প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের পিটিয়ে ৩৫৭ রান তুলে বোলিংয়েও ঝলক দেখাল দক্ষিণ আফ্রিকা। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ১৯০ রানের বড় ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে প্রোটিয়ারা। সেইসঙ্গে নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে ভারতকে টপকে পয়েন্ট টেবিলে ফের শীর্ষে উঠল তারা।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম চার ম্যাচ জিতে যেমন ফুলে উঠেছিল কিউইদের বেলুন, পরের তিন ম্যাচ হেরে তা আবারও চুপসে যাচ্ছে। আজকের ম্যাচে হারের ফলে তাদের শেষ চারে যাওয়ার স্বপ্ন শঙ্কায় পড়ে গেল।
এদিন টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আগে ব্যাট করতে পাঠান কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। বোলারদের তুলোধুনা করে রানের পাহাড় গড়েন ডিক কক, ডুসেনরা। ৩৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৬৭ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।
এদিন চারটি উইকেট নিয়েছেন কেশব মহারাজ, তিনটি মার্কো ইয়ানসেন, দুটি গেরাল্ড কোয়েটজি ও এক উইকেটের দেখা পেয়েছেন কাগিসো রাবাদা।
৩৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় কিউইরা। তৃতীয় ওভারের শেষ বলটি শর্ট অফ লেংথ ডেলিভারি দিয়েছিলেন মার্কো ইয়ানসেন। সেটিকে কাট করতে গিয়ে সেকেন্ড স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা মার্করামের তালুবন্দি হন ডেভন কনওয়ে। কনওয়ের আউটে তিন ওভার শেষে আট রানে এক উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
বিশ্বকাপের চলতি আসরের প্রথম ম্যাচে ১৫২ রানের অপরাজিত ইনিংসটির পর যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন কনওয়ে। তার পরের ছয় ম্যাচের সংগ্রহ যথাক্রমে ৩২, ৪৫, ২০, ০, ২৮ ও ২।
কনওয়ের ফেরার পর কিউইদের চেপে ধরেন প্রোটিয়া বেলাররা। এ সময় দেখেশুনে ধীরলয়ে খেলতে থাকেন উইলে ইয়াং ও রাচিন রবীন্দ্র। তবে শুরুর চাপ সামলে ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বের হতে থাকেন এই দুই ব্যাটার।
কিন্তু হাত খুলে খেলতে গিয়ে গেরাল্ড কোয়েটজির হাতে ধরা পড়েন রাচিন। বিশ্বকাপের এবারের আসরে ব্যাট হাতে ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করা রাচিনকে এদিন ফিরতে হয় মাত্র ৯ রান করে। এবারও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্রেকথ্রু এনে দেন ইয়ানসেন। নবম ওভারের শেষ ডেলিভারিটি শর্ট লেংথে রেখে বাউন্সার দেন ইয়ানসেন। সেটিকে ঘুরিয়ে মারতে গিয়ে টপ এজ হন রাচিন। ফলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চলে ধরা পড়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় এই ব্যাটারকে।
প্রথম পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট হারিয়ে ৫১ রান তোলে নিউজিল্যান্ড।
পাওয়ার প্লের পরের ওভারেই আউট হন উইল ইয়াং। ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিতে কোয়েটজির করা আউটসাইড অফের বলটি ডিফেন্স করতে যান ইয়াং। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে তা ডি ককের গ্লাভসে চলে যায়। ফলে কট বিহাউন্ড হয়ে যান তিনি। ফেরার আগে ৩৭ বল মোকাবিলা করে ৩৩ রান করেন এই কিউই ওপেনার।
ইয়াং ফিরলে ৫৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে আরও বিপদ বাড়ে নিউজিল্যান্ডের। ১৫ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬৭ রান।
১৬তম ওভারের প্রথম বলেই কিউই অধিনায়ককে ফেরান রাবাদা। তার স্ট্যাম্পে রাখা ডেলিভারিটি লেগে ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন ল্যাথাম। কিন্তু বলটি সোজা উপরে উঠে গেলে শর্টে ফিল্ড করা কেশভ মহারাজ দৌড়ে এসে ক্যাচ লুফে নেন। এর দুই বল পরই ডেরিল মিচেল আউট হয়ে যেতে পারতেন, তবে ভাগ্যের জোরে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। রাবাদার অফস্ট্যাম্পে রাখা ডেলিভারি ডিফেন্ড করতে গিয়ে আউটসাইড এজ হয়ে স্লিপে চলে যায় বলটি। কিন্তু স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার ও ডি কক দুজনেরই আওতার বাইরে থাকায় ক্যাচটি ধরা পড়েনি।
তবে ১৯তম ওভারে আর বাঁচতে পারেননি মিচেল। কেশব মহারাজের ঝুলিয়ে দেয়া বল পেয়ে এগিয়ে এসে সজোরে ব্যাট চালান তিনি। কিন্তু মিসকিউ হয়ে লং অনে ডেভিড মিলারের তালুবন্দি হন তিনি। ৩০ বলে ২৪ রান করে ফিরে যান মিচেল। আসলে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা কিউই ব্যাটারদের ওপর যে চাপ সৃষ্টি করেন, তার সুফল তুলে নেন মহারাজ। এর ফলে ৯০ রানে পাঁচ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
দলীয় একশ রানের মাথায় নিউজিল্যান্ডের ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটান মহারাজ। ২৩তম ওভারের চতুর্থ বলটি ঝুলিয়ে দেন মহারাজ। ফুলার লেংথের ডেলিভারিটি এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে পুরোপুরি বিপর্যস্ত হন মিচেল সান্টনার। ফলে উইকেট ভেঙে দিয়ে চলে যায় বল।
