× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

খেলা
Bangladeshs ticket to the Champions Trophy was confirmed by the Netherlands loss to India
google_news print-icon

ভারতের কাছে নেদারল্যান্ডসের হার, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিট বাংলাদেশের

ভারতের-কাছে-নেদারল্যান্ডসের-হার-চ্যাম্পিয়ন্স-ট্রফির-টিকিট-বাংলাদেশের
নিয়ম অনুযায়ী, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে বিশ্বকাপে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ আটের মধ্যে থাকতে হবে। সেই অনুযায়ী, লিগ পর্বের সব খেলা শেষে ৯ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থাকায় টেবিলের অষ্টমস্থানে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করল বাংলাদেশ (-১.০৮৭)।

ওয়ানডে বিশ্বকাপে লিগ পর্বের ৪৫ ও শেষ ম্যাচে ভারতের কাছে ১৬০ রানে হেরেছে নেদারল্যান্ডস। ডাচদের লজ্জাজনক হারে ২০২৫ সালে পাকিস্তানের মাটিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের।

নিয়ম অনুযায়ী, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে বিশ্বকাপে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ আটের মধ্যে থাকতে হবে। সেই অনুযায়ী, লিগ পর্বের সব খেলা শেষে ৯ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থাকায় টেবিলের অষ্টমস্থানে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করল বাংলাদেশ (-১.০৮৭)। ৯ ম্যাচে ৪ করে পয়েন্ট আছে শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসেরও। কিন্তু রান রেটে পিছিয়ে নবম স্থানে শ্রীলঙ্কা (-১.৪১৯) ও দশম স্থানে আছে নেদারল্যান্ডস (-১.৮২৫)। খবর বাসসের

শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুলের জোড়া সেঞ্চুরিতে লিগ পর্বে নিজেদের নবম ও শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪১০ রান করে স্বাগতিক ভারত। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া আইয়ার অপরাজিত ১২৮ ও রাহুল ৬৪ বলে ১০২ রান করেন। জবাবে ২৫০ রানে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। এই জয়ে ৯ ম্যাচের সবগুলোতে জিতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে সেমিফাইনাল খেলতে নামবে ভারত।

বেঙ্গালুরুতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে ভারত। ১২তম ওভারে দলের রান ১শতে নেন দুই ওপেনার অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। ওই ওভারেই ওয়ানডেতে ১২তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩০ বল খেলা গিল। হাফ-সেঞ্চুরির পরই ফন মিকেরেনের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার গিল। ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩২ বলে ৫১ রান করেন তিনি। রোহিতের সাথে ৭১ বলে ১০০ রানের জুটি গড়েন গিল। এ বছর এ নিয়ে সর্বোচ্চ পঞ্চমবারের মত জুটিতে শতরান করলেন রোহিত ও গিল।

১৪তম ওভারে ওয়ানডেতে ৫৫তম হাফ-সেঞ্চুরি পান রোহিত। ৪৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরির পর বিদায় নেন ভারত দলপতি। ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৪ বলে ৬১ রান করেন তিনি। এই ইনিংস খেলার পথে এক বছরে সর্বোচ্চ ও বিশ্বকাপের এক আসরে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাকানোর বিশ্ব রেকর্ড গড়েন রোহিত। এছাড়া বিশ্বকাপের এক আসরে ভারতের অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ রানের মালিক হলেন তিনি। ২০০৩ সালে ৪৬৫ রান করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। এবার এখন পর্যন্ত ৫০৩ রান করেছেন রোহিত।

দলীয় ১২৯ রানে রোহিত ফেরার পর আইয়ারকে নিয়ে ৬৬ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন বিরাট কোহলি। রোহিত ও গিলের মত হাফ-সেঞ্চুরির করেন কোহলিও। । ৭১তম হাফ-সেঞ্চুরি করতে ৫৩ বল খেলেন কোহলি। এতে এক আসরে সর্বোচ্চ ৭বার করে ৫০এর বেশি রানের ইনিংস খেলে ভারতের শচীন টেন্ডুলকার ও বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানের রেকর্ড স্পর্শ করেন কোহলি। ২০০৩ সালে টেন্ডুলকার ও ২০১৯ সালে সাকিব, এমন কীর্তি গড়েছিলেন।

