৩৯৮ রানের লক্ষ্য টপকে জেতা, তাও আবার ভারতের অগ্নিঝরা বোলিং মোকাবিলা করে- চলতি বিশ্বকাপে এ যেন শুধুই দিবাস্বপ্নের মতো। তবে দিবাস্বপ্নকে সাকার রূপ দিতেই আজ লড়াই করল নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। কিন্তু মোহাম্মদ শামির কারণে তা হয়ে উঠল না। যতবারই কিউইরা জয়ের দিকে এগিয়েছে, ঠিক সে সময়ই বোলিংয়ে এসে তাদের কোমর ভেঙে দিয়েছেন শামি। ফলে ৭ বল আগেই অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
বুধবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ডকে ৩৯৮ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। জবাবে খেলতে নেমে ৩২৭ রানে অলআউট হয়েছে নিউজিল্যান্ড। ফলে ৭০ রানের জয় নিয়ে ফাইনালে উঠেছে স্বাগতিকরা।
এদিন নিউজিল্যান্ডের একমাত্র প্রাপ্তি ড্যারিল মিচেলের অনবদ্য ১৩৪ রানের ইনিংসটি। অন্যদিকে শ্রেয়াস আইয়ারের ঝড়ো শতক এবং বিরাট কোহলির ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক সেঞ্চুরির রেকর্ড মলিন হয়েছে মোহাম্মদ শামির বিরল বোলিং প্রদর্শনীতে।
একাই সাত উইকেট নিয়েছেন শামি। এটুকু বললে বোধহয় কমই বলা হয়। কারণ যখনই দলের উইকেটের দরকার হয়েছে। শামির হাতে বল তুলে দিয়েছেন অধিনায়ক। আর জোড়া জোড়া উইকেট নিয়ে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি। আজকের খেলা দেখে অনেক নবাগত ক্রিকেটামোদীর এমন মনে হতে পারে যে, শামি বল করলেই উইকেট পাবেন- তা রোহিত আগেই জনতেন। প্রথম পাওয়ার প্লে হোক, মিডল অর্ডার বা স্লগ ওভার- সবখানেই অনন্য বোলিং পারফরম্যান্সের এক বিরল প্রদর্শনী দেখিয়েছেন তিনি।
আজকের পারফরম্যান্সে রেকর্ড বইয়ের বেশ কয়েক জায়গায় পরিবর্তন এনেছেন শামি। ভারতের প্রথম বোলার হিসেবে বিশ্বকাপের ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ৭ উইকেট। বিশ্বকাপে ৭ উইকেট নেয়া পঞ্চম বোলার তিনি। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে নক-আউট পর্বে এটিই সেরা বোলিং। এর আগে ১৯৭৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে ১৪ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন গ্যারি গিলমোর।
চলতি আসরে তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট শিকার করেছেন শামি। এক বিশ্বকাপে তিন বার ৫ উইকেট নেয়া প্রথম বোলার তিনি। আর সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে এটি তার চতুর্থ ৫ উইকেট। এতে করে মিচেল স্টার্কের তিন ফাইফারের রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি।
উড়ন্ত ছন্দে থাকা শামির এবারের বিশ্বকাপে মোট শিকার ২৩টি। ভারতের বোলারদের মধ্যে এক আসরে এটিই রেকর্ড। ২০১১ সালে দলকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে জাহির খান নিয়েছিলেন ২১ উইকেট। আরও মনে রাখা দরকার, বিশ্বকাপের সম্ভাব্য সব ম্যাচে খেলার সুযোগ হয়নি শামির। গ্রুপ পর্ব ও সেমিফাইনাল মিলিয়ে দশটি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকলেও তিনি বল করেছেন মাত্র ছয় ম্যাচে।
সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারে তার সামনে স্রেফ দুজন। মিচেল স্টার্ক, ২০১৯ সালে ২৭ উইকেট এবং গ্লেন ম্যাকগ্রা ২০০৭ সালে নেন ২৬ উইকেট।
৪৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেয় নিউজিল্যান্ড। প্রথম বলেই চার মেরে ইনিংস শুরু করেন ডেভন কনওয়ে। তবে বুমরাহ-সিরাজদের অগ্নিঝরা প্রতিটি বল মোকাবিলা করতে গিয়েই ঘাম ছুটে যাচ্ছিল কিউই ব্যাটারদের।
এর মধ্যে পাঁচ ওভারে ত্রিশ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। এরপর ব্রেকথ্রুর আশায় মোহাম্মদ শামির হাতে বল তুলে দেন রোহিত। বোলিংয়ে এসে প্রথম ডেলিভারিতেই সফলতা পান শামি। কনওয়েকে অফস্ট্যাম্পের সামান্য বাইরে ফুলার ডেলিভারি করেন শামি। সেটিতে অফ ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে রাহুলের হাতে এজ হয়ে যান কনওয়ে। ফলে দলীয় ৩০ আর ১৫ বলে ব্যক্তিগত ১৩ রান করে ফিরতে হয় তাকে। এই উইকেটের ফলে চলতি বিশ্বকাপে খেলা ছয় ম্যাচের চারটিতেই প্রথম বলে উইকেট নেন শামি।
পরের ওভারে ফের উইকেটের দেখা পান তিনি। এবার শামির শিকার আরেক ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র। এবারও প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। আউটসাইড অফের ডেলিভারিতে এগিয়ে না গিয়ে পুশ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন রাচিনও। দুটি ক্যাচই অবশ্য নিচু ছিল, অসাধারণ দক্ষতায় সেগুলো লুফে নেন উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুল।
