ওপেনার তামিম ইকবাল বিশ্বকাপে পাঁচটির বেশি ম্যাচ খেলবেন না, এমন তথ্য যারা ছড়িয়েছে তাদের বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটার খালেদ মাসুদ পাইলট।
বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া তামিম ইকবালের বুধবার বিকেলের ভিডিওবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে রাতে ফেসবুক লাইভে আসনে জাতীয় দলের সাবেক এ ক্রিকেটার।
ওই ভিডিওবার্তায় তামিম বলেন, ‘আমি কোনো সময় কোনো মুহূর্তে বলি নাই যে, আমি পাঁচটা ম্যাচের বেশি খেলতে পারব না। এ কথা কোনো সময় হয় নাই। এটা মিথ্যা ও ভুল কথা। কে করছে এটা আমি জানি না। এটা মিথ্যা কথা।’
তামিম বলেন, ‘আমি বলেছিলাম যে দেখেন, আমার বডিটা এ রকমই থাকবে। এটা মাথায় রেখে সিলেক্ট করবেন।’
এমন বাস্তবতায় পাইলট বলেন, ‘তামিমের যেটা আমি দেখলাম একটা, সে বেসিক্যালি একটা ভিডিওবার্তা দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। তো আমার মনে হয় যে, সে কিন্তু ক্লিয়ার করে দিয়েছে। সে কিন্তু বলে নাই যে, আমি পাঁচটা ম্যাচ খেলব না। তার মানে বাংলাদেশ টিম থেকে বোর্ড যদি চায়, ইচ্ছা করলে তদন্ত করে বের করে ফেলতে পারবে কারা এই নিউজটা বের করেছে। বিকজ ক্রিকেট বোর্ডের কিছু মানুষ আছে যারা সোশ্যাল মিডিয়াকে পোষে। তারা এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে ইনফরমেশন দিয়েছে যে, বেসিক্যালি তামিমকে খারাপ করার জন্য…কিছু লোক আছে যারা…আমি সমস্ত ক্রিকেট বোর্ডের লোককে ঢালাওভাবে বলব না, একজন-দুইজন মানুষ আছেন যারা ক্রিকেট বোর্ডের ভাইরাস আমার কাছে মনে হয়; ক্রিকেট বোর্ডের ভাইরাস। তারাই এই জিনিসটা তৈরি করছে।
‘আমার মনে হয় অনেক ডিরেক্টর আছেন, তারা সবাই অনেক সম্মানিত ব্যক্তি আছেন। তারা হয়তো ইনভলভডই (জড়িত) না এর সাথে, কিন্তু দুই-একজন মানুষ আছেন যারা পুরা এই নাটকটা বানাচ্ছেন। পুরা ইন্ডিয়ান সিরিয়ালগুলা যেমন নাটক হয়, এ রকম একটা নাটক বানাচ্ছেন। তো এই নাটকটা আসলে ক্রিকেটর জন্য ভালো না। এটা খুবই দুঃখজনক এবং আমি মনে করি যে, আমাদের কাছে এ রকম কালচার সাধারণ মানুষ আশা করে না।’
তামিম ও সাকিবের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে বলে মনে করেন তাদের অগ্রজ পাইলট।
তার ভাষ্য, ‘বিশেষ করে আপনি যেভাবে তামিমকে এক ধরনের পচানো হচ্ছে পাঁচটা ম্যাচ খেলার জন্য সে হয়তো বলেছে যে, পাঁচটা ম্যাচ পরে আর খেলবে না। আবার এদিক দিয়ে সাকিবকে এক ধরনের ভাবে পচানো হচ্ছে যে, সাকিব এই সমস্ত দায়িত্বে ছিলেন।
‘আসলে কি তাই হইছে? তো সাধারণ মানুষ কিন্তু আসলে বোকা সাজছে এই সোশ্যাল মিডিয়ার ওজনে। সোশ্যাল মিডিয়াতে সারাক্ষণ আপনার ফেসবুকের মধ্যে থাকছেই। সোশ্যাল মিডিয়াতে পজিটিভকে নেগেটিভ, নেগেটিভকে পজিটিভ বানিয়ে প্লেয়াররা এর মধ্যে কিন্তু দেখা গেল যে, প্লেয়ারদেরকে ভিলেন বানানো হচ্ছে।’
ভিডিওবার্তায় ব্যাটিংয়ের অর্ডার পরিবর্তন নিয়ে তামিমের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাইলট বলেন, ‘আপনারা যদি দেখেন, তামিম কিন্তু একটা কথা বলেছে। কোনো একজন তাকে বোর্ডের অফিশিয়াল নাকি টিমের ম্যানেজমেন্ট ফোন দিয়েছেন, যে কিনা বলেছেন যে, তুমি প্রথম ম্যাচ, আফগানিস্তানের সাথে ম্যাচটা খেলবা না ওপেনিং করবা না, তুমি মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করবা। কোন কারণে তাকে বলতে পারে, বলেন তো আপনি যে, ওপেনিং ব্যাটিং করবা না তামিম? বিকজ একটা প্লেয়ার সারা জীবন ওপেন করে আসছে এবং তাকে জানেন যে, সে ওপেনার বাংলাদেশ টিমের। তাকে কী করে এ রকম একটা তাকে বলতে পারে? আমি জানি না কী প্ল্যান।
‘তার মানে বোঝাই যাচ্ছে যে, তামিমকে আপনি আউট করতে চাচ্ছেন। তামিমকে বাদ দিয়ে তুমি নিচে খেলো, ওপরে একটা ওপেনারকে আমি ট্রাই করব। ওখানে ও পারফর্ম করলে তুমি সাইজ। তো এ রকমই কথা। আমার কাছে মনে হয় খুবই দুঃখজনক।’