হাফ-সেঞ্চুরির পর ৫১ রানে থামেন কোহলি। ৫৬ বল খেলে ৫টি চার ও ১টি ছয় মারেন কোহলি। আইয়ারের সাথে ৭১ রানের জুটি ছিলো তার।
২৯তম ওভারে দলীয় ২শ রানে কোহলি ফেরার পর ক্রিজে আইয়ারের সঙ্গী হন রাহুল। উইকেটে সেট হয়ে আইয়ারের সাথে পাল্লা দিয়ে রানের চাকা ঘুড়ান রাহুল। রোহিত-গিল ও কোহলির পর ৪৮ বলে হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান আইয়ার। এতে বিশ্বরেকর্ড গড়ে ভারত। এই প্রথমবার বিশ্বকাপের এক ইনিংসে প্রথম চার ব্যাটারই ৫০এর বেশি রানের ইনিংস খেললেন।

৪২তম ওভারে এই ইনিংসে অর্ধশতক করেন রাহুলও। চতুর্থবারের মত ওয়ানডেতে এক ইনিংসে প্রথম পাঁচ ব্যাটারই ৫০এর বেশি রানের ইনিংস খেললেন। এরমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার দু’বার ও পকিস্তান-ভারত একবার করে এমন নজির গড়ে। ৪০ বলে হাফ-সেঞ্চুরির পর নেদারল্যান্ডস বোলারদের উপর চড়াও হন রাহুল।

অন্যপ্রান্তে ৪৬তম ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে চতুর্থ ও বিশ্বকাপ মঞ্চে প্রথম শতক হাকান ৮৪ বল খেলা আইয়ার। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরির ঘরে পা রাখেন রাহুল। ওয়ানডেতে সপ্তম সেঞ্চুরি করতে ৬২ বল খেলেন তিনি। বিশ্বকাপের ভারতের পক্ষে এটিই দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। ওভারের পঞ্চম বলে আউট হবার আগে ১১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬৪ বল খেলে ১০২ রান করেন রাহুল। বর্তমান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের পর ভারতের দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করলেন রাহল।

ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে ১২৮ রানে অপরাজিত থাকেন আইয়ার। ৯৪ বলের ইনিংসে ১০টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন তিনি এতে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪১০ রানে বিরাট সংগ্রহ পায় ভারত। নিজেদের ওয়ানডেতে এই সপ্তমবার ইনিংসে ৪শর বেশি রান করলো টিম ইন্ডিয়া। এরমধ্যে বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার। নিজেদের ওয়ানডেতে এটি চতুর্থ ও বিশ্বকাপ মঞ্চে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ভারতের।

নেদারল্যান্ডসের বাস ডি লিডে ৮২ রানে ২ উইকেট নেন। ডাচদের তিন বোলার বল হাতে ৮০এর বেশি রান দিয়েছেন। যা বিশ্বকাপে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ। চলতি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ চার বোলারের এক ইনিংসে ৮০-এর বেশি রান দেয়ার নজির হয়েছে।

৪১১ রানের বিশাল টার্গেটে খেলতে নেমে ভারতীয় বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়তে পারেনি নেদারল্যান্ডসের ব্যাটাররা। শীর্ষ পাঁচ ব্যাটারের কেউই বড় ইনিংস খেলতে না পারলে ১৪৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। এদেওরমধ্যে সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন।

পরের দিকে হাফ-সেঞ্চুরিতে দলের হারের ব্যবধান কমান তেজা নিদামানুরু। সাত নম্বরে নেমে ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন তিনি। ৪৭ দশমিক ৫ ওভারে ২৫০ রানে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস। ভারতের বুমরাহ-সিরাজ-কুলদীপ-জাদেজা ২টি করে এবং কোহলি-রোহিত ১টি করে উইকেট নেন।
আগামী ১৫ নভেম্বর মুম্বাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে খেলতে নামবে ভারত। পরের দিন কোলকাতায় দ্বিতীয় সেমিতে লড়বে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

ভারত: ৪১০/৪, ৫০ ওভার (আইয়ার ১২৮*, রাহুল ১০২, লিডে ২/৮২)।
নেদারল্যান্ডস : ২৫০/১০, ৪৭.৫ ওভার (নিদামানুরু ৫৪, এঙ্গেলব্রেখট ৪৫, সিরাজ ২/২৯)।

