× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

খেলা
Tamim will not play more than five matches spread who wants to investigate the pilot
google_news print-icon

‘তামিম পাঁচটির বেশি ম্যাচ খেলবেন না’ ছড়িয়েছে কারা, তদন্ত চান পাইলট

তামিম-পাঁচটির-বেশি-ম্যাচ-খেলবেন-না-ছড়িয়েছে-কারা-তদন্ত-চান-পাইলট
বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া তামিম ইকবালের বুধবার বিকেলের ভিডিওবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে রাতে ফেসবুক লাইভে আসনে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটার খালেদ মাসুদ পাইলট। স্ক্রিনশট: ফেসবুক
ফেসবুক লাইভে পাইলট বলেন, ‘টিম বাংলাদেশ অনেক ভালো করুক, আমরা সেই দোয়া করি। দিনশেষে কিন্তু আমাদেরই একটা ইমেজ, কিন্তু আমি বলব যে, এটার তদন্ত অবশ্যই করা উচিত। আমি জানি ক্রিকেট বোর্ড তদন্ত করবে না। বিকজ ক্রিকেট বোর্ডের বড় পাওয়ারফুল মানুষরা এর মধ্যে জড়িত, কিন্তু কারা কারা সোশ্যাল মিডিয়াতে এ ধরনের নেগেটিভ কথা বলেছে, সোশ্যাল মিডিয়াকেও ধরা উচিত, তদন্ত করা উচিত, কার কাছ থেকে এই ইনফরমেশনটা পেয়ে তারা এই নেগেটিভ নিউজগুলা দিয়েছে।’

ওপেনার তামিম ইকবাল বিশ্বকাপে পাঁচটির বেশি ম্যাচ খেলবেন না, এমন তথ্য যারা ছড়িয়েছে তাদের বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটার খালেদ মাসুদ পাইলট।

বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া তামিম ইকবালের বুধবার বিকেলের ভিডিওবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে রাতে ফেসবুক লাইভে আসনে জাতীয় দলের সাবেক এ ক্রিকেটার।

ওই ভিডিওবার্তায় তামিম বলেন, ‘আমি কোনো সময় কোনো মুহূর্তে বলি নাই যে, আমি পাঁচটা ম্যাচের বেশি খেলতে পারব না। এ কথা কোনো সময় হয় নাই। এটা মিথ্যা ও ভুল কথা। কে করছে এটা আমি জানি না। এটা মিথ্যা কথা।’

তামিম বলেন, ‘আমি বলেছিলাম যে দেখেন, আমার বডিটা এ রকমই থাকবে। এটা মাথায় রেখে সিলেক্ট করবেন।’

এমন বাস্তবতায় পাইলট বলেন, ‘তামিমের যেটা আমি দেখলাম একটা, সে বেসিক্যালি একটা ভিডিওবার্তা দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। তো আমার মনে হয় যে, সে কিন্তু ক্লিয়ার করে দিয়েছে। সে কিন্তু বলে নাই যে, আমি পাঁচটা ম্যাচ খেলব না। তার মানে বাংলাদেশ টিম থেকে বোর্ড যদি চায়, ইচ্ছা করলে তদন্ত করে বের করে ফেলতে পারবে কারা এই নিউজটা বের করেছে। বিকজ ক্রিকেট বোর্ডের কিছু মানুষ আছে যারা সোশ্যাল মিডিয়াকে পোষে। তারা এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে ইনফরমেশন দিয়েছে যে, বেসিক্যালি তামিমকে খারাপ করার জন্য…কিছু লোক আছে যারা…আমি সমস্ত ক্রিকেট বোর্ডের লোককে ঢালাওভাবে বলব না, একজন-দুইজন মানুষ আছেন যারা ক্রিকেট বোর্ডের ভাইরাস আমার কাছে মনে হয়; ক্রিকেট বোর্ডের ভাইরাস। তারাই এই জিনিসটা তৈরি করছে।

‘আমার মনে হয় অনেক ডিরেক্টর আছেন, তারা সবাই অনেক সম্মানিত ব্যক্তি আছেন। তারা হয়তো ইনভলভডই (জড়িত) না এর সাথে, কিন্তু দুই-একজন মানুষ আছেন যারা পুরা এই নাটকটা বানাচ্ছেন। পুরা ইন্ডিয়ান সিরিয়ালগুলা যেমন নাটক হয়, এ রকম একটা নাটক বানাচ্ছেন। তো এই নাটকটা আসলে ক্রিকেটর জন্য ভালো না। এটা খুবই দুঃখজনক এবং আমি মনে করি যে, আমাদের কাছে এ রকম কালচার সাধারণ মানুষ আশা করে না।’