এরপর উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেল। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৪৬ রান তুলতে গিয়ে দুই উইকেট হারানোর পর দেখেশুনে খেলতে থাকেন এ দুই ব্যাটার। উপযুক্ত বলে বাউন্ডারির পাশাপাশি স্ট্রাইক রোটেট করায় মনোযোগী হন তারা।
উইলিয়ামসন-মিচেলের ব্যাটেই দলীয় এক শ’, দেড় শ’, পরে দুই শ’ পার করে নিউজিল্যান্ড। এর মাঝে নিজেদের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন দুজনই।
তবে অর্ধশত পার করার পরপরই আউট হয়ে যেতে পারতেন উইলিয়ামসন। ২৬তম ওভারের পঞ্চম বলে কুলদিপ যাদবের ঘুর্ণি ডেলিভারিটি লং অফের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন কিউই অধিনায়ক। কিন্তু বল-ব্যাটের সংযোগ যুতসই না হওয়ায় সীমানার মধ্যেই ক্যাচ ওঠে। তবে বলটি দূরত্ব না পাওয়ায় ফিল্ডার পৌঁছাতে পারেননি। ফলে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। কিছু পর বুমরাহর একটু লাফিয়ে ওঠা বল সজোরে ব্যাট চালিয়ে লং অন অঞ্চল দিয়ে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে আউট হয়েই যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু শর্টে ফিল্ড করা শামি ক্যাচটি হাতে রাখতে না পারলে আরও একবার জীবন পান উইলিয়ামসন।
সবকিছুর মাঝেও রানের চাকা সচল রেখেছিলেন উইলিয়ামসন ও মিচেল। দলীয় রান রেট ৬-এর উপরে রাখার কথা মাথায় নিয়েই ব্যাট চালাচ্ছিলেন তারা।
দলীয় রান দুই শ’ পার করার কিছুক্ষণ পর সেঞ্চুরির দেখা পান ড্যারিল মিচেল। ৮৫ বলে পাঁচটি ছক্কা ও আটটি চারের সাহায্যে শতক পূর্ণ করেন তিনি। এর মাধ্যমে বিশ্বকাপে কিউই ব্যাটার হিসেবে তৃতীয় দ্রুত শতক হাঁকান তিনি।
তবে এর পরের বলেই দলকে ফের ব্রেকথ্রু এনে দেন শামি। ৩২তম ওভারে নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটান তিনি। শামির ক্রস ডেলিভারিটি ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ অঞ্চল দিয়ে বের করতে চেয়েছিলেন উইলিয়ামসন, কিন্তু জোর না পাওয়ায় তা সীমানায় ক্যাচ হয়ে যায়। তিনি ৬৯ রানে সাজঘরে ফিরলে ১৮১ রানের জুটি ভাঙে। এর মাধ্যমে বিশ্বকাপে উইকেটের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে অভিজাত বোলারদের তালিকায় স্থান করে নেন মোহাম্মদ শামি।
তবে তার পঞ্চাশ ছোঁয়া রেকর্ডটি একটু বিশেষই। কারণ ট্রেন্ট বোল্ট, লাসিথ মালিঙ্গা ও মিচেল স্টার্কের মতো বোলারদের টপকে মাত্র ১৭ ইনিংসে ৫০ উইকেট শিকার করেন তিনি।
এরপর টম ল্যাথাম ক্রিজে এসে প্রথম বলটি রক্ষাণাত্মক ভঙ্গিতে মোকাবিলা করেন। কিন্তু পরের বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। ফলে আরও একবার বিশ্বকাপে চার উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন শামি।
মূলত এই দুই উইকেট হারিয়েই ব্যাকফুটে চলে যায় নিউজিল্যান্ড। প্রতিটি ডট ও এক রানের সঙ্গে রান রেট বেড়ে চলেছিল হু হু করে। গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে এই পরিস্থিতি থেকে যদিও বেরিয়ে আসার একটা প্রচেষ্টা করেছিলেন মিচেল, কিন্তু ৩৩ বলে ৪১ রান করে ফিলিপস সাজঘরে ফিরলে মাত্র দুই রান করে ফেরেন মার্ক চ্যাপম্যানও। ফলে রান তোলার চাপ কেবল বাড়তেই থাকে।
৪৪.১ ওভারে দলীয় তিন শ’ পার করে নিউজিল্যান্ড। জয়ের জন্য তাদের সামনে সমীকরণ তখন ৩৫ বলে ৯৮ রান।
এখান থেকে ব্যাটের গতি বাড়ান মিচেল। কিন্তু ৪৬তম ওভারে বলে এসে আবারও ভারতে জয়ের দিকে এগিয়ে দেন শামি। শামির বলে সীমান্তে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন ড্যারিল মিচেল। ফলে তার ১১৯ বলে ১৩৪ রানের অসাধারণ ইনিংসটির সমাপ্তি ঘটার সঙ্গে সঙ্গে হতাশায় ডোবে নিউজিল্যান্ড।
শেষের দিকের ব্যাটাররা বুমরাহ, শামি ও সিরাজের তোপ সামলাতেই ব্যস্ত ছিলেন বেশি। শেষ পর্যন্ত ৪৪.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩২৭ রানে থামে কিউইদের ইনিংস। ফলে ৭০ রানের বড় জয় পেয়ে প্রথম ফাইনালিস্ট বনে যায় ভারত।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অধিনায়কের সে সিদ্ধান্তের পূর্ণ মূল্যায়ন করেছেন ব্যাটাররা। চার উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ৩৯৮ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত।
ব্যাট হতে বিরাট কোহলি সর্বোচ্চ ১১৭ রান করেন। এছাড়া ঝড়ো সেঞ্চুরি হাঁকানো শ্রেয়াস আইয়ার করেন ১০৫, আহত হয়ে মাঠ ছাড়া শুভমান ৮০, রোহিত ৪৭ ও লোকেশ রাহুল ৩৯ রান করেন।
এদিন ব্যাটে নেমেই রূদ্রমুর্তি ধারণ করেন হিটম্যান রোহিত ও শুভমান গিল। চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন তারা।
দলীয় ৭১ রানের মাথায় যখন রোহিত টিম সাউদির বলে আউট হয়ে ফেরেন, তখন তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ২৯ বলে ৪৭ রান। এ রান করার পথে তিনি মারেন চারটি করে চার ও ছক্কার মার।
