× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

খেলা
Bangladeshs achievement in this World Cup is not much
google_news print-icon

এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রাপ্তি বেশি কিছু নয়

এই-বিশ্বকাপে-বাংলাদেশের-প্রাপ্তি-বেশি-কিছু-নয়
বলা যায়, নেদারল্যান্ডসের চেয়ে বেশি ভালো কিন্তু করতে পারেনি বাংলাদেশ। আবার যদি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাহলে এ দলটির ভরাডুবি হলেও দুটি জয় পেয়েছে তারাও। বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ভালো পারফরম্যান্স করেছে আফগানিস্তান দল। তিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন- ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে তারা। অপর তাদের জয়টি ছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।

একটি দুঃস্বপ্নের বিশ্বকাপ শেষ করল বাংলাদেশ। এবারের বিশ্বকাপে যে ফল করেছে বাংলাদেশ- এটি প্রত্যাশায় ছিল না। যেখানে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন ছিল, অন্তত চার-পাঁচটি জয় পাওয়ার আশা ছিল- সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি। টুর্নামেন্টে একের পর এক ম্যাচ হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। লিগ পর্বে ৯টি ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। শুধুমাত্র আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পেরেছে তারা।

নেদারল্যান্ডসসহ বাকি সাতটি দলের কাছেই হারের হতাশায় পুড়েছে বাংলাদেশ। যেখানে বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসা নেদারল্যান্ডসও দুটি জয় পেয়েছে। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকলেও ১২ বছর পর বিশ্বকাপে খেলতে এসে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশকে হারানোর গৌরব অর্জন করেছে ডাচরা।

বলা যায়, নেদারল্যান্ডসের চেয়ে বেশি ভালো কিন্তু করতে পারেনি বাংলাদেশ। আবার যদি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাহলে এ দলটির ভরাডুবি হলেও দুটি জয় পেয়েছে তারাও। বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ভালো পারফরম্যান্স করেছে আফগানিস্তান দল। তিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন- ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে তারা। অপর তাদের জয়টি ছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।

ক্রিকেট ইতিহাসে তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলতে এসেই সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে আফগান-যোদ্ধারা। তারা যে ক্রিকেটে দিন দিন উন্নতি করছে- সেটি দেখাল বিশ্বকাপে। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে বিশ্বকাপে খেলা বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের গ্রাফটা কিন্তু নিম্নমুখী। এ নিয়ে সপ্তম ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলল বাংলাদেশ। শতকরা হিসেবে এবারের বিশ্বকাপে তাদের সাফল্যের হার (ম্যাচ জয়ের ভিত্তিতে) ২২.২২ শতাংশ।

এর আগে যে ছয়টি বিশ্বকাপ খেলেছে বাংলাদেশ- এর মধ্যে ২০০৩ সালের আসর বাদ দিলে এবারের মতো বাজে বিশ্বকাপ আগে কাটেনি টাইগারদের। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশের সাফল্যের হার ছিল ৪০ শতাংশ। ২০০৭ সালে ৩৩.৩৩ শতাংশ, ২০১১ সালে ৫০ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৫০ শতাংশ ও ২০১৯ সালে ছিল ৩৭.৫০ শতাংশ। এতেই পরিষ্কার যে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে যে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ- এরপর থেকে তাদের পারফরম্যান্সের গ্রাফ নিচের দিকেই নামছে।

এবারের বিশ্বকাপের শুরুর আগে দল থেকে তামিম ইকবালের বাদ পড়ার ঘটনায় বিতর্ক তৈরি হয়। কোনো ‘ব্যাকআপ’ ওপেনার ছাড়াই বিশ্বকাপে খেলতে যায় বাংলাদেশ। ধর্মশালায় আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শুরুটা ভালো হয়েছিল টাইগারদের। কিন্তু পরের ম্যাচ থেকেই ছন্দপতন ঘটে তাদের। টানা ছয় ম্যাচ হারের বৃত্ত পূরণের পর শ্রীলঙ্কাকে ৩ উইকেটে হারিয়ে আবার জয়ে ফেরে বাংলাদেশ। কিন্তু এই দুই জয়ের মাঝখানে সব হারিয়ে ফেলে দলটি। সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। কোনো ম্যাচেই সেই অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমিয়ে তুলতে পারেনি। বিশ্বকাপের মাঝে নতুন করে আইসিসির দেয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জনের চ্যালেঞ্জও সামনে এসে দাঁড়ায়। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয় বাংলাদেশের।