তামিম ও সাকিবের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে বলে মনে করেন তাদের অগ্রজ পাইলট।

তার ভাষ্য, ‘বিশেষ করে আপনি যেভাবে তামিমকে এক ধরনের পচানো হচ্ছে পাঁচটা ম্যাচ খেলার জন্য সে হয়তো বলেছে যে, পাঁচটা ম্যাচ পরে আর খেলবে না। আবার এদিক দিয়ে সাকিবকে এক ধরনের ভাবে পচানো হচ্ছে যে, সাকিব এই সমস্ত দায়িত্বে ছিলেন।

‘আসলে কি তাই হইছে? তো সাধারণ মানুষ কিন্তু আসলে বোকা সাজছে এই সোশ্যাল মিডিয়ার ওজনে। সোশ্যাল মিডিয়াতে সারাক্ষণ আপনার ফেসবুকের মধ্যে থাকছেই। সোশ্যাল মিডিয়াতে পজিটিভকে নেগেটিভ, নেগেটিভকে পজিটিভ বানিয়ে প্লেয়াররা এর মধ্যে কিন্তু দেখা গেল যে, প্লেয়ারদেরকে ভিলেন বানানো হচ্ছে।’

ভিডিওবার্তায় ব্যাটিংয়ের অর্ডার পরিবর্তন নিয়ে তামিমের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাইলট বলেন, ‘আপনারা যদি দেখেন, তামিম কিন্তু একটা কথা বলেছে। কোনো একজন তাকে বোর্ডের অফিশিয়াল নাকি টিমের ম্যানেজমেন্ট ফোন দিয়েছেন, যে কিনা বলেছেন যে, তুমি প্রথম ম্যাচ, আফগানিস্তানের সাথে ম্যাচটা খেলবা না ওপেনিং করবা না, তুমি মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করবা। কোন কারণে তাকে বলতে পারে, বলেন তো আপনি যে, ওপেনিং ব্যাটিং করবা না তামিম? বিকজ একটা প্লেয়ার সারা জীবন ওপেন করে আসছে এবং তাকে জানেন যে, সে ওপেনার বাংলাদেশ টিমের। তাকে কী করে এ রকম একটা তাকে বলতে পারে? আমি জানি না কী প্ল্যান।

‘তার মানে বোঝাই যাচ্ছে যে, তামিমকে আপনি আউট করতে চাচ্ছেন। তামিমকে বাদ দিয়ে তুমি নিচে খেলো, ওপরে একটা ওপেনারকে আমি ট্রাই করব। ওখানে ও পারফর্ম করলে তুমি সাইজ। তো এ রকমই কথা। আমার কাছে মনে হয় খুবই দুঃখজনক।’

তামিম পাঁচটির বেশি ম্যাচ খেলতে পারবেন না, এ রকম তথ্য যারা ছড়িয়েছে তাদের বিষয়ে তদন্ত চেয়েছেন জাতীয় দলের আলোচিত উইকেটরক্ষক পাইলট।

তিনি বলেন, ‘টিম বাংলাদেশ অনেক ভালো করুক, আমরা সেই দোয়া করি। দিনশেষে কিন্তু আমাদেরই একটা ইমেজ, কিন্তু আমি বলব যে, এটার তদন্ত অবশ্যই করা উচিত। আমি জানি ক্রিকেট বোর্ড তদন্ত করবে না। বিকজ ক্রিকেট বোর্ডের বড় পাওয়ারফুল মানুষরা এর মধ্যে জড়িত, কিন্তু কারা কারা সোশ্যাল মিডিয়াতে এ ধরনের নেগেটিভ কথা বলেছে, সোশ্যাল মিডিয়াকেও ধরা উচিত, তদন্ত করা উচিত, কার কাছ থেকে এই ইনফরমেশনটা পেয়ে তারা এই নেগেটিভ নিউজগুলা দিয়েছে। এটা কোনো ঘটনাই না…মিথ্যাকে সত্যি বানিয়েছে। আমার মনে হয় ট্র্যাক করলেই ধরলেই কারা কারা ইনভলভ, কে কে নিউজটা পাস করেছে বেরিয়ে আসবে যদি ক্রিকেট বোর্ড ধরতে চায়। তাহলে বেরিয়ে আসবে আসলে এই ভিতরের গুটিচালকটা কে বা কারা।

