× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

খেলা
Will the winnings be 9 zero?
google_news print-icon

জয়ের ভান্ডার কি ৯ শূন্যই হবে

জয়ের-ভান্ডার-কি-৯-শূন্যই-হবে
আমি চাই, লিগ পর্বে দুদলের শেষ ম্যাচটি জমে উঠুক এবং রোমাঞ্চ ছড়িয়ে দিক ক্রিকেটামোদীদের মাঝে।

বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট শেষের দিকে চলে এসেছে। আজ লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এই ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত। তাদের জন্য লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটি স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার।

গুরুত্বহীন ম্যাচ হলেও ডাচদের ছেড়ে কথা বলবে না তারা। কারণ- লিগ পর্বে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে টানা যে আটটি জয় তুলে নিয়ে একটি মোমেন্টাম পেয়েছে দলটি, সেখানে কোনোভাবেই মরিচা ধরতে দেবে না। নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে লিগ পর্বে ‘নাইন টু নাইন উইন’ নিয়েই সেমিফাইনালে খেলতে যেতে চাইবে তারা।

এ ছাড়া গত আসরে দেখেছি, লিগ পর্বে খুবই ভালো খেলেছিল ভারত। কিন্তু সেমিফাইনালে গিয়ে ছন্দপতন হয় দলটির। আশা করি, তারা অতীত থেকে শিক্ষা নেবে। জয়ের ছন্দ কোনোভাবেই হারাতে চাইবে না রোহিতরা।

আমি মনে করি, আজ ডাচদের ব্যাপারে বেশ সতর্ক থাকবে তারা। কারণ- একটি বাজে দিন অনেক কিছুই বদলে দিতে পারে। কোনো অঘটন যাতে না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রেখেই খেলবে টিম ইন্ডিয়া। মাঠে তাদের জয়ের ক্ষুধা থাকবে। তবে এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের বিশ্রামে রাখতে পারে দল। যাতে করে পুরোপুরি সতেজ হয়ে সেমিফাইনালের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।

হার্দিক পান্ডিয়ার বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ায় ব্যালান্সড একাদশ গড়তে গিয়ে কিছুটা বিপাকেই পড়তে হচ্ছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। ছয় ব্যাটার ও পাঁচ বোলারকে নিয়ে খেলছে দলটি। পান্ডিয়ার জায়গায় ফেরা সূর্যকুমার যাদব কিন্তু সেভাবে রান পাচ্ছেন না। এ ছাড়া ভারতের ব্যাটিং লাইনআপে আর কোনো দুর্বলতা আমি দেখছি না। আজকের ম্যাচে যাদবের সঙ্গে সাইড বেঞ্চের খেলোয়াড়দের বাজিয়ে দেখার সুযোগ নিতে পারে ভারত।

এই বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য রকমের ফর্মে আছেন রোহিতরা। অপ্রতিরোধ্য ক্রিকেট খেলছেন তারা। কোনো দলকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। সেই অর্থে ভারত দলকে কোনো দল চাপের মধ্যেও ফেলতে পারেনি। যে কটি ম্যাচে চাপ তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে বেশ দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। এ পর্যন্ত ভারতকে হারানোর মতো দল বিশ্বকাপে দেখিনি। অন্য দলগুলোর সঙ্গে যে ভারতের অনেক পার্থক্য- সেটি মাঠে প্রমাণ হয়েছে। দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়া এমন একটি দুরন্ত দলকে কি লিগ পর্বে শেষ পর্যন্ত আটকাতে পারবে নেদারল্যান্ডস?