ব্যাটিং-বোলিং ও ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারেনি। ব্যাটিংয়ে সেভাবে কেউই আস্থা অর্জন করতে পারেননি। প্রায় প্রতি ম্যাচেই টপ অর্ডারে রদবদলের বিষয়টি বেশ আলোচিত ছিল। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে টপ অর্ডারে অতটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাটা ছিল খুবই দৃষ্টিকটু ব্যাপার। এতে অস্বস্তিতে পড়ে যান ব্যাটাররাও। কেউই নিজেদের সেরাটা খেলতে পারেননি। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। খুবই আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করেছেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২৮ রান করেন তিনি। অথচ বিশ্বকাপে খেলা নিয়েই তার শঙ্কা ছিল।

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেললেও ইংল্যান্ড ম্যাচে একাদশ থেকে বাদ পড়ে যান এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। সেই রিয়াদই বিশ্বকাপে সবচেয়ে ভালো ব্যাটিং উপহার দিলেন। সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছেন। বিশ্বকাপে অভিজ্ঞতার যে মূল্য আছে, সেটি বুঝিয়ে দিলেন রিয়াদ। তার সঙ্গে আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করতে দেখা গেছে মেহেদী হাসান মিরাজকে। কিন্তু উদ্বোধনী জুটি খুবই হতাশ করেছে। ৯ ম্যাচে লিটন দাস করেন ২৮৪ রান। তানজিদ তামিম সম্ভাবনা জাগিয়েও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। ৯টি ম্যাচের মধ্যে উদ্বোধনী জুটি থেকে মাত্র দুটি ম্যাচে কিছুটা স্বস্তিদায়ক ব্যাটিং দেখেছে বাংলাদেশ। কিন্তু বাকি ম্যাচগুলোয় হতাশার ছবিই এঁকেছেন দুই ওপেনার লিটন ও তানজিদ।

ব্যাটিং অর্ডারের রদবদলে বেশি ভুক্তভোগী তাওহিদ হৃদয় ব্যাট হাতে সম্ভাবনার বার্তা দিয়েছেন। দলের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসানও ব্যাটিংয়ে জ্বলে উঠতে পারেননি। বিশ্বকাপের মাঝেই ব্যাটিংয়ে ভালো করার জন্য ঢাকায় উড়ে এসে শৈশবের কোচের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে দেখা যায় সাকিবকে। ব্যাট হাতে টুর্নামেন্টের শেষ দিকে স্বরূপে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও আঙুলের চোটের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি খেলা হয়নি তার। এর আগে ইনজুরির কারণে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচও মিস হয়েছে সাকিবের। অথচ এই সাকিব গত বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে ছিলেন অনন্য।

বোলিংয়েও বাংলাদেশের দুর্দশা দেখা গেছে। পেস ইউনিট প্রত্যাশা অনুযায়ী বোলিং করতে পারেনি। হতাশ হয়েছেন স্পিনাররাও। পেসার শরিফুল ইসলাম ও স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০টি করে উইকেট শিকার করেন। সাকিব পান ৯টি উইকেট। ফিল্ডিংয়েও দুর্বল ছিল বাংলাদেশ। ক্যাচ মিস হয়েছে। গ্রাউন্ড ফিল্ডিং ভালো হয়নি। সর্বোচ্চ ৫টি ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এসব মিলিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতার গল্প রচিত হয়েছে। টাইগারদের সান্ত্বনার বিষয় হলো যে- অন্তত পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করতে হলো না তাদের।

এই বিশ্বকাপ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে বাংলাদেশের। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে কীভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হয়, কীভাবে স্পোর্টিং উইকেটে খেলতে হয়, ব্যাটিংয়ে দক্ষতা দেখাতে হয়, ইনিংস লম্বা করতে হয়, বোলিংয়ে নতুনত্ব এনে সফল হতে হয়- এই বিষয়গুলো শিক্ষা নেবে টাইগাররা। তরুণরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করল, তা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। এবার হয়তো নিজেদের শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই সিনিয়র তিন ক্রিকেটারকে হয়তো সামনের ওয়ানডে বিশ্বকাপে আর দেখা যাবে না। আশা করা যায়, বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর নতুন করে সবকিছু ঢেলে সাজাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং এই ব্যর্থতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজবে।