পরে কোহলিকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন শুভমান। একপাশে তিনি সমানে ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছিলেন, অন্যপ্রান্তে বোলারদের ডেলিভারি অনুযায়ী খেলছিলেন কোহলি। এর মাঝে ২৩তম ওভারে রান নিতে গিয়ে পড়ে যান শুভমান। পড়ে গিয়ে আহত হলে তাকে রিটায়ার করে মাঠ ছাড়তে হয়। তার আগে ৬৫ বলে ৭৯ রান করেন তিনি। ফলে সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকা এ ব্যাটারকে অপূর্ণতা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়।
শুভমান প্যাভিলিয়নে ফিরলে ক্রিজে আসেন শ্রেয়াস আইয়ার। কোহলির সঙ্গে ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটিটি (১৬৩) গড়েন তিনি। এর মাঝে সেঞ্চুরি তুলে নেন বিরাট কোহলি। এই সেঞ্চুরির ফলে বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রান, সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস এবং ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন তিনি।
সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। সাউদির লেংথ বল বেরিয়ে এসে ডিপ স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু টাইমিং না হওয়ায় সীমানায় ডেভন কনওয়ের হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১১৩ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলে যান।
এরপর লোকেশ রাহুলকে নিয়ে রান তোলার গতি বাড়ানোর চেষ্টায় মনোযোগী হন শ্রেয়াস। এর মাঝে ৬৭ বলে নিজের ঝড়ো সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এটি চলতি বিশ্বকাপে তার টানা দ্বিতীয় শতক। ৩৫ বলে প্রথম পঞ্চাশ করার পর পরের পঞ্চাশ তিনি তোলেন মাত্র ৩২ বলে।
সেঞ্চুরির পর আরও মারমুখী হয়তে গিয়ে ১০৫ রানের মাথায় ফিরতে হয় শ্রেয়াসকে। ট্রেন্ট বোল্টের শর্ট ডেলিভারিতে স্ট্রেইট ফরওয়ার্ডে ছক্কা হাকাতে গিয়ে লং অনে ড্যারিল মিচেলের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে ৮টি ছক্কা ও চারটি চারের মার মারেন শ্রেয়াস।
এরপর রাহুলের ২০ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ক্যামিওতে নিউজিল্যান্ডকে ৩৯৮ রানের বিরাট লক্ষ্য দেয় ভারত।
কিউইদের হয়ে টিম সাউদি তিনটি ও ট্রেন্ট বোল্ট একটি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন:দেশে সম্প্রতি নারীদের বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে কয়েকটি বাধা প্রদানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিশেষ করে মেয়েদের দুটি ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধার বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নারীরা বাংলাদেশের নাগরিক এবং পুরুষদের মতোই সমানভাবে মানবিক ও নাগরিক অধিকার ভোগ করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
এতে উল্লেখ করা হয়, কেউ নারীদের অধিকার লঙ্ঘন করার মতো ঘটনায় সম্পৃক্ত হলে বা এই ধরনের বেআইনি বিধিনিষেধ আরোপের সঙ্গে যুক্ত হলে তিনি বা তারা দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থার মধ্যে পড়বেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেকোনো গোষ্ঠীর নাগরিকদের প্রতি বৈষম্য বা নিপীড়নের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ইতোমধ্যে দিনাজপুর এবং জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনকে স্থগিত ফুটবল ম্যাচ পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন যে, তারা সম্প্রতি তাদের জেলায় নারী ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচ আয়োজন করেছেন।
‘শত শত মানুষ ম্যাচগুলো উপভোগ করেছেন এবং তাদের জেলার সকল শ্রেণির মানুষ এসব আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। আমরা এই বিবৃতির সঙ্গে জয়পুরহাটের নারী ফুটবল ম্যাচের একটি ভিডিও সংযুক্ত করেছি।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত এক মাসে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বৃহত্তম যুব উৎসবগুলির মধ্যে একটি আয়োজন করেছে, যার মধ্যে শত শত গ্রামীণ জেলা এবং উপজেলা শহরে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নারী খেলোয়াড়দের জন্য নানা ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনেক প্রত্যন্ত গ্রামীণ জেলায়ও হাজার হাজার মেয়ে ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল।
‘প্রফেসর ইউনূস আজীবন নারী অধিকারের পক্ষের একজন। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৯০ শতাংশেরও বেশি মালিকানা ছিল নারীদের। গত সপ্তাহে প্রফেসর ইউনূস ফিফা প্রধান জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সাথে দেখা করেন এবং বাংলাদেশে নারী ফুটবলারদের জন্য অবকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে তার সহায়তা চান।’