আমার মতে, ডাচদের জন্য এই ভারতকে হারানোর ব্যাপারটি হবে অনেক কঠিন একটি ব্যাপার। তবে ক্রিকেট চরম অনিশ্চয়তার খেলা। এখানে কখন কী ঘটে যায়, সেটা আগে থেকে শতভাগ নিশ্চিত করে বলা যায় না। যেমন- দক্ষিণ আফ্রিকাকে যে ম্যাচে হারাল নেদারল্যান্ডস, সেটি কিন্তু অনেকের ধারণার বাইরে ছিল। যদি বলি আফগানিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটির কথা, সেখানে অতিমানবীয় ও অকল্পনীয় এক ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংস খেলে দলকে জেতান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এ ছাড়া আফগানিস্তান দলটি তিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তাই ডাচদের ছোট দল বলে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।

কোনো কিছু হারানোর ভয় নেই ডাচদের। তারা সম্পূর্ণ চাপমুক্ত ও নির্ভার হয়ে খেলবে। আমি মনে করি, লিগ পর্বের অন্য একটি ম্যাচের মতো সমান গুরুত্ব দিয়েই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে ভারত। এ ম্যাচে কোনো অঘটন ঘটে গেলে সেটির প্রভাব কিন্তু সেমিফাইনালে পড়তে পারে। এ ব্যাপারটিও চিন্তায় থাকবে তাদের।

এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে যে ব্যাপারটি বেশি চোখে পড়েছে, সেটি হলো- এবার ঘরের মাঠে নতুন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলছে রোহিত অ্যান্ড কোং। বিশেষ করে পাওয়ার প্লেতে ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ বদলে গেছে তাদের। গত আসরে দেখেছি- দলগুলো পাওয়ার প্লেতে ‘ওয়াচফুল স্টার্ট’-এর প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে। কিন্তু এবার ভারত দলটি ‘পাওয়ারফুল স্টার্ট’ চালু করেছে। ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে রোহিত শর্মাকে যেভাবে আক্রমণাত্মকভাবে ব্যাট চালাতে দেখা যায়, এটি তাদের নতুন কৌশল হতে পারে। পাওয়ার প্লেতে দ্রুত স্কোর বোর্ডে রান জমা করতে পারলে মাঝের ওভারগুলোতে খেলা সহজ হয়। অবশ্য বিরাট কোহলির মতো নির্ভরযোগ্য ব্যাটার দলে থাকায় ব্যাটিংয়ে সেই সাহস দেখাতে পারছেন রোহিতরা। টপ অর্ডার ঠিকঠাক মতো ক্লিক করায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না ভারতের। তাদের মিডল অর্ডারও শক্তিশালী। এখন পর্যন্ত লোয়ার অর্ডারকে চাপে পড়তে হয়নি।

শুধু ব্যাটিং নয়, বোলিংয়েও অনন্য দেখা যাচ্ছে ভারতকে। পাওয়ার প্লেতে দ্রুত উইকেট শিকার করে প্রতিপক্ষকে খুবই চাপে ফেলছে তারা। জাসপ্রিত বুমরাহর কথা আলাদা করে বলতেই হবে। এমন বোলার যেকোনো দলের জন্য মূল্যবান সম্পদ। তার বল সামলাতে হিমশিম খেতে হয় ব্যাটারদের। সাইড বেঞ্চ থেকে উঠে এসে মোহাম্মদ শামি এখন দলের অন্যতম সেরা বোলার। মোহাম্মদ সিরাজের বল খেলাও বিপজ্জনক। ভারতের পেস ইউনিট যেকোনো দলের জন্য বড় হুমকি হতে পারে। কুলদীপ, অশ্বিন ও জাদেজা মিলে স্পিন শক্তিতেও বলীয়ান ভারত। ফিল্ডিংয়েও সমান গুরুত্ব দিয়েছে দলটি। ফলে সব দিক থেকে অপ্রতিরোধ্য দল হয়ে উঠেছে তারা। আমার মতে, এই দলটিকে আটকাতে হলে অবিশ্বাস্য কিছু করে দেখাতে হবে নেদারল্যান্ডসকে।