ফল: ভারত ১৬০ রানে জয়ী।

আরও পড়ুন:
শ্রেয়াস-রাহুলের সেঞ্চুরিতে ভারতের সংগ্রহ ৪১০
পাপন ও সাকিবের পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
জয়ের ভান্ডার কি ৯ শূন্যই হবে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

খেলা
Fortune Barisal started the BPL with a win

জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করল ফরচুন বরিশাল

জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করল ফরচুন বরিশাল
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বিপিএলের এবারের আসর শুরু হয়েছে সোমবার। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে সপ্তম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফের ৮৮ রানের জুটি বরিশালের জয় নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।

সোমবার মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বিপিএলের এবারের আসর শুরু হয়েছে।

আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে সপ্তম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফের ৮৮ রানের জুটি বরিশালের জয় নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখে।

১৯৮ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে পৌঁছতে মাঠে নেমে বরিশাল তাদের ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায়। জিসান আলমের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি।

পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই আরও দুই উইকেট হারিয়ে তিন উইকেটে ৩০ রান তুলতে সক্ষম হন তারা।

এরপর তৌহিদ হৃদয় ২৩ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে শুরুর ধাক্কা সামলে নেয়। কিন্তু কাইল মেয়ার্স (৫) ও মুশফিকুর রহিম (১৩) দ্রুত আউট হওয়ায় বরিশাল আরও বিপদে পড়ে যায়।

অর্ধেক ওভার মাঠে গড়ানোর আগেই বরিশাল অর্ধেক উইকেট হারিয়ে বসে। ১৩তম ওভারে নিজেদের ষষ্ঠ উইকেট হারায় তারা।

ম্যাচের এই পর্যায়ে মাহমুদউল্লাহ ও আশরাফি শক্তভাবে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জয়ের শক্তিশালী জুটি গড়েন। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১ বল হাতে রেখে চার উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা।

এর আগে ইয়াসিরের ৪৭ বলে অপরাজিত ৯৪ ও এনামুলের ৫১ বলে ৬৫ রানের ওপর ভর করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ১৯৭ রানের বড় স্কোর করে দুর্বার রাজশাহী।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে আসা দুর্বার রাজশাহী ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জিসান আলমকে শূন্য রানে আউট করেন কাইল মায়ার্স। স্কোর বোর্ডে ২৫ রান উঠতেই রাজশাহী দ্বিতীয় উইকেট হারায়।

বরিশাল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৪০ রানের জুটি গড়েন এনামুল ও ইয়াসির। ১৮তম ওভারে পতনের আগে এনামুল ৫১ বলে ৪টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৬৫ রান করে দলকে এগিয়ে নেন। তবে উইকেটের অপর প্রান্তে ছিলেন ইয়াসির। সাতটি ৪ ও আটটি ছক্কায় ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

বছরের পর বছর ধরে বিপিএল থেকে ছিটকে পড়া মায়ার্স প্রত্যাবর্তন করে রাজশাহীর হয়ে দুটি উইকেট নেন।

এদিকে টিকিট নিয়ে সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তারা স্টেডিয়ামের একটি গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জও করে।

আরও পড়ুন:
বিপিএলের মাসকট ‘ডানা ৩৬’ উন্মোচন
ড্রাফট শেষে বিপিএলে সাত দলের স্কোয়াড
প্রথমবারের মতো বিপিএল চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
ফাটাফাটি লড়াই হবে ফাইনাল মহারথে
দ্য গ্রেট ওয়াল মুশফিকের ধ্বংসাত্মক ব্যাটিংয়ে ফাইনালে বরিশাল

মন্তব্য

খেলা
Zakers explosive innings whitewashed West Indies

জাকেরের বিস্ফোরক ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ

জাকেরের বিস্ফোরক ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ মাঠে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ছবি: বাসস
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শুক্রবার ৮০ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে আইসিসি পূর্ণ সদস্য কোনো দেশের বিপক্ষে রান বিবেচনায় সবচেয়ে বড় জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। 

জাকের আলির বিস্ফোরক ইনিংসের সুবাদে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শুক্রবার ৮০ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে আইসিসি পূর্ণ সদস্য কোনো দেশের বিপক্ষে রান বিবেচনায় সবচেয়ে বড় জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ।

আগেরটি ছিল চট্টগ্রামে গত বছর মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৭ রানের।

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ যথাক্রমে ৭ ও ২৭ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। এই প্রথম তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল টাইগাররা।