আরও পড়ুন:
ভারতের কাছে নেদারল্যান্ডসের হার, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিট বাংলাদেশের
শ্রেয়াস-রাহুলের সেঞ্চুরিতে ভারতের সংগ্রহ ৪১০
পাপন ও সাকিবের পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

খেলা
Fortune Barisal started the BPL with a win

জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করল ফরচুন বরিশাল

জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করল ফরচুন বরিশাল
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বিপিএলের এবারের আসর শুরু হয়েছে সোমবার। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে সপ্তম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফের ৮৮ রানের জুটি বরিশালের জয় নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।

সোমবার মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বিপিএলের এবারের আসর শুরু হয়েছে।

আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে সপ্তম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফের ৮৮ রানের জুটি বরিশালের জয় নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখে।

১৯৮ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে পৌঁছতে মাঠে নেমে বরিশাল তাদের ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায়। জিসান আলমের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি।

পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই আরও দুই উইকেট হারিয়ে তিন উইকেটে ৩০ রান তুলতে সক্ষম হন তারা।

এরপর তৌহিদ হৃদয় ২৩ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে শুরুর ধাক্কা সামলে নেয়। কিন্তু কাইল মেয়ার্স (৫) ও মুশফিকুর রহিম (১৩) দ্রুত আউট হওয়ায় বরিশাল আরও বিপদে পড়ে যায়।

অর্ধেক ওভার মাঠে গড়ানোর আগেই বরিশাল অর্ধেক উইকেট হারিয়ে বসে। ১৩তম ওভারে নিজেদের ষষ্ঠ উইকেট হারায় তারা।

ম্যাচের এই পর্যায়ে মাহমুদউল্লাহ ও আশরাফি শক্তভাবে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জয়ের শক্তিশালী জুটি গড়েন। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১ বল হাতে রেখে চার উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা।

এর আগে ইয়াসিরের ৪৭ বলে অপরাজিত ৯৪ ও এনামুলের ৫১ বলে ৬৫ রানের ওপর ভর করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ১৯৭ রানের বড় স্কোর করে দুর্বার রাজশাহী।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে আসা দুর্বার রাজশাহী ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জিসান আলমকে শূন্য রানে আউট করেন কাইল মায়ার্স। স্কোর বোর্ডে ২৫ রান উঠতেই রাজশাহী দ্বিতীয় উইকেট হারায়।

বরিশাল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৪০ রানের জুটি গড়েন এনামুল ও ইয়াসির। ১৮তম ওভারে পতনের আগে এনামুল ৫১ বলে ৪টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৬৫ রান করে দলকে এগিয়ে নেন। তবে উইকেটের অপর প্রান্তে ছিলেন ইয়াসির। সাতটি ৪ ও আটটি ছক্কায় ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

বছরের পর বছর ধরে বিপিএল থেকে ছিটকে পড়া মায়ার্স প্রত্যাবর্তন করে রাজশাহীর হয়ে দুটি উইকেট নেন।

এদিকে টিকিট নিয়ে সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তারা স্টেডিয়ামের একটি গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জও করে।

আরও পড়ুন:
বিপিএলের মাসকট ‘ডানা ৩৬’ উন্মোচন
ড্রাফট শেষে বিপিএলে সাত দলের স্কোয়াড
প্রথমবারের মতো বিপিএল চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
ফাটাফাটি লড়াই হবে ফাইনাল মহারথে
দ্য গ্রেট ওয়াল মুশফিকের ধ্বংসাত্মক ব্যাটিংয়ে ফাইনালে বরিশাল

মন্তব্য

খেলা
Zakers explosive innings whitewashed West Indies

জাকেরের বিস্ফোরক ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ

জাকেরের বিস্ফোরক ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ মাঠে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ছবি: বাসস
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শুক্রবার ৮০ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে আইসিসি পূর্ণ সদস্য কোনো দেশের বিপক্ষে রান বিবেচনায় সবচেয়ে বড় জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। 

জাকের আলির বিস্ফোরক ইনিংসের সুবাদে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শুক্রবার ৮০ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে আইসিসি পূর্ণ সদস্য কোনো দেশের বিপক্ষে রান বিবেচনায় সবচেয়ে বড় জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ।

আগেরটি ছিল চট্টগ্রামে গত বছর মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৭ রানের।