ভারত অপ্রতিরোধ্য বলে মনোবল হারাবে না ডাচরা। তারাও পাল্টা জবাব দেয়ার চেষ্টা করবে। ভারতের সামনে ডাচ দলটি আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কারণ আছে। বিভিন্ন দেশের বংশোদ্ভূত ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে গড়া তাদের দলটি। অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অনেক অভিজ্ঞতা আছে তার। এ ছাড়া তাদের বেশ কিছু ক্রিকেটার আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। তাদেরও সাউথ আফ্রিকার ক্রিকেটে বিভিন্ন পর্যায়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়ও রয়েছে ডাচ দলে। সব মিলিয়ে ১২ বছর পর বিশ্বকাপে খেলতে আসা নেদারল্যান্ডস দলটি কিন্তু লড়াকু। এই বিশ্বকাপে দুটি বড় জয়ও পেয়েছে তারা। স্পিন ভালো খেলায় বেশ দক্ষতা আছে তাদের। এটি তাদের ইতিবাচক দিক। তাদের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় নিয়মিত কাউন্টি ক্রিকেটেও খেলেন। উইকেট নেয়ার মতো ভালো মানের বোলারও আছে দলে। আমার মতে, শক্তি-সামর্থ্যে ভারতের তুলনায় অনেক পিছিয়ে থাকলেও নিজেদের দিনে ভালো কিছু করে দেখাতে পারে নেদারল্যান্ডস। তারাও চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে পারে।

আমি চাই, লিগ পর্বে দুদলের শেষ ম্যাচটি জমে উঠুক এবং রোমাঞ্চ ছড়িয়ে দিক ক্রিকেটামোদীদের মাঝে।

আরও পড়ুন:
বহু সমীকরণ মেলানোর ম্যাচে হেরে বিদায় পাকিস্তানের
মিরপুরের স্লো উইকেটের সমালোচনায় শান্ত
অপ্রতিরোধ্য মার্শ, হার দিয়ে বিদায় বাংলাদেশের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

খেলা
Tamim stepped out of BCB elections

বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম

বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের অন্যতম আলোচিত প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। পরিচালক পদের প্রার্থিতা বাতিলের শেষ দিনে হঠাৎ বিসিবিতে উপস্থিত হয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন তিনি।

বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় খোলা হয় বিসিবির নির্বাচনী কার্যালয়। আর তামিম সেখানে উপস্থিত হন সকাল ১০টা ২০ মিনিটে।

নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়ে তামিম কিছু জানাননি তিনি। তবে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ দিয়ে আসছিলেন তিনি।

আজ দুপুর ১২টায় পরিচালক পদের প্রার্থীতা বাতিলের শেষ সময়। আর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে দুপুর ২টায়।

এই সময়ের মধ্যে তামিম ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন প্রার্থী নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে, জেলা ও বিভাগ থেকে ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন নিজ নিজ বিভাগের কাউন্সিলরদের ভোটে।

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে দুজন করে এবং বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর থেকে একজন করে পরিচালক হবেন। এই ক্যাটাগরিতে মোট কাউন্সিলর ৭১ জন।

ক্লাব ক্যাটাগরিতে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন ৭৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থা নিয়ে গঠিত তৃতীয় ক্যাটাগরির ৪৫ জন কাউন্সিলরের ভোটে পরিচালক হবেন একজন। পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন শেষে ২৫ পরিচালকের ভোটে হবে সভাপতি নির্বাচন।

মন্তব্য

খেলা
Enamuls Failure continuity The story of Run vacancies in Sri Lanka tour

এনামুলের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা: শ্রীলঙ্কা সফরে রান শূন্যতার গল্প

এনামুলের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা: শ্রীলঙ্কা সফরে রান শূন্যতার গল্প

শ্রীলঙ্কার মাটিতে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে রান আসছেই না। গল টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও শূন্য রানে ফিরেছেন তিনি। আসিথা ফার্নান্ডোর বাউন্সার বলটিকে ব্যাটের ভেতরের ধার লাগিয়ে স্টাম্পে পাঠান এনামুল, যা যেন তার চলমান দুর্দশারই প্রতীক।

মজার বিষয় হলো, এই আউট হওয়ার আগে দুইবার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ফার্নান্ডোরই একটি বল স্লিপে ক্যাচ তুলে দিলেও উইকেটকিপার তা হাতছাড়া করেন। পরের বলেও একই অঞ্চলে ক্যাচের সুযোগ তৈরি হয়, কিন্তু বলটি নিচু হওয়ায় ফিল্ডাররা ধরতে ব্যর্থ হন।

