দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা যেদিন ক্ষেপে যান, সেদিন বিপক্ষ দলের ঘোর বিপদ- প্রত্যেক ক্রিকেটপ্রেমীই এ কথা জানেন। প্রোটিয়া ব্যাটাররা রণমূর্তি ধারণ করলেই রেকর্ড বই নতুন করে লিখতে বসতে হয়। আজ বিশ্বকাপের ম্যাচেও হয়েছে তেমনটি।
দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের প্রথম ইনিংসের পর রেকর্ড বইয়ে দশটি পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে পাঁচটি রেকর্ড ভাঙা হয়েছে।
চলুন জেনে নিই রেকর্ড বইয়ে কী কী পরিবর্তন আনলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা।
বিশ্বকাপে এক ইনিংসে তিন সেঞ্চুরি
প্রথম কোনো বিশ্বকাপ ম্যাচে এক ইনিংসে তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরির করার বিরল রেকর্ড গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ শতকের দেখা পান কুইন্টন ডি কক (১০০), রাসি ভান ডার ডুসেন (১০৮) ও আইডেন মার্করাম (১০৬)।
বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরি
আজ বিশ্বকাপে মাত্র ৪৯ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন আইডেন মার্করাম। এটিই এখন ওয়ানডে বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডটি ২০১১ সালের বিশ্বকাপে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেদিন ৫০ বলে শতক তুলে নিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়েন।
বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির তৃতীয় রেকর্ডটি অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। ২০১৫ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫১ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি।
চতুর্থ রেকর্ডটিও দক্ষিণ আফ্রিকার এবং ২০১৫ বিশ্বকাপেই। সিডনিতে এবি ডি ভিলিয়ার্স সেদিন ক্যারিবিয়ান বোলারদের পিটিয়ে মাঠের সবদিক দিয়ে চার-ছক্কার ফুল ফোটানোর কথা নিশ্চয়ই মনে আছে ক্রিকেট ভক্তদের।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি মার্করামের
বিশ্বকাপে ৪৯ বলে মার্করামের এই সেঞ্চুরিটি দ্রুততম হলেও এক দিনের ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের মধ্যে মার্করাম তৃতীয়।
ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরিটি ডি ভিলিয়ার্সের দখলে। ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ৩১ বলে শতক হাঁকিয়েছিলেন মিস্টার ৩৬০।
এর পরের রেকর্ডটি মার্ক বাউচারের। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৪ বলে সেঞ্চুরি করে এই কীর্তি গড়েন বাউচার। আর বিশ্বকাপে ৫২ বলে ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরিটি প্রোটিয়া ব্যাটার হিসেবে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস
দক্ষিণ আফ্রিকার ৪২৮ রানের এই ইনিংসটি এখন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস হিসেবে রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছে। ২০১৫ বিশ্বকাপে পার্থে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ছয় উইকেটে ৪১৭ রানের পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া। সেটিই এতদিন বিশ্বকাপে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড ছিল।
রেকর্ড বুকে তিনে রয়েছে ভারতের ৪১৩ রানের ইনিংসটি। ২০০৭ বিশ্বকাপে বারমুডার বিপক্ষে ওই রান তুলেছিলেন ভারতীয় ব্যাটাররা।
চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানেও দক্ষিণ আফ্রিকার দুটি ইনিংস রয়েছে। ২০১৫ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪১১ রান তুলেছিল প্রোটিয়ারা। ওই বিশ্বকাপেই উইন্ডিজদের বিপক্ষে ৪০৮ রান করে তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার চতুর্থ সর্বোচ্চ সংগ্রহ
একদিনের ক্রিকেটে বেশ কয়েকটি বড় ইনিংস খেলার ইতিহাস আছে দক্ষিণ আফ্রিকার। আজকের পুঁজিটি তাদের বড় পুঁজিগুলোর মধ্যে চতুর্থ।
দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ৪৩৯ রানের। ২০১৫ সালে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দুই উইকেটে ওই রান তোলেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা।
দ্বিতীয়টি ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই বিখ্যাত রান তাড়ার গল্প। অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৪৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৩৮ রান করে ম্যাচটি দুই উইকেটে জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০০ সালের দশকে ক্রিকেট দেখা প্রতিটি দর্শকের মনে গেঁথে আছে সেই ম্যাচের স্মৃতি।
তৃতীয় সংগ্রহটিও ৪৩৮ রানের। তবে সেটি ভারতের বিপক্ষে ২০১৫ সালে।
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৪ শতাধিক ইনিংস প্রোটিয়াদের