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ যথাক্রমে ৭ ও ২৭ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। এই প্রথম তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল টাইগাররা।

২০১২ সালে সর্বশেষ বিদেশের মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ।

সেন্ট ভিনসেন্টে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২৮ বলে ৪৪ রানের সূচনা পায় টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ৪ ওভারে ১৫ বলে ২৯ রান তোলেন ইনজুরি আক্রান্ত সৌম্য সরকারের জায়গায় একাদশে সুযোগ পাওয়া ইমন।

পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার রোমারিও শেফার্ডের বলে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হন ওপেনার ও অধিনায়ক লিটন দাস। তিনটি চারে ১৪ রান করেন লিটন।

দারুণ শুরুর পর পাওয়ার প্লের শেষ বলে বিদায় নেন ইমন। পেসার আলজারি জোসেফের বলে স্কয়ার লেগে জাস্টিন গ্রেভসকে ক্যাচ দেন চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ২১ বলে ৩৯ রান করা ইমন।

তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে এবারও ব্যর্থ হন তানজিদ হাসান। ৯ রান করে স্পিনার গুদাকেশ মোতির বলে উইকেটরক্ষক নিকোলাস পুরানকে ক্যাচ দেন তানজিদ। এতে দলীয় ৬৫ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

উইকেট পতন ঠেকিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৩১ বলে ৩৭ রান যোগ করে ১৩তম ওভারে দলের রান ১০০ পার করেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকের।

উইকেটে সেট হয়ে ১৩তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ। স্পিনার রোস্টন চেজের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে সীমানার কাছে গ্রেভসকে ক্যাচ দেন তিনটি বাউন্ডারিতে ২৩ বলে ২৯ রান করা মিরাজ।

মিরাজ ফেরার পর ১৫তম ওভারে জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শামীম হোসেন ২ ও মাহেদি হাসান শূন্যতে রান আউট হন। এর মধ্যে নাটকীয়ভাবে রান আউট হন শামীম।

দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা শামীমের দিকে চলে যান জাকের। ওই সময় বল নিয়ে নন স্ট্রাইকের উইকেট ভেঙে দেন চেজ। নিজেকে রান আউট ভেবে মাঠ ছাড়েন জাকের, কিন্তু টিভি আম্পায়ার ভিডিও রিপ্লেতে জানান, স্ট্রাইক প্রান্তে শামীমের আগে ক্রিজে ব্যাট স্পর্শ করেন জাকের। তাই রান আউট হন শামীম। ১৬ বলে ১৭ রানে জীবন পান জাকের।

১১৪ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন জাকের ও তানজিম হাসান সাকিব। সপ্তম উইকেটে দুজনের ২৭ বলে ৫০ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথ পায় টাইগাররা।

১৯তম ওভারের শেষ বলে তানজিমকে আউট করে জুটি ভাঙেন শেফার্ড। একটি করে চার-ছক্কায় ১২ বলে ১৭ রান করেন তানজিম।

৩৪ বলে ৪৮ রান নিয়ে শেষ ওভার শুরু করেন জাকের। আলজারির দ্বিতীয় বলে চার মেরে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩৬ বল খেলা জাকের। এরপর ওভারের তৃতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ বলে ছক্কা মারেন জাকের।

শেষ ওভার থেকে ২৫ রান আসায় ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টি-টোয়েন্টি এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান বাংলাদেশের।

শেষ ১০ ওভারে ১১৩ ও শেষ ৫ ওভারে ৭৫ রান তুলে টাইগাররা। এর মধ্যে জাকেরের সংগ্রহ ছিল ৩৪ বলে ৬৭ রান।

শেষ পর্যন্ত ৩টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৪১ বলে ১৭৫ স্ট্রাইক রেটে অপরাজিত ৭২ রান করেন জাকের। ২২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে এটিই তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

এ বছরের মার্চে সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৪ বলে ৬৮ রান করেছিলেন জাকের।

বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেফার্ড দুটি, আলজারি-চেজ ও মোতি একটি করে উইকেট নেন।

জবাবে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে পেসার তাসকিন আহমেদের বলে লেগ বিফোর হন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং। পরের ওভারে গ্রেভসকে ৬ রানে ফেরত পাঠান স্পিনার মাহেদি।