২০১২ সালে সর্বশেষ বিদেশের মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ।

সেন্ট ভিনসেন্টে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২৮ বলে ৪৪ রানের সূচনা পায় টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ৪ ওভারে ১৫ বলে ২৯ রান তোলেন ইনজুরি আক্রান্ত সৌম্য সরকারের জায়গায় একাদশে সুযোগ পাওয়া ইমন।

পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার রোমারিও শেফার্ডের বলে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হন ওপেনার ও অধিনায়ক লিটন দাস। তিনটি চারে ১৪ রান করেন লিটন।

দারুণ শুরুর পর পাওয়ার প্লের শেষ বলে বিদায় নেন ইমন। পেসার আলজারি জোসেফের বলে স্কয়ার লেগে জাস্টিন গ্রেভসকে ক্যাচ দেন চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ২১ বলে ৩৯ রান করা ইমন।

তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে এবারও ব্যর্থ হন তানজিদ হাসান। ৯ রান করে স্পিনার গুদাকেশ মোতির বলে উইকেটরক্ষক নিকোলাস পুরানকে ক্যাচ দেন তানজিদ। এতে দলীয় ৬৫ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

উইকেট পতন ঠেকিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৩১ বলে ৩৭ রান যোগ করে ১৩তম ওভারে দলের রান ১০০ পার করেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকের।

উইকেটে সেট হয়ে ১৩তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ। স্পিনার রোস্টন চেজের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে সীমানার কাছে গ্রেভসকে ক্যাচ দেন তিনটি বাউন্ডারিতে ২৩ বলে ২৯ রান করা মিরাজ।

মিরাজ ফেরার পর ১৫তম ওভারে জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শামীম হোসেন ২ ও মাহেদি হাসান শূন্যতে রান আউট হন। এর মধ্যে নাটকীয়ভাবে রান আউট হন শামীম।

দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা শামীমের দিকে চলে যান জাকের। ওই সময় বল নিয়ে নন স্ট্রাইকের উইকেট ভেঙে দেন চেজ। নিজেকে রান আউট ভেবে মাঠ ছাড়েন জাকের, কিন্তু টিভি আম্পায়ার ভিডিও রিপ্লেতে জানান, স্ট্রাইক প্রান্তে শামীমের আগে ক্রিজে ব্যাট স্পর্শ করেন জাকের। তাই রান আউট হন শামীম। ১৬ বলে ১৭ রানে জীবন পান জাকের।

১১৪ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন জাকের ও তানজিম হাসান সাকিব। সপ্তম উইকেটে দুজনের ২৭ বলে ৫০ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথ পায় টাইগাররা।

১৯তম ওভারের শেষ বলে তানজিমকে আউট করে জুটি ভাঙেন শেফার্ড। একটি করে চার-ছক্কায় ১২ বলে ১৭ রান করেন তানজিম।

৩৪ বলে ৪৮ রান নিয়ে শেষ ওভার শুরু করেন জাকের। আলজারির দ্বিতীয় বলে চার মেরে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩৬ বল খেলা জাকের। এরপর ওভারের তৃতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ বলে ছক্কা মারেন জাকের।

শেষ ওভার থেকে ২৫ রান আসায় ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টি-টোয়েন্টি এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান বাংলাদেশের।

শেষ ১০ ওভারে ১১৩ ও শেষ ৫ ওভারে ৭৫ রান তুলে টাইগাররা। এর মধ্যে জাকেরের সংগ্রহ ছিল ৩৪ বলে ৬৭ রান।

শেষ পর্যন্ত ৩টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৪১ বলে ১৭৫ স্ট্রাইক রেটে অপরাজিত ৭২ রান করেন জাকের। ২২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে এটিই তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

এ বছরের মার্চে সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৪ বলে ৬৮ রান করেছিলেন জাকের।

বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেফার্ড দুটি, আলজারি-চেজ ও মোতি একটি করে উইকেট নেন।

জবাবে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে পেসার তাসকিন আহমেদের বলে লেগ বিফোর হন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং। পরের ওভারে গ্রেভসকে ৬ রানে ফেরত পাঠান স্পিনার মাহেদি।