আরও পড়ুন:ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে শুক্রবার বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দশম কেএসআরএম গলফ টুর্নামেন্ট।
এ টুর্নামেন্টে নারী, সিনিয়র ক্যাটাগরিসহ ১৫৮ গলফার অংশ নেন।
টুর্নামেন্ট উপলক্ষে সবুজে আচ্ছাদিত গলফ ক্লাবকে সাজানো হয় দৃষ্টিনন্দন সাজে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের স্টেশন কমান্ডার ও ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ভিপি (প্রশাসন ও অর্থ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম এনডিসি, পিএসসি।
কেএসআরএমের পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জসিম উদ্দিন, বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. আশফাকুল ইসলাম, ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ইও অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. মোকাদ্দেস হোসেন, কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সাইফুল আলম চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা কেএসআরএমের সহযোগিতায় এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে থাকি, যা অত্যন্ত আনন্দের ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা। এ জন্য কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ।
‘আমরা আশা করছি কেএসআরএমের সঙ্গে আমাদের ধারাবাহিক এ সম্পর্ক আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক পর্যায়ের এসব গলফ টুর্নামেন্ট জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আশফাকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের সব বড় বড় প্রকল্পে কেএসআরএমের রড ব্যবহার হয় ব্যাপক হারে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়নে গর্বিত নির্মাণ অংশীদার ছিল কেএসআরএম।
‘আমাদের কাঁচামাল বিশ্বমানের। যেকোনো ডায়ামিটার ও গ্রেডের রড তৈরিতে সক্ষম আমরা। আমাদের শিপিং সেক্টরে ২৮টি মাদার ভ্যাসেল রয়েছে, যা দিয়ে আমরা জাতির সেবা করছি। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছি প্রচুর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় চেষ্টা করি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে। আগামীতেও আমাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের উপ-মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল নুরুল মোমেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মবিনুর রহমান চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক তাজ উদ্দিন, উপব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান রিয়াদ, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিজান উল হক, মিথুন বড়ুয়া, আশরাফুল ইসলামসহ অনেকে।
টুর্নামেন্টে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ ও র্যাফেল ড্রর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
আরও পড়ুন:ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
সাত সদস্যের এ কমিটিতে পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য পদে আরও যে পাঁচজনের নাম রয়েছে তারা হলেন ওসমান গনি (ক্রীড়া অনুরাগী), মানিক রায় (কোচ), মো. মামুন (রেফারি), দিবস তালুকদার (ক্রীড়া সাংবাদিক) এবং আরিফুর রহমান (ছাত্র প্রতিনিধি)।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব (যুগ্ম সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম এনডিসি স্বাক্ষরিত এক স্মারকে কমিটির অনুমোদনপত্র পাঠানো হয় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
এ ছাড়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়য়ের সচিব, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার একান্ত সচিব, সচিবের একান্ত সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব বরাবর অনুমোদনপত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়।
গত ১৯ জানুয়ারি অনুমোদন হওয়া ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাত সদস্যের অ্যাডহক কমিটির অনুমোদনপত্রে লেখা রয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ২ (১৫)-এ উল্লিখিত স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপর অর্পিত ক্ষমতা অনুসরণে ঝালকাঠি জেলার জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ৮-এ বর্ণিত পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক সদয় অনুমোদিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ৫১তম আগা খাঁন গোল্ড কাপ গলফ টুর্নামেন্ট।
তিন ব্যাপী এ টুর্নামেন্ট শেষ হচ্ছে শনিবার, যা শুরু হয় বৃহস্পতিবার।