৭ রানে ২ উইকেট পতনের পর বাংলাদেশ বোলারদের ওপর পাল্টা আক্রমণ করেন জনসন চালর্স ও নিকোলাস পুরান। মারমুখী ব্যাটিংয়ে বড় জুটির আভাস দিচ্ছিলেন তারা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে পুরানকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন মাহেদি। ১০ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৫ রান করেন পুরান। গ্রেভস-পুরান জুটি ২৪ বলে ৩৮ রান যোগ করেন।
দলীয় ৪৫ রানে পুরান ফেরার পর ব্যাটিং ধস নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬ দশমিক ৪ ওভারে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাত নম্বরে নামা রোমারিও শেফার্ডের ২৭ বলে ৩৩ রানে কোনোমতে দলীয় ১০০ রান স্পর্শ করতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

চার ওভারে ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলার রিশাদ। এ ছাড়া তাসকিন-মাহেদি দুটি করে এবং তানজিম-হাসান একটি করে উইকেট নেন।
ম্যাচ সেরা হন জাকের। ব্যাট হাতে ৩৭ রান ও বল হাতে ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন মাহেদি।

এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করলেও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে সাফল্য নিয়ে বছরটি শেষ করতে পারল লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৮৯/৭ (জাকের ৭২*, ইমন ৩৯, শেফার্ড ২/৩০)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৬.৪ ওভারে ১০৯/১০ (শেফার্ড ৩৩, চালর্স ২৩, রিশাদ ৩/২১)।

ফল: বাংলাদেশ ৮০ রানে জয়ী।

আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে হাসিনার সমালোচনা সমর্থন করে না ভারত: বিক্রম মিশ্রি
বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের
বাংলাদেশ ইউএনএইচআরসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সংলাপ শুরু বুধবার
বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক চায় ভারত: বিক্রম মিশ্রি

মন্তব্য

খেলা
After 6 years Bangladesh won the series against West Indies

৬ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

৬ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয় বাংলাদেশের মাঠে উদযাপন বাংলাদেশ দলের। ছবি: ইউএনবি
১৩০ রানের সামান্য লক্ষ্য অর্জন করতে নেমে বাংলাদেশের সুশৃঙ্খল বোলিংয়ের চাপে শুরুতেই নড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।

আর্নোস ভেল গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন ম্যাচের সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।

২০১৮ সালের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়।

ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হতাশাজনক হারের পর সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা টাইগাররা।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ধীর ও স্যাঁতসেঁতে পিচে ছন্দ ধরে রাখতে হিমশিম খায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক লিটন দাস (১০ বলে ৩) আকিল হোসেনের বলে স্টাম্পড হয়ে বিদায় নিলে ৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারিয়ে শুরুতেই সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুশৃঙ্খল বোলিংয়ের মোকাবিলায় টপ অর্ডার তানজিদ হাসান (২), সৌম্য সরকার (১১) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (২৬) হোঁচট খেয়ে শুরুটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। ফলে ১৪তম ওভারে ৬ উইকেটে ৭২ রান করে মনে হচ্ছিল হতাশাজনক স্কোরের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।

শামীম হোসেনের একটি সতর্ক ইনিংস ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান ১৭ বলে দুটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৫ রান করে বাংলাদেশকে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৯ রান তুলে দেয়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি উইকেট নেন গুদাকেশ মোতি।

১৩০ রানের সামান্য লক্ষ্য অর্জন করতে নেমে বাংলাদেশের সুশৃঙ্খল বোলিংয়ের চাপে শুরুতেই নড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।

তাসকিন আহমেদ তার প্রথম ওভারেই ব্রেন্ডন কিং (৮) ও আন্দ্রে ফ্লেচারকে (০) আউট করে স্বাগতিকদের ১৯ রানের মাথায় দুটি উইকেটের পতন ঘটান। এরপর মেহেদী হাসান ও রিশাদ হোসেন মিলে মিডল অর্ডারের নিকোলাস পুরান (৫) ও রোভম্যান পাওয়েলকে (৬) মাঠ ছাড়া করেন।

স্বাগতিকদের ভরসা ছিল রোস্টন চেজের ওপর। তিনি ৩৪ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে দারুণ লড়াই করেন। আকিল হোসেইন চূড়ান্ত পর্যায়ে ৩১ বলে ৩১ রানের লড়াকু স্কোর যোগ করলেও অপর প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকায় তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