‘আমি হয়তো জানি অনেক কিছুই। আমি বলব না। বিকজ হচ্ছে খুবই দুঃখজনক আমার কাছে মনে হয় যে, লজ্জাজনক ব্যাপার। আমরা ক্রিকেট খেলেছি। ক্রিকেটের সার্কেলেরই কিছু মানুষজনের মধ্যে অনেক জড়িত আছে, কিন্তু এই মানুষগুলোকে আমার কাছে খুবই ভাইরাস মনে হয় যে, এরা ভয়ানক। আপনি কখন কোন টিম বানাবে, কাউকে বুঝতে দিবে না কী বানাবে না বানাবে, এর মধ্যে অনেক কিছু ইন্টারেস্ট আছে। তো সেই ইন্টারেস্টটা যেন বাংলাদেশের স্বার্থ নষ্ট করে যেন তার ইন্ডিভিজ্যুয়াল ইন্টারেস্টটা যেন না থাকে। সেটা আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করব ক্রিকেট বোর্ডকে এবং সংশ্লিষ্ট ক্রিকেট বোর্ডের আশপাশে যারা আছেন অবশ্যই এটা তদন্ত করা উচিত কারা এই জিনিসটা লিক আউট করেছে যে, তামিম পাঁচটা ম্যাচের বেশি খেলতে পারবে না অথবা সাকিব বলেছে, তামিমকে নিব না, এই করব না, এই করব না। এই যে কথাগুলো বলেছে, কারা বের করেছে বাইর করা উচিত এবং জেনুইন তদন্ত করা উচিত।’

আরও পড়ুন:
নগদের সঙ্গে স্থায়ী গাঁটছড়া বাঁধলেন তামিম
অধিনায়কত্ব ছেড়েই দিলেন তামিম, ফিরছেন না এশিয়া কাপে
‘বিশ্বকাপে অধিনায়ক তামিমই’
অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, তামিম ফিরছেন
প্রধানমন্ত্রীর ডাকে গণভবনে তামিম

মন্তব্য

আরও পড়ুন

খেলা
There is no one to be the head coach in the country Tamim

দেশে প্রধান কোচ হওয়ার মতো কেউ নেই: তামিম

দেশে প্রধান কোচ হওয়ার মতো কেউ নেই: তামিম জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত
স্পোর্টস্টারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবাল বলেন, ‘ঢাকায় পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব বাংলাদেশ ক্রিকেটের ধীর উন্নয়নের একটি বড় কারণ। কিছু দিক ঠিক আছে। তবে বেশিরভাগেরই পরিবর্তন প্রয়োজন। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা করার বদলে বোর্ডের উচিত অবকাঠামোগত উন্নয়নে তা বিনিয়োগ করা।’

চলমান ভারত-বাংলাদেশ সিরিজে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় নিয়মিত দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। এই সময়ে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নে অবকাঠামোগত ঘাটতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। বাংলাদেশে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার মতো কেউ নেই- এমন অভিমত তার।

ভারতীয় ক্রীড়া পত্রিকা স্পোর্টস্টারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে দেশের ক্রিকেট বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামিম। সূত্র: ইউএনবি

নিজের অবসর, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা, সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার সম্পর্ক, টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের চলমান সংকট এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করছে এমন বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেন।

দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তামিম কোনো বাংলাদেশি কোচের জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেয়ার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজারের বেশি রান এবং ২৫টি সেঞ্চুরির অধিকারী এই সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘ঢাকায় পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব বাংলাদেশ ক্রিকেটের ধীর উন্নয়নের একটি বড় কারণ।

‘২০০৬-২০০৭ সালে আমার অভিষেক হয় এবং ২০২৪ সালে এসে গত ১৭ বছরে ঢাকায় একটিও নতুন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়নি।’

বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতির জন্য কোন কোন ক্ষেত্রে মনোযোগ দেওয় উচিত সে প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তামিম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কিছু দিক ঠিক আছে। তবে বেশিরভাগেরই পরিবর্তন প্রয়োজন।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আর্থিক ব্যবস্থাপনারও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

বিসিবির আর্থিক ক্ষমতা দেখানোর জন্য পূর্ববর্তী বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান প্রায়ই ব্যাংকে শত শত কোটি টাকা থাকার কথা বলে গর্ব করতেন। তবে তামিম মনে করেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা করার বদলে বোর্ডের উচিত অবকাঠামোগত উন্নয়নে তা বিনিয়োগ করা।

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, যখন বিসিবি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা থাকার দাবি করে, তখন এটা মুখে চড় মারার মতো মনে হয়। এই টাকা অলস পড়ে থাকা উচিত নয়। অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা থাকলেই চলবে। বাকি এক হাজার কোটি টাকা অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগ করা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত উন্নতির জন্য তাদের আয় পুনর্বিনিয়োগ করে, যা বিসিবি করে না।’

ঢাকায় মিরপুরের মতো আরেকটি সুযোগ-সুবিধার অভাব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। পাশাপাশি সারা দেশে ভালো মানের উইকেটের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘মিরপুরের মতো সুবিধা-সম্বলিত আরও স্টেডিয়াম অবশ্যই প্রয়োজন। নির্দিষ্ট কিছু উইকেটে নিজেদের শক্তির দিকে মনোযোগ দিয়ে খেলা ঠিক আছে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটেও মানসম্মত উইকেট তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ।

