অনুমিতভাবেই ক্রিকেট বিশ্বের দুই শক্তিমান দল- ভারত ও অস্ট্রেলিয়া খুবই দাপুটে ক্রিকেট খেলে ফাইনালের মঞ্চে এসেছে। টুর্নামেন্টে স্বাগতিক ভারতকে হারাতে পারেনি কেউই। টানা ১০ ম্যাচ জিতেছে তারা। অন্যদিকে জোড়া হারে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হলেও টানা ৮টি ম্যাচে অপরাজেয় অস্ট্রেলিয়া। আজ দুর্ধর্ষ ও তুখোড় দুটি দল শিরোপা জয়ের মঞ্চে অবতীর্ণ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ফাইনাল ম্যাচটিকে ঘিরে বাড়তি উত্তাপ-উত্তেজনা ছড়াচ্ছে সবার মধ্যে।
বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ সব সময় আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। তবে এই দুদলের ইতিহাস, ঐতিহ্য, শক্তি ও সামর্থ্য বিবেচনায় আজ আমরা রুদ্ধশ্বাস শ্বাসরুদ্ধকর রোমাঞ্চকর ক্রিকেট মহাযুদ্ধের একটি বারুদ ছড়ানো ম্যাচ দেখতে পারব বলে আশা করি।
অনেক সময় দেখা যায়, একটি দল প্রাথমিক পর্বে খুবই ভালো খেলে। কিন্তু নকআউট পর্বে এসে তাদের চরিত্র বদলে যায়। এ পর্যন্ত এসব ধারণা ভুল প্রমাণ করেছে ভারত দলটি। যতই সামনের দিকে এগিয়েছে টুর্নামেন্ট- ততই যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে দলটি। আমরা দেখেছি, সেমিফাইনালে কিছুটা চাপে পড়লেও কীভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। টুর্নামেন্টজুড়ে যে দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখাল টিম ইন্ডিয়া, তাদের সেই প্রতিচ্ছবিটা ফাইনালের মঞ্চেও দেখতে চাইবে ভারতবাসী। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রোহিত শর্মার দলকে বড় পরীক্ষা দিতে হবে। এই পরীক্ষায় পাস করলেই তাদের অপরাজিত থাকাটা পরিপূর্ণ রূপ পাবে।
অপরদিকে, লিগ পর্বে ভারত ও সাউথ আফ্রিকার কাছে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। অবশ্য এরপর আর কোনো ম্যাচেই তাদের কেউ হারাতে পারেনি। ফেভারিট দলের মতো খেলে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে হাজির হয়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ভারতের মতো টুর্নামেন্টব্যাপী জয় অব্যাহত না থাকলেও বড় ম্যাচের জন্য খুবই ভয়ংকর দল অস্ট্রেলিয়া। কীভাবে ফাইনালের মতো মঞ্চে পারফর্ম করতে হয়, সেটি তাদের চেয়ে ভালো আর কেউ জানে না।
আমি মনে করি, বড় ম্যাচের জন্য সবচেয়ে দক্ষ দল অস্ট্রেলিয়া। এখান থেকে তারা কোনোভাবেই খালি হাতে ফেরত যেতে চাইবে না।
তবে ফাইনালের মহারণে ভারতকেই ফেভারিট বলতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার জন্য তাদের আটকানো কঠিন হবে। ব্যাটিং বলেন, বোলিং বলেন কিংবা ফিল্ডিং- সব দিক থেকেই ভারত দলটি দুরন্ত। তাদের দলে ফাঁকফোকর নেই।
ভারতীয় ব্যাটিং রাজত্বের মধ্যমণি বিরাট কোহলি সেরা পারফর্মার। ফাইনাল ম্যাচটিও স্মরণীয় করে রাখতে চাইবেন এই তারকা ব্যাটার। এ ছাড়া ভারতের প্রত্যেক ব্যাটার প্রত্যেকের যার যার জায়গায় দুর্দান্ত ফর্মে আছেন।
বোলিংয়েও বিধ্বংসী দলটি। ভারতের মূল অস্ত্র এখন মোহাম্মদ শামি। তার সঙ্গে বুমরাহ ও সিরাজও বিপজ্জনক। তাদের বল খেলা কঠিন। তবে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বেশি ভয়ের কারণ হতে পারে ভারতীয় বিষাক্ত স্পিন। কুলদীপ, জাদেজার সঙ্গে অশ্বিন যদি খেলেন, তাহলে তো মহাবিপদে পড়তে পারে অজি ব্যাটাররা। তাদের স্পিন খেলার দুর্বলতা সবার জানা। স্পিন শক্তিতেই এগিয়ে যেতে পারে ভারত। আমি মনে করি, ফাইনালে দুই দলের শক্তির পার্থক্যটা হলো মূল স্পিন বোলিংয়ে। স্পিনেই ম্যাচে বড় পার্থক্য তৈরি হতে পারে।
ফাইনালে ভারত অনেক এগিয়ে থাকলেও আমি মনে করি, তাদের হারানোর সক্ষমতা আছে অস্ট্রেলিয়ার। ফাইনাল ম্যাচে বেশি চাপে থাকবে ভারত। টুর্নামেন্টজুড়ে যে ক্রিকেট খেলল দলটি, ফাইনালেও দাপুটে জয় দেখতে চাইবে দর্শক-সমর্থকরা। এই যে প্রত্যাশার চাপ- সেটি ভারতের খেলায় প্রভাব ফেলতে পারে। স্নায়ু চাপে ভুগলেও ভারতের মতো অতটা চাপে থাকবে না অস্ট্রেলিয়া দল। শুধু তাই নয়, আরও বেশ কিছু জায়গায় ভারতের চেয়ে ফাইনাল ম্যাচে এগিয়ে যেতে পারে তারা।
শুরুতেই ব্যাটিংয়ের কথা বলব। ভারতের ব্যাটাররা ফর্মের তুঙ্গে থাকলেও তাদের লোয়ার মিডল অর্ডার কিন্তু কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়নি। কোনো ম্যাচে চাপ নিয়ে ব্যাটিং করতে দেখা যায়নি সুর্যকুমার, অশ্বিনদের। যদি ফাইনালে এমন পরিস্থিতি দাঁড়ায় যে লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের হাল ধরতে হবে, তাহলে সেখানে অস্ট্রেলিয়ানরা এগিয়ে থাকবে।
এরপর বোলিংয়ের কথা যদি বলি, অস্ট্রেলিয়ার পেস ইউনিট ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। সেমিফাইনালে তাদের আরও বিধ্বংসী রূপ আমরা দেখেছি। ভারতের পেস বোলিং ইউনিট সেরা পারফরম্যান্স দেখালেও ফাইনালে যদি তাদের কোনো পেসার ভালো করতে না পারেন তাহলে বিপদ হতে পারে ভারতের।