আজকের ইনিংসটি নিয়ে বিশ্বকাপে মোট তিন ম্যাচে ৪০০ পার করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারাই বিশ্বকাপে একমাত্র দল হিসেবে তিনবার এই কীর্ত গড়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়া একবার করে চারশ’ পার করার রেকর্ড আছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার।
ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৪ শতাধিক ইনিংস
একদিনের ক্রিকেটেও সবচেয়ে বেশি সংখ্যক চারশ’ পার করা ইনিংস দক্ষিণ আফ্রিকার। এ পর্যন্ত তারা আটটি চার শতাধিক রানের ইনিংস খেলেছে।
এ তালিকায় ঠিক তাদের পেছনে ভারত। ছয়টি চারশ’ পার করা ইনিংস রয়েছে তাদের। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইংল্যান্ডের রয়েছে পাঁচটি ৪০০ রান পার করা ইনিংস।
এ ছাড়া দুবার করে চার শতাধিক রান করেছে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা।
বিশ্বকাপে সবচেয়ে খরুচে শ্রীলঙ্কান বোলার পাথিরানা
দক্ষিণ আফ্রিকার নানা রেকর্ড গড়ার ইনিংসে লজ্জার রেকর্ডটি গড়েছেন মাথিশা পাথিরানা। বিপুল রানের এমন ইনিংসে অবশ্য বিপক্ষ দলের কোনো এক বোলারের কপাল পোড়েই। সেদিক থেকে আজ ভুগেছেন পাথিরানা।
বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া ম্যাচেই ১০ ওভারের স্পেলে ৯৫ রান দিয়েছেন তিনি। শ্রীলঙ্কান বোলার হিসেবে কোনো বিশ্বকাপ ম্যাচে এটি সর্বোচ্চ রান খরচের রেকর্ড।
এর মাধ্যমে টেস্টের ইতিহাসে প্রথম বল করা শ্রীলঙ্কান মিডিয়াম পেসার আশান্থা দেল মেলের লজ্জা নিবারণ করেছেন তিনি। ১৯৮৭ সালে করাচিতে আশান্থার স্পেলে ৯১ রান নিয়েছিলেন উইন্ডিজ ব্যাটাররা।
এছাড়া ২০১৯ বিশ্বকাপে নুয়ান প্রদীপের বলে ৮৮ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে ৮৭ রান দিয়েছিলেন থিসারা পেরেরা।
ডি ককের ডাবল
দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক হিসেবে বিশ্বকাপে দুই সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন কুইন্টন ডি কক। এর আগে উইকেটরক্ষক হিসেবে একটি শতক রয়েছে এবি ডি ভিলিয়ার্সের।
২০১১ বিশ্বকাপেই ওই দুটি সেঞ্চুরি করেন ডি ভিলিয়ার্স ও ডি কক। আজকে ডি ভিলিয়ার্সকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সে সেঞ্চুরি ডুসেনের
দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বয়সে শতকের দেখা পেয়েছেন রাসি ভান ডার ডুসেন। ৩৪ বছর ২৪২ দিন বয়সে সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি।
তার উপরে রয়েছেন ফাফ ডু প্লেসি। গত বিশ্বকাপে ৩৫ বছরের সাত দিন বাকি থাকতে সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। ম্যানচেস্টারে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেদিন শতকের দেখা পান ডু প্লেসি।
এ ছাড়া ৩১ বছর ৩৩৭ দিন বয়সে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন হাশিম আমলা। ২০১৫ বিশ্বকাপে তিনি এই কীর্তি গড়েন। ২০০৭ বিশ্বকাপে ৩১ বছর ১৫১ দিন বয়সে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকান জ্যাকস ক্যালিস। ২০১৫ বিশ্বকাপে ৩১ বছর ১০ দিন বয়সে শতরান করেন ডি ভিলিয়ার্স।
আরও পড়ুন:দেশে সম্প্রতি নারীদের বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে কয়েকটি বাধা প্রদানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিশেষ করে মেয়েদের দুটি ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধার বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নারীরা বাংলাদেশের নাগরিক এবং পুরুষদের মতোই সমানভাবে মানবিক ও নাগরিক অধিকার ভোগ করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
এতে উল্লেখ করা হয়, কেউ নারীদের অধিকার লঙ্ঘন করার মতো ঘটনায় সম্পৃক্ত হলে বা এই ধরনের বেআইনি বিধিনিষেধ আরোপের সঙ্গে যুক্ত হলে তিনি বা তারা দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থার মধ্যে পড়বেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেকোনো গোষ্ঠীর নাগরিকদের প্রতি বৈষম্য বা নিপীড়নের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ইতোমধ্যে দিনাজপুর এবং জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনকে স্থগিত ফুটবল ম্যাচ পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন যে, তারা সম্প্রতি তাদের জেলায় নারী ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচ আয়োজন করেছেন।
‘শত শত মানুষ ম্যাচগুলো উপভোগ করেছেন এবং তাদের জেলার সকল শ্রেণির মানুষ এসব আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। আমরা এই বিবৃতির সঙ্গে জয়পুরহাটের নারী ফুটবল ম্যাচের একটি ভিডিও সংযুক্ত করেছি।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত এক মাসে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বৃহত্তম যুব উৎসবগুলির মধ্যে একটি আয়োজন করেছে, যার মধ্যে শত শত গ্রামীণ জেলা এবং উপজেলা শহরে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নারী খেলোয়াড়দের জন্য নানা ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনেক প্রত্যন্ত গ্রামীণ জেলায়ও হাজার হাজার মেয়ে ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল।