‘এভাবে আপনি আপনার ক্রিকেটারদের পরীক্ষা করে তাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জন্য প্রস্তুত করতে পারেন।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে তামিম বলেন, ‘প্রত্যাবর্তন বিবেচনা করার জন্য একটি সুস্পষ্ট পথ ও উদ্দেশ্য থাকতে হবে।’

তবে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি তামিম স্পষ্ট না করলেও সেই সম্ভাবনাকে নাকচও করেননি।

সাকিবের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে তামিম কিছুটা অস্পষ্ট কথা বলেছেন এবং তাদের সম্পর্কের অবনতির কারণও স্পষ্ট করেননি।

তামিম বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার মতো কেউ নেই।’

তিনি প্রস্তাব দেন- বোর্ডের উচিত জাতীয় দলের জন্য কোচিং স্টাফ ৩০:৭০ অনুপাতে নিয়োগ করা, যেখানে ৩০ শতাংশ বিদেশি কোচ উচ্চ পদে থাকবেন এবং বাকি ৭০ শতাংশ স্থানীয় কোচ থাকবেন। এতে স্থানীয়রা ভবিষ্যতে আরও ভালো করার সুযোগ পাবেন।

আরও পড়ুন:
টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর ঘোষণা মাহমুদউল্লাহর
রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে হারাল ভারত
স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শুভ সূচনা
হতচ্ছাড়া ব্যাটিং, হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
৫২ রানের লিড নিয়ে ভারতের ইনিংস ঘোষণা

মন্তব্য

খেলা
Mahmudullah announces retirement from T20

টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর ঘোষণা মাহমুদউল্লাহর

টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর ঘোষণা মাহমুদউল্লাহর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফাইল ছবি
দিল্লিতে মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, এই সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলার মধ্য দিয়ে তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ইতি ঘটবে। শনিবার হায়দরাবাদে সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলে এই সংস্করণ থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি।

টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ২০২১ সালের জুলাই মাসে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

দিল্লিতে মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, এই সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলার মধ্য দিয়ে তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ইতি ঘটবে। আগামী শনিবার হায়দরাবাদে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলে এই সংস্করণ থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি।

ক্যারিয়ারে পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে কোনো আক্ষেপ আছে কিনা জানতে চাইলে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘না, আমার কোনো আক্ষেপ নেই।’

কেনিয়ার বিপক্ষে ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শুরু করেন মাহমুদউল্লাহ। এই সংস্করণে তিনি খেলেছেন ১৩৯টি ম্যাচ, করেছেন ৮ ফিফটি। স্ট্রাইক রেট ১১৭.৭৪।

ক্যারিয়ারজুড়ে নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাওয়া মাহমুদউল্লাহকে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে ২০১৮ সালের মার্চে কলম্বোয় নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংসটি দিয়ে, যেটিতে বাংলাদেশ পেয়েছিল শ্বাসরুদ্ধকর এক জয়। আর ফিনিশিং ভূমিকায় নিজেকে সবচেয়ে সফলভাবে তিনি চিনিয়েছিলেন ২০১৬ এশিয়া কাপে।

২০১৯ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে আইসিসি এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলে এই সংস্করণে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বভার চাপে মাহমুদউল্লাহর কাঁধে।

অধিনায়কত্বের শুরুটা তার জয় দিয়ে, এই দিল্লিতেই ভারতের বিপক্ষে। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ খেলেছে তার নেতৃত্বে। তবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারছেন না- এই যুক্তিতে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এমনকি তিনি দল থেকেও বাদ পড়েন।

প্রায় দু’বছরের লম্বা বিরতি দিয়ে মাহমুদউল্লাহ গত মার্চে শ্রীলঙ্কা সিরিজে দলে ফেরেন। খেলেছেন সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। আবারও তার পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত ৩৯ ছুঁইছুঁই মাহমুদউল্লাহ সব প্রশ্নের ঊর্ধ্বে গিয়ে তরুণদের দলে জায়গা করে দিতে বিদায় বলে দিলেন টি-টোয়েন্টি সংস্করণকে।

আরও পড়ুন:
বৃষ্টিতে ভেসে গেল কানপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন
মিরপুরে শেষ টেস্ট খেলে দেশ ছাড়ার ইঙ্গিত সাকিবের
অশ্বিনের ঘূর্ণিতে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের
চেন্নাই টেস্টে হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ
ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