৭ রানে ২ উইকেট পতনের পর বাংলাদেশ বোলারদের ওপর পাল্টা আক্রমণ করেন জনসন চালর্স ও নিকোলাস পুরান। মারমুখী ব্যাটিংয়ে বড় জুটির আভাস দিচ্ছিলেন তারা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে পুরানকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন মাহেদি। ১০ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৫ রান করেন পুরান। গ্রেভস-পুরান জুটি ২৪ বলে ৩৮ রান যোগ করেন।
দলীয় ৪৫ রানে পুরান ফেরার পর ব্যাটিং ধস নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬ দশমিক ৪ ওভারে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাত নম্বরে নামা রোমারিও শেফার্ডের ২৭ বলে ৩৩ রানে কোনোমতে দলীয় ১০০ রান স্পর্শ করতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

চার ওভারে ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলার রিশাদ। এ ছাড়া তাসকিন-মাহেদি দুটি করে এবং তানজিম-হাসান একটি করে উইকেট নেন।
ম্যাচ সেরা হন জাকের। ব্যাট হাতে ৩৭ রান ও বল হাতে ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন মাহেদি।

এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করলেও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে সাফল্য নিয়ে বছরটি শেষ করতে পারল লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৮৯/৭ (জাকের ৭২*, ইমন ৩৯, শেফার্ড ২/৩০)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৬.৪ ওভারে ১০৯/১০ (শেফার্ড ৩৩, চালর্স ২৩, রিশাদ ৩/২১)।

ফল: বাংলাদেশ ৮০ রানে জয়ী।

আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে হাসিনার সমালোচনা সমর্থন করে না ভারত: বিক্রম মিশ্রি
বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের
বাংলাদেশ ইউএনএইচআরসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সংলাপ শুরু বুধবার
বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক চায় ভারত: বিক্রম মিশ্রি

মন্তব্য

খেলা
After 6 years Bangladesh won the series against West Indies

৬ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

৬ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয় বাংলাদেশের মাঠে উদযাপন বাংলাদেশ দলের। ছবি: ইউএনবি
১৩০ রানের সামান্য লক্ষ্য অর্জন করতে নেমে বাংলাদেশের সুশৃঙ্খল বোলিংয়ের চাপে শুরুতেই নড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।

আর্নোস ভেল গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন ম্যাচের সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।

২০১৮ সালের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়।

ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হতাশাজনক হারের পর সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা টাইগাররা।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ধীর ও স্যাঁতসেঁতে পিচে ছন্দ ধরে রাখতে হিমশিম খায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক লিটন দাস (১০ বলে ৩) আকিল হোসেনের বলে স্টাম্পড হয়ে বিদায় নিলে ৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারিয়ে শুরুতেই সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুশৃঙ্খল বোলিংয়ের মোকাবিলায় টপ অর্ডার তানজিদ হাসান (২), সৌম্য সরকার (১১) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (২৬) হোঁচট খেয়ে শুরুটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। ফলে ১৪তম ওভারে ৬ উইকেটে ৭২ রান করে মনে হচ্ছিল হতাশাজনক স্কোরের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।

শামীম হোসেনের একটি সতর্ক ইনিংস ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান ১৭ বলে দুটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৫ রান করে বাংলাদেশকে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৯ রান তুলে দেয়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি উইকেট নেন গুদাকেশ মোতি।

১৩০ রানের সামান্য লক্ষ্য অর্জন করতে নেমে বাংলাদেশের সুশৃঙ্খল বোলিংয়ের চাপে শুরুতেই নড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।

তাসকিন আহমেদ তার প্রথম ওভারেই ব্রেন্ডন কিং (৮) ও আন্দ্রে ফ্লেচারকে (০) আউট করে স্বাগতিকদের ১৯ রানের মাথায় দুটি উইকেটের পতন ঘটান। এরপর মেহেদী হাসান ও রিশাদ হোসেন মিলে মিডল অর্ডারের নিকোলাস পুরান (৫) ও রোভম্যান পাওয়েলকে (৬) মাঠ ছাড়া করেন।

স্বাগতিকদের ভরসা ছিল রোস্টন চেজের ওপর। তিনি ৩৪ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে দারুণ লড়াই করেন। আকিল হোসেইন চূড়ান্ত পর্যায়ে ৩১ বলে ৩১ রানের লড়াকু স্কোর যোগ করলেও অপর প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকায় তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