ধারাবাহিকভাবে ভালো করা একজন যদি হঠাৎ অফ ফর্মে চলে যান তাহলে দলের শক্তি কমে যায় অনেকাংশে। আর এখানেই এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে অস্ট্রেলিয়ার। ভারতের তিন পেসার ও দুই স্পিনারের সঙ্গে ষষ্ঠ বোলারের অভাব রয়েছে। আর এ জায়গায়ও এগিয়ে যেতে পারে অজিরা।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- ফিল্ডিং। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যাচ মিস, ওভার থ্রোয়ে রান দিয়েছে ভারত। ফাইনালের মতো মঞ্চে যদি ফিল্ডিংয়ে কোনো দুর্বলতা থাকে, তাহলে বড় মাশুল গুনতে হবে তাদের। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে অনেক ভালো অস্ট্রেলিয়া দল।
এ ছাড়া বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে খেলোয়াড়দের মধ্যে ক্লান্তি গ্রাস করে কি না- সেটিই দেখার বিষয় থাকবে। দীর্ঘ টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়া দলের চেয়ে বেশি ভ্রমণ-ক্লান্তি ভারত দলের। সেই ধকল কাটিয়ে ফাইনালে পারফর্ম করতে হবে স্বাগতিকদের।
ফাইনাল ম্যাচের উইকেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের যে ১১টি উইকেট রয়েছে, এর মধ্যে ষষ্ঠ উইকেটে খেলার সম্ভাবনাই প্রবল। ঐতিহ্যগতভাবেই উইকেট ব্যাটিংবান্ধব হয়ে থাকে। পেসার ও স্পিনারদের জন্যও সহায়ক হয়। বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ যেহেতু, উইকেটও ভালো হবে আশা করি।
আগে ব্যাটিং করলে বড় স্কোর দাঁড় করানোর চেষ্টা করবে দুদলই। এ ক্ষেত্রে টসটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। টস জেতা দল বেশি সুবিধা আদায় করে নিতে পারবে। কেননা রাতের শিশিরও খেলায় প্রভাব ফেলতে পারে।
আমি মনে করি, কন্ডিশন বড় ফ্যাক্টর হলেও ভারতের মাটিতে অনেক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে অস্ট্রেলিয়ার। কীভাবে সফল হতে হয়, সেই কৌশল বেশ ভালো করেই জানা তাদের। অন্যদিকে, ভারত হোম অ্যাডাভেন্টজ কাজে লাগানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। ঘরের মাঠে লাখো দর্শকের সামনে খেলবে তারা। দর্শক-সমর্থন তাদের পক্ষে থাকবে।
সব মিলিয়ে পরিশেষে বলব, ফাইনাল ম্যাচের যে স্নায়ু চাপ থাকবে, সেটি কাটিয়ে যারা মাঠের যুদ্ধে এগিয়ে যাবে, তারাই আগামী চার বছর বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার গৌরব অর্জন করতে পারে।
দেশে সম্প্রতি নারীদের বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে কয়েকটি বাধা প্রদানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিশেষ করে মেয়েদের দুটি ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধার বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নারীরা বাংলাদেশের নাগরিক এবং পুরুষদের মতোই সমানভাবে মানবিক ও নাগরিক অধিকার ভোগ করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
এতে উল্লেখ করা হয়, কেউ নারীদের অধিকার লঙ্ঘন করার মতো ঘটনায় সম্পৃক্ত হলে বা এই ধরনের বেআইনি বিধিনিষেধ আরোপের সঙ্গে যুক্ত হলে তিনি বা তারা দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থার মধ্যে পড়বেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেকোনো গোষ্ঠীর নাগরিকদের প্রতি বৈষম্য বা নিপীড়নের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ইতোমধ্যে দিনাজপুর এবং জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনকে স্থগিত ফুটবল ম্যাচ পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন যে, তারা সম্প্রতি তাদের জেলায় নারী ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচ আয়োজন করেছেন।
‘শত শত মানুষ ম্যাচগুলো উপভোগ করেছেন এবং তাদের জেলার সকল শ্রেণির মানুষ এসব আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। আমরা এই বিবৃতির সঙ্গে জয়পুরহাটের নারী ফুটবল ম্যাচের একটি ভিডিও সংযুক্ত করেছি।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত এক মাসে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বৃহত্তম যুব উৎসবগুলির মধ্যে একটি আয়োজন করেছে, যার মধ্যে শত শত গ্রামীণ জেলা এবং উপজেলা শহরে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নারী খেলোয়াড়দের জন্য নানা ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনেক প্রত্যন্ত গ্রামীণ জেলায়ও হাজার হাজার মেয়ে ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল।
‘প্রফেসর ইউনূস আজীবন নারী অধিকারের পক্ষের একজন। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৯০ শতাংশেরও বেশি মালিকানা ছিল নারীদের। গত সপ্তাহে প্রফেসর ইউনূস ফিফা প্রধান জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সাথে দেখা করেন এবং বাংলাদেশে নারী ফুটবলারদের জন্য অবকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে তার সহায়তা চান।’