তামিম পাঁচটির বেশি ম্যাচ খেলতে পারবেন না, এ রকম তথ্য যারা ছড়িয়েছে তাদের বিষয়ে তদন্ত চেয়েছেন জাতীয় দলের আলোচিত উইকেটরক্ষক পাইলট।
তিনি বলেন, ‘টিম বাংলাদেশ অনেক ভালো করুক, আমরা সেই দোয়া করি। দিনশেষে কিন্তু আমাদেরই একটা ইমেজ, কিন্তু আমি বলব যে, এটার তদন্ত অবশ্যই করা উচিত। আমি জানি ক্রিকেট বোর্ড তদন্ত করবে না। বিকজ ক্রিকেট বোর্ডের বড় পাওয়ারফুল মানুষরা এর মধ্যে জড়িত, কিন্তু কারা কারা সোশ্যাল মিডিয়াতে এ ধরনের নেগেটিভ কথা বলেছে, সোশ্যাল মিডিয়াকেও ধরা উচিত, তদন্ত করা উচিত, কার কাছ থেকে এই ইনফরমেশনটা পেয়ে তারা এই নেগেটিভ নিউজগুলা দিয়েছে। এটা কোনো ঘটনাই না…মিথ্যাকে সত্যি বানিয়েছে। আমার মনে হয় ট্র্যাক করলেই ধরলেই কারা কারা ইনভলভ, কে কে নিউজটা পাস করেছে বেরিয়ে আসবে যদি ক্রিকেট বোর্ড ধরতে চায়। তাহলে বেরিয়ে আসবে আসলে এই ভিতরের গুটিচালকটা কে বা কারা।
‘আমি হয়তো জানি অনেক কিছুই। আমি বলব না। বিকজ হচ্ছে খুবই দুঃখজনক আমার কাছে মনে হয় যে, লজ্জাজনক ব্যাপার। আমরা ক্রিকেট খেলেছি। ক্রিকেটের সার্কেলেরই কিছু মানুষজনের মধ্যে অনেক জড়িত আছে, কিন্তু এই মানুষগুলোকে আমার কাছে খুবই ভাইরাস মনে হয় যে, এরা ভয়ানক। আপনি কখন কোন টিম বানাবে, কাউকে বুঝতে দিবে না কী বানাবে না বানাবে, এর মধ্যে অনেক কিছু ইন্টারেস্ট আছে। তো সেই ইন্টারেস্টটা যেন বাংলাদেশের স্বার্থ নষ্ট করে যেন তার ইন্ডিভিজ্যুয়াল ইন্টারেস্টটা যেন না থাকে। সেটা আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করব ক্রিকেট বোর্ডকে এবং সংশ্লিষ্ট ক্রিকেট বোর্ডের আশপাশে যারা আছেন অবশ্যই এটা তদন্ত করা উচিত কারা এই জিনিসটা লিক আউট করেছে যে, তামিম পাঁচটা ম্যাচের বেশি খেলতে পারবে না অথবা সাকিব বলেছে, তামিমকে নিব না, এই করব না, এই করব না। এই যে কথাগুলো বলেছে, কারা বের করেছে বাইর করা উচিত এবং জেনুইন তদন্ত করা উচিত।’
আরও পড়ুন:ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পরিসংখ্যানটা যেমন রংধনুর মতো রঙিন, ঠিক তার বিপরীত চিত্র ক্রিকেটের বনেদি ফরম্যাটে। বড় দলের বিপক্ষে সাদা পোশাকে টাইগারদের পারফরম্যান্সটা বিবর্ণ-ধূসর। অবস্থাটা এমন দাঁড়ায় মাঝেমধ্যে যে, পাঁচ দিন টিকে থাকাই যেখানে দুষ্কর, সেখানে জয়ের আশা করাটা বিলাসিতা ছাড়া কিছুই নয়।
এমন হতশ্রী অবস্থা যে দলের, তারা যদি নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু করে, তবে সেটি যে অনন্য এক মাইলফলক, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ব্ল্যাকক্যাপদের বিপক্ষে প্রথমবার বনেদি ফরম্যাটের লড়াইয়ে বাংলাদেশ নেমেছিল ২০০১ সালে; ১৫ টেস্ট পর ২০২০ সালে এসে মাউন্ট মঙ্গাইনুতে। ঐতিহাসিক সেই জয়ের মাধ্যমে অবসান ঘটেছিল টাইগারদের দুই দশকের আক্ষেপের।
ইতিহাস গড়া সেই জয়ের পর টাইগারদের চোখ ছিল ঘরের মাঠে কিউই বধের। সেটিরও পালা চুকেছে ২০২৩ সালের শেষ দিকে এসে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে দলপতি নাজমুল হাসান শান্ত, সতীর্থ মাহমুদুল হাসান জয়, মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য ব্যাটিং আর তাইজুলের স্পিনবিষে নীল হতে হয়েছে সফরকারীদের। ১৫০ রানের জয় বাগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি স্বাগতিকরা পেয়েছে ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো কিউই বধের স্বাদ।
এক বছরের ব্যবধানে দুটি ঐতিহাসিক জয় বাগিয়ে নিলেও পরিসংখ্যানের দিক থেকে বাংলাদেশ যোজন যোজন পিছিয়ে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে। এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ১৮ টেস্টের মধ্যে শুধু দুটিতে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ।