হোসেইনকে আউট করে ১৮ ওভার ৩ বলে ১০২ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস গুটিয়ে দেন তাসকিন।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বাইডেন
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে হাসিনার সমালোচনা সমর্থন করে না ভারত: বিক্রম মিশ্রি
বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের
বাংলাদেশ ইউএনএইচআরসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সংলাপ শুরু বুধবার

মন্তব্য

খেলা
West Indies beat Bangladesh by 7 wickets
দ্বিতীয় ওয়ানডে

বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের

বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের নৈপুণ্যে বাংলাদেশকে কম রানে বেঁধে ফেলে জয় নিশ্চিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ছবি: বাসস
জেডেন সিলসের ২২ রানের বিনিময়ে চার উইকেট এবং ব্র্যান্ডন কিংয়ের ৮২ রানের জাদুকরী ব্যাটিংয়ে ৭৯ বল বাকি থাকতেই ২২৮ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।

বাসেতেরেতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মঙ্গলবার বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

জেডেন সিলসের ২২ রানের বিনিময়ে চার উইকেট এবং ব্র্যান্ডন কিংয়ের ৮২ রানের জাদুকরী ব্যাটিংয়ে ৭৯ বল বাকি থাকতেই ২২৮ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।

টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সিলস তাৎক্ষণিকভাবে বল ডেলিভারি করেন। ১০ ওভারের মধ্যে বাংলাদেশের টপ অর্ডারকে ৫৪-৩ করে দেন এ পেসার।

তানজিদ হাসান ৩৩ বলে ৪৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে শুরুতেই প্রতিরোধ গড়ে তুললেও উইকেট পড়েছে নিয়মিত।

অষ্টম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ (৬২) ও তানজিম হাসান সাকিবের (৪৫) মধ্যে রেকর্ড ৯২ রানের পার্টনারশিপ সত্ত্বেও ৪৫.৫ ওভারে ২২৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

জবাবে ১০৯ রানের জুটি গড়ে শক্ত ভিত গড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং ও এভিন লুইস। তাদের আটটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কায় ৭৬ বলে ৮২ রান ইনিংসের গতি বাড়িয়ে দেয়।

রিশাদ হোসেনের বলে ৪৯ রান করে আউট হয়ে হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি থেকে বিদায় নেন লুইস। কেসি কার্টি নেন ৪৫ রান। আর অধিনায়ক শাই হোপ অপরাজিত ১৭ ও শেরফানে রাদারফোর্ড অপরাজিত ২৪ রান করে জয়ের কাজটি স্বাচ্ছন্দ্যে শেষ করেন।

ম্যাচ শেষে হোপ বলেন, ‘আমরা আজ ঝোড়ো ছিলাম। আমরা ঘরের মাঠে সিরিজ জয়ের জন্য সংগ্রাম করছি। এখন ৩-০ ব্যবধানে শেষ করার আশা করছি।’

১০ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়।

ম্যাচ শেষে দলের ব্যাটিং বিপর্যয় নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।

তিনি বলেন, ‘মাঝের ওভারগুলোতে আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। পার্টনারশিপ মিস ছিল। এ উইকেটে তিন শর বেশি রান দরকার ছিল।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ। অন্যদিকে বাংলাদেশ তাদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির আগে পুনরায় সংগঠিত হতে চায়।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-ভারত এফওসি বৈঠক শেষ, বিবৃতি আসছে
সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের খবর মিথ্যা: প্রেস উইং
মুজিবহীন নতুন নকশার নোট আসছে জুনের মধ্যে
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও শতাধিক প্রবাসী
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফোর্ড ও শামার

মন্তব্য

খেলা
Bangladesh is champion for the second time after defeating India
যুব এশিয়া কাপ

ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯ ওভার ১ বলে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশের যুবারা। ১৯৯ রানে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট হাতে নেমে ১৩৯ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।

যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯ ওভার ১ বলে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশের যুবারা। ১৯৯ রানে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট হাতে নেমে ১৩৯ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।

বাংলাদেশের যুবারা এদিন শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আসে সাফল্য। আইয়ুস মার্থেকে (১) বোল্ড করে ওপেনিং জুটি ভাঙেন আল ফাহাদ। তাতে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় ভারত।

পঞ্চম ওভারে মারুফ মৃধাকে দুটি বাউন্ডারি মেরে পাল্টা আঘাত হানতে চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার ভাইভাব সুরিয়াবানশি (৯)। তবে আরও একটি মারতে গিয়ে গ্যালিতে শিহাব জেমসের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

