ইডেন গার্ডেনসের ব্যাটিংবান্ধব পিচে আজ দেখা গেল উল্টোচিত্র। দুই ইনিংসেই বোলারদের দাপট। স্বল্প রানের লক্ষ্য দিয়েও শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ইনিংসে রোমাঞ্চের পর রোমাঞ্চ ছড়িয়েও সেমিফাইনাল থেকে এবারও বিদায় নিতে হলো তাদের। এর ফলে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ফাইনাল চূড়ান্ত হলো।
বারবার সেমিফাইনালে এসে খেই হারানোর কারণে প্রোটিয়াদের ‘চোকার্স’ তকমা রয়েছে অনেক আগে থেকেই। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২১২ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে খেলতে নেমে ১৬ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
লক্ষ্য মাত্র ২১৩ হলেও অস্ট্রেলিয়াকে ছেড়ে কথা বলেনি প্রোটিয়ারা। তাদের অদম্য মনোবলের কারণে দ্বিতীয় ইনিংস হয়ে উঠেছে উপভোগ্য। ম্যাচের দৃশ্যপট পাল্টেছে বারবার।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্র্যাভিস হেড। তবে সপ্তম ওভারে বল হাতে এসে প্রথম বলেই উইকেটের দেখা পান আউডেন মার্করাম। ১৮ বলে ২৯ রান করা ডেভিড ওয়ার্নারকে মার্করাম বোল্ড করে ফেরালে দলীয় ৬০ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের দেখা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এক রানের ব্যবধানে তৃতীয় ব্যাটার মিচেল মার্শকে ফেরান কাগিসো রাবাদা। ফলে জমে ওঠে ম্যাচ।
এ সময় পুরোপুরি রক্ষণাত্মক ক্রিকেটে চলে যায় অস্ট্রেলিয়া। আর মাঠ ছোট করে ফিল্ডার সাজিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের আরও চেপে ধরেন টেম্বা বাভুমা। এ সময় ক্রিজে এসে উইকেটের সামনে দেয়াল তুলে দেন স্টিভেন স্মিথ। হেড তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলে ধীরে ধীরে চাপ থেকে বের হয়ে আসে অস্ট্রেলিয়া। এর মাঝে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন হেড।
কিন্তু এর কিছু পরই দৃশ্যপটে আবার পবির্তন। ট্র্যাভিস হেডকে বোল্ড করে দেন কেশব মহারাজ। ফলে নতুন ব্যটার মারনাস লেবুশেনকে আবার স্থির মস্তিষ্কে ব্যাট করতে পরামর্শ দেন স্মিথ। ফলে ফের বোলিং-ফিল্ডিং দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপর আম্পায়ার সিদ্ধান্তে বেঁচে যান লেবুশেন। আর ক্যাচ দিয়েও জীবন পান স্মিথ।
তাবরাইজ শামসির অফ স্ট্যাম্পের বাইরে পিচ করা ডেলিভারি ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে ব্যর্থ হন লাবুশেন। বল তার পেছনের প্যাডে আঘাত করলে প্রোটিয়াদের জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। অথচ রিভিউয়ের সময় রিপ্লেতে দেখা যায় বলের ‘পিচিং’ ও ‘উইকেটস’ ঠিক, কিন্তু ইমপ্যাক্টের ক্ষেত্রে আম্পায়ার্স কলের সম্মান জানানো হয় বলে বেঁচে যান লাবুশেন। এক্ষেত্রে আম্পায়ার আউট দিয়ে দিলে রিভিউ নিয়েও কাজ হতো না তার।
১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে এজ হয়ে যান স্মিথ, কিন্তু ডি কক ক্যাচটি লুফে নিতে না পারায় সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি।
এর কিছু পর আবার আসে নাটকীয় মোড়। দলীয় ১৩৩ রানের মাথায় সেই শামসির বলেই লেপ বিফোর হয়ে ফিরতে হয় লেবুশেনকে। নিজের পরের ওভারে নতুন ব্যাটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান শামসি। ফলে ১৩৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে খানিকটা বিপদেই পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
জস ইংলিসকে নিয়ে আবার ক্রিজে শেকড় নামাতে থাকেন স্মিথ। এতে কিছুটা স্বস্তিও আসে অজি শিবিরে। প্রোটিয়া স্পিনারদের পরের দশ ওভার সামাল দেন এ দুজন, তোলেন ৩৭ রান। কিন্তু এরপর পেসার গেরাল্ড কোয়েটজি এসেই তাদের প্রতিরোধ ভেঙে দলকে ব্রেকথ্রু এনে দেন।
স্টিভেন স্মিথ যখন কোয়েটজির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরছেন, তখন তার সংগ্রহ ৬২ বলে ৩০; মেরেছেন মাত্র দুটি চারের মার।
স্মিথের ফেরার পর আবার কোমর বেঁধে নামের প্রোটিয়ারা। অন্যদিকে মিচেল স্টার্ককে সঙ্গে নিয়ে ‘টেস্ট ম্যাচের পঞ্চম দিনের শেষ বিকেলের ইনিংস’ খেলতে থাকেন ইংলিস। দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়ে তিনি যখন বিদায় নিচ্ছেন, তখন তার ব্যক্তিগত স্কোর ৪৯ বলে ২৮। দলের দরকার ৬১ বলে ২০ রান।
তবে এ অবস্থায়ও হাল ছাড়েনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০ রানের আগেই অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন বাভুমা, ডি কক। একের পর এক ভিন্ন ভিন্ন অস্ত্র প্রয়োগ করতে থাকেন তারা। আর ব্যাট দিয়ে ইস্পাত কঠিন বর্ম বানিয়ে একের পর এক গোলার মতো বল প্রতিহত করতে থাকেন মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। এর মধ্যে শেষ মুহূর্তে আরও এক নাটকীয়তার দেখা হয়তো পাওয়া যেত। হয়তো ম্যাচটি জিতেও নিতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকা, কিন্তু কামিন্সের ক্যাচ গ্লাভসে রাখতে না পারায় সে সম্ভাবনা আর আলোর মুখ দেখেনি।