২৬তম ওভারের প্রথম বলেই টিম সাউদিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মার্কো ইয়ানসেন। ইয়ানসেনের ফুলার লেংথের উইকেটের মধ্যের ডেলিভারিতে ক্রস ব্যাট চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হন। বল পায়ে লাগলে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। তবে ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মাঝে উইকেটের একপাশ আগলে ছিলেন গ্লেন ফিলিপস।
পরের ওভারেই জিমি নিশামকে বোল্ড করেন মহারাজ। ৯ রান করা ট্রেন্ট বোল্টকেও তিনি ফেরান। আর শেষে ব্যক্তিগত ৬০ রান করে ১৬৭ রানের মাথায় গ্লেন ফিলিপস আউট হলে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে দেখেশুনে শুরুর পর দলীয় ৩৮ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে প্রোটিয়াদের। ২৮ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ২৪ রান করে প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা বিদায় নেন। এরপর রাসি ভ্যান ডার ডুসেনকে সঙ্গে নিয়ে বড় সংগ্রহেরে উদ্দেশ্যে ব্যাট করতে থাকেন কুইন্টন ডি কক। তাদের এই জুটিই ইনিংসের ভিত্তি গড়ে দেয়।
দলের রান এক উইকেটে ৩৮ থেকে ২৩৮-এ পৌঁছে দিয়ে বিদায় নেন কুইন্টন ডি কক। টিম সাউদির ওয়াইডার লেংথের শর্ট বলটি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চল দিয়ে ঘুরিয়ে সীমানা ছাড়া করতে চেয়ে বাউন্ডারিতে গ্লেন ফিলিপসের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
এর মাঝে চলতি বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরিটি তুলে নেন কুইন্টন। এতে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান বনে যান দক্ষিণ আফ্রিকার এই অভিজ্ঞ ওপেনার। এর আগে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ আসরে সর্বোচ্চ পাঁচটি শতক হাঁকিয়েছিলেন ভারতের হিটম্যান রোহিত শর্মা।
শুধু তাই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের করা মোট সেঞ্চুরির দিক থেকে তিন নম্বরে উঠে এসেছেন ডি কক। ২৭টি সেঞ্চুরি নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন দেশটির সাবেক ওপেনার হাশিম আমলা। ২৫ সেঞ্চুরি নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন মিস্টার ৩৬০ এবি ডি ভিলিয়ার্স। আজকের সেঞ্চুরিতে ডি ককের সেঞ্চুরির সংখ্যা হলো ২১টি।
ডি কক ফিরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর চলতি বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় শতক তুলে নেন ডুসেন। এরপর ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে মারমুখী হয়ে ওঠেন তিনি। শেষ সাত ওভারে ৯৯ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
৪৮তম ওভারের প্রথম বলে সাউদির বলে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় ডুসেনকে। ফেরার আগে ৯টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ১১৮ বলে ১৩৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
বাকি কাজটুকু সারেন ডেভিড মিলার ও হাইনরিখ ক্লাসেন। মিলার ৩০ বলে ৫৩ রান করে ইনিংসের শেষ বলে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন। আর মার্করাম এক বল খেলার সুযোগ পেয়ে তাতে ছক্কা হাঁকান।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভার শেষে চার উইকেট হারিয়ে ৩৫৭ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে টিম সাউদি দুটি এবং জিমি নিশাম ও ট্রেন্ট বোল্ট একটি করে উইকেট নেন।
১৩৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন।
আরও পড়ুন:দেশে সম্প্রতি নারীদের বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে কয়েকটি বাধা প্রদানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিশেষ করে মেয়েদের দুটি ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধার বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নারীরা বাংলাদেশের নাগরিক এবং পুরুষদের মতোই সমানভাবে মানবিক ও নাগরিক অধিকার ভোগ করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
এতে উল্লেখ করা হয়, কেউ নারীদের অধিকার লঙ্ঘন করার মতো ঘটনায় সম্পৃক্ত হলে বা এই ধরনের বেআইনি বিধিনিষেধ আরোপের সঙ্গে যুক্ত হলে তিনি বা তারা দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থার মধ্যে পড়বেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেকোনো গোষ্ঠীর নাগরিকদের প্রতি বৈষম্য বা নিপীড়নের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ইতোমধ্যে দিনাজপুর এবং জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনকে স্থগিত ফুটবল ম্যাচ পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন যে, তারা সম্প্রতি তাদের জেলায় নারী ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচ আয়োজন করেছেন।