‘প্রফেসর ইউনূস আজীবন নারী অধিকারের পক্ষের একজন। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৯০ শতাংশেরও বেশি মালিকানা ছিল নারীদের। গত সপ্তাহে প্রফেসর ইউনূস ফিফা প্রধান জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সাথে দেখা করেন এবং বাংলাদেশে নারী ফুটবলারদের জন্য অবকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে তার সহায়তা চান।’
আরও পড়ুন:ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে শুক্রবার বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দশম কেএসআরএম গলফ টুর্নামেন্ট।
এ টুর্নামেন্টে নারী, সিনিয়র ক্যাটাগরিসহ ১৫৮ গলফার অংশ নেন।
টুর্নামেন্ট উপলক্ষে সবুজে আচ্ছাদিত গলফ ক্লাবকে সাজানো হয় দৃষ্টিনন্দন সাজে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের স্টেশন কমান্ডার ও ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ভিপি (প্রশাসন ও অর্থ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম এনডিসি, পিএসসি।
কেএসআরএমের পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জসিম উদ্দিন, বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. আশফাকুল ইসলাম, ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ইও অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. মোকাদ্দেস হোসেন, কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সাইফুল আলম চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা কেএসআরএমের সহযোগিতায় এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে থাকি, যা অত্যন্ত আনন্দের ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা। এ জন্য কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ।
‘আমরা আশা করছি কেএসআরএমের সঙ্গে আমাদের ধারাবাহিক এ সম্পর্ক আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক পর্যায়ের এসব গলফ টুর্নামেন্ট জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আশফাকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের সব বড় বড় প্রকল্পে কেএসআরএমের রড ব্যবহার হয় ব্যাপক হারে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়নে গর্বিত নির্মাণ অংশীদার ছিল কেএসআরএম।
‘আমাদের কাঁচামাল বিশ্বমানের। যেকোনো ডায়ামিটার ও গ্রেডের রড তৈরিতে সক্ষম আমরা। আমাদের শিপিং সেক্টরে ২৮টি মাদার ভ্যাসেল রয়েছে, যা দিয়ে আমরা জাতির সেবা করছি। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছি প্রচুর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় চেষ্টা করি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে। আগামীতেও আমাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের উপ-মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল নুরুল মোমেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মবিনুর রহমান চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক তাজ উদ্দিন, উপব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান রিয়াদ, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিজান উল হক, মিথুন বড়ুয়া, আশরাফুল ইসলামসহ অনেকে।
টুর্নামেন্টে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ ও র্যাফেল ড্রর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
আরও পড়ুন:ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
সাত সদস্যের এ কমিটিতে পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য পদে আরও যে পাঁচজনের নাম রয়েছে তারা হলেন ওসমান গনি (ক্রীড়া অনুরাগী), মানিক রায় (কোচ), মো. মামুন (রেফারি), দিবস তালুকদার (ক্রীড়া সাংবাদিক) এবং আরিফুর রহমান (ছাত্র প্রতিনিধি)।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব (যুগ্ম সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম এনডিসি স্বাক্ষরিত এক স্মারকে কমিটির অনুমোদনপত্র পাঠানো হয় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
এ ছাড়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়য়ের সচিব, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার একান্ত সচিব, সচিবের একান্ত সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব বরাবর অনুমোদনপত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়।
গত ১৯ জানুয়ারি অনুমোদন হওয়া ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাত সদস্যের অ্যাডহক কমিটির অনুমোদনপত্রে লেখা রয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ২ (১৫)-এ উল্লিখিত স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপর অর্পিত ক্ষমতা অনুসরণে ঝালকাঠি জেলার জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ৮-এ বর্ণিত পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক সদয় অনুমোদিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ৫১তম আগা খাঁন গোল্ড কাপ গলফ টুর্নামেন্ট।
