ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা। এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন হারমানপ্রীত। তার ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে মান্ধানার ব্যাট থেকে। তিনি করেন ৪৭ বলে ৬০ রান। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন জেমাইমা রদ্রিগেস ও রিচা ঘোষ। জেমাইমা ১৬ বলে ২৯ ও রিচা ১৪ বলে ৩০ রান করেন। তাদের ক্যামিওতে ১৬৫ রানে থামে ভারতের রানের চাকা।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন গুনরত্নে। দলের ইনিংস টানেন আরেক ওপেনার চামারি আতাপাত্তু। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক এই ম্যাচেও আরেকটি অর্ধশতক তুলে নেন। তাকে সঙ্গ দেন হর্ষিতা সামারাবিক্রমা। এই জুটিতে ওঠে ৮৭ রান। শেষদিকে সামারাবিক্রমা ও দিলহারী জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। দিলহারী ১৬ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন।
টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার উঠেছে লঙ্কান অধিনায়ক আতাপাত্তুর হাতে। ৫ ইনিংসে ব্যাট করে এই ব্যাটার করেছেন ৩০৪ রান। তার ইনিংসগুলো যথাক্রমে ১২, ১১৯*, ৪৯*, ৬৩ ও ৬১ রান।
প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপে সাতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত নারী দল। তবে অষ্টম শিরোপা কাপ জেতা হলো না হারমানপ্রীত কৌরের দলের। আগে পাঁচবার রানার্স হলেও এবার ঘরের মাঠে শিরোপা নিজেদের কাছেই রাখলো সিংহীরা।
আরও পড়ুন:হারারে বোল্টসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে জিম আফ্রো টি-টেনে জায়গা নিশ্চিত করেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
গত সপ্তাহে বিগ ব্যাশ লিগের (বিবিএল) জন্য হোবার্ট হারিকেন্সও রিশাদকে দলে নিয়েছিল।
সাকিব আল হাসানের পরে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে বিবিএল দলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
গত বছর জিম আফ্রো টি-টেনেও অংশ নিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম ও তাসকিন আহমেদ।
যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন রিশাদ।
অভিষেক বিশ্বকাপে ১৪ উইকেট নিয়ে অনন্য পারফরম্যান্সের জন্য ক্রিকেট কিংবদন্তিদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন এ লেগ স্পিনার।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের পর আজ বুধবার রাতে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ দল। তবে দলের সঙ্গে দেশে না ফিরে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সূত্র: ইউএনবি
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্রিকেটারদের একাংশ রাত ১১টায় দেশে পৌঁছবে। অন্য অংশ আসবে রাত ২টার দিকে।
সাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে, বাংলাদেশ দলের সঙ্গে তিনি দেশে ফিরছেন না। পরিবারের কাছে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন সাকিব। তবে আসন্ন ভারত সিরিজে দলে রাখা হলে সেখান থেকেই ভারত সফরে যাবেন তিনি।
দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই ভারত সফর করবে বাংলাদেশ। তাই দেশে ফিরলেও বেশি দিন বিশ্রাম পাচ্ছেন না ক্রিকেটাররা।
আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি জাতীয় ক্রিকেট দলের অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে অনুশীলন শুরু হতে পারে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাই টেস্ট দিয়ে ভারত সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কানপুরে হবে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। এরপর ৬, ৯ ও ১২ অক্টোবর যথাক্রমে গোয়ালিওর, দিল্লি ও হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত হবে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
আরও পড়ুন:আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলতি রাউন্ডের (২০২৩-২৫) ফাইনালের ভেন্যু হিসেবে লর্ডসের নাম আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার চূড়ান্ত করা হয়েছে দিনক্ষণও। প্রতিযোগিতার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি শুরু হবে আগামী বছরের ১১ জুন।
মঙ্গলবার ফাইনালের সূচি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
আগামী বছরের ১১ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিখ্যাত লর্ডস স্টেডিয়ামে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় রাউন্ডের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ জুন রিজার্ভ ডে হিসেবে রাখা হয়েছে।
আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সবশেষ স্ট্যান্ডিং অনুসারে, ৯ ম্যাচে ৬টি জয়, ১টি ড্র ও ২টি হারে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ভারত; ৬৮.৬২ শতাংশ হারে তাদের পয়েন্ট ৭৪। আর ২ ম্যাচে ৮টি জয়, ১টি ড্র ও ৩টি হারে দ্বিতীয় অবস্থানে অস্ট্রেলিয়া; ৬২.৫০ শতাংশ হারে তাদের পয়েন্ট ৯০। ফাইনালে এই দুই দলের খেলার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।
এছাড়া ৫০ শতাংশ হারে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। আর ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করায় চতুর্থ অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ৬ ম্যাটের তিনটিতে জয় ও তিনটিতে হেরে ৪৫.৮৩ শতাংশ হারে টাইগারদের পয়েন্ট ৩৩।
টেবিলের পঞ্চম অবস্থানে থাকা ফাইনালের আয়োজক ইংল্যান্ডের নামের পাশে ১৫ ম্যাচে রয়েছে ৪৫ শতাংশ পয়েন্ট।
পরের চারটি অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা (৬ ম্যাচে ৩৮.৮৯ শতাংশ পয়েন্ট), শ্রীলঙ্কা (৬ ম্যাচে ৩৩.৩৩ শতাংশ পয়েন্ট), পাকিস্তান (৭ ম্যাচে ১৯.০৫ শতাংশ পয়েন্ট) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৯ ম্যাচে ১৮.৫২ শতাংশ পয়েন্ট)।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম রাউন্ডে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ২০২১ সালে সাউদাম্পটনে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারতকে ৮ উইকেটে হারায় কিউইরা।
এরপর ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় রাউন্ডের ফাইনালেও কপাল পোড়ে ভারতের। লন্ডনের ওভালে রোহিত শার্মার দলকে ২০৯ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া।