টুর্নামেন্টে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের দেশি/বিদেশি সদস্যসহ দেশের সব গলফ ক্লাবের প্রায় ৫০০ জন গলফার অংশ নেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা ছাড়াও কমান্ড্যান্ট, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ ও কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক, প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মাদাদ আলী ভিরানী, ক্লাব ক্যাপ্টেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তৌহিদ হোসেন, টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবিদুর রেজা খান (অব.), সংশ্লিষ্ট ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য, ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্নেল মো. শহিদুল হক (অব.), ক্লাব সেক্রেটারি কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন, কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের লেডি ক্যাপ্টেন প্রফেসর শাহীন মাহবুবা হক, ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, ক্লাব অ্যাফেয়ার্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মো. সাইদুর রহমান (অব.), ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, গলফ অপারেশনস লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ার হোসেন (অব.), বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিল বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নবনিযুক্ত সভাপতি। পদাধিকারবলে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিওএ-র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সেনাবাহিনী প্রধান তার এই প্রথম সভায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সভায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিওএ-র কার্যনিবাহী কমিটির সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন এবং সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান বলেছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পুলিশ সার্ভেইল্যান্সে (নজরদারিতে) রাখা হয়েছে।
রোববার পল্টনে আউটার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ‘ওয়ালটন-ক্র্যাব স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ২০২৪’-এর ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এরকম (শীর্ষ সন্ত্রাসী) যারা ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছে, তারা দীর্ঘ সময় জেল খেটে আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে। তারা আমাদের সার্ভেইল্যান্সে রয়েছে। নতুন করে অপরাধে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পুলিশে এখনও যোগদান না করা সদস্যদের বিষয়ে জানতে চাইলে মাইনুল হাসান বলেন, ‘এটা একেবারেই মিনিমাম নম্বর। যারা যোগদান করেননি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিএমপি মহানগরীর শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। তেমনই ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) বিভিন্নভাবে অপরাধ বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করছে।
‘ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন, যেটি বহুদিন থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ সব সময় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে থাকে।’
ডিএমপি কমিশনার পরে পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্র্যাব সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানসহ ক্র্যাবের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আসিয়ান ঢাকা কমিটির পক্ষ থেকে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শনিবার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ সময় আসিয়ান ঢাকা কমিটির প্রতিনিধি ঢাকায় নিযুক্ত ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হারিস বিন ওথম্যান, ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত হিরু হারতানতো সুবোলো, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ হাশিম, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কেইও সোয়ে মোয়ে, ফিলিপাইনের জুনিয়র রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল আউসান, সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্রের হাইকমিশনার মাইকেল লি, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিটমোর, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নগুয়েন মানহ কুওয়ংসহ কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য