মন্তব্য

খেলা
India beat Bangladesh by a record
টি-টোয়েন্টি সিরিজ

রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে হারাল ভারত

রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে হারাল ভারত ভারতের পক্ষে ১৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করে মাঠ ছাড়েন হার্দিক পান্ডিয়া। ছবি: ক্রিকইনফো
প্রথমে ব্যাট করে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতেই ১২৭ রান করে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ ওভার ১ বল হাতে রেখেই তা টপকে যায় ভারত। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

টি-টোয়েন্টিতে ১২৮ রানের লক্ষ্য যে একেবারেই মামুলি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি বাংলাদেশি বোলাররা কোনো প্রতিরোধ গড়তে না পারায় সহজ জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত।

গোয়ালিয়রে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে রোববার বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।

প্রথমে ব্যাট করে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতেই ১২৭ রান করে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ ওভার ১ বল হাতে রেখেই তা টপকে যায় ভারত।

টি-টোয়েন্টিতে এটি ভারতের সর্বোচ্চসংখ্যক বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের দেয়া ১০০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪১ বল হাতে রেখে ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটিই ছিল তাদের সর্বোচ্চ বল হাতে রেখে জয়ের ঘটনা।

১২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হন ভারতীয় ব্যাটাররা। মাঝে তিনটি উইকেট পড়লেও ভারতের রানের ফোয়ারা কোনোভাবেই বন্ধ করতে পারেননি তাসকিন-মোস্তাফিজরা।

দলের হয়ে ১৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। এছাড়া সূর্যকুমার যাদব ১৪ বলে ২৯ এবং ১৯ বলে ২৯ রান করেন ওপেনার সঞ্জু স্যামসন।

এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত।

আরও পড়ুন:
স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শুভ সূচনা
হতচ্ছাড়া ব্যাটিং, হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
৫২ রানের লিড নিয়ে ভারতের ইনিংস ঘোষণা
কানপুর টেস্টে তৃতীয় দিনের খেলাও পরিত্যক্ত
বৃষ্টিতে ভেসে গেল কানপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন

মন্তব্য

খেলা
Bangladesh got off to a good start in the World Cup by beating Scotland

স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শুভ সূচনা

স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শুভ সূচনা শারজাহতে উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বকাপ শুরুর আগে গত চার আসরের হতাশা ঘোচানোর প্রত্যয় ঝরেছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানার কণ্ঠে। প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে সেই আশার বাতি আরও একটু জ্বেলে দিল দেশের মেয়েরা। সে সঙ্গে ঘুচল টানা ১৬ ম্যাচ হারার কলঙ্কও।

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শারজাহতে ১৬ রানে তারা হারিয়ে দিয়েছে স্কটল্যান্ডকে। টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং নেয় বাঘিনীরা। ব্যাটার ও বোলারদের সম্মিলিত অবদানে এসেছে এই জয়।

বিশ্বকাপ শুরুর আগে গত চার আসরের হতাশা ঘোচানোর প্রত্যয় ঝরেছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানার কণ্ঠে। প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে সেই আশার বাতি আরও একটু জ্বেলে দিল দেশের মেয়েরা। সে সঙ্গে ঘুচল টানা ১৬ ম্যাচ হারার কলঙ্কও।

বৃহস্পতিবার উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে দুটি চারের সাহায্যে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন সোবহানা মোস্তারি। এছাড়া ওপেনার সাথী রানী ২৯ ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা করেন ১৮ রান।

স্কটিশদের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন সাস্কিয়া হর্লি। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন অধিনায়ক ক্যাথরিন ব্রাইস, অলিভিয়া বেল ও ক্যাথরিন ফ্র্যাজার।

১২০ রানে জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান তুলতে সমর্থ হয় স্কটল্যান্ডের মেয়েরা।

স্কটল্যান্ডের হয়ে অপরাজিত থেকে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন ওপেনার সারাহ ব্রাইস। তিনি ছাড়া আর মাত্র দুজন ব্যাটার ১১ রান করে করতে পেরেছেন।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নিয়েছেন রিতু মনি। এছাড়া একটি করে উইকেট পান মারুফা আক্তার, নাহিদা আক্তার, ফাহিমা খাতুন ও রাবেয়া খান।

বিশ্বকাপের শুরুতেই জিতে নিশ্চিতভাবেই খানিকটা আত্মবিশ্বাস বাড়বে নিগার সুলতানার দলের। আগামী শনিবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে তারা।

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অপর প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগামী ১০ অক্টোবর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ১২ অক্টোবর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাঠে নামবেন নিগার সুলতানারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ১১৯/৭ (নিগার ৩৬, সাথী ২৯; হর্লি ৩/১৩)।