১৩ হারের বিপরীতে বাংলাদেশের বড় অর্জন তিন ড্র। দুর্দান্ত এ জয়ে চলতি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
পয়েন্ট টেবিলে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচের দুটিতেই জয় বাগিয়ে নেয়া পাকিস্তান শীর্ষস্থানে রয়েছে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে। কিউই বধে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তারপরই অবস্থান টাইগারদের। ভারত দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্র নিয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে তিনে। অস্ট্রেলিয়া চারে রয়েছে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে।
টেবিলের পাঁচে অবস্থান করছে ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচে দুটি দুই জয় পাওয়ায় তাদের পয়েন্ট ৯। একটি করে ড্র ও হার নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাগে চার পয়েন্ট। শ্রীলঙ্কা দুই ম্যাচ ও কিউইরা এক ম্যাচ খেলে জয় না পাওয়ায় এখনও খুলতে পারেনি পয়েন্টের খাতা।
সিলেটের উইকেটে প্রথম ইনিংসে এক ধরনের সংগ্রাম করেই ব্যাটিং করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। প্রথম ইনিংসে টাইগারদের ৩১০ রানের পুঁজি পাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছিল মাহমুদুল হাসান জয়ের ৮৬ রানের অনবদ্য ইনিংস।
এরপর বল হাতে তাইজুল কিউইদের টুঁটি চেপে ধরলেও কেইন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরির সুবাদে ৭ রানের লিড নিয়ে প্রথম ইনিংস শেষ করে সফরকারীরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক শান্তর ১০৫, মুশফিকের ৬৭, মেহেদী হাসান মিরাজের ৫০ রানে ভর করে ৩৩৮ রানের পুঁজি দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। আর সেই সুবাদে কিউইদের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ৩৩১ রানের।
সিলেটের উইকেট সে সময়টাতে পুরোপুরি রূপ নিয়েছে ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে, কিন্তু টাইগারদের পারফরম্যান্সের মতোই রহস্যময় হয়ে উঠেছিল সেই উইকেট। ভানুমতির খেল দেখিয়ে সেটি চলে যায় বাংলাদেশের পক্ষে।
ইতিহাস গড়ার মঞ্চটা বাংলাদেশ সাজিয়ে রেখেছিল চতুর্থ দিনেই। শেষ দিনে এসে অপেক্ষা ছিল কেবল নিউজিল্যান্ডের তিন ব্যাটারকে মাঠছাড়া করার। আর সেই অপেক্ষার অবসানে লাগেনি বেশি সময়।
এক তাইজুলের স্পিনবিষে নীল হয়ে মাত্র ১৮১ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। আর তাতেই বাংলাদেশ লাভ করে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক এই জয়ের স্বাদ।
কিউই বধের দিনে তাইজুল দ্বিতীয়বারের মতো ঝুলিতে পুরেছেন ১০ উইকেট। এর আগে ২০১৮ সালে এ সিলেটের মাটিতেই প্রথমবারের মতো এক টেস্টে ১০ উইকেট ঝুলিতে ভরার স্বাদ পেয়েছিলেন টাইগার এ স্পিনার। এতে করে তৃতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে এক টেস্টে দ্বিতীয়বার ১০ উইকেট শিকারি বনে গেছেন তিনি। এর আগে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ গড়েছিলেন অনন্য এই কীর্তি।
এদিকে পিছিয়ে থাকেননি নাজমুল হোসেন শান্তও। তিনি নাম লিখিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের পাশে। ম্যাশ ও সাকিবের মতো শান্তও জয় বাগিয়ে নিয়েছেন নিজের অধিনায়কত্বের অভিষেক টেস্টে।
আরও পড়ুন:স্বর্ণা আক্তারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে রোববার ১৩ রানের জয় পায় টাইগ্রেসরা।
ম্যাচে চার ওভারে ২৮ রান দিয়ে প্রোটিয়াদের পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন স্বর্ণা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনিনের উইলোমুর পার্কে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দুই উইকেট হারিয়ে ১৪৯ করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৫৯ বলে ছয়টি চার ও এক ছক্কায় ৬২ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার মুর্শিদা খাতুন। অন্যদিকে ২১ বলে ছয় বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৪ রান করেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা।