‘শত শত মানুষ ম্যাচগুলো উপভোগ করেছেন এবং তাদের জেলার সকল শ্রেণির মানুষ এসব আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। আমরা এই বিবৃতির সঙ্গে জয়পুরহাটের নারী ফুটবল ম্যাচের একটি ভিডিও সংযুক্ত করেছি।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত এক মাসে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বৃহত্তম যুব উৎসবগুলির মধ্যে একটি আয়োজন করেছে, যার মধ্যে শত শত গ্রামীণ জেলা এবং উপজেলা শহরে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নারী খেলোয়াড়দের জন্য নানা ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনেক প্রত্যন্ত গ্রামীণ জেলায়ও হাজার হাজার মেয়ে ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল।
‘প্রফেসর ইউনূস আজীবন নারী অধিকারের পক্ষের একজন। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৯০ শতাংশেরও বেশি মালিকানা ছিল নারীদের। গত সপ্তাহে প্রফেসর ইউনূস ফিফা প্রধান জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সাথে দেখা করেন এবং বাংলাদেশে নারী ফুটবলারদের জন্য অবকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে তার সহায়তা চান।’
আরও পড়ুন:ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে শুক্রবার বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দশম কেএসআরএম গলফ টুর্নামেন্ট।
এ টুর্নামেন্টে নারী, সিনিয়র ক্যাটাগরিসহ ১৫৮ গলফার অংশ নেন।
টুর্নামেন্ট উপলক্ষে সবুজে আচ্ছাদিত গলফ ক্লাবকে সাজানো হয় দৃষ্টিনন্দন সাজে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের স্টেশন কমান্ডার ও ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ভিপি (প্রশাসন ও অর্থ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম এনডিসি, পিএসসি।
কেএসআরএমের পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জসিম উদ্দিন, বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. আশফাকুল ইসলাম, ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ইও অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. মোকাদ্দেস হোসেন, কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সাইফুল আলম চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা কেএসআরএমের সহযোগিতায় এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে থাকি, যা অত্যন্ত আনন্দের ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা। এ জন্য কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ।
‘আমরা আশা করছি কেএসআরএমের সঙ্গে আমাদের ধারাবাহিক এ সম্পর্ক আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক পর্যায়ের এসব গলফ টুর্নামেন্ট জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আশফাকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের সব বড় বড় প্রকল্পে কেএসআরএমের রড ব্যবহার হয় ব্যাপক হারে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়নে গর্বিত নির্মাণ অংশীদার ছিল কেএসআরএম।
‘আমাদের কাঁচামাল বিশ্বমানের। যেকোনো ডায়ামিটার ও গ্রেডের রড তৈরিতে সক্ষম আমরা। আমাদের শিপিং সেক্টরে ২৮টি মাদার ভ্যাসেল রয়েছে, যা দিয়ে আমরা জাতির সেবা করছি। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছি প্রচুর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় চেষ্টা করি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে। আগামীতেও আমাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের উপ-মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল নুরুল মোমেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মবিনুর রহমান চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক তাজ উদ্দিন, উপব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান রিয়াদ, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিজান উল হক, মিথুন বড়ুয়া, আশরাফুল ইসলামসহ অনেকে।
টুর্নামেন্টে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ ও র্যাফেল ড্রর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
আরও পড়ুন:ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
সাত সদস্যের এ কমিটিতে পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য পদে আরও যে পাঁচজনের নাম রয়েছে তারা হলেন ওসমান গনি (ক্রীড়া অনুরাগী), মানিক রায় (কোচ), মো. মামুন (রেফারি), দিবস তালুকদার (ক্রীড়া সাংবাদিক) এবং আরিফুর রহমান (ছাত্র প্রতিনিধি)।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব (যুগ্ম সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম এনডিসি স্বাক্ষরিত এক স্মারকে কমিটির অনুমোদনপত্র পাঠানো হয় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
এ ছাড়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়য়ের সচিব, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার একান্ত সচিব, সচিবের একান্ত সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব বরাবর অনুমোদনপত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়।