হোসেইনকে আউট করে ১৮ ওভার ৩ বলে ১০২ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস গুটিয়ে দেন তাসকিন।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বাইডেন
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে হাসিনার সমালোচনা সমর্থন করে না ভারত: বিক্রম মিশ্রি
বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের
বাংলাদেশ ইউএনএইচআরসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সংলাপ শুরু বুধবার

মন্তব্য

খেলা
West Indies beat Bangladesh by 7 wickets
দ্বিতীয় ওয়ানডে

বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের

বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের নৈপুণ্যে বাংলাদেশকে কম রানে বেঁধে ফেলে জয় নিশ্চিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ছবি: বাসস
জেডেন সিলসের ২২ রানের বিনিময়ে চার উইকেট এবং ব্র্যান্ডন কিংয়ের ৮২ রানের জাদুকরী ব্যাটিংয়ে ৭৯ বল বাকি থাকতেই ২২৮ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।

বাসেতেরেতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মঙ্গলবার বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

জেডেন সিলসের ২২ রানের বিনিময়ে চার উইকেট এবং ব্র্যান্ডন কিংয়ের ৮২ রানের জাদুকরী ব্যাটিংয়ে ৭৯ বল বাকি থাকতেই ২২৮ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।

টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সিলস তাৎক্ষণিকভাবে বল ডেলিভারি করেন। ১০ ওভারের মধ্যে বাংলাদেশের টপ অর্ডারকে ৫৪-৩ করে দেন এ পেসার।

তানজিদ হাসান ৩৩ বলে ৪৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে শুরুতেই প্রতিরোধ গড়ে তুললেও উইকেট পড়েছে নিয়মিত।

অষ্টম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ (৬২) ও তানজিম হাসান সাকিবের (৪৫) মধ্যে রেকর্ড ৯২ রানের পার্টনারশিপ সত্ত্বেও ৪৫.৫ ওভারে ২২৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

জবাবে ১০৯ রানের জুটি গড়ে শক্ত ভিত গড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং ও এভিন লুইস। তাদের আটটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কায় ৭৬ বলে ৮২ রান ইনিংসের গতি বাড়িয়ে দেয়।

রিশাদ হোসেনের বলে ৪৯ রান করে আউট হয়ে হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি থেকে বিদায় নেন লুইস। কেসি কার্টি নেন ৪৫ রান। আর অধিনায়ক শাই হোপ অপরাজিত ১৭ ও শেরফানে রাদারফোর্ড অপরাজিত ২৪ রান করে জয়ের কাজটি স্বাচ্ছন্দ্যে শেষ করেন।

ম্যাচ শেষে হোপ বলেন, ‘আমরা আজ ঝোড়ো ছিলাম। আমরা ঘরের মাঠে সিরিজ জয়ের জন্য সংগ্রাম করছি। এখন ৩-০ ব্যবধানে শেষ করার আশা করছি।’

১০ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়।

ম্যাচ শেষে দলের ব্যাটিং বিপর্যয় নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।

তিনি বলেন, ‘মাঝের ওভারগুলোতে আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। পার্টনারশিপ মিস ছিল। এ উইকেটে তিন শর বেশি রান দরকার ছিল।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ। অন্যদিকে বাংলাদেশ তাদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির আগে পুনরায় সংগঠিত হতে চায়।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-ভারত এফওসি বৈঠক শেষ, বিবৃতি আসছে
সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের খবর মিথ্যা: প্রেস উইং
মুজিবহীন নতুন নকশার নোট আসছে জুনের মধ্যে
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও শতাধিক প্রবাসী
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফোর্ড ও শামার

মন্তব্য

খেলা
Bangladesh is champion for the second time after defeating India
যুব এশিয়া কাপ

ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯ ওভার ১ বলে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশের যুবারা। ১৯৯ রানে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট হাতে নেমে ১৩৯ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।

যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯ ওভার ১ বলে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশের যুবারা। ১৯৯ রানে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট হাতে নেমে ১৩৯ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।

বাংলাদেশের যুবারা এদিন শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আসে সাফল্য। আইয়ুস মার্থেকে (১) বোল্ড করে ওপেনিং জুটি ভাঙেন আল ফাহাদ। তাতে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় ভারত।

পঞ্চম ওভারে মারুফ মৃধাকে দুটি বাউন্ডারি মেরে পাল্টা আঘাত হানতে চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার ভাইভাব সুরিয়াবানশি (৯)। তবে আরও একটি মারতে গিয়ে গ্যালিতে শিহাব জেমসের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