ব্যাটিং অর্ডারে তিনে নামা আন্দ্রে সিদ্ধার্থকে সাজঘরে ফেরান রিজান হোসেন। ক্রিজে মোটামুটি সেট হয়ে যাওয়ার এই ভারতীয় ব্যাটার ৩৫ বলে ২০ রান করে বোল্ড হয়ে যান। টপ অর্ডারের তিন উইকেট তুলে এবার ভারতীয়দের চেপে ধরে বাংলাদেশ।

কেপি কার্থিকেয়াকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন ভারতীয় অধিনায়ক মোহামেদ আমান। তবে ২১তম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতে এনে দেন ইমন। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা কার্থিকেয়াকে উইকেটরক্ষক ফরিদের ক্যাচে পরিণত করে ভাঙেন জুটি। ২১ রান আসে কার্থিকেয়ার ব্যাট থেকে। শূন্য রানে নিখিল কুমারকেও ফেরান ইমন।

পরের ওভারে আবারও ইমনের আঘাত। এবার এই পেসারের শিকার হারভানশ পাঙ্গালিয়া। ৬ রান করা এই ব্যাটারকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি।

ভারতীয় অধিনায়ক আমান এক প্রান্ত আগলে রেখে আশা বাঁচিয়ে রাখেন। ৩২তম ওভারে বল হাতে নিয়েই তাকে ফেরান বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল। ব্যক্তিগত ২৬ রানে বোল্ড হয়ে যান আমান।

নয় নম্বরে নামা হার্দিক রাজ ২১ বলে করেন ২৪ রান। তাকেও ফেরান আজিজুল। এলবিডাব্লিউর ফাঁদে হার্দিক রাজ। এরপর চেতন শর্মার আউটের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত হয় টাইগার যুবাদের জয়।

লেগস্পিনার দেবাশিস দেবা ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে সব বোলারই উইকেট পেয়েছেন। তবে উইকেট না পেলেও দারুণ বোলিং করেন দেবা। ২৪ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ইমন। আজিজুলও নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া দুটি শিকার আল ফাহাদের।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৭ রানে কালাম সিদ্দিকিকে হারায় বাংলাদেশ। একাদশ ওভারে ফেরেন থিতু হওয়া আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরার (২০)। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম আগের ম্যাচগুলোতে দারুণ খেললেও এদিন ২৮ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফিরলে চাপে পড়ে দল।

এরপর শিহাব-রিজান মিলে চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ৬২ রান। দুজনেই ফেরেন অসময়ে। আয়ুশ হাটরের বলে ক্যাচ দিয়ে থামেন শিহাব। হার্দিক রাজের বলে বোল্ড হয়ে যান রিজান। দেবাশীষ দেবা, সাইমুন বাসির ব্যর্থ হলে দলকে এরপর টানেন ফরিদ। নবম উইকেটে মারুফ মৃধাকে নিয়ে যোগ করেন ৩১ রান।

দলের হয়ে ৬৫ বলে ৩টি চারের সাহায্যে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেছেন রিজান। ৬৭ বলে ৩টি চারে ৪০ আসে শিহাবের ব্যাট থেকে। ১৬৭ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর টেল এন্ডারদের নিয়ে দলকে দুশ’র কাছে নিতে ৪৯ বলে গুরুত্বপূর্ণ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন ফরিদ। তিনিও চার মারেন ৩টি।

আরও পড়ুন:
টানা দুই জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে রেকর্ড গড়া জয় বাংলাদেশের
উচ্ছ্বাসে মাতল খুলনা জেলা স্টেডিয়াম
টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের টাইটেল স্পন্সর সেনোরা

মন্তব্য

খেলা
Ford and Shamar were dropped from the ODI series against Bangladesh

বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফোর্ড ও শামার

বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফোর্ড ও শামার গত মাসে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ঊরুর ইনজুরিতে পড়েন ফোর্ড (বামে)। ছবি: বাসস
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে ফোর্ড সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তাই পূর্বঘোষিত ওয়ানডে দলে রাখা হয়েছিল তাকে, কিন্তু ফিট হতে না পারায় পুনবার্সন চালিয়ে যাবেন ফোর্ড।

ইনজুরির কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই পেসার ম্যাথু ফোর্ড ও শামার জোসেফ।