দুবছর ধরে চলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের একেকটি রাউন্ড। পয়েন্টের শতকরা হারে টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল ফাইনালে অংশগ্রহণ করে থাকে।
আরও পড়ুন:অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ মঙ্গলবার জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও তার দলকে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ছয় উইকেটে বাংলাদেশের জয়ের পর প্রধান উপদেষ্টা শান্তকে ফোন করে বলেন, ‘সরকার এবং আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন। পুরো জাতি আপনাদের নিয়ে গর্বিত।’
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় প্রধান উপদেষ্টার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দেশে ফেরার পর বাংলাদেশ দলকে সংবর্ধনা দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সফরের প্রথম টেস্টে স্বাগতিক পাকিস্তানকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় টাইগাররা। আর সিরিজের শেষ ও দ্বিতীয় টেস্ট মঙ্গলবার ৬ উইকেটে জিতে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে সফরকারী বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে ছয় উইকেটে হারিয়ে ২-০তে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এ হোয়াইটওয়াশের মধ্য দিয়ে দিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ।
সিরিজ নির্ধারণী এ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক পাকিস্তান। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ২৬২ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে প্রায় পৌনে ৩০০ রান করা পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ছিল বিবর্ণ। বাংলাদেশি বোলারদের নৈপুণ্যে ১৭২ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে হাসান মাহমুদ একাই নেন পাঁচ উইকেট। বাকিদের মধ্যে নাহিদ রানা চার উইকেট ও তাসকিন আহমেদ একটি উইকেট শিকার করেন।
১৮৫ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫৮ রানে প্রথম এবং ৭০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরবর্তী সময়ে দলীয় ১২৭ রানে তৃতীয় এবং ১৫৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ধীরে ধীরে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় টাইগাররা।
অপরাজিত দুই ব্যাটারের মধ্যে মুশফিকুর রহিম ২২ ও সাকিব আল হাসান করেন ২১ রান।
আরও পড়ুন:রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট জিততে আর ৬৩ রান করতে হবে সফরকারী বাংলাদেশের। হাতে রয়েছে আট উইকেট।
জয়ের জন্য পাকিস্তানের ছুড়ে দেয়া ১৮৫ রানের টার্গেটে পঞ্চম ও শেষ দিনের মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ২ উইকেটে ১২২ রান করেছে বাংলাদেশ।
১৮৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে বিনা উইকেটে ৪২ রান করেছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার জাকির হাসান ৩১ ও সাদমান ইসলাম ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আজ পঞ্চম দিনের ষষ্ঠ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের পেসার মির হামজার বলে বোল্ড হন জাকির। ৩৯ বল খেলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি।
দলীয় ৫৮ রানে জাকির ফেরার পর হামজার বলে ব্যক্তিগত ১৭ রানে স্লিপে সালমান আঘাকে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান সাদমান, তবে জীবন পেয়েও বেশি দূর যেতে পারেননি তিনি। আরেক পেসার খুররম শাহজাদের বলে মিড অনে পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদকে ক্যাচ দেন দুটি চারে ২৪ রান করা সাদমান।
৭০ রানের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর জুটি গড়ার পরিকল্পনায় সফল হন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোমিনুল হক। ৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ভালোভাবে প্রথম সেশনের খেলা শেষ করেন তারা। দিনের প্রথম সেশনে ২৭ ওভারে দুই উইকেটে ৮০ রান যোগ করে টাইগাররা।
চার বাউন্ডারিতে শান্ত ৩৩ এবং দুই বাউন্ডারিতে মোমিনুল ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পাকিস্তানের হামজা ও শাহজাদ একটি করে উইকেট নেন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টেস্ট ম্যাচের এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়েছেন টাইগার পেসাররা। এবার ম্যাচের পঞ্চম দিনে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের অপেক্ষা।
চলমান রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এই ইনিংস জয় পেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় নিশ্চিত করবে টাইগাররা। চতুর্থ দিন বিকেলে আলোর স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে বিনা উইকেটে ৪২ রান করেছে বাংলাদেশ।
স্বাগতিক পাকিস্তান এর আগে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায়। টাইগার পেসার হাসান মাহমুদ দেখান তার ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স। গড়েন ডাবল রেকর্ড- নিজের প্রথম পাঁচ উইকেট এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশি কোনো পেসারের প্রথম পাঁচ উইকেট।
তরুণ পেসার নাহিদ রানাও ক্যারিয়ার সেরা পারফরম করেছেন। নিয়েছেন চার উইকেট।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। ধরে নেয়া হয়েছিল এবারের ইনিংসেও স্পিনারদের দাপট দেখা যাবে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে এসে স্পিনারদের ব্যাকফুটে ঠেলে সামনে চলে আসেন পেসাররা। পাকিস্তানকে অলআউট করলেন পেসাররাই।
এখন পর্যন্ত, বাংলাদেশের পেসারদের সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল টেস্ট ইনিংসে নয় উইকেট নেয়া। চারবার এই সাফল্য পেয়েছিলেন তারা- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনবার এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একবার।
এবার সেসব রেকর্ড ভেঙে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পেসাররা নিয়ে নিলেন ১০ উইকেট, যা বাংলাদেশকে টেস্ট সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। দেখা যাক সিরিজের প্রথম টেস্টের মতো এবারও ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পায় কি না টাইগাররা। সেটি হয়ে গেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নামের পাশে যুক্ত হতে পারে আরও কয়েকটি রেকর্ড।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য