এ দুজনের বাইরে ২৪ বলে ২৪ ও ১৭ বলে ১৬ রান করেন শামিমা সুলতানা ও সোবহানা মুস্তারি।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্বর্ণার লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তুলতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
দলটির হয়ে ৪৯ বলে ৯ চার আর এক ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন ওপেনার অ্যানেকে বোশ। এ ছাড়া ২৬ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় ৩০ রান করেন আরেক ওপেনার তাজমিন।
আরও পড়ুন:সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের দেয়া ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫০ রানে হেরেছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষে সাত উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান তোলে দলটি। পঞ্চম দিনে এসে ১৮১ রান করে গুটিয়ে যায় কিউইরা।
টাইগারদের হয়ে কিউই শিবিরকে ধসিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তার ঘূর্ণিতে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন নিউজিল্যান্ডের ছয় ব্যাটার। ২২ রান করা ডেভন কনওয়ে, ১১ রান করা কেইন উইলিয়ামসন, ছয় রান করা টম ব্লান্ডেল, ৯ রান করা কাইলি জেমিসন, ২২ রান করা ইশ সোধি ও ৩৪ রান করা টিম সাউদিকে ফেরান তাইজুল।
দলের হয়ে বাকি চারটি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান। তাদের মধ্যে শরিফুল ও মিরাজ একটি করে এবং নাইম নেন দুটি উইকেট।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩১০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৮ রান করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রান করতে পারলেও দ্বিতীয়টিতে ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে কিউইরা।
সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের দেয়া ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পরাজয়ের সামনে রয়েছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষে সাত উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান তুলেছে দলটি।
জয়ের জন্য সফরকারীদের এখনও দরকার ২১৯ রান। হাতে আছে তিনটি উইকেট। ড্যারিল মিচেল ৪৪ ও ইশ সোধি ৭ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।
বাংলাদেশের হয়ে কিউই শিবিরে বড় আঘাত হানেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তার ঘূর্ণিতে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন নিউজিল্যান্ডের চার ব্যাটার। ২২ রান করা ডেভন কনওয়ে, ১১ রান করা কেইন উইলিয়ামসন, ছয় রান করা টম ব্লান্ডেল ও ৯ রান করা কাইলি জেমিসনকে ফেরান তাইজুল।
দলের হয়ে বাকি তিনটি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩১০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৮ রান করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রান করতে পারলেও দ্বিতীয়টিতে ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে কিউইরা।
আরও পড়ুন:সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের দেয়া ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেকায়দায় পড়েছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচের চতুর্থ দিন শুক্রবার ৮১ রান তুলতেই ছয়টি উইকেট হারিয়েছে দলটি।