এনামুলের এই সফরটা যেন ভাগ্যের সাথে লুকোচুরির খেলা। গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রানের পর এবার আবার শূন্য। ক্রিজে দাঁড়ালেই কীভাবে যেন রান না পাওয়ার অভিশাপ তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ব্যাট হাতে আত্মবিশ্বাসের অভাব স্পষ্ট, প্রতিটি বলই যেন তার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

এমন সময়ে প্রশ্ন উঠছে, দলের ওপেনিং জুটিতে এনামুলের স্থান কতটা যৌক্তিক? নাকি দ্রুত কোনো বিকল্প খুঁজে বের করার সময় এসেছে? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ইনিংসটিই হয়তো তার জন্য শেষ সুযোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

মন্তব্য

খেলা
Rumana Ahmed sought justice from BCB

বিসিবির কাছে বিচার চাইলেন রুমানা আহমেদ

বিসিবির কাছে বিচার চাইলেন রুমানা আহমেদ

বছর তিনেক হলো জাতীয় দলের বাইরে অলরাউন্ডার রুমানা আক্তার। মাঝখানে একবার ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন ‘আর নয় ক্রিকেট’। সেই ফেসবুক পোস্টেই এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে গুরুতর অভিযোগ তুললেন রুমানা আহমেদ। রুমানার দাবি, তার সঙ্গে অন্যায়-অবিচার হয়েছে। এবং তিনি সেটার বিচার চাইলেন ক্রিকেট বোর্ডের কাছে।

গতকাল নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে রুমানা পোস্ট দিয়েছেন বিসিবির কাছে খোলা চিঠির মতো করে। তিনি লিখেছেন, ‘বিসিবির সম্মানিত অভিভাবকদের বলছি। আমি খেলি কিংবা না খেলি, এমন অনৈতিক-নৈরাজ্যমূলক ঘটনা চলতে পারে না। দয়া করে আমাকে চূড়ান্ত সমাধান দিন। কোনো কারণ ছাড়াই তিন বছর তো কোনো কৌতুকের কিছু না। আমি কখনোই বাজে ক্রিকেট খেলিনি। অনৈতিক কাজও করিনি। জ্যেষ্ঠতা কখনোই অভিশাপ হতে পারে না। যারা আমার উজ্জ্বল ক্রিকেট ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছে, তার বিচার চাই।’

২০২৩ সালের আগস্টে সামাজিক মাধ্যমে হঠাৎই রুমানা পোস্ট দিয়েছিলেন, ‘আর ক্রিকেট নয়।’ সেই পোস্টের আগে বাংলাদেশ যে শ্রীলঙ্কা-ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছিল, কোনোটিতেই তিনি ছিলেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দল ঘোষণার পর বিসিবি জানিয়েছিল, তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল।

বিসিবির এই দাবির বিপক্ষে পাল্টা দাবি করেছিলেন বাংলাদেশ দলের এই লেগস্পিনিং অলরাউন্ডার। সে সময় রুমানা বলেছিলেন- বিশ্রাম নয়, তাকে বাদই দেওয়া হয়েছিল। টিম ম্যানেজমেন্টের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদমাধ্যমে এমন মন্তব্য করায় রুমানাকে তলবও করেছিল বোর্ড।

দুই বছর আগে ‘নো মোর ক্রিকেট’ পোস্ট নিয়ে বিসিবি তখন বিব্রত হয়েছিল। নারী বিভাগের তৎকালীন প্রধান শফিউল আলম নাদেল সে সময় বলেছিলেন, ‘আমরা সব সময় আমাদের ক্রিকেটারদের প্রতি সদয় বা সৎ। ওকে এটা শুধু মনে করিয়ে দিলাম, সেতো চাইলে বোর্ড- আমাদের বিভাগ থেকে শুরু করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), বোর্ড সভাপতি; সবার সঙ্গেই তো কথা বলার সুযোগ আছে। এটা সে না করলেও পারত।’