তাদের জায়গায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে দলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন মার্কিনো মিন্ডলি ও জেডিয়া ব্লেডস।

গত মাসে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ঊরুর ইনজুরিতে পড়েন ফোর্ড।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে ফোর্ড সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তাই পূর্বঘোষিত ওয়ানডে দলে রাখা হয়েছিল তাকে, কিন্তু ফিট হতে না পারায় পুনবার্সন চালিয়ে যাবেন ফোর্ড।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আট উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ফোর্ড।

বাংলাদেশের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে পায়ের ইনজুরিতে পড়া শামার থাকবেন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে। তাই ওয়ানডে সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন ।

দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আছে মিন্ডলির। ২০২২ সালে এডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় তার। এরপর জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন মিন্ডলি।

সম্প্রতি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট সুপার ফিফটি কাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন মিন্ডলি। সাত ম্যাচে ১৯২ রান খরচায় ২০ উইকেট শিকার করেন তিনি। বল হাতে দারুণ ছন্দে থাকায় ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন ২৯ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার।

সুপার ফিফটি কাপে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন ব্লেডস। ৫ ম্যাচে ১৭৭ রানে ১৪ উইকেট নিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেলেন ২২ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার।

আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল: শাই হোপ (অধিনায়ক), ব্র্যান্ডন কিং (সহ-অধিনায়ক), কেসি কার্টি, রোস্টন চেজ, জাস্টিন গ্রেভস, শিমরন হেটমায়ার, আমির জাঙ্গো, আলজারি জোসেফ, মার্কিনো মিন্ডলি, জেডিয়া ব্লেডস, এভিন লুইস, গুডাকেশ মোটি, শেরফানে রাদারফোর্ড, জেইডেন সিলেস ও রোমারিও শেফার্ড।

আরও পড়ুন:
কলকাতায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা, ড. ইউনূসের কুশপুতুল পোড়ানোয় ঢাকার নিন্দা
দ্বিতীয় টেস্টে সমতা ফেরাতে চায় বাংলাদেশ
ব্যাংকগুলোকে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা
বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিভক্ত না হতে মাহাথিরের আহ্বান
৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের

মন্তব্য

খেলা
Bangladesh tied the Test series after defeating the West Indies

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টেস্ট সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টেস্ট সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশ মাঠে উদযাপন বাংলাদেশ দলের। ছবি: বাসস
ম্যাচসেরা তাইজুল বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের আনন্দই আলাদা, যা আমরা সাধারণত করতে পারি না। দলের প্রত্যেকেই তাদের সাধ্যমতো দেবার চেষ্টা করেছে।’

তাইজুল ইসলাসের ঘূর্ণিতে জ্যামাইকা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০১ রানে পরাজিত করে ১-১ সমতায় দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ করেছে বাংলাদেশ।

টেস্ট ইনিংসে ১৫তম বারের মতো পাঁচ উইকেট দখলের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তাইজুল।

সাবিনা পার্কে জাকের আলির টেস্ট সেরা ৯১ রানের ইনিংসে ভর করে চতুর্থ দিন ২৬৮ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ের জন্য ২৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৮৫ রানেই গুটিয়ে যায়। তাইজুল ৫০ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট।

ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা প্রথম ইনিংসে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট দখল করেছিলেন। রানার ওই বোলিং তোপেই বাংলাদেশ জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে।

দ্বিতীয় ইনিংসে রানা শামার জোসেফের একমাত্র উইকেটটি নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন।

ম্যাচসেরা তাইজুল বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের আনন্দই আলাদা, যা আমরা সাধারণত করতে পারি না। দলের প্রত্যেকেই তাদের সাধ্যমতো দেবার চেষ্টা করেছে।’

পেসার তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ দুটি করে উইকেট দখল করেছেন। দুই টেস্টে সব মিলিয়ে ১১ উইকেট নিয়ে তাসকিন হন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।

আরও পড়ুন:
কলকাতায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা, ড. ইউনূসের কুশপুতুল পোড়ানোয় ঢাকার নিন্দা
দ্বিতীয় টেস্টে সমতা ফেরাতে চায় বাংলাদেশ
ব্যাংকগুলোকে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা
বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিভক্ত না হতে মাহাথিরের আহ্বান
৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের

মন্তব্য

p
উপরে