তিন ব্যাপী এ টুর্নামেন্ট শেষ হচ্ছে শনিবার, যা শুরু হয় বৃহস্পতিবার।
টুর্নামেন্টে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের দেশি/বিদেশি সদস্যসহ দেশের সব গলফ ক্লাবের প্রায় ৫০০ জন গলফার অংশ নেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা ছাড়াও কমান্ড্যান্ট, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ ও কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক, প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মাদাদ আলী ভিরানী, ক্লাব ক্যাপ্টেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তৌহিদ হোসেন, টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবিদুর রেজা খান (অব.), সংশ্লিষ্ট ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য, ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্নেল মো. শহিদুল হক (অব.), ক্লাব সেক্রেটারি কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন, কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের লেডি ক্যাপ্টেন প্রফেসর শাহীন মাহবুবা হক, ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, ক্লাব অ্যাফেয়ার্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মো. সাইদুর রহমান (অব.), ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, গলফ অপারেশনস লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ার হোসেন (অব.), বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিল বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নবনিযুক্ত সভাপতি। পদাধিকারবলে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিওএ-র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সেনাবাহিনী প্রধান তার এই প্রথম সভায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সভায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিওএ-র কার্যনিবাহী কমিটির সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন এবং সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান বলেছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পুলিশ সার্ভেইল্যান্সে (নজরদারিতে) রাখা হয়েছে।
রোববার পল্টনে আউটার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ‘ওয়ালটন-ক্র্যাব স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ২০২৪’-এর ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এরকম (শীর্ষ সন্ত্রাসী) যারা ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছে, তারা দীর্ঘ সময় জেল খেটে আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে। তারা আমাদের সার্ভেইল্যান্সে রয়েছে। নতুন করে অপরাধে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পুলিশে এখনও যোগদান না করা সদস্যদের বিষয়ে জানতে চাইলে মাইনুল হাসান বলেন, ‘এটা একেবারেই মিনিমাম নম্বর। যারা যোগদান করেননি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিএমপি মহানগরীর শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। তেমনই ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) বিভিন্নভাবে অপরাধ বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করছে।
‘ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন, যেটি বহুদিন থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ সব সময় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে থাকে।’
ডিএমপি কমিশনার পরে পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্র্যাব সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানসহ ক্র্যাবের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আসিয়ান ঢাকা কমিটির পক্ষ থেকে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শনিবার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ সময় আসিয়ান ঢাকা কমিটির প্রতিনিধি ঢাকায় নিযুক্ত ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হারিস বিন ওথম্যান, ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত হিরু হারতানতো সুবোলো, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ হাশিম, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কেইও সোয়ে মোয়ে, ফিলিপাইনের জুনিয়র রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল আউসান, সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্রের হাইকমিশনার মাইকেল লি, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিটমোর, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নগুয়েন মানহ কুওয়ংসহ কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য