৩৩ বছর বয়সী রুমানা ২০১১ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন ৫০ ও ৮৭ ম্যাচ। দুই সংস্করণেই ৮০০-এর বেশি রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার উইকেট ১২৫।

মন্তব্য

খেলা
Tamims condition should improve at rest Doctor

তামিমের অবস্থার উন্নতি, থাকতে হবে বিশ্রামে: চিকিৎসক

তামিমের অবস্থার উন্নতি, থাকতে হবে বিশ্রামে: চিকিৎসক তামিমের স্বাস্থ্যের অবস্থা মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর (ডানে) ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ। ছবি: ইউএনবি
অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল এখন সুস্থ। তার সার্বিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু কখনও কখনও যে প্রাইমারি পিসিআই হয়েছে, এটা একটা ফরেন বডি, এটা রিঅ্যাকশন হতে পারে, হার্ট নানাভাবে এটার ওপর অ্যাকশন ও রিঅ্যাকশন হতে পারে। রে রিংটা লাগানো হয়েছে, সেটা সামায়িকভাবে, কোনোভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। যদিও সেই পরিসংখ্যান খুবই কম।’

জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর।

তিনি বলেন, ‘তবে তার স্বাভাবিক কাজকর্মে—অর্থাৎ খেলাধুলায়—ফিরতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে।’

সাভারের কেপিজি হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুরে তামিমকে দেখে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য দিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে এ চিকিৎসক বলেন, ‘তামিম ইকবালকে নরমাল কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য অন্তত তিন মাস সময় দিতে হবে। মানে খেলাধুলায়। এ ছাড়া তিনি বাসায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ও হাঁটাচলা করবেন সপ্তাহখানেক। তাকে বিশ্রামেই থাকতে হবে। যদিও সব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সব রোগ সবসময় ধরা পড়ে না।

‌‘প্রথমিক ইসিজিতে কোনো চেঞ্জ আসেনি। আজ সকালে ইকো (ইকোকার্ডিওগ্রাম) করা হয়েছে। সবকিছুই ভালো। কিন্তু তারপরও যেকোনো সময় যেকোনো জিনিস ঘটে যেতে পারে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তার পরিবারের সাথে আলাপ করেছি। এখন তাদের সিদ্ধান্ত আমাদের সিদ্ধান্ত।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্পদ তামিম ইকবালের শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করেন গতকাল সাড়ে ১০টায়। তিনি এখানে আসার পর ডাক্তাররা তাকে কার্ডিয়াক প্রবলেম হিসেবে সন্দেহ করেছেন। প্রাথমিকভাবে কিছু চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। তাকে এখন মুভ (নিয়ে যাওয়া) করানো ঠিক হবে না বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

‘তিনি একজন জাতীয় সেলিব্রেটি। নিজের অবস্থান বিবেচনা করে তিনি তাড়াতাড়ি ঢাকায় শিফট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও হয়েছিল। আমাদের এখানকার দুজন ও ওখানকার দুজন মিলে চারজন চিকিৎসক মিলে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তখন তার হার্ট অ্যাটাক হয়, তার নাড়ির স্পন্দন পাওয়া যায়নি। তারপর ডাক্তারররা সিপিআর দিয়েছেন। হার্ট বন্ধ হয়ে গেলে চালু করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।’

অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল এখন সুস্থ। তার সার্বিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু কখনও কখনও যে প্রাইমারি পিসিআই হয়েছে, এটা একটা ফরেন বডি, এটা রিঅ্যাকশন হতে পারে, হার্ট নানাভাবে এটার ওপর অ্যাকশন ও রিঅ্যাকশন হতে পারে।

‘রে রিংটা লাগানো হয়েছে, সেটা সামায়িকভাবে, কোনোভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। যদিও সেই পরিসংখ্যান খুবই কম।’