স্কটল্যান্ড: ১০৩/৭ (সারাহ ব্রাইস ৪৯*, ক্যাথরিন ১১, আইলসা লিস্টার ১১; রিতু ২/১৫, মারুফা ১/১৭, নাহিদা ১/১৯)।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রিতু মনি।

আরও পড়ুন:
অশ্বিনের ঘূর্ণিতে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের
চেন্নাই টেস্টে হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ
ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
রাতে ফিরছে টাইগাররা, সাকিব যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল লর্ডসে

মন্তব্য

খেলা
Batting whitewashed Bangladesh
কানপুর টেস্ট

হতচ্ছাড়া ব্যাটিং, হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

হতচ্ছাড়া ব্যাটিং, হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
কানপুর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মঙ্গলবার মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এতে মাত্র ৯৫ রানের লক্ষ্য পায় ভারত। ১৭ ওভার ২ বল খেলে ৩ উইকেটেই লক্ষ্য টপকে যায় রোহিত শর্মার দল।

চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানে হেরে গেল বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত কানপুর টেস্টে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। এতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এ নিয়ে পঞ্চমবার ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।

কানপুর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মঙ্গলবার মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এতে মাত্র ৯৫ রানের লক্ষ্য পায় ভারত। ১৭ ওভার ২ বল খেলে ৩ উইকেটেই লক্ষ্য টপকে যায় রোহিত শর্মার দল।

কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে এর আগে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮২ রান তাড়া করে টেস্ট জয়ের রেকর্ড ছিল। এবার ৯৫ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে নিল ভারত।

আগের রেকর্ডটিও ছিল ভারতের। ১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে টেস্ট জিতেছিল স্বাগতিকরা।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে ৮ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা। তৃতীয় ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ দেন ভারতীয় অধিনায়ক। ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে শুভমান গিলকেও (১০ বলে ৬) এলবিডব্লিউ করেন মিরাজ।

৪৫ বলে ৫১ রান করে তাইজুল ইসলামের বলে সাকিব আল হাসানের তালুবন্দি হন যশস্বী জয়সওয়াল। জয়ের জন্য তখন দরকার মাত্র ৩ রান। এরপর বিরাট কোহলি (২৯*) ও রিশান্ত পান্তের (৪*) ব্যাটে জয় নিশ্চিত করে ভারত।

মঙ্গলবার ২ উইকেটে ২৬ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। দিনের তৃতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান মুমিনুল হক। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে সুইপ করতে গিয়ে লেগ স্লিপে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। প্রথম ইনিংসে ১০৭ রানে অপরাজিত থাকা মুমিনুল দ্বিতীয় ইনিংসে ফেরেন মাত্র ২ রানে।

সাদমান ইসলামের সঙ্গে ৫৫ রানের দারুণ জুটি করে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংসের ২৮তম ওভারে দলীয় ৯১ রানের মাথায় রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হন তিনি। ৩৭ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান বাংলাদেশ অধিনায়ক।

দলীয় ২ রান যোগ করতেই আউট হয়ে যান ফিফটি করা সাদমান। ২৯তম ওভারে আকাশ দীপের বলে যশস্বী জয়সওয়ালের হাতে গালিতে তালুবন্দি হন তিনি।

ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে লিটন দাসকে (৮ বলে ১) তুলে নেন জাদেজা। ডানহাতি এই ব্যাটারকে উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্তের হাতে ক্যাচ বানান ভারতীয় স্পিনার।

এরপর আবার বোলিংয়ে আসেন জাদেজা। ওভারের দ্বিতীয় বলেই সাকিব আল হাসানকে (২ বলে ০) আউট করেন তিনি। অর্থাৎ ৩ উইকেটে ৯১ রান করা বাংলাদেশের ৯৪ রানিই ৭ উইকেট হাওয়া।

মেহেদী হাসান মিরাজও ১৭ বলে ৯ রান করে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে বিহাইন্ড দ্য উইকেটে পান্তের হাতে ধরা পড়েন। এরপর তাইজুল ইসলামকে (১৩ বলে ০) এলবিডব্লিউ করেন বুমরাহ।

দশম উইকেটে ১৬ রানের জুটি করেন মুশফিকুর রহিম ও খালেদ আহমেদ। বুমরাহর বলে ৬৩ বলে ৩৭ রান করে মুশফিক বোল্ড হলে ইনিংস শেষ হয় বাংলাদেশের।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জাসপ্রিত বুমরাহ ও রবীন্দ্র জাদেজা।

আরও পড়ুন:
কানপুর টেস্টে তৃতীয় দিনের খেলাও পরিত্যক্ত
বৃষ্টিতে ভেসে গেল কানপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন
মিরপুরে শেষ টেস্ট খেলে দেশ ছাড়ার ইঙ্গিত সাকিবের
অশ্বিনের ঘূর্ণিতে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের
চেন্নাই টেস্টে হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ

মন্তব্য

খেলা
India declared innings with a lead of 52 runs
কানপুর টেস্ট

৫২ রানের লিড নিয়ে ভারতের ইনিংস ঘোষণা

৫২ রানের লিড নিয়ে ভারতের ইনিংস ঘোষণা
বৃষ্টিবিঘ্নিত কানপুর টেস্টে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করে ২৩৩ রান। আর ভারত ইনিংস ঘোষণা করেছে ২৮৫ রান করে। স্বাগতিক দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন জয়সাওয়াল। তাছাড়া ৬৮ রান করেন লোকেশ রাহুল।

বৃষ্টিবিঘ্নিত কানপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে স্বাগতিক ভারত। এর আগে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে করেছিল ২৩৩ রান। প্রথম ইনিংসে ভারতের লিড ৫২ রানের।

ইনিংস ঘোষণার আগে ৩৪ ওভার ৪ বলে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান করেছে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেছেন জয়সাওয়াল। তাছাড়া ৬৮ রান করেছেন লোকেশ রাহুল।

বৃষ্টির কারণে টানা দুদিন মাঠে বলা গড়ায়নি। চতুর্থ দিনে লাঞ্চের কিছুক্ষণ পরই নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ভারত। ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে ব্যাটিং করেছেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও ইয়াশভি জয়সাওয়াল। প্রথম ওভারেই তিন বাউন্ডারি মারেন জয়সাওয়াল। দ্বিতীয় ওভারে স্ট্রাইক পেয়ে নিজের খেলা ইনিংসের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান রোহিত।

দুই ওপেনারের এমন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দুই ওভারে ২৯, আর তিন ওভার শেষে ৫১ রান তোলে ভারত। টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে কম বল খেলে দলীয় অর্ধশতকের রেকর্ড এটি।

দ্রুততম ফিফটির এর আগের রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডের। ৪ ওভার ২ বলে চলতি বছর নটিংহ্যামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫০ রান করেছিল ইংল্যান্ড।

অবশ্য এরপরই ব্রেকথ্রু পেয়েছে বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ ওভার করতে এসে উইকেটের দেখা পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বোল্ড হওয়ার আগে রোহিতের ব্যাট থেকে এসেছে ১১ বলে ২৩ রান।

অধিনায়ক দ্রুত ফিরলেও আরেক ওপেনার জয়সাওয়াল পেয়েছেন ফিফটির দেখা। হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৫২ বলে ৭৭ রান করেন এই তরুণ ওপেনার। তার মারমুখী ব্যাটিংয়ে মাত্র ১০ ওভার ১ বলেই দলীয় শতরান স্পর্শ করে ভারত। টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে দ্রুততম শতরানের কীর্তি এটি। এর আগের রেকর্ডও অবশ্য ভারতের দখলেই ছিল। সেবারও ওপেনার ছিলেন রোহিত ও জয়সাওয়াল। ২০২৩ সালে পোর্ট অব স্পেনে ১২ ওভার ২ বলে দলীয় শতরান স্পর্শ করেছিল ভারত।

তিনে নেমে রানের দেখা পেয়েছেন শুভমান গিলও। সাকিবের বলে হাসান মাহমুদের হাতে ধরা পড়ার আগে ৩৬ বলে করেছেন ৩৯ রান। দ্রুত রান তুলতে বিরাট কোহলির আগেই ঋষভ পান্তকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল ভারত। তবে ব্যর্থ এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ১১ বল খেলে ৯ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।

পাঁচে নেমে পরিকল্পনা অনুযায়ী ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন কোহলি। স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিংয়েও সফল এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। সাকিবের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩৫ বলে করেছেন ৪৭ রান।

কোহলি হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেও মিডল অর্ডারে নেমে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন লোকেশ রাহুল। মাত্র ৩৩ বলে ফিফটি করেন তিনি। তাদের এমন ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৪ ওভার ২ বলেই ২০০ রান পেরিয়ে যায় ভারত, যা টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে কোনো দলের দ্রুততম ২০০ রান। এরপর ২৮তম ওভারে বাংলাদেশের করা ২৩৩ রান টপকে যায় ভারত।

কোহলি ফেরার পর সাতে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রবীন্দ্র জাদেজা। ইনিংসের ৩৩তম ওভারে মিরাজের খাটো লেংথের বল টেনে খেলতে গিয়ে কভারে শান্তর হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে জাদেজার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ৮ রান।