আরও পড়ুন:ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে শুক্রবার বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দশম কেএসআরএম গলফ টুর্নামেন্ট।
এ টুর্নামেন্টে নারী, সিনিয়র ক্যাটাগরিসহ ১৫৮ গলফার অংশ নেন।
টুর্নামেন্ট উপলক্ষে সবুজে আচ্ছাদিত গলফ ক্লাবকে সাজানো হয় দৃষ্টিনন্দন সাজে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের স্টেশন কমান্ডার ও ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ভিপি (প্রশাসন ও অর্থ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম এনডিসি, পিএসসি।
কেএসআরএমের পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জসিম উদ্দিন, বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. আশফাকুল ইসলাম, ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ইও অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. মোকাদ্দেস হোসেন, কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সাইফুল আলম চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা কেএসআরএমের সহযোগিতায় এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে থাকি, যা অত্যন্ত আনন্দের ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা। এ জন্য কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ।
‘আমরা আশা করছি কেএসআরএমের সঙ্গে আমাদের ধারাবাহিক এ সম্পর্ক আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক পর্যায়ের এসব গলফ টুর্নামেন্ট জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আশফাকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের সব বড় বড় প্রকল্পে কেএসআরএমের রড ব্যবহার হয় ব্যাপক হারে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়নে গর্বিত নির্মাণ অংশীদার ছিল কেএসআরএম।
‘আমাদের কাঁচামাল বিশ্বমানের। যেকোনো ডায়ামিটার ও গ্রেডের রড তৈরিতে সক্ষম আমরা। আমাদের শিপিং সেক্টরে ২৮টি মাদার ভ্যাসেল রয়েছে, যা দিয়ে আমরা জাতির সেবা করছি। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছি প্রচুর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় চেষ্টা করি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে। আগামীতেও আমাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের উপ-মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল নুরুল মোমেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মবিনুর রহমান চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক তাজ উদ্দিন, উপব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান রিয়াদ, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিজান উল হক, মিথুন বড়ুয়া, আশরাফুল ইসলামসহ অনেকে।
টুর্নামেন্টে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ ও র্যাফেল ড্রর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
আরও পড়ুন:ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
সাত সদস্যের এ কমিটিতে পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য পদে আরও যে পাঁচজনের নাম রয়েছে তারা হলেন ওসমান গনি (ক্রীড়া অনুরাগী), মানিক রায় (কোচ), মো. মামুন (রেফারি), দিবস তালুকদার (ক্রীড়া সাংবাদিক) এবং আরিফুর রহমান (ছাত্র প্রতিনিধি)।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব (যুগ্ম সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম এনডিসি স্বাক্ষরিত এক স্মারকে কমিটির অনুমোদনপত্র পাঠানো হয় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
এ ছাড়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়য়ের সচিব, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার একান্ত সচিব, সচিবের একান্ত সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব বরাবর অনুমোদনপত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়।
গত ১৯ জানুয়ারি অনুমোদন হওয়া ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাত সদস্যের অ্যাডহক কমিটির অনুমোদনপত্রে লেখা রয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ২ (১৫)-এ উল্লিখিত স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপর অর্পিত ক্ষমতা অনুসরণে ঝালকাঠি জেলার জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ৮-এ বর্ণিত পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক সদয় অনুমোদিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ৫১তম আগা খাঁন গোল্ড কাপ গলফ টুর্নামেন্ট।