তিনি বলেন, ‘তার পরিবারের সদস্যদের সেটা বলেছি। চিকিৎসক যারা ছিলেন, ডা. মারুফ, তাদের পরিশ্রমে, আল্লাহর বিশেষ রহমতে তাকে আমরা একটি নবজীবন দিতে পেরেছি। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা যেখানে সম্ভব, সেখানে মানুষ যেতে চাইবে। কিন্তু তার যাওয়াটা কতটা নিরাপদ, সে বিষয়ে আমরা তার পরিবারের সঙ্গে আলাপ করেছি। তার এই মুহূর্তে শিফট করায় ঝুঁকি আছে।’

এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ঝুঁকিটা কম, এক শতাংশ। যদি ঘটে যায়, তখন ঝুঁকিটা শতভাগ। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা তার এখানে থাকা উচিত। তার পর তিনি অন্য কোথাও যেতে পারবেন।’

আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘তামিমের যেটা হয়েছিল, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে সেটা কিন্তু হয়। আমরা দেখেছি, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাক হলে ১০ থেকে ২০ শতাংশ রোগী কখনও হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না। তার হার্ট অ্যারেস্ট হয়। এখানেও তাই হয়েছে। কিন্তু তার সাথে চিকিৎসকরা ছিলেন, সাথে সাথে কার্ডিয়াক ম্যাসেজ শুরু হয়েছিল। হার্ট নিজে পাম্প করছে না, জোর করে কিছুটা পাম্প করিয়ে রাখা হয়েছিল। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

‘তার বন্ধ আর্টারি খুলে দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, অ্যাকিউট এপিসোডটা গেছে। ৩২ মিনিটের মতো তাকে কার্ডিয়াক প্লেসে দিতে হয়েছে। সেখান থেকে উঠে আসার সৌভাগ্য সবার হয় না। যথাসময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়ার কারণেই তামিমকে আমরা ফিরে পেয়েছি। কতটা ফেরত পেয়েছি, আজ সকালবেলায় ইকোকার্ডিয়াক করে হার্টের ফাংশন দেখা হচ্ছিল, দেখে মনে হয়, কোনো সমস্যা নেই, একেবারে তরতাজা। মনে রাখতে হবে, এটিই একটি ছদ্মবেশ। হার্ট আবার অ্যাবনরমাল হতে পারে। তবে শঙ্কা অবশ্যই কমে গেছে।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘তবে ওটা হয়েছিল, কারণ একটা বড় আর্টারি বন্ধ ছিল। খাবার নেই, অক্সিজেন নেই, ওই টিস্যুটা ইরিটেটেড, সে জন্যই এটা হয়েছিল। এখন সেটা খুলে গেছে। স্লাইট শঙ্কা আছে। সে জন্য আমরা তাকে বলেছি, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত একটি ক্রিটিক্যাল টাইম, যাতে আর কোনো প্রবলেম না হয়।

‘কথাবার্তা একটু কম বলা উচিত, বিশ্রামে থাকা উচিত। এখানে থেকে স্থিতিশীল হয়ে আরও ভালো কোনো জায়গায় যদি যেতে চান, তাহলে যেতে পারবেন।’

আরও পড়ুন:
রিং পরানো হয়েছে তামিমের হৃৎপিণ্ডে
বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে তামিম ইকবাল
দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা সাকিব জ্যোতি তামিমদের
নারী ক্রিকেটারদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
লাইভে এসে ফোনালাপের বিষয়টি খোলাসা করলেন তামিম

মন্তব্য

খেলা
The ring is worn on Tamims heart

রিং পরানো হয়েছে তামিমের হৃৎপিণ্ডে

রিং পরানো হয়েছে তামিমের হৃৎপিণ্ডে ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। ছবি: ইউএনবি
ইউএনবিকে সোমবার এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের হৃৎপিণ্ডে রিং পরানো হয়েছে।

বর্তমানে তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে।

ইউএনবিকে সোমবার এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘তাকে রিং পরানো হয়েছে নিশ্চিত। প্রথমে মাঠে খেলার সময় তার বুকে ব্যথা ওঠে। আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠাই। তাকে যখন হেলিকপ্টারে তোলা হচ্ছিল, তখন আবার বুকে ব্যথা শুরু হয়।