গত ১৯ জানুয়ারি অনুমোদন হওয়া ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাত সদস্যের অ্যাডহক কমিটির অনুমোদনপত্রে লেখা রয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ২ (১৫)-এ উল্লিখিত স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপর অর্পিত ক্ষমতা অনুসরণে ঝালকাঠি জেলার জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ৮-এ বর্ণিত পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক সদয় অনুমোদিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ৫১তম আগা খাঁন গোল্ড কাপ গলফ টুর্নামেন্ট।
তিন ব্যাপী এ টুর্নামেন্ট শেষ হচ্ছে শনিবার, যা শুরু হয় বৃহস্পতিবার।
টুর্নামেন্টে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের দেশি/বিদেশি সদস্যসহ দেশের সব গলফ ক্লাবের প্রায় ৫০০ জন গলফার অংশ নেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা ছাড়াও কমান্ড্যান্ট, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ ও কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক, প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মাদাদ আলী ভিরানী, ক্লাব ক্যাপ্টেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তৌহিদ হোসেন, টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবিদুর রেজা খান (অব.), সংশ্লিষ্ট ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য, ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্নেল মো. শহিদুল হক (অব.), ক্লাব সেক্রেটারি কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন, কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের লেডি ক্যাপ্টেন প্রফেসর শাহীন মাহবুবা হক, ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, ক্লাব অ্যাফেয়ার্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মো. সাইদুর রহমান (অব.), ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, গলফ অপারেশনস লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ার হোসেন (অব.), বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিল বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নবনিযুক্ত সভাপতি। পদাধিকারবলে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিওএ-র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সেনাবাহিনী প্রধান তার এই প্রথম সভায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সভায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিওএ-র কার্যনিবাহী কমিটির সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন এবং সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান বলেছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পুলিশ সার্ভেইল্যান্সে (নজরদারিতে) রাখা হয়েছে।
রোববার পল্টনে আউটার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ‘ওয়ালটন-ক্র্যাব স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ২০২৪’-এর ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এরকম (শীর্ষ সন্ত্রাসী) যারা ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছে, তারা দীর্ঘ সময় জেল খেটে আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে। তারা আমাদের সার্ভেইল্যান্সে রয়েছে। নতুন করে অপরাধে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পুলিশে এখনও যোগদান না করা সদস্যদের বিষয়ে জানতে চাইলে মাইনুল হাসান বলেন, ‘এটা একেবারেই মিনিমাম নম্বর। যারা যোগদান করেননি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিএমপি মহানগরীর শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। তেমনই ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) বিভিন্নভাবে অপরাধ বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করছে।
‘ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন, যেটি বহুদিন থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ সব সময় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে থাকে।’
ডিএমপি কমিশনার পরে পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্র্যাব সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানসহ ক্র্যাবের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আসিয়ান ঢাকা কমিটির পক্ষ থেকে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শনিবার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ সময় আসিয়ান ঢাকা কমিটির প্রতিনিধি ঢাকায় নিযুক্ত ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হারিস বিন ওথম্যান, ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত হিরু হারতানতো সুবোলো, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ হাশিম, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কেইও সোয়ে মোয়ে, ফিলিপাইনের জুনিয়র রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল আউসান, সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্রের হাইকমিশনার মাইকেল লি, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিটমোর, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নগুয়েন মানহ কুওয়ংসহ কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য