ব্যাটিং অর্ডারে তিনে নামা আন্দ্রে সিদ্ধার্থকে সাজঘরে ফেরান রিজান হোসেন। ক্রিজে মোটামুটি সেট হয়ে যাওয়ার এই ভারতীয় ব্যাটার ৩৫ বলে ২০ রান করে বোল্ড হয়ে যান। টপ অর্ডারের তিন উইকেট তুলে এবার ভারতীয়দের চেপে ধরে বাংলাদেশ।

কেপি কার্থিকেয়াকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন ভারতীয় অধিনায়ক মোহামেদ আমান। তবে ২১তম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতে এনে দেন ইমন। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা কার্থিকেয়াকে উইকেটরক্ষক ফরিদের ক্যাচে পরিণত করে ভাঙেন জুটি। ২১ রান আসে কার্থিকেয়ার ব্যাট থেকে। শূন্য রানে নিখিল কুমারকেও ফেরান ইমন।

পরের ওভারে আবারও ইমনের আঘাত। এবার এই পেসারের শিকার হারভানশ পাঙ্গালিয়া। ৬ রান করা এই ব্যাটারকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি।

ভারতীয় অধিনায়ক আমান এক প্রান্ত আগলে রেখে আশা বাঁচিয়ে রাখেন। ৩২তম ওভারে বল হাতে নিয়েই তাকে ফেরান বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল। ব্যক্তিগত ২৬ রানে বোল্ড হয়ে যান আমান।

নয় নম্বরে নামা হার্দিক রাজ ২১ বলে করেন ২৪ রান। তাকেও ফেরান আজিজুল। এলবিডাব্লিউর ফাঁদে হার্দিক রাজ। এরপর চেতন শর্মার আউটের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত হয় টাইগার যুবাদের জয়।

লেগস্পিনার দেবাশিস দেবা ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে সব বোলারই উইকেট পেয়েছেন। তবে উইকেট না পেলেও দারুণ বোলিং করেন দেবা। ২৪ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ইমন। আজিজুলও নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া দুটি শিকার আল ফাহাদের।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৭ রানে কালাম সিদ্দিকিকে হারায় বাংলাদেশ। একাদশ ওভারে ফেরেন থিতু হওয়া আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরার (২০)। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম আগের ম্যাচগুলোতে দারুণ খেললেও এদিন ২৮ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফিরলে চাপে পড়ে দল।

এরপর শিহাব-রিজান মিলে চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ৬২ রান। দুজনেই ফেরেন অসময়ে। আয়ুশ হাটরের বলে ক্যাচ দিয়ে থামেন শিহাব। হার্দিক রাজের বলে বোল্ড হয়ে যান রিজান। দেবাশীষ দেবা, সাইমুন বাসির ব্যর্থ হলে দলকে এরপর টানেন ফরিদ। নবম উইকেটে মারুফ মৃধাকে নিয়ে যোগ করেন ৩১ রান।

দলের হয়ে ৬৫ বলে ৩টি চারের সাহায্যে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেছেন রিজান। ৬৭ বলে ৩টি চারে ৪০ আসে শিহাবের ব্যাট থেকে। ১৬৭ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর টেল এন্ডারদের নিয়ে দলকে দুশ’র কাছে নিতে ৪৯ বলে গুরুত্বপূর্ণ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন ফরিদ। তিনিও চার মারেন ৩টি।

আরও পড়ুন:
টানা দুই জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে রেকর্ড গড়া জয় বাংলাদেশের
উচ্ছ্বাসে মাতল খুলনা জেলা স্টেডিয়াম
টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের টাইটেল স্পন্সর সেনোরা

মন্তব্য

খেলা
Ford and Shamar were dropped from the ODI series against Bangladesh

বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফোর্ড ও শামার

বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফোর্ড ও শামার গত মাসে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ঊরুর ইনজুরিতে পড়েন ফোর্ড (বামে)। ছবি: বাসস
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে ফোর্ড সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তাই পূর্বঘোষিত ওয়ানডে দলে রাখা হয়েছিল তাকে, কিন্তু ফিট হতে না পারায় পুনবার্সন চালিয়ে যাবেন ফোর্ড।

ইনজুরির কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই পেসার ম্যাথু ফোর্ড ও শামার জোসেফ।