‘হঠাৎ করেই তার বুকে ব্যথা ওঠে। এরপর আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসকসহ তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসা বিভাগের প্রধান দেবাশীষ চৌধুরী সাংবাদমাধ্যমকে জানান, তামিমের দুইবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।

এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। এ মুহূর্তে তিনি সেখানেই ভর্তি।

তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।

এ ক্রিকেটারকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে ‌‘হত্যাচেষ্টা’: অ্যাম্বুলেন্সের চালক গ্রেপ্তার
গজারিয়ায় হাসপাতালের সামনে ভ্যানে সন্তান প্রসব
সিলেট জেলা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ, দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ
ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
টানা দুই জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

মন্তব্য

খেলা
Cricketer Shakibs property in the Czech Digon case

চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ


চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ ক্রিকেটার ও মাগুরা-২ আসনের সাবেক এমপি সাকিব আল হাসান। ছবি: বাসস
চেক ডিজঅনার মামলায় সাকিব আল হাসানসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর তিনজন হলেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম।

চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার ও মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাকিব আল হাসানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার এ আদেশ দেন।

আদালতের পেশকার রিপন মিয়া বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

চেক ডিজঅনার মামলায় সাকিব আল হাসানসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর তিনজন হলেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম।

আদালত ১৫ ডিসেম্বর বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৯ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১৯ জানুয়ারি সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তিনি পরে এ মামলায় জামিন নেন।

আজ গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। বাদীপক্ষ সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, সাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করে। তার বিপরীতে দুটি চেক ইস্যু করে সাকিবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। এরপর চেক দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। দুই চেকে টাকার পরিমাণ প্রায় চার কোটি ১৫ লাখ।

আরও পড়ুন:
হত্যা মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে পলক
বাসসের এমডিসহ তিনজনের নামে যুগান্তর সম্পাদকের মামলা
ঘুষের মামলায় তারেক রহমান ও বাবরসহ আটজন খালাস
অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাবর
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পিবিআইয়ের হেফাজতে থাকা আলামত জব্দের অনুমতি পেল আইসিটি

মন্তব্য

খেলা
Tamim Iqbal at the hospital with chest pain

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে তামিম ইকবাল

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে তামিম ইকবাল ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। ছবি: ইউএনবি
টাইগারদের সাবেক এ ক্যাপ্টেনের শরীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে জানিয়ে মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত একটা এনজিওগ্রাম হয়েছে। এরপর তিনি স্থিতিশীল আছেন।’

ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তামিম ইকবাল।

তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

ইউএনবিকে সোমবার দুপুরে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকে বিকেএসপির পাশে ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিকেএসপি থেকে আমাদের অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক সবকিছুসহ তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। আমাদের কর্মকর্তা ও ক্রিকেটের প্রশিক্ষকরা ওখানে আছেন।

‘ঢাকা থেকেও টিম আসছে। আমাদের কর্মকর্তা-চিকিৎসক সেখানে আছে। বিকেএসপির মাঠে হেলিকপ্টার অপেক্ষা করছে। দেখি কী করা যায়।’

টাইগারদের সাবেক এ ক্যাপ্টেনের শরীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে জানিয়ে মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত একটা এনজিওগ্রাম হয়েছে। এরপর তিনি স্থিতিশীল আছেন।’

মোহামেডান ক্লাবের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‌‘তামিম ইকবাল বর্তমানে চিকিৎসাধীন। আমরা সবাই তার সুস্থতা কামনা করছি।’

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।

এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। তিনি সেখানে ভর্তি রয়েছেন।

তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।

তামিমকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
সরকারি হাসপাতালে দুই দিন ধরে নেই পানি, ভোগান্তিতে রোগী ও স্বজন
ঝালকাঠিতে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে ‌‘হত্যাচেষ্টা’: অ্যাম্বুলেন্সের চালক গ্রেপ্তার
গজারিয়ায় হাসপাতালের সামনে ভ্যানে সন্তান প্রসব
সিলেট জেলা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ, দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ
ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

মন্তব্য

p
উপরে