শেষ পর্যন্ত এ দুই পেসারের ব্যাটেই ৪৭.২তম ওভারে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টিম ক্যাঙ্গারু। আর আরও একটি বিষাদের গল্পে নিয়ে ঘরে ফিরতে হয় ‘চোকার্স’ প্রোটিয়াদের।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন তাবরাইজ শামসি ও গেরাল্ড কোয়েটজি। একটি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন কাগিসো রাবাদা, আইডেন মার্করাম ও কেশব মহারাজ।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ২১২ রান তুলতে সমর্থ হন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। ডেভিড মিলার ১০১ এবং হাইনরিখ ক্লাসেন ৪৭ রান করেন। বাকি ব্যাটারদের মোট সংগ্রহ ছিল ৫৩।
সেমিফাইনালের ম্যাচে এসেই প্রোটিয়া ব্যাটারদের সবার যেন মাথা গুলিয়ে যায়। ইডেনের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটেও দলকে একের পর এক ব্যর্থতা উপহার দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ব্যাটাররা।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। এ ছাড়া জশ হেজলউড ও ট্র্যাভিস হেড পেয়েছেন দুটি করে উইকেটের দেখা।
ব্যাট হাতে ৬২ রান ও বল হাতে দুই উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের নায়ক ট্র্যাভিস হেড।
এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো সেমিতেই থামল দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ যাত্রা। অন্যদিকে অষ্টমবারের মতো গেল ফাইনালে উঠল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
আগামী সোমবার তৃতীয় ট্রফির খোঁজে ভারত ও নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপার মিশনে মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া। এতে করে ২০০৩ সালের ঠিক বিশ বছর পর আবারও ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল দেখবে ক্রিকেট বিশ্ব।
দেশে সম্প্রতি নারীদের বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে কয়েকটি বাধা প্রদানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিশেষ করে মেয়েদের দুটি ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধার বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নারীরা বাংলাদেশের নাগরিক এবং পুরুষদের মতোই সমানভাবে মানবিক ও নাগরিক অধিকার ভোগ করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
এতে উল্লেখ করা হয়, কেউ নারীদের অধিকার লঙ্ঘন করার মতো ঘটনায় সম্পৃক্ত হলে বা এই ধরনের বেআইনি বিধিনিষেধ আরোপের সঙ্গে যুক্ত হলে তিনি বা তারা দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থার মধ্যে পড়বেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেকোনো গোষ্ঠীর নাগরিকদের প্রতি বৈষম্য বা নিপীড়নের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ইতোমধ্যে দিনাজপুর এবং জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনকে স্থগিত ফুটবল ম্যাচ পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন যে, তারা সম্প্রতি তাদের জেলায় নারী ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচ আয়োজন করেছেন।
‘শত শত মানুষ ম্যাচগুলো উপভোগ করেছেন এবং তাদের জেলার সকল শ্রেণির মানুষ এসব আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। আমরা এই বিবৃতির সঙ্গে জয়পুরহাটের নারী ফুটবল ম্যাচের একটি ভিডিও সংযুক্ত করেছি।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত এক মাসে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বৃহত্তম যুব উৎসবগুলির মধ্যে একটি আয়োজন করেছে, যার মধ্যে শত শত গ্রামীণ জেলা এবং উপজেলা শহরে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নারী খেলোয়াড়দের জন্য নানা ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনেক প্রত্যন্ত গ্রামীণ জেলায়ও হাজার হাজার মেয়ে ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল।
‘প্রফেসর ইউনূস আজীবন নারী অধিকারের পক্ষের একজন। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৯০ শতাংশেরও বেশি মালিকানা ছিল নারীদের। গত সপ্তাহে প্রফেসর ইউনূস ফিফা প্রধান জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সাথে দেখা করেন এবং বাংলাদেশে নারী ফুটবলারদের জন্য অবকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে তার সহায়তা চান।’