বাংলাদেশের হয়ে কিউই শিবিরে বড় আঘাত হানেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তার ঘূর্ণিতে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন নিউজিল্যান্ডের তিন ব্যাটার। ২২ রান করা ডেভন কনওয়ে, ১১ রান করা কেইন উইলিয়ামসন ও ছয় রান করা টম ব্লান্ডেলকে ফেরান তাইজুল।
দলের হয়ে বাকি তিনটি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩১০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৮ রান করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রান করতে পারলেও দ্বিতীয়টিতে ব্যাকফুটে পড়ে কিউইরা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ছয় উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৮৩ রান।
আরও পড়ুন:সিলেট টেস্ট জিততে নিউজিল্যান্ডকে ৩৩২ রানের টার্গেট দিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
৭ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩১০ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৩১৭।
তৃতীয় দিন শেষে ৩ উইকেটে ২১২ রান করেছিলো বাংলাদেশ। ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ২০৫ রানে এগিয়ে ছিলো টাইগাররা।
চতুর্থ দিন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১০৪, মুশফিকুর রহিম ৬৭ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৫০ রানে আউট হন। নিউজিল্যান্ডের স্পিনার আজাজ প্যাটেল ১৪৮ রানে ৪ উইকেট নেন। সূত্র: বাসস
দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ২৬ রানে যখন দুই ওপেনার ফিরে গেলেন, তখন আরও একটি হতাশাজনক ম্যাচের ইঙ্গিত পেয়ে স্টেডিয়াম, টিভি-মোবাইলের স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে নিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু এরপরই পাল্টে দেল পট; এখান থেকে দলকে টেনে তুলে ফিরে আসার পুরনো গল্পকে নতুন করে লিখলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। পরে মুমিনুল ফিরে গেলেও শান্তর কাঁধে আস্থার হাত রাখলেন মুশফিক। আর এদের কীর্তিতে ২০৫ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিন কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরির পর ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রানে দিন শেষ করে নিউজিল্যান্ড। আজ প্রথম সেশনে কাইল জেমিসন ও টিম সাউদির ধৈর্য পরীক্ষার পর ৩১৭ রানে ইনিংস শেষ হয় তাদের। এতে মাত্র সাত রানের লিড পায় কিউইরা। পরে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে তিন উইকেট হারিয়ে ২১২ রানে দিন শেষ করেছে টাইগাররা।
২৬ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দলকে টেনে তোলেন শান্ত ও মুমিনুল। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯০ রানের জুটি গড়েন তারা। ৪০ রান করে মুমিনুল যখন ফিরে যাচ্ছেন, তার মধ্যে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। এরপর মুশফিক আসলে ফের আরেকটি বড় জুটির দিকে এগাতে থাকে বাংলাদেশ। এই জুটি পরে আর ভাঙতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। ফলে স্কোরবোর্ডে ৯৬ রান যোগ করে দিন শেষে মাঠ ছাড়েন শান্ত ও মুশফিক।
মুশফিক ৭১ বল মোকাবিলা করে ৪৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন। অন্যপ্রান্তে বিরল এক কীর্তি ঘটিয়েছেন শান্ত। অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন এই তরুণ তুর্কি। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে তিনিই প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এ রেকর্ডের পাতায় নিজের নাম লেখালেন।
তৃতীয় দিন শেষে ১০৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন শান্ত। ২০৫ রানের লিডকে আরও বড় আকার দিতে টাইগারদের ঝুলিতে রয়েছে আরও সাত অস্ত্র। চতুর্থ দিন কতটা এগিয়ে নিউজিল্যান্ডকে চূড়ান্ত লক্ষ্য দিতে পারে বাংলাদেশ, সেটি এখন দেখার বিষয়।
মন্তব্য