তিন ব্যাপী এ টুর্নামেন্ট শেষ হচ্ছে শনিবার, যা শুরু হয় বৃহস্পতিবার।
টুর্নামেন্টে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের দেশি/বিদেশি সদস্যসহ দেশের সব গলফ ক্লাবের প্রায় ৫০০ জন গলফার অংশ নেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা ছাড়াও কমান্ড্যান্ট, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ ও কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক, প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মাদাদ আলী ভিরানী, ক্লাব ক্যাপ্টেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তৌহিদ হোসেন, টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবিদুর রেজা খান (অব.), সংশ্লিষ্ট ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য, ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্নেল মো. শহিদুল হক (অব.), ক্লাব সেক্রেটারি কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন, কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের লেডি ক্যাপ্টেন প্রফেসর শাহীন মাহবুবা হক, ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, ক্লাব অ্যাফেয়ার্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মো. সাইদুর রহমান (অব.), ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, গলফ অপারেশনস লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ার হোসেন (অব.), বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিল বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নবনিযুক্ত সভাপতি। পদাধিকারবলে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিওএ-র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সেনাবাহিনী প্রধান তার এই প্রথম সভায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সভায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিওএ-র কার্যনিবাহী কমিটির সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন এবং সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান বলেছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পুলিশ সার্ভেইল্যান্সে (নজরদারিতে) রাখা হয়েছে।
রোববার পল্টনে আউটার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ‘ওয়ালটন-ক্র্যাব স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ২০২৪’-এর ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এরকম (শীর্ষ সন্ত্রাসী) যারা ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছে, তারা দীর্ঘ সময় জেল খেটে আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে। তারা আমাদের সার্ভেইল্যান্সে রয়েছে। নতুন করে অপরাধে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পুলিশে এখনও যোগদান না করা সদস্যদের বিষয়ে জানতে চাইলে মাইনুল হাসান বলেন, ‘এটা একেবারেই মিনিমাম নম্বর। যারা যোগদান করেননি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিএমপি মহানগরীর শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। তেমনই ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) বিভিন্নভাবে অপরাধ বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করছে।
‘ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন, যেটি বহুদিন থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ সব সময় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে থাকে।’
ডিএমপি কমিশনার পরে পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্র্যাব সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানসহ ক্র্যাবের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আসিয়ান ঢাকা কমিটির পক্ষ থেকে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শনিবার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ সময় আসিয়ান ঢাকা কমিটির প্রতিনিধি ঢাকায় নিযুক্ত ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হারিস বিন ওথম্যান, ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত হিরু হারতানতো সুবোলো, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ হাশিম, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কেইও সোয়ে মোয়ে, ফিলিপাইনের জুনিয়র রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল আউসান, সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্রের হাইকমিশনার মাইকেল লি, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিটমোর, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নগুয়েন মানহ কুওয়ংসহ কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য