আরও পড়ুন:ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে শুক্রবার বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দশম কেএসআরএম গলফ টুর্নামেন্ট।
এ টুর্নামেন্টে নারী, সিনিয়র ক্যাটাগরিসহ ১৫৮ গলফার অংশ নেন।
টুর্নামেন্ট উপলক্ষে সবুজে আচ্ছাদিত গলফ ক্লাবকে সাজানো হয় দৃষ্টিনন্দন সাজে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের স্টেশন কমান্ডার ও ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ভিপি (প্রশাসন ও অর্থ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম এনডিসি, পিএসসি।
কেএসআরএমের পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জসিম উদ্দিন, বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. আশফাকুল ইসলাম, ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ইও অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. মোকাদ্দেস হোসেন, কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সাইফুল আলম চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা কেএসআরএমের সহযোগিতায় এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে থাকি, যা অত্যন্ত আনন্দের ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা। এ জন্য কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ।
‘আমরা আশা করছি কেএসআরএমের সঙ্গে আমাদের ধারাবাহিক এ সম্পর্ক আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক পর্যায়ের এসব গলফ টুর্নামেন্ট জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আশফাকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের সব বড় বড় প্রকল্পে কেএসআরএমের রড ব্যবহার হয় ব্যাপক হারে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়নে গর্বিত নির্মাণ অংশীদার ছিল কেএসআরএম।
‘আমাদের কাঁচামাল বিশ্বমানের। যেকোনো ডায়ামিটার ও গ্রেডের রড তৈরিতে সক্ষম আমরা। আমাদের শিপিং সেক্টরে ২৮টি মাদার ভ্যাসেল রয়েছে, যা দিয়ে আমরা জাতির সেবা করছি। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছি প্রচুর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় চেষ্টা করি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে। আগামীতেও আমাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের উপ-মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল নুরুল মোমেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মবিনুর রহমান চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক তাজ উদ্দিন, উপব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান রিয়াদ, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিজান উল হক, মিথুন বড়ুয়া, আশরাফুল ইসলামসহ অনেকে।
টুর্নামেন্টে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ ও র্যাফেল ড্রর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
আরও পড়ুন:ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
সাত সদস্যের এ কমিটিতে পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য পদে আরও যে পাঁচজনের নাম রয়েছে তারা হলেন ওসমান গনি (ক্রীড়া অনুরাগী), মানিক রায় (কোচ), মো. মামুন (রেফারি), দিবস তালুকদার (ক্রীড়া সাংবাদিক) এবং আরিফুর রহমান (ছাত্র প্রতিনিধি)।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব (যুগ্ম সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম এনডিসি স্বাক্ষরিত এক স্মারকে কমিটির অনুমোদনপত্র পাঠানো হয় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
এ ছাড়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়য়ের সচিব, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার একান্ত সচিব, সচিবের একান্ত সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব বরাবর অনুমোদনপত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়।
গত ১৯ জানুয়ারি অনুমোদন হওয়া ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাত সদস্যের অ্যাডহক কমিটির অনুমোদনপত্রে লেখা রয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ২ (১৫)-এ উল্লিখিত স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপর অর্পিত ক্ষমতা অনুসরণে ঝালকাঠি জেলার জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ৮-এ বর্ণিত পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক সদয় অনুমোদিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ৫১তম আগা খাঁন গোল্ড কাপ গলফ টুর্নামেন্ট।
তিন ব্যাপী এ টুর্নামেন্ট শেষ হচ্ছে শনিবার, যা শুরু হয় বৃহস্পতিবার।