তাদের জায়গায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে দলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন মার্কিনো মিন্ডলি ও জেডিয়া ব্লেডস।

গত মাসে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ঊরুর ইনজুরিতে পড়েন ফোর্ড।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে ফোর্ড সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তাই পূর্বঘোষিত ওয়ানডে দলে রাখা হয়েছিল তাকে, কিন্তু ফিট হতে না পারায় পুনবার্সন চালিয়ে যাবেন ফোর্ড।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আট উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ফোর্ড।

বাংলাদেশের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে পায়ের ইনজুরিতে পড়া শামার থাকবেন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে। তাই ওয়ানডে সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন ।

দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আছে মিন্ডলির। ২০২২ সালে এডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় তার। এরপর জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন মিন্ডলি।

সম্প্রতি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট সুপার ফিফটি কাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন মিন্ডলি। সাত ম্যাচে ১৯২ রান খরচায় ২০ উইকেট শিকার করেন তিনি। বল হাতে দারুণ ছন্দে থাকায় ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন ২৯ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার।

সুপার ফিফটি কাপে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন ব্লেডস। ৫ ম্যাচে ১৭৭ রানে ১৪ উইকেট নিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেলেন ২২ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার।

আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল: শাই হোপ (অধিনায়ক), ব্র্যান্ডন কিং (সহ-অধিনায়ক), কেসি কার্টি, রোস্টন চেজ, জাস্টিন গ্রেভস, শিমরন হেটমায়ার, আমির জাঙ্গো, আলজারি জোসেফ, মার্কিনো মিন্ডলি, জেডিয়া ব্লেডস, এভিন লুইস, গুডাকেশ মোটি, শেরফানে রাদারফোর্ড, জেইডেন সিলেস ও রোমারিও শেফার্ড।

আরও পড়ুন:
কলকাতায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা, ড. ইউনূসের কুশপুতুল পোড়ানোয় ঢাকার নিন্দা
দ্বিতীয় টেস্টে সমতা ফেরাতে চায় বাংলাদেশ
ব্যাংকগুলোকে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা
বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিভক্ত না হতে মাহাথিরের আহ্বান
৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের

মন্তব্য

খেলা
Bangladesh tied the Test series after defeating the West Indies

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টেস্ট সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টেস্ট সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশ মাঠে উদযাপন বাংলাদেশ দলের। ছবি: বাসস
ম্যাচসেরা তাইজুল বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের আনন্দই আলাদা, যা আমরা সাধারণত করতে পারি না। দলের প্রত্যেকেই তাদের সাধ্যমতো দেবার চেষ্টা করেছে।’

তাইজুল ইসলাসের ঘূর্ণিতে জ্যামাইকা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০১ রানে পরাজিত করে ১-১ সমতায় দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ করেছে বাংলাদেশ।

টেস্ট ইনিংসে ১৫তম বারের মতো পাঁচ উইকেট দখলের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তাইজুল।

সাবিনা পার্কে জাকের আলির টেস্ট সেরা ৯১ রানের ইনিংসে ভর করে চতুর্থ দিন ২৬৮ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ের জন্য ২৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৮৫ রানেই গুটিয়ে যায়। তাইজুল ৫০ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট।

ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা প্রথম ইনিংসে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট দখল করেছিলেন। রানার ওই বোলিং তোপেই বাংলাদেশ জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে।

দ্বিতীয় ইনিংসে রানা শামার জোসেফের একমাত্র উইকেটটি নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন।

ম্যাচসেরা তাইজুল বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের আনন্দই আলাদা, যা আমরা সাধারণত করতে পারি না। দলের প্রত্যেকেই তাদের সাধ্যমতো দেবার চেষ্টা করেছে।’

পেসার তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ দুটি করে উইকেট দখল করেছেন। দুই টেস্টে সব মিলিয়ে ১১ উইকেট নিয়ে তাসকিন হন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।

আরও পড়ুন:
কলকাতায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা, ড. ইউনূসের কুশপুতুল পোড়ানোয় ঢাকার নিন্দা
দ্বিতীয় টেস্টে সমতা ফেরাতে চায় বাংলাদেশ
ব্যাংকগুলোকে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা
বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিভক্ত না হতে মাহাথিরের আহ্বান
৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের

মন্তব্য

p
উপরে