জাদেজার পর রাহুলকেও ফিরিয়েছেন মিরাজ। স্টাম্প হওয়ার আগে ৪৩ বলে ৬৮ রান করেছেন তিনি। পরিস্থিতি অনুযায়ী যা ছিল দারুণ কার্যকরী। এরপর রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও আকাশ দীপ উইকেটে এসে দ্রুত শট খেলার চেষ্টা করলেও সুবিধা করতে পারেননি। এই দুজন দ্রুত ফিরলে এক উইকেট হাতে রেখেই ইনিংস ঘোষণা করেন রোহিত শর্মা।

আরও পড়ুন:
ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
রাতে ফিরছে টাইগাররা, সাকিব যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল লর্ডসে
বাংলাদেশ দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস বাংলাদেশের

মন্তব্য

খেলা
Shakib will get the security he needs as a player Sports Advisor

খেলোয়াড় হিসেবে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পাবেন সাকিব: ক্রীড়া উপদেষ্টা

খেলোয়াড় হিসেবে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পাবেন সাকিব: ক্রীড়া উপদেষ্টা ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও সাকিব আল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘জনগণের যদি কোথাও ক্ষোভ থাকে, তাহলে সেটা আমাকে রিডিউস করতে (কমাতে) হবে কথা দিয়ে। আমার মনে হয়, নিজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে তার কথা বলা প্রয়োজন। অলরেডি মাশরাফি বিন মুর্তজা কথা বলেছেন।’

খেলোয়াড় হিসেবে যতটা নিরাপত্তা দেয়া প্রয়োজন, ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ততটাই দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

রোববার সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ে গ্রামীণফোনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং চেক গ্রহণ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আলোচনা চলছে যে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন- এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা আসিফ বলেন, ‘বিসিবি এ বিষয়ে একটি বক্তব্য দিয়েছে। রাষ্ট্রের জায়গা থেকে রাষ্ট্র প্রত্যেক নাগরিককে নিরাপত্তা দিতে বাধ্য এবং তা আমরা অবশ্যই করব।’

ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে সাকিব আল হাসানের পরিচয় দুটি। এটি আমাদের মনে রাখতে হবে। খেলোয়াড় হিসেবে একটি পরিচয়, আরেকটি হলো রাজনৈতিক পরিচয়। তিনি আওয়ামী লীগের প্যানেল থেকে এমপি নির্বাচন করেছেন। মানুষের মধ্যে তো দুটি নিয়েই মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন খেলোয়াড় হিসেবে, একজন খেলোয়াড়কে যতটা নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব তা আমরা অবশ্যই দেব। তিনি দেশে এলে আমরা তা দেব। তার নামে যে হত্যা মামলা হয়েছে সে বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে বলেছি। আইন মন্ত্রণালয়ও বলেছে যে, সংশ্লিষ্টতা না থাকলে প্রাথমিকভাবেই বাদ দেয়া যায়।’

উপদেষ্টা আসিফ বলেন, ‘তার (সাকিব আল হাসান) রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে জনগণের মধ্যে যদি ক্ষোভ থাকে, তাহলে…। মনে করুন, আমার নিরাপত্তার জন্য পাঁচজন পুলিশ কনস্টেবল এবং একজন গানম্যান থাকেন। আমার ওপর যদি দেশের ১৬ কোটি জনগণের ক্ষোভ থাকে, তাহলে তারা আমাকে কী নিরাপত্তা দেবেন?’

তিনি বলেন, ‘জনগণের যদি কোথাও ক্ষোভ থাকে, তাহলে সেটা আমাকে রিডিউস করতে (কমাতে) হবে আমার কথা দিয়ে। আমার মনে হয়, তার নিজের জায়গা পরিষ্কার করা প্রয়োজন। তার যে রাজনৈতিক অবস্থান, তা নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন। অলরেডি মাশরাফি বিন মুর্তজা কথা বলেছেন।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জনগণের পক্ষ থেকে যদি নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকে, সেটা কেউ কাউকে আসলে দিতে পারবে না। শেখ হাসিনাকেও নিরাপত্তা দেয়া যায়নি, তাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। ‘সেই জায়গায় রাজনৈতিক বিষয়টি পরিষ্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করি। প্রত্যেক খেলোয়াড়কে নিরাপত্তা দেয়াই আমাদের দায়িত্ব এবং সে দায়িত্ব আমরা পালন করি।’

আরও পড়ুন:
মিরপুরে শেষ টেস্ট খেলে দেশ ছাড়ার ইঙ্গিত সাকিবের
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের
শেয়ার কারসাজি: সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা
রাতে ফিরছে টাইগাররা, সাকিব যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে
‘সাকিবকে অতি উৎসাহী হয়ে গ্রেপ্তার করা হবে না’

মন্তব্য

p
উপরে