টুর্নামেন্টে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের দেশি/বিদেশি সদস্যসহ দেশের সব গলফ ক্লাবের প্রায় ৫০০ জন গলফার অংশ নেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা ছাড়াও কমান্ড্যান্ট, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ ও কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক, প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মাদাদ আলী ভিরানী, ক্লাব ক্যাপ্টেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তৌহিদ হোসেন, টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবিদুর রেজা খান (অব.), সংশ্লিষ্ট ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য, ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্নেল মো. শহিদুল হক (অব.), ক্লাব সেক্রেটারি কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন, কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের লেডি ক্যাপ্টেন প্রফেসর শাহীন মাহবুবা হক, ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, ক্লাব অ্যাফেয়ার্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মো. সাইদুর রহমান (অব.), ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, গলফ অপারেশনস লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ার হোসেন (অব.), বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিল বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নবনিযুক্ত সভাপতি। পদাধিকারবলে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিওএ-র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সেনাবাহিনী প্রধান তার এই প্রথম সভায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সভায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিওএ-র কার্যনিবাহী কমিটির সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন এবং সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান বলেছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পুলিশ সার্ভেইল্যান্সে (নজরদারিতে) রাখা হয়েছে।
রোববার পল্টনে আউটার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ‘ওয়ালটন-ক্র্যাব স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ২০২৪’-এর ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এরকম (শীর্ষ সন্ত্রাসী) যারা ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছে, তারা দীর্ঘ সময় জেল খেটে আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে। তারা আমাদের সার্ভেইল্যান্সে রয়েছে। নতুন করে অপরাধে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পুলিশে এখনও যোগদান না করা সদস্যদের বিষয়ে জানতে চাইলে মাইনুল হাসান বলেন, ‘এটা একেবারেই মিনিমাম নম্বর। যারা যোগদান করেননি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিএমপি মহানগরীর শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। তেমনই ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) বিভিন্নভাবে অপরাধ বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করছে।
‘ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন, যেটি বহুদিন থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ সব সময় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে থাকে।’
ডিএমপি কমিশনার পরে পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্র্যাব সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানসহ ক্র্যাবের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আসিয়ান ঢাকা কমিটির পক্ষ থেকে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শনিবার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ সময় আসিয়ান ঢাকা কমিটির প্রতিনিধি ঢাকায় নিযুক্ত ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হারিস বিন ওথম্যান, ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত হিরু হারতানতো সুবোলো, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ হাশিম, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কেইও সোয়ে মোয়ে, ফিলিপাইনের জুনিয়র রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল আউসান, সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্রের হাইকমিশনার মাইকেল লি, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিটমোর, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নগুয়েন মানহ কুওয়ংসহ কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য